জুমার দিনের ১৫ টি আমল - জুমার দিনের বিশেষ 6 টি আমল

প্রিয় পাঠক আপনি কি জুমার দিনের ১৫ টি আমল এবং জুমার দিনের বিশেষ 6 টি আমল এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।কেননা আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আমরা আলোচনা করতে চলেছি জুমার দিনের ১৫ টি আমল এবং জুমার দিনের বিশেষ 6 টি আমল সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।
জুমার-দিনের-১৫-টি-আমল
সেই সাথে আপনি জুমার নামাজের ফজিলত,জুমার দিনের ১১ টি আমল, এবং জুমার দিনের মেয়েদের আমল এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন জুমার দিনের ১৫ টি আমল এবং জুমার দিনের বিশেষ 6 টি আমল সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃজুমার দিনের ১৫ টি আমল।জুমার দিনের বিশেষ 6 টি আমল

সূচনা।জুমার দিনের ১৫ টি আমল।জুমার দিনের বিশেষ 6 টি আমল

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয়ই থেকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি জুমার দিনের ১৫ টি আমল এবং জুমার দিনের বিশেষ 6 টি আমল এ বিষয় সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।সেই সাথে আমরা আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিব জুমার দিনের ১৫ টি আমল এবং জুমার দিনের বিশেষ 6 টি আমল।
আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি উপকৃত হবেন।কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা সে সমস্ত বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যা আপনারা মনে মনে জানতে চেয়েছেন।আজকের আর্টিকেল আপনি যদি শেষ পর্যন্ত পড়েন।তবে আপনিও জুমার দিনের ১৫ টি আমল এ নিয়মে সকল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পারবেন।

জুমার দিনের ১১ টি আমল

আসসালামু আলাইকুম আপনারা কি জুমার দিনের ১১ টি আমল সম্পর্কে জানতে চান? মুসলমানদের জন্য পবিত্র জুম্মা ও জুম্মা বারের রাত দিনের গুরুত্ব অপরিসীম জুমার দিনকে সপ্তাহিক ঈদের দিনও বলা হয়েছে দিনটির গুরুত্ব বুঝতে পবিত্র কোরআনে "জুমা" নামে একটি স্বতন্ত্র সূরাও নাযিল করা হয়েছে। জুমার নামাজ ইসলামের অন্যতম একটি নামাজ।
শব্দটি আরবি এর অর্থ একত্রিত হওয়ার, সম্মিলিত হওয়া, কাতারবদ্ধ হয়। যেহেতু শুক্রবার প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানরা একটি নির্দিষ্ট সময়ে একত্রিত হয়ে। জামাতে সঙ্গে জোহরের নামাজের পরিবর্তে এই নামাজ আদায় করে তাই নামাজটিকে জুমার নামাজ বলা হয়।
জুমার দিনের ১১ টি আমলের বিস্তারিত হলো:
  • সকালে জুমা নামাজ আদায় করা: জুমা নামাজ মুসলিম সম্প্রদায়ের মুখ্য নামাজ হিসাবে পরিগণিত হয়। এই দিনে মসজিদে জুমা নামাজ পড়া প্রয়োজন।
  • মসজিদ গিয়ে জুমা নামাজ আগে ৪ রাকাত সুন্নত নামাজের আদায় করা : মসজিদ গিয়ে জুমা দিন সুন্নত নামাজ ৪ রাকাত আদায় করতে হবে।
  • মনযোগ দিয়ে খুতবা পড়া: নামাজের আগে মসজিদে গিয়ে খুতবা শুনতে হবে । এটি সামাজিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করার একটি উপায়।
  • গোসল করা এবং প্রফুল্ল পোশাক পরা: জুমা নামাজের জন্য গোসল করা এবং প্রফুল্ল পোশাক পরা প্রশংসনীয় আচরণ।
  • সুরা কাহাফ তেলাওয়াত : জুমা দিনে বেশি বেশি সুরা কাহাফ বেশি বেশি তেলাওয়াত করা এটি খুব প্রশংসনীয় আমল।
  • জুমা দুরুদ শরীফ পাঠ করা: দুরুদ শরীফ পাঠ করা মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। এটি নবী মুহাম্মদ (সা:) এর অনুসরণে প্রচলিত
  • জুমা দিনে বেশীর ভাগ সময় দোয়া পালন: জুমা দিনে দোয়া করা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ আমল।জুমা দিন বেশি বেশি আমল করা ও আল্লাহ কাছে দোয়া প্রার্থনা করা।
  • গরীবদের মধ্যে প্রচুর দান করা: জুমা দিনে গরীবদের মধ্যে প্রচুর দান করা প্রশংসনীয় এবং সালাতের একটি প্রধান অংশ।
  • মুসাফিরদের আদর করা এবং তাদের সাথে মিলন করা: জুমা দিনে মুসাফিরদের আদর করা এবং তাদের সাথে মিলন করা প্রশংসনীয় এবং প্রয়োজনীয়।
  • নফল নামাজ পড়া: জুমা দিনে নফল নামাজ পড়া অত্যন্ত প্রশংসনীয় আমল।
  • আল-কুরআন অধ্যয়ন করা এবং তার অর্থ বুঝা: জুম্মা দিনে বেশি বেশি আল কোরআন পড়া সহিহ শুদ্ধভাবে।
উপরোক্ত সকল আমলগুলো মুসলিম উম্মাদের মেনে চলার তৌফিক দান করুক। আমিন।

