মুসাফির ব্যাক্তির সালাত আদায় নিয়ম - মুসাফির হওয়ার শর্ত

প্রিয় পাঠক আপনি কি মুসাফির ব্যাক্তির সালাত আদায় নিয়ম এবং মুসাফির হওয়ার শর্ত কি এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।তাহলে আপনি আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন মুসাফির ব্যাক্তির সালাত আদায় নিয়ম এবং মুসাফির হওয়ার শর্ত সম্পর্কিত সকল তথ্য সম্পর্কে।
মুসাফির-ব্যাক্তির-সালাত-আদায়-নিয়ম
সেই সাথে আজকের আর্টিকেল থেকে মুসাফিরের সুন্নত নামাজের নিয়ম, মুসাফির ব্যাক্তির সালাত আদায় নিয়ম,সফরে কি সুন্নত নামাজ পড়তে হবে এবং মুসাফির কখন থেকে কসর করবে এ সম্পর্কে। যদি মুসাফির ব্যাক্তি সালাত আদায় নিয়ম এবং মুসাফির হওয়ার শর্ত সম্পর্কে অজানা থাকে তবে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে আপনি জেনে নিতে পারেন মুসাফির ব্যাক্তির সালাত আদায় নিয়ম সম্পর্কিত সকল সঠিক তথ্যগুলো।
পোস্ট সূচিপত্রঃমুসাফির ব্যাক্তির সালাত আদায় নিয়ম।মুসাফির হওয়ার শর্ত

ভূমিকা।মুসাফির ব্যাক্তির সালাত আদায় নিয়ম।মুসাফির হওয়ার শর্ত

মুসাফির কথাটির সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত।আজ থেকে ১০০ বছর ২০০ বছর আগে মুসাফির ব্যক্তিদের বেশি দেখা যেত।মহান রাব্বুল আলামিনের বার্তা পৌঁছাতে বিভিন্ন মুসাফির সফর করে থাকে বিভিন্ন এলাকায়।তাই আমরা আজকে সে সকল বিষয় সম্পর্কে জানব যা আমাদের প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির জন্য জেনে রাখা উচিত।
আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় মুসাফির ব্যাক্তির সালাত আদায় নিয়ম এবং মুসাফির হওয়ার শর্ত সম্পর্কে।এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সুবিধার্থে আমরা মুসাফিরের নামাজের বিধান, মাগরিবের কসর নামাজের নিয়ম, মুসাফির কখন থেকে কসর করবে এবং সফরে কি সুন্নত নামাজ পড়তে হবে এ সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পারবেন।তাই এমন সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।

মুসাফির হওয়ার শর্ত

আসসালামু আলাইকুম আপনারা কি মুসাফির হওয়ার শর্ত সম্পর্কে জানতে চান আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। মুসাফির হলো এমন এক ব্যক্তি যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করে ইসলামী শরীয়তে ৪৮ মাইল অথবা তার বেশি দৈর্ঘ্যের যাত্রা করলে তাকে মুসাফির বলা হয় মুসাফিরের নামাজের ও নিয়ম রয়েছে।
মুসাফির বলে এমন ব্যক্তির যে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে অন্য এক জায়গায় যাত্রা করে এই যাত্রা হতে পারে ব্যক্তিগত পেশা জীবনের ধর্মীয় অথবা অন্যান্য কারণে ইসলামী শরীয়তে কেউ যদি ৪৮ মাইল অথবা তার থেকে বেশি দৈর্ঘ্যের যাত্রা করে।তাহলে তাকে মুসাফির বলা হয় আর এজন্য বিশেষ নামাজের নিয়ম প্রযোজ্য হয়।
মুসাফির হওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত থাকে বিশেষ করে ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে।
  • দৈর্ঘ্য : প্রথম শর্ত হলো যাত্রার দৈর্ঘ্য যদি কেউ ৪৮ মাইল (প্রায় ৭৭.২৩২ কিলোমিটার) অথবা তার বেশি দৈর্ঘ্যের যাত্রা করে তাকে মুসাফির বলা হয়।
  • উদ্দেশ্য : যাত্রার উদ্দেশ্য হতে হবে হালাল এবং শরীয়তের অনুমোদিত।
  • নিয়ত: যাত্রা শুরু করার আগে নিয়ত করা জরুরী।
  • সময় : যাত্রা করার সময় নির্দিষ্ট হতে হবে যদি কেউ ১৫ দিন বা তার বেশি এক জায়গায় থাকে তাকে মুসাফির হিসেবে গণ্য করা হয় না।
  • স্থায়িত্ব : যাত্রা করার জায়গা স্থায়ীভাবে বসবাস করার কোন প্ল্যান না থাকতে হবে।
  • সুরক্ষা : যাত্রাপথে এবং গন্তব্যে সুরক্ষা থাকতে হবে।
  • স্বাস্থ্য : যাত্রা করার জন্য শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকতে হবে।
  • উপরোক্ত এই শর্তগুলো পূরণ করলে ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী মুসাফির হিসেবে গণ্য হবেন।

