কত টাকা থাকলে হজ ফরজ হয় - হজ্জ কাদের উপর ফরজ
প্রিয় পাঠক আপনি কি কত টাকা থাকলে হজ ফরজ হয় এবং হজ্জ কাদের উপর ফরজ এ বিষয়
সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।আমাদের আজকের আর্টিকেলের
ভেতরে জানতে পারবেন কত টাকা থাকলে হজ ফরজ হয় এবং হজ্জ কাদের উপর ফরজ এ বিষয়
সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।কত টাকা থাকলে হজ ফরজ হয় এ বিষয় সম্পর্কে জানতে
আমাদের আজকের পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।
সেই সাথে আপনি হজ কত হিজরীতে শুরু হয়, হজ ফরজ হওয়ার শর্ত, হজ্জ কখন ফরজ হয় এবং
হজ্জ ফরজ হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন তাই আমাদের
আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন কত টাকা থাকলে
হজ খরচ হয় এবং হজ্জ কাদের উপর ফরজ এ সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃকত টাকা থাকলে হজ ফরজ হয়।হজ্জ কাদের উপর ফরজ
ভূমিকা।কত টাকা থাকলে হজ ফরজ হয়।হজ্জ কাদের উপর ফরজ
প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির জন্য এই হর্স খরচ যদি সে ব্যক্তির হজ করার মতো সামর্থ্য
থাকে তাহলে।যে ব্যক্তির হজ করার মতন ধন সম্পদ রয়েছে সে ব্যক্তির জন্য হজ
ফরজ।কিন্তু একজন অসহায় দরিদ্র ও গরিব মানুষের জন্য হয় ফরজ নয়।কেননা সে
ব্যক্তিত্ব সামর্থ্য নেই হজ করার মতো।কিন্তু মহান আল্লাহ তা'আলা যে সকল
ব্যক্তিদের ধন সম্পদ দিয়েছেন তাদের জন্য হজ করা ফরজ।কি পরিমাণে সম্পদ থাকলে
আপনার জন্য হজ ফরজ হবে তা নিয়ে আজকের আর্টিকেল।
আরো পড়ুনঃ
ঈদের নামাজ কয় তাকবীর
আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় হলো কত টাকা থাকলে হজ ফরজ হয় এবং হজ
কাদের উপর ফরজ।সেই সাথে আপনাদের সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা তুলে
ধরার চেষ্টা করেছি জমি থাকলে হজ্জ ফরজ কিনা,হজ্জ ফরজ হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি,
হজ্জ কখন ফরজ হয়, হজ ফরজ হওয়ার শর্ত এবং হজ কত হিজরীতে ফরজ হয়।
তাই আপনি হজ করার জন্য উপযুক্ত কিনা তা জানতে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পড়ুন।
জমি থাকলে হজ্জ ফরজ কিনা
হজ্জ ফরজ ইসলামের একটি প্রধান ইবাদত। তবে, হজ্জে যাওয়ার জন্য জমি থাকা একটি
প্রয়োজনীয় শর্ত নয়। আপনি হজ্জ করতে চাইলে যদি আপনার অর্থের সাথে জমি থাকে তবে
হজ্জ করা সহজ হতে পারে। তবে, যদি জমি না থাকে তবে আপনি হজ্জ করতে পারেন, কিন্তু
তা করা কঠিন হতে পারে কারণ হজ্জের ভিসা ও অতিরিক্ত খরচ হতে পারে।
ইসলামে, হজ্জ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসাবে বিবেচিত হয়। হজ্জে যাওয়া
ফরজ (অবশ্যই করনীয়) হলে যে মুসলিম যার কাছে হজ্জের যাত্রার জন্য যে অর্থসম্পদ ও
স্বাস্থ্য সুযোগ থাকে, তারা প্রথম ব্যক্তি হজ্জ করতে হবে । তবে, এটি নয় যে কেউ
যে কোন সময়ে হজ্জ করতে পারে। হজ্জের জন্য একটি মুসলিমের নির্দিষ্ট শর্ত ও
অন্যান্য ফরজের পূর্ণাঙ্গ সাথে হজ্জে যাওয়ার যে সকল শর্ত আছে তা নিম্নে উল্লেখ
করা হলো:
- হজ্জ করার পূর্বে যে মুসলিমের নির্দিষ্ট অর্থসম্পদ, স্বাস্থ্য, মাধ্যমিক আসক্তি, ও অন্যান্য শর্তসমূহ সাথে থাকতে হয়।
- ঋণমুক্ত শারীরিক আর্থিকভাবে সক্ষম ব্যক্তির উপর হজ কর ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী যে ব্যক্তির কাছে মক্কা শরীফ থেকে হজ করে আসা পর্যন্ত পরিবারের আবশ্যকীয় খরচ বাদে মক্কা শরীফে যাতায়াতের মোটামুটি খরচ পরিমাণ অর্থ থাকে তার ওপর হজ ফরজ হয়।
