আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় ২০২৪

চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোগ নির্ণয়ের জন্যে অতিপরিচিত একটি পরিক্ষা হচ্ছে আল্ট্রাসনোগ্রাম। মানবদেহের প্রায় সকল অঙ্গেরই আল্ট্রাসনোগ্রাম করা যায়। তবে গর্ভবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয় মুলত গর্ভের সন্তানের বয়স, ওজন, পজিশন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে। কিন্তু আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে অনেক ক্ষেত্রে আমরা তো কিছুই বুঝতে পারি না।
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় ২০২৪
এছাড়া আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট লাইন বাই লাইন ধরে কেউ বুঝিয়ে বলবে না। তো আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদেরকে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় লাইন বাই লাইন ধরে বুঝিয়ে দিবাে। এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনি নিজেই আপনার আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট পড়তে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
পোস্ট সূচিপত্র:আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় ২০২৪

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায়

আলট্রাসনো গর্ভবতীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা এই রিপোর্টটিতে লেখা থাকে গর্ভের বাচ্চাটি ও গর্ভবতীর শারীরিক অবস্থা কেমন চলছে। কিন্তু অনেকে আল্ট্রাসনো রিপোর্টের পুরো অর্থ বোঝেন না। তাই আজকের আর্টিকেলটিতে আল্ট্রাসনো রিপোর্টের সকল বিষয় তুলে ধরবো। মনোযোগ সহকারে পড়ুন, আশা করি উপকৃত হবেন।
  • Number of Fetus: এখানে fetus মানে বোন বা গর্ভস্থ শিশু। এখানে single, twin বা multiple লেখা থাকতে পারে বা সংখ্যা 1, 2, 3 থাকতে পারে। যত সংখ্যা থাকবে, তার মানে আপনার গর্ভে ততটি সন্তান বড় হচ্ছে।
  • Cardiac Activity: এটা দ্বারা শিশুর হৃদস্পন্দনের পরিমাণ বোঝায়। এখানে হয়তো লেখা থাকবে 150 BP। এর মানে শিশুর হৃদস্পন্দন মিনিটে ১৫০ বার।
  • Amniotic Fluid Index: এই লেখা দ্বারা গর্ভে পানির পরিমাণ কতটুকু আছে তা বোঝায়। এখানে হয়তো লেখা থাকে adequate মানে পানির পরিমাণ ঠিক আছে বা inadequate মানে পানির পরিমাণ কম আছে। আবার সংখ্যাও থাকতে পারে। সংখ্যা ৫-২৫ থাকলে স্বাভাবিক ধরা হয়।
  • Gestational Age: আপনার কত সপ্তাহ গর্ভকাল চলছে বোঝা যাবে।
  • EDD(Estimated Due Date): আপনার সম্ভাব্য ডেলিভারির তারিখ কবে হবে, সেরকম একটা তারিখে এখানে থাকবে।
  • Presentation: আপনার শিশু কোন অবস্থানে, সেটা এর দ্বারা বোঝা যাবে। এখানে লেখা থাকতে পারে, cephalic presentation এর মানে আপনার শিশুর মাথা নিচে ও পা উপরে আছে। আবার breech presentation লেখা থাকতে পারে, এর মানে শিশুটির মাথার উপরে এবং পা নিচে।
  • Placenta: এখানে Grade 0, Grade 01, Grade 02, Grade 03, থাকবে। এগুলা দ্বারা বোঝায় আপনার প্লাসেন্টা বা অমরা কতটুকু পরিপক্ক হয়েছে। সময় যত বাড়বে, এই Grade সংখ্যাও বেশি হবে।
আরো অনেক বিষয় থাকতে পারে, তবে এগুলা পড়ে আপনি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায় অনেকটাই জেনে গেছেন।

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় ২০২৪

গর্ভবতী নারীদের সবথেকে বেশি আগ্রহ থাকে যে বিষয়টি নিয়ে তা হলো গর্ভের সন্তানটি ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে। এই বিষয়টি নিয়ে জল্পনা কল্পনার কোন শেষ থাকে না। গর্ভকালীন বয়স যত বাড়তে থাকে ততই গর্ভবতী নারীদের এই বিষয়টি জানার আগ্রহ বাড়তে থাকে।

