মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায়

প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই মানসিক চাপ নিয়ে অশান্তি বোধ করছেন। তাই অনলাইনে সার্চ করে জানতে চেয়েছেন মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায় এবং মানসিক চাপ কমানোর ইসলামিক উপায় সম্পর্কে।তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায় এবং মানসিক চাপ কমানোর ইসলামিক উপায় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায় সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

একই সাথে আমাদের আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আলোচনা করেছি দ্রুত মানসিক চাপ কমানোর উপায়, মানসিক চাপ কমানোর ঔষধ, মানসিক রোগের বিভিন্ন কারণ এবং মানসিক চাপ কমানোর খাবার সম্পর্কে।তাই আর্টিকেল কি দ্রুত শেষ পর্যন্ত পড়ে জেনে নিন মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায় এবং মানসিক চাপ কমানোর ইসলামিক উপায় সম্পর্কে সকল তথ্য।

আপনি যদি মানসিক চাপ সম্পর্কে গুরুত্ব না দেন তবে বর্তমান সময়ে গুরুত্ব না দেওয়া সবচেয়ে ভয়ংকর রোগ গুলোর একটি মানসিক চাপ।মানসিক চাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবস্থায় এতটা ভয়ংকর হতে পারে যে তাদের জীবননাশের চিন্তাভাবনাও অনেকেই করে থাকেন।তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলের পর্ব থেকে জানবো মানসিক চাপের লক্ষণ, মানসিক চাপ কি এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণার এক তথ্য ও সূত্র থেকে জানা যায় প্রতি আট জনের মধ্যে একজন মানসিক রোগে ভোগে।তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা সাজিয়ে রেখেছি মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায় এবং মানসিক চাপ কমানোর ইসলামিক উপায় সম্পর্কে।

এছাড়াও আজকের আর্টিকেলের পর্বে আমরা আপনাদের সুবিধার্থে রেখেছি মানসিক চাপ কমানোর ওষুধ দ্রুত মানসিক চাপ কমানোর উপায় মানসিক রোগের বিভিন্ন কারণ এবং মানসিক চাপ কমানোর খাবার সম্পর্কে।তাই আপনি যদি এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তবে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

প্রিয় পাঠক আপনারা কি মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায় সম্পর্কে জানেন যারা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে উপায় সম্পর্কে জানতে চান তারা আজকের আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নিন মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায়।

যারা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে অনেক রকমের চিন্তায় থাকেন যে কিভাবে এই প্রাপ্তি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তার উপায়ও জানা নাই। তাদের জন্য কয়েকটি উপায় নিয়ে এসেছে যে উপায় গুলো আপনারা যদি সঠিকভাবে অবলম্বন করেন তাহলে কিন্তু মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের সাধারণ ১০টি উপায় হতে পারে:

নিয়মিত যোগাযোগ করা: পরিবার, বন্ধু, বা প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ করে মনের কথা বলা এবং তাদের সাথে সময় কাটানো উপকারী হতে পারে। পরিবারের মানুষের সাথে হাসি ঠাট্টা করে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলে দেখবেন আপনার মানসিক চাপ কিছুটা কমে যাবে।

পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়া: প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম নিতে চেষ্টা করা যাতে মানসিক প্রতিস্থাপন হতে পারে।ঘুম মানুষের চিন্তা ও চাপ কমাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী একটি উপাদান তার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম দরকার ঘুমের ওপরে কোন কিছু নেই তাই নিজের মানসিক চাপ কমাতে হলে প্রতিদিন নিয়মিত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে।

যোগাযোগে কর্তৃত্ব নেওয়া: মনের চাপ ও চিন্তা কে প্রতিস্থাপনের জন্য কাউকে অনুরোধ করা যে কারণে মনে ভালো লাগছে না। আপনার যদি মন ভালো না লাগে তাহলে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাকে আপনার মনের কথা খুলে বলুন দেখবেন আপনার মানসিক চাপ কমে যাবে।

