এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় - গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

প্রিয় পাঠক আপনি কি এই গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় এবং গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা বিষয় থেকে আপনি জানতে পারবেন এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় এবং গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে আমাদের পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।
এসি-ছাড়া-ঘর-ঠান্ডা-রাখার-উপায়
সেই সাথে আপনি জানতে পারবেন টপ ফ্লর রোদ ঠান্ডা রাখার উপায় ,ছাদের গরম কমানোর উপায়,  রান্নাঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে।তাই আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় এবং গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্র:এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়।গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

ভূমিকা।এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়।গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

বর্তমানে বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি থেকে ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠানামা করছে এমন অবস্থায় মানুষের প্রচন্ড তাপমাত্রা ও গরমে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে।তাই এমন গরম থেকে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখবেন তা আপনাকে জানতে হবে।আপনি যদি আপনার বাসা বাড়ি প্রচন্ড গরমের সময় ঘর ঠান্ডা রাখতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি জেনে নিতে পারেন এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় এবং গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে।
একই সাথে আপনাদের সুবিধার্থে টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়, শরীরের গরম কমানোর উপায় টপ রোড ঠান্ডা রাখার উপায় এবং ছাদের গরম কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।হতে পারে এ পোস্টটি আপনার জন্য গরম থেকে নিজেকে সুস্থ রাখার উপায়।তাই আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে সকলে জেনে নেব এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় গুলো।

গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

অতিরিক্ত গরম পড়ায় কিন্তু অনেকেই আমরা জানতে চাইছি যে গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় কি আসলে গরমের কারণে কিন্তু ঘরে থাকা যাচ্ছে না এত গরমে কিন্তু মানুষ ঘরে যে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিবে সেটা নিতে পারছে না।তাই আজকে কিভাবে গরমে ঘর ঠান্ডা রাখা যা তা আপনাদের সাথে আলোচনা করব।

অতিরিক্ত গরমের কারণে কিন্তু ঘরের মধ্যে গরম অনুভব করা হতে রোদের তাপে ঘর উত্তাপ হয়ে উঠে দুপুরের দিকে সূর্য যখন মধ্য গগনে তখন বাড়িতে থাকা দায়ী হয়ে যাচ্ছে এই জন্য কিন্তু সেই সময় ফ্যান ব্যবহার করা হয় কিন্তু যখন খারাপ হতে লাগে তখন কিন্তু ফ্যান দিয়েও গরম বাতাস বের হয়।এই গরমে প্রত্যেক দিনই টানা অনেক সুন্দর উঠে আপনি চাইলে সেটাতো নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেনি এবং ঘন ঘন ব্যবহারের আগে যন্ত্রটি মেরামত করে নিতে পারেন।
চালানোর সময় মাথায় রাখবেন বাইরে যা তাপমাত্রা তারচেয়ে যদি এক থেকে দুই ডিগ্রি কমিয়ে রাখেন তাহলে কিন্তু খুব একটা লাভ হবে না বরং আপনার যন্ত্রের আয়ু কমে যাবে এই জন্য ঘরকে ঠান্ডা করতে কিছু ডিগ্রি কমিয়ে ঘরকে ঠান্ডা করুন। বিকেল বেলায় ঘরে বাইরে তাপমাত্রা কম হওয়ার কারণে ঘরের ভেতরে বাতাস আলো হাওয়া ধুকতে দিন দরজা জানালা খুলে রাখুন।

ঘরের ভেতরে জানালায় হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করে থাকেন কিন্তু গরমকালে এগুলো না ব্যবহার করে ভারী পর্দা ব্যবহার করতে হবে এবং কারো রঙের পর্দা ব্যবহার করবেন তাহলে রোদ ঢুকে ঘরে বেশি উত্তাপ হবে না। সিলিং ফ্যান ঘুরলে হাওয়ার পাওয়ার বদলে মনে হচ্ছে যেন আরো বেশি ঘোড়ানো হয়েছে। এতে হতে পারে অপরিষ্কার হয়ে গেছে ফ্যান এই জন্য ঝুল পরিষ্কার করুন দেখেন পার্থক্য আছে কিনা।

টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

আপনারা কি টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে জানেন যারা টিনের ঘরে বসবাস করে তারায় কিন্তু জানে যে টিনের ঘর কতটা পরিমাণে গরম হয়। আসলে টিনের ঘর অল্পতেই রোদে তাপ হয়ে যায় যখন তখন কিন্তু অনেক গরম হয়ে যায় যার ফলে ঘরে থাকা যায় না। গরমকালে টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে জানাবো।

টিনের চালে খড়, বিচুলি একটু মোটা করে রেখে দেখতে পারেন আপনার লাভ হবে তবে আগুন থেকে সাবধান হতে হবে। টিনের চালের ওপরে ঘরের আটি দিয়ে মোটা করে তিন চাপা দিয়ে দেন তারপর ঘরের আটি গুলোকে ভালভাবে জলে ভিজিয়ে দেন দেখুন গরমের কষ্ট লাঘব ভাবে ফলাফল নিজেই বুঝতে পারবেন তবে আপনাকে প্রতিদিন একটু পরিশ্রম করে ঘর গুলোকে ভেজাতে হবে।
টিনের ঘরে বসবাস করার সবচেয়ে সুবিধা হয়েছে বৃষ্টির পানি পড়ার সাথে সাথে আপনার ঘর ঠান্ডা হয়ে যাবে শীতকালেও ঘর বেশ ঠান্ডা থাকে কিন্তু গরমকালে অল্পতে আবার গরম হয়ে যায়। গরম থেকে বাঁচার জন্য ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভেন্টিলেটর রাখতে হবে। ঘরে চালের নিচে কাঠ বা বাঁশের তৈরি খেতেও ছাউনি দিতে হবে।

এর দ্বারা গরমের উত্তাপ সরাসরি ঘরে আসে না এর ফলে ঘর অনেক ঠান্ডা থাকে। ঘরের জানালা দুই পাশে রাখা উচিত যেন ঘর পর্যাপ্ত পরিমাণে ভালোবাসার বাতাস চলাচল করতে পারে। ঘরের চারপাশে গাছ লাগিয়ে দিন বিশেষ করে মেহগনি ও নিম গাছ এই দুইটি গাছ ঘরে চারপাশের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে এবং নিমগাছ অনেক বেশি উপকারী একটি গাছ।

এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য আমাদের যে সকল কাজগুলো করতে হবে। সবার সামর্থে কিন্তু এসি কেনা সম্ভব হয় না। আমাদের নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য কিন্তু এসি নয়। এই জন্য তারা ঘরকে ঠান্ডা রাখতে এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে চাই সবচেয়ে বেশি।গরমে শীতল হাওয়া ছোঁয়া পেটে অনেকেই সীতা তাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র এসি ব্যবহার করে কিন্তু এসি ছাড়াও যে ঘর ঠান্ডা করা যায় এটা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না।

সিলিং ফ্যান : সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গ্রীষ্মকালে এবং শীতকালের একটি সম্পর্ক আছে গ্রীষ্মকালে এমন ভাবে ফ্রেন্ড সেট করতে হবে যাতে সেটি ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ঘুরে আবার শীতকালে ফ্যান থাকা উচিত এমন ভাবে যাতে পাখাগুলো ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরতে পারে গরমের সময় এমন ঘূর্ণনের ফলে ঘর দ্রুত বাতাস অপসারণ করতে পারে।

