লোহিত সাগরের পানি লাল কেন - লোহিত সাগর কোন মহাদেশে অবস্থিত

প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই লোহিত সাগরের পানি লাল কেন এবং লোহিত সাগর কোন মহাদেশে অবস্থিত এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে অনলাইনে সার্চ করে তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন?তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।কেননা আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আমরা আলোচনা করতে চলেছি লোহিত সাগরের পানি লাল কেন এবং লোহিত সাগর কোন মহাদেশে অবস্থিত এ বিষয় সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।
লোহিত-সাগরের-পানি-লাল-কেন
সেই সাথে আজকের আর্টিকেলে আমরা লোহিত সাগরে কি মানুষ ডুবে লোহিত সাগর কোন দুটি দেশকে আলাদা করেছে এমন বিষয় সম্পর্কে জানবো।তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন লোহিত সাগরের পানি লাল কেন এবং লোহিত সাগর কোন মহাদেশে অবস্থিত সে সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃলোহিত সাগরের পানি লাল কেন লোহিত সাগর কোন মহাদেশে অবস্থিত

উপস্থাপনাঃলোহিত সাগরের পানি লাল কেন।লোহিত সাগর কোন মহাদেশে অবস্থিত

লোহিত সাগরের নাম কোথায় এসেছে আপনি কি তা জানেন?আমাদের মধ্যে অনেকেই জানে না লোহিত সাগরের পানি লাল কেন এবং লোহিত সাগর কোন মহাদেশে অবস্থিত সে সম্পর্কে।তাই আসতে আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি লোহিত সাগর সম্পর্কিত সকল তথ্য।
লোহিত সাগরের নাম কমবেশি অনেকে শুনে থাকি কিন্তু লোহিত সাগরের পানি লাল কেন এমন বিষয় সম্পর্কে আমাদের সকলেরই অজানা।তাই সকল অজানা প্রশ্নের উত্তরটি পেটে আসতে আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

লোহিত সাগরের পানি লাল কেন

লোহিত সাগরের পানি লাল কেন এই প্রশ্নটা তো দেখি সবারই মনে কম বেশি রয়েছে লোহিত সাগরের ক্ষুদ্র উদ্ভিদ থাকায় পানি লাল বর্ণের সাময়িক দেখায় কিছু স্থানে দেখাই মাত্র লোহিত সাগরের পানিতে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে এগুলো বাতাস থেকে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে ট্রিকোডেসামিয়াম রিথ্রিয়ান নামে এক ধরনের অজৈব যৌগ গঠন করে।
এর রং লাল হয় এই সাগরের পানি লাল দেখায় সাময়িক দেখায় কিছু কিছু স্থানে দেখাই মাত্র তবে সর্বদা নয়। তাই এ সাগরের নাম লোহিত সাগর দেওয়া হয়েছে। ভারত মহাসাগরের একটি অংশ যা আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশকে পৃথক করেছে সাগর দক্ষিণে বাব এল মান্দেব প্রণালী ও এডেন উপসাগরের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরের সাথে যুক্ত। সাগরটি উত্তরাংশ সিনাই উপদ্বীপ, আকাবা উপসাগর এবং সুয়েজ উপসাগর অবস্থিত।

লোহিত সাগরে কি মানুষ ডুবে

রোহিত সাগরে কি মানুষ ডুবে এই সম্পর্কে নানা রকমের ধারণা রয়েছে যে লোহিত সাগরের ফেরাউন মারা গেছে এই সাগরে মানুষ ডুবে না। পৃথিবীতে এমন এক সাগর আছে যেখানে সাঁতার না জানলেও সাঁতার কাটা যায় কেউ চাইলে ঢুকতে পারে না। ইচ্ছে করলে পানিতে ভেসে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকা যায়।

বাতাস ভর্তি রাবারের টিউব যেমন কখনো পানিতে ডোবে না তেমনি মানুষও এই সাগরে ডুবে না তুমি চাইলে এখানে ভেসে ভেসে বই পড়তে পারবে ডুবে যাওয়ার কোন ভয় নাই এটি হলো সাগরের নাম মৃত সাগর বা লোহিত উপসাগর। কিন্তু পৃথিবীতে এমন একটি রদ রয়েছে যার নাম ডেড সি বা মৃত সাগর।

তবে সাগর বলা হলেও এটি মূলত একটি হ্রদ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪২০ মিটার নিচে হওয়ায় প্রিটি পৃথিবীর নিম্নতম জলাভূমি। এখানে তীরের খনিজ পাথর ধুয়ে লবণ এসে এই রথে জমা হয় এভাবে লবণ আরো বাড়ে। এই রাতে ঘিরে ইতিহাসের বিভিন্ন সময় তৈরি হয়েছে বিভিন্ন রকমের গল্প যারা বিভিন্ন বই বলা হয়েছে এই সাগরের গল্প সম্পর্কে।

লোহিত সাগর কোন দুটি দেশকে আলাদা করেছে

লোহিত সাগরের দক্ষিণ দিকে রয়েছে বাব এল মান্দেব প্রণালী ও এডেন উপসাগর। এই প্রণালী ও উপসাগর এর মাধ্যমে লোহিত সাগর ভারত মহাসাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অন্য দিকে সাগরটির উত্তর পাশে রয়েছে সিনায় উপদ্বীপ সিনায় পশ্চিম দিকে সুয়েজ উপসাগর ও পূর্ব দিকে আকাবা উপসাগরের অবস্থান। লোহিত সাগরে জলে লবনতার মাত্রা ৩.৮%।