- একজন মুসলিম যে আগে হজ্জ করার সুযোগ পায়নি তার জন্য হজ্জ ফরজ হলেও একবার হজ্জ করা প্রাথমিক আদর্শ।
- একজন মুসলিমের যে কাছে পর্যাপ্ত ধন ও অন্যান্য স সম্পদ ও সরঞ্জাম আছে যার মাধ্যমে তিনি হজ্জের জন্য যাত্রা করতে পারেন।
এই পরিস্থিতি সমূহ হলে মুসলিম হজ্জ পালন করা জরুরি হয়। এটি হজ্জের ফরজ সংক্রান্ত
প্রধান প্রেসক্রিপশন। তবে, হজ্জ করার সময়ে মুসলিমদের স্বাস্থ্য সাবলীলতা এবং
সম্মানের ব্যবস্থা করা উচিত যাতে তারা হজ্জ যাত্রা উপভোগ করতে পারেন।
হজ্জ কাদের উপর ফরজ
আপনারা কি জানেন হজ্জ কাদের উপর ফরজ কেন ফরজ? মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি প্রধান
ফরজ কাজ হচ্ছে হযরত মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিটি মুমিন বান্দার জন্য পাঁচটি ফরজ
কাজ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে হযরত অন্যতম একটি ফরজ কাজ যা সকলের উপর ফরজ নয় তবে
কাদের উপর হজ্জ ফরজ সেটাও জেনে রাখা দরকার।
ইসলামে পাঁচটি স্তরের মধ্যে হজ চতুর্থ যা অবশ্যই পালনীয় তবে অবশ্যই তাদের
শারীরিক আর্থিকভাবে সক্ষম হতে হবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য একবার
হলেও হজ করা ফরজ বা আবশ্যক হয়। তবে হজ পালন করার জন্য কিন্তু কিছু শর্ত রয়েছে
আপনি যদি পালন করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার প্রথম শর্ত হচ্ছে যে আপনাকে সব
ধরনের ঋণ থেকে মুক্ত হতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
ঈদের দিন সকালের সুন্নত
আপনি যদি ঋণ মুক্ত হয়ে থাকেন তাহলেই আপনি হজ করতে পারবেন। যারা ওয়াজ করতে যত
টাকা ব্যয় হবে তা নিজে পরিশোধ করতে হবে কোন রকমের ধারবার ঋণ করে হজ্জ করা যাবে
না। এক কথায় ঋণ মুক্ত শারীরিক আর্থিকভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের উপর হজ ফরজ।
ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী যে ব্যক্তির কাছে মক্কা শরীফ থেকে হজ করে ফিরে আসা
পর্যন্ত পরিবারের আবশ্যকীয় খরচ বাদে মক্কা শরীফে যাতায়াতের মোটামুটি পরিমাণ
অর্থ থাকে তার উপর হজ ফরজ।
হজ করতে যাবার সময় অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে জীবনে আর ফিরে আসতেও নাও পারতে
পারি সেই ভাবে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করে হজ করতে যেতে হবে। আমাদের সমাজের
মানুষের একটা ভুল ধারণা রয়েছে হজ করলে সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে এবং জান্নাত
লাভ করা যাবে মূলত যে হজ আল্লাহর দরবার কবুল হয় ওই ব্যক্তি সমর্থক গুনাহ আল্লাহ
মাফ করে দেন এবং তার জন্য রয়েছে জান্নাতের শান্তি।
কত টাকা থাকলে হজ ফরজ হয়
আমাদের সমাজে কিছু মানুষ রয়েছে যারা জানতে চাই যে কত টাকা থাকলে হজ ফরজ হয় আসলে
হজ ফরজ হওয়ার যে অন্য কত টাকা থাকা লাগবে কারণ তারা বুঝতে পারে না যে কতটুকু
টাকা থাকলে তাকে হজে যেতে হবে এই জন্য তারা টাকার পরিমাণ জানতে চায়। পাঁচটি শর্ত
পাওয়া গেলে একজন মানুষের জন্য হজ ফরজ হয়ে যায়।
হলো মুসলমান হওয়া মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া সাবালক হওয়া স্বাধীন হওয়া এবং
সামর্থ্য থাকা। শেষে শব্দটি সম্পর্কে অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে তাই এখন এই
বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আপনাদের সাথে আলোচনা করব কত টাকা থাকলে হজ ফরজ
