রক্ত পরীক্ষা করলে কি রোজা ভাঙ্গে - ইনজেকশন দিলে কি রোজা ভাঙ্গে

প্রিয় পাঠক আপনি কি রক্ত পরীক্ষা করলে কি রোজা ভাঙ্গে এবং ইনজেকশন দিলে কি রোজা ভাঙ্গে এই বিষয় সম্পর্কে জানতে অনলাইনে সার্চ করে তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন?তবে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আপনি জানতে পারবেন রক্ত পরীক্ষা করলে কি রোজা ভাঙ্গে এবং ইনজেকশন দিলে কি রোজা ভাঙ্গে এ সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।
রক্ত-পরীক্ষা-করলে-কি-রোজা-ভাঙ্গে

একই সাথে আপনি সাওম পালনকারী ভুলে পানাহার করলে তার সাওমের হুকুম কি ও সাওম রাখার জন্য সেহরি খাওয়ার হুকুম কি এবং সেহরি খাওয়া কি সুন্নত এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন রক্ত পরীক্ষা করলে কি রোজা ভাঙ্গে এবং ইনজেকশন দিলে কি রোজা ভাঙ্গে সে সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ রক্ত পরীক্ষা করলে কি রোজা ভাঙ্গে।ইনজেকশন দিলে কি রোজা ভাঙ্গে

সূচনা।রক্ত পরীক্ষা করলে কি রোজা ভাঙ্গে।ইনজেকশন দিলে কি রোজা ভাঙ্গে

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় যা আছে আর্টিকেলের ভিতর আমরা আলোচনা করতে চলেছি রক্ত পরীক্ষা করলে কি রোজা ভাঙ্গে এবং ইনজেকশন দিলে কি রোজা ভাঙ্গে এই সম্পর্কিত যাব যে সকল তথ্য।আপনারা যারা রোজা ভাঙার কারণ কি কি এবং সেহরি খাওয়া কি সুন্নত এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন।
একই সাথে আমরা আজকের আর্টিকেলের মধ্যেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক যেমন সাওম রাখার জন্য সেহরি খাওয়ার হুকুম কি এবং সাওম পালনকারী ভুলে পানাহার করলে তার সাওমের হুকুম কি এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

সাওম পালনকারী ভুলে পানাহার করলে তার সাওমের হুকুম কি

সিয়াম সাধনার মাস রমজান মাস পালনকারী ভুলে পানাহার করলে তার চাওমের হুকুম কি। আপনি যদি ভুল করে সাওম পালনকারী ভুলে পানাহার করে নেন তাহলে আপনার সাওম কি কোন সমস্যা হবে? অনিচ্ছাকৃত খেয়ালের ভুলে পানাহার করে ফেললে রোজার কোন ক্ষতি হয় না রোজা ভেঙে গেছে ভেবে অনেকেই পরিপূর্ণ খাবার খেয়ে ফেলে না এমনটি ঠিক নয়।

শিয়ালের ভুলে কোন কিছু খেয়ে ফেললে ওই মুহূর্তে করণীয় সম্পর্কে হাদিসে পাকে প্রিয় নবীর রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম সুইস্পষ্ট ঘোষণা করেছেন হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করপন,' যে রোজা অবস্থায় ভুল করে কিছু খেয়েছে বা পান করেছে ওই ব্যক্তি যেন তার রোজা পূর্ণ করে কেননা আল্লাহ তাকে পান করিয়েছেন। ( বুখারী ও মুসলিম )
হাদিসের আলোকে করণীয় রোজা পালনকারী ভুলে পানাহার করলে তার করণীয় হলো রোজা কে পূর্ণ করা কারণ বেখেয়ালী পানাহারের রোজা কোন ক্ষতি হয় না। খাওয়ার অবস্থায় যখন সাওমের কথা স্মরণ হবে। সঙ্গে সঙ্গে পানাহার ত্যাগ করতে হবে মুখে খাবার থাকলে সাওমের কথা স্মরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখ থেকে খাবার ফেলে দিতে হবে।

কেউ যখন সাউন্ড পালনকারীকে পানাহার করতে দেখবে তখন ওই ব্যক্তির পানাহারকারীকে সাওমের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহ কে উল্লেখিত হাদিসের উপর আমল করার তৌফিক দান করুক। রোজার দিনে সব ধরনের ভুল ও পেরেশানি থেকে হেফাজত করুক। আমিন।

ইনজেকশন দিলে কি রোজা ভাঙ্গে

রোজার মাসে অনেকের বিভিন্ন রকমের সমস্যা থাকে অনেকে ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে ইনো সিলিন্ডে আবার কারো ইনজেকশন দেওয়ারও প্রয়োজন পড়তে পারে তাই জন্য অনেকেরই মনের সন্দেহ থাকে যে ইনজেকশন দিলে কি রোজা ভাঙ্গে। রোজা রাখা প্রত্যেকটা মুসলমানের জন্য ফরজ রোজা পালন করা অবস্থায় রোগের ওষুধপত্র সেবন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।