জুমার দিনের ১৫ টি আমল

জুমার দিনে 15 টি আমল করা আমাদের জন্য জরুরী এই আমলগুলো করলে আমরা আল্লাহতালার কাছে আমাদের মনের আশা পূরণ করার জন্য দোয়া চাইতে পারবো এবং বেশি বেশি আমলের মাধ্যমে আমাদের করে আসা পাপগুলোর জন্য ক্ষমা চাইতে পারবো।

মহান আল্লাহ তাআলা বলেছেন, অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সূরা জুমুআ, আয়াত :১০)
রাসূল (সা:) মদিনায় যাওয়ার পর একবার আনসাররা সাহাবীরা আলোচনায় বসেন,' তারা বলেন ইহুদিদের জন্য সপ্তাহে একটি দিন নির্দিষ্ট রয়েছে যে দিনে তারা সবাই একত্রিত হয়। নাসারারাও সপ্তাহে একদিন একত্রিত হয়।
সুতরাং আমাদের জন্য সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট দিন হওয়া প্রয়োজন যে দিনে আমরা সবাই সমবেত হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করব নামাজ আদায় করব। অতঃপর তারা আলোচনা করে বললেন শনিবারে ইহুদিদের আর রবিবার নাসারাদের জন্য নির্ধারিত অবশেষে তারা ইয়াওমুল আরুবা শুক্রবারকে গ্রহণ করলেন।' ( সিরাতুল মুস্তফা ও দরসে তিরমিজি)
জুমার দিনের ১৫ টি আমল হলো:
  • গোসল করা: জুমা সালাতের পূর্বে গোসল করা উচিত এবং উত্তম পোশাক পড়তে হবে এই দিন ভালো পোশাক পড়ে সালাত আদায় করতে হবে।
  • সাফল্যের দোয়া পড়া: জুমা সালাতের পর সাফল্যের দোয়া পড়া উচিত। জীবনে সাফল্য পাওয়া জন্য বেশি বেশি আল্লাহ কাছে সাফল্য কামনা করতে হবে দোয়া করতে হবে।
  • সূরা আল-কহফ পড়া: জুমা দিনে সূরা আল-কহফ পড়া উত্তম। জুমা দিনের শ্রেষ্ঠ আমল সূরা আল-কহফ পড়তে হবে।
  • আলহামদুলিল্লাহ বলা: জুমা দিনে আলহামদুলিল্লাহ বলা উচিত। বেশি বেশি আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করে জিকির করতে হবে।
  • তাড়াতাড়ি মসজিদ যাওয়া: মসজিদে আসার সময় বা খুব সাথে যাওয়ার সময় সতর্কতা ও অভিনন্দন প্রকাশ করা উচিত।
  • সুন্নাহ নামায পড়া: জুমা নামাযার সময় সুন্নাহ নামায পড়া উচিত। জুমা নামায আদায়ের আগে ৪ রাকাত সুন্নাহ নামাজ আদায় করতে হয়।
  • খুতবা শোনা: জুমা সালাতের পর খুতবা শোনা উচিত। খুতবা মনযোগ দিয়ে শোনার ফলে কিছু সওয়াব হয়। জুমার দিনে যখন খুতবা বাসনা হয় সেই সময় মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনাও একটি সুন্নতের জন্য খুতবা যখন পড়া হয় সেই সময় খুতবা মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে এবং আমল করতে হবে নিজের জীবনে।
