লেবু কি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর - লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

লেবুর রস কি আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর এই প্রশ্নটি নিয়ে আপনিও হয়তোবা বিভ্রান্তির মধ্যে আছেন। কারণ লেবুর রস যতটা উপকারী। সেরকমই কিছুটা ক্ষতির কারণ হয়। আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা লেবু কি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর এবং লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানব।
লেবু কি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর - লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
আজকের আর্টিকেলটিতে শেষ পর্যন্ত থাকলে আপনি বুঝতে পারবেন লেবুর কিছু ক্ষতিকর দিক এবং লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্র:লেবু কি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর - লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়- জানতে সবাই আগ্রহী। কারণ এই উপাদান গুলো কমবেশি সবার বাড়িতেই থাকে। তাই যে কোন সময় ত্বকে লেবু চিনি ব্যবহার করা যায়। এজন্য আমাদের লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানা প্রয়োজন। লেবু ও চিনি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকে। নিচে লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় তুলে ধরা হলো:
  • লেবু ও চিনির স্ক্রাব ব্যাবহার করবেন। লেবুর সাথে চিনি মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে মশ্চারাইজ করতে হবে। তাহলে মুখের সব ময়লা দূর হবে ও প্রাকৃতিকভাবে মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
  • দু চামচ লেবুর রস দু চামচ চিনি এক চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণটিকে গরম করুন। এরপর ঠান্ডা হলে মুখে মিশ্রণটি লাগিয়ে স্ক্রাব করতে থাকুন। তাহলে মুখের অবাঞ্ছিত লোমগুলো দূর হয়ে যাবে।
  • চিনি একটি দারুন স্ক্রাবিং উপাদান। চিনি দিয়ে মুখে স্ক্রাবিং করার ফলে মুখের অবাঞ্ছিত ময়লা দূর হয়, মুখের জেল্লা ফিরে আসে।
  • গ্রিন টি ও চিনির স্ক্রাবিং অনেক কার্যকরী। গ্রিন টিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আন্টি ইনফ্লেমেটরি। তাই গ্রিন টি ও চিনির স্ক্রাবিং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
  • দুটি লেবুর খোসার পেস্ট, আধা কাপ লেবুর রস, ৬ চামচ সুজি, ৬ চামচ হলুদের রস, ২ চামচ বাদামি চিনি, দুটি ডিমের সাদা অংশ, ২ চামচ জলপাইয়ের তেল এসব মিশিয়ে একটি বডি ক্লিনজার বানানো যায়। এই বডি ক্লিনজার ত্বকে ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে, ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এর ফলে ত্বকের মৃত কোষ সরে যাবে, ত্বকের বিভিন্ন স্থানের রঙের অসামঞ্জস্যতা দূর হবে, ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

লেবু কি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর?

আপনি যদি জানতে চান যে লেবু কি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর? তাহলে আমার উত্তর : হ্যাঁ, লেবু কি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। সরাসরি লেবু ব্যাবহার করা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। লেবু ত্বকে ব্যবহার না করে সৌন্দর্য চর্চায় সর্বোচ্চ উপকার পেতে হলে লেবু খেতে হবে। লেবু তে সাইট্রিক অ্যাসিড আছে, তাই যেকোনো ধরনের ত্বকে সরাসরি লেবু ব্যবহার করা উচিত নয়।

ত্বকের ধরন বুঝে লেবু ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে, মুখে বলিরেখা পড়তে পারে। অতি সংবেদনশীল তোকে লেবু ব্যবহার করতে হবে সতর্কতার সঙ্গে। না হলে অতি সংবেদনশীল ত্বকে লেবু ব্যবহারের ফলে চুলকানি দেখা দিতে পারে । সব ধরনের ত্বকের জন্য লেবু নয়। সংবেদনশীল এবং অতি সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী মানুষদের লেবু এড়িয়ে চলা উচিত।

খালি লেবু মুখে দিলে কি হয়?

খালি লেবু মুখে দিলে কি হয়? তা আমরা অনেকেই জানিনা। খালি লেবু মুখে দিলে ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতি হয়। খালি লেবু ব্যাবহার করা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। লেবু ত্বকে ব্যবহার না করে সৌন্দর্য চর্চায় সর্বোচ্চ উপকার পেতে হলে লেবু খেতে হবে। লেবু তে সাইট্রিক অ্যাসিড আছে, তাই যেকোনো ধরনের ত্বকে খালি লেবু ব্যবহার করা উচিত নয়। ত্বকের ধরন বুঝে লেবু ব্যবহার করতে হবে।

অন্যথায় ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে, মুখে বলিরেখা পড়তে পারে। অতি সংবেদনশীল তোকে লেবু ব্যবহার করতে হবে সতর্কতার সঙ্গে। না হলে অতি সংবেদনশীল ত্বকে লেবু ব্যবহারের ফলে চুলকানি দেখা দিতে পারে । সব ধরনের ত্বকের জন্য লেবু নয়। সংবেদনশীল এবং অতি সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী মানুষদের লেবু এড়িয়ে চলা উচিত।

মধু ও লেবুর রস মুখে দিলে কি হয়?

