ঈদুল ফিতর নামাজ পড়ার নিয়ম - ঈদের নামাজের ফরজ কয়টি

ঈদুল ফিতর নামাজ পড়ার নিয়ম এবং ঈদের নামাজের ফরজ কয়টি এ বিষয় নিয়ে আমাদের আজকের আর্টিকেল।আপনারা অনেকে অনলাইনে সার্চ করে জানতে চেয়েছেন ঈদুল ফিতর নামাজ পড়ার নিয়ম এবং ঈদের নামাজের ফরজ কয়টি এ বিষয় সম্পর্কে।তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করতে চলেছি ঈদুল ফিতর নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।
ঈদুল-ফিতর-নামাজ-পড়ার-নিয়ম
একই সাথে আমাদের আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আলোচনা করতে চলেছি ঈদের নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে, ঈদের সালাত আদায় করা কি ওয়াজিব, ঈদের নামাজ কয় রাকাত এ বিষয় সম্পর্কে।তাই আপনারা যদি ঈদুল ফিতর নামাজ পড়ার নিয়ম এবং ঈদের নামাজের ফরজ কয়টি এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের পর্বটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃঈদুল ফিতর নামাজ পড়ার নিয়ম।ঈদের নামাজের ফরজ কয়টি

ভূমিকা।ঈদুল ফিতর নামাজ পড়ার নিয়ম ও ঈদের নামাজের ফরজ কয়টি

পবিত্র মাহে রমজানের ৩০ টি রোজা সম্পূর্ণ করার পরে মুসলিমদের আনন্দের দিন হলো ঈদুল ফিতর।আমরা সকলেই ঈদুল ফিতর নামাজ সম্পর্কিত অবগত রয়েছি।কিন্তু আমরা ঈদুল ফিতর নামাজ পড়ার নিয়ম এবং ঈদের নামাজের ফরজ কয়টি এ বিষয় সম্পর্কে কমবেশি সকলেরই অজানা রয়েছে।ঈদুল ফিতরের নামাজ প্রত্যেক মুসলমান ব্যক্তির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা সে সমস্ত বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যা জেনে রাখা আমাদের সকলের উচিত।
তাইতো আপনাদের সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা সাজিয়েছি ঈদের নামাজ কয় তাকবীর, ঈদের নামাজ কত হিজরীতে শুরু হয়, ঈদের সালাত আদায় করা কি ওয়াজিব, ঈদের নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে, ঈদের নামাজ কয় রাকাত এ বিষয় সম্পর্কে।তাই আপনারা যদি আজকের আর্টিকেলের সম্পূর্ণ অংশ পড়েন তবে আপনিও খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন ঈদুল ফিতর নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে।

ঈদুল ফিতর নামাজ পড়ার নিয়ম

আপনি কি ঈদুল ফিতর নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান যারা প্রথমবার ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে চান এবং আপনারা যারা জানেন না যে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম কি তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম প্রথমে ইমামের সঙ্গে তাকবীরে তাহরীমা আল্লাহু আকবার বলে উভয় হাত বাধা। তাকবীরে তাহরিমার পর ছানা পড়া।
  • সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়াতাআলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।
  • এরপর অতিরিক্ত তিন তাকবীর দেওয়া এক তাকবীর থেকে আর এক তাকবীর এর মধ্যে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় বিরত থাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবীরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া। বিরে দিয়ে উভয় হাত তাকবির তাহারিমার মতো বেঁধে নিতে হয়।
  • আউজুবিল্লাহ -বিসমিল্লাহ পড়া এরপর সুরা ফাতেহা পড়া। সূরা মিলানো এরপর নিয়মিত নামাজের মত রুকু ও সেজদার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ করা।
দ্বিতীয় রাকাতে বিসমিল্লাহ পড়া, সূরা ফাতিহা পড়া, সূরা মেলানো, এরপর সূরা মিলানোর পর অতিরিক্ত তিন তাকবীর দেওয়া। প্রথম ও দ্বিতীয় রাকাতে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া তৃতীয় তাকবীর দিয়ে উভয় হাৌত থাকবে তাহারিমার মতো বেঁধে নিতে হয়। এরপর তাকবীর দিয়ে রুকুতে যাওয়া সেজদা আদায় করা বৈঠকে বসে তাশাহুদ, দুরুদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।
নামাজে সালাম ফেরানোর পর তাকবির পড়া: আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
ঈদের নামাজের পর ইমাম সাহেব দুইটি খুতবা দেওয়া।
ঈদের নামাজ পড়ার পর ইমাম খুতবা দেবে আর মুসল্লিরা খুতবা মনোযোগ সহকারে শুনবে। অবশ্যই অনেকে খুতবা না দেওয়ার ব্যাপারে শিথিলতার কথা বলেছে। খুতবা না দিলেও ঈদের নামাজ আদায় হয়ে যাবে বলে তাদের মতবাদ রয়েছে।

