অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় - কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে

প্রিয় পাঠক আপনি কি এই অতিরিক্ত গরমে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছেন?অতিরিক্ত গরম থেকে রেহাই পাবেন কিভাবে তা বুঝতে পারছেন না।আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় এবং কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে এ বিষয় সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।আপনি যদি অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে চান তবে আমাদের পোস্টটি পড়ে জেনে নিন অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় ও কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে এ বিষয় সম্পর্কে।
অতিরিক্ত-গরম-থেকে-বাঁচার-উপায়
সাথে আপনি আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন পেট ঠান্ডা রাখার সবজি, অতিরিক্ত গরমে কি কি রোগ হয়, পেট ঠান্ডা রাখার ঘরোয়া উপায় এবং শরীর গরম হলে ঠান্ডা করার উপায় সম্পর্কে।তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় ও কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে এ বিষয় সম্পর্কিত সকল তথ্য।
পোস্ট সূচিপত্র:অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়।কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে

ভূমিকা।অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়।কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে

গ্রীষ্মকালের প্রথম দিকে তেমন একটা গরম অনুভূত না হলেও বৈশাখ মাসের শুরুর দিকেই তাপমাত্রার বেড়েছে ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি পর্যন্ত।আবহাওয়া অফিস থেকে জানা হয়েছে আগামী দিনগুলা তাপমাত্রা এমন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।তাই এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদ থাকলে হিট স্টোক হতে পারে।তাই এমন অতিরিক্ত গরম থেকে কিভাবে রেহাই পাবেন তা আপনাকে জানতে হবে।
আপনি নিশ্চয়ই অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় এবং কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে এমন বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য অনলাইনে সার্চ করে তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন। তাই আমরা নিয়ে এসেছি আপনাদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় ও কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে এ বিষয় সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।
এছাড়াও আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করতে চলেছি অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয়, শরীর গরম হলে ঠান্ডা করার উপায়, পেট ঠান্ডা রাখার ঘরোয়া উপায় এবং অতিরিক্ত গরমে কি কি রোগ হয় এ বিষয়ে সম্পর্কে।হতে পারে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য অনেক উপকারী।তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলে আলোচনার মূল বিষয় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে

আপনারা কি জানেন কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে ফোন সকল খাবার খাওয়ার ফলে শরীরটা ঠান্ডা হবে। যখন অতিরিক্ত গরম পরে তখন কিন্তু এই গরম থেকে বাঁচার জন্য এমন কিছু খাবার রয়েছে। যে খাবারগুলো খেলে আপনার শরীরটা ঠান্ডা থাকবে। শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য খেতে হবে সর্বপ্রথম শসা, তরমুজ, ডাবের পানি, টমেটো, তালের শাশ, কাঁচা পাকা আম, তেতুল, কাঁচা পেঁয়াজ, টক দই, পুদিনা পাতা, সবুজ সবজি শাক ইত্যাদি।
আপনারা সবজির মধ্যে লাউ, চিচিংগা, ঝিঙ্গা, ধুন্দল জালি, কাঁচা পেঁপে ইত্যাদি সবজি খেতে পারেন। অতিরিক্ত গরম হলে নিরামিষ তরকারি বা সবজি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত তাহলে শরীর ঠান্ডা থাকে। বেশি গরমে শারীরিক সমস্যা হওয়া ছাড়াও দীর্ঘ স্থায়ীভাবে কিডনি রোগ, ফুসফুসের রোগ, হৃদরোগ, চর্মরোগ ইত্যাদি হতে পারে। এই জন্য শরীরকে যতটা সম্ভব ঠান্ডা রাখা জরুরী খেতে হবে কম তেল মসলাযুক্ত খাবার।

ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বিশুদ্ধ নিরাপদ পানি সঙ্গে রাখতে হবে এবং আইসক্রিম ও কোমল পানীয় পানি শূন্যতা বাড়িয়ে দেয় এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তেতুলে শরবত বেশ কাজ করে শরীর ঠান্ডা রাখতে তবে খুব বেশি বরফ দিয়ে পানিও পান না করাই ভালো এতে শরীর আরো গরম হয়ে যায়।

অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়

আপনারা কি অতিরিক্ত গরমে অতিষ্ঠ এবং অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? যারা অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণে গরম থেকে বাঁচতে চান তাহলে জানতে হবে গরম থেকে বাচার উপায় সম্পর্কে।তাই আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় গুলো।
গ্রীষ্মকালের প্রথম দিকে তেমন গরম না লাগলে জ্যৈষ্ঠর সাথে সাথে শুরু হয়ে যায় দাবুদা ও এখনই চলছে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এরকম গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিংস্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকে আরো বেশি হয়।
অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় সমূহ :
  • পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পড়ুন।
  • বাড়ির বাইরে থাকার সময় সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
  • শরীরে পানি শূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি ও শরবত পানি পান করতে হবে।
  • স্যালাইন পানিতে থাকা সোডিয়াম পটাশিয়াম ও চিনি শরীরকে সচিব রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর দীর্ঘ সময় গরমে থাকলে স্যালাইন পান করুন।
  • গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তৈরি তাজা জুস পান করুন।
  • মাংস এড়িয়ে বেশি করে ফল ও সবজি খান।
  • সবসময় ছাতা বা টুপি সাথে রাখুন।
  • প্রসবের রং খেয়াল করুন প্রসাব গাঢ রং পানি সল্পতার লক্ষণ।
  • ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকরক রাশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
  • চেষ্টা করুন যেন দিনে কম বাইরে যেতে হয়।
উপরোক্ত সকল উপায় গুলো আপনি যদি মেনে চলেন তাহলে একটু হলেও গরম আপনার কম লাগবে এবং এই অতিরিক্ত গরমে নিজের শরীরের যত্ন নিতে হবে। আশা করি সবাই সুস্থ থাকবেন এই গরমে নিজেকে সুস্থ রাখতে চেষ্টা করবেন নিজের শরীরের যত্ন নিতে।

পেট ঠান্ডা রাখার সবজি

বৈশাখ মাস এবং গ্রীষ্মকাল চলে এসেছে এই সময় অতিরিক্ত গরমে কিন্তু আমরা অতিষ্ঠ হয়ে যায়। এই গরম থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য পেট ঠান্ডা রাখার যে সবজিগুলো রয়েছে সেগুলো খেয়ে কিন্তু একমাত্র উপায় শরীর সুস্থ রাখার। অতিরিক্ত গরমে মাত্র কয়েকটি কাজ করলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে তাই পেট ঠান্ডা রাখার সবজি যেগুলো রয়েছে সেই সবজিগুলো যদি আপনি খান তাহলে আপনার পেটো ঠান্ডা থাকবে।
পেট ঠান্ডা রাখার জন্য যে সবজিগুলো সবচেয়ে বেশি কার্যকরী তার মধ্যে রয়েছে চাল কুমড়া, ধুন্দল, পটল, পেঁপে,লাউ ইত্যাদি সবজির তরকারি। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া এবং ডুবো তেলে ভাজা খাবার খাওয়ার ফলে কিন্তু আপনার আরও বেশি গরম লাগবে এই জন্য এই সময় এড়িয়ে চলতে হবে এবং ঠান্ডা জাতীয় সবজি এবং ফলমূল খেতে হবে।

অতিরিক্ত গরমে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে শরবত খেতে হবে। তবে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে অতিরিক্ত শরবত পান না করে বেশি পানি পান করুন। অতিরিক্ত গরমে প্রয়োজনীয় পানিও হল বেলের শরবত বেল ফাইবার ও পুষ্টিতে পরিপূর্ণ পরিপাক ক্রিয়াকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি এই পানীয়টি সুরক্ষিত রাখবে হিট স্ট্রোক থেকে। এসব পানীয় পান করার অভ্যাসের পাশাপাশি দায়ের থেকে বাদ দিতে হবে কোল্ড ড্রিংস আর আইসক্রিমকে।

অতিরিক্ত গরমে কি কি রোগ হয়

গ্রীষ্মকালের অতিরিক্ত গরম থেকে কেউ নানা রকমের রোগের সৃষ্টি হয় এই অতিরিক্ত গরমে কি কি রোগ হয় সে সম্পর্কে আপনারা কি জানেন? যারা গ্রীস মেয়েরা অতিরিক্ত গরমে অতিষ্ঠ তাদের জন্য আজকে আমরা জানাবো যে অতিরিক্ত গরমে কি কি রোগ হয় এবং এই রোগ থেকে বাঁচতে হবে আপনাদের সকলকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন গরমে যে মারাত্মক পাঁচটি রোগ হয়। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হিট র‍্যাশ, হিট স্ট্রোক, ইলেকট্রোলাইটসের অভারসাম্য, অ্যাজমা এবং শরীরের ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়া বা কমার মত সমস্যা দেখা দেয়। গরমে রমজান মাস পরে যাওয়ার কারণে কিন্তু এই ঝুঁকি গুলো আরো বেশি বেড়ে যায়। তাই এসব রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে অবশ্যই শরীরকে সবসময় হাইড্রেট রাখতে হবে।

