কোরবানির পশু জবাই করার নিয়ম ও পশু জবাই করার সঠিক দোয়াটি

একজন মুসলমান হিসেবে প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির কোরবানি দেওয়া অবশ্যক।সে ক্ষেত্রে আমাদের সকলের কোরবানির পশু জবাই করার নিয়ম এবং গরু জবাই করার দোয়া বাংলা উচ্চারণ সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।তাই আজকে আমরা এই পোষ্টের মধ্যে আলোচনা করব কোরবানির পশু জবাই করার নিয়ম এবং গরু জবাই করার দোয়া বাংলা উচ্চারণ সম্পর্কে।
কোরবানির-পশু-জবাই-করার-নিয়ম
পোস্ট সূচিপত্রঃতাই আপনি যদি ইসলামের সঠিক নিয়মে কোরবানির পশু জবাই করতে চান তবে এর জন্য আপনাকে কোরবানির পশু জবাই করার নিয়ম এবং গরু জবাই করা দেওয়া আরবি সম্পর্কে জানতে হবে।আর দেরি না করে দ্রুত জেনে নেওয়া যাক পশু জবাই করার নিয়ম সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য।

উপস্থাপনা। কোরবানির পশু জবাই করার নিয়ম।গরু জবাই করার দোয়া বাংলা উচ্চারণ

বছর পেরিয়ে ত্যাগের মহিমা নিয়ে আবার এলো আমাদের মাঝে পবিত্র ঈদুল আযহা।পবিত্র ঈদুল আযহা এই ঈদের মহিমা বিশ্বের মুসলিম বা প্রতিবছর মুসলমান জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে পুত্র ইসমাইল আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোরবানি করা স্মৃতিকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর নামে কোরবানি দিয়ে থাকেন।
কিন্তু আমরা কোরবানি দেওয়ার ইসলামিক সঠিক নিয়ম সম্পর্কে না জানায় কোরবানি সঠিকভাবে দেওয়া হয় না।আমরা অনেক সময় ভুলে যায় পরশু জবাই করার সময় মাথা কোন দিকে থাকবে এবং মুরগি জবাই করার সময় মাথা কোন দিকে থাকবে।তাই আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা কোরবানির পশু জবাই করার নিয়ম এবং গরু জবাই করার দোয়া বাংলা উচ্চারণ জেনে নিব।

হারাম টাকায় কোরবানি শুদ্ধ নয়

হারাম টাকায় কোরবানি দেওয়া শুদ্ধ নয় এই কথাটি আমরা ছোট বেলায় শুনে এসেছি। কিন্তু আমরা কোরবানির পশু জবাই করার নিয়ম টাই অনেকেই জানি না। সামনে কোরবানির ঈদ এই সময় কিন্তু অনেকেই জানতে চাই যে হারাম টাকায় কোরবানি শুদ্ধ নয় সে সম্পর্কে আপনি যদি কোরবানি দিতে চান তাহলে কিন্তু তিন ভাগ পাঁচ ভাগ অথবা সাত ভাগে কোরবানি দেন তখন কিন্তু কোরবানি টা সকলের একসাথে দেওয়া হয় যার ফলে হারাম টাকায় কোরবানি দিলে শুদ্ধ হবে কিনা সেই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই।
কোরবানি আল্লাহর নির্দেশ সমর্থ্যবানদের ওপর তা আদায় করা ওয়াজিব যুগে যুগে আল্লাহতালা প্রত্যেক জাতির জন কোরবানি নিয়ম করে দিয়েছেনতেমনি এই জাতির সামর্থ্যবানদের ওপর কুরবানী আবশ্য কিন্তু সবার কোরবানি আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন না কারণ যারা হারাম টাকায় কোরবানি দেয় তাদের কোরবানি কিন্তু কখনোই গ্রহণ হবে না এবং শুদ্ধ হবে না।

