কোরবানির ঈদ ২০২৪ কত তারিখে ও কোন দিন হবে জানুন
পবিত্র ঈদুল ফিতর এর ২ মাস ১৫ দিনের মধ্যে পাওয়া যায় পবিত্র ঈদুল আযহা। পবিত্র
ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ নিয়ে সবার মধ্যে আনন্দ বিরাজমান করে।তাই আপনি যদি
কোরবানির ঈদ ২০২৪ কত তারিখে ও কোরবানির গোশত বন্টনের নিয়ম না জেনে থাকেন।তবে
আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।এই আর্টিকেল থেকে আপনি জেনে নিতে পারবেন পবিত্র ঈদুল
আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ ২০২৪ কত তারিখে হবে ও কোরবানির গোশত বন্টনের নিয়ম এ
বিষয় সম্পর্কে।
তাই আপনি যদি পবিত্র ঈদুল আযহা কবে হবে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেল শুরু
থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন কোরবানির ঈদ ২০২৪ কত তারিখে এবং
কোরবানির গোস্ত ভন্ডনের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।কোরবানির ঈদ সম্পর্কে
আমাদের সকলের জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।তাই চোরের কথা না বাড়িয়ে দ্রুত
জেনে নেওয়া যাক কোরবানির ঈদ ২০২৪ কত তারিখে হবে।
পোস্ট সূচীপত্রঃকোরবানির ঈদ ২০২৪ কত তারিখে।কোরবানির গোশত বন্টনের নিয়ম
আল্লাহর উদ্দেশ্যে কুরবানী কি
আমরা আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি ও পুরস্কার লাভ এর আশায় নির্ধারিত দিন নিয়ে
ব্যক্তির পশু জবাই করাই হলো কুরবানী শুধু আত্মত্যাগী নয় বরং আল্লাহর সঙ্গে
বান্দার ভালোবাসার অনন্য এক নিদর্শন কোরবানি আল্লাহর কাছাকাছি হওয়ার মাধ্যমে
কোরবানি সম্পর্কে কোরআন ও করিমে একাধিক আয়াতে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
আরো পড়ুনঃ আল লাতিফু ১৩৩ বার পড়লে কি হয়
আল্লাহ তাআলা বলেন "কিন্তু মনে রেখো কোরবানির গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায়
না আল্লাহর কাছে পৌঁছায় শুধু তোমাদের নিষ্ঠাপণ্য আল্লাহর সচেতনতা এই লক্ষে
কোরবানির পশুগুলোকে তোমাদের অধীন করে দেয়া হয়েছে। অতএব আল্লাহ তোমাদের সৎ
পথপ্রদর্শনের মাধ্যমে যে কল্যাণ দিয়েছেন সেই জন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর।
হে নবী আপনি সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ দিন যে আল্লাহ বিশ্বাসীদের রক্ষা করবেন।
নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো বিশ্বাসঘাতক, অকৃতজ্ঞকে অপছন্দ করে না। " (সুরা হজ: আয়াত
৩৭/৩৮)
কত ভাগে কোরবানি করা যায়
মুসলিম উম্মার সর্বজনী দুটি উৎসবের অন্যতম একটি কোরবানি ঈদুল আযহার প্রধান আকর্ষণ
পশু কোরবানি করা। নিজের অর্থে কে না পশুতি আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে জবাই করার
মাধ্যমে একজন প্রকৃত মুসলমান মূলত নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পণের শিক্ষা নেয়।
কোরবানির পশুতে প্রত্যেক অংশীদারের অংশ সমান হতে হবে কারো কাছে অংশ অন্যের অংশ
থেকে কম হতে পারা যাবে না যেমন কারো আধা বা কারো দেড় ভাগ এমন হলো কোন শরিকের
কোরবানি শুদ্ধ হবে না। ( বাদায়েউস সানায়ে :৪/২০৭)উঠ, গরু, মহিষ সাত ভাগে এবং
সাতের কম যেকোন সংখ্যা যেমন :২, ৩, ৪, ৫ ও ৬ ভাগে কোরবানি করা জায়েজ। (মুসলিম,
হাদিস :১৩১৮)
অংশীদারদের কেউ যদি আল্লাহ তায়ালার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কোরবানি না করে শুধু
গোস্ত খাওয়ার নিয়তে কোরবানি করে তাহলে তার কোরবানি শুদ্ধ হবে না তাকে অংশীদার
বানালে অংশীদারীদেরও কোরবানি হবে না তাই অন্তত সতর্কতার সঙ্গে অংশীদার নির্বাচন
করা জরুরী। ( বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২০৮)
কোরবানির ঈদ ২০২৪ কত তারিখে
ঐতিহাসিক এই ধর্মীয় ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা
আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতিবছর ঈদুল আযহা উৎসব পালন করে ইসলামী
