দুবাই তে কি কি ব্যবসা করা যায় - দুবাই ব্যবসা লাইসেন্স করতে খরচ
দুবাই তে কি কি ব্যবসা করা যায় এবং দুবাই ব্যবসা লাইসেন্স করতে খরচ এ বিষয় নিয়ে
আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করবো।আপনারা অনেকেই দুবাই তে কি কি ব্যবসা করা যায় এ
বিষয় সম্পর্কে জানতে অনলাইনে সার্চ করে তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন।তাহলে আজকের
আর্টিকেল আপনার জন্য।আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে আপনি জানতে পারবেন দুবাই তে কি
কি ব্যবসা করা যায় এবং দুবাই ব্যবসা লাইসেন্স করতে খরচ এ বিষয় সম্পর্কিত
যাবতীয় সকল তথ্য।
একই সাথে আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি দুবাই কি ব্যবসা
করলে লাভ করা যাবে দুই লাখ টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায় এবং তিন লাখ টাকা দিয়ে
কি ব্যবসা করা যায় এ বিষয় সম্পর্কে।তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন দুবাই তে কি কি ব্যবসা করা যায় এবং দুবাই ব্যবসা
লাইসেন্স করতে খরচ সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃদুবাই তে কি কি ব্যবসা করা যায়।দুবাই ব্যবসা লাইসেন্স করতে খরচ
ভূমিকা।দুবাই তে কি কি ব্যবসা করা যায়।দুবাই ব্যবসা লাইসেন্স করতে খরচ
বর্তমান সময়ে দুবাইয়ের বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে মানুষ লাভজনক হচ্ছে।তাই আপনিও
নিশ্চয়ই দুবাই তে ব্যবসা করার জন্য চিন্তাভাবনা করছেন। কিন্তু দুবাই তে কি কি
ব্যবসা করা যায় এ বিষয় সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নেই।তবে আর চিন্তা কিসের।আমাদের
আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় যা আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আমরা আলোচনা করতে
চলেছি দুবাই তে কি কি ব্যবসা করা যায় এবং দুবাই ব্যবসা লাইসেন্স করতে খরচ এ বিষয়
সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ
মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া
এছাড়াও আপনি এক কোটি টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায় ওর দুই লাখ টাকা দিয়ে কি
ব্যবসা করা যায় এবং দুবাই কি ব্যবসা করলে লাভ করা যাবে তা জানতে পারবেন।তাই আপনি
যদি এমন সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তবে আর ঘুরাফেরা না করে জেনে
নিন ডুবাইতে কি কি ব্যবসা করা যায় সে সম্পর্কে।
দুবাই তে কি কি ব্যবসা করা যায়
আপনি কি দুবাইয়ে ব্যবসা করতে চান যারা দুবাইয়ের ব্যবসা করতে আগ্রহী এবং দুবাই তে
কি কি ব্যবসা করা যায় সেই সম্পর্কে ধারণা নিতে চায় তাদের জন্য আজকে আমাদের
আর্টিকেলটি নিয়ে এসেছি বিস্তারিত
তথ্য। আপনি যদি দুবাই তে কি কি ব্যবসা করা যায় সে সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে
আজকের আমাদের আর্টিকেলকে মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ
ব্যবসায় পরিকল্পনার ধাপ কয়টি