ডাবল গ্লাস যুক্ত জানালার ব্যবহার: কাচের দুই স্তর বিশিষ্ট প্যানেলকে সাধারণত ডাবল ক্লাস যুক্ত জানালা বলা হয় ডাবল জানালা কাঁচের ৩ থেকে ১০ মিলিমিটার পুরু হয়ে থাকে এসব কাঁচের মধ্যকার জায়গায় গ্যাস দিয়ে পূর্ণ করা হয় এবং গ্যাস যেন বেরিয়ে যেতে না পারে তাই সিল করে দেওয়া হয়। জানালার পাল্লা কাচের হলে গরম বেশি অনুভূত হয় কারণ কাঁচের মধ্যে দিয়ে সূর্যের তাপ দ্রুত শোষণ হয় এবং ঘরে তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
এক্ষেত্রে যেসব জানালায় সূর্যের আলো পড়ে সেসব জানালা হিট প্রটেক্টিং উইন্ডো ফিল্ম লাগানো যেতে পারে যার ফলে জানালার ভেতর থেকে সূর্যের তাপ শোষণ ৬০ শতাংশ কমে যাবে। জানালার পাল্লার বাইরের দিকে লাগালে সাদা রং প্রায় সব শক্তিই বিকিরণ করে বাইরের দিকে ঘরে খুব কম তাপ প্রবেশ করবে।
মোটা ও গাঢ রঙের পদ্মার ব্যবহার: বাজারে বাহারি রঙের পর্দা পাওয়া যায় আপনারা যদি মোটা ও গারো রঞ্জন যেমন কাল বেগুনি নীল খয়েরি এমন রঙের পর্দাগুলো বাছাই করেন তাহলে তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি হয় তাপ বিকিরণ ক্ষমতা কম থাকে।
রাতে ঘরে বাতাস প্রবেশ করতে দেওয়া: রাতে ঘুমাবার আগে জানালা খুব শীতল বাতাস প্রবেশ করতে দিতে হবে এতে করে ভেতরের গরম বাতাস বাইরে বের হয়ে ঘরকে শীতল করবে দিনের বেলায় নতুনভাবে রোদ না ঢুকলে এই শীতল বাতাস প্রশান্তি দিবে।

তাপ প্রবেশ রোধ করা: জানালার মাধ্যমে প্রায় ২৫ শতাংশ তাপ ঘরে প্রবেশ করতে পারে ঘর ঠান্ডা রাখতে দিনের বেলা বা দিনের যে কোন সময় সবচেয়ে বেশি রোদ্রৌজ্জ্বল থাকে তখন তা প্রবেশ করার পথ বন্ধ করে দিলে উত্তাপ কম হয়।।
বরফ পদ্ধতি : একটি ঘরকে ঠান্ডা রাখলে জনপ্রিয় পরিচালনাতে পদ্ধতি হলো বড় ফ্যানের নিচে বাটিতে বরফের টুকরা রাখলে এটি গরম তাপ চুষে নিয়ে বলতে শুরু করবে এতে ঘর ঠান্ডা হবে।

টপ ফ্লোর ঠান্ডা রাখার উপায়

আপনার বাসার যদি টপ ফ্লোর ঠাণ্ডা রাখতে চান তাহলে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে টপ ফ্লোর ঠান্ডা রাখার উপায় গুলো জানতে হবে। গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণে কিন্তু টপ ফ্লোর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় যার ফলে ধীরে ধীরে কিন্তু নিচের অবস্থা গুলো আরো বেশি খারাপ হয়ে যায় টপ ফ্লোরের নিচের ঘরগুলো কিন্তু অতিরিক্ত গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যায় মানুষ।

অনেকেই এয়ারকন্ডিশন লাগিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখেন তবে সে ক্ষেত্রে ওই ঘরগুলো ঠান্ডা করতে গিয়ে বিদ্যুৎ বিল বাড়তে থাকে কিন্তু রান্নাঘর বাথরুমে তার এয়ারকন্ডিশন লাগানো যায় না তাই সেখানে গেলে ঘেমে যেতে হয় তাই এমন কিছু উপায় রয়েছে যা করার ফলে টপ ফ্লোর ঠান্ডা রাখা যাবে।

