অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে
প্রিয় পাঠক আপনি কি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে এবং ভোটার
আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে এ বিষয় সম্পর্কে তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন বা
জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য কেননা আজকের আর্টিকেলের ভিতরে
আমরা আলোচনা করতে চলেছি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে এবং
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।
সেই সাথে ভোটার আইডি কার্ড এর আংশিক নাম পরিবর্তন সহ ভোটার আইডি কার্ড নাম
সম্পূর্ণ সংশোধন করতে ও ভোটার আইডি কার্ডে মায়ের নাম সংশোধন কোর্টে কি প্রয়োজন
সে সম্পর্কে জানতে পারবেন তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ
সহকারে পড়ে জেনে নিন অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে এবং ভোটার
আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কিত সকল তথ্য।
পোস্ট সূচিপত্রঃ অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে
ভূমিকাঃ অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে
বর্তমান সময়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন নিয়ে নির্বাচন অফিসে জমা হয় একগাদা
মানুষ।কারো সমস্যা রয়েছে নামে কারো সমস্যা রয়েছে জন্ম তারিখে কারবার সমস্যা
রয়েছে মা-বাবার নামের অংশে।এমন সমস্যা থেকে আপনার সংশোধনীয় কাজ কি হতে পারে তা
নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আমরা তুলে ধরবো।হতে পারে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার একটি সহজ মাধ্যম।
আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন ২০২৪
তাই আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা সুন্দরভাবে আলোচনা করতে চলেছি অনলাইনে ভোটার
আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে এবং ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা
লাগে সে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ টিপ সম্পর্কে।তাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ
সহকারে পড়ুন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান কারণ
প্রায় মানুষেরই কিন্তু ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের প্রয়োজন হয় কোন ভুল ত্রুটি
থাকলে সেটা সংশোধন করে নেওয়ার জন্য অবশ্যই জরুরি হয়ে ওঠে ভোটার আইডি কার্ড
সংশোধন করাটা। যার জন্য ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা ফি লাগতে পারে এটাও
জানা জরুরী।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম
কারণ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতেও কিন্তু সরকারকে একটি সার্ভিস চার্জ বা ফ্রি
দিতে হয়। জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে হলে আপনার ভোটার
আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য ২৩০ টাকা লাগবে এখানে ফ্রি ২০০ টাকা এবং এর ওপর ১৫
পার্সেন্ট ভ্যাট ৩০ টাকা তবে জাতীয় পরিচয় পত্রের অন্যান্য তথ্য সংশোধন করতে এই
ফি ভ্যাট সহ ১১৫ টাকা।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে হলে আপনার ২০০ টাকা ফ্রি প্রয়োজন হবে আইডি কার্ডের
অন্যান্য তথ্য সংশোধন করতে হলে আপনার ১১৫ টাকা এবং উভয় ধরনের তথ্য সংশোধনের জন্য
৩৪৫ টাকা আপনার লাগবে। এই ফি আপনি বিকাশ বা রকেট এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারেন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের ফি তালিকা :
- সংশোধনের ধরন : ফি পরিমাণ : ১৫% ভ্যাট: মোট ফি
- তথ্য সংশোধন : ২০০ টাকা: ৩০ টাকা: ২৩০ টাকা
- অন্যান্য তথ্য সংশোধন : ১০০ টাকা: ১৫ টাকা: ১১৫ টাকা
- উভয় তথ্য সংশোধন : ৩০০ টাকা: ৪৫ টাকা: ৩৪৫ টাকা
- রিইস্যু :৩০০ টাকা: ৪৫ টাকা: ৩৪৫ টাকা
- রিইস্যু জরুরী : ৫০০ টাকা: ৭৫ টাকা: ৫৭৫ টাকা
আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করেন তাহলে আপনার উপরোক্ত দেওয়া ফি গুলো আপনার
প্রয়োজন হবে যে তথ্যগুলো সংশোধন করবেন সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে ফি এর পরিমাণ
নির্ধারণ করা হয়।
ভোটার আইডি কার্ড নাম আংশিক সংশোধন করতে কি কি লাগে
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড এটি আমাদের জন্য প্রতিটা বাংলাদেশী
নাগরিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি কার্ড। এই ভোটার আইডি কার্ডে যদি নাম ভুল থাকে
তাহলে কিন্তু বিপদের মধ্যে পড়ে যেতে হয়। যেই বিপদ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য
আপনার একটাই উপায় ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করা। আইডি কার্ডের নাম সংশোধন
করার জন্য কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়।
আরো পড়ুনঃ প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম
(নিজের নাম সংশোধন আংশিক): ভোটার আইডি কার্ডে নিজের নাম সংশোধন আংশিক করতে
হলে আপনাকে আইডি কার্ডের আংশিক নাম সংশোধনের জন্য যে সকল ডকুমেন্ট লাগবে।
- জন্ম নিবন্ধন সনদ,
- বোর্ড পরীক্ষার সনদ,
- বিশেষ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং, লাইসেন্স এবং কাবিননামা ইত্যাদি কাগজপত্র লাগবে।