ঈদের নামাজ কয় রাকাত

ধর্মীয় সবচেয়ে বড় উৎসব হচ্ছে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল ফিতরের নামাজ কয় রাকাত এই সম্পর্কে অনেকেরই জানার আগ্রহ রয়েছে। ঈদের নামাজ দুই রাকাত এবং তা পড়া ওয়াজিব এতে আজান ইকামত নেই যাদের ওপর ও জুমার নামাজ ও ওয়াজিব তাদের ওপর ঈদের নামাজে ওয়াজি। ঈদের নামাজ মাঠে ময়দানে পড়া উত্তম শহরের মসজিদ গুলোতে ঈদের নামাজ জায়েজ রয়েছে।
দীর্ঘ এক মাস রহমত মাগফিরাত ও নাজাতের শান্তির বার্তা নিয়ে সকল মুসলিম জাতির নিকট উপস্থিত হয়েছিল পবিত্র মাহে রমজান দীর্ঘ এই একমাস সিয়াম সাধনার পর বিদায় নিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর এই ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করে সকল মুসল্লিরা তাদের মনের ইচ্ছে গুলো আল্লাহর কাছে প্রকাশ করেন। ঈদের নামাজের পদ্ধতি স্বাভাবিক নামাজের মত নয়।

যেমন ঈদের দুই রাকাত নামাজের কোন আজান ইকামত নেই। এতে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবীর রয়েছে যেগুলো আদায় নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে । ঈদের নামাজ দুই রাকাত আদায় করা হয় আপনারা যদি ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন তাহলে আপনারা জেনে আছেন ঈদুল ফিতর নামাজ দুই রাকাড আদায় করতে হয়।

ঈদের নামাজের ফরজ কয়টি

পবিত্র মাহে রমজানের পর আনন্দের ঈদুল ফিতর এসে দরজায় কড়া নাড়ছে এই ঈদের আনন্দ সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে ঈদের নামাজ পড়ার মাধ্যমে প্রথমে আমরা ঈদের দিনে সবাই পাক পবিত্র হয়ে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করি। ঈদের নামাজের ভিতরে মোট ফরজ ১৩ টি। আহাকাম সাতটি, আরকান ছয়টি।
আরো পড়ুনঃ
নামাজের বাহিরের কাজগুলোকে আহকাম বলে। নামাজ হল ফরজ ইবাদত। নামাজ হল বেহেস্তের চাবি এবং নামাজ ছাড়া জান্নাতে যাওয়ার সম্ভব না। এই জন্য নামাজে সব দিক অর্থ হল ক্ষমা প্রার্থনা রহমত দোয়া ইত্যাদি নামাজের আরবি হল সালাত।
নামাজের বাইরে ৭ ফরজ:
  • শরীর পবিত্র হওয়া
  • কাপড় পবিত্র হওয়ার
  • নামাজের জায়গা পবিত্র হওয়া
  • সতর ঢাকা থাকা( পুরুষের সতর নাভি থেকে হাঁটু, নারীদের সতর হাতের কব্জির পয়ের পাতা ও মুখ ছাড়া পুরো দেহ)
  • কিবলামুখী হওয়া।
  • ওয়াক্ত মত নামাজ আদায় করা।
  • নামাজের নিয়ত করা।
  • নামাজের ভিতর ৬ ফরজ :
  • তাকবীরে তাহরিমা (আল্লাহু আকবার) বলে নামাজ শুরু করা।
  • দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া
  • সূরা ফাতিহার সাথে কুরআন পড়া
  • রুকু করা
  • দুই সিজদাহ করা
  • শেষ বৈঠক করা
উপরোক্ত সকল ফরজগুলো নামাজের ফরজ যা আমাদের আদায় করতে হবে ঈদের দিনের নামাজের ফরজ আদায় করা প্রতিটা মুমিন জন্য অবশ্যক।