প্রায়োজনীয় সময় নিতে: নিজের জন্য সময় নিতে এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত সময় বিনিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে সময় দিতে হবে যেন নিজের প্রতি যে কোন কাজে যত্ন নিতে পারেন নিজের শরীরের যত্ন নেওয়াও কিন্তু মনকে শান্তি দেয়।

ধ্যান ও মনযোগ দ্বারা শান্তি অর্জন: ধ্যান বা মনযোগ মাধ্যমে মনের শান্তি এবং তাড়া কমানো সম্ভব। নিজের মন ও মনোযোগ ও একসাথে রাখার জন্য ধ্যান করুন তাহলে দেখবেন আপনার মনে অনেক শান্তি আসবে।

সম্পৃক্ত হোন: আত্মসমর্পণ এবং অন্যদের সাহায্যের অনুরোধ করা সাহায্যকারী হতে পারে। সকলের সাথে যোগাযোগ রাখুন এবং সম্পৃক্ত হন যেন একে অন্যের সাথে দেখাশোনা বা কথা বলা যায় তাহলে আপনি দেখবেন অনেকটাই আপনার মন হালকা হবে এবং চাপ কমে যাবে।

স্বাস্থ্যগত সমস্যা সমাধান: আপনার যদি স্বাস্থ্যের কোন সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসা করতে হবে এবং সেটা নিয়ে সমাধান করতে হবে তাহলে আপনি মানসিকভাবে চাপ কমাতে পারবেন। যোগাযোগে প্রাথমিক ভুল থাকায় ব্যক্তিগত অভ্যন্তরীণ স্বাধ্যায় এর সাথে পরিচয় করা সম্ভব।

মানসিক সুস্থ খাবার: পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যেমন ফল, সবজি, গাছাগাছি খাবার মানসিক সুস্থতা বানানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যারা মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে চায় এবং চাপ কামাতে চায় তারা কিন্তু সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে সুষম খাদ্য গ্রহণ করার ফলে অনেকটা চাপ কমে যায়।

শারীরিক ব্যায়াম: নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা যেমন হাঁটা, বাইসাইকেল চালানো, বা যোগাসান মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতি করতে সাহায্য করে। শরীর চর্চা করা কিন্তু সবচেয়ে আরামদায়ক কাজ এই কাজটি যদি আপনি করেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং আপনার মন প্রফুল্ল থাকবে।

পজিটিভ লাইফস্টাইল প্রয়োগ: আলোচনার ক্ষেত্রে পজিটিভ হতে চেষ্টা করা, নিজেকে অনুভব করার জন্য ধন্যবাদ এবং সুখী সময় অতিথি হিসেবে গ্রহণ করা। আপনার লাইফটাই সব সময় পজেটিভ রাখবেন নেগেটিভ কোন কথা চিন্তা করবেন না জীবনে নেগেটিভ তাই আপনার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

উপরোক্তা এই সকল বিষয়গুলো থেকে আপনারা মানসিক চাপ কমাতে পারবেন এই চাপ কমানোর উপায় গুলো যদি আপনি আপনার জীবনে অবলম্বন করেন তাহলে অবশ্যই আপনার জীবনে আনন্দ ফিরে আসবে এবং মানসিক চাপ অনেক কমে যাবে।

প্রায় মানুষই মানুষই খুব চাপ তৈরির কারণে নানা রকমের ব্যক্তিগত ও সামাজিক সমস্যা দেখা যায় মানসিক চাপের লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয় ঘুম না হওয়ার কাজে মন না বসা দুশ্চিন্তা মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদি নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়। 

আপনি যদি আপনার মানসিক চাপ কমাতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে দ্রুত মানসিক চাপ কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনাকে নিচে কিছু বিষয় সম্পর্কে বলা হল যা মেনে চললে দ্রুত মানসিক চাপ কমানোর যাবে।

মানসিক চাপ কমাতে নিম্নলিখিত উপায়গুলি প্রয়োজনীয়:

