ফেরাউনের লাশ কত সালে পাওয়া যায় বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক আপনি কি ফেরাউনের লাশ কত সালে পাওয়া যায় এবং ফেরাউন কত বছর বেঁচে ছিল সে সম্পর্কে জানার জন্য অনলাইনে তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।আজকে আর্টিকেলের ভিতর আমরা আলোচনা করতে চলেছি ফেরাউনের লাশ কত সালে পাওয়া যায় ফেরাউন কত বছর বেঁচে ছিল সে সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।
ফেরাউনের-লাশ-কত-সালে-পাওয়া-যায়
সেই সাথে ফেরাউন সম্পর্কিত ফেরাউনের লাশ কত লম্বা ফেরাউনের লাশ পড়ছে নি কেন ফেরাউনের আসল নাম কি ছিল এমন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন ফেরাউনের লাশ কত সালে পাওয়া যায় এবং ফেরাউন কত বছর বেঁচে ছিল এ সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ফেরাউনের লাশ কত সালে পাওয়া যায়।ফেরাউন কত বছর বেঁচে ছিল

উপস্থাপনা।ফেরাউনের লাশ কত সালে পাওয়া যায়। ফেরাউন কত বছর বেঁচে ছিল

আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো যে বিষয় সম্পর্কে আপনি জানতে চেয়েছেন তা আমরা আজকের আর্টিকেলের ভিতরে ফেরাউন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করতে চলেছি।আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জানবো ফেরাউনের লাশ কত সালে পাওয়া যায় এবং ফেরাউন কত বছর বেঁচে ছিল সে সম্পর্কিত সকল তথ্য।
এছাড়াও ফেরাউন সম্পর্কিত কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ফেরাউন কোন নদীতে ডুবে মারা যায়, ফেরাউনের লাশ কত সালে পাওয়া যায়, ফেরাউনের লাশ কত লম্বা, ফেরাউনের লাশ কেন পচে নি, ফেরাউনের আসল নাম এবং ফেরাউন পানির নিচে কত বছর ছিল।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি ফেরাউন সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পারবেন তাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

ফেরাউন কোন নদীতে ডুবে মারা যায়

কে নিয়ে অনেকের মনে নানা রকমের আগ্রহ এবং প্রশ্ন রয়েছে ফেরাউন কোন নদীতে ডুবে মারা যায়। আমাদের এই পৃথিবীতে অত্যাচারী ও খোদার দ্রোহী শাসকদের একজন ছিলেন ফেরাউন যাকে অত্যাচারের দৃষ্টান্ত ও উদাহরণ টানতে গেলে মানুষের মুখে চলে আসে ফেরাউনের নাম। সে অনেক বেশি অত্যাচারী এবং শাসক ছিল নিজেকে খোদা দাবি করত আল্লাহর পরিবর্তে মানুষকে তার ইবাদত পূজা করতে বলতো।

আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, (হে মুসা!) ফেরাউনের নিকটে যাও, সে তো সীমালংঘন করেছে। এবং (তাকে) বল, তোমার কি আত্মশুদ্ধির কোন আগ্রহ আছে? আর আমি কি তোমাকে তোমার প্রতিপালকের পথ দেখাবো ফলে তুমি তাকে ভয় করবে?
ফেরাউনের মৃত্যু হয় খুবই করুণভাবে যখন মুসা আলাই সাল্লাম ও তার অনুসারীদের আক্রমণ করতে তার বাহিনী নিয়ে "লোহিত সাগরে" সেই রাস্তায় নেমে পড়ল যখন ফেরাউন বাহিনী সাগরের মাঝামাঝি এসে পড়লে এমন সময় মহান আল্লাহ মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কে বললেন তাড়াতাড়ি সাগরের উপর তোমার লাঠি দিয়ে আবার আঘাত করো।

মহান আল্লাহ তাআলার হুকুম মতো মূসা আ. সাগরের পানিতে আঘাত করলে অমনি দুই দিক থেকে পানির খাড়া উঁচু স্রোতে ফেরাউন ও তার সৈন্য সদস্যের ওপর পড়ে তাদের ভাসিয়ে নিয়ে গেল ধ্বংস হয়ে গেল ফেরাউন ও তার বাহিনী।

