শাওয়াল মাসের ফজিলত - শাওয়াল মাসের ছুটির তালিকা ২০২৪

শাওয়াল মাসের ফজিলত অর্থাৎ আরবীতে শাওয়াল মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ ও শাওয়াল মাসের ছুটির তালিকা ২০২৪ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে চান।তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।কেননা আজকে আপনাদের সামনে শাওয়াল মাসের ফজিলত এবং শাওয়াল মাসের ছুটির তালিকা ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করতে চলেছি।

তাহলে চলুন প্রিয় পাঠক বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক শাওয়াল মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ ও শাওয়াল মাসের ফজিলত এবং শাওয়াল মাসের ছুটির তালিকা ২০২৪ সম্পর্কিত যাবতীয় যে সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ পড়ুন।

আপনারা যারা শাওয়াল মাসের ক্যালেন্ডার সম্পর্কে জানতে অনলাইনে সার্চ করে ইতিমধ্যে তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন তবে আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনাকে স্বাগতম আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি সুন্দরভাবে জানতে পারবেন শাওয়াল মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ এবং শাওয়াল মাসের ফজিলত নিয়ে আপনাদের জন্য নিজের সুন্দরভাবে টেবিল আকারে তুলে ধরা হলো।

সকল শব্দের অর্থ কি আপনারা কি জানেন শাওয়াল শব্দের অর্থ কি যারা বাংলাতে জানতে চাই শাওয়াল শব্দের অর্থ সম্পর্কে আরবি একটি মাসের নাম শাওয়াল মাস। শাওয়াল শব্দের অর্থ উঁচু করা, পূর্ণতা,গৌরব করা, পাল্লা ভারী হওয়া,। আরবরা এই মাসে স্বীকার করার জন্য কাঁধে অস্ত্র ওঠা তো এই জন্য এর নামকরণ করা হয়েছে শাওয়াল।

আরবি চন্দ্র বছরের দশম মাস হল শাওয়াল এটি হজের তিন মাস তথা শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ এর প্রথম মাসে এবং হারাম বা সম্মানিত চার মাসের একটি হল শাওয়াল। এই মাসের প্রথম তারিখে ঈদুল ফিতর বার রমজানের ঈদ পালন করা হয় পয়লা সাবান সাদকাতুল ফিতর বা ফিতরা আদায় করা হয় এবং ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব এই মাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে ঈদের।

এর সাথে সম্পর্ক আছে রোজা ও রমজানের এবং এর সাথে সম্পর্ক আছে সাদিকা ও যাকাতে তাই এই মাসে আমল ও ইবাদতের জন্য অত্যন্ত উর্বর ও উপযোগী। আল্লাহতালা ফরজ ইবাদতের পর সুন্নত নফল ইবাদতের প্রতি উৎসহ ও নির্দেশনাতে রমজান মাসে নির্ধারিত এই পদ্ধতিতে পরে এই মাসের ইবাদতগুলো গুরুত্বের সাথে পালন করতে হবে।

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে শাওয়াল মাসে বিয়ে-শাদী সুন্নত যে রূপ শুক্রবারে জামে মসজিদ ও বড় মজলিসে আকাদ নিকাহ অনুষ্ঠিত হওয়ার সুন্নত। কারন মা আয়েশা (রা.) এর বিয়ে শাওয়াল মাসে শুক্রবারে মসজিদে নববীতে হয়েছিল ৬ রোজা শাওয়াল মাসে নির্ধারিত সুন্নত। (সহিহ মুসলিম)

রমজান মাসের কাজা রোজা সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআনে কামিল কারীমে বলেন, 'তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ থাকবে বা সফরে থাকবে সে রমজানের পরে অন্য দিনগুলোতে রোজা রাখতে পারবে। ' (সূরা বাকারা আয়াত:১৮৪)

তাই তারা সফরে ক্লান্তি বা অসুস্থতার কারণে রমজান পূর্ণ রোজা রাখতে পারেনি তারা সেগুলো রমজানের পর্ণ সময় আদায় করে নিবে কাজার রোজা রেখে ভেঙ্গে ফেললে পুনরায় একটার পরিবর্তে একটা কাজে আদায় করতে হবে, কাফফারা প্রয়োজন হয় না।

শাওয়াল মাসের ফজিলত সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন যারা শাওয়াল মাসের ফজিলত সম্পর্কে জানেন না তাদের জেনে নেওয়া দরকার।তাহলে আপনিও ইবাদত করে এই ফজিলত গুলো পাবেন।

