শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে - লাইলাতুল কদর এর ফজিলত

প্রিয় পাঠক আপনি কি শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে এবং লাইলাতুল কদর এর ফজিলত এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।কেননা আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আমরা আলোচনা করতে চলেছি শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে এবং লাইলাতুল কদর এর ফজিলত সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।
শবে-কদর-২০২৪-কত-তারিখে
সেই সাথে আপনি শবে কদর অর্থ কি , লাইলাতুল কদরে করণীয় ও বর্জনীয়, এবং শবে কদরের রাতের ইবাদত এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে এবং লাইলাতুল কদর এর ফজিলত সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃশবে কদর ২০২৪ কত তারিখে।লাইলাতুল কদর এর ফজিলত।

ভূমিকা।শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে।লাইলাতুল কদর এর ফজিলত

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয়ই থেকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে এবং লাইলাতুল কদর এর ফজিলত এ বিষয় সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।সেই সাথে আমরা আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিব লাইলাতুল কদর আমল, লাইলাতুল কদর দোয়া এবং শবে কদরের রাতের ইবাদত।
আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি উপকৃত হবেন।কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা সে সমস্ত বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যা আপনারা মনে মনে জানতে চেয়েছেন।আজকের আর্টিকেল আপনি যদি শেষ পর্যন্ত পড়েন।তবে আপনিও শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে এ নিয়মে সকল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পারবেন।

শবে কদর অর্থ কি

রমজান মাসে সবচেয়ে ফজিলত পূর্ণ দিনগুলোর মধ্যে অন্যতম দিন শবে কদরের রাত এই শবে কদর অর্থ কি আপনারা কি জানেন। শবে কদর বা লাইলাতুল কদর অর্থ অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত বা পবিত্র রজনী। ফারসি ভাষায় 'শাব' ও আরবি ভাষায় 'লাইলাতুল' অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী। অন্যদিকে কদর শব্দের অর্থ সম্মান মর্যাদা মহাসম্মান এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হলো ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদীরের নির্ধারণ।
কদরের কয়েকটি অর্থ হতে পারে এক পরিমাপ অর্থাৎ এক বছরের জন্য শবে বরাত গৃহীত কার্যবিবরণী সংযোজন ও প্রিয়জনের সঙ্গে কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট ফেরেস্তাদের কাছে সমজিয়ে দেওয়া হয়। ধন-সম্পদ উন্নতি অবনতি জন্ম মৃত্যু সমস্যা ও সমাধানের পরিমাপ নির্ধারণ করা হয়। শবে কদর ভাগ্য রজনীর রাতে এই রাতে আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চাইতে হবে এবং পরবর্তী এক বছরের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করতে হবে।

শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে

আসসালামু আলাইকুম আপনারা কি শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে সে সম্পর্কে জানতে চান। শবে কদর ৬ এপ্রিল শনিবার ঈদুল ফিতরের ১০ অথবা ১১ এপ্রিল বুধবার চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। শুধুই ইবাদত বিনোদিনীতে লিপ্ত থেকে হালাল উপার্জন করে নিজেকে গুটিয়ে নিতে বলেনি একই সঙ্গে শুধু পড়তে আয় উপার্জন নিয়ে ব্যস্ত থাকা কখনো ইসলাম সমর্থন করে না।
মানুষ পার্থিব জীবন ও বাস্তবতার প্রতি খেয়াল রেখে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, অতঃপর নামাজ শেষ হলে তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করো ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো ঈদুল ফিতর ১০ অথবা ১১ এপ্রিল বুধবার ও বৃহস্পতিবার যাতে তোমাদের (জীবিকা উপার্জনে) সফলকাম হও।
  • জুমাতুক বিদা: ৫ এপ্রিল (শুক্রবার)
  • শবে কদর: ৬ এপ্রিল (শনিবার)
  • ঈদুল ফিতর :১০ অথবা ১১ এপ্রিল (বুধবার - বৃহস্পতিবার)
ইসলামের রমজান সবচেয়ে ফজিলত পূর্ণ ও বরকতময় মাসে এই মাসে একটি মহান রাতের নাম শবে কদর যা হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ এদিকে শবে বরাতের ফজিলত ও সহি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা প্রত্যেকটি মর্যাদাপূর্ণ দিন ও মৌসুমের জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকে।