ফেরাউনের লাশ কত সালে পাওয়া যায়

একজন অত্যন্ত অহংকারী মানুষ ছিলেন যে নিজের দাসত্ব করতে বলতেন এবং সে দাবী করত যে সে আল্লাহর দাসত্ব করবে এবং তার দাসত্ব করবে অন্যান্য মানুষ। বিশ্ববাসীর জন্য শিক্ষা ফেরাউনের ফেরাউনের মৃত্যুর বহু বছর পর ১৯০৭ সালে তার লাশ আবিষ্কৃত হয়। সিনাই উপদ্বীপে পশ্চিম তীরে জাবালে ফেরাউন নামে একটি ছোট্ট পাহাড় আছে।
এখানে ফেরাউনের লাশ সর্বপ্রথম পাওয়া যায় বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এনসাক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকার নিবন্ধে বলা হয়েছে, দেবস নামক স্থানে সমাধি মন্দিরে ও ১৮৯৬ সালে একটি স্তম্ভ আবিষ্কৃত হয়। তার লাশ মমি করে মিশরের রাজধানী কায়রোতে নীলনদের অদূরে রয়্যাল মিউজিয়ামের সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।

ফেরাউনের লাশ কেন পচে নি

ফেরাউনের মৃত্যু বহু বছর আগে হলেও কিন্তু ফেরাউনের একটি দৃশ্য ১৬ বছর পর পানির নিচ থেকে ভেসে আসে এবং তখনও তার লাশ অক্ষত ছিল। এত বছর পানির নিচে থাকা সত্ত্বেও ফেরাউনের লাশ পড়েনি।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন, 'ফেরাউন ডুবে মারা গেছে আর মৃত্যুর পরও তার শরীর অক্ষত রাখা হবে পরিবর্তিত সীমালংঘনকারীদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে।' বানিয়ে ইসরাইলকে আমি পার করে দিয়েছি নদীর তারপর তাদের পশ্চাদ্ভাবন করেছে ফেরাউন ও তার সেনাবাহিনীর দুরাচার ও বাড়াবাড়ির উদ্দেশ্য।
এমন কি যখন তারা দুধটা আরম্ভ করল তখন বলল এবার বিশ্বাস করে নিচ্ছি কোন মাবুদ নেই তিনি ছাড়া যার ইবাদত করে বাণী ইসরাইলরা। অতএব আজকের দিনে রক্ষা করছি আমি তোমার দেহকে যাতে তা তোমার পরবর্তীদের জন্য নির্দেশন হতে পারে নিঃসন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না।( সূরা ইউনুস :৯২)
এই আয়াতের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পেরে গেছি যে কেন আল্লাহ তাআলা তার লাশকে এক এত বছর পানির নিচে থাকার পরবর্তীতেও অক্ষম রেখেছে এবং লাশ পড়ছে যায়নি ফেরাউনের লাশ না প্রচার কারণ আশা করি, আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

ফেরাউনের লাশ কত লম্বা

আমরা অনেক গল্প এবং বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জেনেছি যে নবী মুসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে তার প্রধান বিরধিকারী ছিলেন ফেরাউন যে লোহিত সাগরে ডুবে মারা গেছে আল্লাহ তা'আলা নির্দেশে। আমরা অনেকেই শুনে থাকি যে ফেরাউনের লাশ কত লম্বা ছিল তবে অনেকের মনে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে আসলে ফেরাউনের লাশ কতটুকু লম্বা ছিল।
ফেরাউন ডুবে যাওয়ার ঘটনা আপনাদের সবারই জানা রয়েছে সে মারা যাওয়ার পর লাশ মনে করে রাখা হয়েছিল সেটা এখন মিশরের রাজধানী কায়রোতের নীলনদের একেবারেই তীরে (৪০০-৫০০ গজ দূরে) তাহারির জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। তার উচ্চতা নিয়ে নাকি দেখে অনেক অনেক রকমের কথা বলে কেউ বলে ৬০ হাত কেউ নাকি বলে ১২০ হাজার।