ছাদবাগান: টফল ঠান্ডা রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় ছাদে বাগান করা নিজের বাড়ি হলে সহজে এটি করা যায় ছাদে গামলাই করে অনেকগুলো গাছ লাগাতে পারেন আবার ঘাস বিছিয়ে দিতে পারেন এগুলো সূর্যের আলো থেকে সরাসরি ছাদের মধ্যে কে ছায়া দেবে আবার ফুল বা গাছের গামলাই রাখা মাটি সূর্য রাশি শোষণ করে নিবে যার ফলে সহজে ছাদ গরম হবে না।
রিফ্লেক্টিভ রুফ সারফেস: এর জন্য ছাদের ম্যাজিকের রং করে দিতে হবে এই রঙগুলো সূর্য রাশি প্রতি প্রলিত করে তাপ নির্ধারকের কাজ করে। এর সাহায্যে ঘর ঠান্ডা রাখা যায় আবার সস্তায় কাজেও হাসিল করতে পারবেন মানে ছাদে চুন লাগিয়ে নিতে হবে এবং সেই রংয়ের কারণে কিন্তু ছাদের থেকে সূর্যের আলোকরশ্মি রিফ্লেটিক হয়ে তাপমাত্রা কম আসবে।

ছাদে শেড ব্যবহার: সাধের মেঝে বাসলাম রং কিরে তৈরি এটি অনেকক্ষণ পর্যন্ত তাপ ধরে রাখতে পারে পরে সেই তাপের নিচের তলাকে ঘরকে গরম করে দেয়। এই সমাধানের জন্য ছাদের উপর শেড লাগাতে হবে। ছাদের পরিসরে দেওয়াল তুলে বা জল জাতীয় শেড লাগিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারেন আবার ছাদে পার গোলা বানিয়ে তাতে লতাপাতা জড়িয়ে দিতে পারেন।

হিট রেসিস্টেন্স ফ্লোরিং: উডেন ডেক টাইলস বা টেরাকোটা টাইলস লাগাতে পারেন ছাদে এর ফলে ছাদের নিচের তলার ঘর বেশি গরম হবে না। এছাড়াও ছাদে হাঁটার সময় পা ও পুড়বে না এমন অনেক ব্র্যান্ডের টাইলস রয়েছে যা করে দেয় এবং ছাদ ঠান্ডা রাখে।
সোলার প্যানেল: সোলার প্যানেলের সাহায্যে ছাদ ঢেকে দেওয়া যেতে পারে। এই সোলার প্যানেলগুলোতে ফটোভোলটাইক সেল থাকে এবং এগুলো ছাদ গরম হতে দেয় না। পরবর্তীতে সূর্যরশ্মি সংগ্রহ করে সৌরশক্তিতে পরিণত হবে।

ছাদের গরম কমানোর উপায়

গ্রীষ্মকালের গরমে অতিরিক্ত ছাদ কিন্তু গরম হয়ে যায় ছাদের গরম কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনারা কি জানেন খাদ্য অতিরিক্ত গরম হলে কিভাবে ছার ঠান্ডা করা যায় আপনারা যদি ছাদের গরম কমাতে চান তাহলে অবশ্যই চাঁদের উপরে ঠান্ডা রাখার জন্য আপনারা পানি ব্যবহার করতে পারেন।পানি ছেটানোর মাধ্যমে ছাদের গরম ভাব বের হয়ে যাবে এই জন্য ছাদকে বেশি বেশি করে পানি দিয়ে ভিজাতে হবে।

