জুমার দিনে যে দোয়া পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়
প্রিয় পাঠক আপনি কি জুমার দিনে যে দোয়া পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয় এবং ৮০
বছরের গুনাহ মাফের দোয়া বাংলা এ বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য অনলাইনে সার্চ করে
তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন তবে আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন।জুমার দিনে যে দোয়া পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয় এবং ৮০ বছরের গুনাহ মাফের দোয়া
বাংলা এ বিষয় সম্পর্কে।আপনি যদি জুমার দিনে যে দোয়া পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ
হয় এ বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি জানতে চান তবে আমাদের পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।
সেই সাথে আপনি আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন ৮০ বছরের গুনাহ মাফের দোয়া
আরবি, ৪০ বছরের গুনাহ মাফের দোয়া এবং জুমার দিনের দরুদ শরীফের ফজিলত সম্পর্কে
তাই আমাদের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন জুমার
দিনে যে দোয়া পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয় ও ৮০ বছরের গুনাহ মাফের দোয়া বাংলা
সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্র:জুমার দিনে যে দোয়া পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়।৮০ বছরের গুনাহ
মাফের দোয়া বাংলা।
ভূমিকা।জুমার দিনে যে দোয়া পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়।৮০ বছরের গুনাহ মাফের দোয়া বাংলা
মহান রাব্বুল আলামিন অতি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু গফুরুর রাহিম তিনি চাইলে আমাদের সকল
গুনাহ মাফ করে দিতে পারেন।মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের গুনাহ মাফের জন্য বান্দাদের
জন্য বেশ কিছু আমল নাযিল করেছেন।যে আমলগুলো করে আমি আপনি চাইলে আমাদের পূর্বের 80
বছরের গুনাহ মাফ চেয়ে নিতে পারি মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে।
আরো পড়ুনঃ কাজা নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম
তাই আপনাদের আজকে এমনই এক বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি জুমার দিনে যে দোয়া
পড়লে 80 বছরের গুনাহ মাফ হয় ও ৮০ বছরের গুনাহ মাফের দোয়া বাংলা ও আরবি সহ বেশ
কিছু আমল।এ আমল গুলো প্রত্যেক মুসলমান ব্যক্তির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।চলতে
ফিরতে কথাবার্তা বিভিন্ন কারণে আমরা নানা রকম গুনাহ করে থাকি।
তাই আমরা যদি চাই সে গুনাহ গুলো জুমার দিনে পালন করে পূর্বে সমস্ত গুনাহ খাতা
গুলো মুছে ফেলতে পারি।যদি মহান রাব্বুল আল আমিন আপনার আমার সেই আমল কবুল করেন।তাই
আমরা আজকের পোস্টটি সম্পন্ন পড়ে জুমার দিনের যে দোয়া পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ
হয় ও ৮০ বছরের গুনাহ মাফের দোয়া বাংলা সম্পর্কে জানবো।
জুমার দিনে যে দোয়া পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়
জুমার দিন অনেক পবিত্র দিন যে দিন সকল মুসলিম উম্মাদের জন্য অনেক পবিত্র আর এই
দিনে আল্লাহ কাছে নিজের মনের সকল আশা এবং ক্ষমা চাওয়া দিন।মহান আল্লাহ আপনি
কুদরতে এই নিখিল ধারা সৃষ্টি করেছেন এর মধ্যে কিছু জিনিস কে কিছু জিনিসের ওপর
শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন সাতটি দিবস সৃষ্টি করেছে এর মধ্যে জুম্মার দিনকে অন্যান্য
দিনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন।
জুম্মার ফজিলত ও গুরুত্বের তালিকায় উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো সপ্তাহের দিনগুলোর
মধ্যে শুধুমাত্র জুম্মার নামেই কোরআনের একটি সূরা নাজিল করা হয়েছে।যেখানে মহান