সেই সময় রোজা রাখা ওষুধপত্র খাওয়া এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা নিয়ে অনেকের মনে সংশয় দেখা দেয় কোন ক্ষেত্রে রোগীর এসব ব্যবস্থা নিতে রোজার ক্ষতি হবে কিনা বা রোজা নষ্ট হবে কিনা এই সম্পর্কে নানা রকমের দ্বিধাদন্ত কাজ করে। অসুস্থ অবস্থায় রোজা রেখে ওষুধ গ্রহণের ব্যাপারে বিসি এর ইসলামী চিন্তাবিদ ও বিশেষজ্ঞ থেকে বিভিন্ন রকমের মতবাদ দিয়েছেন।
শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি ছাড়া অন্য যেকোনো কারণে ইনজেকশন নিলে রোজা নষ্ট হবে না তাই মাংসের ইনজেকশন নিলে রোজা নষ্ট হবে না তাই তা মাংস নেওয়া হোক বা রগে। কারণ ইঞ্জেকশনে সাহায্যে দেহের অভ্যন্তরে প্রবেষ্টিত ওষুধ মাংস বা রগের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়ে থাকে যা অস্বাভাবিক প্রবেশপথ তাই এটি রোজা ভঙ্গের গ্রহণযোগ্য কারণ নয়।

অনেকেই আবার জানতে চাই ইনসুলিন নিলে রোজা ভাঙবে কিনা আসলে ইনোসিলে নীলে রোজা ভাঙবে না কারণ ইনি ছিলেন রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে না এবং গ্রহণযোগ্য খালি জায়গায় প্রবেশ করে না যার কারণে এটি নিলে রোজা ভাঙবে না।

সাওম রাখার জন্য সেহরি খাওয়ার হুকুম কি

শেষ রাতে ফজরের পূর্বে পানাহার করাতে বলা হয় সেহেরী সামর রাখার জন্য সেহরি খাওয়া আমাদের নবীজি রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর সুন্নত। এই সুন্নত পালন করার মাধ্যমে আমরা নবীজী সাঃ এর সুন্নত পালন করি এবং আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন।
  • হযরত রাসুল (সা:) বলেন,' তোমরা সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে দিনের বেলা রোজা রাখতে সাহায্য নাও।' (সুনানে ইবনে মাজাহ:১৬৯৩)
  • হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা:), সূত্রে বর্ণিত হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন তোমরা এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সেহরি খাও। সহিহ (ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৩৪৭৬)
  • হযরত আবু হুরায়রা (রা:) এর সূত্রে বর্ণিত, হযরত রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেন,' মুমিনের উত্তম সেহরি হল খেজুর। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৩৪৭৫)
তো সময় যা কিছু পানাহার করবে তাই সেহরি বলে গণ্য হবে এবং এটা সেহরি খাওয়ার সুন্নত আদায় হবে পেট ভরে খাওয়া জরুরী নয় সামান্য খেজুরও পানি দিয়ে সাহরির সুন্নাত আদায় হতে পারে। ( মারাকিল ফালাহ,৩৭৩)

সেহরি খাওয়া কি সুন্নত

সেহেরী খাওয়া কি সুন্নত এই সম্পর্কে অনেকের মনে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে সেহরি খাওয়া আসলে সুন্নত কিনা। কারণ সেহেরি খাওয়ার জন্য আমাদের নবীর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলে গেছেন সেহেরী খেতেন তিনি নবী রাসুল সাঃ এর প্রতিটি কাজকর্ম কিন্তু আমাদের জন্য সুন্নত তাহলে নবীজি যখন সেহেরি খেতেন এটিও আমাদের জন্য সুন্নত।

রোজা রাখার উদ্দেশ্য সুবহে সাদিকের আগে যে খাবার গ্রহণ করা হয় তাকেই বলা হয় সেহেরির। সেহেরী খাওয়ার রাসূল সাঃ এর সুন্নত এর মধ্যে কল্যাণ নিহিত রয়েছে তাই প্রয়োজন না থাকলেও সে হেরিটে সামান্য কিছু পানাহার করতে হয় নতুবা মাকরূহ হবে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত,' রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এরশাদ করেছেন তোমরা সেহেরী খাও। কেন না সেহেরী খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে। (বুখারী: ১৯২৩ )

অন্য হাদিসে বলা হয়েছে তোমরা সেহেরী খাও যদিও এক ঢোক পানি তারা হয় কারণ যারা সেহেরী খায় আল্লাহ তাআলা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন। (ইবনে হিব্বান:৩৪৭৬)।

সেহেরী খাওয়ার মাধ্যমে রোজা রাখার শক্তি অর্জিত হয় সেহেরী না খেয়ে রোজা রাখলে রোজাদার ব্যক্তি ক্লান্ত হয়ে পড়বে। সেহেরী না খেলেও রোজা হবে রোজা সহি হওয়ার জন্য সেহরি খাওয়া অবসর নাই এবং সেহেরির ফজিলত বর্ণিত হলেও সেহেরির কোন দোয়া বর্ণিত হয়নি। এমন নফল দোয়া জিকির করলে সব হবে কিন্তু সেহেরির সঙ্গে যুক্ত করে কোন দোয়া নেই।