মুসাফিরের সুন্নত নামাজের নিয়ম

আমাদের মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ফরজ নামাজের আগে বা পরে সুন্নত নামাজ পড়তেন না তবে বেতের ও ফজরের তিনি সফরে নিয়মিত পড়তেন যেমন এর পূর্বেও ইঙ্গিত করা হয়েছে। বলাবাহুল্য সফরে (বিতর ও ফজরের ২ রাকাত ছাড়া) সুন্নতে মুয়াক্কাদা না পড়াই সুন্নত।
হযরত আবদুল্লাহ বিন উমার (রা:) এক সফরের লোকদেরকে ফরয নামাজের পর সুন্নত পড়তে দেখে বললেন' যদি আমাকে সুন্নতই পড়তে হত, তাহলে ফরয নামাজ পুরা করেই পড়তাম। ' আমি নবী (সা:) এর সাথে সফরে থেকেছি। আমি তাঁকে সুন্নত পড়তে দেখিনি।'
  • অতঃপর তিনি বললেন, অর্থাৎ নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ কুরআন মাজীদ ৩৩/২১, বুখারী :১১০১)
  • আমি নবী (সাঃ) এর সাথে সফরে থেকেছি তিনি দুই রাকাতের বেশি নামাজ পড়তেন না অনুরুপ আবু বকর ওমর, উসমান (রাঃ) ও করতেন। ' (বুখারী: ১১০২)
তবে সফরে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা পড়া যাবে না এমন কথা নাই যেহেতু মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কখনো কখনো কিছু কিছু সুন্নতে মুয়াক্কাদা পড়তেন। অবশ্য সাধারণ নফল, তাহাজ্জুদ, চাশত, তাহিয়্যাতুল মাসজিদ প্রভৃতি নামার সফরে পড়া চলে। ফরজ নামাজের আগে পরে ও না পড়লে নিয়তে নামাজ পড়ার দূষণীয় নয়।

মুসাফির ব্যাক্তির সালাত আদায় নিয়ম

আপনি যদি মুসাফিরেন সালাত আদায়ের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আমাদের আর্টিকেল থেকে মুসাফির ব্যাক্তির সালাত আদায় নিয়ম এবং মুসাফির হলে কিছু বিশেষ সুবিধা এবং শর্ত প্রযোজ্য হয়। মুসাফিরের একটি ব্যক্তির যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমন করে এই যাত্রা নিয়ম প্রতিষ্ঠান করা।
শরীয়তের প্রতি আমাদের সমর্থন এবং সঠিক পরিপালন এর মাধ্যমে একটি মুসাফির নিজের ধর্মীয় দায়িত্ব প্রতিপাদন করতে সাহায্য করে। এই নিয়ম অনুযায় মুসাফির নামাজের নিয়ম মেনে চললে তিনি তার ধার্মিক কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করতে সক্ষম হবে।
  • নামাজ: মুসাফির হলে চার রাকাতের ফরজ নামাজ দুই রাকাতে কমিয়ে পড়া যায় যাকে বলা হয় "কাসর"।
  • সময়: মুসাফির হলে দুই নামাজ একসাথে জমা করা যাকে বলা হয়' জমা'। যেমন যারা মাগরিব এবং এশার একসাথে পড়তে পারেন।
  • নিয়ত: মুসাফিরের নামাজের নিয়ত স্পষ্ট হতে হবে তার মানে তার উদ্দেশ্য এবং যাত্রার দৈর্ঘ্য জানা থাকতে হবে।
  • স্থান : যেকোনো সুরক্ষিত এবং পরিষ্কার স্থানে নামাজ পড়া যাবে।
  • সময়ের সীমা: যদি কেউ ১৫ দিন বা তার বেশি এক জায়গায় থাকে তাকে মুসাফির হিসেবে গণ্য করা হয় না এবং সে পূর্ণ রাকাতে নামাজ পড়তে হবে
  • তাহাজ্জুদ : মুসাফির হলে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পারে কিন্তু এটি বাধ্যতামূলক নয়
এই নিয়মগুলো মেনে চললে মুসাফিরের নামাজ সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