লাইলাতুল কদর এর ফজিলত

মর্যাদা সম্পূর্ণ রজনী এ রাতে প্রচুর সংখ্যক ফেরেশতা পৃথিবীতে আসেন বান্দাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়। এ রাতে দোয়া প্রার্থনার মর্যাদা রক্ষা করা হয়। পবিত্র কুরআনের মতো মহামান্বিত মানবকূলে হেদায়েতের জন্য এ রাত নাযিল করা হয়। এ রাতের এবার তো হাজার মাসের চেয়ে উত্তম করা হয়েছে যা ৮৩ বছর ৪ মাসের অধিক ভোর অবধি আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত বরকত শান্তি বর্ষিত হয় এবং ক্ষমার দার উন্মুক্ত থাকে।
সংকোচন অর্থাৎ অগণিত ফেরেশতা অবতরণের ফলে ভূমন্ডল ও নব মন্ডলের সংকোচনের সৃষ্টি হয় ভোরের দিকে যখন ফেরেশতারা আকাশপথে প্রত্যাবর্তন করেন।তখন জিব্রাইল (আ:) ফেরেশতারা জিজ্ঞাসা করেন খোদা বিশ্বাসীদের সমস্যা বলি ও প্রয়োজনাদির ব্যাপারে আজ কি সিদ্ধান্ত হল?
জিব্রাইল (আ:) উত্তর দেন, পুণ্যবানদের ক্ষমা ও পাপীদের বেলায় সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে এতোটুকু শুনে আসমান জমিনে সকল ফেরেশতা আনন্দিত হয়ে আল্লাহর গুণগান শুরু করেন এতে আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে। শবে কদরের লক্ষণ কি তা অবগত হওয়া দরকার।

পুণ্যবানদের অন্তর কমল হয় তারা খোদার দরবারে আবদ্ধ মস্তকে ভেঙ্গে পড়েন অন্তরে শান্তি স্নিগ্ধ অনুভূতি হয়। ইবাদতে তৃপ্তি আসে, অনেকে খোদার নূর দর্শন করেন। গাছপালা সিজদারত থাকে, অনেকে ফেরেশতাদের সালাম-কালাম শ্রবণ করেন। নির্মল বায়ুপ্রবাহিত হতে থাকে। আকাশ মেঘাছন্ন থাকে, রাত নাতিশীতোষ্ণ থাকে, ফেরেশতাদের ফেরার পথে, পরের দিন সকালে সূর্যের আবছা কিরণ থাকে।

লাইলাতুল কদরে করণীয়

লাইলাতুল কদরের রাতেই করণীয় কি সে সম্পর্কে জানা দরকার আপনাদের লাইলাতুল কদরের রাত হচ্ছে মহিমান্বিত রথ এই রাতে আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা ও নিজের সকল পাপের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং আগামী এক বছরের জন্য ভাগ্য নির্ধারণ করা হয় এই রাতে।
যার কারণে আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশি বেশি দোয়া প্রার্থনা করতে হয় আল্লাহ তা'আলা এই রাতে সকলের দোয়া কবুল করেন। চলুন জেনে আসি লাইলাতুল কদরের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত।
সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে পবিত্র হয়ে ইবাদতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
  • মাগরিবের নামাজের পর নফল নামাজ আদায় করা ।
  • কুরআনুল করিম তেলাওয়াত করা।
  • বেশি বেশি জিকির আজকার করা।
  • বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা ।
  • কৃত গুনাহের জন্য কান্নাকাটি করা এবং গুনাহ থেকে মাফ চাওয়া ।
  • কোন মানুষকে কষ্ট দিয়ে থাকলে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া।
  • দুস্থদের বেশি বেশি দান সদকা করা।
  • মা-বাবা এবং মুরুব্বীদের কবর জেয়ারত করা।
  • আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা এবং ভালো কাজ করা।
  • মানুষের প্রতি সুন্দর এবং উত্তম আচরণ করা।
লাইলাতুল কদরের বর্জনীয় আমল রয়েছে কিছু
  • এই রাতে হেলা ও অবহেলা এর বরা খেবে বিরত থাকা
  • এ রাতে ঘুমানো থেকে বিরত থাকা
  • আলসেমি ত্যাগ করা।
  • মানুষের প্রতি হিংসা-বিদেশ না রাখা।
  • আতশবাজি ফোটানো থেকে বিরত থাকা।
  • গল্প গুজব থেকে বিরত থাকা।
  • দল বেঁধে আড্ডাবাজি না করা।
  • সবাই মিলে চিৎকার চেঁচামেচি এবং হৈ-হুল্লোড় না করা।
  • যাবতীয় গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকে।

