তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত - তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
তাহাজ্জুদ নামাজের আরবি নিয়ত হইতো অনেকেই জাননে?আবার অনেকেই জানেন না।যারা জানেন
ও জানেন না সকলের জন্য এই পর্বটি আজকে আলোচনা করতে চলেছি তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা
নিয়ত ও তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে। তাই আপনি যদি সঠিক ভাবে তাহাজ্জুদ
নামাজের বাংলা নিয়ত সম্পর্কে জানতে চান?তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।
সেই সাথে আপনি জানতে পারবেন তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম,কখন তাহাজ্জুতের নামাজ পড়া
উত্তম,তাহাজ্জুদ নামাজের মোনাজাত, এবং তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া সম্পর্কে জানতে
পারবেন। তাই আজকের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন
তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত ও তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম সমূহ।
পোস্ট সূচিপত্রঃতাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত।তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
ভূমিকা।তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত।তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
ছেলেদের সাথে মেয়েদের তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হবে কিন্ত আমাদের মধ্য অনেকের
প্রশ্ন থাকে মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল এই প্রশ্নের উত্তরটি আপনি
এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিতে পারবেন। সেই সাথে আজকে আমরা জানবো
তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে যাবতীয় সকল সঠিক তথ্য।
তাহাজ্জুদ নামাজ প্রত্যক মুসলমান ব্যাক্তির জন্য একবার হলেও পড়া উচিত। কিন্তু
অনেকেই আরবিতে পড়তে না পাড়ার কারণে দিধা বোধ করে নামাজ আদায় করতে।তাই আজেকে আপনার
জন্য নিয়ে এসেছি তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত ,তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম,অর্থ,বাংলা উচ্চারণ সহ বিস্তারিত তথ্য।
তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত
তাহাজ্জুদ অর্থ ঘুম থেকে জাগা। অর্থাৎ তাহাজ্জুদ নামাজ বা রাতের নামাজ হচ্ছে একটি
নফল ইবাদত। ফরজ নামাজের পর অন্যান্য সুন্নত ও নফল সব নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুতের
নামাজের গুরুত্ব ফজিলত সবচেয়ে বেশি।
৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে রাসুল সাঃ এর ওপর তাহাজ্জুদের নামাজ বাধ্যতামূলক
ছিল তাই তিনি জীবনে কখনো তাহাজ্জুতের নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকেন নি। আপনারা
অনেকেই তাহাজ্জুদের নামাজের বাংলা নিয়ত সম্পর্কে জানাবো যারা তাহাজ্জুতের নামাজের
নিয়ত পারেন না তারা জেনে নিন।
উচ্চারণ: নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া রাকআতাইত তাহাজ্জুদি আল্লাহু আকবর।
অর্থ: দুই রাকাত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত
বেধে নামাজ পড়া।
আপনারা যারা তাহাজ্জুতের নামাজ পড়বেন তারা উপরের এই নিয়োগ দিয়ে দুই দুই রাকাত
করে ৮ রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা উত্তম।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
আপনি কি উপরের আলোচনা থেকে তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত সম্পর্কে জানতে পেরছেন তাহলে এবার তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানুন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদের নামাজ দুই রাকাত দুই রাকাত
করে আদায় করতেন তিনি কখনো চার রাকাত কখনো ৮ রাকাত এবং কখনো বারো রাকাত পড়েছিলেন
কিন্তু কেউ যদি এই নামাজ দুই রাকাত করে আদায় করেন তাহলেও তার তাহাজ্জুদ আদায়
হবে। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, " যে ব্যক্তি এশার পর দুই বা ততোধিক রাকাত
নামাজ পড়ে নেয়, সে হবে তাহাজতের ফজিলতের অধিকারী। "
আরো পড়ুনঃ তাহিয়্যাতুল ওযুর নামাজ কখন পড়তে হয়
যেকোনো সুরা দিয়ে এই নামাজ পড়া যায় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
যথা সম্ভব লম্বা কেরাত লম্বা রুকু ও সেজদা সহকারে একান্ত ও নির্দিষ্ট মনে
তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন তাই লম্বা ঘিরা তাহাজ্জুদ আদায় করা উত্তম কেরাত
উঁচু বা নিচু আওয়াজে পড়া জায়েজ রয়েছে। তবে কারো কষ্টের কারণ হলে চুপি চুপি
পড়া কর্তব্য।