অতিরিক্ত গরমের সময় আপনাদের শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। যা শরীরটা অনেকটা ক্লান্ত করে তোলে তাই এই সময় ফিট থাকতে আপনি পানীয় হিসেবে বেছে নিতে পারবেন। কাঁচা আমের জুস, ডাবের পানি ও বেলের শরবত। কাঁচা আমের জুস অনেকটাই ঠান্ডা রাখে শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলতে এটি বাধা প্রদান করে আর ডাবের পানি সব পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। শরীরের পানি ও পুষ্টির চাহিদা একসঙ্গে পূরণে এই পানীয় জুড়ি নেই।

পেট ঠান্ডা রাখার ঘরোয়া উপায়

আপনারা পেয়ে ঠান্ডা রাখার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন অতিরিক্ত গরমে কিন্তু অনেক সময় পেট খারাপ হয়ে যায় এই পেটকে ঠান্ডা রাখার জন্য কোন সকল ঘরোয়া উপায় রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আপনার হয়তো জানা নেই। চলুন জেনে আসি পেট ঠান্ডা রাখার ঘরোয়া উপায় গুলো।
ঘরোয়াভাবে পেট ঠান্ডা রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই যে সকল খাবার গুলো শরীর সুস্থ ও তরতাজা রাখে এবং ঠান্ডা রাখে পেটকে সেই খাবারগুলো খেতে হবে। আপনার পেটকি মাঝেমধ্যে গরম হয়ে যায় এর পেছনে কারণ কি থাকতে পারে। এর সমাধানই বাকি এই সম্পর্কে অনেকেই নানা রকমের চিন্তা করে পেট গরম হয়ে যাওয়ার সমস্যা সাধারণ এটা হতেই পারে এমন সমস্যা দেখা দিলে বিচলিত না হয়ে ঘরোয়া ভাবে সমাধান করুন।
কলা: কলা হলো উপকারী ফল শুধু পুষ্টিগুণী সমৃদ্ধ নয় এটি আপনার পেটের জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি দিতে পারে কলা পাকস্থলের অম্লতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি ঠান্ডা ও আরামদায়ক রাখতে বিশেষজ্ঞরা পেট ঠান্ডা রাখতে নিয়মিত কলা খেতে বলেন।

শসা : বাড়িতে সব সময় শসা থাকে এই শশাটি আপনি ডাইটের পাশাপাশি আপনার পেট ঠান্ডা রাখতে ও খুবই কার্যকারী উপাদান হবে। কারণ শসা উচ্চ জলীয় উপাদান এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি সবজি এটি পেট গরম হলে তা ঠান্ডা করার জন্য দুর্দান্তভাবে কাজ করে। শসা ফাইবার সমৃদ্ধ যা হজমে উন্নতি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। শসা খেলে তা সব সময় আপনার শরীরকে হাইডেড রাখতে কাজ করবে।

দই: দই এর প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে দইয়ের পেট ঠান্ডা করার মত উপকারী উপাদান রয়েছে। দই পেটের তাপ কমানোর একটি নিশ্চিত উপায়। দইয়ের প্রোবায়োটিক বৈশিষ্ট্য পেটের উপকারের জন্য বিখ্যাত। এটি দ্রুত অম্বল উপশম করে দই খালি খান বা গরম ভাতের সঙ্গে মিশে এখানে এটি আপনার পেটকে প্রশমিত করতে একটি নির্ভরযোগ্য সহযোগী।
ডাবের পানি: ডাবের পানি খেলে আপনার শরীরে একটি প্রাকৃতিকভাবে শীতলতা অনুভব করবেন। ডাবের পানি ভিটামিন খনিজ এবং ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ এটি আপনার শরীরকে ভালোভাবে হাইড্রেট রাখে কার্যকর ভাবে তাপের চাপ কমায়।

বাটারমিল্ক: বাটার মিল্ক অনেক জায়গায় মসলাদার খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় এটি পেটকে প্রশমিত করতে বিস্ময়কর ভাবে কাজ করতে পারে। বাটারমিল্ক খেলে তা কেবল আপনার শরীরকে শীতল করে না বরং আপনার বিপাককেও উন্নত করে। এই প্রোবায়োটিক- সমৃদ্ধ পানীয় প্রয়োজনে ভিটামিন এবং খনিজের একটি সমৃদ্ধ উৎস যা আপনার শরীরকে শক্তি যোগায় এবং পেটের তার থেকে মুক্তি দেয়।