  • দোয়া করা: জুমা সালাতের পর দোয়া করা উচিত। জুমা দিন অনেক পবিত্র দিন যার ফলে এই দিনে বেশি বেশি দোয়া প্রার্থনা করতে হবে। জুমার নামাজ শেষ করলে বেশি বেশি দোয়া চাইতে হবে এবং নিজের মনের কথাগুলো আল্লাহ তাআলার কাছে বলতে হবে দোয়ার মাধ্যমে।
  • ইবাদতে করা: জুমা দিনে আরও একটু বেশি ইবাদতে করা উচিত। আল্লাহ কাছে বেশি ইবাদত বন্দেগি করে জুমা দিন পার করা।জুমার দিনে বেশি বেশি ইবাদত বন্দুকের মাধ্যমে নিজেকে দুনিয়া জীবন থেকে দূরে রেখে ইবাদতের নিয়োজিত রাখতে হবে।
  • সুন্নাহ আমল : জুমা দিনে সুন্নাহ আমল করা বেশি মনযোগী হওয়া উচিত। জুমা দিন বেশি বেশি সুন্নাহ আমল করতে হবে এবং এই আমলগুলো পালন করার ফলে আল্লাহ তা'আলা খুশি হয়।
  • জুমা দিন সকালে ওঠা : জুমা দিনে আমল করা জন্য সকালে ওঠা উচিত। এতে বেশি সময় পাওয়া যায় দোয়া ও আমল করার জন্য তাই আপনারা এই দিন সকলে উঠবেন।
  • ইসলামিক বই পড়া: জুমা দিনে ইসলামিক বই পড়া উচিত। জুমা দিন ইসলামিক বই পড়ে। প্রতিদিন ইসলামিক বই পড়া উচিত কিন্তু জুমার দিনে বেশি বেশি ইসলামিক বই পড়ে বিভিন্ন রকমের সূরা ও আমল সম্পর্কে জানা দরকার এই দিনে বেশি বেশি আমল করতে হবে।
  • সদাকা দেওয়া: জুমা দিনে সদাকা দেওয়া উচিত। যাদের সামর্থ্য রয়েছে তাদের জুমার দিনে ডান সদাকা করা উচিত অনেকেই মসজিদে দান-সদাকা করে থাকে তাই এই দিনে বেশি বেশি দান করতে হবে।
  • নফল নামায পড়া: জুমা দিনে নফল নামায পড়া উচিত।জুমার দিনে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতে হবে এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করে সকল গুনাহের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আমাদের জীবনের সকল পাপ কর্মের মাফ চাইতে হবে।
  • আগে মসজিদ যাওয়া: জুমা দিনে সারাদিন ইবাদত বন্দেগী করার মাধ্যমে আগে মসজিদে যেতে হবে এবং মসজিদের যে সর্বপ্রথম চাই সে একটি দুম্বা কোরবানির সোয়াব আদায় করে। তাই সর্বপ্রথম মসজিদের যেতে হবে জুমার দিনে।
এই আমলগুলি মুসলিম ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রতিদিনের অংশ হিসেবে মনোনিবেশ করা হয়। এগুলি আমলের একটি তালিকা মাত্র এবং ব্যক্তিগত পছন্দ এবং প্রকৃতির মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে।

