এসি চালানোর সঠিক নিয়ম - এসির রিমোট ব্যবহারের নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনি কি এসি চালানোর সঠিক নিয়ম এবং এসির রিমোট ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে অনলাইনে সার্চ করে তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আলোচনা করতে চলেছি এসি চালানোর সঠিক নিয়ম ও এসির রিমোট ব্যবহারের নিয়ম এ বিষয় সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।এসি চালানোর সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
এসি-চালানোর-সঠিক-নিয়ম
কেননা আজকের আর্টিকেলের মধ্যে এসি চালানোর সঠিক নিয়ম এবং এসি সবচেয়ে সাশ্রয় তাপমাত্রা কত এ বিষয় ছাড়াও এসি সম্পর্কিত আরও তথ্য আলোচনা করতে চলেছি।যেমন এসির তাপমাত্রা কত রাখা উচিত, এসির রিমোট ব্যবহারের নিয়ম, সম্পর্কে।তাই আপনি যদি এসি চালানোর সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আর্টিকেল সূচিপত্র:এসি চালানোর সঠিক নিয়ম এসির সবচেয়ে সাশ্রয় তাপমাত্রা কত

ভূমিকা। এসি চালানোর সঠিক নিয়ম।এসির রিমোট ব্যবহারের নিয়ম

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় রৌদ্রের তাপমাত্রা তাপ প্রবাহ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪২/৪৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত পড়ছে।এ তাপমাত্রার সাথে মানুষ প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছে।কিন্তু সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা গ্রীষ্মকালের গরম থেকে বাঁচার জন্য এসি ব্যবহার করছেন।অনেকেই আবার গরমে তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে বাসায় নতুন এসি সংযুক্ত করছেন।কিন্তু আমরা অনেকেই এসি চালানোর সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানিনা।
যার জন্য আপনারা অনলাইনে সার্চ করে এসি চালানোর সঠিক নিয়ম সম্পর্কে এবং এসির সবচেয়ে সাশ্রয়ের তাপমাত্রা কত ও এসি রিমোট ব্যবহারে নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।তাইতো আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় যা আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আমরা সুন্দরভাবে আলোচনা করতে চলেছি।
আপনাদের সুবিধার্থে এসি চালানোর সঠিক নিয়ম সম্পর্কিত সকল তথ্য নিয়ে।এছাড়াও আপনি এসির বিদ্যুৎ বিল হিসাব এবং এসি ব্যবহারের অপকারিতা হয়েছে তাপমাত্রা কত রাখা উচিত এমন সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এসির তাপমাত্রা কত রাখা উচিত

বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্য মাসের শুরু হয়েছে সাথে গ্রীষ্মকালের এই গরমে মানুষ কিন্তু অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে যার ফলে কিন্তু এখন বাসা বাড়িতে এসি ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে এসির তাপমাত্রা কত রাখা উচিত সে সম্পর্কে কি আপনারা জানেন। যারা নতুন এসি ব্যবহার করছে তাদের কিন্তু জেনে রাখা দরকার এসির তাপমাত্রা সম্পর্কে।

গরমকালে এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এর তাপমাত্রা সম্পর্কে সতর্কতা থাকতে হবে এই কারণে অনেক সময় যখন আমরা ফ্যান বা এসি ব্যবহার করি তার সঠিক নিয়ম না জানার কারণে বিভিন্ন রকমের দুর্ঘটনা ঘটে আবার বিদ্যুৎ দিল বেশি আসে। এসি চালানোর সময় মানুষ ভুলে যায় যে আবহাওয়া অনুযায়ী শরীর যেন প্রয়োজনীয় আরাম টুকু পায় রাতে গভীর ও শান্তির ঘুম চাইলে ঘরে তাপমাত্রা ঠিক রাখতে হবে।
এতে তাপমাত্রা কত হওয়া উচিত ঘুমের জন্য সেরা এসির তাপমাত্রা বিশেষজ্ঞরা বলছেন ১৫ বছর বয়সে কম শিশুদের ঘরে এসির তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখলে তারা শান্তিতে ঘুমাতে পারবে। শিশুরা খুব গরমের পাশাপাশি ঠান্ডা অনুভব করবে এমন অবস্থায় শিশুদের ঘরের তাপমাত্রা যদি ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় তাহলে আপনারা আরামে ঘুমাবেন।