তাহাজ্জুদ নামাজের আরবি নিয়ত
তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফজিলতময় যারা বিনা হিসেবে
জান্নাত যেতে পারবেন। তাদের মধ্যে একশ্রেণীর মানুষ হলেন তারা যারা যত্নের সঙ্গে
তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করেন। এটি একটি নফল ইবাদত তবে নফল ইবাদতের মধ্যে এটি
অন্যতম একটি ইবাদত। সেইজন্য আপনাকে তাহাজ্জুদ নামাজের আরবি নিয়ত ও তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।
সফল নামাজ কে নবী করীম (সাঃ) শ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি
নিয়মিত তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতেন এবং সাহাবীদের এটা পালনে উৎসাহিত করতেন।
কুরআনের বিভিন্ন সুরায় এই নামাজের প্রতি তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
যারা তাহাজ্জুদের নামাজ আরবি নিয়ত সম্পর্কে জানেন না তাদেরকে আজকে আরবি নিয়ত
সম্পর্কে জানাবো। চলুন জেনে আসি তাহাজ্জুতের নামাজের আরবি নিয়ত।
আরবি : نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ رَكَعَتِى التَّهَجُّدِ - اَللهُ اَكْبَر
উচ্চারণ : নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া রাকআতাইত তাহাজ্জুদি আল্লাহু আকবর।
অর্থ: দুই রাকাত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত
বেধে নামাজ পড়া।
কখন তাহাজ্জুতের নামাজ পড়া উত্তম
আপনারা কি কখন তাহাজ্জুতের নামাজ পড়া উত্তম সেই সম্পর্কে জানেন। তাহাজ্জুদের
নামাজ রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম তাহাজ্জুদের মূল সময় রাত দুইটা থেকে শুরু
করে ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত থাকে তবে ঘুম থেকে না জাগা সম্ভাবনা থাকলে এশার
নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নত ও বেতের নামাজের আগে পড়ে নেওয়া জায়েজ আছে।
তবে শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা সর্বোত্তম। এশার নামাজ আদায়ের পর থেকে
সুবায়ে সাদিকের আগ পর্যন্ত সালাতুল লাইল বা তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যায়।
তাহাজ্জুদের সর্বোত্তম সময় এই যে এশার নামাজের পর লোকেরা ঘুমাবে তারপর অর্ধেক
রাতের পর উঠে নামাজ পড়বে।
আরো পড়ুনঃ আল লাতিফু ১৩৩ বার পড়লে কি হয়
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখন মধ্যরাতে কখনো তার কিছু আগে অথবা পরে
ঘুম থেকে উঠতেন এবং আসমানের দিকে তাকিয়ে সূরা আলে ইমরানের শেষ রুকুর কয়েক রাকাত
পড়তেন।
তারপর মেসওয়াক ও অজু করে নামাজ পড়তেন। পবিত্র কোরআনে তাহাজ্জুদের নামাজের জন্য
বিশেষভাবে তাগিত করা হয়েছে। "তারা রাতে সামান্য অংশে নিদ্রায় অতিবাহিত করে এবং
রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমাপ্রার্থনা করে। "(সূরা আয-যারিয়াত,আয়াত ১৭-১৮)
তাহাজ্জুদ নামাজের মোনাজাত
আপনারা কি তাহাজ্জুদের নামাজের মোনাজাত সম্পর্কে জানতে চান বা তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন? অনেকেই তাহাজ্জুদের
নামাজের মোনাজাত সম্পর্কে জানেনা যার ফলে তারা কিন্তু তাহাজ্জুতের নামাজের পর
মোনাজাত করতে পারে না। মোনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে নিজের মনের সকল
আশা গুলো বলা হয়।
আরো পড়ুনঃ মনের ভয় দূর করার দোয়া
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার সময় একটি বিশেষ দোয়া
পড়তেন সম্ভব হলে এই দোয়া পড়া যেতে পারে তবে এই দোয়া পড়া আবশ্যক বলে মনে করা
যাবে না। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে হয়েছে, ' তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে তাহাজ্জুদের উদ্দেশ্যে
যখন দাঁড়াতেন তখন দোয়া পড়তেন -
আরবি: اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ
وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ، لَكَ مُلْكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ
فِيهِنَّ،
وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ
الْحَقُّ، وَوَعْدُكَ الْحَقُّ، وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ، وَقَوْلُكَ حَقٌّ،
وَالْجَنَّةُ حَقٌّ، وَالنَّارُ حَقٌّ،
وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ، وَمُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم حَقٌّ، وَالسَّاعَةُ
حَقٌّ، اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ،
وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ، فَاغْفِرْ لِي مَا
قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، أَنْتَ
الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ـ أَوْ لاَ إِلَهَ
غَيْرُكَ
উচ্চারণ: 'আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আংতা কায়্যিমুস সামাওয়অতি ওয়াল আরদি
ওয়া মান ফিহিন্না ওয়াল আবদি ওয়া মান ফিহিন্না। ওয়া লাকাল হামদু আংতা নুরুস
সামাওয়াতি ওয়াল আরদ। ওঅ লাকাল হামদু আংতাল হাক্কু। ওয়া ওয়া'দুকাল হাক্কু। ওয়া
লিক্বাউকা হাক্কু। ওয়া ঝান্নাতু হাক্কু। ওয়া নারু হাক্কু। ওয়ান নাবিয়্যুনা
হাক্কু। ওয়ান নারু হাক্কু।
ওয়ান নাবিয়্যুবা হাক্কু৷ ওয়া মুহাম্মদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা
হাক্কু। ওয়াস সাআতু হাক্কু। আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু। ওয়াবিকা আমাংতা ওয়া আলাইকা
তাওয়াক্কালতু। ওয়া ইলাইকা আনাবতু। ওয়া বিকা খাসামতু। ওয়া ইলাইকা হাকামতু।
ফাগফিরলি মা কাদ্দামতু ওয়া মা আখখরাতু। ওয়া মা আসরারতু ওয়া মা আ'লাংতু। আংতাল
মুকাদ্দিমু ওয়া আংতাল মুআখখিরু। লা ইলাহা ইল্লা আংতা। লা ইলাহা গাইরুকা। '(
বুখারি)
তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গভীর রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়ের
জন্য উঠে কোরআনের আয়াতসহ সূরা আলে ইমরান শেষ পর্যন্ত পড়তেন (বুখারি, মুসলিম ও
মিশকাত)
رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ –
رَبَّنَا إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ وَمَا
لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ – رَّبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا
يُنَادِي لِلإِيمَانِ أَنْ آمِنُواْ بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ
لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الأبْرَارِ
উচ্চারণ: রাব্বানা মা খালাক্বতা হাজা বাত্বিলান, সুবহানাকা ফাক্বিনা
‘আজাবান্নার। রাব্বানা ইন্নাকা মাং তুদখিলিন্নারা ফাক্বাদ্ আখঝাইতাহু, ওয়া মা
লিজজ্বালিমিনা মিন্ আংছার। রাব্বানা ইন্নানা সামি’না মুনাদিআই ইউনাদি লিল ইমানি
আন আমিনু বিরাব্বিকুম ফাআমান্না; রাব্বানা ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া কাফ্ফির
আন্না সাইয়্যেআতিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মাআ’ল আবরার।’
আরো পড়ুনঃ মুসাফির ব্যাক্তির সালাত আদায় নিয়ম
অর্থ: ' হে আমাদের প্রতিপালক এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি পবিত্রতা তোমারি
জন্য আমাদেরকে তুমি জাহানড়বামের শাস্তি থেকে বাঁচাও।হে প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি
যাকে আর জালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।
হে আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান আনার জন্য একজন আহবানকারীকে আহবান করতে শুনে ঈমান
এনেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদের সকল গুনাহ মাফ করে দাও। আমাদের সকল দোষ
ত্রুটি দূর করে দাও আর নেক লোকদের সঙ্গে আমাদের মৃত্যু দাও। '
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে
তাহাজ্জুদের উদ্দেশ্যে যখন দাঁড়াতেন তখন এই দোয়া পড়তেন।
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ
فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ، لَكَ مُلْكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ
فِيهِنَّ،
وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ
الْحَقُّ، وَوَعْدُكَ الْحَقُّ، وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ، وَقَوْلُكَ حَقٌّ،
وَالْجَنَّةُ حَقٌّ، وَالنَّارُ حَقٌّ،
وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ، وَمُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم حَقٌّ، وَالسَّاعَةُ
حَقٌّ، اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ،
وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ، فَاغْفِرْ لِي مَا
قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، أَنْتَ
الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ـ أَوْ لاَ إِلَهَ
غَيْرُكَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আংতা কায়্যিমুস সামাওয়অতি ওয়াল আরদি ওয়া
মান ফিহিন্না ওয়া লাকালহামদু। লাকা মুলকুস সামাওয়অতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিহিন্না।
ওয়া লাকাল হামদু আংতা নুরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ। ওয়া লাকাল হামদু আংতাল হাক্কু।
ওয়া ওয়া’দুকাল হাক্কু। ওয়া লিক্বাউকা হাক্কু। ওয়াল ঝান্নাতু হাক্কু। ওয়ান নারু