ঠান্ডা রাখার জন্য ছাদের উপরে ছোট বড় টবে গাছ লাগাতে পারেন এবং ছাদকে ঠান্ডা করতে পারেন। ছার ঠান্ডা রাখার জন্য আপনাররা ছাদের উপরে ছাউনি তৈরি করতে পারেন যার ফলে রোদটা ছাদে না যে ছাউনিতে পড়বে এবং ছাদ ঠান্ডা থাকবে এর ফলে ঘর ঠান্ডা থাকবে। ছাদের গরম কমানোর জন্য কিন্তু মানুষ বিভিন্ন রকমের উপায় অবলম্বন করে ছাদের গরমের ফলে কিন্তু ঘর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় যার ফলে ঘরে থাকা যায় না।
আপনারা কিন্তু সোলার প্যানেলের সাহায্য ছাদ ঢেকে দেওয়া যেতে পারে এই সোলার প্যানেলগুলোতে ফোটোভোলটাইক সেল থাকে এবং এগুলি হাত গরম হতে দেয় না পরবর্তীতে সূর্য রাশি সংগ্রহ করে তারা সৌরশক্তিতে পরিণত করে তবে মনে রাখবেন মাল্টি স্টোরি বিল্ডিং হলে পুরো ছাদে এই সোলার প্যানেলগুলো লাগানো যেতে পারে।

এছাড়াও আপনি ছাদ বাগান করতে পারেন ছাদের উপরে সুন্দর সুন্দর গাছ লাগিয়ে ছাদে আপনি বাগান তৈরি করতে পারেন যার ফলে সূর্য রশ্মি শোষণ করে নিবে ছাদে ছায়া হবে এবং সাদ সহজে গরম হবে না। ছাদের তাপমাত্রা কম করার অপর একটি পদ্ধতি হলো reflet roof surface। এই পদ্ধতিতে আপনি ছাদের নিজেকে রং করে দিতে পারেন চার রং করার কারণে।
আপনি যদি সাদা কালার রং করেন এতে সূর্য রশিক প্রতিফলিত করে তাপ নির্ধারকের কাজ করবে। ছাদে আপনি সহজে চুন লাগিয়ে দিতে পারেন তবে একটি সমস্যা হল বর্ষাকালে এই রঙ ধুয়ে যেতে পারে তবে গরমের রং করতে পারেন।

রান্নাঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

আপনার রান্নাঘর অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা সেখানে যদি অতিরিক্ত গরম হয় তখন কিন্তু রান্না করা অসহ্য হয়ে যায় রান্নাঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে আপনারা কি জানেন কিছু উপায় মানলে কিন্তু আপনার রান্নাঘরও ঠান্ডা থাকবে। রান্নাঘরকে ঠান্ডা রাখার জন্য বেশ কিছু উপায় মেনে চললে আপনি দেখবেন আপনার রান্নাঘরও ঠান্ডা থাকছে এবং আপনি খুব সহজেই রান্না করতে পারছেন।

রান্না ঘরের পাশে গাছ লাগান বেশ কিছু গাছ রয়েছে যা অভ্যন্তরীণ আবহাওয়াকে আরও বেশি ঠান্ডা করে দেয় ইনডোর প্লান্ট দিয়ে ঘর সাজানো এলোভেরা, স্নেক প্ল্যান্ট, লিলি, পাম, মানি প্ল্যান্ট ইত্যাদি দিয়ে গাছ লাগাতে পারেন এতে ঘরের স্নিগ্ধতা বিরাজ করবে গাছের কারণে ঘরের বাতাস থাকবে স্নিগ্ধ।
ঘরে তাপমাত্রা কম রাখতে একটু ভেজা ভেজা রেখে ঘর মোচুন একবারের পরিবর্তে দিনে ২-৩ বার করে ঘর মুছতে পারেন মেঝের পাশাপাশি মুছতে পারেন জানালার কাজও ঘর মোছার আগে জানালা দরজা বন্ধ করে পর্দা টেনে দিন এটা বেশ কিছু সময় ঘর ঠান্ডা থাকবে।সূর্যের তাপ জানালা ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করতে পারে এই জন্য জানালাতে ভারী পর্দা ব্যবহার করুন রান্নাঘরের জানালাগুলোতেও ভারী পর্দা ব্যবহার করতে হবে।

