মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম - মহিলাদের ইহরাম বাধার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনি কি মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম এবং মহিলাদের ইহরাম বাধার নিয়ম এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।আমাদের আজকের আর্টিকেলের ভেতরে জানতে পারবেন মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম এবং মহিলাদের ইহরাম বাধার নিয়ম এ বিষয় সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম এ বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের আজকের পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।
মহিলাদের-ওমরা-পালনের-নিয়ম
সেই সাথে আপনি ইহরামের কাপড় কোথায় পাওয়া যায়, মহিলাদের ইহরামের কাপড় কয়টি, হজ্জে মহিলাদের পর্দা এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন তাই আমাদের আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম এবং হজ্জ কাদের উপর ফরজ এ সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃমহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম।মহিলাদের ইহরাম বাধার নিয়ম

সূচনা।মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম।মহিলাদের ইহরাম বাধার নিয়ম

আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা বিশেষ একটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি তা হল মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম এবং মহিলাদের ইহারাম বাধার নিয়ম সম্পর্কিত সকল তথ্য নিয়ে।মেয়েরা ওমরা পালন করতে গিয়ে নানারকম সমস্যায় সম্মুখীন হতে হয়।কারণ অনেক মেয়ে আছে যারা ওমরা পালনে নিয়ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা জানা নেই।
তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম ও মহিলাদের ইহরাম বাধার নিয়ম সম্পর্কিত সকল তথ্য তুলে ধরা হলো।সেই সাথে আমাদের আজকের আর্টিকেলের পর্বে মহিলাদের বিশেষ সুবিধার্থে সাজিয়ে রেখেছি ইহরামের কাপড় কাপড় কোথায় পাওয়া যায়, মহিলাদের ইহরামের কাপড় কয়টি এমন বিষয় সম্পর্কে।আশা নয় দীর্ঘ বিশ্বাস আমাদের আজকের পর্বটি পড়ে আপনি ওমরা সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পারবেন।

মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম

আপনারা কি মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। তাদের কিন্তু ওমরা পালনের আগে জেনে নিতে হবে মহিলারা কিভাবে ওমরা পালন করে কারণ এই ওমরা পালন করারও কিছু শর্তাবলী ও নিয়ম রয়েছে।
যা মেনে চলতে হবে আপনাকে সেখানকার নিয়ম পালনের জন্যও আপনাকে আগে থেকেই জেনে রাখতে হবে এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।হজ নির্ধারিত সময়ে হয়ে থাকে কিন্তু বছর জুড়ে চলে ওমরা নারী পুরুষ ওমরার নিয়ম ও দোয়া গুলো ওমরা পালনকারীদের জানা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওমরাতে যাওয়ার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রথম কাজ : ইহরাম বাঁধা (ফরজ)
নির্ধারিত মেকার থেকে( সম্ভব হলে) গোসল করে অথবা অজু করে নেওয়া। পুরুষেরা সেলাই বিহীন দুইটি কাপড় পড়বে আর নারীরা পদ্মা সহ শালীর পোশাক পড়বে। অতঃপর ২ রাকাত নামাজ পড়ে ইহরামের নিয়ত করে নেবে :اَللَّهُمَّ اِنِّي اُرِيْدُ العُمْرَةَ فَيَسِّرْهُ لِيْ وَ تَقَبَّلْهُ مِنِّي
উচ্চারণ : 'আল্লাহুমা ইন্নি উরিদুল উমরাতা ফাইয়াসসিরহু লি ওয়া তাকাব্বালহু মিন্নি'।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি ওমরার ইচ্ছা করছি; আপনি আমার জন্য তা সহজ করে দিন এবং আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন।'এরপর তালবিয়া পড়া (তালবিয়া ১ বার পড়া শর্ত)
لَبَّيْكَ اَللّهُمَّ لَبَّيْكَ – لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ – اِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ – لاَ شَرِيْكَ لَكَ
উচ্চারণ: 'লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নি’মাতা লাকা ওয়াল-মুল্ক, লা শারিকা লাক।'
অর্থ: 'হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টি ও জান্নাতের আশা করছি এবং আপনার অসন্তুষ্টি ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাচ্ছে । '
বাংলাদেশ থেকে যারা প্রথমে মক্কায় যাবেন তারা বাসা কিংবা হট ক্যাম্প থেকে ইরানের কাজ সম্পন্ন করে নিবে।
মসজিদ হারামে প্রবেশ ওমরা উদ্দেশ্যে মসজিদ ধারামের ডান পা দিয়ে প্রবেশ করে এই দোয়া পড়া-
بِسْمِ اللهِ وَ الصّلَاةُ وَ السَّلَامُ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ أعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيْم وَ بِوَجْهِهِ الْكَرِيْمِ وَ سُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ اَللهُمَّ افْتَحْ لِىْ اَبْوَابَ رَحَمَتِكَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আংতাস সালামু ওয়া মিনকাস সালামু হাইয়্যিনা রাব্বনা বিসসালাম। আল্লাহুম্মা যিদ হাজাল বাইতা তাশরিফান ওয়া তা'জিমান ওয়া তাকরিমান ওয়া মুহাবাতান; ওয়া জিদ মান শাররাফাহু ওয়া কাররামাহু মিম্মান হাজ্জাহু ওয়া তামারাহু তাশরিফান ওয়া তাকরিমান ওয়া তা'জিমান ওয়া বিবরা।
দ্বিতীয় কাজ: তাওয়াফ করা। (ফরজ)
ওমরা তৃতীয় ফরজ কাজ হলো কাবা শরীফ করা তাওয়াফ করা। হাজরে আসওয়াদ চুম্বন ; ইসতেলাম (স্পর্শ) বা হাজরে আসওয়াদ বরাবর কোনায় দাঁড়িয়ে কাবার দিকে ফিরে দুই হাত দিয়ে ইশারা করে পুরুষরা ইজতিবা ও রমলসহ আর নারীরা সাধারণভাবে তাওয়ফ শুরু করবে এবং এই দোয়া করবেন -