দুবাই তে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা সম্পন্ন করা যায়, যেমন বাণিজ্যিক কারখানা,
পুঁজিবাজার, প্রযুক্তিগত সেবা, স্বর্ণ ব্যবসা, হাসপাতাল এবং ঔষধ উৎপাদন, খেলার
জগত, পরিবহন ও পরিবহন পরিষেবা, আবাসিক ও বাণিজ্যিক দাম্পত্য বাসস্থান, পর্যটন ও
হোটেল প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠানিক সেবা, প্রতিষ্ঠানিক কাঠামো ও নির্মাণ, খাবার ও
বাসবোর্ডিং ব্যবসা,
সূপার মার্কেট ও খাবারের চেইন, আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আইটি সেবা এবং
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, আমেরিকান ফ্র্যাঞ্চাইজি সহ বিভিন্ন আর্থিক সেবা।
এছাড়াও, ব্যবসায়িক নির্ভরযোগ্য অঞ্চলে প্রধানত খনিজ শিল্প, পেট্রোলিয়াম
প্রক্রিয়াজাতকরণ, কাঠামো উদ্যোগ, শিপবিল্ডিং, নৌপ্রযুক্তি, ওয়াসত প্রতিষ্ঠান,
প্রতিষ্ঠানিক যন্ত্রপাতি নির্মাণ, প্রক্সিমিটি মার্কেটিং এবং বিভিন্ন প্রক্সিমিটি
সেবা সহ একাধিক আর্থিক ক্ষেত্র রয়েছে।
দুবাই তে বিভিন্ন ব্যবসা করতে পারবেন নিচে কয়েকটি ব্যবসা বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হল:
বাণিজ্যিক কারখানা: উদাহরণস্বরূপ, খনিজ প্রস্তুতিকরণ, খনিজ খনিজ, প্রস্তুত
পণ্য উৎপাদন। এই সকল কাজ আপনি করতে পারেন। কারখানা তৈরি করলে আপনার সফলতা আসবে
যদি সঠিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সাথে কারখানা পরিচালনা করতে হবে।
বাণিজ্যিক আবাসিক সংস্থা: উদাহরণস্বরূপ, বিল্ডিং নির্মাণ, বাসস্থান
প্রকল্প। আপনারা দুবাই এই সকল ভবন তৈরি করতে পারেন। বাণিজ্যিক আবাসিক ভবন তৈরি
করে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন এতে ভালো মানের প্রফিট আসবে।
বাসা ভাড়া: উচ্চমানের বাসা তৈরি, বাসা ভাড়া, আবাসিক ফ্লাট তৈরি করে
সেগুলো ভাড়া দিয়ে আপনি ব্যবসা করতে পারেন এতে ভালো মানের একটি লাভ হতে পারে।
আপনারা বাসা ভাড়ার মাধ্যমে ভালো মানের এই টিম টাকা ইনকাম করতে পারবেন যার জন্য
বাসা তৈরি করে ভাড়া দেওয়ার ব্যবসাও করতে পারেন।
পরিবহন ও পরিবহন পরিষেবা: জনপথ, লোজিস্টিক্স এবং পরিবহন, বাংলাদেশ ও
অন্যান্য দেশের পরিবহন। যারা ব্যবসা করতে চান তাহলে দুবাই ভালো মানের পরিবহন কিনে
সেগুলো ভাড়া দিতে পারেন। আবার বড় বড় গাড়ি টুরিস্টরা ভাড়া নিয়ে দুবাই ঘুরতে চাই
তাই আপনারা এই ব্যবসা করে ভালো মানের লাভ করে।
হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসা: খাবার ও পানীয় বিতরণ, রেস্তোরাঁ, হোটেল, ফাস্ট
ফুড চেইন। এই সকল ব্যবসা স্বল্প আয়ে কিন্তু শুরু করা যায়। দুবাই যদি কেউ হোটেল
ব্যবসা করলে অনেক বেশি লাভ করতে পারবেন। কারণ অনেক বেশি মানুষ দুবাই টুরিস্ট
হিসেবে গিয়ে সেখানে থাকার জন্য হোটেল যায় আবার ভালো ভালো রেস্তোরাঁ খাবার খেতে
যায় এই জন্য বেশি চাহিদা দুবাই এ হোটেল এর।
বাণিজ্যিক এবং বিতরণ ব্যবসা: শপিং মল, সুপার মার্কেট, বিপণন ব্যবসা। দুবাই
অনেক সুন্দর দেশ যার ফলে আপনি যদি দুবাই গেলে অনেক শপিং মলে যায় কারণ টুরিস্টরা