ঈদের নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে

অনেকেই জানতে চেয়েছি ঈদের নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে অনেকেই যারা ঈদের নামাজ পড়ে না তাদের কি গুনাহ হয়। মুসলিম নারীরা ঈদগাহে যেতে পারবে ঈদের নামাজ পড়া এবং দোয়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবে প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এমনটি নির্দেশ দিয়েছিলেন একটি হাদিসে বলা হয়েছিল, 
আমরা যেন মহিলাদেরকে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার নামাজের জন্য বের হয় এবং নামাজে অংশগ্রহণ করে পরিণত বয়স্ক ঋতুবর্তী ও গৃহবাসিন্দা সহ সবাই। তবে ঋতুবর্তী মেয়েরা নামাজ আদায়ের থেকে বিরত থাকবে তবে কল্যাণ ও মুসলিমদের দোয়ায় অংশ নিবে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মাঝে কারো কারো রাসুল (সাঃ) সে তার অন্য কোন বোনের থেকে ওড়না নিয়ে পরিধান করবে।
ঈদের তাৎপর্য এবং এরশাদ সম্পর্কিত নামাজের পরিপ্রেক্ষিতে কেউ ভাবতে পারে যে এটি ছেড়ে দিলে পাপ হিসেবে বিবেচিত হবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তর নিহিত রয়েছে। ঈদের নামাজের মর্যাদা বোঝার মাধ্যমে অধিকাংশ আলেমদের মতো ঈদের নামাজ একটি সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ( এটি অত্যন্ত বাঞ্ছনীয়)। অতএব প্রার্থনা করার জন্য এটিকে জোরালো ভাবে উৎসাহিত করা হলেও, এটি অনুপস্থিত হওয়ায় অগত্য একটি পাপ গঠন করে না।

ঈদের সালাত আদায় করা কি ওয়াজিব

ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ঈদের সালাত বছরে দুইবার আদায় করতে হয় তাই অনেক সাধারণ মুসল্লিরা তাকবীরে হাত নামানো ও উঠানোর বিষয় ঠিকমতো আন্দাজ করতে পারেনা ভুল করে ইমাম সাহেব নামাজের আগে বলে দেন তারপরও অনেকেই ভুল করে। ঈদের সালাত আদায় করা কি ওয়াজিব এর সম্পর্কে অনেকেরই জানার আগ্রহ রয়েছে ঈদের সালাত আদায় করুন।

