ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

প্রিয় পাঠক আপনি কি ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে এবং স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন বা জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য কেননা আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আমরা আলোচনা করতে চলেছি ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে এবং স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।

সেই সাথে স্মার্ট কার্ড সংশোধন ফ্রি, স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন, ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন সহ বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে ।

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় যা আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আলোচনা করতে চলেছি ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে এবং স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কিত সকল তথ্য।ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন নিয়ে আমরা নানান রকম সমস্যা সম্মুখীন হয় কার বা নামে সমস্যা কারো বা জন্ম তারিখ ঠিকানা সকল নানারকম সমস্যা।

তাই আমরা আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আপনাদের একটি সঠিক সমাধান দেওয়ার জন্য আলোচনা করতে চলেছে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে এবং অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য।আশা করছি আর্টিকেলটি পরে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। তাই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ পড়ুন।

স্মার্ট কার্ড সংশোধন ফি সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না যারা স্মার্ট কার্ড সংশোধন ফ্রি সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি যেখান থেকে আপনার খুব সহজে স্মার্ট কার্ড সংশোধনের ফি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

যদি কখনো স্মার্ট কার্ডে ভুল হয় তখন অবশ্যই সংশোধন করার জন্য একটি ফি দিতে হবে স্মার্ট কার্ড সংশোধন করার জন্য যে ফি আপনার জমা দিতে হবে। স্মার্ট কার্ডে সংশোধন প্রক্রিয়াটি সহজ মনে হলো স্মার্ট কার্ডে সংশোধন ফি নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই কারণ কম পরিমাণে টাকা আপনার লাগবে স্মার্ট কার্ডের বয়স সংশোধন করতে।

মূলত স্মার্ট কার্ডে সংশোধনের মোট তিনটি ধাপ বা প্রক্রিয়া রয়েছে প্রতিটি ধাপের খরচ আলাদা আলাদা হয়।

• ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন
• অন্যান্য তথ্য সংশোধন এবং
• ঠিকানা সংশোধন
• সংশোধনের ধরন : ফি(১৫% ভ্যাট সহ)
• ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন (১ম বার): মাত্র ২৩০ টাকা
• অন্যান্য তথ্য সংশোধন এবং (১ম বার) : মাত্র ১১৫ টাকা
• ঠিকানা সংশোধন (১ম বার): মাত্র ১১৫ টাকা

যারা স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান এবং অনেকে সময় জরুরি স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধনের প্রয়োজন পড়ে তখন কিন্তু অনেকে অনলাইন ঘাটাঘাটি করে জানতে চান স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন করার পদ্ধতি।

অনলাইনে স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন:

আপনি যদি স্মার্ট কার্ডের তথ্য সংশোধন করার প্রয়োজন মনে করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে https:/services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে হবে আপনি যদি এই লিংক কপি করে নেন তাহলে এই ওয়েবসাইটের অফিসিয়াল পেজে প্রবেশ করবেন এবং আপনার সামনে একটি হোমপেজ আসবে।

আপনার হোম পেজ থেকে মেনু অপশন থেকে কখনোই ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন অপশন খুঁজে পাবেন না তাই তথ্য সংশোধন তখনই করতে পারবেন যখন আপনার ওয়েবসাইটে একটি নির্দিষ্ট প্রোফাইল ওপেন হবে তাই অ্যাকাউন্ট না থাকলে রেজিস্টার করুন অপশনে ক্লিক করবেন এবং সেখানে গিয়ে প্রত্যেকটি ধাপ অনুসরণ করার মধ্য দিয়ে আপনার এনআইডি কার্ডের জন্য একটি প্রোফাইল ওপেন করবেন।

প্রোফাইল ওপেন হয়ে গেলে আপনি যখন বিস্তারিত প্রোফাইলে যাবেন তখন সেখানে তিন ধরনের তথ্যপ্রদর্শন হবে আপনি আসলে কোন ধরনের তথ্য সংশোধন করতে চাইছেন সেখান থেকে নির্বাচন করে এডিট অপশনে ক্লিক করবেন। প্রথমে যখন এডিট অপশনে ক্লিক করবেন তখন আপনাকে ফিস তথ্য যাচাই করার জন্য জানিয়ে দেওয়া হবে।

এরপর আপনাকে প্রোফাইল ভিজিট করতে হবে আপনার প্রোফাইলে কি কি তথ্য রয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে এবং প্রোফাইলে আলাদা কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে সেগুলো আপনার যদি মনে না থাকে তাহলে প্রোফাইলে ঢুকে আপনি তথ্য গুলো দেখতে পারেন।

তৃতীয় ধাপে আপনি কি সংশোধন করতে চাচ্ছেন সেই সংশোধনের প্রমাণসহ আপনি খালিঘর গুলো পূরণ করতে হবে প্রথমে আপনি পাঁচটি ক্যাটাগরি পাবেন এক নাম্বার ক্যাটাগরিতে আপনি এডিট তথ্য করতে পারবেন। আমরা আপনাকে ধাপে ধাপে সেই তথ্যগুলো দিয়েছি আপনাকে সব কিছু ঠিক থাকলে আপনিও সাবমিট বাটনে ক্লিক করবেন সংশোধনের সময় সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করবেন।

এভাবে আপনাকে দেখানো হবে আপনি কি কি পরিবর্তন করেছেন সেগুলো সঠিক তথ্য আপনার সামনে আসবে কি বলছিল এবং কি সঠিক করে দিয়েছিল আপনি সে তথ্য পরিবর্তন অপশনে দেখতে পারবেন।