উচ্চরণ: 'বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার; আল্লাহুম্মা ইমানান বিকা ওয়া তাসদিকান বিকিতাবিকা ওয়া রাফাআন বিআহদিকা ওয়া ইত্তিবাআন লিসুন্নাতি নাবিয়্যিনা। '
তাওফের সময় কাবা শরীফ ও হাজরের আসাদেরকে বাম দিকে রেখে রোকনের শামী ও রোকনের ইরাকি অতিক্রম করে রোকনে ইয়ামেনিতে আসবে। এ স্থানে তালবিয়া, তাকবির, তাসবিহ ইত্যাদি পড়বে।
অতঃপর (সম্ভব হলে) বোকনে ইয়ামেনি স্পর্শ করবে। সম্ভব না হলে দূর থেকে ইশারা করে হাজরে আসওয়াদের দিকে অগ্রসর হবে এবং কোরআন শেখানো এ দোয়া পড়বে।
بِسْمِ اللهِ وَ الصّلَاةُ وَ السَّلَامُ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ أعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيْم وَ بِوَجْهِهِ الْكَرِيْمِ وَ سُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ اَللهُمَّ افْتَحْ لِىْ اَبْوَابَ رَحَمَتِكَ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদদুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াক্বিনা আজাবান নার।
হাজরে আসওয়াদ পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে এক চক্কর সম্পন্ন হবে। এভাবে সাত চক্কর দেয়ার মাধ্যমে পুরো এক (ফরজ) তাওয়াফ সম্পন্ন হবে। ইজতিবা ও রমল ফরজ তাওফের জন্য পুরুষরা ইজতিবা ও রমল করবে এটি নারীদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
মাকামে ইবরাহিমে নামাজ পড়া :
তাওয়াফ শেষে সম্ভব হলে মাকামে ইবরাহিমে কিংবা মাকামে ইবরাহিমের ওই দিকটায় ২ রাকাত নামাজ আদায় করা। নারীদের নামাজের জন্য ওই দিকটায় নির্ধারিত স্থানও রয়েছে।
ঝমঝমের পানি পান করা :
মাকামে ইবরাহীমে নামাজ আদায় করে ঝমঝমের পানি পান করে নেওয়া। মাতাফের চর্তুদিকে ঝমঝমের পানির ঝার/ড্রাম রয়েছে। যাদের ঠান্ডায় সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ঝমঝমের গরম পানির ব্যবস্থাও রয়েছে।
তৃতীয় কাজ: সাফা-মারওয়ায় সাঈ করা (ওয়াজিব)
ঝমঝমের পানি পান করে ধীরে ধীরে সাফা পাহাড়ে আরোহন করা। সাফা ও মারওয়া পাহাড় দুটি কবা শরিফের পাশেই অবস্থিত। ' আবদাউ বিমা বাদাআল্লাহ বিহি ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শাআ’ইরিল্লাহ্ বলে এ পাহাড় দুটি মাঝে ৭ বার আসা-যাওয়া করাকে সাঈ বলা হয়।
সাঈতে করণীয়-
তাওয়াফের পর মাকামে ইব্রাহিমের দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সম্ভব হলে হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করে মসজিদে হারামে বাবুস সাফা দিয়ে সাফা পাহাড়ের আরোহন করা। সাফা পাহাড়ে দাঁড়িয়ে এই আয়াত পাঠ করা - إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِن شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَن يَطَّوَّفَ بِهِمَا وَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ اللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ
উচ্চারণ: ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিং শাআয়িরিল্লাহি ফামান হাজ্জাল বাইতা আয়ি'তামারা ফালা ঝুনাহা আলাইহি আঁইয়্যাতত্বাওয়াফা বিহিমা ওয়া মাং তাত্বাওওয়াআ খাইরান ফা-ইন্নাল্লাহা শাকেরুন আলিম। ' (সুরা বাকারা : আয়াত ১৫৮)
এ আয়াতটি সাফা পাহাড়ের ওপরে গম্বুজের মধ্যে লেখা রয়েছে চাইলে দেখেও তা দেখে দেখে পড়ে নিতে পারবেন।
সাফা পাহাড় থেকে কাবা শরীফ দেখা যায় কাবার দিকে ফিরে আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার বলে আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
এ দোয়াটি তিনবার পড়ে সাফা পাহাড় থেকে মারওয়ার দিকে জল দেওয়া শুরু করা।
لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر – لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ – لَهُ المُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ يُحْيِى وَ يُمِيْتُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيئ قَدِيْر
لَا اِلَهَ اِلَّا الله وَحْدَهُ أنْجَزَ وَعْدَهُ – وَ نَصَرَ عَبْدَهُ وَ هَزَمَ الأحْزَابَ وَحْدَهُ