আল্লাহ তায়ালা সব সময় হারাম জিনিসকে অপছন্দ করেন এই জন্য হারাম টাকার কোরবানিও কখনোই শুদ্ধ হয় না। আল্লাহতালা কোরবানির বিধান ও নির্দেশ দিয়েছেন তা কোরানুল করিমের একাধিক আয়াতে যেভাবে বলা হয়েছে, " প্রত্যেক জাতির জন্য আমি কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি।

যাতে তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে।যে সমস্ত জন্তু তিনি রিজিক হিসেবে দিয়েছেন তার ওপর আল্লাহর ইলাহ তো এক ইলাহ অতএব তারই কাছে আত্মসমর্পণ করো আর অনুগতদেরকে সুসংবাদ দাও। (সূরা হজ্জ :আয়াত ৩৪)
আপনি আপনার রবের জন্য নামাজ আদায় করুন এবং কুরবানী করুন।( সুরা কাউসার :আয়াত ২)
যাদের কুরবানী কবুল হবে না তাদের মধ্যে কিন্তু আল্লাহ তাআলা বলেছেন কোরবানি আল্লাহর নৈকট অর্জনের অন্যতম মাধ্যম আল্লাহর জন্য পরিশুদ্ধ ও একনিষ্ঠ ইবাদত এই ইবাদত বিন্দুমাত্র সন্দেহ সংশয় স্থান নেই কোনরকম সন্দেহ সংশয় থাকলে কোরবানি হবে না কোরবানি দেওয়ার শর্তেও যাদের কোরবানি আদায় হবে না তারা যদি হারাম টাকায় কোরবানি দেয় তাহলে কিন্তু তাদের কোরবানি শুদ্ধ হবে না।
আল্লাহর রাসূলের বিধি-বিধান অনুসরণ করা ছাড়া কোন ভাবে কোরবানি কবুল হবে না। হারাম টাকা দিয়ে কেউ কোরবানি করলে কোরবানি আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না কেননা আল্লাহ তা'আলা পবিত্র তিনি শুধু পবিত্রতাকে গ্রহণ করেন। (তিরমিজি ২৯৮৯)

এছাড়াও কোরআনুল করিমে হালাল সম্পদ থেকে ব্যয় করা নির্দেশ এসেছে, 'এভাবে হে ঈমানদারগণ তোমরা ব্যয় করো তোমাদের অর্জিত হালাল সম্পদ থেকে।' (সূরা বাকারা আয়াত ২৬৭)আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাকে একনিষ্ঠ নিয়ত কোরআন সুন্নাহর বিধি বিনাম মেনে কোরবানি করার তৌফিক দান করুন আমীন।

কোরবানির পশুতে আকিকার অংশ

কোরবানির পশুতে আকিকার অংশ নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা। কিন্তু সেই সাথে আমাদের সকলের জন্য কোরবানির পশু জবাই সটিকভাবে করতে হবে এই জন্য আমাদের জানতে হবে কোরবানির পশু জবাই করার নিয়ম এতে আপনি আকিকার পশু সঠিক ভাবে জবাই করতে পারবেন।

আমাদের মনে নানা ধরনের প্রশ্ন জাগে আসলে কিভাবে কোরবানির পশুতে আকিকার অংশ দেওয়া যাবে। আপনি যদি কোরবানির পশুতে আকিকার অংশ নিতে চান তাহলে কিন্তু দিতে পারবেন। যেইভাবে আপনি একটি ছাগলের মাধ্যমে আকিকা দিবেন।

সেভাবে কোরবানির পশুতে আপনার যদি সন্তান ছেলে হয় তাহলে দুই ভাগ নিবেন আকিকার অংশ হিসেবে তাহলে আপনার সন্তানের আকিকা হয়ে যাবে। তবে আপনার সামরথে যদি না হয় তাহলে একভাগ নিলেও ছেলের আকিকা হয়ে যাবে আর যদি মেয়ে থাকে। তাহলে একটি অংশ কোরবানির পশুতে আকিকার জন্য নিতে পারবেন।
আমি যদি কোরবানির জন্য পশুতে আকিকার অংশ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আমাদের আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। কোরবানিতে পশুর আকিকার অংশ কত ইতিমধ্যে আপনারা জানতে পেরেছেন আরাম টাকায় কোরবানি শুদ্ধ নয়।

