ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় এবং ফজরের কাজা
নামাজ কয় রাকাত এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।তাহলে আপনি আজকের আর্টিকেলের
ভিতরে জানতে পারবেন ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় এবং ফজরের কাজা নামাজ
কয় রাকাত এ বিষয় সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।
সেই সাথে আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি জানতে পারবেন ফজরের কাজা নামাজের শেষ সময় এবং
ফজরের কাজা নামাজ পড়ার সময় সম্পর্কে।তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় এবং ফজরের কাজা
নামাজ কয় রাকাত এ সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময়।ফজরের কাজা নামাজ কয়
রাকাত
সূচনা।ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময়।ফজরের কাজা নামাজ কয় রাকাত
আপনি যদি গভীর ঘুমে থেকে ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করতে না পারেন তাহলে কি
করবেন বা আপনার নামাজ যদি কাযা হয়ে যায় তাহলে সে কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম কি ও
সময় কখন এ বিষয়ে সম্পর্কে আমরা অনেকেই অব্যাহত রয়েছে।তাই হয়তো এমন বিষয়
সম্পর্কে জানতে আপনারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকের
আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আলোচনা করতে চলেছি ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময়
এবং ফজরের কাজা নামাজ কয় রাকাত এ বিষয় নিয়ে।
আরো পড়ুনঃ
লাইলাতুল কদরের নামাজের সময়
ফজরের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির জন্য জেনে রাখা
অনেক গুরুত্বপূর্ণ।তাই এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ত ও ফজরের কাজা নামাজের শেষ সময় সম্পর্কে সকল সঠিক
তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ে আপনিও জেনে নিতে পারবেন
ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময়।
ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময়
আপনারা কি ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় সম্পর্কে জানেন যারা ফজরের নামাজ
কাজা হয়ে যায় এবং এই নামাজটি কিভাবে পড়তে হয় সেই নিয়ম সম্পর্কে জানেনা।
অনিচ্ছাকৃত, ভুলের কারণে কিন্তু অন্য কোন যে কোন কারনে ওয়াক্তের নামাজ আদায়
করতে না পারলে ওই নামাজ পরবর্তী সময় আদায় করাকে কাজা নামাজ পড়া হয়।
আরো পড়ুনঃ
সদাকাতুল ফিতরের পরিমাণ ২০২৪
ছুটে গেলে তার কাজা আদায় করা অবশ্য কিন্তু সুন্নত কিংবা নফল নামাজ আদায় করা না
গেলে কাজা আদায় করতে হবে না। ফরজ নামাজ ছুটে গেলে তার কাজা করা ফরজ। আবার
ওয়াজিব নামাজ ছুটে গেল তা কাজা করা ওয়াজিব।কাজা নামাজ কিন্তু দুই প্রকারের হয়।
- 'ফাওয়ায়েতে কালীল' অর্থ অল্প কাজে পাঁচ ওয়াক্ত পরিমাণ নামাজের কাজা হলে এটাকে ফাওয়ায়েতে কালীল' বা অল্প কাজা বলে।
- 'ফাওয়ায়েতে কাছির' অর্থ বেশি কাজা। পাঁচ ওয়াক্তের অধিক যত দিনের নামাজে কাজা হোক না কেন এটাকে 'ফাওয়ায়েতে কাছির' বা অধিক কাজা বলা হয়। এ ধরনের কাঁচা নামাজ সকল ওয়াক্তিয়া নামাজের পূর্বে পড়িবে।
কাজা নামাজের নিয়ম: কোন মানুষ যদি দীর্ঘকাল বা কয়েক মাস এবং কয়েক বছর
নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকে তার উচিত একটি অনুমান করে নামাজের কাজা আদায় করা শুরু
করা। এ অবস্থায় নামাজের কাজে আদায়ের নিয়ম হবে এইরকম ওই ব্যক্তি যখন প্রতিদিনের
নির্ধারিত ওয়াক্তের নামাজ আদায় করবে।
তখন সে ওয়াক্তের সঙ্গে মিল রেখে ধারাবাহিকভাবে ওই ওয়াক্তের কাজা আদায় করে নিতে
হবে। এভাবে কাজে আদায়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে এবং অথবা যে ওয়াক্তে কাজে
পড়তে চাই বেশি ওয়াক্তের নাম নেওয়া যেমন অমুক ওয়াক্তের সবচেয়ে প্রথমবার শেষ
নামাজ পড়ছি এভাবে নামাজের কাজা আদায় করলে তা একসময় পরিপূর্ণ আদায় হয়ে যাবে।
কোন কারনে নফল নামাজ নষ্ট হয়ে গেলে অথবা শুরু করার পর কোন কারনে যদি ছেড়ে দিতে
হয় তাহলে তারপর কাজা করা ওয়াজিব।জোহরের ফরজ নামাজের পর যে দুই রাকাত সুন্নত আছে
তা ফরজ নামাজ আদায়ের পর চার রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদার আগেও পড়া যায় এবং পরেও