প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ঘরের এসির  তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়া উচিত এই তাপমাত্রায় ঘুম ভালো ও আরামদায়ক হয়।এসির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে রাখলে অতিরিক্ত ঠান্ডায় অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বয়স্কদের জন্য ঘরে এসির আদর্শ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়া উচিত।

যে বয়স্ক ব্যক্তিরা তুলনামূলক বেশি ঠান্ডা অনুভব করেন তাই তাদের ঘরে তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। এসে চালানোর সময় খেয়াল রাখবেন যাতে আপনারা অবশ্যই এতে একটি টাইমমার্স সেট করে নিন নতুবা সকালে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণেও স্বাস্থ্যের সমস্যা হতে পারে।

এসি চালানোর সঠিক নিয়ম

প্রচন্ড গরমে কিন্তু প্রায় বাসা বাড়িতে এসে ব্যবহার করা হয় কিন্তু এসি ব্যবহারে সঠিক নিয়ম না জানার কারণে কিন্তু নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এসি চালানোর সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে আমরা কিছু টিপস দিব যা জেনে আপনারা কিন্তু এসি সঠিক নিয়মে চালাতে পারবেন। ঘর দুটো ঠান্ডা করতে এসির বিকল্প নেই।
এই সীতা তাপ নিয়ন্ত্রিত জন ত্রুটিকে চালানো সঠিক নিয়ম অনেকেরই অজানা রয়েছে ফলে একদিকে যেমন বাড়ছে বিদ্যুৎ বিল অন্যদিকে রুম ঠান্ডা হতে সময় লাগছে।

স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন: আপনারা অনেকেই ভাবেন  যে এসির তাপমাত্রা ন্যূনতম সেট করলে ঘর কি দ্রুত ঠান্ডা হয়? আসলে এটি ভুল ধারনা। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী ২৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় একজন ব্যক্তির জন্য সঠিক তাই আপনার এসির তাপমাত্রা এবং বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।

নিয়মিত এসি সার্ভিসিং করুন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ নিয়মিত এসি সার্ভিসিং করতে হবে। অনেকেই টাকা বাঁচানোর জন্য এইচএস সার্ভিসিং করার নাই এবং পদে তাদের এসি ধিরে ধীরে খারাপ হতে থাকে। এমনটা করলে কিন্তু আপনার ঘর ঠান্ডা করতে একটা এসির বহুক্ষণ সময় লেগে যেতে পারে।

এসি ফিল্টার পরিষ্কার করুন: সিজনে একবার বা দুইবার এসি সার্ভিসিং করা যেতে পারে তবে এসির ফিল্টার পরিষ্কার করা উচিত। প্রতি মাসে তাদের মধ্যে খুব বেশি ময়লা জমে যার ফলে এসির ফিল্টার গুলোতে ময়লা আটকে যায় এবং এরপরে এসির ফিল্টার গুলোর সহজে কাজ করে না এবং সঠিকভাবে ঠান্ডা হয় না। এর ফলে মেশিনের জন্য রুম ঠান্ডা করা খুব কঠিন হয়ে যায়। তার থেকে ও বড় কথা হল বেশি বিদ্যুৎ ও খরচ হয়। তাই আপনার এসির ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত।

