৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত - তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত

প্রিয় পাঠক আপনি কি ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত এবং তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়তি সম্পর্কে জানতে অনলাইনে সার্চ করে তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন?তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আপনি জানতে পারবেন ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত এবং তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত সম্পর্কিত সকল তথ্য।

সেই সাথে আপনি আজকের আর্টিকেলের ভিতরে জানতে পারবেন তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়ম, তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া কবুল হয় এবং তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল এ সম্পর্কে।তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত এবং তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত সম্পর্কে।

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় হলো যা আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আমরা আলোচনা করতে চলেছি ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত সম্পর্কিত সকল তথ্য।আপনারা অনেকেই ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জানেন না।আর আপনি যদি ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জানেন তাহলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন ফজিলত জেনে। 

সেই সাথে আমরা তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া কবুল হয় তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল এবং তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কিত সকল তথ্য ও আজকের আর্টিকেলের মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।আশা করছি আপনি ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আমাদের প্রিয় নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি ইসলামের প্রাথমিক যুগে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে এই নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেন। প্রিয় নবীর প্রতি কিছু সময় নামাজ পড়ার নির্দেশ ছিল না বরং রাতের কিছু অংশ ছাড়া সারারাত জেগে তাহাজ্জুদ আদায়ের নির্দেশ ছিল। যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যেতে পারবেন।

তাদের মধ্যে এক শ্রেণীর মানুষ হলেন তারা যারা যত্নের সঙ্গে তাহাজ্জুতের নামাজ আদায় করেন কুরআনের বিভিন্ন সূরায় এ নামাজের প্রতি তাগিদ দেওয়া হয়েছে তাই প্রিয় নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ি, তবে - তাবেয়িসহ সব যুগের ওলি তাহাজ্জুদের নামাজের রাত কাটিয়ে দিয়েছেন।

অনেকেই তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে চাই কিন্তু তাহাজ্জুদের নামাজের সময় সম্পর্কে অনেকেই জানেনা এশার নামাজ আদায়ের পর থেকে সুবেহ সাদিকের আগ পর্যন্ত সালাতুল লাইল বা তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যায় তবে অর্ধ রাতের পর থেকে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া ভালো শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা সর্বোত্তম।

প্রিয় নবী রাসুল (সাঃ) দুই দুই রাকাত করে এই নামাজ আদায় করতেন যে কোন সূরা দিয়ে নামাজ পড়া যায়। তবে তিনি লম্বা কেরাত নামাজে আদায় করতেন তাই লম্বা কেরাত তাহাজ্জুদের আদায় করাই উত্তম। তাকবীরে তাহরিমা আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত বাধা তাৎপর ছানা পড়া সুরা ফাতেহা পড়া সূরা মিলানোর তথা কেরাত পড়া।

রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম, অনেক লম্বা কেরাত পড়তেন তারপর অন্যান্য নামাজের ন্যায় রুকু সেজদা আদায় করে। এভাবে দ্বিতীয় রাকাত আদায় করে তাশাহুদ দুরুদ ও দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পূর্ণ করা।এভাবে দুই দুই রাকাত করে ৮ রাকাত তাশাহুদ নামাজ আদায় করা উত্তম। আল্লাহ তা'আলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথ রাতের শেষ প্রহরে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুক আমিন।

৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত

মধ্যরাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ করেছেন তাহাজুতের নামাজ এমন একটি নামাজ এই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছে মধ্যরাতে যখন আল্লাহকে আমরা স্মরণ করি।তখন আল্লাহ তা'আলা আমাদের মনের সকল আশা পূরণ করার জন্য আমাদের সকল দোয়াগুলোকে কবুল করে নেয়।

এই জন্যই বলা হয় তাহাজ্জুদের নামাজে দোয়া কবুল হয় যারা তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে আল্লাহ তাআলার কাছে খাস মনে দোয়া করে তাদের দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন।হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল (সা:) ' ফরজ নামাজের পর সব নফল নামাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হল তাহাজ্জুদের নামাজ তথা রাতের নামাজ। ' (মুসলিম, তিরমিজি)

আল্লাহ তাআলা প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিশেষভাবে রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, 'হে চাদর আবৃত রাতের সালাতে দাঁড়াও কিছু অংশ ছাড়া ।' (সূরা মুজাম্মিল, আয়াত :১-২)

প্রিয় নবী রাসুল সাঃ এর প্রতি ইসলামের প্রাথমিক যুগে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে এই নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এই নামাজ কোনদিন ছাড়তেন না এই নামাজ পড়তেন।

আসসালামু আলাইকুম আপনারা যারা তাহাজ্জুদের নামাজের বাংলা নিয়ত সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আজকে আমরা নিয়ে এসেছি তুই তাহাজ্জুদের নামাজের বাংলা নিয়ত। পবিত্র মাহে রমজানের সকলকে শুভেচ্ছা।সকলের জন্য আজকে আমরা তাহাজ্জুদের নামাজের বাংলা নিয়ত জানাবো পবিত্র এই মাসে সিয়াম সাধনার পাশাপাশি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া উত্তম।কেননা এই মাসের ইবাদত করলে তা কয়েক গুণ বেশি পাওয়া যায় তাই প্রতিদিন তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ুন।