ঈদের দিন সকালে গোসল করে পরিষ্কার পোশাক পড়ে ঈদগাহে যেতে হবে যাবার আগে সুগন্ধ ব্যবহার করা উত্তম। ঈদের নামাজ দুই রাকাত পড়া ওয়াজিব এতে আজান ও ইকমত নেই। যাদের ওপর জুম্মার নামাজ ও ওয়াজিব তাদের উপর ঈদের নামাজে ওয়াজিব ঈদের নামাজ ময়দানে পড়া উত্তম। তবে মক্কা বাসীদের জন্য মসজিদে হারামে পড়া উত্তম।
শহরের মসজিদগুলোতেও ঈদের নামাজ আদায় করা জায়েজ রয়েছে। হাদীসে একে জানা গেছে যে, 'সূর্য উদিত হয়ে এক বর্ষা (অর্ধ হাত) পরিমাণ উঁচু হবার পর থেকে শুরু হয় দ্বিপ্রহর পর্যন্ত বাকি থাকে। তবে ঈদুল ফিতরের নামাজ একটু দেরিতে পড়া সুন্নত যেমন নামাজের আগে বেশি থেকে বেশি সাদকাতুল ফিতর আদায় করা যায়। (আল মুগনি :২/১১৭,ফাতহুল কাদির :২/৭৩)

তাই আপনারা যার প্রশ্ন করেছিলেন ঈদের সালাত আদায় করা কি ওয়াজিব তাদের প্রশ্নের উত্তর একটা ঈদের সালাত আদায় করা ওয়াজিব যা আপনাদের পালন করা দরকার। ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির বাজি প্রথম রাকাতে তাকবির তাহরিমা ও সানার পর তিন তাকবীর।
এরপর দ্বিতীয় রাকাতে কেরাতের পর রুকুতে যাওয়ার আগে তিন তাকবীর। এ তাকবীর গুলো বলার সময় ইমাম মুক্তাদি সবাইকে হাত উঠাতে হবে। তৃতীয় তাকবীর ছাড়া প্রতি তাকবীরের পর হাত ছেড়ে দিতে হবে।

ঈদের নামাজ কত হিজরীতে শুরু হয়

আপনারা কি জানতে চান ঈদের নামাজ কত হিজরীতে শুরু হয় আসলে অনেকেই ঈদের নামাজ কত হিজরীতে শুরু হয় তা নিয়ে নানা রকমের প্রশ্ন করে থাকে এবং জানার আগ্রহ রয়েছে আজকে আপনাদেরকে জানাবো ঈদের নামাজ কত হিজরীতে শুরু হয় তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
  • ঈদ আরবি শব্দ এর অর্থ খুশি আনন্দ অনুষ্ঠান উৎসব ইত্যাদি শব্দের মূল রূপ হল আওদ, যার অর্থ ফিরে আসা।( আনওয়ারুল মিশকাত:৩/৬০৫)
  • আরবদের কাছে ঈদ বলা হয় এমন সময় যে সময় আনন্দ ও দুঃখ ফিরে আসে। (লিসানুল আরব, ইবনে মিনজির: ৬/৫১০)
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার পরে ঈদের প্রবর্তন হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় পৌঁছে দেখতে পান যে মদিনা বসবাসকারী ইহুদিরা শরতের পূর্ণিমার নওরোজ উৎসব এবং বসন্তের পূর্নিমার মেহেরজান উৎসব উদযাপন করছে। মহানবী (সা:) মুসলমানদের এই দুটি উৎসব পালন করতে নিষেধ করেন তিনি বলেন মহান আল্লাহ তোমাদের ওই উৎসবের বিনিময়ে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার মতো পবিত্র দুটি দিন দান করেছেন।
আরো পড়ুনঃ
ঈদের নামাজ পড়বো ভর্তি তো হওয়ার সময় সম্পর্কে দু'ধি অভিমত পাওয়া যায় প্রথমত আল দুররুল মুখতার গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে, ' যে প্রথম হিজরীতে ঈদের নামাজের বিধান প্রবর্তিত হয়েছে। '
দ্বিতীয়, বেশিরভাগ আলেমদের মতে দ্বিতীয় হিজরীতে তার বিধান প্রবর্তিত হয় মুসলমানরা মদিনায় প্রথম ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েন দ্বিতীয় হিজরী মোতাবেক ৬২৪ খ্রিস্টাব্দে ৩০ বা ৩১ মার্চ।