দরজা জানালা বন্ধ রাখুন: এসির শীতলতা বৃদ্ধির করতে ঘরের জানালা এবং দরজা বন্ধ করে রাখতে হবে।এই কৌশলে ব্যবহারে দ্রুত ঘর ঠান্ডা হয় এবং এতে আপনার ইলেকট্রিক বিল ও কম আসে। এসির উপর খুব বেশি চাপ পড়ে না।
এসি মোড এক্সপ্লোর করুন: আপনার এসি ইউনিটে বেশ কিছু মোড দেওয়া আছে। অনেক উন্নত এসি ৮০ শতাংশ, ৬০ শতাংশ বা ২৫ শতাংশ দক্ষতার বিভিন্ন মোড অফার করে। তারা কম বিদ্যুৎ খরচ করে এগুলো ব্যবহার করে বিদ্যুতের বিল কমাতে আরো ভালো বিকল্প হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।

এসির রিমোট ব্যবহারের নিয়ম

এশিয়া মুনি একটি জিনিস আর কিন্তু রিমোট রয়েছে এসির রিমোট ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে যারা জানেন না। তাদের কিন্তু আজকের আমাদের পোস্ট থেকে জানতে পারবেন। এসির রিমোট ব্যবহারের নিয়ম গুলো কারণ অনেকেই এসিড রিমোট ব্যবহারে সঠিক নিয়ম না জানার কারণে ভুল করে থাকেন।
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক নামিদামি এসির ব্র্যান্ড রয়েছে প্রত্যেক ব্র্যান্ডের এসিড নিয়ন্ত্রণ করতে হয় রিমোট ফাংশানের মাধ্যমে কম বাজেট এর মধ্যে ভালো মানের ইনভার্টার এয়ারকন্ডিশনার চালাতেও রিমোটের বিকল্প নেই। রিমোটের ফাংশন প্রায় একই রকমের হয়ে থাকে এসির বা এয়ারকন্ডিশনারের চলুন জেনে আসি তাহলে রিমোট ব্যবহারের নিয়ম।

On/off Button:  প্রথমে আপনি অন অফ বাটন মোটে এই বাটনটি দিয়ে আপনি এসি বন্ধ এবং চালু দুটো কাজ করতে পারবেন অর্থাৎ এটি হচ্ছে আপনার এসির কন্ট্রোলার প্যানেল।

+/- Button: এরমধ্যে এসির তাপমাত্রা বাড়াতেও পারবেন চাইলে কমাতেও পারবেন সাধারণত এসিতে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১৫.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে এবং আপনি কন্ট্রোল বার্ডে থাকা এই মুডের মাধ্যমে সহজে এটিকে বাড়াতে ও কমাতে পারবেন যা অটো কন্ট্রোলার বারে সম্ভব হয় না। এছাড়াও আপনি এই মুডে সাহায্যে কয় ঘন্টার জন্য তাপমাত্রা কমাতে যাচ্ছেন তার এলার্ম সেট করে রাখতে পারবেন এর জন্য আপনাকে হয় প্লাস অথবা মাইনাস বাটনে যেকোনো একটি বোতাম প্রেস করতে হবে।

Heat Button: এই বাটন এর মাধ্যমে আপনার এসির ঠান্ডা হাওয়া গরমে পরিণত হবে এবং এর ফলে এসির তাপমাত্রা আপনি শীতকালে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

Feel Button: একজন ব্যবহারকারী যখন এই মুডে চাপ দেন তখন এসির কন্ট্রোলার বার তার ঘরের বহমান তাপমাত্রাকে সহজে চিহ্নিত করে ফেলে আর যার কারণে আপনার ঘরের সহনশীল তাপমাত্রা অনুযায়ী ac control প্যানেলেও একজন ব্যক্তির আনন্দযোগ তাপমাত্রা প্রদান করে থাকে। এর ফলে আপনি আপনার শরীরের রিলাক্সেশন অনুযায়ী তাপমাত্রা এই এসির মাধ্যমে অনুভব করতে পারেন।

