ইতিকাফের নিয়ম - মহিলাদের ইতিকাফের নিয়ম
প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম।আপনারা নিশ্চয়ই অনলাইনে সার্চ করে ইতিকাফের নিয়ম
এবং মহিলাদের ইতিকাফের নিয়ম সম্পর্কে তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন।তাহলে আপনি সঠিক
জায়গায় প্রবেশ করেছেন।আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আপনি জানতে পারবেন ইতিকাফের নিয়ম
এবং মহিলাদের ইতিকাফের নিয়ম সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।তাই ইতিকাফের নিয়ম
সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন।
একই সাথে আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে আপনি জানতে পারবেন ইতিকাফ করা কি ফরজ,
ইতিকাফের কত প্রকার, ইতিকাফের নিয়ত এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে।তাই আজকের
আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন ইতিকাফের নিয়ম এবং
মহিলাদের ইতিকাফের নিয়ম সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ইতিকাফের নিয়ম।মহিলাদের ইতিকাফের নিয়ম
সূচনা। ইতিকাফের নিয়ম।মহিলাদের ইতিকাফের নিয়ম।ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত
প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয়ই যা আজকের আর্টিকেলের
ভিতরে আমরা আলোচনা করতে চলেছি ইতিকাফের নিয়ম এবং মহিলাদের ইতিকাফের নিয়ম
সম্পর্কে।ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আমাদের সকলকে জেনে রাখা অনেক
গুরুত্বপূর্ণ।প্রতিবছর রমজান মাসে শেষ ১০ দিন অনেকে ইতিকাফ করেন।আবার অনেকে
ইতিকাফ করার জন্য আগ্রহ করেন কিন্তু ইতিকাফের নিয়ম সম্পর্কে জানেন না।
আরো পড়ুনঃ রমজানে দান সদকার ফজিলত
তবে আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি ইতিকাফের নিয়ম, ইতিকাফের নিয়ত এবং মহিলাদের
ইতিকাফের নিয়ম সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে
আপনি ইতিকাফের নিয়ম সম্পর্কিত সকল বিষয়বস্তু জেনে অনেক উপকৃত হবেন তাই
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ইতিকাফের নিয়ম
ইতিকাফের নিয়ম সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই যারা ইতিকা প্রথমবার করতে চান এবং এটার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আজকে আমরা নিয়ে এসেছি ইতি কাফের নিয়ম। বছরের অন্যান্য সময়ে কেউ পিকআপ না করলেও কিন্তু রমজান মাসে সবচেয়ে বেশি ইতেকাফ করে শেষের ১০ দিন।
আসরের নামাজের পর থেকে মসজিদে প্রবেশ করতে হয় ২৯ বা ৩০ তারিখ শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর মাগরিবের পূর্বে ইতিকাফ শেষ হয়। দশদিন ইতিকাফ করা সম্ভব না হলে শেষের একদিন ইতিকাফ করা যাই ইতিকা আপু সহি হবার শর্ত হলো মুসলমান হওয়া জ্ঞানমান হওয়া, জানাবাত এবং হায়িজ ও নিফাস থেকে পবিত্র হওয়া।
আরো পড়ুনঃ শাবান মাসের রোজা কয়টি
আপনি যদি ইতেকাফ করতে চান তাহলে আপনাকে মসজিদে পানাহার করতে হবে শৌচকর্ম বা পেশাব পায়খানার জন্য বাইরে যাওয়া। ফরজ গোসলের জন্য বাইরে যাওয়া যাবে তবে জুম্মার নামাজের জন্য এতোটুকু সময় নিয়ে বের হওয়া যাতে জামে মসজিদে গিয়ে খুতবার আগে ২৪ রাকাত সুন্নত আদায় করতে পারে আযান দেওয়ার জন্য বাইরে যাওয়া যাবে এছাড়া অন্যান্য কোন কাজের জন্য বাইরে যাওয়া যাবে না।
বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতে হবে কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে দ্বীন আলোচনা করা। শোনা এবং আল্লাহর জিকির করার দোয়া করা ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ করতে হবে। ইতিকাফের সর্বোত্তম স্থান হলো পবিত্র মসজিদুল হারাম এর পরে মসজিদে নববী। এরপর যথাক্রমে বায়তুল মোকাদ্দাস জুম্মা আদায়ের মসজিদ ও মহল্লার মসজিদে নারীদের মসজিদের বদলে ঘরে ইতিকাফ করা উত্তম। ঘরের নির্দিষ্ট নামাজের স্থানে তারা ইতিকাফ করতে পারে।
ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত
রমজান মাস আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ ও পাপ মোচনের অবিরত সুযোগ এই মাসে সবচেয়ে বেশি ইবাদত বন্দেগী করতে হবে এবং আল্লাহ তালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়। এই মাসের শেষ দশ দিন সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সময় এই সময় এতেকাফের মাধ্যমে আল্লাহর সনির্ধ্বে এসে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ করে দেয়।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম মদিনা হিজরত করে প্রতিবছরে ইতিকাফ করতেন।আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন,' রমজানের শেষ দশকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতেকাফ করতেন।( মুসলিম, হাদিস : ১১৭১)শরীয়তের পরিবাহিত হয়েছে কতগুলো বিশেষ শর্তসাপেক্ষে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মসজিদে অবস্থান করাকেই ইতিকাফ বলে।
আরো পড়ুনঃ তারাবির নামাজ ৮ রাকাত পড়ার নিয়ম
আল্লাহতালা মানব জাতিকে একমাত্র তার ইবাদত বন্দেগীর জন্য সৃষ্টি করেছেন।' তিনি নিজেই ঘোষণা করেছেন আমি মানুষ এবং জিন জাতিকে একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি। কাজেই মানবজাতির কর্তব্য হলো আল্লাহ পাকের ইচ্ছাকে পূরণ করা কাজকর্মে আচার ব্যবহারে কথাবার্তায় ব্যবসা-বাণিজ্যের দিনে রাতে অর্থাৎ সর্বক্ষণ সর্ব অবস্থায় আল্লাহর রেজামন্দি হাসিল করা তার ইবাদতে মাসকুল থাকা।
ফরজ ইবাদত ছাড়া আল্লাহর নয়কট লাভের জন্য যেসব ইবাদত করা হয়। তার মধ্যে এতেকাফ একটি অন্যতম ইবাদত আত্মার উৎকর্ষ সাধনের জন্য সব ধরনের কুপ্রবৃত্তি দমন করে। যেমন অনর্থক কাজ, অশ্লীল কথাবার্তা, সংসার, স্ত্রী, পুত্র, বাড়িঘর, ব্যবসা বাণিজ্য সব ধরনের দুনিয়াদারি কাজকর্ম পরিত্যাগ করে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তার দরবারে দিনরাত্রি পড়ে থাকায় ইতিকাফের মূল লক্ষ্য।
হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা:) বলেছেন, ' যে ব্যাক্তি রমজান মাসের শেষ দশ দিন ইতেকাফ করবে সে দুটি ওমরাহ ও দুটি হজ আদায় করার সওয়াব পাবে।হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা:) বলেছেন,' রমজানের শেষ ১০ দিন এতেকাফ পালন করতেন তার ওফাতের আগ পর্যন্ত তিনি এতেকা পালন করতেন তারপর তার পত্নীরাও তা পালন করে গেছেন।
অন্য এক হাদিসে বর্ণিত আছে, 'যে ব্যক্তি একদিন এতেকাফ করে আল্লাহপাক তার এবং জাহান্নামের মধ্যে তিন খন্ডক দূরত্বের ব্যবধান রাখবেন এই দূরত্ব হবে আসমান ও জমিনের দূরত্বের চেয়েও অধিক। '
এছাড়াও এতেকাফের অনেক গুরুত্ব রয়েছে 20 রমজানুল মোবারক সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ আগে থেকে ২৯ অথবা ৩০ রমজান।
আরো পড়ুনঃ ১ রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ত
অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার সূর্য অস্ত পর্যন্ত পুরুষদের জন্য মসজিদে এবং নারীদের জন্য নিজ গৃহে নামাজের নির্ধারিত স্থানে নিয়মিত একাধারে অবস্থান করাকে এতেকাফ বলা হয় রমজানের শেষ ১০ দিনে এই এতেকাফ সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কেফায়া।
