কত ভরি স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয় - যাকাত কাদের উপর ফরজ

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম।আপনারা নিশ্চয়ই অনলাইনে সার্চ করে কত ভরি স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয় এবং যাকাত কাদের উপর ফরজ সম্পর্কে তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন।তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় প্রবেশ করেছেন।আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আপনি জানতে পারবেন কত ভরি স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয় এবং যাকাত কাদের উপর ফরজ সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।
কত-ভরি-স্বর্ণ-থাকলে-যাকাত-দিতে-হয়
একই সাথে আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে আপনি জানতে পারবেন কোন কোন সম্পদের উপর যাকাত ফরজ, কোন কোন সম্পদের উপর যাকাত ফরজ নয়, যাকাত কত টাকা হলে দিতে হবে এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে।তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন কত ভরি স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয় এবং যাকাত কাদের উপর ফরজ সম্পর্কে।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃ কত ভরি স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয়।যাকাত কাদের উপর ফরজ

উপস্থপনা।কত ভরি স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয় - যাকাত কাদের উপর ফরজ

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয়ই যা আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আমরা আলোচনা করতে চলেছি কত ভরি স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয় এবং যাকাত কাদের উপর ফরজ সম্পর্কে।কত ভরি স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয় সম্পর্কে আমাদের সকলকে জেনে রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।কেননা যাকাত আমাদের জন্য ফরজ। তাই যাকাত কত টাকা হলে দিতে হবে এমন বিষয় গুলো আমাদের জানতে হবে।
এছাড়াও আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি কোন কোন সম্পদের উপর যাকাত ফরজ, ইযাকাত কত হিজরীতে ফরজ হয় এবং কোন কোন সম্পদের উপর যাকাত ফরজ নয় সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি কত ভরি স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয় সম্পর্কিত সকল বিষয়বস্তু জেনে অনেক উপকৃত হবেন তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

যাকাত কাদের উপর ফরজ

যাকাত তাদের উপর ফরজ আপনার কি জানেন যাকাত তাদের উপর ফরজ হয়। নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক সকল মুসলিম নর-নারীর উপর যাকাত প্রদান করা ফরজ। কোন ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার পর চাঁদের হিসাবে পরিপূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হলে তার ওপর পূর্ববর্তী বছরের যাকাত প্রদান করা ফরজ।

অবশ্য যদি কোন ব্যক্তি যাকাতের হিসাবের মালিক হওয়ার পাশাপাশি যদি ঋণগ্রস্ত হয় তবে ঋণ বাদ দিয়েও নিসাব পরিমান সম্পদের মালিক হলে তার ওপর যাকাত ফরজ হবে যাকাত ফরজ হওয়ার পর যদি কোন ব্যক্তি তা প্রদান না করে অর্থ সম্পদ খরচ করে ফেলে তাহলেও তার পূর্বের যাকাত দিতে হবে।যাকাতের নিছাব কি আপনারা কি জানেন রুপা ৫৯৫ গ্রাম কিংবা স্বর্ণ ৮৫ গ্রাম অথবা স্বর্ণ বা রুপার যেকোনো একটি।
নিসাবের মূল্য পরিমান অর্থ সম্পদ বা ব্যবসায়িক সামগ্রীকে যাকাতের হিসাব বলে। কোন ব্যক্তি মৌলিক প্রয়োজন পূরণের পর যদি নিসাব পরিমাণ তার সম্পদের মালিকের মালিক মালিকানা থাকে এবং চন্দ্র মাসের হিসেবে এক বছর তার মালিকানা স্থায়ী থাকে তাহলে তার ওপর এই সম্পদ থেকে ৪০ ভাগের ১ ভাগ যাকাত রূপে প্রদান করা ফরজ হবে।

বছরের মাঝখানে এই নিসাব পূর্ণ না থাকলে যাকাত প্রদান করতে হবে মনে রাখতে হবে বছরের শুরুও শেষে এই হিসাব বিদ্যমান থাকা জরুরী। সম্পদের প্রত্যেক অংশের উপর এক বছরের অতিবাহিত হওয়া শর্ত নয় শুধু নিসাব পরিমাণের ওপর বছর অতিবাহিত হওয়া শর্ত। বছরের শুরুতে শুধু নিসাব পরিমাণ অর্থ সম্পদ থাকলে বছরের শেষে যদি সম্পদের পরিমাণ বেশি হয়।