সফরে কি সুন্নত নামাজ পড়তে হবে

আমরা যখন সফরে যায় তখন কিন্তু আমাদের অবশ্যই সফরে যাওয়ার পরেও যে ফরজ নামাজগুলো রয়েছে সেগুলো আদায় করতে হয় কিন্তু অনেকেই জানতে চাই সফরে কি সুন্নত নামাজ পড়তে হবে। এই প্রশ্নটির উত্তর নিয়ে অনেকেই খোঁজাখুঁজি করছেন অনলাইনে সফরে সুন্নত নামাজ পড়া হবে কিনা সেই সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকে অজানা রয়ে গেছেন।

সফরে ক্লান্তি ও কষ্ট বিবেচনা করে ইসলামে মুসাফিরদের জন্য শরীয়ত পালনে কিছু ছাড় দেওয়া হয়। রমজানে ফরজ রোজা মুসাফিররা চাইলে ভেঙ্গে কাজা করে নিতে পারবে,জুমার নামাজ ও কোরবানি মুসাফিরদের ওপর ওয়াজিব নয় প্রতিদিনের চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ মুসাফিররা কসর বা সংক্ষিপ্ত পড়তে পারেন ইত্যাদি।
সফরের নামাজ সংক্ষিপ্ত করার ও সুযোগ দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
যখন তোমরা দেশে-বিদেশে সফর করো তখন নামাজ সংক্ষিপ্ত করতে দোষ নেই। (সুরা নিসা:১০১)
কেউ আবার আবাস থেকে ৪৮ মাইল বা ৭৮ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার নিয়ত করে নিজের এলাকা থেকে বের হলে শরীয়ত তাকে মুসাফির গণ্য করে তখন সে চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ অর্থাৎ জোহর আসর ও এশার ফরজ নামাজ সংক্ষিপ্ত করতে পারে।
প্রশ্ন হলো প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সাথে আমরা নিয়মিত যে সুন্নত নামাজ আদায় করি যা সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজ হিসেবে পরিচিত। সফর অবস্থায় ওই নামাজগুলোর হুকুম কি? সেগুলো কি সংক্ষিপ্ত বা ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে?
এই প্রশ্নের উত্তর কসর বা সংক্ষিপ্ত করার বিধান শুধু চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সুন্নাহ বা অন্য কোন নামাজে গোসল করার নিয়ম নেই। তবে মুয়াক্কাদা সুন্নাহ নামাজ সফর অবস্থায় মুয়াক্কাদা থাকে না। সফরে ক্লান্তি বা তারা থাকলে নামাজ ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে ঝামেলা ও ক্লান্তিমুক্ত থাকলে সুন্নাহর নামাজ পড়ে নেওয়া উত্তম।

মুসাফির কখন থেকে কসর করবে

আপনারা কি জানেন মুসাফিররা কখন থেকে গোসল করবে আসলে কসর হচ্ছে নামাজ সংক্ষিপ্ত করে নেওয়া কে বলা হয় কসর। আপনি যদি বাসাতে একে নিয়ত করে বের হন যে ৭৮ কিলোমিটার বা ৪৮ মাইল বা তারও বেশি দূরত্বের ভ্রমণে নিজের বাসস্থান থেকে বের হন তাহলে তিনি মুসাফির হয়ে যাচ্ছেন আর তিনি যদি সেখানে ১৫ দিনের কম সময় থাকা নিয়ত করে।

তবে তার চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়তে হবে এই দুই রাকাত সংক্ষিপ্ত করে নেওয়া কে কসর বলা হয়। আরবিতে কসর শব্দের অর্থ হলো কম করা বা কমানো। বিভিন্ন কাজে কিন্তু একজন ব্যক্তি ভ্রমণ বা ব্যবসায়ী কাজে বাইরে যায় তখন সে কিন্তু মুসাফির হয়ে যায় মুসাফির হয়ে গেলে তার উপর কিন্তু আল্লাহ তা'আলা অনেক কিছুরই ছাড় দিয়েছেন।
এই সংক্ষেপ করার মাঝে আল্লাহ তায়ালা কল্যাণ কুরআনে আল্লাহ তা'আলা এরশাদ করেছেন," তোমরা যখন জমিনে সফর করবে তখন তোমাদের জন্য নামাজের কসল করার কোন আপত্তি নেই। "(সূরা নিসা: আয়াত ১০)
এলাকার গ্রাম বা শহর অতিক্রম করার পর থেকেই সফরের বিধান আলোকিত হবে এই সময় সফরকারীকে মুসাফির বলে গণ্য করা হবে শহরের ক্ষেত্রে ওই শহরের কর্পোরেশনের নির্ধারিত সীমানা থেকে শহরের সীমা নির্ধারিত হবে অনুরূপ সফর থেকে ফিরে আসার ক্ষেত্রেও নিজ এলাকার সীমানায় প্রবেশের সঙ্গেই তার সফরের বিধান শেষ হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার :২/১২৮)
আকাশ পথে সফরের ক্ষেত্রেও দূরত্বের হিসাব স্থল ভাগে সফরের দূরত্বের অনুপাতে হবে অর্থাৎ স্থলভাগের ৭৮ কিলোমিটার পরিমাণ দূরত্বের সফর হলে আকাশপথে মুসাফির হবে। ( রদ্দুল মুহতার ১/৭৩৫)

