ফাল্গুন দিয়ে বাক্য রচনা

ফাল্গুন দিয়ে বাক্য রচনা সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন?তাইতো আমরা ফাল্গুন দিয়ে বাক্য রচনা এখন আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।ফাল্গুন দিয়ে বাক্য রচনা জানতে হলে আজকের আর্টিকেল আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ফাল্গুন-দিয়ে-বাক্য-রচনা
অন্যান্য সকল গুরুত্বপূর্ণ রচনার মধ্যে ফাল্গুন দিয়ে বাক্য রচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কারণ অনেক সময় বিভিন্ন পরীক্ষাতে ফাল্গুন দিয়ে বাক্য রচনা লিখতে বলা হয়।তাই আপনি যদি পরীক্ষা এবং প্রতিযোগিতা মূলক রচনা অনুষ্ঠানে ভালো নাম্বার পেতে চান তাহলে ফাল্গুন দিয়ে বাক্য রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ে ফেলুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃফাল্গুন দিয়ে বাক্য রচনা

ভূমিকা।ফাল্গুন দিয়ে বাক্য রচনা 

ফাল্গুনের সময় সারাদিন উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে দিন পার করতে হয়।ফাল্গুন মাসে চারিদিকে নানান রকম উৎসব পালন করা হয়।ফাল্গুন মাস বাঙ্গালীদের একটি ঐতিহ্যপূর্ণ মাস।কারণ পহেলা ফাল্গুন বাংলা স্বরলিত পরিক্রমা বসন্তকেই বলা হয় ঋতুরাজ।আর এই ঋতুর আজকে পহেলা ফাল্গুনের দিন থেকেই বিবেচনা করা হয়।
তাই ফাল্গুনের নানারকম উৎসব পালন করতে আমরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক রচনা লিখি।তাই আপনি হয়তো ফাগুন দিয়ে বাক্য রচনা এ বিষয় সম্পর্কে রচনা লিখতে চাচ্ছেন তাহলে নিচের অনুচ্ছেদ থেকে ফাল্গুন দিয়ে বাক্য রচনা সম্পূর্ণ পড়ুন।

ফাল্গুন দিয়ে বাক্য রচনা

সূচনা: পহেলা ফাল্গুন বাংলা স্বরলিত পরিক্রমায় বসন্তকেই বলা হয় ঋতুরাজ এবং এই ঋতুরাজ পহেলা ফাল্গুনের দিন থেকে শুরু হয়। ফাল্গুন ও চৈত্র মাস এই দুই মাস মিলে শুরু হয় বসন্তকাল। শীতের শুষ্কতা আর জিন্নতার অন্ধকার কে গুছিয়ে নবীন আলোর প্রভাত নিয়ে আসে ফাল্গুন একলা ফাল্গুন বাঙালির সাংস্কৃতির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিন।
এদিন ছাড়া তরুণ্যর জোয়ার নামে আমাদের বাংলাদেশের প্রতিটা তরুণ-তরুণী এবং প্রতিটা ছেলে মেয়ে স্কুল কলেজ পড়ুয়া তারা বাসন্তী রংয়ের শাড়ি পড়ে সাজগোজ করে বের হয় এবং মাথায় পরে বিভিন্ন রঙের ফুলের মালা ছেলেরাও পাঞ্জাবি পরে বের হয়। এই দিনটি সারাদিন উৎসবমুখর পরিবেশের মাধ্যমে পালন করা হয়।

ফুলগুনের ফুল

ফাল্গুন মাসে বিভিন্ন রকমের ফুলে ভরে উঠে প্রতিটা গাছ এবং প্রতিটা গাছ এ নতুন রকমের ফুল ফোটে এবং নতুন পাতার জন্ম নেয় এবং চারিপাশে ফুলের সুবাসে ভরে ওঠে। আমাদের দেশে ছয়টি ঋতু হলেও সর্বশেষ ঋতু বসন্তের সময় সবচেয়ে বেশি সৌন্দর্য ও মনমুগ্ধকর পরিবেশ হয়ে ওঠে ফাল্গুন মাসের ফুলে।
ফাল্গুন মাস এসেছে কিনা তা বোঝার জন্য দেশের প্রকৃতির রাজ্য একটু দৃষ্টি ফেলতে হবে শীতের ছিন্ন পাতা ঝরা গাছে ডালে ডালে ফুলের এক অপূর্ব উন্মাদনা চলে। বসন্ত শুরু এবং ফাল্গুন মাসের শুরু থেকে এই নানা রকমের ফুলের সুগন্ধ ও সুভাষ ছড়াতে থাকে।
ফাল্গুন কে রাঙাতে এদেশের প্রকৃত রাজ্যে হাজির হয় জুই, বকুল, মাধবীলতা, মধুমঞ্জরি বা মাধুরীলতা, কাঠচাঁপা, করবী, কনকলতা, মুচুকুন্দ, কনকচাঁপা, স্বর্ণচাঁপা , দেবকাঞ্চন পলাশ, শিমুল, পারিজাত, নাগকেশর, পানিয়া মাদার, টগর, ভাঁটিফুল ইত্যাদি। ফাগুন মাসে এই ফুলগুলো প্রতিটা গাছকে আরো বেশি সুন্দর করে তোলে এবং গাছের সৌন্দর্য বর্ধনে একমাত্র সুন্দর সময় হয় এই বসন্তকাল।