মধু ও লেবুর রস মুখে দিলে ত্বকের উপকার হয়, ত্বকের কোষ সজিব হয়। লেবু ও মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। লেবু মুখের তৈলাক্ত ভাব কমিয়ে আনে। প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের কালো দাগ কমাতে লেবু ও মধু ব্যবহার করা হয় ।

সম পরিমাণ লেবু রস ও মধু এসে মুখে ব্যবহার করতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে তাহলে মুখ তৎক্ষণাৎ উজ্জ্বল পরিষ্কার দেখাবে।সমপরিমাণ লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে ত্বকের যে জায়গায় ব্রণ হয়েছে সেখানে লাগিয়ে দিলে ব্রণ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।

শুধু লেবুর রস মুখে দিলে কি হয়?

শুধু লেবুর রস মুখে দিলে মুখের বিভিন্ন ক্ষতি হয়। শুধু লেবুর রস মুখে দিলে ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতি হয়। শুধু লেবুর রস ব্যাবহার করা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। লেবু ত্বকে ব্যবহার না করে সৌন্দর্য চর্চায় সর্বোচ্চ উপকার পেতে হলে লেবু খেতে হবে। লেবু তে সাইট্রিক অ্যাসিড আছে, তাই যেকোনো ধরনের ত্বকে শুধু লেবুর রস ব্যবহার করা উচিত নয়। ত্বকের ধরন বুঝে লেবু ব্যবহার করতে হবে।

অন্যথায় ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে, মুখে বলিরেখা পড়তে পারে। অতি সংবেদনশীল তোকে লেবু ব্যবহার করতে হবে সতর্কতার সঙ্গে। না হলে অতি সংবেদনশীল ত্বকে লেবু ব্যবহারের ফলে চুলকানি দেখা দিতে পারে । সব ধরনের ত্বকের জন্য লেবু নয়। সংবেদনশীল এবং অতি সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী মানুষদের লেবু এড়িয়ে চলা উচিত

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে লেবু

তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যায় অনেকই ভুগেন। তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন ঘরোয়া ভাবে নেওয়ায় ভালো। আর তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে লেবু অত্যন্ত কার্যকরী। লেবু তে রয়েছে ভিটামিন সি, আন্টি ব্যাকটেরিয়াল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বকের জন্য উপকারী। বিভিন্ন উপাদানের সাথে লেবু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে মুখের তৈলাক্ত ভাব কমে যায়। যেমন: লেবু মধু, লেবু হলুদ, লেবু চিনি ইত্যাদী।

লেবুর রস ও চিনি মুখে দিলে কি হয়?

লেবুর রস ও চিনি মুখে দিলে মুখের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। অনেকেই রূপচর্চায় লেবুর রস ও চিনি ব্যবহার করেন। নিচে লেবুর রস ও চিনি মুখে দিলে কি হয় সেসব তুলে ধরা হলো:
  • লেবু ও চিনির স্ক্রাব ব্যাবহার করবেন। লেবুর সাথে চিনি মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে মশ্চারাইজ করতে হবে। তাহলে মুখের সব ময়লা দূর হবে ও প্রাকৃতিকভাবে মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
  • দু চামচ লেবুর রস দু চামচ চিনি এক চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণটিকে গরম করুন। এরপর ঠান্ডা হলে মুখে মিশ্রণটি লাগিয়ে স্ক্রাব করতে থাকুন। তাহলে মুখের অবাঞ্ছিত লোমগুলো দূর হয়ে যাবে।
  • চিনি একটি দারুন স্ক্রাবিং উপাদান। চিনি দিয়ে মুখে স্ক্রাবিং করার ফলে মুখের অবাঞ্ছিত ময়লা দূর হয়, মুখের জেল্লা ফিরে আসে।
  • গ্রিন টি ও চিনির স্ক্রাবিং অনেক কার্যকরী। গ্রিন টিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আন্টি ইনফ্লেমেটরি। তাই গ্রিন টি ও চিনির স্ক্রাবিং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
  • দুটি লেবুর খোসার পেস্ট, আধা কাপ লেবুর রস, ৬ চামচ সুজি, ৬ চামচ হলুদের রস, ২ চামচ বাদামি চিনি, দুটি ডিমের সাদা অংশ, ২ চামচ জলপাইয়ের তেল এসব মিশিয়ে একটি বডি ক্লিনজার বানানো যায়। এই বডি ক্লিনজার ত্বকে ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে, ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এর ফলে ত্বকের মৃত কোষ সরে যাবে, ত্বকের বিভিন্ন স্থানের রঙের অসামঞ্জস্যতা দূর হবে, ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

মুখে মধু আর লেবুর রস দিলে কি হয়?