আল্লাহ তায়ালা বলেন ,'হে মুমিনগণ! জুম্মার দিনে যখন নামাজের জন্য আহবান করা হয়।
তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং কেনা বেচা ত্যাগ করো এই তোমাদের জন্য
শ্রেয় যদি তোমরা উপলব্ধি করো।( সূরা জুমা, আয়াত :৯)।
বহু হাদিসে জুম্মার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করার তদবির এসেছে হযরত আওস ইবনে আওস
(রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ' তোমাদের দিবস গণনার মধ্যে জুমার
দিন হলো শ্রেষ্ঠ। সেদিন আল্লাহ তায়ালা আদমকে সৃষ্টি করেছেন আর এই দিনেই তার
মৃত্যু হয়েছে এই দিনই হবে ফুৎকার ও পুনরুত্থান।
তাই তোমরা জুম্মার দিন আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কেননা তোমাদের পাঠিত
দুরুদ আমার নিকট পেশ করা হয়( ইবনে মাজাহ :১৬৩৬)। তিনি বলেন আমি বললাম আপনার
ইন্তেকালের পরও আপনার কাছে পেশ করা হবে। তখন তিনি বলেন আল্লাহ তা'আলা জমিনের জন্য
নবী গনের শরীর মোবারক হারাম করে দিয়েছেন তাই তো আল্লাহর নবী জীবিত ;রিযিক
প্রাপ্ত।
আরো পড়ুনঃ ঈদুল ফিতর নামাজ পড়ার নিয়ম
ইবনে মাজাহা। হযরত আলী (রা.) বলেন যে ব্যক্তি নবী করিম সাঃ এর ওপর জুম্মার দিন
১০০ বার দুরুদ পাঠ করে সে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠবে যে তার চেহারায় নূরের
জ্যোতি দেখে লোকেরা বলাবলি করতে থাকবে এই ব্যক্তি কি আমল করেছিল! কানজুল উম্মাল।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম
বলেন,' আমার ওপর দুরুদ পাঠ করা পুলসি রাত পার হওয়ার সময় আলো হবে। যে ব্যক্তি
জুম্মার দিনে ৮০ বার দুরুদ পড়ে তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। ' শায়েখ
জাকারিয়া (রহ.) ফাজায়েলে দরুদ কিতাবে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) এর করেছে নবী করীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন.
যে ব্যক্তির জুম্মার দিন আসরের নামাজের পর নিজ স্থান থেকে উঠার পূর্বে
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লিম
তাসলিমা।' ৮০ বার পাঠ করবে তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে ৮০ বছরের
সওয়াব দেওয়া হবে। ' ফাজায়েলে দরুদ।
৮০ বছরের গুনাহ মাফের দোয়া আরবি
আসসালামু আলাইকুম আপনারা কি আশি বছরের গুনাহ মাফের দোয়া আরবি সেই সম্পর্কে জানতে
চান যারা ৮০ বছরের গুনাহ মাফের দোয়া সম্পর্কে জানতে চাই তাদের জন্য আজকে আমরা
নিয়ে হাজির হয়েছি যে জুমার দিনে যে দোয়াটি পড়ার কারণে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করা
হয় এবং ৮০ বছরের সওয়াব দেওয়া হয়।
হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর এমনই একটি দুরুদ রয়েছে যে দুরুদ শরীফটি পড়ার কারণে ৮০
বছরের গুণাহ হওয়া মাফ করে দেওয়া হয়। আপনারা যদি এই দোয়াটি আসরের নামাজের পর
জুম্মার দিন পড়েন আপনার 80 বছরের গুনাহের মাফ করে দেওয়া হবে এবং ৮০ বছরের
সোয়াব আপনার খাতায় লেখা হবে। তাই আর দেরি না করে যারা আল্লাহর পথে ইবাদত করতে
আগ্রহী তাদের জন্য ৮০ বছরের গুনাহ মাফের দোয়া আরবি নিচে দেওয়া হল।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম
বলেন,' আমার ওপর দুরুদ পাঠ করা পুলসি রাত পার হওয়ার সময় আলো হবে। যে ব্যক্তি
জুম্মার দিনে ৮০ বার দুরুদ পড়ে তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। ' শায়েখ
জাকারিয়া (রহ.) ফাজায়েলে দরুদ কিতাবে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) এর করেছে নবী করীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন যে ব্যক্তির জুম্মার দিন আসরের
নামাজের পর নিজ স্থান থেকে উঠার পূর্বে।
আরবি:
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَعَلَى آلِهِ
وَسَلِّم تَسْلِيْمَا