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবা। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হাম্দু ইউহয়ি ওয়া ইউমিতু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু আনজাযা ওয়াদাহু ওয়া নাসারা আবদাহু হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহু।
সবুজ চিহ্নিত স্থান:
সাফা পাহাড় থেকে চলা শুরু করতেই পড়বে সবুজ চিহ্নিত স্থানে এই স্থানটিকে লাইট দিয়ে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। পুরুষরা এই স্থানে দৌড়ে অতিক্রম করবে আর নারীরা স্বাভাবিক ভাবে হেঁটে হেঁটে অতিক্রম করব।
সবুজ চিহ্নিত স্থানে এই দোয়া পড়া
رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَ اَنْتَ الْاَعَزُّ الْاَكْرَمُ
উচ্চারণ : 'রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতাল আআযযুল আকরম। '
সবুজ চিহ্নিত স্থান অতিক্রম করে নারী-পুরুষ সবাই স্বাভাবিক গতিতে হাঁটবে আর তাসবিহ পড়বে -
اَللهُ اَكْبَر - اَللهُ اَكْبَر- اَللهُ اَكْبَر- وَ لِلَّهِ الْحَمْدُ اَللَّهُمَّ حَبِّبْ اِلَيْنَا الْاِيْمَانَ وَ كَرِّهْ اِلَيْنَا الْكُفْرَ وَالْفُسُوْقَ وَالْعِصْيَانَ وَاجْعَلْنَا مِنْ عِبَادِكَ الصَّالِحِيْنَ
উচ্চারণ : 'আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদু। আল্লাহুম্মা হাব্বওব ইলাইনাল ইমানা ওয়া কাররিহ ইলাইনাল কুফরা ওয়াল ফুসুক্বা ওয়ালা ইসয়ানা ওয়াঝআলনা মিন ইবাদিকাস সালিহিন।'
মারওয়া পাহাড়ে আরোহন সাফা থেকে গিয়ে মারওয়া পাহাড়ে ওঠা। সেখানে গিয়ে আবার সাফার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া সেখানে এ দোয়া পড়া
 -اَللهُ اَكْبَر - اَللهُ اَكْبَر- اَللهُ اَكْبَر- وَ لِلَّهِ الْحَمْدُ - لَا اِلَهَ اِلَّا الله وَحْدَهُ صَدَقَ وَعْدَهُ وَ نَصَرَ عَبْدَهُ وَ هَزَمَ الأحْزَابَ وَحْدَهُ – لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ
وَ لَا نَعْبُدُ اِلَّا اِيَّاهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَفِرُوْنَ - رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَ اَنْتَ الْاَعَزُّ الْاَكْرَمُ
إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِن شَعَائِرِ اللَّهِ ۖ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَن يَطَّوَّفَ بِهِمَا ۚ وَمَن تَطَوَّعَ
উচ্চারণ: 'আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদু। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু ওয়া নাসারা আবদাহু ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহু; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া লা নাবুদু ইল্লা ইয়্যাহু মুখলিসিনা লাহুদদ্বীন ওয়া লাও কারিহাল কাফিরুন।
রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতাল আআযযুল শাআয়িরিল্লাহি ফামান হাজ্জাল বাইতা আয়ি'তামারা ফালা ঝুনাহা আলাইহি আঁইয়্যাতত্বাওয়াফা বিহিমা ওয়া মাং তাত্বাওয়াআ খাইরান ফা-ইন্নাল্লাহা শাকেরুন আলিম।'
সাফা পাহাড়ে আসার সময় ও সবুজ চিহ্ন স্থানে আগের নিয়মে পুরস্কার দ্রুত আর নারীরা স্বাভাবিকের হেঁটে আসবে পূর্ব উল্লেখিত দোয়া পড়বে - رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَ اَنْتَ الْاَعَزُّ الْاَكْرَمُ
উচ্চারণ: 'রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতাল আআযযুল আকরম। '
এভাবে আসা-যাওয়া মিলিয়ে সাতবার চলাচলের মাধ্যমে সাঈ সম্পন্ন হবে। সাঈ শেষ হলে এই দোয়া পড়া-
رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الَعَلِيْمُ – وَ تُبْ عَلَيْنَا اِنَّكَ اَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحَيْمُ – وَ صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَى خَيْرِ خَلْقِهِ مُحَمَّدٍ وَّاَلِهِ وَ اَصْحَابِهِ اَجْمَعِيْنَ وَارْحَمْنَا مَعَهُمْ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ
উচ্চারণ: 'রাব্বানা তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আনতাছ ছামিউল আলিম। ওয়আতুব আলাইনা ইন্নাকা আংতাত তাওয়্যাবুর রাহিম। ওয়া সল্লাল্লাহু তা"আলা আলা খাইরি খালক্বিহি মুহাম্মদিউ ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহি আজমাইন ওয়ারহামনা মাআহুম বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।'
ওমরা শেষ কাজ: মাথা মুন্ডন করা (ওয়াজিব)