মুখে মধু আর লেবুর রস দিলে ত্বকের উপকার হয়, ত্বকের কোষ সজিব হয়। লেবু ও মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। লেবু মুখের তৈলাক্ত ভাব কমিয়ে আনে। প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের কালো দাগ কমাতে লেবু ও মধু ব্যবহার করা হয় ।

সম পরিমাণ লেবু রস ও মধু এসে মুখে ব্যবহার করতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে তাহলে মুখ তৎক্ষণাৎ উজ্জ্বল পরিষ্কার দেখাবে।সমপরিমাণ লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে ত্বকের যে জায়গায় ব্রণ হয়েছে সেখানে লাগিয়ে দিলে ব্রণ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়

লেবুর রস মুখে দিলে কি ক্ষতি হয়?

আপনি যদি জানতে চান যে লেবু কি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর? তাহলে আমার উত্তর : হ্যাঁ, লেবু কি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। সরাসরি লেবু ব্যাবহার করা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। লেবু ত্বকে ব্যবহার না করে সৌন্দর্য চর্চায় সর্বোচ্চ উপকার পেতে হলে লেবু খেতে হবে। লেবু তে সাইট্রিক অ্যাসিড আছে, তাই যেকোনো ধরনের ত্বকে সরাসরি লেবু ব্যবহার করা উচিত নয়।

ত্বকের ধরন বুঝে লেবু ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে, মুখে বলিরেখা পড়তে পারে। অতি সংবেদনশীল তোকে লেবু ব্যবহার করতে হবে সতর্কতার সঙ্গে। না হলে অতি সংবেদনশীল ত্বকে লেবু ব্যবহারের ফলে চুলকানি দেখা দিতে পারে । সব ধরনের ত্বকের জন্য লেবু নয়। সংবেদনশীল এবং অতি সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী মানুষদের লেবু এড়িয়ে চলা উচিত।

লেবুর রস মুখে দিলে কি উপকার হয়?

হ্যাঁ, লেবুর রস মুখে দিলে উপকার হয় তবে সেটি কোনো উপাদানের সাথে মিশিয়ে দিলে। শুধু লেবুর রস মুখে দিলে উপকার তো হয়না বরং ক্ষতি হয়। লেবুর রস কিছুর সাথে মিশিয়ে মুখে দেওয়া ভালো। যেমন:
  • লেবুর রস ও শসার ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে মুখের তৈলাক্ত ভাব কমে।
  • লেবুর রস ও দুধের ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বক কোমল ও মসৃণ হয়।
  • লেবুর রস, ডিম ও কুসুম গরম পানি একত্রে মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করলে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
  • লেবু ও মধুর ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে এবং ত্বককে ফর্সা করে। অর্থাৎ লেবুর রস মুখে দিলে উপকার হয়।

FAQ

প্রশ্ন: পানি খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়?
  • হ্যাঁ, পানি খেলে ত্বক ফর্সা হয়। তবে অবশ্যই নিয়ম মেনে স্বাস্থ্যকর পানি খেতে হবে।
প্রশ্ন: ত্বক ফর্সা করার উপায় কি?
  • ত্বক ফর্সা করার উপায় হচ্ছে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করা।
প্রশ্ন: কাঁচা হলুদ খেলে কি গায়ের রং ফর্সা হয়?
  • কাঁচা হলুদ খেলে গায়ের রং ফর্সা হওয়ায় সম্ভবনা কম । তবে হতে পারে।
প্রশ্ন: স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার ঔষধ?
  • স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার কোন ঔষধ নেই। সব কিছুই সাময়িক ভাবে আপনার ত্বকে পরিবর্তন আনবে।

শেষ কথাঃ লেবু কি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর - লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

গায়ের রঙ সৃষ্টিকর্তার দান। এই রঙ নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা উচিত নয় । তবুও আমরা গায়ের রং স্থায়ী ভাবে ফর্সা করতে মরিয়া হয়ে উঠি। লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় বিষয়ক আর্টিকেল টি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধু দের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url