বাংলা উচ্চারণ :
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লিম
তাসলিমা।'
৮০ বার পাঠ করবে তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে ৮০ বছরের সওয়াব দেওয়া
হবে। ' ফাজায়েলে দরুদ।
৮০ বছরের গুনাহ মাফের দোয়া বাংলা
মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে ভালবেসে সৃষ্টি করেছেন আর মানুষ সৃষ্টি করে ঘোষণা
করেছেন আমি মানুষ ও জিন জাতিকে আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি। কিন্তু মানুষ
প্রবৃত্তি ও শয়তানের প্ররোচনায় নানা গুনাহ করে থাকে। সে গুনাহ মাফের নানা
পদ্ধতি বলা হয়েছে আল কুরআনে।
তবে সর্বোপরি গুনাহ মাফসহ সব ইবাদত কবুল করার মালিক একমাত্র আল্লাহ তা'আলা তিনি
ইচ্ছা করলে কবুল করবেন আর ইচ্ছা না করলে কবুল করবেন না। তবে আমাদের তার সৃষ্ট
বান্দা হিসেবে আল্লাহ তাআলার ইবাদতে মাসকুল থাকতে হবে।জুম্মার দিন একটি
গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে হাদিসে রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ জুমার দিনের ৫ টি আমল
যে হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ইরশাদ করেন,' যে ব্যক্তির জুম্মার দিন আসরের নামাজের পর না উঠে ওই স্থানে বসা
অবস্থায় ৮০ বার নিম্নে উল্লেখিত দুরুদটি বসে থেকে পাঠ করবে তার ৮০ বছরের গুনাহ
মাফ করা হবে এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে।৮০ বছরের
গুনাহ হওয়া মাফের দোয়া বাংলায় যারা জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য নিচে বাংলায়
দেওয়া হল :
বাংলা উচ্চারণ:আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি
ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা।
জুমার দিনে আরো কিছু আমলের মধ্যে রয়েছে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা তেলাওয়াত করলে
কিয়ামতের দিন আকাশ তুলল একটি নূর প্রকাশ পাবে। বেশি বেশি দুরুদ শরীফ পাঠ করো এবং
বেশি বেশি জিকির করা মুস্তাহাব হবে। জুম্মার রাত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ও
জুম্মার দিনে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠের
কথা বলা হয়েছে।
এমনিতেই যেকোনো সময়ে একবার দুরুদ শরীফ পাঠ করলে আল্লাহ তা'আলা পাঠকারীকে দশটা
রহমত দান করেন এবং ফেরেশতারা তার জন্য ১০ বার রহমতের দোয়া করেন। জুম্মার নামাজের
পূর্বে দুই খুতবার মাঝখানের হাত না উঠিয়ে মনে মনে দোয়া করা সূর্য ডোবার
কিছুক্ষণ আগ থেকে সূর্য অস্ত পর্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে জিকির, তাসবীহ ও দোয়া
লিপ্ত থাকে।
৪০ বছরের গুনাহ মাফের দোয়া
পবিত্র রমজান মাস হল ত্যাগের মাস এবং সংযমের মাস এই মাসে সকল খারাপ কাজ থেকে বিরত
রেখে নিজেকে ভালো কাজে এবং ইবাদতের মধ্যে মশগুল রাখতে হবে মাছটি ক্ষমা পাওয়ার
মাস এই মাসের অশেষ হাসিলের মাথায় এই মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে।
এই মাসে
এমন একটি রাত আছে যে রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। ফলে মুসলিম উম্মার জন্য এই
মাসের গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না যে ব্যাক্তি রমজানের প্রতিটি রাতে নিম্নোক্ত
দোয়াটি ৪০ বছরের গুনাহ মাফ করা হবে ।
আরবি: اَللَّهُمَّ رَبَّ شَهْرِ رَمَضَانَ الَّذِيْ أَنْزَلْتَ
فِيْهِ الْقُرْآنَ و اقْتَرَضْتَ عَلَى عِبَادِكَ فِيْهِ الصِّيَامَ صَلِّ عَلَى
مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ ارْزُقْنِيْ حَجَّ بَيْتِكَ الْحَرَامِ فِيْ
عَامِيْ هَذَا وَ فِيْ كُلِّ عَامٍ وَ اغْفِرْلِيْ تِلْكَ الذُّنُوْبَ الْعِظَامَ
فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُهَا
অর্থ: হে আল্লাহ! হে রমযান মাসের প্রভু যে মাসে তুমি পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করেছে