আকিকা করা না হলে বড় হওয়ার পরও আকিকা করা যাবে। যার আকিকার সে নিজে এবং তার বাবা-মাও আকিকার গোশত খেতে পারবে। (ইলাউস সুনান : ১৭/১২৬)ফাতাওয়া শামিসহ ফিকহ-ফাতাওয়ার কিতাবাদিতে বলা হয়েছে," কোরবানির সাথে আকিকা শুদ্ধ। "( রাদ্দুল মুহতার ৬/৩২৬)

সন্তান জন্মের পর আল্লাহ তায়ালা শুকরিয়া আদায়ের উদ্দেশ্যে জন্মের সপ্তম দিনে পশু জবাই করাকে আকিকা বলে আকিকা করা মুস্তাহাব হাদীস শরীফে আকিকার প্রতীক উৎসাহিত করা হয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে আকিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন যে ব্যক্তি সন্তানের আকিকা করার ইচ্ছে করে সে যেন তা পালন করে ছেলের জন্য দুটি ছাগল আর মেয়ের জন্য একটি। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস :৭৯৬১)
অন্য হাদিসে রাসূল সালালা সালাম বলেছেন, 'সন্তানের সঙ্গে আকিকার বিধান রয়েছে তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত করো এবং সন্তানের শরীর থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করে দাও।'( বুখারী হাদিস ৫৪৭২)সম্ভব হলে সপ্তম দিনে আকিকা করা উত্তম সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে ১৪ তম দিনে বা ২১ তম দিনে করা ভালো।

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম হযরত হাসান (রা.) এর জন্য একটি ও হোসেন (রা.) এর জন্য একটি ছাগল দ্বারা আকিকা আদায় করেছেন কুরবানীর সঙ্গে আকিকা করলে মেয়ের জন্য একভাগ ও ছেলের জন্য দুই ভাগ দেওয়া উত্তম যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে ছেলের জন্য একভাগ দিলেও চলবে।

আকিকা না দিলে কি কোরবানি হয়

আমাদের মনে অনেকেরই জানার আগ্রহ থাকে আকিকা না দিলে কি কোরবানি হয় সে সম্পর্কে আপনারা যদি না জেনে থাকেন তাহলে কিন্তু আজকে আমাদের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন। কোরবানির পশুতে আকিকার অংশ সম্পর্কে ইতিমধ্যে আপনারা জেনে গেছেন।আকিকা না করে কোরবানি দেওয়া যাবে তবে আগের আকিকাটা দিয়ে দেওয়া দরকার।

আগে আকিকা দিতে হবে না কারণ আকিকা দেওয়া ওয়াজিব নয় সংঘটিত হলে মনে চাইলে বড় হয়েও কেউ দিতে পারবে এটি কোরবানির সাথে তুলনীয় নয় কোরবানি একটি স্থায়ী বার্ষিক ইবাদত সামর্থ্য হলে কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব। যার সামর্থ্য রয়েছে সে কিন্তু অবশ্যই আকিকা দিয়ে দেবে।

