এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম - এন্টাসিড সিরাপ এর কাজ
এতক্ষণ আপনারা জানলেন এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার নিয়ম - এন্টাসিড প্লাস এর কাজ এখন আমরা এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম - এন্টাসিড সিরাপ এর কাজ নিয়ে আলোচনা করবো। যারা এন্টাসিড ট্যাবলেট খেতে পারেন না তারা এন্টাসিড সিরাপ খেতে পারেন। চলুন আর দেরি না করে এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম - এন্টাসিড সিরাপ এর কাজ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্র:এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম - এন্টাসিড সিরাপ এর কাজ
এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার নিয়ম
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানের জন্য এন্টাসিড প্লাস খুবই জনপ্রিয় একটি ওষুধ। মূলত এন্টাসিড প্লাস নামক ঔষধ টি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড থেকে বাজারজাত করা হয়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাই অনেকে এন্টাসিড প্লাস ওষুধ খান। কিন্তু এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার নিয়ম মেনেই এন্টাসিড প্লাস খাওয়া উচিত। কারণ ব্যক্তি ও বয়স ভেদে ভিন্ন এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার পরিমাণ কম বেশি হয়।
এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার নিয়ম নিচে তুলে ধরা হলো:
- এন্টাসিড প্লাস খাবার খাওয়ার আধা ঘন্টা বা ১ ঘন্টা পর খেতে হয়। কারণ এই সময় এন্টাসিড প্লাস এটি খুব সহজে পেটের এসিড নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
- এন্টাসিড প্লাস দিনে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা পর শুধু তিনবার সেবন করা যায়। এর বেশি সেবন করা উচিত নয়।
- এন্টাসিড প্লাস ওষুধ সেবনের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
- ডাক্তারে পরামর্শ ব্যতীত দীর্ঘদিন যাবত এন্টাসিড প্লাস সেবন করা যাবে না।
এন্টাসিড প্লাস এর কাজ
অম্ল ও ক্ষারের বিক্রিয়ার ফলে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়। আমাদের দেহে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় পেটে অম্ল অর্থাৎ এসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে। গ্যাস্টিকের সমস্যা বৃদ্ধি পেলে আমরা এন্টাসিড প্লাস ঔষধ খাই।এন্টাসিড প্লাস ওষুধটি ক্ষার জাতীয়।এন্টাসিড প্লাস এর কাজ আমাদের পেটে জমে থাকা এসিড, বুদবুদ ইত্যাদি সাথে বিক্রিয়া করে আমাদের পেটের জ্বালাপোড়া প্রশমিত করা।
আরো পড়ুনঃ রিকেট রোগের লক্ষণ কি
এন্টাসিড প্লাস ঔষধের মূল উপাদান ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড ও অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড। আমাদের পেটে জ্বালাপোড়া ব্যথা অস্বস্তি হলে এন্টাসিড প্লাস খাই। এন্টাসিড প্লাসে থাকা সিমেথিকন আমাদের পেটের বুদবুদ ভেঙে ফেলে যার ফলে আমরা তাড়াতাড়ি স্বস্তি পাই। এন্টাসিড প্লাস এর কাজ আমাদের পেটের ভিতরে থাকা অতিরিক্ত গ্যাস দূর করা। এন্টাসিড প্লাস এর কাজ হল আমাদের পেটের ph এর মান বৃদ্ধি করা।
এন্টাসিড প্লাস আমাদের পাকস্থলীতে পৌঁছানোর পর দ্রবীভূত হয়ে ক্যাটায়ন গুলোকে মুক্ত করে। তারপর পাকস্থলী অতিরিক্ত এসিড গেম নিরপেক্ষ করে তুলে। আমরা বুকে জ্বালাপোড়া পেট ব্যথা হজমে সমস্যা ইত্যাদি হলে এন্টাসিড প্লাস ওষুধটি খাই। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন এন্টাসিড প্লাস এর কাজ কোন গুলো।
এন্টাসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
এন্টাসিড ট্যাবলেট গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমানোর জন্য খাওয়া হয়। তবে নিয়মে না খেলে সম্পূর্ণ উপকারিতা পাওয়া যায় না। তাই, এন্টাসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম জানতে হবে। এন্টাসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম জানলে আপনি সঠিক উপায়ে এন্টাসিড ট্যাবলেট খেতে পারবেন।
এন্টাসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম নিচে তুলে ধরা হলো:
- এন্টাসিড ট্যাবলেট চুষে না খেয়ে গিলে খেতে হবে।
- এন্টাসিড ট্যাবলেট খাবার খাওয়ার আধা ঘন্টা বা ১ ঘন্টা পর খেতে হয়। কারণ এই সময় এন্টাসিড প্লাস এটি খুব সহজে পেটের এসিড নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
- এন্টাসিড ট্যাবলেট দিনে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা পর শুধু তিনবার সেবন করা যায়। এর বেশি সেবন করা উচিত নয়।
- এন্টাসিড ট্যাবলেট ওষুধ সেবনের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
- ডাক্তারে পরামর্শ ব্যতীত দীর্ঘদিন যাবত এন্টাসিড ট্যাবলেট সেবন করা যাবে না।
এন্টাসিড ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয়?
এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার নিয়ম - এন্টাসিড প্লাস এর কাজ জানার পর আমরা এখন জানবো এন্টাসিড ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয়?অনেকেই অ্যান্টাসিড ট্যাবলেট গিলে খাবে নাকি চুষে খাবে এ বিভ্রান্তিতে ভুগে। এন্টাসিড ট্যাবলেট চুষে খাওয়া ঠিক নয়। যেকোনো ঔষধ খাওয়ার পর এর পরিপূর্ণ কার্যকারিতা পেতে হলে সঠিক নিয়মে ওষুধটি খেতে হবে।
এন্টাসিড ট্যাবলেট চুষে খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এন্টাসিড ট্যাবলেট চুষে খেলে এন্টাসিড ট্যাবলেট এর পরিপূর্ণ কার্যকারিতা পাওয়া যায় না। এন্টাসিড ট্যাবলেট চুষে খেলে এর উপাদান গুলো ভালো ভাবে শোষিত হয় না, যার ফলে পেটের জ্বালাপোড়া কমতে অনেক সময় লাগে।
আরো পড়ুনঃ চোরা জন্ডিসের লক্ষণ
এন্টাসিড ট্যাবলেট চুষে না খেয়ে গিলে খাওয়া ভালো। এতে ওই পরিপূর্ণ কার্যকারিতা পাওয়া যায় এবং উপাদান গুলো ভালোভাবে শোষিত হয়। এন্টাসিড ট্যাবলেট গিলে ট্যাবলেটটি আমাদের পেটে পৌঁছাতে কম সময় লাগে। যার ফলে পেটের জ্বালাপোড়া দ্রুত কমে যায়।
এন্টাসিড ট্যাবলেট এর কাজ
এন্টাসিড ট্যাবলেট এর মুল উপাদান অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড ও ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড। এ উপাদান গুলো ক্ষার জাতীয়। আমাদের পেটে অম্লত্বের ঘনত্ব বেড়ে গেলে এসিডিটি হয়। তখন আমরা এন্টাসিড ট্যাবলেট খাই। এন্টাসিড ট্যাবলেট এর কাজ এন্টাসিড ট্যাবলেটের ক্ষার পেটের এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে জ্বালাপোড়া প্রশমিত করে।
আজকের আর্টিকেলে এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার নিয়ম - এন্টাসিড প্লাস এর কাজ এর পাশাপাশি এন্টাসিড ট্যাবলেট এর কাজ নিয়েও আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে এন্টাসিড ট্যাবলেট এর কাজ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক :
- পেটের জ্বালাপোড়া প্রশমিত করে
- অতিরিক্ত গ্যাস থেকে বের হতে সহায়তা করে
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- বমি বমি ভাব দূর করে
- বদহজম রোধ করে
- পেপটিক আলসার প্রতিরোধ করে
- এসিডিটির কারণে সৃষ্ট পেট ব্যথা নিরাময় করে।
এন্টাসিড প্লাস কেন খাবেন?
ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড, অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড, সিমেথিকন এর সমন্বয়ে এন্টাসিড প্লাস তৈরি হয়। এন্টাসিড প্লাস কেন খাবেন? এই প্রশ্নের উত্তর হবে পেটে মূলত এসিডিটির সমস্যা দেখা দিলে এন্টাসিড প্লাস খাবেন। এছাড়াও এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার আরও কারণ আছে।
মানুষ তাদের সমস্যা অনুযায়ী ঔষধ খাই। অনেকেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে এন্টাসিড প্লাস খান। এন্টাসিড প্লাস কেন খাবেন এই বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হলো:
- এসিডিটির সমস্যা দেখা দিলে এন্টাসিড প্লাস খাবেন
- বুকে জ্বালাপোড়া করলে এন্টাসিড প্লাস খাবেন
- বমি বমি ভাব হলে এন্টাসিড প্লাস খাবেন
- বদহজম হলে এন্টাসিড প্লাস খাবেন
- আলসারের সমস্যা হলে এন্টাসিড প্লাস খাবেন
এন্টাসিড ট্যাবলেট কখন খেতে হয়?
অনেকেই বুঝতে পারেন না যে এন্টাসিড ট্যাবলেট কখন খেতে হয়? পেটে যখন অম্বল হয় তখন এন্টাসিড ট্যাবলেট খেতে হয়। অনেক সময় বিভিন্ন খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের এসিডিটির সমস্যা দেখা দেয় সমস্যা দেখা দেয়। তখন আমরা এন্টাসিড ট্যাবলেট খাই।
আরো গড়ুনঃ চোখ উঠলে করণীয় কি
বমি বমি ভাব হলে, পেট বা বুক জ্বালাপোড়া করলে, হজমে সমস্যা হলে এন্টাসিড ট্যাবলেট খেতে হয়। এন্টাসিড ট্যাবলেট কখন খেতে হয়? জানলে আপনি সঠিক নিয়মে এন্টাসিড ট্যাবলেট খেতে পারবেন। খাবার খাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা পর এন্টাসিড ট্যাবলেট খেতে হয়। তাহলে এন্টাসিড ট্যাবলেটের পরিপূর্ণ কার্যকারিতা পাওয়া যায়।
এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম - এন্টাসিড সিরাপ এর কাজ এই দুইটা বিষয়ের মধ্যে এখন আমরা এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানবো। এন্টাসিড প্লাস সিরাপ অথবা সাসপেনশন আকারেও পাওয়া যায়। এন্টাসিড প্লাস সাসপেনশনে গরম পানি মিশিয়ে সিরাপ তৈরি করতে হয়। এন্টাসিড প্লাস সিরাপ মূলত ছোট বাচ্চাদের জন্য। তাই এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম মেনে এন্টাসিড প্লাস সিরাপ সেবন করতে হবে।
এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে: রাতে খাবার খাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা পর বয়স অনুযায়ী এন্টাসিড প্লাস খেতে হবে। সর্বনিম্ন এক টেবিল চামচ এন্টাসিড প্লাস খেতে হয়। আশা রাখছি আপনি এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম বুঝতে পেরেছেন।
যারা হাইপোফসফেটেমিয়া রোগে আক্রান্ত তাদের এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়া যাবে না। এন্টাসিড প্লাস সিরাপে ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড ক্যালসিয়াম অক্সাইড থাকে। যার ফলে গর্ভাবস্থায় অথবা স্তন দান কালে এন্টাসিড প্লাস সিরাপ চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত সেবন করা যাবে না।
এন্টাসিড সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
এন্টাসিড প্লাস সিরাপ ও এন্টাসিড সিরাপের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। এন্টাসিড প্লাস সিরাপে অতিরিক্ত কিছু উপাদান থাকে। তবে এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম আর এন্টাসিড সিরাপ খাওয়ার নিয়ম একই।
এন্টাসিড সিরাপ সাসপেনশন আকারেও পাওয়া যায়। এন্টাসিড সাসপেনশনে গরম পানি মিশিয়ে সিরাপ তৈরি করতে হয়। এন্টাসিড সিরাপ মূলত ছোট বাচ্চাদের জন্য। তাই এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম মেনে এন্টাসিড প্লাস সিরাপ সেবন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
