৭+ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় ও একটিভ ইনকাম আইডিয়া জানুন
টাকা উপার্জন করতে কে না চায়।সকলেই চাই নিজের হাতে টাকা উপার্জন করতে।কিন্তু
সেটা যদি ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় জেনে ইনকাম করা যায় তাহলে ব্যাপারটা
কিন্তু মন্দ হয় না।তবে এজন্য আপনাকে ঘঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় ও প্যাসিভ
ইনকাম আইডিয়া সম্পর্কে জানতে হবে।তাই আজকে আপনাদের ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করার
উপায় জানাবো।
সেই সাথে প্যাসিভ ইনকাম কি, একটিভ ইনকাম কি, প্যাসিব ইনকাম কেন প্রয়োজন এবং
প্যাসিভ ইনকাম কিভাবে করা যায়।তাই চলুন আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ
সহকারে পড়ে ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় এবং প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া গুলো
জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্র: ঘরে বসে প্যাচিভ ইনকাম করা সাতটি উপায়।প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া
প্যাসিভ ইনকাম কি (passive income)
আপনারা কি জানতে চান প্রেসিডি ইনকাম কি সে সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে জানাবো
প্র্যাকটিক ইনকাম কি সেই সম্পর্কে ইনকাম দুইভাবে করা যায় একটিভ ইনকাম আর প্যাসিভ
ইনকাম প্যাসিভ ইনকাম হলে এমন একটি আইডি যেখান থেকে একবার কাজ করে রেখে দিলে আপনি
অবিরত সেখান থেকে ইনকাম আসতে থাকবে অর্থাৎ আপনাকে সব সময় সেখানে কাজ করতে হবে
না।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়
একটি ছোট্ট উদাহরণ দিয়ে বুঝায় তাহলে আরো সহজে বুঝতে পারবেন মনে করুন আপনি একজন
গ্রাফিক্স ডিজাইনার এখন আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে ইনকাম করতে চান তাহলে
আপনাকে নির্দিষ্ট ক্লায়েন্টের জন্য ডিজাইন করে দিলে আপনার ইনকাম হবে এখানে আপনার
তখন ইনকাম হবে যখন ক্লাইন্ট আপনাকে কাটবে ক্লাইন্ট কাজ না দিলে আপনার কোন ইনকাম
হবে না।
এখন আপনি যদি আপনার করা কতগুলো ডিজাইন তৈরি করে মাইক্রো স্ট্রোক সাইটে আপলোড করে
রাখেন এবং আপনার তৈরি করা সেই সকল ডিজাইন যদি সারা বছর বিক্রি হতে থাকে তাহলে
কেমন হবে।এটাই মূলত প্যাসিভ ইনকাম একবার ডিজাইন করলে সারা বছর ধরে বিক্রি হবে আর
আপনার ইনকাম আসতে থাকবে যাকে বলা হয় প্যাসিভ ইনকাম।আমরা ইতিমধ্যে জানলাম প্যাসিভ
ইনকাম কি এবারে আমরা একটিভ ইনকাম কি ও ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় গুলো
জানবে নিচের অনুচ্ছেদ থেকে।
একটিভ ইনকাম কি (active income)
আপনারা যদি প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনারা একবার হলেও
একটিভ ইনকাম কি সেই সম্পর্কেও জানতে চাইবেন কারণ একটি ইনকাম ও ভ্যাকসিন ইনকাম এর
মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে আজকে আপনাদেরকে একটি দিন কাম কি সেই সম্পর্কে জানাবো।
একটিভ ইনকাম হচ্ছে কাজ করলে টাকা আসবে আর কাজ না করলে সেখানে টাকা নেই আপনি
যতক্ষণ কাজ করতে পারবেন যতক্ষণ সময় শ্রম দিতে পারবেন ততক্ষণ আপনার আয় আসবে আপনি
অসুস্থ কাজ করতে পারছেন না, আপনার ইনকাম বন্ধ হয়ে শূন্য হয়ে যাবে।
একটিভ ইনকামের জন্য আপনাকে অন্যের আন্ডারে কাজ করতে হবে প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে
অফিস যেতে হবে এবং মাস শেষে আপনি নির্দিষ্ট অ্যামাউন্টের টাকা পাবেন। একটিভ
ইনকামে টাকার পরিমাণ লিমিটেড থাকে। তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন একটিভ ইনকাম ও
প্যাসিভ ইনকাম এর মধ্যে তফাৎ টা কি।তাহলে এবারে আপনার জন্য হতে পারে ঘরে বসে
প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় গুলো যে আপনি একটিভ ইনকাম করবেন নাকি প্যাসিভ
ইনকাম
ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায়।Passive income ideas in bengali
আপনারা কি ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান অনেকে ঘরে বসে
ইনকাম করতে চাই কিন্তু কিভাবে ইনকাম করা যায় সেই উপায় সম্পর্কে জানা নেই আজকে
আপনাদেরকে কয়েকটি ইনকামের উপায় সম্পর্কে জানাবো।
গ্রাফিক ডিজাইন করে প্যাসিভ ইনকাম
গ্রাফিক ডিজাইন আপনি যদি প্রফেশনাল মানের একজন ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে আপনার
ক্রিয়েটিভ এর মেধাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্নভাবে ইনকাম করতে পারেন বিভিন্ন
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে যেমন ডলার ইনকাম করতে পারবেন ঠিক
তেমনি আপনার করার ডিজাইন বিভিন্ন microstock সাইটগুলোতে সেল করে পাইছি ইনকাম
করতে পারবেন।
কারণ microstock সাইডগুলোতে আপনি নিয়ম মেনে নিজেরা করার ডিজাইন আপলোড করে
রাখলেই ইউজারদের প্রতি ডাউনলোড এর ওপর ভিত্তি করে আপনার ইনকাম হবে এর মানে আপনি
যত বেশি মানসম্পন্ন ডিজাইন সেই প্ল্যাটফর্ম গুলোতে রাখতে পারবেন আপনার ইনকাম
ধীরে ধীরে তত বেশি বাড়তে থাকবে।
তাই যারা গ্রাফিক ডিজাইন হিসেবে গতানুগতিকভাবে ইনকামের বাইরে নিজের ডিজাইন
বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম করতে চান তাদের জন্য এই কোর্সটি বেস্ট হতে পারে।
instagram মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম
ই কমার্স প্রতিষ্ঠানের কিংবা এফিলেট মার্কেটিং এর জন্য instagram এর ভূমিকা দিন
দিন বেড়ে চলেছে প্রতি মাসে প্রায় ১.৪ + বিলিয়ন একটিভ ইউজার আছে ইনস্টাগ্রামে
এই প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে দেশি-বিদেশি এখানে অনেকেই হাজার হাজার ডলার ইনকাম
করছে instagram মূলত ফটো ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশন এবং সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম
আর মজার ব্যাপার হচ্ছে।
এই instagram এ একটি mobile focused social platform মানে ম্যাক্সিমাম
ব্যবহারকারী instagram মূলত তাদের মোবাইল ফোনে ব্যবহার করে তাই আপনার হাতে থাকা
মোবাইল দিয়ে মার্কেটিং এর কিছু সিক্রেট ফলো করে প্রতি মাসে মিনিমাম ২০ থেকে ৪০
হাজার টাকা প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব। আসলে অনলাইনে ইনকামের জন্য অনেকেই চেষ্টা
করে কিন্তু সঠিক লাইনের অভাবে অনেকেই করতে পারে না। এর জন্য সঠিক গাইডলাইন ও
কোর্স করতে হবে এবং শিখতে হবে।
ইউটিউব এর মাধ্যমে amazon afficate
একজন ভালো মানের ইউটিউবার তার তৈরি করা ভিডিও কনটেন্ট দিয়ে প্রতিমাসে লাখ
টাকার উপরে ইনকাম করে থাকে তবে সে ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে কন্টেন যেন ভাল
মানের হয় আর এখন আপনি চাইলে কোন রকম ইনভেসমেন্ট ছাড়াই ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের
মাধ্যমে amazon এফিলেট মার্কেটিং করে পাইছে ইনকাম করতে পারেন।