গিয়ে অনেক শপিং করে।
আর্থিক সেবা: ব্যাংকিং, বীমা, বিনিয়োগ, ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান, বিতরণ
ব্যবসা, কর্পোরেট সেবা। আপনি যদি আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে এই ব্যবসা করতে
পারবেন। এবার প্রতিষ্ঠান দিয়েও আপনি ভালো পরিমাণে মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
পর্যটন: হোটেল, আকর্ষণীয় স্থান, পর্যটক পরিষেবা। আপনি যদি দুবাই ব্যবসা
করতে চান তাহলে আপনি কিন্তু পর্যটন এলাকা নানা রকম ব্যসা করতে পারেন। আবার দুবাই
গাইড হিসেবে ব্যবসা করতে পারেন। যারা পর্যটক আসে তাদের নিয়ে দুবাই সকল দর্শনীয়
স্থান ঘুরতে পারেন এতে আপনি ভালো ব্যবসা করতে পারেন।
তথ্য ও প্রযুক্তি: সফটওয়্যার উৎপাদন, প্রযুক্তিগত সেবা, কম্পিউটার
হার্ডওয়্যার সেলিং এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যের পরিবহন। তথ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে কাজ
করতে পারেন এই ব্যবসা লাভজনক হয়।
হাসপাতাল এবং ঔষধ উৎপাদন: হাসপাতাল ও চিকিৎসা সংস্থা, ঔষধ ও চিকিৎসা পণ্য উৎপাদন।
এই সকল ব্যবসা করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার জন্য ভালো হবে।
আশা করি আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে এই ব্যবসা গুলো আপনারা করতে পারেন।এই
ব্যবসা সেক্টরগুলির মধ্যে অনেক আরও উপ-বিভাগ রয়েছে যা ব্যবসায়িক পুঁজি, সেবা,
উৎপাদন ইত্যাদি সহায়ক বিভাগে বিভক্ত করে।
দুবাই ব্যবসা লাইসেন্স করতে খরচ
আপনারা যদি দুবাইয়ের ব্যবসার লাইসেন্স করতে চান তাহলে কিন্তু দুবাইয়ের ব্যবসা
লাইসেন্স করতে খরচ কত টাকা হবে সে সম্পর্কে জানতে হবে দুবাইয়ের যদি কেউ গিয়ে
ব্যবসা করতে চায়।তাহলে কিন্তু তার একটি বৈধ লাইসেন্স লাগবে ব্যবসার জন্য
ব্যবসায়ীর লাইসেন্স পাওয়া যায়।আলাদা সেই লাইসেন্স করতে কত টাকা খরচ হয় আজকে
আপনাদের সাথে সেটি আলোচনা করে জানাবো।
- দুবাই ফ্রি জোন কোম্পানি সেটআপের খরচ AED 9,000 থেকে AED 10,000 পর্যন্ত।
- ফ্রি জোন সেট আপের সময় অন্যান্য ফি অন্তর্ভুক্ত:লাইসেন্স ফি: প্রতি বছর AED 10,000 থেকে AED 50,000
- অফিস ফি: AED 15,000 থেকে AED 20,000
- শেয়ার মূলধন: AED 1,000 থেকে AED 1,000,000 পর্যন্ত
দুবাই কি ব্যবসা করলে লাভ করা যাবে
দুবাই কি ব্যবসা করলে লাভ করা যাবে সে সম্পর্কে আপনারা কি জানেন দুবাইয়ের
বিভিন্ন রকমের ব্যবসা করা যায় যেগুলো করলে আপনি অনেক বেশি মুনাফা অর্জন করতে
পারবেন কিন্তু আপনি যদি ভেবেচিন্তে একটু গভীরভাবে ব্যবসার ক্ষেত্রে নামেন তাহলে
আপনার লাভটা আরো ভালো হবে এবং ক্ষতিটা কম হবে যার জন্য দুবাই কি ব্যবসা করলে লাভ
করা যাবে সেই সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
অনলাইনে লুডু গেম খেলে টাকা ইনকাম
দুবাই ব্যবসায়ে বেশ কিছু অপরিসীম লাভযোগী সুযোগ রয়েছে, যেমন নির্মাণ, আবাসন,
হোটেল ও পর্যটন, পেট্রোলিয়াম সেক্টর, এবং আরও অনেক কিছু। তবে, সফল হওয়ার জন্য
ভালো পরিকল্পনা, মার্কেট রিসার্চ, পূর্ণ অনুমোদন ও ক্ষমতার মাধ্যমে প্রয়োজন।
বিনিয়োগের জন্য সঠিক পার্টনারশিপ এবং প্রয়োজনীয় অনুমোদন প্রাপ্ত করা
গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি স্থায়ী বা অবসান বসতি করতে ইচ্ছুক কোন বিশেষ ব্যবসার উপর আপনার অনুসন্ধান
কেন্দ্রিকরণ করতে পারেন। তবে, সম্পূর্ণ পরিচিতি এবং ঠিকানা বোঝার জন্য প্রশাসনিক
নিরাপত্তা এবং আর্থিক সুস্থতা অবলম্বন করা জরুরি।
দুবাই তে লাভজনক ব্যবসা করার সম্ভাবনাগুলি অনেক রয়েছে, যেমন:
বিক্রয় মালিকানার স্থান: দুবাই বাজারে নিবেশ এবং বিক্রয় মালিকানা খুব
জরুরী এবং লাভজনক হতে পারে, যেমন আবাসন, ব্যবসায়িক এবং বিনামূল্যে সম্পদ
নির্মাণ।
পর্যটন ও আবাসন: দুবাই একটি প্রমিনেন্ট পর্যটন হবে যেখানে আবাসন সুযোগ
আরোপে আছে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ট্রেভেল এজেন্সি ইত্যাদি পর্যটন সেবা সরবরাহে
লাভজনক হতে পারে।
বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক কেন্দ্র: দুবাই একটি ব্যবসায়িক হাব যেখানে
বাণিজ্যিক কার্যাবলী সুবিধাজনক এবং লাভজনক হতে পারে। বৃদ্ধির কারণে
প্রতিষ্ঠানগুলি দুবাই অবস্থিত করতে চান।
পেট্রোলিয়াম ও শীতলবস্তু খনন ও প্রস্তুতি: দুবাই একটি গুরুত্বপূর্ণ পেট্রোলিয়াম
উৎপাদন রাষ্ট্র এবং শীতলবস্তু উত্পাদন এবং প্রস্তুতি কেন্দ্র, যা লাভজনক ব্যবসার
সৃষ্টি করতে পারে।
প্রযুক্তিগত ব্যবসা: তথ্য ও প্রযুক্তি, নতুন প্রযুক্তিগত সেবা ও প্রোডাক্ট
বিক্রয় লাভজনক ব্যবসা হতে পারে, যেমন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ই-কমার্স এবং
ডিজিটাল মার্কেটিং।
তবে, ব্যবসা শুরু করার আগে স্থানীয় আইন ও ব্যবসায়িক পরিবেশের সাথে পরিচিতি
অবশ্যই করুন এবং উচিত পরিকল্পনা ও অনুসন্ধান সম্পন্ন করুন।
২ লাখ টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়
২ লাখ টাকা দিয়ে আপনি অনেক ধরনের ছোট ও মাঝারি মাত্রার ব্যবসা শুরু করতে পারেন,
যেমনঃ ছোট দোকান, ই-কমার্স ব্যবসা, ফুড ট্রাক বা ভ্যান, ক্যাটারিং সেবা, বাংলা
পুস্তক প্রকাশনা, প্রতিষ্ঠানিক সেবা সরবরাহ, গাড়ি ভাড়া সেবা, ইভেন্ট পরিচালনা বা
ডিজিটাল মার্কেটিং পরিষেবা। তবে, একটি ব্যবসায় শুরু করার আগে ব্যবসায়িক
পরিকল্পনা ও ব্যাপারিক সম্ভাবনা বিবেচনা করা উচিত।
যে কোন ব্যবসা শুরু করার আগে স্থানীয় বাজারের চাহিদা ও প্রতিষ্ঠানের
প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয় অনুশীলন করা উচিত।
২ লাখ টাকা দিয়ে আপনি নিম্নলিখিত বিষয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন:
ছোট দোকান বা পণ্য বিক্রয়: উদাহরণস্বরূপ কাপড় দোকান, বিভিন্ন রকমের
দোকান দিয়ে পণ্য বিক্রিয় করে ব্যবসা করতে পারেন। আপনি যদি ছোট দোকান বা পণ্য
বিক্রি করার কাজ করেন তাহলে আপনার দোকান ভালো পরিমানে চলাচল করবে এবং লাভ হবে।
ই-কমার্স ব্যবসা: অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করা যেমন ই-কমার্স সাইট পরিচালনা
বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা। ই-কমার্সে এখন বহু মানুষ ইনকাম করছে যার ফলে
ইকামার্সের ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক হয়ে পড়েছে।
ক্যাটারিং বা ফুড সার্ভিস: খাবারের বিতরণ, তিনের ডিলিভারি সার্ভিস, বাফে
ইত্যাদি। ক্যাটারিং বা ফুড সার্ভিসের এই ব্যবসাটি অত্যন্ত লাভজনক যা আপনি করলেও
স্বল্প দিনে লাভের মুখ দেখতে পাবেন।
গাড়ি ভাড়া: গাড়ি ভাড়া ব্যবসা শুরু করা। আপনি যদি একটি গাড়ি ক্রয় করে
সেটি ভাড়া দিতে চান তাহলেও আপনার ব্যবসা ভালো হবে এবং গাড়ির টাকাও আপনার টাকা
থাকবে এবং ভালো পরিমাণে আপনি প্রফিট করতে পারবেন ভাড়া থেকে যা স্বল্প পুঁজির
মাধ্যমে হবে।
প্রতিষ্ঠানিক সেবা সরবরাহ: সার্ভিস প্রোভাইড করা, যেমন অফিস সার্ভিস
পরিস্কার করা ইত্যাদি। প্রতিষ্ঠান সেবা সমূহ সরবরাহ করা একটি ভালো পরিমাণের কাজ
যা করে আপনার ব্যবসা আরো ভালো হতে পারে তার জন্য একটি সঠিক পরিকল্পনা দরকার।
ইভেন্ট পরিচালনা: সেমিনার, কনফারেন্স, উদ্যোগের পরিচালনা ইত্যাদি। এখন
ইভেন্ট ম্যানেজারের প্রচুর পরিমাণে চাহিদা হয়েছে তাই আপনি যদি ইভেন্ট পরিচালনার
কাজ করেন তাহলে আপনার ভাল রকমের প্রফিট হতে পারে।
ডিজিটাল মার্কেটিং পরিষেবা: ওয়েবসাইট ডিজাইন করা, সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং, সিএসই সেবা ইত্যাদি।
সঠিক ব্যবসা প্ল্যানিং, বাজার অনুসন্ধান এবং প্রতিষ্ঠানের বিতর্কের পরিষ্কার
ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেকোনো একটি ব্যবসা চয়ন করার আগে এই বিষয়গুলি
মনোনিবেশ করতে পারেন।
তিন লক্ষ টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়
আপনি যদি তিন লক্ষ টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায় সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে
আজকের আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনাদেরকে জানাবো ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে কি কি ব্যবসা করা
যাবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত কারণ তিন লক্ষ টাকা পুঁজি করে আপনি যদি একটি ভাল
মানের ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন তাহলে সেটা থেকে আপনি অনেক বেশি মুনাফা অর্জন
করতে পারবেন। চলুন জেনে একই তিন লক্ষ টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায় সে সম্পর্কে
কয়েকটি উদাহরণ।
আরো পড়ুনঃ
৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
তিন লক্ষ টাকা দিয়ে কিছু ব্যবসার উদাহরণ হতে পারে: কৃষি পণ্য ব্যবসা, ছোট
দোকান খোলা, প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রোডাক্ট বিক্রয় বা সেবা প্রদান, প্রোডাক্ট
বা সেবা বিক্রয়ের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম খোলা ইত্যাদি। তবে, ব্যবসার ধরণ এবং
কর্মক্ষেত্র পরিবর্তে তিন লক্ষ টাকার পরিমাণ সাধারণভাবে যথেষ্ট না হতে পারে কিছু
ক্ষেত্রে।
ব্যবসা পরিচালনার সহায়তা পেতে আপনি স্থানীয় ব্যাংক বা ব্যবসায়িক গঠনের