ঈদুল আযহার অবিচ্ছেদ্য অংশ কোরবানি আর কোরবানির অবিচ্ছেদ্য অংশ সুস্থ সবল পরশু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এবং তার ইবাদত করার জন্য পশু জবাই করার নামই কোরবানি যা প্রতিটি সামর্থ্যবান নারীর ওপর ও আদিত্য তবে কেউ যদি কোরবানির পশুতে নিজেদের সন্তানের আকিকার অংশ দিয়ে থাকেন।
কিন্তু এইভাবে অংশ দেওয়া কোন ভাবে জায়েজ কিনা আর দেওয়া গেলেও ছেলের জন্য কয় ভাগে দিতে হবে সেই সম্পর্কেও অনেকেই কিন্তু বোঝেনা। বিভিন্ন ফিকহাবিদরা বলেছেন, কোরবানির সঙ্গে আকিকা দেওয়া যাবে। কারণ কোরবানির উদ্দেশ্যে ইবাদত পালন করা ও আল্লাহর নৈকট্য করা আকিকার উদ্দেশ্য হতে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা। ইবাদত পালন করা ও নৈকট্য অর্জন করা।

হাদিস শরীফে এসেছে, ছেলের জন্য দুইটি ছাগল ও মেয়ের জন্য একটি ছাগল উত্তম ছেলের জন্য একটি ছাগল দিলেও চলবে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম হযরত হাসান (রা.) এর জন্য একটি ও হোসেন (রা.) এর জন্য একটি ছাগল দ্বারা আকিকা আদায় করেছেন কুরবানীর সঙ্গে আকিকা করলে মেয়ের জন্য একভাগ ও ছেলের জন্য দুই ভাগ দেওয়া উত্তম যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে ছেলের জন্য একভাগ দিলেও চলবে।

কোরবানির পশু জবাই করার নিয়ম

সামনে কোরবানি ঈদ আছে এবং এই সময় কিন্তু কোরবানির পশু জবাই করার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন আসলে গরু ছাগল জবাই করার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে।

কোরবানি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও ফজিলতময় ইবাদত আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তার ইবাদতের জন্য পশু জবাই করাই কোরবানি ঈদুল আযহার অবিচ্ছেদ অংশ কোরবানি আর কোরবানির অবিচ্ছেদ্য অংশ সুস্থ সবল পশু আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তার ইবাদতের জন্য এই পশু জবাই করার নামই কোরবানি যা প্রতিটি সামর্থ্যবান নয় নারীর উপর ওয়াজিব।
রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছেন তোমরা যখন পশু জবাই করবে তখন এহেসানের সাথে জবাই করো। আর তোমাদের ছুড়িগুলো খুব ভালোভাবে ধারালো করে না নাও। যাতে তোমরা তোমাদের জবাইকৃত পশুকে আরাম দিতে পারো।( সহিহ মুসলিম)

আমাদের দেশে গরু ছাগল মহিষ ভেড়া উট ইত্যাদি দিয়ে কোরবানি করা হয় কোরবানির পশু কিভাবে জবাই করব এই নিয়ে অনেকের ভুল ভ্রান্তি আমাদের মধ্যে রয়েছে।কোরবানির পশু শোয়ানের পর যেন কেবলামুখী হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে পশ্চিম দিকে যেহেতু আমাদের কিবলা সেই হিসেবে পশ্চিম দিকে যাতে পশুর মুখ হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

অর্থাৎ পশুকে বা পাজরের ওপর দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে কেবলামুখী করে শোয়াতে হবে এভাবে পশুকে সরানো উত্তম। ও ছুটি কেমন ভাবে ধরতে পা বেঁধে নিতে হবে যেন জবাই এর সময় সে পা গুলো বরাবর ছুঁতে না পারে। উটের ক্ষেত্রে নাহর করা যায়।
বিষয়টি হলো দাঁড়ানো অবস্থায় বুকের দিক থেকে ঘাড় পর্যন্ত চলে যাওয়া প্রথম রক্তবাহী রগ কেটে দেওয়া হয়। নাহর করলে রক্তক্ষরণ হতে হতে উট নিস্তাজ হয়ে মাটিতে ঢলে পড়ে এবং মৃত্যু হয় উঠতেও শোয়া অবস্থায় জবাই করা যায়।

