কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি - কুয়েত ভিসা খরচ কত

আপনি কি, কাজের জন্য কুয়েত যেতে যাচ্ছেন? আপনি যদি কাজের জন্য কুয়েত যেতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ, কুয়েত কাজের জন্য যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে জানতে হবে কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কুয়েত ভিসা খরচ কত।
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি - কুয়েত ভিসা খরচ কত
তাই আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করব কুয়েত ভিসা খরচ এবং কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে। আপনি যদি কুয়েত যেতে আগ্রহী হয়ে থাকেন এবং এই সকল কাজ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র:কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি - কুয়েত ভিসা খরচ কত

কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে

কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে, যারা কুয়েতে যেতে আগ্রহী তাদের সকলের একই প্রশ্ন। কুয়েতে যেতে কত বছর লাগবে সেটা নির্ভর করছে আপনি কোন ভিসা কুয়েতে যাবেন তার ওপর। বিভিন্ন রকম ভিসাই কুয়েতে যাওয়া যায়। যেমন: স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, বা ওয়ার্ক ভিসা। প্রতিটি ভিসায় আলাদা আলাদা বয়সের অনুমোদন রয়েছে।
কুয়েতে যেতে হলে আপনাকে স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় যেতে হবে। টুরিস্ট ভিসাই কুয়েতে যাওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট বয়স সীমা নেই। যেকোনো বয়সে টুরিস্ট ভিসায় কুয়েতে যাওয়া যাবে। তবে যারা কাজের জন্য কুয়েতে যেতে আগ্রহী তাদের মনে প্রশ্ন জাগে কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে.

আপনি যদি কাজের জন্য যেতে চান তাহলে আপনাকে নির্দিষ্ট বয়স সীমার মধ্যেই কুয়েত ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এ বয়স সীমার নিচে বা উপরে আবেদন করলে আপনি ভিসা পাবেন না। কাজের জন্য কুয়েতে যেতে চাইলে আপনাকে ২১ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যেই ভিসার আবেদন করতে হবে। অর্থাৎ কাজের জন্য কুয়েতে যেতে ২১-৩৫ বছর বয়স লাগে।

কুয়েত যেতে কি কি লাগে

যারা কুয়েতে যেতে চান তাদের সবার সাধারন একটি প্রশ্ন যে কুয়েত যেতে কি কি লাগে, আমারা যেকোনো জায়গায় যাওয়ার আগে অবশ্যই একটি প্রস্তুতি গ্রহণ করি। তেমনি কুয়েতে যাওয়ার আগে আমাদের কিছু প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

বর্তমানে এক রাষ্ট্র থেকে অন্য রাষ্ট্রে যেতে অনেক কাগজ পত্রের প্রয়োজন হয়। কুয়েতে যেতে হলেও আপনার নির্দিষ্ট কিছু কাগজ পত্রের প্রয়োজন হবে। কুয়েতে যেতে কি কি লাগে - এই প্রশ্নের উত্তর আপনি আজ পেয়ে যাবেন। নিচে কুয়েত যেতে কি কি লাগে তুলে ধরা হলো:
  • একটি পাসপোর্ট, যার মেয়াদ অন্তত ৬ মাস রয়েছে
  • একটি ভিসা, যার মেয়াদ অন্তত ৬ মাস রয়েছে
  • মেডিকেল রিপোর্ট
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • বর্তমানে করোনা ভ্যাকসিনের টিকা সনদ
  • কুয়েত জব অফার লেটার।

কুয়েত ভিসা খরচ কত

যারা বৈধভাবে তারা সকলে কুয়েত ভিসা খরচ কত, জানতে চান। ভিসা খরচ কত তা নির্ভর করবে আপনি কোন ভিসা নিয়ে কইতে যাচ্ছেন। কুয়েত বাংলাদেশের স্বাগত তিন ধরনের ভিসা ফরমেট দিয়েছে।
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
  • স্টুডেন্ট অথবা স্টাডি ভিসা
  • টুরিস্ট ভিসা
বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ কুয়েতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যান। আর আমাদের আজকের আর্টিকেলটি কুয়েতে কাজ করা সম্পর্কিত। তাই আমি আজ আপনাদের জানাবো যে কুয়েত ভিসা খরচ কত, বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসাতে কুয়েতে গেলে আপনার খরচ হবে প্রায় ৫ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা।
তবে সাবধান থাকবেন আপনি যেন দালালের খপ্পরে না পড়েন। দালাল আপনাকে ভিসার টাকা কমিয়ে দেওয়ার লোভ দেখাবে কিন্তু এর ফলে আপনি পরবর্তীতে বিভিন্ন জটিলতায় ভুগবেন। অর্থাৎ কুয়েত ভিসা খরচ প্রায় ৫ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা।

কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি

কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি, কম বেশি আমাদের সকলের মনের প্রশ্ন। জীবন ও জীবিকার তাগিদে অনেকে বিভিন্ন রকম কাজ করেন। সকল মানুষ সব ধরনের কাজ করতে সক্ষম নয়। কেউ সম্মানীয় কাজ করে আবার আমার কেউ সমাজে মানুষের চোখে ছোট কাজ করে। তবে কোন কাজই ছোট বা বড় নয়।

অনেক মানুষ রয়েছে যারা কুয়েতে কাজ করতে যান বা যেতে চান। তবে তারা জানেন না যে কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি, এই অজ্ঞতার কারণে তাদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। কুয়েতে বিভিন্ন রকম কাজ হয়েছে। যে যে কাজে পারদর্শী সে সে কাজ করে জীবন পরিবাহিত করে। তবে কিছু কিছু কাজ রয়েছে যেগুলোর চাহিদা বেশি।

আপনাদের সুবিধার্থে ও আপনাদের যেন কোনরকম সমস্যায় পড়তে না হয় সেজন্য আমি আজ কুয়েতে কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি, তুলে ধরবো। নিচে কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা তুলে ধরা হলো:
  • মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ
  • ইলেকট্রনিক্স এর কাজ
  • কনস্ট্রাকশনের কাজ
  • ড্রাইভিং এর কাজ
  • রোড ক্লিনার এর কাজ
  • অফিস ক্লিনারের কাজ
  • মেডিকেল ক্লিনারের এর কাজ
  • ওয়েল্ডিং এর কাজ
  • রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ
  • শপিংমলে কাজ

কুয়েত কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় কি

কুয়েত শিল্পোন্নত একটি দেশ। কুয়েতের টাকার মান অনেক বেশি। তাই বেশি অর্থ লাভের আশায় অনেক বাংলাদেশী কুয়েতে কাজের জন্যে যেতে চাই। তবে তারা সঠিকভাবে জানে না যে কুয়েত কাজের ভিসা পাওয়ার, জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু ধাপ অবলম্বন করতে হবে। কুয়েত কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় না জানার কারণে অনেকে দালালের খপ্পরে পড়ে।
পরবর্তীতে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। তাই, আপনাদের সুবিধার জন্য আজ আমি কুয়েত ভিসা পাওয়ার উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। পাওয়ার জন্য আপনাকে যা যা করতে হবে তা নিচে তুলে ধরা হলো:
  • কুয়েতে কাজের সন্ধান: এখন দেশে বসে অনলাইনের মাধ্যমে কুয়েতে কাজের সন্ধান করা যায়। আপনাকে কইতে যাওয়ার আগে কোন কাজ করবেন সে কাজের সন্ধান করতে হবে।
  • কোম্পানি হতে জব লেটার সংগ্রহ: কুয়েতে যাওয়ার আগে ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে কুয়েতের একটি কোম্পানি থেকে জব লেটার সংগ্রহ করতে হবে।
  • মেডিকেল রিপোর্ট: আপনাকে অল বডি চেকআপ করতে হবে। এরপর মেডিকেল ক্লিয়ারেন্স এর একটি রিপোর্ট নিতে হবে।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট: আপনাকে প্রশাসন থেকে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে হবে। আপনার উপর কোন কেস নেই বা আপনি কোন কেসের আসামি নন এরকম একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে হবে।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বলতে বোঝানো হয়েছে ভোটার আইডি কার্ড, বিভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, বা বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।
  • ভিসা ও পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন: কুয়েতে যাওয়ার ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে কুয়েতে যাওয়ার একটি শক্ত কারণ তুলে ধরতে হবে। যেমন: কুয়েত কোম্পানি হতে জব লেটার। অন্যথায় আপনি কুয়েত কাজের জন্য ভিসা পাবেন না।
উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করলে আপনি কুয়েত কাজের ভিসা পাবেন।

শ্রমিক হিসেবে সরকারি ভাবে কুয়েত যাওয়ার উপায়

শ্রমিক হিসেবে সরকারি ভাবে কুয়েত যাওয়ার উপায় জানতে হলে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড(বোয়োসেল) এর বিভিন্ন নোটিশে নজর রাখতে হবে। বোয়োসেল কুয়েতে সরকারি শ্রমিক নিবে কিনা এই নোটিশ প্রকাশ করে। বিভিন্ন সময়ে কুয়েত সরকার সরকারিভাবে শ্রমিক নেয় এবং শ্রমিক নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় বোয়োসেল এর মাধ্যমে।
শ্রমিক হিসেবে সরকারি ভাবে কুয়েত যাওয়ার উপায় রয়েছে। আপনি যদি শ্রমিক হিসেবে সরকারিভাবে কুয়েতে চান তাহলে আপনাকে বিভিন্ন যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। একই সাথে বোয়োসেল কৃতক নির্ধারিত বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে হবে। তাহলে আপনি শ্রমিক হিসেবে সরকারিভাবে কুয়েতে যেতে পারবেন। শ্রমিক হিসেবে সরকারি ভাবে জন্য আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে। আশা করছি আপনি শ্রমিক হিসেবে সরকারি ভাবে কুয়েত যাওয়ার উপায় জানতে পেরেছেন।

বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত সময় লাগে

বাংলাদেশ থেকে কুয়েত বিমানের মাধ্যমে যাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের দূরত্ব ৪২৮৬ কিলোমিটার। যারা বাংলাদেশ থেকে পড়িতে যেতে চান তারা অনেক সময় প্রশ্ন করেন যে বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত সময় লাগে, বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে দুই ধরনের ফ্লাইটে যাওয়া যায়। ফ্লাইটের ধরনের ওপর আপনার কত সময় লাগবে সেটি নির্ভর করছে।

বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে দুই ধরনের ফ্লাইট রয়েছে সেগুলো হলো: ওয়ান স্টপ ফ্লাইট এবং ননস্টপ ফ্লাইট। নন স্টপ ফ্লাইটে কুয়েতে গেলে বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে আপনার সময় লাগবে প্রায় ১২ ঘন্টা। আমার ননস্টপ ফ্লাইটে কুয়েতে গেলে বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে আপনার সময় লাগবে প্রায় ৬ ঘন্টা।

FAQs

বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের দূরত্ব কত?
  • উত্তর: বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের দূরত্ব প্রায় 4,286 কিলোমিটার বা 2,292 মাইল।
কুয়েতে গেলেই কি অনেক টাকার মালিক হওয়া যায়?
  • উত্তর: না, আপনি যদি ভেবে থাকেন যে কুয়েতে গেলেই আপনি অনেক টাকা মালিক হয়ে যাবেন তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। আপনাকে কুয়েতে যেয়ে অনেক পরিশ্রম করতে হবে তাহলে আপনি অনেক টাকার মালিক হবেন।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের বিমান ভাড়া কত?
  • উত্তর: বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের বিমান ভাড়া সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা।
প্রশ্ন: কুয়েতি ১ দিনার সমান বাংলাদেশি কত টাকা?
  • উত্তর: বর্তমানে কুয়েতি এক দিনার সমান বাংলাদেশি ৩৫২.৭০ টাকা।
প্রশ্ন: কুয়েতের আয়তন কত?
  • উত্তর: কুয়েতের আয়তন ১৭,৮১৮ বর্গ কিলোমিটার।

লেখকের শেষ কথাঃ কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

কুয়েতে প্রতিনিয়ত নতুন কোম্পানি গড়ে উঠেছে। কোম্পানি গড়ে উঠলেও কোম্পানিতে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক কুয়েতে নেই। তাই কুয়েতে কোম্পানির মালিক গুলো বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক হায়ার করে। তাই বাংলাদেশ থেকে অনেকে ই কুয়েতে কোম্পানি ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহী। তবে তারা জানেন না যে কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত যার কারণে বিভিন্ন এজেন্সি তাদের ঠকাতে সক্ষম হয়।
তাই আপনি যদি কুয়েতে কোম্পানি ভিসা নিয়ে যেতে চান। তাহলে আপনার অবশ্যই জানা উচিত কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত, আমি আপনাকে জানাবো যে কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত, কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন সর্বনিম্ন ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। একটু পারদর্শী হলে পড়াশোনা জানলে বেতন আরও বাড়ে। একটু পারদর্শী হলে পড়াশোনা জানলে বেতন হতে পারে ৭০-৮০ হাজার। অনেকদিন কাজের অভিজ্ঞ হলে কুয়েত ভিসা কোম্পানি বেতন হতে পারে প্রায় ১ লক্ষ টাকা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url