•  প্রায় হাস্যকর কিছু করুন যা আপনাকে আনন্দ এবং সন্তুষ্টি দেয়।
•  ধ্যান করার মেধামত্তা বা মেডিটেশন করুন।
•  নিয়মিত ব্যায়াম করুন, যেমন হাতের ব্যায়াম, যোগা, বা চলাফেরা।
• নিয়মিত ঘুমানো এবং ভাল খাবার করা।
• সমস্যার সম্মুখীন হোন এবং আপনার চেষ্টা করুন যে কোনও অসুস্থতা বা মানসিক চাপের সাথে যেকোনো পেশাদার সাহায্য অর্জন করতে।
• নিজের সময়ে আনন্দ প্রাপ্ত করার জন্য পড়তে, লেখা করতে, প্রিয় কাজ করতে বা সময় পাস করতে অনুমতি দিন।
• আপনার পরিবেশের প্রতিটি দিনে সুন্দর জিনিস অনুভব করার চেষ্টা করুন।
• অধিক উপকারী লোকের সাথে সময় কাটানো এবং নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করার চেষ্টা করুন।
• ভালো লাগার কাজ করুন যেমন বই পড়া বাগান করা অন্যান্য দিয়ে কোন পছন্দের কাজে সময় দিন।
• গান শুনুন গান শুনলে মানুষের চাপ অনেকটা কমে আসে মাথায় চাপ থাকলে কাজে মন বসে না সে ক্ষেত্রে ফাঁকে ফাঁকে নিজেকে এন্টিটেমেন্ট করুন।
• প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান কাছের মানুষদের সঙ্গে দেখা করুন ঘুরতে যান তাহলে আপনার মানসিক চাপ কমবে।
• মানসিক চাপ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা হিসেবে রাখে কিন্তু চাটাই চার যে আপনি আপনার মানসিক চাপ কমাতে পারেন।

সতর্কতা: যদি মানসিক চাপ অত্যন্ত বেশি হয় এবং এটি আপনার দৈন্যের জীবনে প্রভাব ফেলে, তবে সেরকম সময়ে একজন মনের চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।

আপনি যদি মানসিক চাপে ভুগেন এবং আপনার মানুষের চাপ কমানোর জন্য ওষুধের প্রয়োজন হয় তাহলে কিন্তু আপনি অবশ্যই জানতে চাইবেন মানসিক চাপ কমানোর ওষুধ সম্পর্কে আসলে মানসিক চাপ কমানোর ওষুধ সহজে খেতে হয় না কারণ এটি এমন একটি ওষুধ যা না খাওয়াই ভালো মানসিক চাপ হলে ওষুধ না খেয়ে আপনি চেষ্টা করুন প্রাকৃতিক উপায়ে যেগুলো করলে আপনার মানসিক চাপ কম হবে।

মানসিক চাপ কমানোর জন্য কিছু ঔষধের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের দাবি থাকতে পারে, তবে এই বিষয়ে কোনো ঔষধ নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। অনেক সময় মানসিক চাপ কমানোর জন্য মানসিক স্বাস্থ্যের পেশাদার সাথে পরামর্শ করা উচিত। এছাড়াও, নিয়মিত ব্যায়াম, ধ্যান, মেডিটেশন, সুস্থ খাবার আদি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মানসিক চাপ কমানোর সাথে সাথে সাহায্য করতে পারে।

এছাড়াও, যদি প্রয়োজন হয়, মনোবিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। মানসিক চাপ কমানোর জন্য আপনি আপনার প্রিয় মানুষের সাথে ঘুরতে যেতে পারেন অথবা আপনার যে কাজগুলো করতে ভালো লাগে সেই কাজগুলো আপনি করতে পারেন এতে আপনার মানসিক চাপ কম হবে তবে ওষুধ খাওয়া যাবে না।

মানসিক চাপ হয়ে আপনি যদি ওষুধ খেতে যান তাহলে আপনার জন্য অনেক ক্ষতি হবে তবে আপনি তো কিছু ওকে সাথে পরামর্শ করতে পারেন এতে আপনার যদি কোন সমস্যা ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসক আপনাকে সেটার ওপর নির্ভর করবে কি ওষুধ খেতে হবওষুধের নাম বলবে।