মহিলাদের ইহরাম বাধার নিয়ম

আপনি কি মহিলাদেরাম বাধা নিয়ম সম্পর্কে জানেন যারা মহিলাদের ইমরান বাধা নিয়ম সম্পর্কে জানেনা তাদের জন্য আজকে আমরা মহিলাদের ইরাম বাধার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করে জানাবো।
হজ ও ওমরা পালনের নিয়তে যারা মক্কার উদ্দেশ্যে গমন করেন, তাদের মিকাত অতিক্রম করার আগে ইরামের কাপড় পড়ে নিতে হয় ইহরাম না পড়ে মিকাত অতিক্রম করা তাদের জন্য জায়েজ নয়।
সমগ্র পৃথিবীর বিভিন্ন দিক থেকে আগত হজযাত্রীদের জন্য পাঁচটি নির্দিষ্ট ইসলামকে শরীয়তে 'মিকাত' হিসেবে নির্ধারণ করেছে।পুরুষ হজ্ব ওমরা পালনকারী দুইটি সেলাই বিহীন সাদা কাপড় পড়েন এটিকে ইহরাম বলা হয়। আর নারীরা নিজেদের স্বাভাবিক পোশাক পড়ে নারীদের জন্য নিজেদের স্বাভাবিক পোশাককেই বলা হয় ইহরাম। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন,' নারীরা এহরাম অবস্থায় নিজ অভিরুচি মাফিক পোষাক পরতে পারবেন। ' (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ১৪৪৩)