শবে কদরের রাতের ইবাদত।শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে

লাইলাতুল কদরের ইবাদত বন্দেগী করার ফজিলত এই রাতে শবে কদরের রাতের ইবাদত সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে এই রাতে কি কি ইবাদত করা যায়। এরাতে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতে হয়। আল্লাহ তা'আলা কাছে নিজের অতীতের করা গোনাহ জন্য ক্ষমা করে কান্নাকাটি করা।
মহান আল্লাহতালার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য অনেক বড় নিয়ামত মহামূল্যবান এই মাসের বড় একটি পাওয়া হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ রজনী 'লাইলাতুল কদর '।এটির ফজিলত সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসে বর্ণনা এসেছে, আল্লাহ তাআলা বলেন,' নিশ্চয়ই আমি এটা অর্থাৎ (কোরআন) শবে কদরের নাযিল করেছি।
লাইলাতুল কদরের বা সবে কদরের রাতের ইবাদত ও আপনাকে সঠিকভাবে পালন করার জন্য অন্যান্য কাজ যে সময় ব্যয় না করে এই মহিমান্বিত রাতে বেশি বেশি ইবাদত করে ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। আপনাকে যদি কদরের রাতে ইবাদত করতে চান তাহলে এই নিয়ম পালন করতে পারেন।
  • রাত দশটার পর থেকে টিভি বা মোবাইল ফোন দেখা থেকে বিরত থাকু।
  • বেশি গরম লাগলে গোসল করুন ও পরিষ্কার পোশাক পরিধান করুন ।
  • রাত বারোটার আগ পর্যন্ত পবিত্র কুরআন পড়ুন
  • বেশি বেশি নফল আর হাজতের নামাজ পড়ুন
  • রাত ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত জিকির করুন।
  • জিকির গুলো হবে সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার( ১০০ বার) করে,
  • লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (২০০ বার),
  • আস্তাগফিরুল্লাহ কমপক্ষে (500 বার),যত বেশি সম্ভব হয়।
  • সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি (কমপক্ষে ১০০) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আ'লা কুল্লি শাইয়্যিন কদির( কমপক্ষে ১০০ বার)
  • যত বেশি পারেন দোয়া ইউনুস করুন লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ যালিমীন।
  • সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।
  • লা হাওলা ওয়ালা কুওওতা ইল্লা বিল্লাহ। বেশি বেশি পড়তে হবে।
  • এসব দুয়া পাড়ার ফাঁকে ফাঁকে বেশি বেশি দরুদ শরীফ, সূরা ইখলাস এবং সাইয়েদুল ইস্তেগফার পাঠ করুন।
  • রাত দুইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত তাহাজ্জুদ পড়ুন ৮ রাকাত অতটুকুও সেজদায় বেশি সময় ব্যয় করুন পারলে সিজদায় দোয়া পড়ুন।
তাহাজ্জুতের পর তিন রাকাত বিতরের নামাজ পড়ুন সেহেরী খাওয়ার আগে হাত তুলুন মালিকের কাছে আপনার প্রয়োজনে সব কিছু খুলে বলুন সারা রাতের এইসব ইবাদত কবুলের আবেদন জানান জীবনের সমস্ত গুনাহের মাফ চেয়ে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করুন মৃত আত্মীয়-স্বজনের গুনাহ মাফের জন্য দরখাস্ত করুন। বারে বারে বলতে হবে, রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি সাগিরা।
  • একটু চোখের পানি ফেললে আল্লাহ তায়ালার মালিকের কাছে আপনি আপনার ইবাদত করার এবং আল্লাহর কাছে হাত পেতেছি খালি হাতে ফিরিয়ে দিবেন না অবশ্যই আল্লাহর কাছে চাইতে হবে।
  • মোনাজাত শেষে সেহেরী খান এবং ফজরের নামাজ আদায় করুন।
  • শবে কদরের এই সব আমল মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিন যারা আপনার কথা শুনে এ আমল করবে আপনি ও তাদের আমলে সমান সোয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ।