হয়।পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,' এই ঘরে হজ করা মানুষের ওপর আল্লাহর
প্রাপ্য যে লোকের সামর্থ্য রয়েছে এই পর্যন্ত পৌঁছানোর ।'
( সিরা আল ইমরান :৯৭)
আয়াতের সামর্থ্য বলতে শারীরিক ও আর্থিক দুই ধরনের সক্ষমতা কে বোঝানো হয়েছে হজ
ফরজ হওয়ার জন্য মক্কা গিয়ে হজের বিধান পালনের মত সুস্থতা থাকতে হবে। পাশাপাশি
নিজের মৌলিক খরচ বাদে হজের মৌসুমী প্রয়োজনে খরচ এবং এই সময় পরিবারের ভরণপোষণ
প্রয়োজন খরচ জমা থাকলে হজ ফরজ হয়ে যায়। ঋণগ্রস্ত ব্যাক্তির ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধ
প্রধান্য পাবে।
আরো পড়ুনঃ
কাজা নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম জেনে নিন
ঋণ থাকলে এবং যে টাকা জমা আছে তা দিয়ে ঋণ ও হজ দুটোই আদায় করতে না পারলে হজ হবে
না। প্রয়োজনীয় খরচটুকু প্রয়োজনীয় খরচ বলতে আপনার অপচয় অপব্যয়বাদ দেওয়ার
কথা বোঝানো হয়েছে। একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য যে উপকার গুলো
সবচেয়ে বেশি দরকার।
সেগুলো তার মৌলিক প্রয়োজন তাই বাড়ি গাড়ি বিক্রি করে হজ করা ফরজ নয়। তবে
একাধিক বাড়ি গাড়ি থাকলে প্রয়োজনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং বাকিগুলো অতিরিক্ত
হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
হজ্জ ফরজ হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি
আপনারা কি জানেন হয় যে ফরজ হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি হজ ফরজ হলো কিন্তু কিছু
শর্ত রয়েছে। যে শর্তগুলো ফরজ হলে আপনাকে অবশ্যই হজ করতে হবে। হজ ফরজ হবার জন্য
পাঁচটি শর্ত রয়েছে যে শর্তগুলো যদি আপনার ওপর ফরজ হয় মিলে যায় তাহলে আপনাকে হজ
করা ফরজ হয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ
ঈদুল ফিতর নামাজ পড়ার নিয়ম
হজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভব যে পাঁচটি বিষয়ে ইসলামী মৌলিক ফরজ হজ সেগুলোর মধ্যে
অন্যতম। একজন সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য হজ করা ফরজ। যেসব মুসলিমরা আর্থিকভাবে
সামর্থ্যগণ তাদের উপর হট ফরজে তার জন্য আপনাকে জানতে হবে হজ্জ শর্ত।
হজ ফরজ হওয়ার শর্ত সমূহ:
- মুসলমান হওয়া।
- জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া।
- প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া।
- স্বাধীন হওয়া।
- সামর্থ্য থাকা।
উপরোক্তা এই সকল শর্তগুলো যদি আপনার উপর লাগব হয় তাহলে আপনার উপর হজ্জ ফরজ। অনেক
ক্ষেত্রে কারো উপর যাকাত ফরজ না হলেও হজ ফরজ হতে পারে। হজ ও যাকাতের ক্ষেত্রে
আর্থিক সামর্থ্য থাকা আবশ্যক। তবে হজ ও যাকাতের কিছু পার্থক্য রয়েছে যাকাতের
সঙ্গে নিসাব সম্পর্ক রয়েছে।
হজ্জ কখন ফরজ হয়
আপনারা কি জানেন হট কখন ফরজ হয় যখন আপনি হজ করতে হবে আপনার উপর হজ ফরজ হয়ে
যাবে। আজ ফরজ হওয়ার কিন্তু কয়েকটি শর্ত রয়েছে যে শর্তগুলো মিলে গেলে আপনার
অপরাহ হজ ফরদ হয়ে যাবে।ইসলামী ভিত্তি পাঁচটি জিনিসের উপর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ একথার সাক্ষ্য দেয়া, যথাযথভাবে নামাজ পড়া, যাকাত আদায়
করার, রমজান মাসে রোজা রাখা, কাবা শরীফে হজ্ব করা যদি সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য
থাকে (বুখারি:৮)।
আরো পড়ুনঃ
জুমার দিনের ৫টি আমল গুলো জানুন