তার সর্বোচ্চ ৬ ফুট বা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চির মত উচ্চতা হবে এর বেশি না অর্থাৎ আমাদের দেশে সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি লম্বা না। অনেকে বলে থাকে ফেরাউন ডুবে মারা গেছে নীল নদে আসরলে সে নীল নদে ডুবে মরে মিশে ডুবে মরেছে সমুদ্রে (উপরের আয়াতের সমুদ্রের কথা আছে)। আর তুরে সিনাই কিংবা ফিলিস্তানের দিকে যেতে হলে লোহিত সাগর বা রে টুসি পার হতে হয় অতএব এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় লোহিত সাগরে ডুবে ফেরাউনের সলিল সমাধি হয়েছে।

ফেরাউন কত বছর বেঁচে ছিল

ফেরাউনের জন্ম আনুমানিক খ্রিস্টাব্দপূর্ব ১৩০৩ অব্দের এবং মৃত্যু ১২১৩ অব্দে। রাউন্ড ছিল প্রাচীন মিশরের হাজার উনিশ তম রাজবংশীর তৃতীয় শাসক। ফেরাউনের আনুমানিক ৪শত বছর কেউ বলে ১ হাজার বছর মধ্যে বেঁচে ছিল। প্রাচীন মিশরের শাসকদের সাধারণভাবে বলা হতো ফারাও অথবা ফেরাউন। ৩২০০ খ্রিস্টাব্দ পূর্বে ম্যানেজ নামের এক শাসক সমস্ত মিশরকে এক করে একক করলে একটি একক রাষ্ট্র গড়েছিলেন ফেরাউন আরবি শব্দ যা ইংরেজিতে বলা হয়ে থাকত ফারাও।

ফেরাউনের আসল নাম কি

ফেরাউনের আসল নাম হল ফারাউ দ্বিতীয় রামেসিস। বর্তমানে যাকে আমরা চিনি ফেরাউন হিসেবে যা মুসলমানদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল সেই ফেরাউনের নাম এটি রামেসিস। মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ এবং ইহুদি খ্রিস্টানদের গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ রয়েছে। বর্তমানে ফেরাউনের লাশ মিশরের সংরক্ষিত আছে জাদুঘরে বর্তমানে মিশরের রাজধানী কায়রোর ইজিপোসিয়ান জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে। সেখান থেকে ফেরাউনের উচ্চতাও জেনে নেয়া যেতে পারবেন।

ফেরাউন পানির নিচে কত বছর ছিল

ফেরাউন পানির নিচে ৩১১৬ ছিল আল্লাহ তা'আলা নির্দেশে ফেরাউন পানিতে এত বছর থাকা সত্ত্বেও কোন কিছুই হয়নি ফেরাউনের। ফেরাউনের স্ত্রী ছিল প্রায় ২০০ র উপরে এবং উপপত্নী তথা স্ত্রী ছিল যারা বলা হয়ে থাকে ফেরাউনের। ফেরাউনের সন্তান ছিল ১১২ জন যার মধ্যে ছেলে ছিল ৯৬ জন এবং মেয়ে ছিল ১৬ জন।

লেখকের মন্তব্যঃ ফেরাউনের লাশ কত সালে পাওয়া যায়।ফেরাউন কত বছর বেঁচে ছিল

প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় ছিল ফেরাউনের লাশ কত সালে পাওয়া যায় এবং ফেরাউন কত বছর বেঁচে ছিল।আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারলাম ফেরাউনের লাশ সম্পর্কিত কিছু অজানা কথা।তাই আশা করছি আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং শেয়ার করার মতো একটি পোস্ট বলে মনে হয়েছে।প্রত্যেক মুসলমান ব্যক্তির জন্য ফেরাউন সম্পর্কে কিছু কথা জেনে রাখা উচিত।
এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ এছাড়া আপনি যদি ব্যক্তিগত কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।সকলের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করে আজকের আর্টিকেলে পর্যন্তই আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url