হিজরি ক্যালেন্ডারের বারো তম চন্দ্র মাস জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ
সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোরবানি করার সময় হিসেবে নির্ধারিত হয়।
কোরবানির ঈদ ২০২৪ কত তারিখে শেষ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই আর কিছুদিন পরই
কোরবানি ঈদে এগিয়ে এসেছে। এবার ২০২৪ সালের ১০ই জিলহজ বা কোরবানির ঈদ হতে পারে।
জুন মাসে ১৬ বা ১৭ তারিখ সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী জুন মাসে ১৬
তারিখে দেশটিতে কোরবানি ঈদ পালিত হবে। বাংলাদেশের সাধারণ সৌদি আরব, কাতার, ওমান,
আরব আমিরাত এই সকল দেশের পরের দিন কোরবানি ঈদ পালন করা হয়।
কোরবানির গোশত বন্টনের নিয়ম
ইসলামে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত কোরবানি এটি ইসলামের মৌলিক ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত
প্রত্যেক সামর্থ্যবান পুরুষ নারীর উপর কোরবানি ওয়াজিব। আল্লাহ ও তার রাসূলের
শর্তহীন অনুগত্য ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষা আছে কোরবানিতে নবীজিকে আল্লাহতায়ালা
নির্দেশ দিয়েছেন আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন।
(সূরা কাউসার ২)
আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোরবানি করা পশুর মাংস ভাগ করার একটি সুনির্দিষ্ট
নিয়ম রয়েছে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোরবানির পশুর গোশত ভাগ
করার নিয়ম সম্পর্কে বলে দিয়েছেন।আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত,
রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম কোরবানির গোশত এক ভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়াতেন
এক ভাগ গরীব প্রতিবেশীদের দিতেন এবং এক ভাগ গরিব মিসকিনদের দিতেন।
আরো পড়ুনঃ আসরের নামাজ কয় রাকাত
এছাড়াও ইবন মাসঊদ (রা.) কোরবানির গোশত ৩ ভাগ করে এক ভাগ নিজেরা খেতে না একভাগ
যাকে চাইতেন তাকে খাওয়াতেন এবং একভাগ ফকির মিসকিনকে দিতে বলে উল্লেখ
রয়েছে।কোরবানির মাংস আত্মীয় গরিবদের মাঝে বিতরণ না করাটা খুবই গর্হিত কাজ। এতে
কৃপণতা প্রকাশ পায় কারণ কোরবানির মাধ্যমে কোরবানি দাতা অহংকার থেকে নিরাপদ থাকেন
এবং তার অন্তর পরিশুদ্ধ থাকে।
আল্লাহ তাআলা ও এটাই চান বলেছেন, তাই মনে রেখো কোরবানির গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর
কাছে কখনোই পৌঁছায় না বরং তার কাছে কেবলমাত্র তোমাদের তাকয়াই পৌঁছায়। ( সুরা
হজ:৩৭)
কুরবানীর সঠিক নিয়ম
পশু কোরবানির মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর প্রিয় হয় বা কাছাকাছি হয় কোরবানি ইসলামের
বিধান ধর্মীয় ঐতিহ্যাজ্য ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার কোরবান বা আজাহাকে ইসলামী
বিধান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যা পবিত্র ঈদুল আযহার উৎসবকালে আল্লাহ তাআলার
জন্য পশু উৎসর্গের মাধ্যমে প্রতিপালিত করতে হয় পবিত্র কুরআনে অনেক জায়গায়
কোরবানি সম্পর্কে সুইস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, 'আর হজ ও ওমরা আল্লাহর জন্য পূর্ণ কর এরপর যদি তোমরা আটকে
পড়ো তবে যে পশু সহজ হবে তা যবে কর। আর তোমরা তোমাদের মাথা মুন্ডন করো না যতক্ষণ
পর্যন্ত না পশু তার যথাস্থানে পৌঁছায়। আর তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ কিংবা তার
মাথায় যদি কোন কষ্ট থাকে। তবে রোজা কিংবা সাদকা অথবা পশু যাবে হের মাধ্যমে
ফিদয়া দেবে আর যখন তোমরা নিরাপদ হবে।
তখন যে ব্যক্তিত্ব ওমরার পর হজ সম্পাদনপূর্বক তামাত্তু করবে, তবে যে পশু
সহজ হবে তাই জবেহ করো। কিন্তু যে তা পাবে না তাকে হজে তিন দিন এবং যখন তোমরা ফিরে
যাবে তখন সাতদিন রোজা পালন করবে। এই হলো পূর্ণ দশক এই বিধান তার জন্য যার পরিবার