আপনারা যদি মানসিক রোগের বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিন মানসিক রোগের বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত অনেকেই মানসিক রোগে ভোগেন আসলে মানসিক রোগটি কি মানসিক রোগ মানে মনের রোগ যেমন: হ্যালোসিনেশন বা ভ্রান্ত, ওসিডি বা শুচিবাই, বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশন, পোস্ট ফ্রম স্ট্রেস অনিদ্র, পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার ইত্যাদি।

মানসিক রোগের ক্ষেত্রে সকল প্রকার অসুস্থতা সর্বপ্রকার মানুষের মনেই দেখা দেয় ধীরে ধীরে শরীরে যন্ত্রের মধ্যে নানা রকম বিশৃঙ্খলা প্রকাশ পায়। এই অসুস্থতা ও বিশৃঙ্খলা হতে আপনি কিভাবে রেহাই পাবেন তার জন্য অবশ্যই আপনাকে মানসিক রোগের বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে জানতে হবে।

বিভিন্ন কারণে মানসিক রোগ হয়ে থাকে যেমন:

• জেনেটিক পিতা-মাতা বা পূর্বপুরুষের মস্তিষ্কের বিকৃতি থাকলে অনেক সময় সন্তান ও মানসিক প্রকাশ পায়।
• শরীর কোন কঠিন রোগ থাকলে মানসিক রোগ হয়।
• অতিরিক্ত মদ্যপান করলে এই সমস্যা দেখা দেয়।
• মস্তিষ্কে আঘাত লেগে থাকলে এরকম সমস্যা হয়।
• হঠাৎ ভয় পেয়ে গেলে মানসিক সমস্যা হয়।
• মানুষ যখন উদ্বিগ্ন, দুশ্চিন্তা, অত্যাধিক আনন্দ, দুঃখ, নিরাশ, পরিবেশগতভাবে, নিদ্রাহীনতা ইত্যাদির কারণে।

বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে যখন আমাদের মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায় মানুষের মনের মধ্যে যখন অতিরিক্ত দুঃখ কষ্ট বেদনা হতাশা ঘিরে বসে তখন কিন্তু মানসিক চাপ বেশি দেখা দেয় এই মানসিক চাপ কমানোর জন্য ইসলামিক কিছু উপায় রয়েছে যা আপনারা মেনে চললে আপনাদের মানসিক কিছুটা হলেও কম হবে।

ইসলাম এমন একটি ধর্ম যেখানে সকল সমস্যার সমাধান দেওয়া রয়েছে। ইসলামিক উপায়ে আপনি যদি আপনার জীবন যাপন পরিচালনা করেন তাহলে অবশ্যই আপনি মানসিক চাপ কমাতে পারবেন। চলুন মানসিক চাপ কমানোর কয়েকটি ইসলামিক উপায় সম্পর্কে জেনে আসি।

মানসিক চাপ কমানোর ইসলামিক উপায় রয়েছে:

নামাজ পড়া: ইসলামে নামাজ একটি মুখ্য প্রাথমিক কর্তব্য। নামাজের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমাতে পারেন এবং আত্মসমর্পণের অনুভূতি অর্জন করতে পারেন।

কোরআন পড়া এবং তাফাক্কুর করা: কুরআন পড়া এবং তাফাক্কুর (আল্লাহর বিচার) করা মানসিক শান্তি অর্জনে সাহায্য করে।

জাকাত এবং সদকা: আর্থিক উপার্জনের এবং ব্যয়ের সাথে সহজেই অবলম্বন করা জাকাত এবং সদকা দেওয়া মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

দোয়া এবং দুআর বার্তা: আল্লাহর প্রতি দু'আ করা এবং দুআর বার্তা শোনা মানসিক চাপ ও মানসিক বিপদ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

সহানুতাভূতি এবং সমঞ্জস্যবোধঃ অন্যদেরকে সাহায্য করা এবং সমাজে সমন্বয় বজায় রাখা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

এগুলি মিশে ইসলামিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানসিক চাপ কমাতে পারেন। তবে, যদি মানসিক সমস্যা এবং চাপ তীব্র হয় বা দীর্ঘদিন চলে থাকে, তবে চিকিৎসার সাথে ইসলামিক পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত।

