৫ বছরের সেঞ্জেন ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়

প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই ইউরোপ যেতে চাচ্ছেন?কিন্তু ৫ বছরের সেঞ্জেন ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় এবং কোন কোন দেশ সেঞ্জেন এর সদস্য সে সম্পর্কে জানেন না?তবে আর চিন্তা কিসের আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আপনি জানতে পারবেন ৫ বছরের সেঞ্জেন ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় এবং কোন কোন দেশ সেঞ্জেন এর সদস্য সে সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।

সেই সাথে আপনি সেঞ্জেন অঞ্চলের দেশ কয়টি? এবং 90 দিনের শেঞ্জেন ভিসা গণনা? জার্মানির সেঞ্জেন ভিসা পেতে কতদিন লাগে? সে সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারবেন।তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন ৫ বছরের সেঞ্জেন ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় এবং কোন কোন দেশ সেঞ্জেন এর সদস্য এ সম্পর্কে।

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় হলো ৫ বছরের সেঞ্জেন ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় এবং কোন কোন দেশ সেঞ্জেন এর সদস্য সে সম্পর্কিত সকল তথ্য।সেই সাথে আজকের আর্টিকেলের মধ্যে সেঞ্জেন ভিসা সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আলোচনা করতে চলেছি।সেঞ্জেন ভিসা আগ্রহ কমবেশি সকলের রয়েছে।প্রতিবছর ইউরোপে বৈধ এবং অবৈধ উপায়ে ইউরোপ ছুটে যাচ্ছে মানুষ।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়া নিয়ম ২০২৪ 

আপনিও যদি একজন ইউরোপের বাসিন্দা হতে চান বা ইউরোপ সম্পর্কিত তথ্য জানতে চান তাহলে আপনি আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন ৫ বছরের সেঞ্জেন ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় এবং কোন কোন দেশ সেঞ্জেন এর সদস্য সে সম্পর্কিত তথ্য।

আমরা অনেকেই অনলাইনে সেঞ্জেন অঞ্চল সম্পর্কে জানতে পারি যে সিনচেন অঞ্চলের দেশ কয়টি সম্পর্কে অনেকের জানার আগ্রহ রয়েছে আসলে সেঞ্জেন এলাকা হলো ইউরোপের একদল দেশ যারা তাদের সীমানা বাতিল করেছে। এর মানে হলো যে আপনি জার্মানি থেকে ফ্রান্স ভ্রমন করতে পারেন উদাহরণস্বরূপ বারবার আপনার পাসপোর্ট না দেখান।

একইভাবে আপনি সহজে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করতে পারেন যা ইউরোপের মধ্যে দিয়ে ভ্রমণকে আরো বেশি সহজ করে দেয়। শুধুমাত্র সেঞ্জেন সদস্য রাষ্ট্রগুলো একটি থেকে বৈধ আবাসিক পারমিটের অধিকারী বা যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি দেশ থেকে ইউনিয়নের নাগরিকের পরিবারে সদস্যের জন্য আবাসিক কার্ড দখলে রয়েছে তাদের ভিসার প্রয়োজন নেই। তারা খুব সহজে ইইউতে প্রবেশ করতে পারে।

সেঞ্জেন এলাকা হলো ২৬ টি ইউরোপের সদস্য রাষ্ট্রের একটি সহযোগিতা যা একটি সাধারণ সীমান্ত এবং ভিসা নীতি পরিচালনা করে। তবে এই সময় সেঞ্জেন ভুক্ত আরও একটি দেশ আয়ান যুক্ত হয়ে ২৭ দেশ হয়েছে সেঞ্জেন ভুক্ত। ২০২২ সালে ২৬ সেঞ্জেন ভুক্ত দেশ ছিল কিন্তু বর্তমানে কোরোশিয়া সেঞ্জেন ভুক্ত হয়ে মোট ২৭ টি হয়ে গেছে ইউরোপের সেঞ্জেন ভুক্ত দেশগুলোর নাম নিচে দেওয়া হল।

• স্লোভাকিয়া
• স্লোভেনিয়া
• ফিনল্যান্ড
• লিচেনস্টাইন
• লুক্সেমবার্গ
• সুইজারল্যান্ড
• ডেনমার্ক
• এস্তোনিয়া
• পোল্যান্ড
• অস্ট্রেলিয়া
• বেলজিয়াম
• জার্মানি
• নেদারল্যান্ড
• ফ্রান্স
• লিথুনিয়া
• চেক প্রজাতন্ত্র
• সুইডেন
• হাঙ্গেরি
• আইসল্যান্ড
• মাল্টা
• নরওয়ে
• লাটভিয়া
• পর্তুগাল
• স্পেন
• গ্রীস
• ক্রোয়েশিয়া