এর পাশাপাশি ও আই ফিল বাটন দিয়ে আপনি আপনার ঘরে সহনশীল তাপমাত্রা ও বৃদ্ধি ও ব্রাশ করতে পারবেন শুধু খেয়াল রাখবেন এই মুহূর্তে চালু থাকার সময় রিমোটটি যাতে এসির কাছাকাছি থাকে এবং তাপমাত্রা যাতে অধিক মাত্রায় বৃদ্ধি না পায়। রিমোট যে স্থানে থাকে সেখানে তাপমাত্রা এই ধরনের ফাংশন সুবিধা অনুযায়ী শুধুমাত্র গ্রী এসির মধ্যে থাকে।
Up - Down সুইং বাটন: এসির উপর নিতে এবং বাম ও ডান অংশ নিয়ন্ত্রণের জন্য এই মুডটি অনেক বেশি মাত্রায় প্রয়োজনে আপডাউন সুইং বাটন মোডের জন্য কন্ট্রোল প্যানেলকে অন করার জন্য কন্ট্রোলার on বাটনটি প্রথমে প্রেস করতে হবে। এরপর বন্ধ করার জন্য ডিসপ্লে বাটনে টার্ন অফ বাটনটি চাপলে এসির কন্ট্রোলার বন্ধ হয়ে যাবে মূলত এই বাটনটির মাধ্যমে এসির কন্ট্রোলার দিয়ে দুই থেকে তিন এর অধিক সময় ফ্ল্যাশিং এবং টার্ন অন ও আউট করতে পারবেন ।

Mode Button : এই বাটনটিতে আপনি নানা ধরনের আইকন দেখতে পাবেন এসির প্রত্যেকটি কন্ট্রোলার প্যানেলে ৫ ধরনের আইকন রয়েছে। এর মধ্যে Auto সিলেক্ট বাটন, Cool বাটন, Dry বাটন, Heat বাটন। এই পাঁচটি আইকন কে আপনি আপনার সুবিধার্থে যে কোন সময় ব্যবহার করতে পারবেন।

Clock Button : ক্লক বাটন মোড এর মাধ্যমে ac কে একটি নির্দিষ্ট সময়ে এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর পুনরায় সচল বন্ধ করতে সক্ষম হবেন এখানে আগের মত যেকোনো একটি প্লাস বা মাইনাস বাটন চাপলে আপনার টাইম আলটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর এক মিনিট করে বৃদ্ধি পাবে আবার একইভাবে এই সময়ের পরিমাণ আপনি কমাতেও পারবেন।

Humidity / Health Button: এসির মাধ্যমে ঘরের ভিতরে আদ্রতা ঠিক রাখার জন্য এই ধরনের হিউম্যানিটি বাটন ব্যবহার করা হয়। হেলথ মুড ব্যবহার করে বাতাসে আয়নের পরিমাণ এবং অবস্থানের ভারসাম্য বজায় রাখা হয়। এটি ঘরের ভেতরের বাতাসের জীবাণুকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে এবং ঘরের বাতাস দ্রুত পরিষ্কার করতে সহযোগিতা করে।

Air Button : ঘরের বারবি ও তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ এবং সেই সাথে পর্যাপ্ত বাতাসে সরবরাহ নিশ্চিত করতে এই বাটনটি ব্যবহার করতে পারবেন এর জন্য শুধু আপনাকে রিমোট কন্ট্রোলে এসির এয়ার বাটন আইকনে চাপ দিতে হবে।

Light Button : লাইট বাটনে চাপ দিলে এসির ইনডোর ইউনিটের লাইট জ্বলে উঠবে। অন্যদিকে এই একই বাটনে পুনরায় প্রেস করলে আপনার এসির ইনডোর ডিসপ্লে লাইট বন্ধ হয়ে যাবে।

Sleep Button : এই মুডে আপনি ঠিক চারটি মোড পাবেন sleep-1, sleep-2, sleep-3 এবং sleep-4 বাটন। এবং একই বাটনে পুনরায় চাপ দিয়ে আপনি মোডটি বন্ধ করে দিতে পারবেন। sleep-1 থেকে sleep-2 বাটনে চলাকালীন এসি একটি নির্দিষ্ট পরিক্রমায় চলতে থাকবে। আবার পুনরায় sleep-3 থেকে sleep-4 মোডের মধ্যে আর বাটন মোড অন্যতম। এয়ার বাটন মোড এবং sleep-3 মোড একত্রে চাপলে আপনার এসিপি একটি পার্সোনালাইজড ভাবে চলতে থাকবে।