জুমার দিনের বিশেষ 6 টি আমল

জুমার দিন অতি পবিত্র দিন এই দিনে বেশি বেশি ইবাদত বন্দিদের মাধ্যমে সারা দিন পার করতে হবে জুমার দিনের বিশেষ ছয়টি আমল সম্পর্কে আপনারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন আপনারা যদি না জেনে থাকেন তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন জুমার দিনে ৬ টি আমল সম্পর্কে।
বিভিন্ন রকমের হাদিস থেকে জানা গেছে যে জুমার দিনে কিছু কাজের সওয়াব মিলে।
  • যেমন নখ কাটা।
  • গায়ের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা।
  • উত্তম রূপে গোসল করা।
  • উত্তম পোশাক পরিধান করা।
  • সুগন্ধি ব্যবহার করা যদি তার নিকট থাকে।
  • তারপর জুমার নামাজের জন্য তাড়াতাড়ি মসজিদে যাওয়া
মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যাওয়া এবং মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনতে হবে জুমার নামাজ আদায় করতে হবে। জুমার নামাজ আদায় শেষে বেশি বেশি দোয়া প্রার্থনা করতে হবে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে নামাজ আদায়ের শেষে বাসায় ফিরতে হবে।

জুমার দিনের গুরুত্ব

জুমার দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেকেরই হয়তো অজানা রয়েছে আবার অনেকে হয়তো সম্পূর্ণ জানেন না জুমার নামাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এই নামাজ ছেড়ে দিলে হাদিসে ভয়াবহ ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই জুমার নামাজ গুরুত্ব সহকারে প্রতিটি মুসলিম উম্মার আদায় করা উচিত প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, 'জুম্মা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ দিবস। '
পবিত্র কুরআনের সূরা আল জুমা এরশাদ করা হয়েছে, ' মুমিনগণ জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে পানে ত্বরা এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বুঝ।( সূরা আল-জুম্মা আয়াত :৯)

শুক্রবারের দিন জোহরের নামাজের পরিবর্তে জুব্বার নামাজকে ফরজ করা হয়েছে। জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজ ও ইমামকে খুতবাকে যোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজের স্থলভিষিক্ত করা হয়েছে। সপ্তাহে এক দিনে জুমার খুতবা উম্মতে যাবতীয় প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে নির্দেশনা ও সমাধানমূলক উপদেশ দিবেন খুতবায়।

জুমার নামাজের ফজিলত

জুম্মা মুসলমানদের সমাবেশের দিন এই দিনকে 'ইয়াওমুল জুমাআা' বলা হয়। আল্লাহ তায়ালা নভোমন্ডল ভূমন্ডল ও সমস্ত জগতকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন এই ছয়দিনে শেষ দিন ছিল জুমার দিন যে দিনগুলো সূব্য উঠে তন্মধ্যে সবচেয়ে উত্তম দিন জুমার দিন এই দিনে হযরত আদম আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সৃষ্টি করা হয়।

এই দিনে তাকে জান্নাত দেওয়া হয় এবং এই দিনে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে নামানো হয়ে আর কেয়ামত এই দিনে সংঘটিত হবে জুমার দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে যাতে মানুষ যে দোয়াই করে তাই আল্লাহ তা'আলা কবুল করেন এইসব বলেছেন নবী রাসুল( সাঃ)।

জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনুল করিমে একটি সূরা নাযিল করেছেন যে সূরাটি জুমার দিনের ইবাদত সম্পর্কে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন আল্লাহ তা'আলা বলেন 
হে ঈমানদারগণ!' জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য ডাকা হয়। তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং কেনাবেচা ত্যাগ কর, এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম যদি তোমরা জানত। '( সূরা আয়াত:৯)
এখানে জিকির বলে জুমার নামাজ এবং এই নামাজের অন্যতম শর্ত খুতবা ও বুঝানো হয়েছে। হাদিসে জুমার দিনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মসজিদে গিয়ে হাজির হওয়ার ফজিলত সম্পর্কে ও হাদিসে বলা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'যে ব্যক্তি জুমার দিনে জনগত তথা অপবিত্র অবস্থা থেকে পবিত্র হওয়ার মতো গোসল করবে।