পড়া যায়। তবে জোহরের ওয়াক্ত চলে গেলে জোহরের আগে এবং পরে চার ও দুই রাকাত
সুন্নত এর কাজা ওয়াজিব হবে না।
আরো পড়ুনঃ
জুমার দিনের ১৫ টি আমল
জুম্মার নামাজের কাজা নেই যদি কেউ জুম্মার নামাজ কোন কারণে আদায় করতে না পারে।
তবে জুম্মার নামাজের পরিবর্তে ওই ওয়াক্তের সম্ভব হলে জোহরের চার রাকাত নামাজ
পড়ে নিবে। আর ওয়াক্ত চলে গেলেও চার রাকাত জোহরের নামাজ আদায় করতে হবে।কাজা
নামাজ জামাতে সহিত আদায় করলে ইমামকে কিটআত জোরে পড়বেন তবে জোহর এবং আসরের আস্তে
পড়বেন।
জীবনের যেই নামাজ পড়ে নাই বা কত রাকাত নামাজও পড়ে নাই তার হিসাবও নাই সে যদি
এখন কাজা করতে চায় তাহলে প্রথমে নামাজে পূর্বে তরতীব অনুযায়ী কাজা আদায় করতে
থাকবে এটাকে ওমরী কাজা বলা হয়। এটাকে অনেক সওয়াব রয়েছে কাজা নামাজের নিয়ত
করিবার সময় নামাজের উল্লেখ করে নিয়ে নিয়ত করতে হবে।
ফজরের কাজা নামাজ পড়ার সময়
আপনারা যদি ফজরের নামাজ কাজা হয়ে যায় এবং সেটা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন যে
ফজরের নামাজ কাজা কখন পড়বেন তাহলে আজকে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নিন ফজরের
কাজা নামাজ পড়ার সময় সম্পর্কে। যখন কোন ব্যক্তি কারণ বসুধা ভুলের কারণে ফজরের
নামাজ পড়তে ভুলে যায় বা কাজা হয়ে যায় তার নামাজটি তখন কিন্তু সেই নামাজটি
পড়ার সময় সম্পর্কে অনেকেই জানেনা।
যে সময় গুলো নিষিদ্ধ রয়েছে সেই সময়ের পরিবর্তে যে কোন সময় কিন্তু ফজরের কাজা
নামাজ পড়তে পারবেন আপনি। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক ফজরের কাজা নামাজ পড়ার
সময় সম্পর্কে সকল তথ্য।সুবহে সাদিকের পর থেকে সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত ফজরের
নামাজ আদায় করার সময়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ফজরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায় ওই
সময়ের মধ্যে নামাজ পড়তে না পারলে নামাজ কাজা আদায় করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম
কাজা নামাজের সময় : আপনি যদি পূর্ববর্তী ওয়াক্তের নামাজ কাজা আদায়ের
জন্য কোন সুনির্দিষ্ট সময় নেই নামাজের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর যখনই নামাজের কথা
স্মরণ আসবে তখন নামাজ পড়ে নিও উত্তম যেমন ধরুন যদি কেউ ঘুমের কারনে ফরজের নামাজ
আদায় না করতে পারেন না তাহলে আপনার ঘুম থেকে যখন উঠবেন তখনি কাজা নামাজ আদায়
করে নিবেন।
তবে নিষিদ্ধ সময় গুলোতে মনে করলে অপেক্ষা করতে হবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বা তার কম
নামাজ না পড়িয়া থাকলে তাহার তরতীবের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে আগে নামাজের আগে
পরের নামাজ পড়ে পড়তে হবে তেমন কোন ব্যক্তি ফজর এবং জোহরের নামাজ তরক হইয়া
গিয়াছে , এখন আসরের নামাজ পড়ার পূর্বে সর্বপ্রথম ফজরের কাজা তারপর জোহরের কাজা
নামাজ আদায় করতে হবে এবং তারপরে আসরের নামাজ আদায় করতে হবে।
ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ত
আপনারা যদি ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আমাদের
আর্টিকেলটি থেকে জেনে নিন ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ত সম্পর্কে অনেকেই ফজরের
কাজা নামাজ পড়ার নিয়ত জানেন না যারা ভোরের বেলা উঠতে পারেন এবং ফজরের নামাজ
আদায় করতে পারেন না তাদের জন্য কিন্তু জেনে রাখা জরুরী। চলুন জেনে নেওয়া যাক
ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ত সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ
যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪
ফজরের সুন্নতের গুরুত্ব এত বেশি হওয়ার কারণে কাজা করার সময় শুন্য সহ পড়তে
বলেছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অর্থাৎ সূর্য উদিত হওয়ার পর দুই
রাকাত করে মোট চার রাকাত সুন্নত ও ফরজ নামাজ আদায় করতে বলেছেন নবীজি। তাই চেষ্টা
করতে হবে ফজরের নামাজ যেন কাজা না হয়।
উচ্চারণ: নাওয়াইতুয়ান আকদিয়া লিল্লাহি তায়ালা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল ফজরি
ফায়েতাতি ফারযুল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি
আল্লাহু আকবর।
অর্থ: আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ফজরের ফরজ দুই রাকাত কাযা নামাজ
আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।
ফজরের কাজা নামাজ কয় রাকাত
আপনারা কি ফজরের কাজা নামাজ কয় রাকাত সেই সম্পর্কে জানেন যারা ফজরের নামাজ কাজা
করেন এবং অনেকেই ফজরের নামাজ পড়তে পারেন না। তখন তাদের ওপর সেই নামাজটি কিন্তু
কাজা হয়ে যায় সেজন্য কাজা নামাজ আদায় করার জন্য আপনাদের কি জানতে হবে ফজরের
কাজা নামাজ কয় রাকাত হয। নিশ্চয় নামায মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফরজ
(সুরা নিসা:১০৩)
আরো পড়ুনঃ
কতি ভরি স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয়
সুবহে সাদিকের পর থেকে সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত ফজরের নামাজ আদায় করার সময়।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ফজরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায় ওই সময়ের মধ্যে নামাজ
পড়তে না পারলে নামাজ কাজা আদায় করতে হবে। কেউ যদি সূর্য উদয়ের হলুদ রং দূর থেকে
হওয়ার পরও আরো ভালোভাবে ছড়িয়ে না পড়া পর্যন্ত নামাজ পড়া নিষেধ কারণ ওই সময়
দিন আমাদের জন্য হারাম কাজ করতে হলে এই সময়ে পরে পড়তে হবে।
ফজরের ফরজ নামাজ যেহেতু দুই রাকাত ফরজ নামাজ শুধুমাত্র দুই রাকাত কাজা নামাজ
ফজরের আদায় করতে হবে। তাই ফজরের কাজা নামাজ কত রাকাত যারা জানেন না তারা জেনে
নিন ফজরের কাজা নামাজ দুই রাকাত আদায় করতে হয়। কারণ সুন্নত নামাজ আদায় করতে
হয় না কাজা। শুধু মাত্র ফরজ ও ওয়াজিব নামাজ আদায় করতে হয় কাজা।
ফজরের কাজা নামাজের শেষ সময়
আপনার একটি ফজরের কাজা নামাজের শেষ সময় সম্পর্কে জানতে চান যারা ফজরের নামাজ
কাজা হয়ে যায় এবং জানেনা যে ফজরের কাজা নামাজের শেষ সময় কখন তাদের জন্য আজকে
আমরা জানাবো ফজরের কাজা নামাজের শেষ সময়।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের শেষ সময় হয় কিন্তু কোন কাজা নামাজের সময় শেষ হয় না
শুধুমাত্র যে সময়গুলোতে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ সেই সময় ব্যতীত যেকোনো সময়ে কাজা
নামাজ আদায় করতে পারবেন। আপনার যদি মনে হয় যে কাজা নামাজ আদায় করা আপনার যে
কোন সময় সম্ভব তাহলে আপনি যেকোনো সময়েই আদায় করতে পারবেন শুধুমাত্র নিষিদ্ধ
সময় বাদে।
আরো পড়ুনঃ
অসুস্থ অবস্থায় নামাজ পড়ার নিয়ম
ফিকহের কিতাবে রয়েছে, ছুটে যাওয়া ফজরের নামাজ যদি ওই দিন যোহরের ওয়াক্ত শুরু
হওয়ার পূর্বে কাজা করা হয় তাহলে দুই রাকাত দুই রাকাত করে মোট চার রাকাত পড়তে
হবে আর যদি জোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যাওয়ার পর কাজ হয় তাহলে শুধু দুই রাকাত
ফরজ করতে হবে ; সুন্নত পড়ার প্রয়োজন নেই। (সুনানে তিরমিজি : ৪২৩)
আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহ কে নামাজের ব্যাপারে আরো বেশি যত্নশীল করুক এবং
সকলকে তৌফিক ও হেদায়েত দান করুক ফরজ নামাজ আদায় এবং সকল নামাজ আদায় করার জন্য
আমিন।
লেখকের মন্তব্য।ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময়
প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগন আসসালামু আলাইকুম আপনারা নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেল
ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ পড়ে জানতেও বুঝতে পেরেছেন ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও
সময় এবং ফজরের কাজা নামাজ কয় রাকাত এ বিষয়ে সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।আপনারা
নিশ্চয়ই আজকের পোস্টটি পড়ে অনেক উপকৃত হয়েছেন ফজরের কাজা নামাজ আদায় নিয়ম
সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ
রমজানে দান সদকার ফজিলত
আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের
কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।এছাড়াও আপনি যদি নিত্যনতুন আপডেট ইসলামিক পোস্ট করতে
চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং ঘুরে আসুন।আমাদের আজকের আর্টিকেলে
পর্যন্তই আবারো কথা হবে সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url