আবার sleep-4 মোডটি হচ্ছে সিয়েষ্টা মোড, এখানে আপনার সেট করা তাপমাত্রা কক্ষ তাপমাত্রা অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে থাকবে অর্থাৎ এখানে আপনি এসি কে ম্যানুয়ালি সেট করতে পারবেন না উপরন্তু এই মোডটি চালু করার সাথে সাথে quiet fan মোডটি ও অটোমেটিক্যাল চলতে শুরু করবে।

এসির সবচেয়ে সাশ্রয়ী তাপমাত্রা কত

আপনি যদি এসি ব্যবহার করে থাকেন এবং আপনি কি জানেন এসির সবচেয়ে সাশ্রয়ী তাপমাত্রা কত হতে পারে। গরমকাল আসলে কিন্তু এসি ব্যবহারের মাত্রা বেড়ে যায় যার ফলে কিন্তু তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং এসির বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে । এসির সবচেয়ে সাশ্রয়ী তাপমাত্রা রাখতে হলে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে তবে কিন্তু আপনার এসির তাপমাত্রা শাস্ত্রই হবে।

এটি কখনো সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় চালু রাখা উচিত নয়।আপনারা  অনেকেই ভাবেন বেশি গরম লাগার কারণে ঘর সর্বাধিক শীতল রাখতে এসি ১৬° সেলসিয়াস রাখা যাবে। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এই জন্য আপনাদের অবশ্যই এসির আদর্শ তাপমাত্রা হবে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপনি যদি ঘরে তাপমাত্রা সঠিক রাখতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখতে হবে আপনার এসির তাপমাত্রা।
এসি সাশ্রয়ী করতে হলে আপনাকে সবসময় মনে রাখতে হবে যে মাঝে মাঝে এসি সার্ভিসিং করতে হবে এছাড়াও এসিড দিয়ে ছাকনি বা ফিল্টার রয়েছে সেটাকে প্রায় প্রতি মাসে পরিষ্কার করতে হবে কারণ সেখানে প্রায়ই ময়লা জমে যায়। আপনাকে পাওয়ার সুইচ বন্ধ রাখতে হবে ইলেকট্রনিক ডিভাইস অপ্রয়োজনীয় চালিয়ে না রাখাই উচিত এই জন্য শুধু এসির ক্ষেত্রে নয় যে কোন যন্ত্রের ক্ষেত্রে আপনাকে পাওয়ার সুইচ বন্ধ রাখতে হবে যখন ব্যবহার করবেন না।

এসির সাথে ঘরের ফ্যানটা চালু করুন এতে করে এসি শীতল বাতাস ঘরের চারপাশে খুব অল্প সময় ছড়িয়ে পড়বে ফলে প্রতিদিন কিছু হলেও সাশ্রয়ী হবে বিদ্যুৎ বিল। দরজা জানালা বন্ধ রেখে আপনাকে এসি ব্যবহার করতে হবে তাহলে দেখবেন খুব দ্রুত ঘর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। এখন একটি গুলোতে টাইম আর ফাংশন রয়েছে কতক্ষণ।

এসি চালাবেন আপনার ঘর ঠান্ডা হবে তা অবশ্যই আপনার জানা আছে কাজেই বসার আগে বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনি সুবিধামতো টাইম সেট করে নিতে পারেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেকে ভুল করে থাকেন অনেকে মনে করেন তাপমাত্রা একদম কমিয়ে এসে চালালে খুব অল্প সময়ে ঘর ঠান্ডা হয়ে যাবে এই ধারণাটা ভুল এসির তাপমাত্রা কমিয়ে দিলে ঘর যদি অল্প সময়ে ঠান্ডা হয় কিন্তু এই পদ্ধতিতে এসির বিদ্যুৎ বিল বেশি খরচ হয়।