এবং এই মাসে তুমি তোমার বান্দাদের ওপর রোজা ফরজ করেছ। হে আল্লাহ! হযরত মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ও তার বংশধরদের ওপর সালাম ও দুরুদ প্রেরণ কর। এ বছরে
এবং প্রতি বছর তোমার পবিত্র ঘর কাবায় হজ্ব করার তৌফিক দান করো আমার সকল বড় পাপ
ক্ষমা করে দাও। কেননা তুমি ছাড়া আর কেউই পাপ ক্ষমা করতে পারে না হে দয়ালু ও
সর্বজ্ঞানী।
জুমার দিনের দরুদ শরীফের ফজিলত
জুম্মার দিনে দরুদ শরীফের ফজিলত সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছে যারা জুম্মার দিনে
দরুদ শরীফের ফজিলত সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য আজকে আমরা জানাবো কয়েকটি
হাদিস জুম্মার দিনে দুরুদ শরীফের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর দুরুদ পড়া ইসলামের অন্যতম ইবাদত
তার ওপর দুরুদ পড়েন এবং স্বয়ং আল্লাহ তা'আলা ও তার ফেরেশতারা। তাই মানুষকে তার
উপর দুরুদ পাঠ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, 'নিশ্চয়
আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা নবীর প্রতি দুরুদ পাঠ করেন ।'হে ঈমানদারগণ তোমরাও তার
প্রতি দুরুদ পাঠ করো এবং বেশি বেশি পরিমাণ সালাম পাঠ করো ।'( সুরা : আহজাব,
আয়াত:৫৬)
একবার দরুদ পাঠ করলে আল্লাহ তা'আলা দশটি রহমত নাযিল করেন।এই সম্পর্কে আবু
হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দুরুদ
পাঠ করে আল্লাহ তাআলা তার প্রতি ১০ টি রহমত বর্ষণ করেন।(সুনানে তিরমিজি, হাদিস :
৪৮৫)
আরো পড়ুনঃ ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময়
বিশেষভাবে জুম্মার দিন মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর উপর দুরুদ পাঠ করা তাগিদ
দেওয়া হয়েছে। হাদিসে এসেছে বহু হাদিসে জুম্মার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করার
তদবির এসেছে। হযরত আওস ইবনে আওস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজ (সা.) ইরশাদ করেছেন, '
তোমাদের দিবস গণনার মধ্যে জুমার দিন হলো শ্রেষ্ঠ।
সেদিন আল্লাহ তায়ালা আদমকে সৃষ্টি করেছেন আর এই দিনেই তার মৃত্যু হয়েছে এই দিনই
হবে ফুৎকার ও পুনরুত্থান। তাই তোমরা জুম্মার দিন আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ
করো। কেননা তোমাদের পাঠিত দুরুদ আমার নিকট পেশ করা হয়( ইবনে মাজাহ :১৬৩৬)।
আনাস বিন মালেক (রা.) বলেন, নবী করিম (সা :) বলেছেন, 'তোমরা জুম্মার দিন ও
জুম্মার রাতে আমার প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো কারণ যে আমার প্রতি একবার দুরুদ
পাঠ করে আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন। '( সহিহুল জামে, হাদিস :১২০৯)
লেখকের মন্তব্য।জুমার দিনে যে দোয়া পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়
প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ
পড়ে ইতিমধ্যে জানতেও বুঝতে পেরেছেন জুমার দিনে যে দোয়া পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ
মাফ হয় ও ৮০ বছরের গুনাহ মাফের দোয়া বাংলা সম্পর্কে।এছাড়াও আপনি আমাদের
আর্টিকেল সম্পন্ন পড়ে জুমার দিনের আমল সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক সম্পর্কে
জানতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ লাইলাতুল কদরের নামাজের সময়
আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান
মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।এছাড়াও আপনি যদি নিত্য নতুন
আপডেট আর্টিকেল পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েব সাইটে ঘুরে আসবেন এবং ভিজিট করে
রাখুন।আমাদের আজকের আর্টিকেলে পর্যন্ত আবার কথা হবে অনুকূল টপিক নিয়ে সবাই ভাল
থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url