তাহলে ওই বেশি পরিমাণের ওপর যাকাত প্রদান করতে হবে বছরে যে কোন অংশে অধিক সম্পদ যোগ হলে তা পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হওয়া শর্ত নয়। যাকাত ফরজ হওয়ার ক্ষেত্রে মূল হিসাবে এর ওপর বছর অতিক্রম করা শর্ত যাকাত, যাকাতুল ফিতর, কুরবানী এবং হজ। এই সকল শরীয়তের বিধান সম্পদের মালিকানার সাথে সম্পৃক্ত ।

কত ভরি স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয়

আসসালামু আলাইকুম আপনারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন অনেকেই যে কত ভরি স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয় আসলে যাদের স্বর্ণ রয়েছে তারা কিন্তু চিন্তার মধ্যে থাকে যে তাদের এই স্বর্ণ পরিমাণ কতটুকু হলে যাকাত দেওয়া ফরজ হয়ে যায়। মহিলাদের পছন্দের জিনিস কিন্তু স্বর্ণ এই স্বর্ণ তারা বানিয়ে রাখে কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারে না যে তার স্বর্ণ এত পরিমান হয়ে গেছে যা যাকাত দেওয়ার জন্য ফরজ হয়ে গেছে।

যে সম্পদের উপর যাকাত ফরজ তার 40 ভাগের এক ভাগ (২.৫০%) যাকাত দেওয়া ফরজ সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করে। শতকরা আড়াই টাকা হাজারে ২৫ টাকা বা লাখে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ কিংবা ওই পরিমাণ টাকার কাপড় অথবা অন্য কোন প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে দিলে যাকাত আদায় হবে। (আবু দাউদ 1572, শুনানি তিরমিজি ৬২৩)
সোনার নিসাব হলো সাড়ে সাত ভরি (তোলা)। রুপার নিসাব হল সাড়ে ৫২ ভরি (তোলা)। সোনা ও রুপা উভয়টি যদি কারো কাজ থাকে এবং এর কোনোটিই নিসাব পরিমাণ না হয়। তবে উভয়টির মূল্য হিসেবে করে দেখতে হবে মূল্য যদি একত্রের রুপার হিসাব পরিমাণ হয়ে যায় অর্থাৎ ৫২.৫ ভরি রুপার মূল্যের সমান হয়ে যায়, তবেই যাকাত ফরজ হবে।

নগর টাকার হিসাব হলো বাজারদর হিসেবে অন্তত সাড়ে ৫২ ভরি রুপার মূল্যের পরিমাণ টাকা। এক বছর কাল জমা থাকলে এর যাকাত আদায় করতে হবে হাতেও ব্যাংকের রক্ষিত ও নগদ অর্থ ছাড়াও সঞ্চয়পত্র, সিকিউরিটি, শেয়ার সার্টিফিকেট ইত্যাদি তথ্য বলে গণ্য হবে।

কোন কোন সম্পদের উপর যাকাত ফরজ

আপনারা কি জানেন কোন কোন সম্পদের ওপর যাকাত ফরজ। যাকাত ইসলামী অর্থব্যবস্থার অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান ইমান আনা ও ননামা চাঁদের পর জাকাত নিয়মিত আদায় করে একজন বিত্তবান ব্যাক্তি মুসলমান সমাজের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। অনেকেই হয়তো জানে না কোন কোন সম্পদের ওপর যাকাত ফরজ হয় চলুন জেনে আসি এবার কোন কোন সম্পদের উপর যাকাত ফরজ।
  • মাঠের ওপর পূর্ণ একটি (চান্দ্র) বছর তার পূর্ণ মালিকানা বিদ্যমান থাকতে হবে ।
  • মাল এমন প্রকৃতির হতে হবে যার উপর যাকাত ধার্য হতে পারে।
  • মাল নিসাব পরিমাণ বা নিসাবের মূল্যর সমপরিমাণ হতে হবে।
ওই নিসাব পরিমাণ মাল তার মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত হবে মালিকানা বলতে কোন বস্তু ও ব্যক্তির মধ্যকার শরীয়ত সম্পূর্ণ যোগসূত্র কে বোঝাতে হবে। একটি ওই বস্তু নিরস্বার্থভাবে ভোগ করে অধিকার দেয় এবং অপর লোকের হস্তক্ষেপে বাধা দেয়।
নগদ অর্থ সোনা রুপা ব্যবসায়ী পণ্য পালিত পশু কৃষ কৃষিজ পণ্য ইত্যাদির উপর যাকাত ধার্য হয়। ওয়াকফ সম্প্রতি,সরকারি সম্পত্তি নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার যদি নিজ বাড়িঘর ইত্যাদির ওপর যাকাত ধার্য হয় না।কৃষি ফসল ফলমূল ইত্যাদি ক্ষেত্রে পূর্ণ এক বছর মালিকের দখলে থাকা শর্ত নয় তা যখন আহরিত হয় তখন তার ওপর যাকাত ধার্য হয়।