লাইলাতুল কদর দোয়া।শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে

মর্যাদাপূর্ণ রাত লাইলাতুল কদরের রাতে মহান আল্লাহতালা বান্দার মুক্তির জন্য নাজিল করেছিলেন আল কুরআন। আল কুরআনে রয়েছে ক্ষমা প্রার্থনার অনেক দোয়া আবার এই রাতে বিশেষ দোয়া পড়েছেন বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্ষমা প্রার্থনার জন্য কোন দোয়াটি পড়েছিলেন চলুন জেনে আসি।
বিশেষ দোয়া :
রমজান মাসের শেষ দশকের বিজয় রাত গুলো যেকোনো একটি রাতে লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয় রোজাদার মুমিন মুসলমান এরা পাওয়ার জন্য শেষ দশকে ইতিকাফে অতিবাহিত করেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অমৃত ইতেকাফ করেছেন এ রাতে বিশেষ একটি দোয়া পড়ার কথা বলেছেন।
হযরত আয়েশার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যে একবার আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, 'হে আল্লাহর রাসূল আপনি বলে দিন আমি যদি লাইলাতুল কদরের কোন রাত হবে তা জানতে পারি তাতে আমি কি দোয়া পড়বো? '
রাসূল সাল্লাম বলেন তুমি বলবে,
উচ্চারণ :' আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।'
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল ;ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি মিশকাত)
সুতরাং মমিন মুসলমানদের উচিত রমজানের শেষ দশকে প্রতিটি রাতে ক্ষমা প্রার্থনার বিশেষ এই দোয়াটি বেশি বেশি করে পড়া এছাড়াও কোরআনের দোয়া হিসেবে আল্লাহ তায়ালা অনেকগুলো দোয়া দিয়েছেন তার মধ্যে যা নামাজে সেজদা তাশাহুদ সহ সবসময় পড়া যায় সেই দোয়াগুলো হল:
উচ্চারণঃ  রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতা খায়রুল রাহিমিন।'
অর্থ: হে আমার প্রভু! (আমাকে) ক্ষমা করুন এবং (আমার উপর) রহম করুন; আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ রহমকারী।'(সুরা মুমিনুল :আয়াত ১১৮)
উচ্চারণঃ রাব্বানা আমান্না ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা ওয়া আংতা খাইরুন রাহিমিন।
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করতে অতএব তুমি আমাদেরকে ক্ষমা করো আমাদের প্রতি রহম কর তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু। ( সুরা মুমিনুন: আয়াত ১০৯)
উচ্চারণ : রাব্বি ইন্নি জ্বালামতু নাফসি ফাগফিরলি।'
অর্থ: (হে আমার) প্রভু! নিশ্চয়ই আমি নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। (সূরা কাসাস : আয়াত ১৬)

লাইলাতুল কদর আমল।লাইলাতুল কদর এর ফজিলত

লাইলাতুল কদর আমল সম্পর্কে অনেকে জানতে চাই এই রাত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম উম্মাহ জন্য তাই এই রাতে বেশি বেশি সালাত আদায় করতে হবে নফল এবং দোয়া করতে হবে। জীবনের করে আসা ভুল ক্ষমা চাইতে হবে আল্লাহ কাছে নিজের সকল করে আসা পাপ জন্য কান্না করে মাফ চাইতে হবে।
লাইলাতুল কদর রাতে অনেক আমল করা হয়, যার মধ্যে কিছু নিম্নলিখিত বিস্তারিত হলো:
  • ইবাদাত (প্রার্থনা): লাইলাতুল কদর রাতে প্রার্থনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুসলিমরা ইউমুল কদর রাতে নামাজ পড়ে, কুরআন তিলাওয়াত করে, দোয়া পড়ে এবং আল্লাহর দিকে তাদের প্রার্থনা করেন।
  • তাবলীগ (ইসলামের প্রচার ও প্রসার): লাইলাতুল কদর রাতে মুসলিম সমাজের সদস্যরা ইসলামের উপদেশ এবং পরিচিতি বাড়ানোর জন্য তাবলীগ করেন।
  • কুরআন তিলাওয়াত (কুরআন পড়া): লাইলাতুল কদর রাতে মুসলিমরা কুরআন বা কুরআনের বিশেষ অংশ তিলাওয়াত করে এবং কুরআনের অর্থ বোঝার চেষ্টা করেন।
  • দোয়া (প্রার্থনা): লাইলাতুল কদর রাতে মুসলিমরা বেশি পরিমাণে দোয়া পড়ে, যেখানে তারা আল্লাহর কাছে অনুরোধ করে নেয় এবং তার কাছে আশা করেন। আল্লাহ কাছে কয়েকটি দোয়া করতে হবে যে দোয়া আল্লাহ কাছে এই রাতের জন্য করতে হয়।
  • চারিত্রিক আমল: লাইলাতুল কদর রাতে মুসলিমরা চারিত্রিক আমল করে, যেমন দান, সদকা, কর্মসূচির সৃষ্টি, অতিথি সাধারণত বিশেষ করে আল্লাহর রহমত এবং বরকত প্রাপ্ত করার উদ্দেশ্যে।
  • এই আমলগুলি মুসলিম সমাজের মধ্যে লাইলাতুল কদর রাতে অনুষ্ঠান করা হয়।

শেষ কথা। শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে।লাইলাতুল কদর এর ফজিলত

প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ করে ইতিমধ্যে জানতেও বুঝতে পেরেছেন শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে এবং লাইলাতুল কদর এর ফজিলত সম্পর্কিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত বলে মনে হয়েছে।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।
এছাড়াও আপনি যদি ইসলাম সম্পর্কিত আরো পোস্ট পড়তে চান। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটি ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের সঙ্গে থেকে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।আজকের আর্টিকেল আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না।আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url