উপরোক্ত দেশগুলো সেঞ্জেন ভুক্ত দেশ এই দেশগুলোতে আপনি খুব সহজেই ভিসা ছাড়াও চলাচল করতে পারবেন যে দেশগুলোতে সেগুলো সেঞ্জেন ভুক্ত দেশ।

অনেকেই ৫ বছরের সেঞ্জেন ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় এই সম্পর্কে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন যারা পাঁচ বছরের জন্য সেঞ্জেন ভিসা করতে চান তাদের অবশ্যই জেনে রাখতে হবে পাঁচ বছরে সেঞ্জেন ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়।

মেয়ের জন্য পাঁচ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা প্রাপ্তির যাত্রীদের ভিসার মেয়াদের সময় একাধিক বার সেঞ্জেন এলাকায় ভ্রমণ করতে দেয়। এই ধরনের ভিসা তাদের জন্য আদর্শ যারা প্রায়ই ব্যবসায়িক, পারিবারিক পরিদর্শন, অংশীদারের পরিদর্শনের জন্য বা যাদের সেঞ্জেন দেশগুলোর সাথে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক রয়েছে।

পাঁচ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার জন্য যোগ্যতা অর্জনের জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই একটি সঠিক বিচার ইতিহাস থাকতে হবে এবং সেঞ্জেন এলাকায় তাদের ঘন ঘন ভ্রমণের জন্য বিশ্বাসযোগ্য কারণ প্রদর্শন করতে সক্ষম হতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে পূর্বে সেঞ্জেন ভিসা প্রাপ্ত এবং আইনত ব্যবহার করা অতিরিক্ত থাকার কোন ইতিহাস ভিসার নিয়ম লঙ্ঘন না করা এবং আগে ভিসা আবেদনে কোন মিথ্যা বিবৃতি নেই।

আর্থিক স্থিতিশীলতা ও প্রয়োজন যেমন একটি স্থিতিশীল আয়ের প্রমাণ আর্থিক সংস্থান বা গ্যারান্টি উদাহরণস্বরূপ একজন অংশীদার। এভাবে আপনিও সেঞ্জেন দেশগুলোতে ৫ বছরের ভিসা পাবেন যদি উপরে সকল যোগ্যতা থাকে আপনার।

আপনারা হয়তো অনেকেই জেনে গিয়েছেন ৯০ দিনের সেঞ্জেন ভিসার গণনা সম্পর্কে যারা সেঞ্জেন লিংক দেশ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন তারা হয়তো এটিও জানতে পারবেন ইউরোপের ২৬ টি সেঞ্জিন সদস্য রাষ্ট্রে প্রবাস অধিকার দেয় আপনি প্রতিটি দেশের জন্য আলাদা ভিসার প্রয়োজন হবেনা আপনাকে আবেদন করতে হবে। সেঞ্জেন ভিসা নিয়ে ইউরোপের একটি বড় অংশ ভ্রমণ করতে পারেন।

• ৯০ দিনের সেঞ্জেন ভিসা গণনা বলতে যা বোঝানো হয়।
• কোন তারিখ থেকে ভিসা বৈধ সেই তারিখ থেকে আপনার অতিথি হতে পারে সেঞ্জেন এলাকা ভ্রমণে
• বিদেশি কতটা দিন সেঞ্জেন এলাকায় থাকতে পারে।
• কোন তারিখ থেকে ভিসা আর বৈধ নয় অতিথিকে অবশ্যই সেঞ্জেন এলাকার বাইরে থাকতে হবে।
• আপনি বৈধ বিচার সাথে একবার একক এন্ট্রি বা একাধিক বার একাধিক প্রবেশ এনজেন এলাকায় প্রবেশ করতে পারেন কিনা।
• দুই ধরনের স্বল্প থাকার ভিসা রয়েছে।
• সর্বোচ্চ ৯০ দিন মেয়াদসহ একটি একক প্রবেশ ভিসা। এটি আপনাকে নির্ধারল্যান্ড সেঞ্জেন এলাকায় এককের সর্বাধিক একদিনের জন্য থাকার অনুমতি দেন।

একটি মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা যার মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর এই পারমিট নেদারল্যান্ড সেঞ্জেন এলাকার প্রতি ৫ দিনে সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাকার অনুমতি দেয়। এই ধারাবাহিক হতে হবে না আপনি এটি বিতরণ করতে পারেন কিন্তু বাংলাদেশী 180 দিনের মধ্যে ৯০ দিনবের বেশি নেদারল্যান্ড এলাকায় থাকতে পারে না।