শরীর গরম হলে ঠান্ডা করার উপায়

আপনারা কি জানেন শরীর গরম হলে ঠান্ডা করার উপায় সম্পর্কে এই অতিরিক্ত গরমে কিন্তু অনেক সময় শরীর গরম হয়ে যায় যার ফলে শরীর ঠান্ডা করার জন্য কি করা দরকার এই সম্পর্কে অনেকেরই জানার ইচ্ছা থাকে। খাবারে অনীহা ঘুমিয়ে ব্যাঘাত আর সারাদিনের ক্লান্ত লাগা এই তিনটি উপসর্গী গরমের খুব স্বাভাবিক কেন খুব গরম পড়লে আমাদের খাওয়ার আগ্রহ বা ইচ্ছা কমে যায়।
প্রচন্ড গরমে এমনিতে শরীরে প্রচুর তাপ উৎপাদন হয় খাবার থেকে যে বিপাক জনিত তাপ উৎপন্ন হওয়ার কথা তার প্রয়োজন আর অনুভূত হয় না। শরীরে তাপ উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার জন্য খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায় তাছাড়া এই সময় আমরা প্রচুর পরিমাণে পানি পান করি বলে ক্ষুধা ও মরে যেতে থাকে কিন্তু গরমের সঙ্গে লড়াই করতে হলে দরকার প্রচুর শক্তি না হলে সারাদিনের পরিশ্রম ও দুর্বলতা আরো বেশি বেড়ে যাবে ।
পানি: সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে মনে রাখবেন এই গরমে তাপমাত্রা যখন ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রি ফরেনহাইট করছে তখন শরীরে প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে আড়াই লিটার পানি হারাচ্ছেন। পানি শূন্যতার জন্য সব সময় ঘাম হবে তা নয় ঘাম ছাড়াও উচ্চমাত্রায় ত্বক এমনিতে পানি হারাতে থাকে যাকে বলে ইনসেনসিবল লস।

এই পানির ঘাটটি পূরণ করতে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার বা ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করতে হবে। পানির অভাব পূরণ করতে পানি সবচেয়ে উত্তম হতে পানীয় জাতীয় সকল খাবার যেমন ফলের রস, জুস,ডাবের পানি, স্মুদি ইত্যাদি পান করতে পারেন।

ফলমূল: কিছু টর্চার যা ফল পানি শূন্যতা দূর করতে ও শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এই জন্য আমাদের পানি চাহিদার ব্রিজ থেকে ৩০ শতাংশ পূরণ করে খাবার। এই গরমে এমন খাবার বেছে নিতে হবে যাতে জলীয় অংশ বেশি যেমন শসা, লাউ ইত্যাদি। শশা দিয়ে শুধু পানি শূন্যতা দূর করে তাই নয় শরীরকে দ্রুত ঠান্ডা করে এই সময় সশা আস্ত কেটে সালাত করে বা জুস করে খেতে পারেন।

তরমুজ বাঙ্গি জাতীয় ফলে প্রায় ৭০ শতাংশ পানি এগুলো খেলে পানির সঙ্গে বাড়তি পাবেন পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন বি যা আপনাকে শক্তি যোগাবে। সবুজ শাকসবজি গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে যেমন পালং শাক, পুঁইশাক, পুদিনা, লেটুস পাতা, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি। এ সময় দুপুরে বার রাতের খাবার সালাদ অবশ্যই রাখবেন।
লেবু খাবারের সঙ্গে লেবুর পানি হিসেবে লেমন করে বা সালাতের মধ্যে দিয়ে খেতে পারেন লেবুর ভিটামিন সি এই গরমে ত্বকে সতেজ রাখতে পারে।
প্রোট্রিন: দই, টক দই, দইয়ের তৈরি লাথথি মাথায় ইত্যাদি শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে পানি শূন্যতা পূরণ করার পাশাপাশি ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। এছাড়াও এগুলো অন্তরের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়ায় এবং হজম করায় গরমে শর্করা বা চর্বি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত তাপ উৎপাদন করে।
মাঝে আমি ছাড়া আছে উপকারী ফাটি এসিড যা শক্তি যোগাবে। প্রচন্ড গরমে মাছের সঙ্গে নানা ধরনের সবজি যেমন লাউ, চাল কুমড়া, কাঁচা কলা, পটলের ঝোল দিয়ে রান্না করলে এ জাতীয় খাবারে জলীয় অংশ বাড়বে শরীর ঠান্ডা থাকবে।

অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয়

যখন অতিরিক্ত গরম হয় তখন কিন্তু বিভিন্ন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আমাদের অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয় সেগুলো কি আপনারা জানেন। যারা অতিরিক্ত গরমে থাকে তারা কিন্তু এই সমস্যাগুলো সম্পর্কে আগে থেকে জেনে আছে। চলুন জেনে আসি অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয়।
তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি পানি শূন্যতা দেখা দেয়।
অতিরিক্ত গরমের কারণে কিন্তু অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায় শরীর থেকে সেই সাথে বাতাসের আদ্রতা কম থাকার কারণে শরীর দুটো পানি শূন্য হয়ে পড়ে।তীব্র গরমে অনেক সময় শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যাও দেখা দেয় প্রচন্ড গরমে মানুষের মেজাজ ছিটপটে হয়ে যায়।অতিরিক্ত গরমের কারণে কিন্তু হিট স্ট্রোক রোগের বেশি সম্ভাবনা থাকে। তার জন্য যারা অতিরিক্ত রোদে থাকার কারণে হিট স্ট্রোক হতে পারে।
  • শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়
  • দ্রুত হ্রদ স্পন্দন এবং দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস নিতে হয়।
  • বিভ্রান্তি এমন কিছু নিয়ম হতে পারে এলোমেলো আচরণ
  • ত্বকে ফুসকুড়ি অতিরিক্ত ঘাম /ঘুম না হওয়া।
  • অবচেতন হয়ে যাওয়া
  • তীব্র মাথা ব্যাথা বমি বমি ভাব
  • মাংসপেশী দুর্বলতা হয়।
উপরোক্ত সকল লক্ষণগুলো যদি দেখা দেয় তাহলে বুঝতে পারবেন অতিরিক্ত গরমের কারণে এই সকল সমস্যা আপনার দেখা দিচ্ছে। গরমে সময় অবশেষে তো থাকতে আপনাকে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে এবং ঠান্ডা থাকা যায় এমন অবস্থায় থাকতে হবে।

শরীর গরম হওয়ার জন্য খাওয়া উচিত

শরীর যখন গরম হয়ে যায় তখন কি খাওয়া উচিত এই সম্পর্কে আপনারা কি জানেন অতিরিক্ত গরমের ফলে শরীর কিন্তু গরম হয়ে যায় সেই সময় কোন খাবারগুলো খেলে শরীর ভালো হবে।
শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত চলুন জেনে নেয়া যাক :
  • সুপ সুপ তৈরিতে প্রচুর পরিমাণে সবজি ব্যবহার করা হয় এবং শরীরকে ভেতর থেকে উষ্ণ রাতে সহায়তা করে।
  • দিনের শুরুতে ওটমিল গরম যাও ভাত ও গোটা গমে তৈরি খাবার খাওয়া উপকার এমনকি মাঝেমধ্যে পিজ্জা পাস্তা খাওয়া শরীরকে উষ্ণ রাখে।
  • বিভিন্ন রকম মৌসুমী ফল খেলে কিন্তু আপনার শরীরের জন্য উপকারী কলা, স্ট্রবেরি, আপেল, পেঁপে, বেল, ডালিম ইত্যাদি দেহে ভালো প্রভাব ফেলে।
  • শুকনা ফল ও বাদাম যেমন কাঠবাদাম কাজুবাদাম আখরোটি ইত্যাদি খুব ভালো চর্বির উৎস এগুলো শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
এছাড়াও ডুমুর খেয়েদুর জলপাই ইত্যাদি সাধারণত শীত প্রধান অঞ্চলের মানুষরা খেতে পারেন খেজুরের লোহার ভালো উৎসব এবং গরম ভেষজ পানির সাথে খেজুর যোগ করে খাওয়া উপকারী।শরীরে তাপমাত্রা বাড়াতে মসলা বেশ উপকারী।
তাই বিভিন্ন রকমের মসলা ব্যবহার করা হয় রান্নায় যেমন আদা, রসুন, জিরা, মরিচ, তিল, দারুচিনি।আমি সব জাতীয় খাবার শীতকালে দেহে তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং এটি খাওয়ার অনেক উপকারী এটা বিপাক বৃদ্ধির মাধ্যমে দেহের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে এবং লৌহ প্রোটিন সরবরাহ করে।

শেষ কথা।অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়।কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে

প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় এবং কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে এ বিষয় সম্পর্কিত সকল তথ্য।এছাড়াও আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ে অতিরিক্ত গরমে কি কি রোগ হয়, পেট ঠান্ডা রাখার ঘরোয়া উপায় এমন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকারী বলে মনে হলে আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করুন।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন এছাড়াও আপনি যদি এমন ধরনের আরো পোস্ট পড়তে চান তবে আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে রাখুন।সবার আগে আপডেট আর্টিকেল পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url