ধাপ:৫ বিকাশের মাধ্যমে সংশোধিত ফি পরিশোধ করুন

আপনি একটি তথ্যও পূরণ করবেন এবং পরবর্তী ধাপে আপনি চলে আসবেন পরবর্তী ধাপে আপনাকে বিকাশের মাধ্যমে সরকারি পরিশোধ করতে বলা হবে। আপনি যে সংশোধন করবেন সংশোধনী অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট ফি অ্যামাউন্ট লেখা থাকবে। সেই অ্যামাউন্ট আপনি বিকাশের মাধ্যমে বিকাশ অ্যাপস থেকে ফ্রি পরিশোধ করতে পারবেন। অনেক সময় আপনার পরিবর্তন অনুযায়ী টাকা কম বেশি হতে পারে।

ধাপ: ৬ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন

এখন আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রমাণ দেখাতে হবে আপনি এই সংশোধন সরকারি পরিশোধ করার পর পরবর্তী ধাপে আপনাকে আপনি যে বিষয়গুলো পরিবর্তন করছেন সে বিষয়ে সঠিক প্রমাণ কাগজপত্র স্ক্যান করে জমা দিতে হবে।

আপনার কাগজপত্র দেখে যেন তারা বুঝতে পারে যে আপনি সঠিকভাবে কাগজপত্র দিয়েছেন এবং কিছুদিনের মধ্যে আপনার তথ্যটি সংশোধন করলে আপনি নতুন করে অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন অর্থাৎ অবশ্যই আপনাকে কাগজপত্রগুলো স্ক্যান কপি করে আপলোড করতে হবে।

এরপরে সর্বশেষ ধাপে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে আবেদন আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সকল তথ্যগুলো সংশোধন করেছেন এবং সরকারি ফি বিকাশের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়েছেন সকল তথ্যগুলো আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে আপনার এনআইডি কার্ড সংশোধনের কাজ সম্পূর্ণ হবে।

যারা ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন করতে চান তাদের অবশ্যই ঠিকানা পরিবর্তন করতে যে সকল প্রক্রিয়া রয়েছে সেগুলো সম্পন্ন করতে হবে। আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনি বর্তমান ঠিকানা ও স্থানীয় ঠিকানা পরিবর্তন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

ভোটার আইডি কার্ডের বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করার জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসে ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফর্ম১৩ পূরণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ আবেদনকারীকে সশরিল উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হবে।

• বর্তমানে ঠিকানা পরিবর্তন করতে যে সকল কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হবে :
• আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
• যে এলাকায় স্থানান্তর হবেন উক্ত এলাকার নাগরিকত্ব সনদ
• সে এলাকার বিদ্যুৎ পানির/ বিল ট্যাক্স রশির /জমির খতিয়ান তথা ইউনিলিটি বিলের কপি।
• ফরম-১৩ এর ২য় পৃষ্ঠা সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধির এনআইডি কার্ড নাম্বার সহ নাম স্বাক্ষর ও শীল।
• সংশ্লিষ্ট উপজেলা থানা নির্বাচন অফিসের চাহিদা মত অন্যান্য সকল কাগজপত্র।

ভোটার স্থানান্তর করা হলে পুনরায় ভোটার আইডি কার্ডের প্রদান করা হয় না। আপনি যদি পুনরার ভূতের আইডি কার্ড নিতে চান তাহলে আপনাকে ২৩০ টাকা রকেট বা বিকাশের মাধ্যমে এনআইডি কার্ডের ফি জমা দিয়ে আবেদন করে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।

যারা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান এবং ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে এই সম্পর্কে জানেন না তারা নিচে দেওয়া তথ্য প্রয়োজন হবে। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আপনার নিম্নলিখিত তথ্য ও দলিল প্রদান করতে হতে পারে:

ভোটার আইডি কার্ডের অনুলিপি: আপনার সাথে থাকা ভোটার আইডি কার্ডের অনুলিপি বা কপি প্রয়োজন হতে পারে।

জন্ম সনদ বা জন্ম সনদ সনাক্তকরণ প্রমাণপত্র: আপনার জন্ম তথ্য যাচাই করার জন্য জন্ম সনদের অনুলিপি বা সনাক্তকরণ প্রমাণপত্র প্রয়োজন হতে পারে।

ঠিকানা প্রমাণপত্র: যদি আপনি নতুন ঠিকানা বা ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন, তবে সেই ঠিকানার যাচাই করার জন্য ঠিকানা প্রমাণপত্র প্রয়োজন হতে পারে।

ছবি প্রমাণপত্র: যদি আপনি ছবি আপলোড করার জন্য নতুন ছবি বা ছবি প্রমাণপত্র প্রয়োজন হয়, তবে এটি প্রয়োজন হতে পারে।

এই তথ্য ও দলিল সঙ্গে আপনার স্থানীয় ভোটায় অফিসে যাওয়া প্রয়োজন হতে পারে। আপনার ভোটার আইডি সংশোধন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে, আপনার নিকটবর্তী ভোটায় কার্যালয়ে অথবা ইলেকশন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখুন।

প্রিয় পাঠক আপনি আজকের আর্টিকেল পড়ে বুঝতে পেরেছেন যা আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলের ভিতর আলোচনা করার চেষ্টা করলাম ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে ও স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে সকল তথ্য।আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামত দিন আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।

আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন সবার কাছে।আজকের আর্টিকেলটি এতক্ষণ সময় ধরে আজকের আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।এছাড়াও আপনি যদি প্রবাসী সম্পর্কিত আরো তথ্য জানতে ও পড়তে চান?তাহলে আমাদের ওয়েব সাইটে ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।