রান্নাঘরে এডজাস্ট ফ্যান ব্যবহার করতে হবে এতে রান্না ঘরের তাপমাত্রা কমে যাবে রান্নাঘরে রান্না করার সময় কিন্তু চুলার গরমে অনেক বেশি রান্নাঘর গরম হয়ে যায়। এতে রান্নাঘরে এডজাস্ট ফ্যান যদি থাকে গরম বাতাস দ্রুত বাইরে বের করে দিবে এবং বাথরুম এডজাস্টমেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।

শরীরের গরম কমানোর উপায়

গরমের সময় কিন্তু শরীরও অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় আপনারা কি শরীরের গরম কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান অতিরিক্ত গরম লাগলে কিভাবে শরীরের গরম কম হবে। যখন আপনার শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যাবে তখন শরীর সুস্থ রাখার জন্য এবং শরীরের অতিরিক্ত গরম কমানোর জন্য আপনি যে কাজগুলো করতে পারেন।

পানি পান: গরমে বেশি তৃষ্ণা পায়। এই সময় বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। এতে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হয়ে যাবে এবং আপনার শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে। শরীরের শক্তি মেলা জন্য আর ওজন কমানোর জন্য কিন্তু কোন ভাবে আপনি কোমল পানীয়, সোডাযুক্ত পানীয় বা চিনি দেওয়া সর্বপ্রথম খাওয়া যাবেনা। তবে ওজন না কমে বরণ বেড়ে যাবে এই সকল পানি পান করার জন্য।
পানি জাতীয় ফল: গরমের মৌসুমে আপনাদেরকে ফল খেতে হবে ফল খাওয়ার ফলে কিন্তু আপনার ওজন কম হবে এবং আপনার শরীর ও সুস্থ থাকবে ফল যেমন শসা তরমুজ পানি জাতীয় ফল খেতে হবে এতে করে আপনার শরীরে পানির ঘাটতি হবে না।

খাবারের সতর্কতা: অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার কারণে কিন্তু কিছু খাবার ও দায়ী কারণ মশলা জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে কিন্তু শরীর আরো বেশি ক্ষতি হয়। পেয়াজ, রসুন, আদা কম ব্যবহার করতে হবে। অন্যদিকে জিরা, মৌরি, ধনে, পুদিনা দিয়ে খাবার তৈরি করতে হবে। এটি শরীর ঠান্ডা রাখতে হজম ভালো করবে ওজনের নিয়ন্ত্রণে রাখে।

নিয়ম মেনে চলুন: ওজন কমাতে চাইলে খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মেনে চলতে হবে। বাইরে খাবার প্রক্রিয়াজ আর খাবার তেল মশলা তার খাবার আর অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট আর ফ্যাট জাতীয় খাবার একেবারে খাওয়া যাবেনা। একটানা এক মাস নিয়ম করে সময়মতো খাবার খান দেখবেন আপনার শরীর সুস্থ হতে এবং আপনার শরীর ঠান্ডা থাকবে।

শেষ কথা।এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়।গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়।

প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আমরা এই গরমে অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন উপায় খুঁজে বেড়ায় কিভাবে নিজেকে গরমে সুস্থ রাখা যায় নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য আপনার বাসার আশেপাশে বেশি বেশি গাছপালা লাগান এবং পরিবেশ বাঁচান।সেই সাথে আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনা বিষয় থেকে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় এবং গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কিত সকল তথ্য।

আজকের আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই এতক্ষণে আপনি গরমে ঘর ঠান্ডা রাখাবেন কিভাবে সে সম্পর্কিত সকল তথ্য যেন উপকৃত হয়েছেন।আজকে আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন। এছাড়াও আপনাদের নিত্য নতুন আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url