ঈদের নামাজ কয় তাকবীর

ঈদের নামাজ কয় তাকবীর সে সম্পর্কে আপনারা কি জানেন যারা ঈদের নামাজ কয় তাকবীরে পড়া হয় সে সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য আজকে নিয়ে এসেছি। ঈদের নামাজ কয় তাকবীরে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। পুরো একমাস রোজা রাখা ও তারাবি পড়ার পর ঈদের দিন। আল্লাহর রোজাদারদের তাদের মেহনতের সওয়াব ও পুরস্কার দান করেন।
জাহান্নামিদের তালিকা থেকে তাদের নাম মুছে দেবেন এবং রোজা তাদের খুশি হয়ে শুকরিয়া স্বরূপ দান সদকা করে এবং ঈদের নামাজ আদায় করে। এই নামাজকে নবীজি (সা:) এতটাই গুরুত্ব দিতেন যে ইসলামে শুরুর যুগে নারী ও শিশুদেরও ঈদগাহে নিয়ে যাওয়া হতো এমনকি ঋতু মূর্তি নারীরাও ঈদগাহে উপস্থিত হয়ে এক পাশে অবস্থান করতো।

১২ তাকবীরের ক্ষেত্রে প্রথম রাকাতে শুরুতে অতিরিক্ত সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাকাতের শুরুতে অতিরিক্ত পাস তাকবির দিতে হয় প্রথম রাকাতে সানা পাঠের পর কানের লতি পর্যন্ত হাত তোলার পর পর সাতবার তাকবির বলতে হয়। দ্বিতীয় রাকাতে সূরা পাঠ সুরুর পূর্বে অতিরিক্ত ৫ তাকবীর বলতে হয়।

অতিরিক্ত তাকবীরের ক্ষেত্রে অন্যান্য মাযহাবসহ অনেকে প্রথম ডাকাতে তাকবীর তাহরিমা সহ ৭ তাকবীর আর দ্বিতীয় রাকাতে ৫ তাকবীর দিয়ে থাকেন যদি কেউ অতিরিক্ত ছয় তাকবীর দেয় কিংবা অতিরিক্ত ১১ তাকবীর দেয় তাতে নামাজের অসুবিধা হবে না বরং নামাজ হয়ে যাবে ।
ঈদের চাঁদ দেখার পর থেকে অর্থাৎ ৩০ রমজান ইফতারের পর থেকে প্রথম কাজই হচ্ছে তাকবির তথা আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে তাকবীর পড়ায় এটাই ঈদের প্রথম কাজ আল্লাহ তায়ালা কোরআনে কারীমে তাকবীর পড়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ' আর তোমাদের আল্লাহ তায়ালা মহত্ব বর্ণনা করো যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।' ( সুরা বাকারা: আয়াত: ১৮৫)
তাকবীর হল:
উচ্চারণ: 'আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ। '
আল্লাহ তায়ালা রোজাদার মুমিন মুসলমানদের ঈদের নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।

শেষ কথা।ঈদুল ফিতর নামাজ পড়ার নিয়ম।ঈদের নামাজের ফরজ কয়টি

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে ইতিমধ্যে জানতেও বুঝতে পেরেছেন ঈদুল ফিতর নামাজ পড়ার নিয়ম এবং ঈদের নামাজের ফরজ কয়টি এ বিষয় সম্পর্কে।আশা করছি আমাদের আজকের আর্টিকেলের সম্পূর্ণ অংশ পড়ে আপনি ঈদের নামাজ সম্পর্কিত তথ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।তাই আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।
আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত বলে মনে হলে আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে।এছাড়াও আপনি যদি ইসলামিক আরও তথ্য সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং ঘুরে আসুন।আজ এ পর্যন্তই আবার কথা হবে সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url