কাজেই গর্ভবতী নারীরা বিভিন্ন ভাবে তাদের গর্ভে ছেলে সন্তান রয়েছে না মেয়ে সন্তান রয়েছে। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় জানার সর্বোত্তম মাধ্যম হচ্ছে আলট্রাসনোগ্রাফি। তবে আল্ট্রাসনের মাধ্যমে ছেলে না মেয়ে হবে তা জানার জন্য ২০ থেকে ২২ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়।কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় ডাক্তারগন বলতে চান না আপনার গর্ভে ছেলে সন্তান রয়েছে না মেয়ে সন্তান রয়েছে।
পুরো গর্ভাবস্থায় জুড়ে আপনাকে তিন থেকে চারটি আল্ট্রাসাউন্ড করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে তবে ২০ সপ্তাহের আগে আপনি যেসব আল্টাসাউন্ড করবেন সেগুলোর মাধ্যমে গর্ভে সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জানতে পারবেন না। কারণ সে সময় সন্তানের লিঙ্গ ভালোভাবে বিকাশিত হয় না। ২০ সপ্তাহ পর আলটাসাউন্ড করলে খুব সহজেই সনাক্ত করা যাবে আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে।

অনেকেই মনে করে থাকে গর্ভের বাচ্চার হার্টবিট যদি প্রতি মিনিটে ১৪০ বিটের মধ্যে থাকে তাহলে গর্ভের সন্তানটি ছেলে। তবে গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে প্রায় প্রতিটি বাচ্চারই হার্টবিট বেশি থাকে। দুই তিনটি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট এনালাইসিস করে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার গর্ভের সন্তানটি ছেলে নাকি মেয়ে হতে চলেছে।

গর্ভের সন্তান ছেলে আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট বোঝার উপায়

কোনো নারীর গর্ভে সন্তান আসার পর গর্ভের সন্তান সম্পর্কে জানার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়ে থাকে। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে গর্ভে থাকা সন্তানের অবস্থা, শারীরিক গঠন, লিঙ্গ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। মায়ের গর্ভে বেড়ে উঠতে থাকা সন্তানের স্বাস্থের খেয়াল রাখার ক্ষেত্রে আল্ট্রাসনোগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আমরা অনেকেই আছি যারা আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বুঝতে পারি না। যদিওবা ডাক্তার আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে গর্ভের সন্তানের সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আমাদেরকে জানিয়ে থাকেন। কিন্তু তারপরেও আমাদের মনের মধ্যে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট টা নিজে নিজেই বুঝার কৌতুহল জাগে। আপনারা যারা আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তারা নিচে দেওয়া নিয়মগুলো ভালোভাবে অনুসরণ করুন। তাহলে আপনি নিজেই আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে বুঝতে পারবেন।
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে চিহ্ন
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট মেয়ে চিহ্ন
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বুঝতে হলে আপনাকে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট এর কিছু তথ্য দ্বারা কি বুঝানো হয়ে তা জানতে হবে। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো উল্লেখ করা থাকে-
  • Fetal Number: এই নাম্বার দ্বারা গর্ভে থাকা ভ্রুনের সংখ্যা নির্দেশ করা হয়। অর্থাৎ গর্ভে একটি সন্তান আছে নাকি দুইটি বা যমজ সন্তান আছে তা জানতে পাওয়া যায়।
  • Fetal Position: আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট এর এই অংশটি গর্ভে থাকা ভ্রুনের অবস্থান নির্দেশ করে থাকে।
  • Fetal Heart Rate: আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট এর এই অংশে থাকা সংখ্যার দ্বারা প্রতি মিনিটে ভ্রুনের অর্থাৎ গর্ভের সন্তানের হৃদস্পন্দন কত তা জানা যায়।
  • Amniotic Fluid Index: এর দ্বারা গর্ভের তরল এর সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সেই তরল যেখানে ভ্রুন ভাসমান অবস্থায় থাকবে। গর্ভের তরল এর স্বাভাবিক মাত্রা হলো 5cm থেকে 25cm এর মধ্যে।
  • Placenta: গর্ভে থাকা শিশুর শরীরে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে। শিশুর শরীরের রক্ত থেকে বর্জ পদার্থ বের করতেও এই অংশটি সাহায্য করে থাকে। গর্ভের এই অঙ্গটি জরায়ুতে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই অঙ্গটি পরবর্তীতে শিশুর নাভির উদ্ভভ করে থাকে।
  • Fetal Anatomic Survey: আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট এর এই অংশের দ্বারা ভ্রুণের অর্থাৎ গর্ভে বেড়ে উঠা সন্তানের শরীরে হার্ট, কিডনি, পাকস্থলি স্পাইন ইত্যাদি সঠিকভাবে তোইরি হয়েছে কিনা তা জানতে পারা যায়।
  • Gestational Age(GA): GA এর দ্বারা কতদিন যাবত গর্ভধারণ করা হয়েছে তা জানা যায়। মূলত গর্ভধারণকারীর শেষ মাসিক এর প্রথম দিন থেকে হিসাব শুরু করা হয়ে থাকে।
  • Biparietal Diameter(BPD): BPD দ্বারা ভ্রুণের অর্থাৎ গর্ভের সন্তানের ব্যাস নির্দেশ করা হয়।
  • Head Circumference(HC): HC দ্বারা গর্ভের সন্তানের মাথার পরিধি নির্দেশ করা হয়।
  • Abdominal Circumference(AC): AC দ্বারা সন্তানের পেটের পরিধি নির্দেশ করা হয়।
  • Femur Length(FL): FL দ্বারা গর্ভের সন্তানের বর্তমানের মোট দৈর্ঘ্য জানতে পারা যায়।
উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো যেকোনো আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে উল্লেখিত থাকে। তবে হাসপাতাল ও চিকিৎসার ধরণ অনুযায়ী এই রিপোর্টে অতিরিক্ত কিছু তথ্য যুক্ত হতে পারে। যেকোনো রিপোর্ট দেখে চিকিৎসা গ্রহণ করার পূর্বে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারকে দিয়ে দেখিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সহজ ঘরোয়া পরীক্ষায় জেনে নিন