অর্থাৎ কোন বস্তি বা মহল্লা বাসীর মধ্যে থেকে কেউ যদি ইতেকাফ আদায় না করেন তবে এই দায়িত্বের প্রতি অবহেলার কারণে মহল্লাবাসীর গুনাগার হবেন। কাজের সব মহল্লা বাসীর ওপর এই দায়িত্ব অর্পিত হয় যে আগে থেকে তারা খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন তাদের এলাকার মসজিদে কেউ ইতেকাফ করবে কিনা।
মহিলাদের ইতিকাফের নিয়ম
মহিলাদের ইতিকাফের নিয়ম সম্পর্কে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে অনেকে অনেকেই মনে করেন যে মহিলাদের এতেকাফ করার কোন নিয়ম নেই এই জন্য অনেকেই এতেকাফ করা থেকে বিরত থাকে আসলে মহিলাদের ও ইতিকাফের নিয়ম রয়েছে। নবী রাসূল (সা:) যখন ইতিকাফে বসতেন তারপর তার পত্নীরা ও ইতিকাফে বসতো নিজ গৃহে।
যে জায়গা পবিত্র ও নামাজ আদায় করা হয় বাড়ির সেই স্থানে বসে ইতিকাফ করতে হয় মহিলাদের। রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ এটি আমল মাহে রমজানে বরকত ফজিলত বিশেষভাবে হাজার মাস অপেক্ষায় শ্রেষ্ঠ রজনী লাইলাতুল কদরের বরকত ফজিলত লাভের শ্রেষ্ঠতম উপায় হচ্ছে ইতিকাফ।
আরো পড়ুনঃ তারাবির নামাজ কত রাকাত
রাসূল (সা:) তার মদিনার জীবনে নিয়মিত প্রতি রমজানে ইতিকাফ করতেন। এক রমজানে কোন কারনে ইতিকাফ ছুটে গেলে পরবর্তী রমজানে 20 দিন ইতেকাফ করে তা পূরণ করে নিয়েছেন। (সুনানে আবু দাঊদ, হাদিস:২৪৬৩)
ইতিকাফের ফজিলত সম্পর্কে এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,' আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টির নিয়তে যে ব্যক্তি মাত্র একদিন ইতাপ করবে আল্লাহ তা'আলা তার ও জাহান্নামের মাঝে তিনটি পরীক্ষার সম্মান দূরত্ব সৃষ্টি করে দিবেন প্রতিটি পরীক্ষার দূরত্ব হবে আসমান জমিনের মধ্যবর্তী দূরত্বের সমান। '(আল-মু'জামুল আওসাত লিত-তবারানী, মাজামাউয যাওয়ায়েদ ৮/৩৫১-৩৫২)
আমাদের দেশের নারীরা খুবই কমই ইতিকাফ করেন অথচ ইতিকাফ অত্যন্ত সওয়াব ও ফজিলতের কাজ। এবং নারীদের জন্য করাও খুব সহজে বটে কারণ তারা ঘরে এতেকাফ করবেন ফলে নিয়ম মেনে সংসারের খোঁজখবর নিতে পারবেন। সংসার ঠিক রেখে তাদের হয়ে যাবে সুতরাং এমন সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়।
আরো পড়ুনঃ সাহু সিজদার নিয়ম
নারীদের ইতিকাফের নিয়ম: রমজানের শেষ দশকে এতেকা পুরুষদের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া। অর্থাৎ মহল্লার মসজিদের পুরুষদের মধ্যে একজন হলেও যদি এটিকা করে তাহলে পুরো মহল্লাবাসী দায়মুক্ত হয়ে যাবে আর নারীদের জন্য ইতেকাফ করা মুস্তাহাব।
মহিলারা নামাজের স্থান তাদের ঘরে আন্দারমহল; মসজিদ নয়। তারা ঘরে নামাজ পড়ে ও পুরুষদের মসজিদে নামাজ আদায়ের সমপরিমাণ সওয়াবের অধিকারী হন বলে সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। যেন নারী বেশি সওয়াব হাসিল করার আশায় মসজিদে আসার জন্য উদগ্রীব না হয়।
ইতিকাফ করা কি ফরজ
আপনারা যদি এতেকাফ করতে চান এবং অনেকেই জানতে চান যারা রমজান মাসে ইতিকাফ করবেন
ইতেকাফ করা কি ফরজ অনেকে ইতিকাফ করে আবার অনেকে ইতেকাফ করে না। রমজান মাস আসলেই
সকলের মনে এই রকমের ধারণা কাজ করে যেহেতু রমজান মাসে সবচেয়ে বেশি ইতিকাফে বসা
হয় তার জন্য ইতিকাফ করা কি ফরজ এটা জেনে রাখা খুবই দরকার হয়ে পড়ে।
ইতিকাফ তিন ধরনের হয়ে থাকে ওয়াজিব সুন্নতে মুয়াক্কাদা, মুস্তাহাব বা নফল। এই
তিন ধরনের ইতিকাফ করা হয়ে থাকে আপনি যদি মনে করে থাকেন যে এতেকাফ করা ফরজ এমনটি
নয় এটি ফরজ না হলেও কিন্তু আমাদের নবীজির রাসূল (সাঃ) করে থাকেন যার কারণে এটি
সুন্নত। রমজান মাসে সবচেয়ে বেশি ইতেকাফ করে।
আরো পড়ুনঃ স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ
মানুষ কারণ রমজান মাসে শেষের ১০ দিন এতেকাফ করা নবীজির সুন্নত। তিন ধরনের ইতিকাফ