যারা সেঞ্জেন এর সদস্য রয়েছে তাদের ইউরোপের 27 টি দেশে বিনা ভিসাই ভ্রমণের সুবিধা রয়েছে। কোন কোন দেশের সেঞ্জেন এর সদস্য এ সম্পর্কে যারা জানতে চান। তাদের জন্য আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনারাও জেনে নিতে পারেন কোন কোন সদস্য।সেঞ্জেন অঞ্চল বলতে ইউরোপ মহাদেশের 27 টি রাষ্ট্র নিয়োগ গঠিত।

একটি অঞ্চলকে বোঝায় যে অঞ্চলটির অভ্যন্তরে দেশগুলোর মধ্যকার পারস্পরিক সীমান্তগুলিতে সব ধরনের পাসপোর্ট এবং অন্যান্য সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য প্রাপ্ত দেশগুলো স্বাধীনতা নিরাপত্তা এবং বিচার নীতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একই রকম হওয়ায় আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই দেশগুলো সিংহভাগই একটি সাধারণ ভিসা নীতি মেলে চলে। চলুন এবার জেনে আসি কোন কোন দেশ সেঞ্জেন এর সদস্য।

• ইতালি
• স্লোভাকিয়া
• ফিনল্যান্ড
• স্লোভেনিয়া
• লিচেনস্টাইন
• লুক্সেমবার্গ
• সুইজারল্যান্ড
• ডেনমার্ক
• এস্তোনিয়া
• পোল্যান্ড
• অস্ট্রেলিয়া
• বেলজিয়াম
• জার্মানি
• নেদারল্যান্ড
• ফ্রান্স
• লিথুনিয়া
• চেক প্রজাতন্ত্র
• সুইডেন
• হাঙ্গেরি
• আইসল্যান্ড
• মাল্টা
• নরওয়ে
• লাটভিয়া
• পর্তুগাল
• স্পেন
• গ্রীস
• ক্রোয়েশিয়া

উপরোক্ত সকল দেশগুলো সেঞ্জেন এর সদস্য দেশ। এই দেশগুলো সেঞ্জেন ভুক্ত হওয়ায় ইউরোপ ইউনিয়নের যে কোন দেশে পাসপোর্ট ভিসা ছাড়ায় তারা ভ্রমণ করতে পারে।

যারা জার্মানি সেঞ্জেন ভিসা পেতে চান তাদের জন্য আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি জার্মানি সেঞ্জেন ভিসা পেটে কত দিন লাগে এই সম্পর্কে অনেকেই জানেন না আজকে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাবো জার্মানির সেঞ্জেন ভিসা পেতে কতদিন লাগে। জার্মানি টুরিস্ট ভিসা প্রসেস করার জন্য প্রায় ১৫ দিন সময় লাগে কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিন্তু এই সময় আরো বেশি হতে পারে ৩০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে সেঞ্জেন ভিসা নিয়ে সর্বোচ্চ ৯০ দিন ইউরোপে অবস্থান করতে পারবেন এক্ষেত্রে ভিসার মেয়াদ হবে ছয় মাস নির্দিষ্ট মেয়াদের সেন্টেন্স ভিসা ব্যবহার করে একাধিক সেঞ্জেন এলাকায় প্রবেশ করা গেল কোন অবস্থানে মোট 90 দিনের বেশি সেখানে অবস্থান করা যাবে না। সেঞ্জেন ভিসা নেওয়ার ক্ষেত্রে গন্তব্য উল্লেখ করে দিতে হবে আর যে দেশে যাবেন।

জার্মানির সেঞ্জেন ভিসা পেতেও এই একই রকমের নিয়ম মেনে সেঞ্জেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এবং আবেদন করার পরে সেঞ্জেন ভিসা পেতে আপনার ১৫ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এরই মধ্যে আপনারাও পেয়ে যাবেন সেঞ্জেনভিসা জার্মানির।

প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেল সম্পন্ন পড়ে জানতেও বুঝতে পেরেছেন ৫ বছরের সেঞ্জেন ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় এবং কোন কোন দেশ সেঞ্জেন এর সদস্য সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত উক্তি গুলো সম্পর্কে জানতে পেরে আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে কেমন লেগেছে তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।

এছাড়াও আপনি যদি সরকারি ভাবে ইউরোপ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েব সাইটে ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকারী মনে হলে আবার আর্টিকেলটি বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে।