ওযু ছাড়া মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কি - অজু ছাড়া আজান দেওয়া যাবে কি

অজু ছাড়া আজান দেওয়া যাবে কি এবং ওযু ছাড়া মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কি এ বিষয়ে নিয়ে আজকের আমাদের এই আর্টিকেল।আপনারা অনেকেই অজু ছাড়া আজান দেওয়া যাবে কি এবং ওযু ছাড়া মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কি এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আলোচনা করতে চলেছি অজু ছাড়া আজান দেওয়া যাবে কি এ বিষয় সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।
ওযু-ছাড়া-মসজিদে-প্রবেশ-করা-যাবে-কি
সেই সাথে আজকের আর্টিকেলের মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি নাপাক অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কিনা, নাপাক অবস্থায় নামাজ পড়া যাবে কিনা, হায়েজ অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।কেরাটিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন অজু ছাড়া আজান দেওয়া যাবে কি এবং ওযু ছাড়া মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কি এ বিষয় সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্র: অজু ছাড়া আযান দেওয়া যাবে কি এবং ওযু ছাড়া মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কি।

উপস্থাপনা: অজু ছাড়া আযান দেওয়া যাবে কি এবং ওযু ছাড়া মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কি

ইসলামে রয়েছে পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ।তাই সকল স্থানে আমাদের পবিত্রতা রক্ষা করে অবস্থান করতে হবে।এজন্য আমাদের সকলকে জানতে হবে নাপাক থাকা অবস্থায় আপনি কি কি করতে পারবেন এবং কি কি করতে পারবেন না এবং কিভাবে করবেন এ বিষয় সম্পর্কে জেনে রাখা আমাদের সকলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
তাইতো এমন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমরা অনলাইনে সার্চ করে থাকি ওযু ছাড়া আযান দেওয়া যাবে কি এবং ওযু ছাড়া মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কি এ বিষয় সম্পর্কে জানতে।তাইতো আমরা আপনাদের প্রশ্নের উত্তরটি আজকের আর্টিকেলের মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি কোন পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা যায়, অজু ছাড়া মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কি, নাপাক অবস্থায় আযান দেওয়া যাবে, শরীর নাপাক থাকা অবস্থায় কি হাদিস বা হাদিসের বই পড়া যাবে,
নাপাক অবস্থায় নামাজ পড়া যাবে কিনা,হায়েজ অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ এবং নাপাক অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কিনা এমন সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন তাই আজকের আর্টিকেল ধৈর্য সহকারে সম্পন্ন পড়ুন।

নাপাক অবস্থায় সালাম দেওয়া যাবে

আপনারা কি জানতে চান ওযু ছাড়া মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কি অনেকেরই মনে প্রশ্ন রয়েছে  ওযু ছাড়া মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কি সেই সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব।তাই আপনারা যদি মনে করেন যে নাটক অবস্থায় সালাম দেওয়া যাবে না।
এটি আপনাদের সম্পূর্ণ ভুল ধারণা নাপাক অবস্থায় সালাম দেওয়া যাবে এটার সাথে কোন অন্য সম্পর্ক নেই। ইসলামে সালাম দেওয়ার জন্য পবিত্রতার শর্ত নাই তাইনা ব্যবস্থায় সালাম দিতে বা নিতে কোন বাধা নেই তবে বিজ্ঞ ফকীহগণ সালাম আদান-প্রদানের সময় পবিত্রতাকে মুস্তাহাব বলেছে। (হিন্দিয়া-৫/৩৭৬)

অজু ছাড়া আজান দেওয়া যাবে কি

আপনি যদি অজু ছাড়া আজান দেওয়া যাবে কিনা সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে জেনে নিতে হবে আজকের আমাদের এই আর্টিকেল থেকে ওযু ছাড়া আযান দেওয়া যাবে কি। ওযু ছাড়া আযান দেওয়া যাবে।
তবে ওজু করে নেওয়াই উত্তম কেননা অজু অবস্থায় আজান দেওয়া মুস্তাহাব হবে। অজু ছাড়া আযান দিলো আজান সহিহ বা শুদ্ধ হয়ে যায়। ইবরাহিম নাখায়ি (রহ.) বলেন, মিআজ্জিন যদি অজু ছাড়া আজান দিলে অসুবিধা নেই। (কিতাবুল আছার, বর্ণনা: ৫৮)

নাপাক অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কিনা

আপনি যদি নাপাক অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কিনা না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আমাদের আর্টিকেল থেকে জেনে নিন নাপাক অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কিনা সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। মসজিদ একটি পবিত্র জায়গা এই জায়গাতে প্রবেশ করতে হলে সব সময় পাক পবিত্র হয়ে যাওয়া উচিত। আল্লাহর ঘর বলা হয় মসজিদকে তাই এই জায়গায় সব সময় পবিত্র হয়ে যেতে হবে।

শরীর নাপাক থাকা অবস্থায় কি হাদিস বা হাদিসের বই পড়া যাবে

আপনারা কি জানতে চান শরীল নাপাক থাকা অবস্থায় কি হাদিস বা হাদিসের বই পড়া যাবে কিনা আসলে অনেকের মনে নানা রকমের প্রশ্ন থাকে। যেহেতু নাপাক অবস্থায় ইসলামে অনেক কিছুই মানা করা রয়েছে এই জন্য কোনটি করা যাবে এবং কোনটি করা যাবে না। সে সম্পর্কে অনেকের মনে সন্দেহ থেকে যায়। শরীর নাপাক থাকা অবস্থায় হাদিস বা হাদিসের বই পড়া যাবে না।
শরীর নাপাক থাকা অবস্থায় হাদিস বা হাদিসের বই যদি কেউ পড়তে চায় তাহলে কিন্তু তার কবিরা গুনাহ হবে। এটি আল্লাহর কালাম সেই জন্য আপনি নাপাক থাকা অবস্থায় হাদিস পড়তে পারবেন না।

নাপাক অবস্থায় নামাজ পড়া যাবে কিনা

আপনারা কি জানেন নাপাক অবস্থায় নামাজ পড়া যাবে কিনা সেই সম্পর্কে নাপাক অবস্থায় নামাজ পড়া যাবে না এটা আপনাদের সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ কারণ নামাজ পড়ার প্রথম শর্ত পবিত্রতা অর্জন করা। নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য শরীর কাপড় ও নামাজের স্থান পাক-পবিত্র হওয়া অত্যন্ত জরুরি তবে অনেক সময় নাপাক লেগে যায় যদি আপনি বুঝতে না পারেন। আর যদি না থাকি দিরহাম এর চেয়ে বেশি হয় তাহলে সে নাপাকি ধুয়ে ফেলা আবশ্যক।

হায়েজ অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ

হায়েজ বা মাসিক অবস্থায় নারীরা মসজিদে অবস্থান করতে পারবে তবে সালাত আদায় করতে পারবে না রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রিতু ভর্তি অবস্থায় কেবলমাত্র সালাত ও তাওয়াফ থেকে নিষেধ করেছেন মসজিদে গমন থেকে নয়। যেমন ঋতুবর্তী অবস্থায় আয়েশা (রা:) হাত পালনের জন্য মক্কায় আসলে রাসুল (সা:) তাকে সালাত ও তাওয়াফ ব্যতীত হজে যাবতীয় বিধান পালনের অনুমতি দেন। (বুখারি হা/৭২৩০)

অজু ছাড়া আজান দেওয়া যাবে কি

আপনারা অনেকেই জানতে চান যে অজু ছাড়া আযান দেওয়া যাবে কিনা আসলে ওযু ছাড়া আযান দেওয়া যাবে তবে আপনি যদি অজু করে আযান দেন এতেই আরো বেশি উত্তম। ওযু ছাড়া আজান দেওয়া গেলেও তবে ওযু করে নেওয়াই উত্তম কেননা অজু অবস্থায় আজান দেওয়া মুস্তাহাব।

নাপাক অবস্থায় আযান দেওয়া যাবে?

নাপাক অবস্থায় আযান দেওয়া যাবে কিনা এই নিয়ে অনেকের মন নিয়ে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন রয়েছে উত্তর হচ্ছে যাবে নাপাক অবস্থায় আযান দেওয়া। তবে পবিত্র অবস্থায় আযান দেওয়াই উত্তম। (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৯৯)
অযু ব্যতীত কেউ আজান দিবে না বলে যে হাদিসটি তিরমিজিতে বর্ণিত হয়েছে তা যঈফ। (তিরমিজি হা/২০০)

ওযু ছাড়া মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কি

অনেকেই প্রশ্ন করে যে অজু ছাড়া না মসজিদে প্রবেশ করা যায় কিনা আসলে ওযু ছাড়া মসজিদে প্রবেশ করা যাবে। কিন্তু অজু ছাড়া নামাজ পড়া যাবে না। নাপাক অবস্থায় অথবা পেঁয়াজ রসুনের মত দুর্গন্ধযুক্ত খাবার খেয়ে মসজিদে প্রবেশ করা উচিত নয়। বিড়ি, সিগারেট, গুল, জর্দা তামাক ও মাদকদ্রব্য খেয়ে মসজিদে প্রবেশ করা মাকরুহ।

কোন পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা যায়

আমরা মসজিদে প্রবেশের আগে কিন্তু অনেকের মনেই ধারণা আসে যে কোন পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা উচিত আসলে মসজিদে প্রবেশ করার জন্য সর্বদা ডান পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে হবে এবং বাম পা দিয়ে বের হতে হবে। একটি মসজিদে প্রবেশ করার পরে আপনার হাতাগুটার থেকে বিরত থাকুন কারণ এটিকে সম্মানের গুরুতর অভাবে হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয় অসম্মানের অন্যান্য কম পরিচিতি লক্ষণ গুলো করা সহজ।

শেষ কথা: অজু ছাড়া আজান দেওয়া যাবে কি এবং ওযু ছাড়া মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কি

প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের আর্টিকেল ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন অজু ছাড়া আজান দেওয়া যাবে কি এবং ওযু ছাড়া মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কি এ বিষয় সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।আশা করছি আমাদের আজকের আর্টিকেলে সম্পূর্ণ পর্বটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন।শরীর নাপাক থাকা অবস্থায় কি হাদিস বা হাদিসের বই পড়া যাবে, ওযু ছাড়া মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কি এবং নাপাক অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করা যাবে কিনা এ বিষয় সম্পর্কে।
আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন। এছাড়াও আপনি যদি ইসলামিক আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েব সাইটে ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।

আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত বলে মনে হলে আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করুন।আজকের পর্ব এ পর্যন্তই আবার কথা হবে অন্য কোন টপিক নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url