তিনভাবে করা যায়। কেউ যদি কোন মানত করে ইতেকাফ করতে চায় তাহলে সেটি ওয়াজিব হবে
এবং সুন্নত ইতেকাফ হল রমজান মাসের শেষ দশকের ইতিকাফ করা।
নফল ইতিকাফ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল তাই সম্পূর্ণ রমজান মাসের শেষ দশকের সুন্নত
ইতেকাফ পালন করতে না পারলে যতদূর সম্ভব নফল ইতেকাফ করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। নফল
ইতেকাফ বছরের যে কোন সময় করা যায় ইতেকাফের জন্য রোজা শর্ত কিন্তু রমজানের বাইরে
স্বল্প সময় এক দিনের কম সময় ইতেকাফ করলে তার জন্য রোজা শর্ত নয়।
তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন এতেকাফো ফরজ নয় তবে এতে ভাব করা কিন্তু সুন্নত
নবীজির। পূর্ণ দিবস এতেকাফের জন্য রোজা শর্ত নফল এতেকাফ মানত করলে বা আরম্ভ করে
ছেড়ে দিলে তা পূর্ণ করা ওয়াজিব এর জন্য রোজা শর্ত এবং এটি একদিন এর কম হবে না।
ইতিকাফ কত প্রকার
আসসালামু আলাইকুম আপনারা কি জানতে চান এটি কার কত প্রকার কারণ অনেকেরই জানার
আগ্রহ থাকে যে এতেকাফ কত প্রকারের হয়ে থাকে অনেকেই মনে করেন যে ইতেকা হয়তো
শুধুমাত্র রমজান মাসেই করতে হয় এটি এক ধরনেরই হয় আসলে এরকমটি নয় ইতিকা সাধারণত
তিন প্রকারের হয়। ওয়াজিব, সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ও মুস্তাহাব বা নফল।
আরো পড়ুনঃ ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
চলুন জেনে আসি ইতিকাফ তিন ধরনের কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
ওয়াজিব: ওয়াজিব ইতিকাফ হলো মানতের এতেকাফ অর্থাৎ যদি কেউ মানব করে আমার
কাজটি সুচারণ রূপে সম্পূর্ণ হলে আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় অর্থে তার সন্তুষ্টি
অর্জনের উদ্দেশ্যে এটি কাজ করব কাজটি সঠিকভাবে সম্পূর্ণ হয়ে গেলে অবশ্যই ইতেকাফ
করতে হবে। এই ইতেকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত রোজা ছাড়া এই ইতেকাফ আদায় হবে না।
সুন্নতে মুয়াক্কাদা: সুন্নতে মুয়াক্কাদা হলো মাহে রমজানের শেষ দশের
এতেকাফ এটি মহল্লা বাসীর পক্ষ থেকে কমপক্ষে একজন মানুষ হলেও আদায় করতে হবে নতুবা
সবার গুনাগার হবে। এটি নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সুন্নত।
মুস্তাহাব বা নফল: মুস্তাহাব এতেকাফ হল কিছুক্ষণের জন্য ইতেকাফের নিয়ত
করে মসজিদে অবস্থান করা এটা অত্যন্ত বরকতময় ও সওয়াবের কাজ। স্বাভাবিকভাবে সবাই
মসজিদে প্রবেশ করার সময় এতেকাফের নিয়ত করে এতেকাফ ও আদায় হবে সওয়াব পাওয়া
যাবে।
শেষ কথা।ইতিকাফের নিয়ম।মহিলাদের ইতিকাফের নিয়ম
প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেল সম্পন্ন পড়ে জানতে ও
বুঝতে পেরেছেন ইতিকাফের নিয়ম এবং মহিলাদের ইতিকাফের নিয়ম এ বিষয় সম্পর্কিত সকল
তথ্য।আজকের আর্টিকেলের ভেতর থেকে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি সাহু
সিজদা ওয়াজিব হওয়ার কারণ সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ দোয়া কুনুত মুখস্ত করার সহজ পদ্ধতি
আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত বলে মনে
হয়েছে।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামতটি
আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন এবং আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু আত্মীয়দের মাঝে
শেয়ার করবেন।
এছাড়াও আপনি যদি ইসলামিক আরো পোস্ট করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসুন
এবং ভিজিট করে রাখুন।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য
ধন্যবাদ।আজকের আইডিতে এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url