ইসলামের ভিত্তি হওয়ার অর্থ হলো এগুলো ইসলামের মৌলিক ফরজ কাজ এগুলো সকলের উপর
ভালোভাবে আমল করা ফরজ। তবে আপনার ওপর হজ ফরজ কিনা তার জন্য আপনাকে জানতে হবে যে
কোন বিষয়গুলোর উপর হজ করা ফরজ।
অসুস্থ ব্যক্তি হজ: অসুস্থ ব্যক্তি যার সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাই সম্পদের মালিক ধনী
হলে তার ওপর হজ ফরজ হবে অবশ্যই রোগী যদি সেই জীবনের পর্যন্ত সুস্থ না হয় এবং
সুস্থ হওয়ার আশা না থাকে তবে হজ করার জন্য তাকে বলা হবে এবং তার ওপর হয়তো অসিয়ত
হবে হজের জন্য না করলে ওই ব্যক্তির গুনাহ হবে।
মাকবুল হজের শর্ত ৪টি : হজ্জে মকবুর বা মক বললো হজের জন্য চারটি শর্ত।
- বান্দার হক আদায় করে যাওয়া পিতা ইন্তেকালের পর যারা বোনদেরকে পৈতৃক সম্পদ বন্টন করে দেননি অবশ্যই তাদের হক বুঝিয়ে দিয়ে যাওয়া সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে যাওয়া।
- নিয়তকে খালেস করা। আল্লাহর ইউসুফ মোহাব্বতের জন্য যাওয়া দুনিয়াবি কোন গরজ না রাখা মানুষ হাজী বলবে এমন চিন্তা বা নিয়ম থেকে বিরত থাকা।
- হজের সফরে ইচ্ছাকৃত কোন গুনাহ না করা বিশেষ করে নারীরা অবশ্যই পর্দা করবেন আর পুরুষরা সেখানে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা-অসাধারণ সৌন্দর্যের নারীদের দিকে না তাকানো।
- হজ থেকে ফেরার পর আমাদের জিন্দেগী যেন আর আগের থেকে বেশি আখেরাতমুখী হয় ব্যবসা-বাণিজ্য কাজ কারবার যেন দিন থেকে গাফেল করতে না পারে।
- এই শর্তগুলো মানলে ইনশাল্লাহ আল্লাহতালা আমাদের হজ মাকবুল হজ দান করবেন।
হজ ফরজ হওয়ার শর্ত
আপনারা কি হট করতে চান এবং হট ফটোজ হওয়ার শর্ত সম্পর্কে জানতে চান যে আপনার উপর
হজ ফরজ হয়েছে কিনা আসলে হজ ফরজ হওয়ার জন্য পাঁচটি শর্ত মানতে হবে এই শর্তগুলো
যদি আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে আপনার উপর কিন্তু হজ ফরজ।
আরো পড়ুনঃ
ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময়
আজ ফরজ হবার জন্য যে শর্তগুলো রয়েছে সেগুলো একটি ব্যক্তির উপর যদি মিলে যায়
তাহলে কিন্তু তার ওপর অবশ্যই হজ ফরজ হয়। ইবাদতের মাঝে একমাত্র হজের ক্ষেত্রে
অর্থ ও শারীরিক শ্রম এর প্রয়োজন এবং সামর্থ্য থাকা জরুরি যার কারণে হজ করার
ক্ষেত্রে কিছু শর্ত মানতে হবে।
- মুসলমান হওয়া
- জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া
- প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার
- স্বাধীন হওয়া
- হজের নির্ধারিত সময়ে হজ আদায় করা
মধ্যম ধরনের ব্যয় হিসেবে সফরে ব্যয়বহনের সামর্থ্য থাকা যদি হজ পালনকারী মক্কা
শরীফে অবস্থান করেন তবুও।যারা মক্কা শরীফের বাইরে থাকেন তাদের জন্য হজ পালনে শর্ত
হলো মালিকানা বা ভাড়া সুত্রে স্বতন্ত্রভাবে একটি বাহন বা অন্য কিছু ব্যবহারের
সামর্থ্য থাকে যেমন আমাদের দেশে হাজিরা বিমান ব্যবহার করে থাকেন।
আরো পড়ুনঃ
লাইলাতুল কদরের নামাজের সময়
তবে কেউ যদি বিনিময় ছাড়া তার বাহন বা সাওয়ারি ব্যবহারের অনুমতি দেয় তাহলে তা
সামর্থ্য হিসেবে গণ্য করা হবে যারা মক্কার আশেপাশে অবস্থান করেন তাদের ওপর তখন হট
ফরজ হয়।যখন তারা কষ্ট সহ্য করে নিয়ে শক্তি পায়ে হেঁটে হজ করতে পারে।
কিন্তু হাঁটতে সক্ষম না হলে অধিবাসী হোক বা না হোক তার জন্য অবশ্যই বাহনের
প্রয়োজন হবে।অমুসলিম দেশে ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তির হজ ইসলামের একটি রুকুন (ফরজ)