প্রস্তুতি করার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।তিন লক্ষ টাকা প্রায়ই একটি ছোট পরিমাণ
ধরা যায়, তবে এই পরিমাণের মাধ্যমে বিভিন্ন ছোট ব্যবসায়িক প্রকল্প শুরু করা
সম্ভব।
কিছু ব্যবসার উদাহরণ:
দোকান বা রিটেইল ব্যবসা: পাঠাগার, পানি বা খাবারের দোকান, কমিউনিটি বাজার
ইত্যাদি। আপনি যদি কম টাকা বা স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনি দোকান
বা খাবারের দোকান বিভিন্ন রকমের ছোট খাতা দোকান দিতে পারেন।
খুচরা ও ফল বিক্রয়: মাছ, মাংস, ডিম, ফল, সবজি ইত্যাদি বিক্রয়ের লক্ষ্যে
একটি ছোট দোকান বা হাট খুলা। আপনি যদি খুচরা ফল ও বিভিন্ন রকমের মাছ-মাংস থেকে
শুরু করে খুচরা পণ্য ব্যবসা করতে চান তাহলেও আপনি কম খুঁজিতে ব্যবসা করতে পারবেন।
সেবা ব্যবসা: ক্লিনিক, পার্লার, গ্যারেজ, বাসায়িক সামগ্রী পরিস্কারক
ইত্যাদি। আপনি যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে সেভাবে ব্যবসা করতে পারেন বিভিন্ন রকমের
ক্লিনিক পার্লারের কাজ করে আপনি বহু টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রাঞ্চাইজ ব্যবসা: বিশ্বস্ত কোন ব্র্যান্ডের ফ্রাঞ্চাইজ নেওয়া, যেমন:
ফাস্ট ফুড চেইন, আইসক্রিম স্টোর, ফার্মেসি ইত্যাদি। আপনারা যদি চান বিভিন্ন রকমের
ফ্রাঙ্কাইজের ব্যবসা করতে চান তাহলে কিন্তু আপনাদের ব্যবসা অনেক ভালো মানের লাভ
হতে পারে।
ডিজিটাল ব্যবসা: অনলাইন বিপণনের জন্য ই-কমার্স সাইট পরিচালনা,
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ব্লগিং, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। ডিজিটাল
মার্কেটিং এর ব্যবস্থা করতে পারেন যেখান থেকে আপনি স্বল্প দিনে বহু টাকা ইনকাম
করতে পারেন।
আপনি ব্যবসার ধরণ এবং আপনার আগ্রহের উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত ব্যবসা সিলেক্ট করতে
পারেন। এছাড়াও, সম্পূর্ণ ব্যবসা পরিচালনার জন্য আপনার পরিবেশের বাজার পর্যবেক্ষণ
করা উচিত এবং নিয়মিত কার্যক্রমে ব্যবসায়িক পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত।
১ কোটি টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়
আপনাদের যদি এক কোটি টাকা থাকে তাহলে আপনারা কি করবেন অবশ্যই অনেকে চাইবেন। ১
কোটি টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায় এবং ১ কোটি টাকাকে আরো বেশি কোটি দিয়ে টাকা
এই রূপান্তরিত করতে। ১ কোটি টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায় সে সম্পর্কে যদি আপনি
জানতে চান।
আরো পড়ুনঃ
মাল্টা কোন কাজের চাহিদা বেশি
তাহলে আজকের আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন।যে সকল ব্যবসা গুলো
করলে আপনার বেশি মুনাফা অর্জন হবে।১ কোটি টাকাকে বহু কোটি টাকা রূপান্তর করবেন সে
সকল ব্যবসার কয়েকটি উদাহরণ নিচে দেওয়া হল।
১ কোটি টাকা নিয়ে ব্যবসা করার জন্য উপায় আছে যেমন:
ম্যানুফ্যাকচারিং বা উদ্যোগের ব্যবসা: উপাদান ক্রয় করে পণ্য তৈরি করা এবং