সম্পদে 40 ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ শতকরা আড়াই ভাগ যাকাত হিসেবে প্রদান করতে হবে এই হিসাব অতিরিক্ত মালের ওপর যাকাত ফরজ হবে যাকাত নগদ অর্থ দাঁড়াও পরিশোধ করা যায় এবং সংশ্লিষ্ট মাল দ্বারা পরিশোধ করা যায়।স্বর্ণরুপাও ক্যাশ টাকা নি সব পরিমাণ হওয়ার পর তা নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ হতে অতিরিক্ত হওয়া যাকাত ফরজ হওয়ার মৌলিক শর্ত।

সুতরাং মালিকানাধীন বসবাসের বাড়ি ও চলাচলের বহন গাড়ি ইত্যাদির ওপর যাকাত ওয়াজিব হয় না। বিক্রয়ের উদ্দেশ্য ছাড়া ক্রয় জমির উপর যাকাত ওয়াজিব নয়। ( আদ্দুররুল মুখতাী: ২/৩০৩)মহিলাদের ব্যবহৃত স্বর্ণ রুপার অলংকার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই শরিয়াতের নির্দেশ অনুযায়ী সর্ব অবস্থায় অলংকারের যাকাত প্রদান করার জরুরী। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস :১৫৬৩)

ইসলামী শরীয়তে দৃষ্টিতে নগদ টাকার যাকাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য পাইকারি ক্রয়মূল্য ধাতব্য নয়। বরং তার খুচরা বিক্রয় মূল্য অর্থাৎ বাজারদর হিসেবে ৫২.৫ তলা রুপার যে পরিমাণ টাকা আসে ওই পরিমাণ টাকা থাকলে যাকাত ওয়াজিব হবে। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া:১/১৮০)

স্বর্ণের ব্যবহৃত খাদ্য স্মরণে তুলনায় কম হলে খাদ স্বর্ণের হিসেবে চলে যায় এবং খাদ ও স্বর্ণ একত্রে হিসাব করে যাকাত দিতে হবে। ( রদ্দুল মুহতার:২/৩০০)খালি জায়গার রোপনকৃত গাছের কোন যাকাত দিতে হবে না হ্যাঁ বিক্রির পর তার মূল্য নিশা পরিমান হলে সেই মূল্য অন্য অর্থ সঙ্গে মিলিয়ে নিশা পূর্ণ হলে যাকাত আদায় করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ইতিকাফের নিয়ম 
কারখানা ও ফ্যাক্টরি মালিক এর ওপর ফ্যাক্টরির মেশিন ও বিল্ডিং এর মূল্য যাকাত আসবে না। এছাড়া উপাদান কাঁচামাল ও যে সমস্ত মাল বাকিতে বিক্রি করা হয়েছে এবং তার মূল্য উসুল করাও সম্ভব। লএসব কিছু সমষ্টি নিসাব পরিমাণ হলে তার ওপর যাকাত ওয়াজিব।

ভাড়া দেওয়া বাড়ি ও মার্কেটের মূল্যের উপর যাকাত আসবে না তবে এগুলো থেকে অর্জিত ভাড়া যদি হিসাব পরিমান হয় তাহলে বছর অন্তে যাকাত আসবে। ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া :১/১৮০)সমিতি ও ব্যাংকে জমাকৃত টাকা নিশা পরিমাণ হলে বছর আনতে যাকাত ফরজ হতে হবে। কারণ সুদ ব্যাংকে জমাকৃত টাকার প্রাপ্ত সুদ সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত সদকা করে দেওয়া ওয়াজিব, সুদের টাকার উপর যাকাত ফরজ হয় না।

প্রয়োজন না থাকার ঘর নির্মাণের উদ্দেশ্যে জমাকৃত নি সব পরিমাণ টাকার উপর চন্দ্র বছর অতিবাহিত হলে নির্ভরযোগ্য মত অনুসারে যাকাত ওয়াজিব হবে তবে বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে ওই টাকা দ্বারা নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করে নিলে এর উপর যাকাত ফরজ হবে না।( রদ্দুল মুহতার ২/২৬২)