এরপর সর্বপ্রথম মসজিদে হাজির হবে সে যেন একটি উট কুরবানী করল। আর যে ব্যক্তি দ্বিতীয় সময়ে মসজিদে গেল সে যেন একটি গরু কুরবানী করল। যে তৃতীয় সময়ে গেল সে যেন একটি শিংওয়ালা ছাগল কোরবানি করলো। যে চতুর্থ সময় গেল সে যেন একটি মুরগি উৎসর্গ করল। যে পঞ্চম সময় গেল সে যেন ডিম উৎসর্গ করল। এরপর যখন ইমাম বের হয়ে যায় তখন ফেরেশতারা ইমামের কাছে হাজির হয়ে খুতবা শুনতে থাকে।( বুখারী)

জুমার দিনের মেয়েদের আমল

জুমার দিন একটি পবিত্র দিন হয় জুমার দিনে মেয়েদের জন্য কিছু আমল রয়েছে জুমার দিনে মেয়েদের আমল সম্পর্কে অনেক মেয়ে হয়তো অজানা রয়েছে যার কারনে সে আমলগুলো পালন করতে পারে না। জুমার দিন শ্রেষ্ঠ দিন সপ্তাহের ঈদের দিন ইসলামে এই দিনের মর্যাদা রয়েছে অনেক বেশি সব দিনের মধ্যে জুম্মা বারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন আল্লাহ তা'আলা।

মহিলাদের শুক্রবারের আমল অনেকেই হয়তো জানে না শুক্রবার জুমার দিন ফজিলতের দিন এই দিনে পুরুষদের মতো করে মহিলাদেরও বিশেষ কিছু আমল রয়েছে। আমলগুলো করার মাধ্যমে নারী পুরুষ উভয় সমান ফজিলত লাভ করবেন। তবে যে আমলগুলো মসজিদে যাওয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেগুলো মূলত পুরুষদের জন্য বাকি আমলগুলো রয়েছে।
তার সবগুলোই নারী-পুরুষ সকলে একসাথে করতে পারবেন গোসল করা, বেশি বেশি দরুদ পাঠ, সূরা কাহাফ পাঠ করা, নখ কাটা ইত্যাদি।এছাড়া নারীরা জুমার নামাজের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায় করবেন হযরত উম্মে সালমার রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছ, ' নারীদের ঘরে নামাজ পড়া বাইরে নামাজ পড়ার চেয়ে উত্তম ।'( আল মিজামুল আওসাত ৯১০১)

হাদিসে এসেছে, ' নারীদের নামাজের উত্তম জায়গা হলো তাদের ঘরের নির্জন কোণ।' (মুসনাদে আহমদ ২৬৫৪২)নারীরা জুমার দিনে পুরুষদের সাওয়াব অর্জনে সহায়তা করবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, 'যে ব্যক্তি সৎপথের দিকে ডাকবে সে তার অনুসারীর সমান সওয়াব পাবে অথচ অনুসরণকারীর সওয়াব কমানোর হবে না। অন্যদিকে যে ব্যাক্তি ভ্রষ্টতার দিকে ডাকবে, সে তার অনুসারীর সমান পাপে জর্জরিত হবে। তার অনুসারীর পাপ মোটেও কমানো হবে না।( আবু দাউদ:৪৬০৯)

লেখকের মন্তব্যঃ জুমার দিনের ১৫ টি আমল।জুমার দিনের বিশেষ 6 টি আমল

প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ করে ইতিমধ্যে জানতেও বুঝতে পেরেছেন জুমার দিনের ১৫ টি আমল এবং জুমার দিনের বিশেষ 6 টি আমল সম্পর্কিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত বলে মনে হয়েছে।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।
এছাড়াও আপনি যদি ইসলাম সম্পর্কিত আরো পোস্ট পড়তে চান। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটি ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের সঙ্গে থেকে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।আজকের আর্টিকেল আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না।আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url