এমাজন হচ্ছে বিশ্বের এক নম্বর ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেখানে প্রতিনিয়ত বেঁচে কেনা
হচ্ছে লক্ষ-কোটি প্রোডাক্ট আর এমাজনের বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর এপিলেন্ট করে
এক্সপার্ট মার্কেটাররা ইনকাম করছে হাজার হাজার ডলার। ইনকাম সম্ভবনা এখানে আসলে
লিমিটলেস।
ভিডিওতে গুগল এডসেন্স এডের মাধ্যমে এবং amazon এর বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে
রিভিউ ভিডিও তৈরি করে সেখানে আপনার এফিলিয়েট লিংক অ্যাড করার মাধ্যমে বর্তমানে
দেশ এবং দেশের বাইরে দেশগুলোতে ইউটিউব অ্যামাজন অ্যাফিলেটেড ডিমান্ড খুব
বেড়েছে।
ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকাম
আপনি যদি সহজ উপায় পাইসি ইনকাম করতে চান তাহলে কিন্তু এটা আপনার জন্য অনেক সহজ
ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি জনপ্রিয় হয়ে খুব সহজেই প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন
আপনি যদি টুকটাক লেখা লেখির প্রতি আগ্রহ থাকে তাহলে এই অভ্যাসকে কাজে লাগিয়ে
প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘন্টা কাজ করে ব্লগ লেখা
শুরু করতে পারেন।
তবে সেক্ষেত্রে যদি কিছু নির্দিষ্ট টপিক থাকে তাহলে লেখা আরো বেশি সফল এবং
দ্রুত হয় যেমন আপনি হতে পারে মজাদার রেসিপি আইডিয়া ক্যারিয়ার গাইডলাইন ভ্রমণ
গাইডলাইন অথবা হতে পারে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ের কোন তথ্য বাংলা এবং ইংরেজি
উভয় ক্ষেত্রে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন। কারণ ব্লগিং করে ঘরে বসে প্যাসিভ
ইনকাম করার যায় তবে প্যাসিভ ইনকাম করতে হলে আপনাকে ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করার
উপায় সম্পর্কে সুন্দর ভাবে বুঝতে হবে।
যেটাতে আপনার সুবিধা হবে আর সেখানে আপনি এডসেন্স এর মাধ্যমে এড দেখলে খুব সহজে
ইনকাম করতে পারবেন। চাইলে আপনার লেখা ব্লকে একুলেটলিযুক্ত করে সেখান থেকে
প্যাসেজ ইনকাম করতে পারবেন অর্থাৎ আপনি দুই ভাবে ইনকাম করতে পারবেন ওয়েবসাইটে
google এডসেন্স এড করার মাধ্যমে আবার অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করে।
প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস
ইনকামের জন্য জনপ্রিয় মাধ্যম হলো প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস যেখান থেকে আপনি
নামটি শুনে বুঝতেই পারছেন যে এখানে ডিমান্ড অনুযায়ী কোন কিছু প্রিন্ট করে দিতে
হবে। অর্থাৎ কাস্টমারের ডিমান্ড কোনদিন আপনাকে প্রোডাক্ট ডিজাইন করে প্রিন্ট
করে দিতে হবে বিভিন্ন পণ্য যেমন টি-শার্ট মগ বই ক্যানভাস ইত্যাদি।
এর উপর বিভিন্ন প্রোডাক্ট ডিজাইন করে বিভিন্ন প্রিন্টার ডিমান্ড সাইট গুলোতে
সেল করাকে বলে প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস। আপনি শুধুমাত্র ডিজাইন করে
প্রোডাক্টটি সাইডে একটা প্রাইস সেট করে এড করে রাখবেন আর কোন কাস্টমারের অর্ডার
করলে আপনি যে মার্কেটে কাজ করবেন তারাই আপনার হয়ে প্রোডাক্টিভ প্রিন্ট করে শিপ
করে দিবে।
প্রোডাক্টটি কাস্টমারের কাছে প্রোডাক্ট তৈরির খরচ বাদ দিয়ে বাকি যা থাকবে
সেটাই হবে আপনার প্রফিট। সময়ের সাথে সাথে দেশ এবং দেশের বাইরে এই প্রিন্ট অন
ডিমান্ড বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে প্যাসিভ ইনকামের জন্য তাই এই কাজটি অনেক