তাহাজ্জুদের নামাজে অতি ফজিলত পূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যারা বিনা হিসেবে জান্নাতে যেতে পারবেন।তাদের মধ্যে এক শ্রেণীর মানুষ হলেন তারা যারা যত্নের সঙ্গে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করেন।এটি একটি নফল ইবাদত তবে নফল ইবাদতের মধ্যে এটি অন্যতম এটি ইবাদত।

তাহাজ্জুদের নফল নামাজকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম শ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি নিয়মিত তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতেন এবং সাহাবীদের এটি পালনে উৎসাহিত করতেন কুরআনে বিভিন্ন সূরাই নামাজের প্রতি তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

তাহাজ্জুদের নামাজের নিয়ত :

আরবি: نَوَيْتُ اَنْ اسَلَى رَكَعَتِى التَّهَجُّدَ

নাওয়াইতু আন উছোয়াল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাকাতাই ছালাতিত তাহাজ্জুদী সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবর।

বাংলা অর্থ: আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কেবলার দিকে মুখ করিয়া তাহাজ্জুদের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত করিলাম।

নফল শব্দের অর্থই হচ্ছে অতিরিক্ত নফল নামাজ পড়লে আপনার আমলনামায় সওয়াব লেখা হবে ফরজ নামাজে যদি কোন ত্রুটি থাকে তখন আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের বলেন দেখো এর কাছে কোন নফল নামাজ আছে কিনা তাই ফরজ নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজ পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।

আর সুন্নত হচ্ছে যে আমল নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম করেছেন তা কোরানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাহাজ্জুদের নামাজ নবী করীম সাল্লাল্লাহু ইসলাম নিজে পড়েছেন এবং পড়তে উৎসাহিত করেছেন তাই এটি সুন্নতে একই সঙ্গে এটি নফল ও বলা যায় কারণ এই নামাজ আদায় করতে না করলেও আপনার গুনাহ হবে না।

এটি আপনার জন্য বাধ্যতামূলক নয় এই জন্য এটি নফল ও সুন্নত দুটি ধরা যায়। গভীর রাতে যখন সকলে ঘুমের মধ্যে থাকে সেই সময় আল্লাহ তাআলার ইবাদত করার জন্য তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে। আল্লাহ তালাকে খুশি করার জন্য এইফল ইবাদতটি করতেন আমাদের নবী( সা:)।

রাসুল (সা:) বলেন, আমাদের প্রভু পারওয়ারদিগার তাবারাকা ওয়া তা'আলা প্রত্যেক রাতে দুনিয়ার আস্মানে যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় নেমে আসেন যখন রাতে এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকে। তাৎপর তিনি বলেন তোমাদেরকে আমাকে ডাকবে! আমি তার ডাকে সাড়া দিব কে আমার কাছে কিছু চাইবে! আমি তাকে ডাকে সাড়া দিব। কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো। (মুসলিম, মিশকাত :১০৯ পৃষ্ঠা)

রাতে তাহাজ্জুতের নামাজ হলো সব রাসূলগণের সুন্নত আল্লাহ তায়ালা মাহবুব বান্দাগণের অভ্যাসআল্লাহ তায়ালার সঙ্গে বান্দার গভীর সম্পর্ক স্থাপন তথা নৈকট্য ও সন্তোষ অর্জনের অন্যতম পন্থা।তাহাজ্জুতের ফজিলত সম্পর্কে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেছেন : রাতের কিছু অংশ তাহাজ্জুদের নামাজ কায়েম করুন।

এটা আপনাদের জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য আশা করা যায় আপনারা প্রতিপালকের আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে। (সূরা বাণী ইসরাইল আয়াত ৭৯)

তিনি আরো বলেন, 'তারা সহ্য ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশঙ্কার সাথে তাদের প্রতিপালকে ডাকে এবং আমি তাদের যে রুজি দিয়েছি তা থেকে তারা দান করে ।(সুরা সেজদাহ, আয়াত ১৬ )

পবিত্র কোরআনের সূরা মুযাম্মিলের ৬ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, 'নিশ্চয়ই রাতে ঘুম থেকে ওঠা মনকে দমিত করার জন্য খুব বেশি কার্যকর এবং সেই সময় কোরআন পাঠ বা জিকির করা খুবই যথাযথ। '

তারা রাতের সামান্য অংশ নিদ্রায় অতিবাহিত করে এবং রাতে শেষ প্রহরে ক্ষমা প্রার্থনা করে। (সূরা আয-যারিয়াত,আয়াত:১৭-১৮)

কোরআনে বলা হয়েছে, তারা ছিল কঠিন পরীক্ষায় পরম ধৈর্যশীল অটল অবিচল সত্যের অনুসারী পরম অনুগত। আল্লাহর পথে ধন-সম্পদ উৎসর্গকারী এবং রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৭)

প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে জানতেও বুঝতে পেরেছেন ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত এবং তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত সম্পর্কিত সকল তথ্য আশা করছি আজকের পরে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত মনে হয়েছে।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।

এছাড়াও আপনি যদি ইসলামিক আরও তথ্য ও পোস্ট করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েব সাইটে ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।আজকের আর্টিকেল সম্পর্কিত কোন মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিতে ভুলবেন না।এতক্ষণ সময় ধরে আজকের আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।এছাড়া অন্য কোন বিষয় সম্পর্কিত তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটির সঙ্গেই থাকুন।