মাসজিদুল হারামের অধিবাসী নয় আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং জেনে রাখো নিশ্চয়
আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর। '( সুরা বাকারা: আয়াত ১৯৬)
কোরবানি শব্দের অর্থ কি
কোরবানি অর্থ হলো কারো কাছাকাছি হওয়া। ব্যাপক অর্থে আল্লাহর পথে শহীদ হওয়া আবার
ব্যক্তির সম্পদ সময়, চেষ্টা, উদ্যম আল্লাহর বিধান মতে ধর্মীয় উদ্দেশ্য বিলিয়ে
দেওয়াকে আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি বলা হয়।প্রথম কোরবানির ইতিহাস অতি প্রাচীন
কোরআনে হাবিল কাবিলের ঘটনায় তার প্রমাণ ইসলামে প্রথম কোরবানি।
এটি হাবিল প্রথম মানুষ যিনি আল্লাহর জন্য একটি পশু কোরবানি করেন ধর্মীয় বিবরণ
থেকে জানা যায় হাবিল একটি ভেড়া এবং তার ভাই কাবিল তাঁর ফসলের কিছু অংশ স্রষ্টার
উদ্দেশ্যে নিবেদন করেন কোরবানির কবুলের নিদর্শনসে সময় আল্লাহর নির্ধারিত শরীয়ত
বা পদ্ধতি ছিল এই যে আকাশ থেকে আগুন নেমে আসবে এবং যার কোরবানি কবুল হবে তার
জিনিস গ্রহণ করবে।
অর্থাৎ আগুন সেই জিনিসগুলোকে জড়িয়ে প্রশ্ন করে দেবে সেই অনুযায়ী আকাশ থেকে
নেমে আসা নেককার হাবিলের জবেহিকৃত পশুটি কোরবানি গ্রহণ করে। অন্যদিকে কাবিলের ফসল
স্বরূপ প্রদত্ত কোরবানি প্রত্যাখ্যান হয়।
কোরবানির বিধান পরবর্তীতে আল্লাহ তায়ালা ইসলামে নবী ও রাসূল মুসলিম জাতির পিতা
হযরত ইব্রাহিম আলাইহি সাল্লাম কে স্বপ্ন যোগে এই মর্মে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু
কোরবানি করার নির্দেশ দেন। তুমি তোমার প্রিয় বস্তু আল্লাহর নামে কোরবানি করো।
আরো পড়ুনঃ ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম জেনে নিন
হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম আদিষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর জন্য ১০ টি উট
কোরবানি করেন। কিন্তু পুনরায় তিনি কোরবানি করার জন্য আদেশ প্রাপ্ত হন তখন তিনি
আরো ১০০টি উট কুরবানী করেন। তারপর তিনি একই আদেশ পেয়ে ভাবলেন আমার কাছে তো এই
মুহূর্তে সবচেয়ে প্রিয় বস্তু হলো পুত্র ইসমাইল আলাইহিস সালাম।
এছাড়া আর কোন প্রিয় বস্তু নেই তখন তিনি হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালামকে কোরবানি
করতে মিনার উদ্দেশ্যে রওনা করেন যখন হযরত ইব্রাহিম তার পুত্রকে কোরবানি দেওয়ার
জন্য গলায় ছুরি চালানোর চেষ্টা করেন তখন তিনি বিস্মত হয়ে দেখেন যে ইসমাইল
আলাইহি সালামের পরিবর্তে একটি প্রাণী কুরবানী হয়েছে এবং তার কোন ক্ষতি হয়নি।
ঐতিহাসিক এই ধর্মীয় ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা
আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতিবছর ঈদুল আযহা উৎসব পালন করে ইসলামী
হিজরি ক্যালেন্ডারের বারো তম চন্দ্র মাস জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ
সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোরবানি করার সময় হিসেবে নির্ধারিত হয়
কুরবানির গোস্ত কত দিন খাওয়া যায়
কোরবানি দাতা কোরবানির পশু থেকে যে মাংসপান সাধারণত তা থেকে কিছু অংশ গরিব মিসকিন
টা দিয়ে দেন কিছু অংশ নিজেরা খান আর কিছু অংশ সংরক্ষণ করে রাখেন কেউ কেউ আবার
কোরবানির কোন মাংস সংরক্ষণ করে রাখেন না সবটুকু দান করে দেন বা খেয়ে ফেলেন তারা
মনে করেন কোরবানির মাংস তিন দিনের বেশিক্ষণ সংরক্ষণ করে রাখা যায় না এমন ধারণাটি
সঠিক নয়।
কোরবানির মাংস যতদিন ইচ্ছা ততদিন সংরক্ষণ করে যাওয়া রাখা যাবে এবং খাওয়া যাবে
এতে শরীয়তের কোন বাধা নেই। ইসলামের প্রথম যুগে কোরবানির মাংস তিন দিনের বেশি
সংরক্ষণ করার অনুমতি ছিল না। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছিলেন, তোমরা
তিন দিন পর্যন্ত কোরবানির মাংস রাখতে পারবে এরপর অবশিষ্ট যা থাকে সদকা করে দাও।