- তবে অবশ্যই এই সকল ডকুমেন্ট এর স্ক্যান কপি লাগবে।
- এই সেবাটি ক ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত যেটি আপনি সাধারণ উপজেলা পর্যায়ে নিষ্পন্ন করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড নাম সম্পূর্ণ সংশোধন করতে কি কি লাগে
নিজের নাম সংশোধন (সম্পর্ণ): আমাদের অনেকের ভোটার আইডি কার্ডের নামে সাথে
সার্টিফিকেট কিংবা জন্ম সনদের নামের সাথে মিল থাকে না ফলস রীতিতে বিভিন্ন রকমের
সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বিশেষ করে জমি জামার রেজিস্ট্রেশনে এবং পাসপোর্ট অফিস
করে এগুলোতে নামের কারণে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এটি (গ) যদি প্রয়োজনীয়
কাগজ জমা দেওয়া হয় এবং (ঘ) প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে অক্ষম হলে ক্যাটাগরির
অন্তর্ভুক্ত হবেন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ
- শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদপত্র
- পাসপোর্ট
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- অনলাইন জন্ম সনদ( 17 সংখ্যার)
- সন্তানের ভোটার আইডি কার্ড
- সন্তানের সার্টিফিকেট
- এমপিও/ সার্ভিস বইয়ের কপি
- উপজেলা নির্বাচন অফিসার এর প্রতিবেদন কপি ইত্যাদি
উপরোক্ত সকল তথ্যগুলো সঠিকভাবে জমা দেওয়া হলে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সম্পূর্ণ
নাম আপনি সংশোধন করতে পারবেন এবং এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে। আপনার যদি জরুরী ভোটার
আইডি কার্ড সংশোধন করতে হয় এবং অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে
চান। তাহলে কত দিন সময় লাগতে পারে চলুন জেনে নেয়া যাক।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে সর্বোচ্চ সাত দিন থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে
পারে ক ক্যাটাগরি সংশোধনের আবেদন সাত দিন খ ক্যাটাগরির আবেদন সংশোধনী ১৫ দিন গ
ক্যাটাগরি সংশোধনের আবেদন ৩০ দিন এবং সংশোধনীয় আবেদন ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পন্ন
হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম
এখানে দিন বলতে কিন্তু কার্যদিবস কে বোঝানো হয়েছে যে কার্যদিবস গুলোর মধ্যে অফিস
আদালত চলে সেই দিনগুলোকে কার্যদিবস ধরা হয় যদিও অফিসিয়াল ভাবে নির্বাচন অফিস
থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে এরপর ৩-৪ দিন
কমবেশি হতে পারে।
সংশোধনের ক্যাটাগরি : দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা : দিন
- ক : উপজেলা নির্বাচন অফিসার : সাত দিন
- খ : জেলা নির্বাচন অফিসার : ১৫ দিন
- গ : আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার : ৩০ দিন
- ঘ: NID wing এর মহাপরিচালক : ৪৫ দিন
অনলাইনে কিংবা উপজেলা নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন আবেদন
করার পরে প্রথমে সেই আবেদন ক্যাটাগরী হওয়ার জন্য ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের NID
wing এর হেড অফিসে কর্মরত দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের কাছে জমা হয়।
ভোটার আইডি কার্ডে মায়ের নাম সংশোধন
ভোটার আইডি কার্ডে আমাদের অনেক সময় মাতার নাম ভুল হতে পারে আমাদের অনেকের এনআইডি
কার্ডে পিতা মাতার নামের ভুল হতে পারে এই ধরনের ভুল হলে। আপনার যদি ভোটার আইডি
কার্ডে মায়ের নাম ভুল থাকে তাহলে আপনি মাতার নাম ভুল হলে যে কাজগুলো করবে নাম
সংশোধন করার জন্য তা নিচে তুলে ধরা হলো।
- পিতা মাতার নামের বানান ভুল
- সম্পূর্ণ নামটি ভুল
এই দুই ধরনের ভুল সংশোধনের জন্য সাধারণত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র জন্ম
নিবন্ধনের প্রয়োজন হয় বাধ্যতামূলক হিসেবে তবে এছাড়াও যে কাগজপত্রগুলোর লাগে
সেগুলো নিচে তথ্য দেওয়া হল :
- পাসপোর্ট
- পিতা মাতার এনআইডি কার্ড
- ভাই এবং বোনের এনআইডি কার্ড
- ভাই ও বোনের সার্টিফিকেট এবং
- কাবিননামা ইত্যাদি
উপরোক্ত সকল তথ্য গুলো সহ আপনি একটি আবেদন ফরমে সকল তথ্য সহকারে আবেদন ফরটি
সঠিকভাবে পূরণ করে জমা করতে পারেন তাহলে আপনার মাতার নাম সংশোধন হয়ে যাবে।
শেষ কথাঃ অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে
কে পাঠক আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে আমরা জানলাম অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড
সংশোধন করতে কত দিন লাগে এবং ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে সে
সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।আশা করছি আজকের আর্টিকেল আপনি সম্পূর্ণ পড়ে অনেক
উপকৃত হয়েছেন।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান
মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।
আরো পড়ুনঃ বয়স্ক ভাতা কত বছর বয়সে দেওয়া হয়
এছাড়াও আপনি যদি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনীয় কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে
চান তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের আজকের
আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আজকের আর্টিকেল এ পর্যন্তই আবারো কথা
হবে অন্য কোন ট্রাফিক নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো, থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url