রোজা ভাঙার কারণ কি কি

রোজা ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে অনেকে জানতে চেয়েছেন রোজা ভাঙ্গার কারণ কি কি হতে পারে কারণ অনেকেই জানেনা রোজা থাকার পরে তার রোজাটি ভেঙ্গে গেছে কারণ রোজা ভাঙারও কিছু কারণ রয়েছে যা সকলের জেনে রাখা দরকার। চলুন জেনে আসি রোজা ভাঙ্গার কারণ কি কি।
  • ইচ্ছা করে বমি করা
  • বমির বেশিরভাগ মুখে আসার পর তা গিলে ফেলা।
  • মেয়েদের মাসিক ও সন্তান প্রসব ঋতুস্রাব।
  • ইসলাম ত্যাগ করলে
  • গ্লুকোজ বা শক্তিবর্ধক ইনজেকশন বা স্যালাইন দেওয়া।
  • প্রসাব পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করালে।
  • রোজাদারকে জোর করে কেউ কিছু খাওয়ালে।
  • ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করা হলে।
  • রোজা রাখা অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হলে।
  • ভুলবশত কোন কিছু খেয়ে রোজা ভেঙ্গে গেছে ভেবে ইচ্ছা করে আরো কিছু খেলে।
  • বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা কেউ খেয়ে ফেললে।
  • কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করালে।
  • জিব্বা দিয়ে দাঁতের ফাক থেকে ছোলা পরিমাণ কোন কিছু বের করে খেয়ে ফেললে।
  • অল্প বমি মুখে আসার পর ইচ্ছাকৃত তা গিলে ফেললে।
  • রোজার স্মরণ থাকা অবস্থায় ওযুতে গুলি বানাকে পানি দেওয়ার সময় ভেতরে পানি চলে গেলে।
উপরুক্ত এই কারণগুলোর কারণে আপনার রোজা ভাঙতে পারে তাই যারা যারা রোজা থাকেন এই সকল বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে যেন রোজা না ভাঙ্গে।

রক্ত পরীক্ষা করলে কি রোজা ভাঙ্গে

অনেকের শারীরিক সমস্যা ও অক্ষমতার জন্য রোজা রাখতে সমস্যা হতে পারে আবার অনেকের রক্ত পরীক্ষা বা শারীরিক বিভিন্ন রকমের ত্রুটির কারণে রক্ত পরীক্ষা বা ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হতে পারে রমজান মাসে।তখন রমজান মাসের রক্ত পরীক্ষা করলে কি রোজা ভাঙ্গে এই সম্পর্কে জানতে চাই অনেকেই।যারা জানেন না রক্ত পরীক্ষা করলে কি রোজা ভাঙ্গে এই সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে জানাবো।
ডায়াবেটিসের সুগার মাপার জন্য সিরিজ ঢুকিয়ে যে এক ফোঁটা রক্ত নেওয়া হয় এতে রোজার কোন ক্ষতি হবে না। রোজা ভঙ্গের কারণ হতে স্বাভাবিক প্রবেশ পথ দিয়ে শরীরের কোন কিছু প্রবেশ করা শরীর থেকে কোন কিছু বের হলে রোজা ভঙ্গ হয় না তাই রক্ত দিলে রোজা ভঙ্গ হবে না কেননা নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম রোজা রেখে সিঙ্গা লাগিয়েছেন।

তা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে সিঙ্গার মাধ্যমে শরীলের বিষাক্ত রক্ত বের করা হয় তাই রোজা রেখে নিজের টেস্ট পরীক্ষার জন্য কিংবা কোন রোগীকে দেওয়ার জন্য রক্ত দিলে রোজার কোন ক্ষতি হবে না তবে রক্ত দিতে গিয়ে দুর্বল হয়ে রোজা ভেঙ্গে ফেলার আশঙ্কা থাকলে সেই অবস্থার রক্ত দেওয়া হবে। ( বুখারী শরিফ, হাদিস: ১৯৩৮)

শেষ কথা।রক্ত পরীক্ষা করলে কি রোজা ভাঙ্গে।ইনজেকশন দিলে কি রোজা ভাঙ্গে

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে জানতেও বুঝতে পেরেছেন রক্ত পরীক্ষা করলে কি রোজা ভাঙ্গে এবং ইনজেকশন দিলে কি রোজা ভাঙ্গে সম্পর্কিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল ও উপকৃত বলে মনে হয়েছে।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন এ ছাড়াও আপনি যদি ইসলামিক আরও তথ্য ও পোস্ট পড়তে চান?তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।
এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আজকের আর্টিকেলে কোথাও ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকলে আমাদের ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আপনার ব্যক্তিগত মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url