এন্টাসিড সিরাপ খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে: রাতে খাবার খাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা পর বয়স অনুযায়ী এন্টাসিড প্লাস খেতে হবে। সর্বনিম্ন এক টেবিল চামচ এন্টাসিড প্লাস খেতে হয়। আশা রাখছি আপনি এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম বুঝতে পেরেছেন।
এন্টাসিড ট্যাবলেট এর উপকারিতা
এন্টাসিড ট্যাবলেট হচ্ছে একটি নন সিস্টেমেটিক নাশক। আমাদের অন্ত্র ও পাকস্থলীর মিউকোসার উপর অক্সিকোন তৈরি করতে এন্টাসিড ট্যাবলেট সহায়তা করে। তাই এন্টাসিড ট্যাবলেট এর উপকারিতা অনেক। এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম - এন্টাসিড সিরাপ এর কাজ জানার পাশাপাশি এন্টাসিড ট্যাবলেট এর উপকারিতা জরুরি।
এন্টাসিড ট্যাবলেট আমাদের পেটের অতিরিক্ত অম্লকে প্রশমিত করে বুকের জ্বালাপোড়া কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে উপকারী ভূমিকা পালন করে। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম সমৃদ্ধ এন্টাসিড গুলো বেশি উপকারী, তাই বর্তমানে এগুলোই বাজারজাত করা হয়। চলুন এন্টাসিড ট্যাবলেট এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
- এন্টাসিড ট্যাবলেট বদ হজম রোধ করে।
- স্টেস আলসারেশন কমাতে সাহায্য করে।
- পেকটিক আনসার নিরাময়ে সাহায্য করে ।
- অপারেটিভ গ্যাসের কারণে যে পেট ব্যাথা হয়, তা কমাতে সাহায্য করে।
- দ্রুত এসিডিটি উপশম করে
- তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী অন্ত্রের প্রদাহ দূর করে।
- জিআই রক্তপাত রোধ করে।
- গ্যাস্ট্রিক হাইপার এসিটিডিটি হলে তা কমাতে সাহায্য করে।
- খাদ্যনালির প্রদাহ হলে সেটা দূর করুন।
- পাকস্থলী ও ডিওডেনাল আলসার দূর করে।
- গ্যাসের কারণে সৃষ্ট অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।
এন্টাসিড প্লাস এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এন্টাসিড প্লাস ওষুধের মূল উপাদান ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড, অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড, সিমেথিকন। এই উপাদান গুলোর সমন্বয়ে এন্টাসিড প্লাস তৈরি হয়। এন্টাসিড প্লাস এর মূল কাজ আমাদের এসিডিটির সমস্যা দূর করা। তবে, এন্টাসিড প্লাস এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। ডক্টরের পরামর্শ ব্যতীত অথবা বেশি পরিমাণ এন্টাসিড প্লাস সেবন করলে এন্টাসিড প্লাস এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর নিয়ম
এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম - এন্টাসিড সিরাপ এর কাজ জানার সাথে সাথে আমাদের এন্টাসিড প্লাস এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও জানতে হবে। এন্টাসিড প্লাস এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো:
- বমি হতে পারে ।
- মাথা ব্যাথা হতে পারে।
- ডায়রিয়া হতে পারে ।
- পেট ফুলতে পারে ।
- কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
- এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়।
অ্যালুমিনিয়ামের বিষাক্ততা: যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার পর এতে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের কারণে তাদের হাড় ব্যথা, ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
ম্যাগনেসিয়ামের বিষাক্ততা: যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার পর এতে থাকা ম্যাগনেসিয়ামের কারণে তাদের বমি, দুর্বলতা, মাথা ব্যথা হতে পারে।
এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার পর উপরোক্ত সমস্যা গুলো দেখা দিলে আপনার ডাক্তারের স্বরাপর্ণ হওয়া উচিত।
এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার বয়স
এন্টাসিড প্লাস ওষুধের মূল উপাদান ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড, অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড, সিমেথিকন। এন্টাসিড ট্যাবলেট হচ্ছে একটি নন সিস্টেমেটিক নাশক। তাই এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার বয়স রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট বয়স হলে তবেই এন্টাসিড প্লাস খাওয়া যাবে। এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার বয়স সীমা নিম্নরূপ:
- সর্বনিম্ন ১২ বছর বয়সের শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সকল মানুষ এন্টাসিড প্লাস খেতে পারবে। ১২ বছরের নিচের শিশুদের ক্ষেত্রে এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- এন্টাসিড প্লাস সিরাপের দাম:
- অনেকেই এন্টাসিড প্লাস সিরাপের দাম জানতে চান। এন্টাসিড প্লাস সিরাপ ২০০ml বোতলে বাজারজাত করা হয়। তাই এন্টাসিড প্লাস সিরাপের দাম খুব বেশি নয়। এন্টাসিড প্লাস স্কয়ার গ্রুপের একটি পণ্য।
- অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড + ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড (১৭৫mg+ ২২৫ mg)/ ৫ ml এন্টাসিড প্লাস সিরাপের দাম প্রায় ৯০ -১০০ টাকা। বিভিন্ন জায়গায় বাজারজাতকরণের উপর নির্ভর করে এর দাম কম বেশি হতে পারে।
এন্টাসিড সিরাপ কখন খেতে হয়?
আপনি যদি না জানেন যে এন্টাসিড সিরাপ কখন খেতে হয়? তাহলে আপনি এ প্রশ্নের উত্তরটি আজকে আর্টিকেলে পেয়ে যাবেন। পেটে যখন অম্বল হয় তখন এন্টাসিড সিরাপ খেতে হয়। বাচ্চারা এন্টাসিড ট্যাবলেট খেতে পারে না তাই এন্টাসিড সিরাপ মূলত বাচ্চাদের জন্য। অনেক সময় বিভিন্ন খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের এসিডিটির সমস্যা দেখা দেয় সমস্যা দেখা দেয়।
বমি বমি ভাব হলে, পেট বা বুক জ্বালাপোড়া করলে, হজমে সমস্যা হলে এন্টাসিড সিরাপ খেতে হয়। এন্টাসিড সিরাপ কখন খেতে হয়? জানলে আপনি সঠিক নিয়মে এন্টাসিড সিরাপ খেতে পারবেন অর্থাৎ বাচ্চাদের খাওয়াতে পারবেন। খাবার খাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা পর এন্টাসিড সিরাপ খেতে হয়। তবে বিশেষ করে রাতের খাবার খাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা পর এন্টাসিড সিরাপ খেতে হয়। তাহলে এন্টাসিড সিরাপের পরিপূর্ণ কার্যকারিতা পাওয়া যায়।
শেষ কথাঃ এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম - এন্টাসিড সিরাপ এর কাজ
এন্টাসিড সিরাপ শিশুদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। তাই এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম - এন্টাসিড সিরাপ এর কাজ জানা অতীব জরুরী। এই বিষয়টি মাথায় রেখে এই আর্টিকেলে এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম - এন্টাসিড সিরাপ এর কাজ তুলে ধরা হয়েছে।আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন কমপক্ষে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত
এই আর্টিকেল পড়ার পর আপনি উপকৃত হলে অবশ্যই বন্ধু দের সাথে আর্টিকেল টি শেয়ার করে তাদের এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম - এন্টাসিড সিরাপ এর কাজ জানার সুযোগ করে দিবেন। ধন্যবাদ, এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার নিয়ম - এন্টাসিড প্লাস এর কাজ বিষয় গাড়ি খেলতে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url