৬টি নফল রোজা রাখা সুন্নত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যারা রমজানের রোজা পালন করে এবং ০৬ টি রোজা করবে ; তারা যেন পূর্ণ বছরের রোজা পালন করলো। ( মুসলিম, হাদিস :১১৬৪, নাসায়ি, তিরমিজি) শাওয়াল মাসের এই ০৬টি রোজা মূলত সুন্নত।

যেহেতু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে তা আমল করেছেন এবং আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন কিন্তু পরিভাষায় এগুলোকে নফল রোজা বলা হয় কারণ এগুলো ফরজ ওয়াজিব নয় নফল তথা অতিরিক্ত। শাওয়াল মাসে যে কোন সময় এই রোজার আদায় করা যায় ধারাবাহিকভাবে বা মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে আদায় করা যায়। উল্লেখযোগ্য রমজান মাসের ফরজ রোজা ছাড়া অন্য সব রোজার নিয়ত সেহাদীর সময়ের মধ্যে করতে হয়।

ঘুমানোর আগে বা তার আগেও যদি এই দিনে রোজা ধীরে সংকল্প থাকে তাহলে নতুন নিয়ত না হলেও চলবে এবং সেহেরি না খেতে পারলেও হবে। রমজান মাসের পরের মাস অর্থাৎ হিজরি সনের দশ মাস হল শাওয়াল মাস এই মাসে প্রথম দিনে মুসলিম উম্মাহ সর্ববৃহৎ জাতীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন করে। উৎসবে রমজানের মহৎ শিক্ষাটা ভুলে না যাই সেই জন্য রাসূল করিম (সাঃ) এই মাসে ৬ টি নফল রোজা রাখতে উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন

পবিত্র কুরআনে একটি আয়াতে বলা হয়েছে যে কেউ কোন নেক আমল করবে তাকে তার দশ গুণ সভা প্রদান করা হবে। (সূরা আল আনআম :১৬০) অতএব রমজানের এক মাসের ১০ গুন হল ১০ মাস আর শাওয়াল মাসের ৬ দিনের ১০ গুন হল ৬০ দিন অর্থাৎ দুই মাস।অর্থাৎ পূর্ণ এক বছরের নফল রোজা সব লাভের জন্য রমজানের রোজা রাখার পরে শাওয়াল মাসের ছয় রোজা রাখা শর্ত থাকলেও।

যদি কেউ কোনো কারনে পূর্ণমাস রোজা রাখতে না পেরে থাকে তাহলে শাওয়াল মাসের ৬ রোজা রাখা যাবে না। তেমনটি নাই সে ক্ষেত্রে পূর্ণ ১ বছরের নফল রোজা সব না পেলেও নফল রোজা পালনের সীমাহীন নেই কি তিনি পাবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই।

আপনারা কি শাওয়াল মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৪ সম্পর্কে জানতে চান যারা শাওয়াল মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৪ আরবি মাসের ক্যালেন্ডার পড়তে চান এবং পড়তে পছন্দ করেন তাদের জন্য আজকে আমরা শাওয়াল মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৪ নিয়ে হাজির হয়েছি।

শাওয়াল মাসে বিয়ে করার পরে আপনারা কি জানেন যারা শাওয়াল মাসে বিয়ে করতে চান এবং শাওয়াল মাসে বিয়ে করলে কি ফজিলত পাওয়া যায়। সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া একবার দরকার জলঙ্গি নেয়া যাক শাওয়াল মাসে বিয়ে করার ফজিলত গুলো।

বিয়ে নবীদের অন্যতম শূন্য তিনটি পালন করা প্রতিটি নবীর জন্য সুন্নত আল্লাহতালা আদম (আ.) কে দৃষ্টিকর পর হাওয়া (আ.) কে তার জীবন সঙ্গী রূপে সৃষ্টি করেন এবং তাদের বিয়ের মাধ্যমে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন সেই ধারাবাহিকতা এখনো পৃথিবীতে রয়েছে যার কারণে আপনারা যদি আলাল সম্পর্কে যেতে চান তাহলে বিয়ে করা আবশ্যক।

নবিজি (সা.) এরশাদ করেন বিয়েকে ঈমানের অর্ধেক আখ্যা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি বিয়ে করল সে ঈমানের অক পূরণ করল। অতএব বাকি অর্ধেকের সে যেন আল্লাহকে ভয় করে। (সহিহুল জামে, হাদিস :৬১৪৮)