হাক্কু। ওয়ান নাবিয়্যুনা হাক্কু।
আরো পড়ুনঃ আসরের নামাজ কয় রাকাত
ওয়া মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা হাক্কু। ওয়াস সাআতু হাক্কু।
আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু। ওয়াবিকা আমাংতু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু। ওয়া ইলাইকা
আনাবতু। ওয়া বিকা খাসামতু। ওয়া ইলাইকা হাকামতু। ফাগফিরলি মা কাদ্দামতু ওয়া মা
আখ্খারতু। ওয়া মা আসরারতু ওয়া মা আ’লাংতু। আংতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আংতাল মুআখ্খিরু।
লা ইলাহা ইল্লা আংতা। লা ইলাহা গাইরুকা।’ (বুখারি)
মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল
আপনারা কি জানেন মহিলাদের তাহাজ্জুদের নামাজ সুন্নত নাকি নফল অনেকেই কিন্তু এই
বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন করেছে যে মহিলাদের তাহাজ্জুদের নামাজ সুন্নত নাকি নফল।
তাহাজ্জুদের নামাজ একদিন নফল নামাজ এর হলো এটি সুন্নতে গায়রে মুআক্কাদা বা নফল।
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ নামাজ চার, ছয়, আট, দশ রাকাত, বারো
রাকাত প্রমাণিত।
আরো পড়ুনঃ মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম
তাহাজ্জুদের সালাত সুন্নতে এই অর্থে যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম পড়েছেন
আবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর আমল আল্লাহর বান্দাগণ অনুসরণ করলে সেটা
সুন্নত হয় আর ফরজ ছাড়া যত ইবাদতে রয়েছে সবই নফল ইবাদতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
তাই আল্লাহর ৫ রাকাত সালাত ফরজ বলে ঘোষণা করেছেন এছাড়া যত সালাত রয়েছে সব নফল
বা অতিরিক্ত সুতরাং নফল সালাত হুকুমের মধ্যে আসেনি। সুন্নাহকে ওলামায়ে কেরামগণ
হুকুমের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সেহেতু এটি সুন্নাহ।
তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার গুরুত্ব ও ফজিলত
আপনারা কি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে জানেন অনেকেই কিন্তু
তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে জানেন না তারা হয়তো অনেকেই জানার
কারণে এই গুনাহ করে ফেলছেন।
'তারা রাতে সামান্য অংশেই নিদ্রায় অতিবাহিত করে এবং রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা
প্রার্থনা করে। ' (সূরা আয-যারিয়াত,আয়াত ১৭-১৮)
সূরা আল ফুরকান এর ৬৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে " আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা, যারা
তাদের রবের দরবারে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকে রাত কাটিয়ে দেয়। "
আরো পড়ুনঃ শাওয়াল মাসের ফজিলত
তারা ছিল কঠিন পরীক্ষায় পরম ধৈর্যশীল, অটল অবিচল, সত্যের অনুসারী, পরম অনুগত্য।
আল্লাহর পথে ধন সম্পদ উৎসর্গকারী এবং রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহর কাছে ভুল ত্রুটি
ক্ষমা প্রার্থী।( সূরা আল ইমরান আয়াত ১৭)
ফরজ নামাজের পর অন্যান্য সুন্নত ও নফল সব নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুদের নামাজের
গুরুত্ব ও ফজিলত সবচেয়ে বেশি। (আহমদ মেশকাত 110)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আল্লাহর নিকট অতি প্রিয় নামাজ দাউদ
(আ:) এর নামাজ। রাত ঘুমাতেন এবং রাতে তৃতীয় ভাগে নামাজের দাঁড়াতেন আর ষষ্ঠ ভাগে
আবার ঘুমাতেন। (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ১০৯)
শেষ কথা। তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত।তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
প্রিয় পাঠক আসসালামু ওয়ালাইকুম আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের আর্টিকেল শুরু
থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারী সম্পন্ন পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন তাহাজ্জুদ
নামাজের বাংলা নিয়ত ও তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম সম্পর্কিত সকল তথ্য। আমাদের আজকের
আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট
বক্সে জানিয়ে দিন।
আরো পড়ুনঃ কত টাকা থাকলে হজ ফরজ হয়
আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকারী বলে মনে হলে আর্টিকেলটি
আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে এছাড়াও আপনি
যদি ইসলামিক আরো তথ্য সম্পর্কে জানতে চান তবে আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে রাখুন
এবং ঘুরে আসুন।আমাদের আজকের পর্ব এ পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url