লোহিত সাগরের চারপাশে অঞ্চল মরুভূমি হয় এই সাগরের জল অতি দ্রব্য বাষ্প হয়ে যায় এর ফলে সাগরের পানি দিন দিন আরো লবণাক্ত হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে অন্যান্য সাগরে তুলনায় প্রায় চার গুণের বেশি। তবুও এর জীববৈচিত্র বেশি সমৃদ্ধ প্রায় এক হাজার দুইশ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে এই সাগরে।
সাগরে পানির গড় মাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যটকদের জন্য লোহিত সাগরের একটি আকর্ষণীয় স্থান হয়েছে প্রতিবছর সাগরকে দেখার জন্য প্রচুর দর্শনার্থী সমাগম ঘটে।লোহিত সাগর ভারত মহাসাগরের একটি বিশেষ অংশ বিশ্বের মোট সমুদ্র পথের বাণিজ্যের প্রায় দশ শতাংশ এই সাগরের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশকে পৃথক করেছে সাগরটি। এই সাগরের পৃষ্ঠদেশের ক্ষেত্রফল প্রায় ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার।

দৈর্ঘ্য প্রায় ২২৫০ কিলোমিটার এবং ৩৫৫ কিলোমিটার প্রস্থ গড় গভীরতা প্রায় ৫০০ মিটার। এর মধ্যভাগে সর্বোচ্চ গভীরতা ৩০৪০ মিটার। লোহিত সাগরের পানির এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যার কারণে এই সাগরের পানি লাল দেখায়।

লোহিত সাগর কোন মহাদেশে অবস্থিত

লোহিত সাগর কোন মহাদেশে অবস্থিত তা হলো লোহিত সাগর আফ্রিকা এশিয়া মহাদেশের সীমানায় অবস্থিত।এই সাগরটি ভারত মহাসাগরের একটি অংশ যা আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশ কে পৃথক করেছে। লোহিত সাগর ইংরেজি Red sea ভারত মহাসাগরের একটি অংশ।সাগরটি দক্ষিণে বাব এল মান্দেব প্রণালী ও এডেন উপসাগরের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরের সাথে যুক্ত সাগতের উত্তর অংশে শিনাই উপদ্বীপ আকাবা উপসাগর এবং সুয়েজ উপসাগর অবস্থিত।
এই সাগরে প্রায় এক হাজার প্রজাতির অমেরুদন্ডী প্রাণী ও 200 রকমের নরম ও শক্ত প্রবালের পাশ। বাষ্পীয় ভবন ও বায়ুপ্রবাহের ফলে উদ্ভূত জল প্রবাহের বিন্যাস জনিত কারণে লোহিত সাগর বিশ্বের সবচেয়ে লবণাক্ত সাগর গুলোর মধ্যে অন্যতম। এই সাগরের লবণতার পরিমাণ ৩.৬%-৩.৮% হয়।

লোহিত সাগরের নাম কোথায় এসেছে

লোহিত সাগরের নাম মূলত এসেছে কিভাবে কারণ লোহিত সাগরের পানি লাল হওয়ার কারণে কিন্তু এই সাগরকে রেড পিয়া হিসেবেও চিহ্নিত করা হয় লোহিত সাগর মূলত ভারত মহাসাগরের একটি অংশ যা লোকতো সাগরের দুই পারে ছয়টি দেশের অবস্থান। সাগরদী পূর্ব পাড়ে রয়েছে সৌদি আরব ও ইয়েমেন এবং পশ্চিম দিকে মিশর, সুদান, ইরিক্রিয়া ও জিবুতি।

লোহওত সাগরের দক্ষিণ দিকে রয়েছে বাব এল মান্দেব প্রণালি ও এডেন উপসাগর। এ প্রণালী ও উপসাগর এর মাধ্যমে লোহিত সাগর ভারত মহাসাগরের সঙ্গে যুক্ত অন্যদিকে উত্তরপাশে রয়েছে সিনাই উপদ্বীপ সিনায় উপদ্বীপের পশ্চিম দিকে সুয়েজ উপসাগর ও পূর্ব দিকে আকাবা উপসাগরের অবস্থান। লোহিত সাগরে পানিতে সায়ানোফাইসিসের শ্রেণীর এক ধরনের শৈবাল আছে।

ট্রাইকোডেসমিয়াম এরিথ্রিয়াম নামে এক ধরনের সায়ানোব্যাকটেরিয়া প্রচুর পরিমাণে জন্মায় এই সাগরে। রঞ্জক সি ফাইকোএরিথ্রিনের আধিক্যের জন্য শৈবাল লাল রঙের হয়। এ শৈবাল প্রচুর পরিমাণে জন্মানোর কারণে এই সাগরে পানি লাল দেখায় তাই সাগরের নাম রেড সি বা লোহিত সাগর।

শেষ কথাঃ লোহিত সাগরের পানি লাল কেন।লোহিত সাগর কোন মহাদেশে অবস্থিত

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেল ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ পড়ে লোহিত সাগরের পানি লাল কেন এবং রয়েছে সাগর কোন মহাদেশে অবস্থিত এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে নিশ্চয়ই তথ্যবহুল এবং উপকারী বলে মনে হয়েছে।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।
এছাড়াও আপনি যদি ইসলামিক তথ্য আরো জানতে ও পড়তে যান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।আজকের আর্টিকেলের মধ্যে লোহিত সাগরের পানি লালকমু এই বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য যা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।সকলকে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।আজকের আর্টিকেলে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url