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন আর তোমরা তোমাদের মধ্যেকার অবিবাহিত নারী পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস-দাসীদের বিয়ে দাও তারা অভাবী হলে আল্লাহর নিজ অনুগ্রহে তাদের মুক্ত করে দেবেন। আল্লাহর প্রাচুর্যময় রাজ্যময় ও মহাজ্ঞানী। (সুরা আন নুর,আয়াত :৩২)

কোন সাহাবাদের মতে শাওয়াল মাসে বিয়ে করা মুস্তাহাব নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা (রা.) কে এই মাসে বিয়ে করেছেন। এরশাদ হয়েছে, আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা:) আমাকে বিয়ে করেন শাওয়াল মাসে এবং শাওয়াল মাসে আমাদের বাসর হয়। আর আয়েশা (রা.) শাওয়াল দিয়ে তার (সম্পর্কীয়) মেয়েদের বাসর হওয়া পছন্দ করতেন।

তিনি বলতেন তার কোন স্ত্রী তার কাছে আমার চাইতে অধিক ভাগ্যবতী ছিল? ( নাসায়ি, হাদিস :৩২৩৬)তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন শাওয়াল মাসে বিয়ে দেওয়া বিয়ে করা এবং বাসর করা মুস্তাহাব।

শাওয়াল মাসের ছুটির তালিকা ২০২৪ সম্পর্কে আপনারা কি জানেন যে আমার মায়ের সে আরবি মাসে কি ছুটি পাওয়া যায় এই মাসের ছুটি গুলো তালিকা যদি না জানা থাকে তাহলে আজকে আমাদের আর্টিকেল থেকে জেনে নেই শাওয়াল মাসের ছুটি তালিকা ২০২৪।

শাওয়াল মাসের ইবাদত সম্পর্কে অনেকেই জানেনা যারা সবার মাসের ইবাদত করতে চাই এবং আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা লাভ করতে চাই তাদের কিন্তু শাওয়াল মাসের ইবাদত সম্পর্কে জানতে হবে চলুন জেনে নেয়া যাক শাওয়াল মাসের ইবাদত গুলো কি কি।

চাওয়া হলো হিজরী সনের দশম আছে এই মাসে আমলে ইবাদতের জন্য অত্যন্ত উর্বর উপযোগী হওয়ায় শাওয়াল মাসে অনেক বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে যার জন্য শাওয়াল মাসে গুরুত্বপূর্ণ ০৬টি ইবাদত রয়েছে যা আপনি করে অনেক বেশি সওয়াব লাভ করতে পারেন।

সাভার মূলত আরবি শব্দের অর্থ হলো উঁচু করা উন্নত করা পাল্লা ভারী হওয়া গৌরব করা বিজয় লাভ করা ইত্যাদি। শাওয়াল মাসের আমলে উন্নত লাভ হয় নেকির পাল্লা ভারী হয় আমলে সাফল্য আসে কল্যাণ প্রত্যাশী আল্লাহর কাছে উভয় হাত প্রসারিত করে প্রার্থনায় মগ্ন হয়। এ মাসে ৬ রোজা রাখার বরকত বছর জুড়ে রোজা রাখার সোয়াব মিলে।

এইজন্য এই মাসে এই ০৬টি রোজা পালন করার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত যেহেতু রাসূল করেছেন এবং আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন।আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) একটি হাদিসে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন আল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসের সব ফরজ রোজা রাখার পর অতঃপর সাবান মাসে আরো ০৬টি রোজা রাখলে সেই যেন সারা বছর ধরে রোজা রাখল। ( সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১৬৪)

শাওয়াল মাসের যেকোনো সময়ে এই রোজাগুলো আপনি আদায় করতে পারবেন ধারাবাহিকভাবে বা মাঝে মাঝে বিরতি দিয়েও এ রোজ আদায় করতে পারবেন। রমজান মাসের ফরজ রোজা ছাড়া অন্য সব রোজার নিয়তির সময় অনুযায়ী আপনি এই রোজা পালন করতে পারবেন।

প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ করে ইতিমধ্যে জানতেও বুঝতে পেরেছেন শাওয়াল মাসের ফজিলত এবং শাওয়াল মাসের ছুটির তালিকা ২০২৪ সম্পর্কিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত বলে মনে হয়েছে।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।

এছাড়াও আপনি যদি প্রবাসী সম্পর্কিত আরো পোস্ট পড়তে চান। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটি ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের সঙ্গে থেকে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।আজকের আর্টিকেল আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না।আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।