একথায জানা থাকা বা সে ব্যক্তি মুসলিম দেশের অধিবাসী।
হজ কত হিজরীতে ফরজ হয়
আপনারা কি হজ কত হিজরীতে খরচ হয় সে সম্পর্কে জানতে চান হজ করতে হয় তাদের জন্য
জানাবো হজ কত হিজরীতে ফরজ হয়। ইসলামী হওয়ার যোগ্য স্তম্ভের একটি হিজরী নবম
বর্ষের সর্বপ্রথম হজ ফরজ হওয়ার বিষয়ে আল্লাহর হুকুম জারি হয় সব যুগের সকল
ওলামায়ে কেরামরা এই ব্যাপারে ঐক্যমত্য।
নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হজের প্রথম সফরে আমির নিযুক্ত করেন এ তার প্রিয় সাহাবী
হযরত আবু বকর (রা:) কে। নবম হেঁটে দিতে যখন হজের মৌসুম আসলো তখন আল্লাহর রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বকর (রা.) কে হজ কাফেলার আমির বানিয়ে
পাঠালে। সেবারের হজ কাফেলার মোট ৩০০ মুসলিম অংশ নিয়ে থাকে এর আগে মুসলমানদের ওপর
হজ ফরজ ছিল না।
আরো পড়ুনঃ
জুমার দিনের ১৫ টি আমল
বকর (রা:) সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে হজের সফরের রওনা হওয়ার পর আল্লাহর রাসূল
সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর উপর সূরা তাওবাহ অবতীর্ণ হয়। ওই চুলায় মুসলিমদের
সাথে থাকা শান্তি চুক্তি তারা ভঙ্গ করতে পারে আল্লাহ তায়ালা প্রিয় হাবিব
সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে সেই ব্যাপারে সতর্ক করেন এবং নির্দেশ করে দেন আজকের
পর থেকে মুশরিকরা হারাম শরীফের সীমানায় প্রবেশ করতে পারবে না এবং কেউ যেন হারাম
মাসগুলোতে যুদ্ধের আশঙ্কা না করে।
সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম হযরত আলী (রা:) কে ডাকলেন এবং বললেন সূরা তাওবাহ্বজ
বিষয়ে যে বিধান ঘোষণা করা হয়েছে তা মুসলমানদের জানিয়ে দাও তখন আলী (রা:)
মিনায় সমবেত মুসলমানদের মধ্যে মুশরিকদের ব্যাপারে পবিত্র কুরআনের সিদ্ধান্ত
ঘোষণা করে দিলেন।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর নির্দেশে সেদিন তিনি নিজে ভাষণ
দিয়েছিলেন তাতে তিনি বলেছিলেন, কোন কাফের জান্নাতে প্রবেশ করবে না, আজকের পর কোন
মুশরিক হজ করতে পারবে না, বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করতে পারবেনা। মুশরিকদের সাথে
মুসলমানদের শান্তি চুক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত বাহল ছিল যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তা ভঙ্গ
করেনি।
শেষ কথা।কত টাকা থাকলে হজ ফরজ হয়।হজ্জ কাদের উপর ফরজ
প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে
ইতিমধ্যে জানতেও বুঝতে পেরেছেন কত টাকা থাকলে হজ ফরজ হয় এবং হজ্জ কাদের উপর
ফরজ।আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ে আপনি এতক্ষণে নিশ্চয়ই সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন কত
টাকা থাকলে আপনার জন্য হজ খরচ হবে।যদি হজ করার মতন মহান আল্লাহ তা'আলা আপনাকে
তৌফিক দান করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য হজ ফরজ।
আরো পড়ুনঃ
আজকে আরবি মাসের কত তারিখ জেনে নিন
আর এই ফরজ হজ যত দ্রুত সম্ভব আপনার সামর্থ্য থাকলে তা আদায় করুন।নিশ্চয়ই মহান
আল্লাহ তায়ালা আপনার হজ কে কবুল করবেন ইনশাল্লাহ।আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ে
আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে
দিন।এছাড়াও আপনি যদি ইসলামিক আরও তথ্য করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে
আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url