ইতিহাস

বাংলার এই অঞ্চলে প্রাচীন আমল থেকে বসন্ত উৎসব পালন করা হয় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের শান্তি নিকেতনে বিশেষ নিত্য গীতির মাধ্যমে বসন্ত উৎসব পালনের রীতি চলে আসছে। বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রথম বসন্ত উৎসব উদযাপিত করার রীতি চালু হয় সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপিত পরিষদ বসন্ত উৎসব নিয়মিত আয়োজন করে আসছে।
বাংলা পঞ্জিকার একাদশ তম মাস ফাল্গুনের প্রথম দিন এবং বসন্তের প্রথম দিন। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪ ই ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয় বসন্ত কে বরণ করে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত করা হয়। বাংলাদেশের জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ এই দিনকে বরণ করতে চারুকলার বকুলতলায় এবং ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিবছর জাতীয় বসন্ত উৎসব আয়োজন করে। পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে এই দিন বসন্তের উৎসব হিসেবে পালন করা হয়।

বসন্ত উৎসব

বসন্তকাল কবি ও সাহিত্যকের প্রেরণার উৎস হয়ে আছে যুগ যুগ ধরে চমৎকার আবহাওয়া এবং ফুল ও ফলের প্রাচুর্যের জন্য এ সময় সাংস্কৃতিক আন্দোলন মুখরিত হয়ে থাকে উদযাপিত হয় বাসন্তী উৎসব হোলি উৎসব দল বা হোলির বসন্তের বড় আপন উৎসব ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত করা হয়। এই উৎসব হল মন রাঙানো রঙ্গের উৎসব সমস্ত চিহ্ন তা ভেঙ্গে ফেলা উৎসব তাই এই বসন্ত ঋতুর সব অর্থের রঙিন এই উৎসবে মানুষ ব্যক্তিগত জীবনের দুঃখ কষ্ট ভুলে মিলেমিশে যেতে ওঠে রঙের আনন্দে।

উপসংহার

বসন্তকাল মানুষের মনে চেতনা আনে প্রকৃতির হাস্য ও লস্য মানুষকে মনকে প্রবাহিত করে বলে মানুষ এই সময় প্রাণচঞ্চল ফিরে পায় এই ঋতুটি হল সকল ঋতুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ তাই একের ঋতুরাজ বলা হয়ে থাকে। প্রকৃতির রাজ্যে বুড়ো শীত চলে যাওয়ার পরে ঋতুরাজ বসন্তের আবির্ভাব ঘটে। বসন্তের আগমন ঘটলে চারিদিকে খুশির স্পর্শ অনুভূত হয়।
শীতকালে গাছ থেকে যেসব পাতা ঝরে পড়ে বসন্ত এলে সেসব গাছে আবার নতুন করে পাতা জন্মায়। দক্ষিণ দিক থেকে মৃদুময় বাতাস বইতে থাকে ঋতুরাজ বসন্ত যাবার আগেও দুহাত ভরিয়ে দিয়ে যায় নতুন একটা বছর। বৈশাখীর আনন্দে বাঙালিকে মাটিয়ে বিদায় নেয় ঋতুর রাজ বসন্ত।

শেষ কথাঃফাল্গুন দিয়ে বাক্য রচনা 

প্রিয় পাঠক ও শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলের অংশটুকু পড়ে আমরা জানলাম ফাল্গুন দিয়ে বাক্য রচনা সম্পর্কে।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছ। যদি ভালো লেগে থাকে তবে আমাদের আর্টিকেলটি আপনার অন্যান্য বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে সকলকে পড়ার সুযোগ করে দিন।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি নিত্য নতুন আপডেট আর্টিকেল পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে রাখুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url