জবাই করার সময় যাতে পশু কষ্ট না পায় সেই জন্য যে চুরিটি ব্যবহার করা হবে তা আগেভাগে শান দিয়ে খুব ধারালো করে নিতে হবে। পশুর গলায় ছুরি চালানোর সময় "বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার" বলতে হবে। শুধু বিসমিল্লাহ বললেও চলবে। 

যে বা যারা কোরবানির পশু জবাই করবেন বা ধরবেন তারা পবিত্র অবস্থায় থাকবেন কাপড়-চোপড় শালীনভাবে পরিধান করবেন।নিশ্চয়ই আপনি এবারে সঠিকভাবে কোরবানির পশু জবাই করার নিয়ম জানতে পারলেন। এবারে কোরবানির গরু জবাই করার দোয়া বাংলা উচ্চারণ সম্পর্কে জেনে নিন। যাতে আপনি সঠিকভাবে কোরবানি আদায় করতে পারেন।

গরু জবাই করার দোয়া বাংলা উচ্চারণ

গরু জবাই করার দোয়া বাংলা উচ্চারণ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই কারণ সামনে এই কোরবানি ঈদ আসছে সেই সময় গরু জবাই করার সময় যেই দোয়াটি পড়তে হবে সেটি নিচে দেওয়া হল :

উচ্চারণ: ইন্নি ওয়াজ জাহতু ওয়াজ হিয়া লিল্লাজি ফাতারাছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন। ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহ ইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। লাল শাড়ি কালা হুয়া বিজালিকা উমিরতু ওয়া আন মিনাল মুসলিমিন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর।
অর্থ: নিশ্চয়ই আমি ধীর অভাবে সেই মহান সত্তার অভিমুখী হলাম যিনি আসমান ও জমির সৃষ্টি করেছেন। আমি মুশরিকদের অন্তর্গত নই। নিশ্চয়ই আমার নামাজ আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ সবই বিশ্ব প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য নিবেদিত। তার কোন শরীফ নেই। আমি এই কাজের জন্য অদৃষ্ট হয়েছি আর আমি আত্মসমর্পণকারীদের একজন।

হে আল্লাহ তোমার পক্ষ থেকে তোমার জন্য আল্লাহর নামে আল্লাহর সবচেয়ে মহান। (আবু দাউদ,হাদিস:২৭৯৫)উল্লেখ্য শুধু "বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার" পড়ে পশু জবাই করলেও কোরবানি শহীদ হয়ে যায়। (আবু দাউদ, হাদিস:২৮১০)

পশু জবাই করার সময় মাথা কোন দিকে থাকবে

অধিকাংশ মানুষ কুরবানীর নিয়ম পদ্ধতি ও দোয়া সম্পর্কে জানেনা পশু জবাই করার সময় মাথা কোন দিকে থাকবে সেই সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেনা।পশু জবাই করার সময় বিসমিল্লাহ বলে জবাই করতে হবে অর্থাৎ বিসমিল্লাহ বলে চুরি চালানো শুরু করবে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে যেন পশু জবাই না করা হয় সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
  • পশু জবাই করার সময় ছুরি ভালোভাবে ধার দিয়ে নিতে হবে যাতে জবাই করার সময় পশুর কষ্ট না হয়। অনেকে একটি ছুরি দিয়ে একাধিক পশু কুরবানী করে থাকে। এক্ষেত্রে শেষের দিকে ছুরির ধার কমে যায় তাই ছুরিতে ধার দিয়ে নেওয়ায় উত্তম।
  • পশু জবাই করা সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যেন পশুর খাদ্যনালী, শ্বাসনালী আর দুটি পাশে থাকা দুটি নালী কেটে দেওয়া। এই নালী গুলো কাটা হয়ে গেলে পশু জবের বিশুদ্ধ হয়ে যায়।
  • একটি পশুর সামনে আরেকটি পশু জবাই করা যাবে না বা ছুরিতে ধার দেওয়া যাবে না এতে করে পশুরা ভয় পেয়ে যায় এতে পশুকে কষ্ট দেওয়া হয়।
  • কুরবানী করার সময় পশুকে পশুর বাম কাতে শোয়ানো সেই সময় পশুর পা গুলো পশ্চিম দিকে থাকবে।
  • পশু জবাইয়ের দোয়া কোরবানির পশু জবাই করার জন্য শোয়ানোর পর দোয়া পড়ার দোয়াটি হাদিসে বিভিন্ন বর্ণনায় এসেছে। যদিও অনেকেই সনদের ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে।