মাগরিবের কসর নামাজের নিয়ম

আপনি কি মাগরিবের নামাজ বছরের কত রাকাত পড়তে হয় সে সম্পর্কে জানতে চান মাগরিবের নামাজ তিন রাকাত এই নামাজের কোন কষ্ট নেই মুসাফিরদের জন্য মাগরিবের নামাজ তিন রাকাতই পড়তে হবে। অনেকেই মুসাফিররা দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে যায় যে চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজের পরিবর্তে যদি তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজেও ফসল করতে হয় কিনা আসলে তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজের ক্ষেত্রে কোন কসর হয় না।
মুসাফির চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত করে পড়বে এটাকে কসর বলা হয়। মুসাফিরের জন্য নামাজ কসল করা ওয়াজিব মুসাফির অবস্থায় জোহর আসর এবং এশার নামাজ ফরজ চার রাকাতের স্থলে দুই রাকাত পড়া নির্দেশ রয়েছে ফরজ এবং মাগরিবের নামাজে কোন কসম নেই। অন্যান্য নামাজের নেই এই নামাজ ও আপনাকে সম্পূর্ণ আদায় করতে হবে একই নিয়মে।

মুসাফিরের নামাজের বিধান

সফরকারির জন্য শরীয়তে বিধিবির ধানে কিছু শিথিলতা রয়েছে যেমন চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজগুলো দুই রাকাত আদায় করবে সকলের রোজা না রেখে পরবর্তী সময়ে কাজা করলেও চলবে অনুরূপভাবে মোজায় মাসেহ করা ইত্যাদি বিধানে সাধারণ অবস্থা থেকে ভিন্নতা রয়েছে।

মুসাফির সফর অবস্থায় কোন মুকিম স্থানীয় ইমামের পেছনে নামাজের নিয়ত না করলে তার জন্য চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়া জরুরী এটাকে কসরের নামাজ বলে এটাই ইসলামের বিধান।
মুসাফিরের নামাজের বিধান : মুসাফিরের চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজের একাকী পড়লে বা তার মত মুসাফিরের ইমামের পেছনে আদায় করলে নামাজ কসর করা জরুরী এক্ষেত্রে পূর্ণ নামাজ পড়া ঠিক নয়।
এ প্রসঙ্গে হাদিসে এরশাদ হয়েছে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) বলেন, আল্লাহ তাআলা তোমাদের নবীর জবানে নামাজকে মুকিম অবস্থায় চার রাকাত ও সফর অবস্থায় দুই রাকাত ফরজ করেছেন। (মুসলিম হাদিস নং ৬৮৭)
মুসাফির ব্যক্তি সফর অবস্থায় নিজে একাকী বা মুসাফির ইমামের পেছনে স্থানীয় ইমামের পিছনে হলে অসুবিধা নেই ইচ্ছাকৃত চার রাকাত নামাজ পূর্ণ করলে গুনাহ হবে।এক্ষেত্রে নামাজ পুনরায় পড়া ওয়াজিব আর যদি ভুলক্রমে চার রাকাত পূর্ণ করে নাই।
তাহলে যদি সে প্রথম বৈঠক করে থাকে তাহলে সাহু সিজদাহ করে নিলে ফরজ নামাজ আদায় হয়ে যাবে আর যদি প্রথম বৈঠক না করে থাকে তাহলে ফরজ আদায় হবে না, আবারও পড়তে হবে। (বাদায়িউস সানায়ে ১/৯১)

শেষ কথা।মুসাফির ব্যাক্তির সালাত আদায় নিয়ম। মুসাফির হওয়ার শর্ত

প্রিয় পাঠক আসসালামুয়ালাইকুম আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারী সম্পন্ন পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন মুসাফির ব্যাক্তির সালাত আদায় নিয়ম ও মুসাফির হওয়ার শর্ত সম্পর্কিত সকল তথ্য। আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।
আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকারী বলে মনে হলে আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে এছাড়াও আপনি যদি ইসলামিক আরো তথ্য সম্পর্কে জানতে চান তবে আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে রাখুন এবং ঘুরে আসুন।আমাদের আজকের পর্ব এ পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url