আলী (রা.) নারীদের ইহরাম অবস্থায় নেকাব ব্যবহার করতে নিষেধ করতেন। তবে চেহারার ওপর দিয়ে কাপড় ঝুলিয়ে দেওয়ার কথা বলতেন। ( মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ১৪৫৩৯)।
ঋতুমতী নারীদের জন্য ইহরামের আগে গোসল করা মুস্তাহাব। (গুনইয়াতুন নাসিব, পৃ:৬৯)

ইহরামের কাপড় কোথায় পাওয়া যায়

আপনারা যদি হিরামের কাপড় কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন। ইহরামের কাপড় কোথায় পাওয়া যায় কারণ অনেকেই জানে না যে ইহরামের কাপড়টি কোথায় থেকে নিতে হয়। ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হজ প্রতিটি মুমিনের আকাঙ্ক্ষা থাকে জীবনে একবার হলেও পবিত্র হজ পালন করা এবং বেশিরভাগ হজযাত্রীর ক্ষেত্রে জীবনে একবার হজ হয়।

তাই হজের সময় কোন জিনিসপত্র সংগ্রহ করা উচিত তা অনেকেরই জানা থাকে না তবে ইরামের কাপড় কোথায় পাওয়া যায় এই সম্পর্কেও অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে। হজ এ সফরের জন্য একাধিক সেট ইরামের কাপড় সঙ্গে নিয়ে যাওয়া উত্তম। কমপক্ষে দুই সেট ইরানের কাপড় সঙ্গে নিয়ে যাওয়া জরুরী। হজের সময় মা-বোনদের স্বাভাবিক কাপড় পরা বৈধ তবে মুখের পর্দা রক্ষার জন্য মহিলা হাজীদের জন্য কিছু বিশেষ পাওয়া যায়।
যেগুলো যুক্ত বিশেষ পর্দাটি নারী হাজীদের মুখের পর্দা যথাযথভাবে রক্ষা করে আবার ইহরামেরও কোন সমস্যা হয় না । কাপড় নরমাল ফেব্রিক দুই পিসের এক সেট 900 টাকা করে আপনারা বিভিন্ন রকম মেয়ের অনলাইন পেজ থেকে পাবেন অথবা আপনার বিভিন্ন মার্কেটে গিয়ে যদি বলে থাকেন যে ইহরামের কাপড় লাগবে।

তাহলে আপনারা খুব সুন্দর সুন্দর কাপড় পেয়ে যাবেন। ইরামের পোশাক হচ্ছে ইসলামি হজ বা ওমরা এর ইরামের পর্যায়ে মুসলিম নারী ও পুরুষদের পরিহিত পোশাকে এই পোশাক পরার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মনোযোগ আকর্ষণ এড়ানো পুরুষদের পোশাক দুটি সাদা আনহেমড শীট ( সাধারণ তোয়ালে তৈরির কাপড়) নিয়ে গঠিত এবং দেখতে একই রকমের বা সর্বজনীয় হয় কাপড় দুটিতে কোন রকম সেলাই থাকে না।

শেষ কথা।মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম।মহিলাদের ইহরাম বাধার নিয়ম

প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে ইতিমধ্যে জানতেও বুঝতে পেরেছেন মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম এবং মহিলাদের ইহরাম বাধার নিয়ম।আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ে আপনি এতক্ষণে নিশ্চয়ই সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম।যদি ওমরা করার মতো মহান আল্লাহ তা'আলা আপনাকে তৌফিক দান করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য ওমরা করা উচিত ।
আর এই ওমরা যত দ্রুত সম্ভব আপনার সামর্থ্য থাকলে তা আদায় করুন।নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা আপনার হজ কে কবুল করবেন ইনশাল্লাহ।আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।এছাড়াও আপনি যদি ইসলামিক আরও তথ্য করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url