যাকাত কত হিজরীতে ফরজ হয়

যাকাত শব্দের অর্থ বৃদ্ধি, প্রাচুর্য, ক্রমবৃদ্ধি ইত্যাদি। শরিয়াতের পরিভাষায় যাকাত হচ্ছে একটি আর্থিক ইবাদত নিজের সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ গরিব মিসকিন অভাবী লোকদের মধ্যে বন্টন করাকে যাকাত বলা হয়। এটি নামাজ রোজার মতই একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত দ্বিতীয় হিজরীতে মদিনায় যাকাত ফরজ হয় মহান আল্লাহর মহাগ্রন্থ আল কুরআন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় বিরাশি জায়গায় এ জাকাতের কথা বলেছেন।

৮২ বার যাকাতের শব্দ উচ্চারণ হয়েছে এতবার যে বিষয়টি সম্পর্কে মহান রব বলেছেন অবশ্যই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দাবি রাখে কিন্তু আমাদের অনেককে দেখা যায় যে আমাদের ওপর ইসলামের এই মহান হুকুমটি ফরজ হয়ে আছে এরপরেও আমরা এর প্রতি খেয়াল করি না। আমরা ভাবি সম্পদ কমে যাবে আসলে যাকাত দিলে সম্পদ কমবে না বরং বৃদ্ধি পাবে যাকাত দিলে যে সম্পদ বৃদ্ধি পাবে তা আল্লাহ তায়ালা নিজে বলেছেন,
অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন আর দান সদকা কে বৃদ্ধি করেন আল্লাহ তায়ালা অকৃতজ্ঞ পাপিষ্ঠ ব্যক্তিদের কখনো পছন্দ করেন না।কুরআনে কারিমের অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, ' যা কিছু তোমার সুদের ওপর দাও যেন অন্য মানুষের মালের সাথে অন্তর্ভুক্ত হয়ে বৃদ্ধি পায় আল্লাহ তায়ালার দৃষ্টিতে তা বাড়ে না অপরদিকে যে যাকাত তোমার দান করো।

যেহেতু একান্তভাবে আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে দান করো তাই বৃদ্ধি পায়। এবাই হচ্ছে সেসব লোক যারা যাকাতের মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে নিজেদের সম্পদ বহুগুণে বাড়িয়ে নেয়।এটা থেকে বোঝা যায় যে যাকাত মূলত সম্পদের স্থায়িত্বের জন্য দেওয়া এটি সম্পর্কে স্থায়ী ও বহুগুণী বৃদ্ধি করে কিন্তু আমরা ভাবি মনে হয় আমার সম্পদ কমে যাচ্ছে আসলে সম্পদ কমে না বরং বাড়ে।

হযরত আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ' আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছেন প্রতিদিন সকালে দুজন ফেরেশতা অবতরণ করেন তাদের একজন বলে হে আল্লাহু দাদাকে তার দানের উত্তম প্রতিদান দিন আর অপরজন বলেন হে আল্লাহু কৃপণকে ধ্বংস করে দিন। (বুখারী)

কোন কোন সম্পদের উপর যাকাত ফরজ নয়

আপনারা যারা কোন কোন সম্পদের ওপর যাকাত ফরজ নাই এই সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য আজকে আমরা নিয়ে এসেছি যেসব সম্পদের ওপর যাকাত ফরজ নয় অনেকেই হয়তো বুঝতে পারেন না যে কোন কোন সম্পদের উপর যাকাত ফরজ নয়। আবার কোন সম্পদের উপর যাকাত ফরজ ওপরে আপনাদেরকে আমরা বলেছি।

কোন সম্পদের ওপর যাকাত ফরজ হয় কিন্তু এবার আপনাদের আমরা জানাবো কোন কোন সম্পদের উপর যাকাত ফরজ নয়।সোনা, রুপা ছাড়া অন্য কোন ধাতু অলংকার ইত্যাদির ওপর যাকাত ফরজ নয়। তদ্রূপ হীরা মনি মুক্তা ইত্যাদি মূল্যবান পাথর ব্যবসা পণ্য না হলে সেগুলোতে যাকাত ফরজ নয়।
গৃহের আসবাবপত্র যেমন খাট পালং, চেয়ার টেবিল, ফ্রিজ, আলমারি ইত্যাদি যাকাত ফরজ নয়। অনুরূপ গার্হস্থ্য সামগ্রী যেমন হাড়ি, পাতিল, থালা, বাটি গ্লাস ইত্যাদির উপর যাকাত ফরজ নয়। ( মুসান্নাফে আবি শায়বা:১০৫৬০)