জনপ্রিয় কাজ।
মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে প্যাসিভ ইনকাম
আমরা আমাদের মোবাইলে যে অ্যাপ ব্যবহার করি এই অ্যাপগুলো কিন্তু কেউ না কেউ তৈরি
করেছে আপনি যদি একজন প্রফেশনাল মানের মোবাইল অ্যাপ ডেভলপার হতে পারেন তাহলে
আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং
মার্কেটপ্লেসে অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের চাহিদা রয়েছে অনেক বেশি।
এছাড়াও চাইলে নিজেই অ্যাপ তৈরি করে সেটা ios এত স্টোর বা গুগল প্লে স্টোরে সেল
করতে পারবেন এমনকি google Admob এর মাধ্যমে অ্যাপ এ এড দেখিয়েও চাইলে প্রচুর
প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব। অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এমন একটা দক্ষতা যেটা ডিমান্ড বা
চাহিদা সর্বদা মার্কেটে থাকবে। আপনার শুধু নিজের দক্ষতা কাজে লাগাতে হবে এবং
প্রফেশনাল ভাবে কাজ শিখতে হবে আমরা দেশের হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আছে।
যারা এন্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট এর উপর ট্রেনিং দিয়ে আসছে ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে
শুধু লেকচার শোনা হয়। কিন্তু সরাসরি হাতে কলমে পরবর্তী বাসায় এসে ইনপ্লিমেন্ট
করার সময় বা নতুন কোন টপিক শুতে গেলে কোন প্রবলেম ফেস করলে সেটা সলিউশন পাওয়া
যায় না।
অ্যামাজন বই পাবলিশ করে ইনকাম
অ্যামাজন হচ্ছে ওয়ার্ল্ডের এক নাম্বার ই কমার্স সাইট প্রতিদিন লক্ষ কোটি
প্রোডাক্ট কেনাবেচা হচ্ছে amazon থেকে আর এই আমাজনের অনলাইন ডিজিটাল বই এর
প্ল্যাটফর্ম কে বলা হয় amazon কিমডেল। পৃথিবীর সব বিখ্যাত, নতুন, পুরাণ সব
ধরনের বই সেখানে পাওয়া যায়। আপনি সেগুলি নিজে লিখতে পারেন।
লেখক নিয়োগ করে পারেন এর মাধ্যমে আপনি ই-বুক তৈরি করতে পারেন। এছাড়াও একটি বই
প্রকাশিত হবে কিনা তা বলার জন্য আপনাকে সম্পাদক বা প্রকাশকের উপর নির্ভর করতে
হবে না আপনার বউয়ের তথ্যগুলোকে রাখার জন্য আপনাকে কোন বইয়ের দোকানের উপর
নির্ভর করতে হবে না।
সব বড় বড় দেশে amazon আছে সেই সব দেশের মোটামুটি সবাই
অ্যামাজন থেকে বই কিনে সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে মিলিয়ন ডলারের বিজনেস রয়েছে
অ্যামাজনের এই কিনডেল প্লাটফর্মে।এবারে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরছেন ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় জেনে আরো কত উপায়ে ইনকাম করা যায়।
প্যাসিভ ইনকাম কেন প্রয়োজন
আপনারা কি পেয়েছি ইনকাম কেন প্রয়োজন সে সম্পর্কে জানেন অনেকেই কিন্তু একটিভ
ইনকাম অফ আসিফ ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানেনা আপনারা উপরে হয়তো জানতে পেরেছেন
একটিভ ইনকাম ও প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে এখন আপনাদেরকে জানাবো ইনকাম কেন প্রয়োজন
আসলে আমাদের জীবনের সকলেরই টাকার প্রয়োজন।তাহলে টাকার প্রয়োজন নেই এমন কিন্তু
মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
বর্তমান সমাজ সভ্যতার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে চলতে হলে টাকা ইনকাম করা অত্যন্ত
জরুরী এই কারণে সকলের জন্য কিন্তু প্যাসিভ ইনকাম করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন
ইনকাম সহজ নয় তবে অন্য সকল ইনকাম থেকে প্যাসিভ ইনকামের বিশেষ কিছু সুবিধা