এসি ব্যবহারের অপকারিতা

এটি ব্যবহারের বিভিন্ন রকমের অপকারিতা রয়েছে গরমে আরামের জন্য কিন্তু এয়ার কন্ডিশনার বা এসি ব্যবহার করা হয় কিন্তু বেশি ব্যবহার করার ফলেও কিন্তু আপনার বিভিন্ন রকমের অসুবিধা ও রোগ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এসিতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে চোখ ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যা ছাড়ো ঠান্ডা জমিতে সমস্যা চোখ লাল হওয়া।
চোখ থেকে অবিরাম পানি পড়া শরীরের রক্ত সঞ্চালনের ঘাটতি। শরীরের জয়েন্টে ব্যথা, হাঁপানি, অতিরিক্ত ওজন, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, সর্দি কাশি আক্রান্ত হয় এবং এলার্জিতে আক্রান্ত হওয়া সহ দশটি রোগে আক্রান্ত আশঙ্কা থাকে। এসি ব্যবহারে অনেক ভালো এমন কিন্তু নয় অতিরিক্ত এসিতে থাকার কারণে কিন্তু আপনাকে বলে নানা রকমের রোগ বাসা বাঁধবে এবং এর ফলে আপনি বিভিন্ন রকমের রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়বেন।

তাই সুস্থ থাকতে হলে প্রাকৃতিক উপায়ে অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত এবং এসিতে যত পরিমাণ কম থাকা যায় সেটা চেষ্টা করতে হবে। চিকিষকরা বলছেন নিসির তাপমাত্রা ১৮ থেকে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে না রেখে ২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে খুলে দিয়ে বাইরের আলো বাতাস চলাচলের সুযোগ করে দেওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা।

এসির বিদ্যুৎ বিল হিসাব

আপনি যদি প্রথমবারে এসি ব্যবহার করে থাকেন এবং নতুন আপনার বাসা বাড়িতে এসি লাগিয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার মাথায় প্রথমে আসবে যে এসির প্রথম মাসের বিল আপনার কত আসতে পারে এই জন্য আপনি এসির বিদ্যুৎ বিলের হিসাব সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন এসির বিদ্যুৎ বিলের হিসাব গুলো সম্পর্কে।
  • বিদ্যুৎ বিল (ইউনিট)= P×T ÷ 1000
  • এখানে, P= Power (Watt)
  • T = Time (Hour)
  • অর্থাৎ, আপনি যদি 1000 Watt - er AC 3 ঘন্টা চালিয়ে থাকেন, তাহলে, P= 1000 Watt, T = 3 Hours,
  • তাহলে, Electricity bill = P×T ÷1000 = 1000 ×3 ÷ 1000 = 3 Unit.

শেষ কথা।এসি চালানোর সঠিক নিয়ম।এসির রিমোট ব্যবহারের নিয়ম

প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের আর্টিকেল সম্পন্ন পড়ে ইতিমধ্যে জানতেও বুঝতে পেরেছেন এসি চালানোর সঠিক নিয়ম এবং এসির রিমোট ব্যবহারের নিয়ম এ বিষয় সম্পর্কিত সকল তথ্য।আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন। এছাড়াও আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত বলে মনে হলে আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করুন।
আপনার বাসায় যদি এসি থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে এসি চালানোর সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে রাখতে হবে।যেহেতু এসি একটি ইলেকট্রনিক্স পণ্য তাই সাবধানতার সঙ্গে আমাদের সকলকে ব্যবহার করতে হবে।এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এসির রিমোট ব্যবহারের নিয়ম ও এসি বিদ্যুৎ বিল হিসাব আপনি নিজেই করতে পারবেন যদি আমাদের এই পোষ্টটি সম্পন্ন পড়ে থাকেন।আমাদের আজকের আর্টিকেল এ পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url