তা বিক্রয় করা। এটি যেমন ফ্যাশন পণ্য, খাদ্য ও পানীয় পণ্য, ইলেকট্রনিক্স, গাড়ি
তৈরি ইত্যাদি হতে পারে। বিভিন্ন রকমের পণ্য তৈরি করার জন্য উদ্যোগের ব্যবসা করতে
পারেন যার দ্বারা আপনার অনেক ভালো রকমের মুনাফা অর্জন করতে পারেন।
বিনিয়োগ: শেয়ার বাজারে, মুটুয়াল ফান্ডে, প্রপার্টি বা রিয়েল এস্টেটে
বিনিয়োগ করা। বিভিন্ন রকমের বিনিয়োগে আপনি টাকা লাগাতে পারেন যার দ্বারা আপনি
আপনার আরো বেশি মুনাফা করতে পারেন যেই টাকাটি আসল রয়েছে তা দিয়ে আরো অনেক বেশি
মুনাফা লাভ করতে পারবেন যদি সঠিক কাজে বিনিয়োগ করেন তাহলে।
বিকল্প শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা আইটি সংস্থা উপস্থাপন: প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করা এবং
তা ব্যবহার করে আইটি প্রশিক্ষণ সেবা বা বিশেষ প্রতিষ্ঠানের উপস্থাপন। আপনি যদি
বিকল্প শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাটি সংস্থা তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন রকমের সেবা দিয়ে
থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার এই প্রতিষ্ঠানটি অনেক ভালোভাবে চলবে।
বিনামূল্যে ও প্রিমিয়াম সেবা প্রদান: স্বাস্থ্য সেবা, অনলাইন সেবা,
সার্ভিস সেক্টরে নিজস্ব কোম্পানি প্রতিষ্ঠান করা। বিভিন্ন রকমের বিনামূল্য ও
প্রেমিয়াম সেবা প্রদান করে আপনি ভালো একটি লাভ করতে পারেন এই ব্যবসাটি করতে
পারেন।
ব্যবসা ফ্র্যাঞ্চাইজি করা: প্রসিদ্ধ কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়া যেমন
ফাস্ট ফুড চেইন, কম্পিউটার সফটওয়্যার কোম্পানি, পার্সনাল কেয়ার সেবা ইত্যাদি।
ব্যবসায়ী প্রাণ চায় নিতে পারেন যার দ্বারা আপনার ব্যবসা আরো বেশি উন্নত করবে।
এই সমস্ত ব্যবসা সম্পর্কে প্রথমে ভালো অনুসন্ধান এবং পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।
সাফল্যের জন্য ব্যবসা পরিচালনার মৌলিক শর্ত হলো ভালো পরিকল্পনা, পরিচালনা ও
মার্কেটিং কৌশল।
লেখকের মন্তব্যঃ দুবাই তে কি কি ব্যবসা করা যায় দুবাই ব্যবসা লাইসেন্স করতে খরচ
প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় থেকে আপনাদের সামনে তুলে
ধরার চেষ্টা করেছি দুবাই তে কি কি ব্যবসা করা যায় এবং দুবাই ব্যবসা লাইসেন্স করতে
খরচ।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি দুবাই কি ব্যবসা করলে লাভ করা যাবে এ
বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন
লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।
আরো পড়ুনঃ
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে
আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে
আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য
ধন্যবাদ।এছাড়াও আপনি যদি দুবাই ও প্রবাসী সম্পর্কিত অন্য কোন তথ্য জানতে চান
তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।সবার আগে আর্টিকেল পেতে
চোখ রাখুন আলোড়ন আইটি ওয়েবসাইট জুড়ে।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url