রয়েছে।
তার মধ্যে বিশেষ সুবিধা হল এখানে আপনাকে সবসময় কাজ করতে হবে না একটি নির্দিষ্ট
সময় কাজ করে সবকিছু সাজিয়ে রাখলে সেখান থেকে ইনকাম আসতে থাকবে এবং আপনার ইনকাম
চলতেই থাকবে।
আপনার রেগুলার ইনকামের সাথে প্রতি মাসে এক্সট্রা আরো কিছু ইনকাম এড হলে সেটা
আপনার ভবিষ্যতের জন্য আরও সুফল বয়ে আনতে পারবে তাহলে আপনাদের জন্য সেটা হয়তো
বেশি সুবিধা দিবে।
আশা করি এবার আপনারা বুঝতে পেরেছেন প্যাসিভ ইনকাম আপনাদের জন্য কতটা জরুরী এবং
কেন প্যাসিভ ইনকাম করা আমাদের মনে হয় যে জরুরী। ইনকামের মাধ্যমে আপনি নিয়মিত
ইনকাম করতে পারবেন এবং সেখানে আপনাকে সবসময় শ্রম ও কাজ করতে হবে না একটা সময়
শ্রম ও কাজ দিলে সেখান থেকে নিয়মিত ইনকাম চালু থাকবে।
প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া
আপনি যদি প্যাসিভ ইনকামের আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আমাদের
আর্টিকেল সম্পর্কে বেশি ইনকামের কয়েকটি আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নিন।
অনলাইন ডিজাইন বিক্রয়: যদি একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হয়ে থাকেন। তবে আপনি
মাইক্রো স্ট্রাক সাইড গুলোতে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে প্যাসি আর্নিং শুরু করতে
পারবেন। বর্তমানে এ ধরনের প্লাটফর্ম গুলো বেস জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এবং প্ল্যাটফর্ম
গুলি থেকে সকলের প্রত্যাশা বাড়ছে।
স্টোক ইমেজ: আপনি যদি ছবি তোলার বিষয়ে প্রফেশনাল হয়ে থাকেন তবে আপনি
আপনার ছবিগুলোকে স্টোক সাইড গুলোতে সেল করতে পারেন।
ব্লগ সাইট তৈরি: আপনি যদি টুকটাক লিখতে পছন্দ করেন তবে আপনি একটু ব্লগ
সাইট তৈরি করে সেটাতে আর্টিকেল প্রকাশ করে এড সেন্সের মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন
করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ২০২৪
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনার যদি ধৈর্য পর্যাপ্ত থেকে থাকে। তবে আপনি
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট বিক্রয়ের কাজ করতে পারেন
এটিতে তুলনামূলক প্যাসিভ আর্নিং বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ই-বুক রাইটিং: ই বুক বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে বিশ্বব্যাপী
সুতরাং আপনি এই সেক্টরে দক্ষ হয়ে ভালোভাবে ইনকাম জেনারেট করতে পারেন।
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি: বিনা অর্থ একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার মাধ্যমে
সেখানে বিভিন্ন রকমের ভিডিও ক্রিয়েট করে আপনি কিন্তু অর্থ উপার্জন করতে পারেন
গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে সেখানে এফিলেট মার্কেটিং এর লিংকু যুক্ত করে সেখান থেকে
আয় করতে পারবেন।
একটি অ্যাপ তৈরি: আপনি নিজেকে অ্যাপ তৈরি করে কিন্তু দীর্ঘদিন পর্যন্ত
লাভবান হতে পারেন একটি জনপ্রিয়তা লাভ করলে। এতে আপনার হবে এবং আপনি একটি অ্যাপের
মালিকও হতে পারেন আবার বিক্রয়ও করে দিতে পারেন ।
বই লিখা এবং প্রকাশ: বই লিখে পাইসে ইনকাম একটি দারুণ উপায় আপনি যেকোনো
বিষয়ে বই লিখতে পারেন। যে বিষয়গুলো বর্তমানে অধিক জনপ্রিয় তবে এক্ষেত্রে অনেক
ভালো লেখক হতে হবে। প্রকাশীয় করা কই প্রকাশকের আগ্রহ প্রকাশ করবে না সুতরাং এই
বিষয়ে মাথায় রাখবেন।