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় সম্পর্কে ইতিমধ্যে জেনেছি। এখন জানবো গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সহজ ঘরোয়া পরীক্ষায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক:
  • পেট বেশি উঁচু হলে অনেকে নিশ্চিত থাকেন যে, মেয়ে হবে। আমরা বলছি না, তাদের ধারণা মিথ্যা। তবে এই ধারণা ভুলও হতে পারে। এটা মনে রাখা ভালো যে, পেট বেশি উঁচু হওয়ার আরেকটি কারণ রয়েছে। ভালো শারীরিক গঠনের যেসব নারী প্রথমবার মা হতে যাচ্ছেন তাদের পেট বেশি উঁচু হতে পারে।
  • মর্নিং সিকনেস বেশি হয় মেয়ে হলে। অর্থাৎ বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরার মতো সমস্যা দেখা দেয়। আর ছেলে হলে সাধারণত হবু মায়ের মধ্যে এরকম কোনও সমসম্যাই থাকে না।
  • ছেলে হলে সাধারণত বাম দিক ফিরেই শুতে পছন্দ করে গর্ভবতী নারীরা। আর মেয়ে হলে ডান দিক ফিরে শুতে নাকি বেশি ভালো লাগে।
  • প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তানের হৃদস্পন্দন হার যত বেশি হবে, মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।
  • ঝাল বা টক খেতে ইচ্ছে করে তাহলে ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কত মাসে আল্ট্রা করলে ছেলে মেয়ে বোঝা যায়

গর্ভবস্থায় আমরা যে আল্ট্রাসনোগ্রামটা করি সেটি আসলে কিন্তু ছেলে বা মেয়ে জানার জন্য করা হয় না। তারপরও অনেকেই জানতে চাই এই বিষয়টি। সাধারনত লিঙ্গ, চোখের মণির রং, চুলের রঙের মতো কিছু বৈশিষ্ঠ্য তখনই নির্ধানরণ হয়ে যায়। শিশুর যৌনাঙ্গ অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ১১ সপ্তাহের মাথায় তৈরি হওয়া শুরু হয়। ১৮-২২ সপ্তাহের মধ্যে অ্যানোম্যালি স্ক্যান (লেভেল-২ আল্ট্রা সাউন্ড) করে থাকে।
যার ফলে গর্ভের সন্তানের জন্মগত ত্রুটি আছে কিনা সেটি বোঝা যায়। এই সময় বাচ্চার শরীরের সমস্ত কিছু প্রকাশ পায়। এবং এই সময় আল্ট্রাসনোগ্রাফি করলে ছেলে মেয়ে বোঝা যায়।

আল্ট্রাসনোগ্রাফি খরচ কত ২০২৪

হাসপাতাল অথবা ক্লিনিক ভেদে আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষার খরচ আলাদা হতে পারে তবে সাধারণত সাদা কালো 2D আলট্রাসনোগ্রামের ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ ৮০০ থেকে ২৫০০ পর্যন্ত হতে পারে। সব থেকে বড় কথা ভিন্ন ভিন্ন আলট্রাসনোগ্রামের খরচ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, চলুন দেখে নেওয়া যাক ভিন্ন ভিন্ন আলট্রাসনোগ্রামের খরচ সম্পর্কে।

Test Name

Test Price

USG W/A

1200 Taka

USG W/A/KUB/PVR

1700 Taka

USG TVS

1500 Taka

USG Penis/Testes/Scortum

1800 Taka

Anomaly Scan With Doppler

2300 Taka

AVBS Single Breast With Ultrasound

2500 Taka

USG/Brest

1500 Taka

শেষ কথাঃ আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় ২০২৪

আর্টিকেলটিতে গর্ভাবস্থায় আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরণের তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেল সম্পর্কিত কোনো তথ্য বা মতামত জানতে বা জানাতে নিচে কমেন্ট করুন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন এবং তাদেরকেও আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় সম্পর্কে জানতে সাহায্য করুন।
বিঃদ্রঃ এগুলো সবই প্রচলিত ধারণা। আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url