নিজ ও অধীনস্থ পরিবার -পরিজনের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও বাহনের ওপর জাকাত ফরজ নয়। ( মুসান্নাফে আবি শায়বা:১০২০৭)পরিধানের বস্ত্র জুতা যদি প্রয়োজনীয় তুলনে অনেক বেশিও থাকে তবুও তাতে যাকাত ফরজ হয় না।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমন আসবাবপত্র যা ব্যবসার পণ্য নয় তার ওপর যাকাত ফরজ নয়।ঘর বাড়ি বা দোকান পাট তৈরি করে ভাড়া দিলে তাতেও যাকাত ফরজ নয়। তবে এসব ক্ষেত্রে ভাড়া বাবদ বছরের যে অর্থ পাওয়া যাবে তা যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত হয় নিসাব পরিমান হয় তবে সেই ধারার উপর যাকাত খরচ।
ভাড়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে এটা অন্য কোন সামগ্রী যেমন ডেকোরেশন এর বড় বড় ডেক থালা বাটি ইত্যাদি ক্রয় করলে তার ওপর যাকাত ফরজ নয় তবে ভাড়া বাবদ প্রাপ্ত অর্থের ওপর যাকাত ফরজ।

যাকাত কত টাকা হলে দিতে হবে

আচ্ছা আপনারা কি জানেন কত টাকা হইলে যাকাত দিতে হবে অনেকেই হয়তো জানে না যে কি পরিমান টাকা নগদ অর্থ থাকলে তাদের যাকাত দেওয়া ফরজ হয়ে যায়। যে সম্পদের ওপর যাকাত ফরজ তার 40 ভাগের এক ভাগ (২.৫০%)জাকাত দেওয়া ফরজ।
সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করে শতকরা আড়াই টাকা হাজার ২৫ টাকা বা লাখে আড়াই হাজার টাকা হারে নগদ অর্থ ওই পরিমাণ সম্পদের টাকা কাপড় চোপড় অথবা কোন পণ্য সামগ্রী কিনে দিলে যাকাত আদায় হবে।

তাহলে আপনি বুঝতেই পারছেন আপনার কাছে কত টাকা রয়েছে যার ওপর নির্ভর করে আপনি এই হিসাবটি বের করে নিতে পারবেন খুব সহজে। প্রায় অনেক মানুষই মনে করে যাকাত দিলে তার সম্পদ কমে যাবে আসলে এমনটি নয় যাকাত দিলে কখনোই সম্পর্ক পাবে না আরও আল্লাহ তাআলা তার সম্পদ বৃদ্ধি করে দেন।
যাকাত স্বাধীন পরিপূর্ণ একজন মুসলিম নর-নারী আদায় করবে যার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ এক বছর অতিবাহিত হবে। দেশি-বিদেশী মুদ্রা ও ব্যবসায়ী পণ্যের নিশাব নির্ধারণের সোনা রুপা হলো পরিমাপক এক্ষেত্রে ফকির মিসকিনদের জন্য যেটি বেশি লাভজনক হবে সেটিকে পরিমাপক হিসেবে গ্রহণ করাই শরীয়তের নির্দেশ।

যাকাত মূলত হিজরী বা চন্দ্রভৎসর হিসেবে দিতে হয় আর হিজরী বা চন্দ্র বছর ৩৫৪ দিনে হয় যাকাত ৩৫৪ দিন =২.৫%। যদি সৌর বছর হিসেবে দিতে হয় সেক্ষেত্রে যাকাত ৩৬৫ দিন = ২.৬% দিতে হবে। বর্তমান বাজার অনুযায়ী যার কাছে ৭০ থেকে ৭৩ হাজার টাকা আছে তাকে যাকাত দিতে হবে।

তবে এটি নির্ভর করবে আপনার রুপার মূল্যের উপর রুপার মূল্য যদি বেশি থাকে। তাহলে আর একটু বেশি ৫৮৫ গ্রাম রুপার মূল্য সমান অর্থ থাকলে যাকাত দিতে হবে না। হলে দিতে হবে না এখন আপনার সেই মূল্য দেখতে হবে তবে আমার হিসাব অনুযায়ী সেটাকে ৭০ থেকে ৭৩ হাজার টাকা হতে হবে।

লেখকের কথা।কত ভরি স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয় ।যাকাত কাদের উপর ফরজ

প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেল সম্পন্ন পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন কত ভরি স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয় এবং যাকাত কাদের উপর ফরজ এ সম্পর্কিত সকল তথ্য।আজকের আর্টিকেলের ভেতর থেকে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি সাহু সিজদা ওয়াজিব হওয়ার কারণ সম্পর্কে।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত বলে মনে হয়েছে।
আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন এবং আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করবেন।এছাড়াও আপনি যদি ইসলামিক আরো পোস্ট করতে চান?তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আজকের আইডিতে এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url