ড্রপশিপিং: ড্রপ শিপিং বলতে মূলত পণ্য নির্দিষ্ট স্থান থেকে স্বল্পমূল্য
ক্রয় করে নিজের সাইডে বেশি মূল্যে বিক্রয় করার পদ্ধতিকে বোঝায় এটি থেকে আপনি
ইনকাম করতে পারেন।
অনলাইন সার্ভে: অনলাইন ছাড়বে মূলত বিভিন্ন কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের
ক্ষেত্রে ফিডব্যাক গ্রহণ করে থাকে এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো সার্ভে পরিচালনায় বেশ
কিছু মানুষকে অনলাইনে নিয়োগ করে সুতরাং এটিও আপনার জন্য হতে পারে আই এর একটি
ভালো পথ।
ইনফ্লয়েন্সার হিসেবে আয়: আপনার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে যদি অনেক ফলোয়ার
থাকে। তবে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির জন্য ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন।
প্যাসিভ ইনকাম কিভাবে করা যায়
অনেকেই জানতে চাই যে প্যাসিভ ইনকাম কিভাবে শুরু করা যায় আসলে প্যাসিভ ইনকাম শুরু
করার জন্য কিন্তু কিছু বিষয় আপনাদের মানতে হবে এবং জানতে হবে ইনকাম কিসের
সম্পর্কে আপনার জানা থাকতে হবে এবং প্যাসেজ ইনকাম কেন প্রয়োজন সে সম্পর্কে আপনি
যদি বুঝে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনারা ইতিমধ্যে প্যাসিভ ইনকাম কিভাবে করবেন সেই
সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আপনাকে কয়েকটি মাধ্যম সম্পর্কে জানাবো যদি প্রফেশনাল ভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে
প্রতি মাসে আপনার পেয়েছি ১০০০ থেকে ৫ হাজার ডলার ও কোন ব্যাপারই না ইনকাম করা।
ইউটিউব এর মাধ্যমে amazon afficate:
একজন ভালো মানের ইউটিউবার তার তৈরি করা ভিডিও কনটেন্ট দিয়ে প্রতিমাসে লাখ টাকার
উপরে ইনকাম করে থাকে তবে সে ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে কন্টেন যেন ভাল মানের হয়
আর এখন আপনি চাইলে কোন রকম ইনভেসমেন্ট ছাড়াই ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে
amazon এফিলেট মার্কেটিং করে পাইছে ইনকাম করতে পারেন।
এমাজন হচ্ছে বিশ্বের এক নম্বর ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেখানে প্রতিনিয়ত বেঁচে কেনা
হচ্ছে লক্ষ-কোটি প্রোডাক্ট আর এমাজনের বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর এপিলেন্ট করে
এক্সপার্ট মার্কেটাররা ইনকাম করছে হাজার হাজার ডলার।
ইনকাম সম্ভবনা এখানে আসলে লিমিটলেস। ভিডিওতে গুগল এডসেন্স এডের মাধ্যমে এবং
amazon এর বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ ভিডিও তৈরি করে সেখানে আপনার এফিলিয়েট
লিংক অ্যাড করার মাধ্যমে বর্তমানে দেশ এবং দেশের বাইরে দেশগুলোতে ইউটিউব অ্যামাজন
অ্যাফিলেটেড ডিমান্ড খুব বেড়েছে।
ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকাম: আপনি যদি সহজ উপায় পাইসি ইনকাম করতে চান তাহলে
কিন্তু এটা আপনার জন্য অনেক সহজ ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি জনপ্রিয় হয়ে খুব সহজেই
প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন আপনি যদি টুকটাক লেখা লেখির প্রতি আগ্রহ থাকে।
তাহলে এই অভ্যাসকে কাজে লাগিয়ে প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন প্রতিদিন দুই থেকে
তিন ঘন্টা কাজ করে ব্লগ লেখা শুরু করতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে যদি কিছু নির্দিষ্ট
টপিক থাকে তাহলে লেখা আরো বেশি সফল এবং দ্রুত হয়।যেমন আপনি হতে পারে মজাদার