আপনি যদি মানসিক চাপ কমানোর খাবার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আমাদের আর্টিকেল থেকে মানসিক চাপ কমানোর খাবার সম্পর্কে জানতে পারবেন যারা মানসিক চাপে ভোগেন এবং জানেন না কোন সকল খাবার খেলে মানসিক চাপ কম হয় তাদের জন্য আজকে আমরা নিয়ে এসেছি মানসিক চাপ কমানোর খাবার এর তালিকা।

কেউ যদি বেশি মানসিক চাপে ভোগে তখন কিন্তু তার একটি খাদ্য তালিকা তৈরি করে নেওয়া দরকার যে খাদ্যগুলো মানসিক চাপ কমাতে সহযোগিতা করবে।

মানসিক চাপ কমানোর খাবার হিসাবে নিম্নলিখিত কিছু পণ্য প্রস্তাবিত হতে পারে:

ভালো খাবারগুলি যেমনঃ মাছ, সবজি, ফল, ডাল, মাংস ইত্যাদি যা স্বাস্থ্যকর এবং মানসিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। যে খাবার গুলোর মধ্যে বেশি পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে সেই সকল খাবার গুলো গ্রহণ করতে হবে।

প্রোটিন ধারণকারী খাবারগুলি যেমনঃ ডাল, কিশমিশ, নাটক, ডিম, মাংস ইত্যাদি। মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গুলো খেতে হবে। যাদের মস্তিষ্ক এবং মানসিক অশান্তি রয়েছে তাদের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ালে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে।

ভিটামিন ও মিনারেল ধারণকারী খাবারগুলি যেমনঃ পালং শাক, ব্রোকলি, কালা চাউল, মুখরোচক ফল ইত্যাদি। এই সকল খাদ্যগুলো বেশি পরিমাণে খেতে হবে তাহলে আপনার মানসিক চাপ কম হবে এবং এই খাদ্যের মধ্যে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল আপনার মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখবে।

ওমেগা-৩ চিন্তা নিরাময় করতে সাহায্য করতে পারে, যেমনঃ মাছ, চিয়া বীজ, তিল ইত্যাদি।অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য যারা মস্তিষ্ক ও সুস্থ রাখতে চাই তারা ওমেগা-৩ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

ক্যাফিন ও অ্যালকোহল এর অতিরিক্ত সেবন এড়াতে হতাশাজনক হতে পারে এবং মানসিক চাপ বৃদ্ধি করতে পারে, সেইসাথে স্বাস্থ্যকর নয়।

সময়ের সাথে জীবনযাপন করা যেতে পারে, যেমনঃ চা বা আরামদানির চা ইত্যাদি। সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে এবং জীবন-যাপন নিয়ে পরিবর্তন আনতে হবে।

এই সব খাবার যথাযথ সংমিশ্রণে একটি সফল মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। তবে, এই তথ্য শুধুমাত্র সামগ্রিক নির্দেশনা এবং যেহেতু প্রতিটি ব্যক্তি অন্যভাবে প্রতিক্রিয়া দেয়, তাই কোনও মেডিক্যাল পরামর্শ ছাড়াই যেকোনো পরিবর্তনের আগে বা নতুন খাদ্য যোগ করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে ইতিমধ্যে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায় এবং মানসিক চাপ কমানোর ইসলামিক উপায় সম্পর্কে সকল তথ্য।আমাদের আজকের পর্বটি সম্পূর্ণ পড়ে আপনি নিশ্চয়ই এখন বুঝতে পেরেছেন আপনার মনের অশান্তি এবং মানসিক চাপ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন এর উপায় সম্পর্কে।

আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।আজকের আর্টিকেল আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত বলে মনে হলে আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করুন।এছাড়াও আপনি যদি এমন ধরনের নিত্য নতুন আপডেট আর্টিকেল পেতে চান।

তাহলে আমাদের আলোড়ন আইটি ওয়েবসাইটটি আপনার মোবাইল অথবা ডেস্কটপে বুক মার্ক করে রাখুন।কারণ আলোড়ন আইটি প্রতিনিয়ত আপডেট আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকে তাই সবার আগে আর্টিকেল পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।