মুরগি জবাই করার সময় মাথা কোন দিকে থাকবে

মুরগি বা অন্যান্য পশু জবাই করার সহিহ হওয়ার জন্য শর্ত হতে জবাইকারী মুসলমান কিংবা আহলে কিতাব তথা কোনো আসমানী কিতাব অনুসারী এবং সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন বুঝমান ব্যক্তি হওয়া। জবা এর শুরুতে আল্লাহ তালার নাম উচ্চারণ করা এবং কোন ধারালো বস্তু দ্বারা গলার দিকে থেকে জবাই করা এবং শ্বাসনালী খাদ্যনালী ও দুটি শাহ রগের অন্তত একটি কিনতে রক্ত প্রবাহিত করতো জবাই সম্পূর্ণ করা।
এসব শর্তের কোনটি না পাওয়া গেলে জবাই সহিহ হবে না এবং সে প্রাণী খাওয়াও জায়েজ হবে না। তবে কেউ যদি ইচ্ছাকৃত আল্লাহর নাম ছেড়ে দেয় তাহলে ওই জবাই সহিহ হবে না। জুবায়ের ক্ষেত্রে ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা যেন প্রাণীর অধিক কষ্ট না হয় আরো কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখা উচিত।প্রাণীকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কষ্ট না দেওয়া। তাই প্রাণী ধরা, শোয়ান ও জবাই এর কাজগুলো এভাবে করা উচিত যেন প্রাণীর অতিরিক্ত কষ্ট না হয়।

জবাই সময় পশুর মাথা দক্ষিণ দিকে রেখে কিবলামুখী করে বাম কাতে সোয়ানো এবং জবাইকারী কেবলামুখী হয়ে জবাই করা।জোবায়ের জন্য ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা আল্লাহ তায়ালা সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পাদন করার নির্দেশ দিয়েছেন। অতএব যখন তোমরা হত্যা করবে তো উত্তম পদ্ধতিতে হত্যা করো যখন যবেই করবে তো উত্তম পদ্ধতিতে জবেহ কর। প্রত্যেকে তার ছুরিতে শান দেবে এবং তার পশুকে জবাই দিবে।( মুসলিম, হাদিস: ১৯৫৫)

প্রানের সামনে অস্ত্র ধারণা দেওয়া এবং এক প্রাণীর সামনে আরেক প্রাণী জবাই করা থেকে বিরত থাকা। আবু হুরাইরা (রা.) বলেন,কেউ যেন প্রাণীর দৃষ্টির সামনে ছুরিতে শান না দেয়। ( মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক: ৮৬০৬)

শেষ কথা।কোরবানির পশু জবাই করার নিয়ম।গরু জবাই করার দোয়া বাংলা উচ্চারণ

সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আমরা আজকের আর্টিকেল থেকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি কোরবানির পশু জবাই করার নিয়ম এবং কোরবানির পশু গরু জবাই করার দোয়া বাংলা উচ্চারণ সহ যাবতীয় সকল সঠিক তথ্য।আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন।
কোরবানির পশু জবাই করার ক্ষেত্রে আমাদের এ বিষয়গুলো সম্পর্কে সকলকেই জেনে রাখতে হবে।যেহেতু প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কোরবানি দেওয়া যায় তাই কোরবানি দেওয়ার সঠিক নিয়ম গুলো আমাদের যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url