রেসিপি আইডিয়া ক্যারিয়ার গাইডলাইন ভ্রমণ গাইডলাইন অথবা হতে পারে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ের কোন তথ্য বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ক্ষেত্রে আপনি
ব্লগিং শুরু করতে পারেন যেটাতে আপনার সুবিধা হবে আর সেখানে আপনি এডসেন্স এর
মাধ্যমে এড দেখলে খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন।
চাইলে আপনার লেখা ব্লকে একুলেটলিযুক্ত করে সেখান থেকে প্যাসেজ ইনকাম করতে পারবেন
অর্থাৎ আপনি দুই ভাবে ইনকাম করতে পারবেন ওয়েবসাইটে google এডসেন্স এড করার
মাধ্যমে আবার অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করে।
2D Cartoon Animation তৈরি:
একটি বড় মাধ্যম হলো অ্যানিমেশন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে শুরু করে টিভি
বিজ্ঞাপন সহ এখন থেকে কোন পন্যের মার্কেটিং এনিমেশন এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
অনেক চ্যালেনে একবার একটা এনিমেশন তৈরি করে শুধু ভাষার ট্রান্সফার করে বাংলা টু
ইংলিশে হিন্দিতে কনভার্ট করে একাধিক চ্যানেলে রান করছে এবং সহজে প্রচুর টাকা
ইনকাম করছে।
সুতরাং বুঝতে পারছেন আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে এনিমেশন শিখতে পারেন তাহলে
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার পাশাপাশি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে
প্রতি মাসে প্রেসিডেন্ট ইনকাম করতে পারেন।
2D Cartoon Animation এর চাহিদার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকমের কোর্স রয়েছে
যেখান থেকে আপনাররা এই কাজটি শিখতে পারেন। তাই বলা যায় প্রেসিডেন্ট ইনকামের জন্য
কার্টুন অ্যানিমেশন হতে পারে আপনার জন্য সুবর্ণ সুযোগ এটার মাধ্যমে আপনি অনেক ভাল
ভাবে ইনকাম করতে পারবেন।
আসলে কোন ইনকামের সহজ নয় তার জন্য প্রচুর কাজ করতে হবে। প্যাসিভ ইনকামের
ক্ষেত্রেও ঠিক তাই শুরুতে আপনাকে অনেক সময় দিতে হবে কাজ শিখতে হবে এবং সেই
কাজগুলোকে মার্কেটপ্লেসে উপস্থাপন করতে হবে। তবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর আপনি
প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
শেষ কথা। ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায়।প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া
প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা অনেকেই ঘরে বসে প্যাচিভ ইনকাম করতে চান?কিন্তু
ঘরে বসে প্যাচিভ ইনকাম করার উপায় গুলো জানা ছিল না।আজকের আর্টিকেলে আমরা তুলে
ধরার চেষ্টা করেছি ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় ও প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া
সম্পর্কে।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা আপনার মূল্যবান মতামত
আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।
আজকের আলোচনাটুকু আপনার কাছে ইনফরমেটিভ মনে হলে আপনার পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার
করুন।সর্বশেষ ও নিত্য নতুন আপডেট আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব
করে রাখুন।কেননা আলোড়ন আইটি প্রতিনিয়ত আপডেট আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকে তাই সবার
আগে আর্টিকেল পেতে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url