তবে পরে এই মিশে থাকা প্রত্যাহার করা হয় এই প্রসঙ্গে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই
সাল্লাম বলেছেন দরিদ্র আগন্তুকদের কথা বিবেচনা করে আমি সংরক্ষণ করতে নিষেধ
করেছিলাম এখন তোমরা নিজেরা খাও অন্যকে খাও সংরক্ষণ করতে পারো। (মুসলিম :১৯৭১)
আরো পড়ুনঃ যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪ জেনে নিন
কেউ যদি কোরবানির মাংস কাউকে না দিয়ে পুরোটা সংরক্ষণ করে রাখে তাও জায়েজ হবে।
ফিকহের কিতাবে বলা হয়েছে পুরো মাংস জমিয়ে রাখলেও অসুবিধা নেই। (বাদায়েউস সানায়ে
:৪/২২৪)
গরিব মিসকিনদের দেওয়ার পর বাকি মাংস সংরক্ষণ করে। রাখলেও কোন অসুবিধা নেই তাও
নিশ্চিন্তে রাখা যাবে এবং যতদিন ইচ্ছা কোরবানির মাংস খাওয়া যাবে। তবে ১০ মহরম বা
আশুরার দিন খাওয়ার উদ্দেশ্যে জমিয়ে রাখার ব্যাপারে আলেমগণ আপত্তি রয়েছে সবের
উদ্দেশ্যে এটি করা জায়েজ নয় বলে মনে করেন তারা।
কোরবানির মাংস কয় ভাগে ভাগ করতে হয়
কোরআন উল করিম এ একাধিক আয়াতে কোরবানির গোশত কয় ভাগে ভাগ করতে হবে সেই সম্পর্কে
হিন্দিতে এসেছে মহান আল্লাহ তা'আলা এই সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিয়ে ঘোষণা করেন, "
আর কবার জন্য উৎসর্গকৃত উটকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন করেছি এতে
তোমরা তোমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে।
সুতরাং শাড়িবদ্ধ ভাবে বাধা অবস্থায় তাদের জবাই করার সময় তোমরা আল্লাহর নাম
উচ্চারণ করো এরপর যখন তারা কাত হয়ে পড়ে যায় তখন তা থেকে তোমরা আহার করো এবং
আহার করাও যে কিছু চায় না তাকে এবং যে চায় তাকেও। এমনই ভাবে আমি এগুলোকে
তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছি যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো। (সুরা হজ:
আয়াত ৩৬)
আরো পড়ুনঃ কত ভরি স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয়
উল্লেখিত আয়াতে থেকে স্পষ্ট যে কোরবানির গোশত মোটামুটি তিন ভাগে ভাগ করার একটি
নির্দেশনা বা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। একটি কোরবানি দাতা নিজের জন্য রাখবে বা আহার
করবে।আত্মীয়-স্বজনের জন্য একভাগ দেওয়া হবে যারা চাই না। যারা অভাবী বা গরিব
যারা চায় তাদের জন্য এক ভাগ দিতে হবে। এভাবে কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করতে
হবে।অধিকাংশ ইসলামী স্কলাররা কোরবানির পশুর গোশত কে উল্লেখিত তিন ভাগে ভাগ করাকে
মুছতে হবে এবং উত্তম বলেছেন।
কোরবানি হবে না এমনটি ভাবার কারণ নেই তবে হ্যাঁ কেউ যদি তিন ভাগে ভাগ করার
ক্ষেত্রে কমবেশি করে। এতেও সমস্যা নাই কোরবানি হবে না এমন কোন কারণ নেই এটি ভাবা
চিন্তা করার কোন বিষয় না। কেননা কোরবানি দাতার জন্য কোরবানির পশুর গোশত একেবারে
পাল্লায় মেপে তিন ভাগে ভাগ করা আবশ্যক নয়।
শেষ কথা।কোরবানির ঈদ ২০২৪ কত তারিখে।কোরবানির গোশত বন্টনের নিয়ম
প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন কোরবানির ঈদ ২০২৪ কত তারিখে হবে এবং
কোরবানির গোশত বন্টনের নিয়ম প্রক্রিয়া সম্পর্কে।তাই আজকের আর্টিকেলের মূল
আলোচনার বিষয় থেকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি কোরবানির ঈদ ২০২৪ কত
তারিখে ও কোরবানির গোশত বন্টনের নিয়ম এ বিষয় সম্পর্কিত সকল তথ্য।আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে
কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।
আরো পড়ুনঃ ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
এছাড়াও আপনি যদি কোরবানির আরো নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তবে আমাদের ওয়েবসাইটটি
ভিজিট করুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন।আজকের পর্ব এ পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ
থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url