ইসলামে ঘুমানোর সঠিক নিয়ম - কোন কোন সময় ঘুমানো নিষেধ
প্রিয় পাঠক আপনি কি ইসলামে ঘুমানোর সঠিক নিয়ম এবং কোন কোন সময় ঘুমানো নিষেধ এ
বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আপনি আজকের আর্টিকেলের ভিতরে জানতে পারবেন
ইসলামে ঘুমানোর সঠিক নিয়ম এবং কোন কোন সময় ঘুমানো নিষেধ সে সম্পর্কে যাবতীয়
সকল তথ্য।আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জেনে নিন ইসলামে
ঘুমানোর সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।
ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী ইসলামে ঘুমানোর কিছু সঠিক নিয়ম রয়েছে যে নিয়ম গুলো
আমরা অনেকেই জানিনা।কিন্তু প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির জন্য জেনে রাখা উচিত ইসলামে
ঘুমানোর সঠিক নিয়ম এবং কোন কোন সময় ঘুমানো নিষেধ সে সম্পর্কে।আমাদের মধ্যে
অনেকেই যেকোনো সময় ঘুমায় এবং ঘুম থেকে যেকোনো সময় উঠে।কিন্তু এই নিয়মগুলো
কতটুকু সঠিক তা আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে জেনে নিব।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ইসলামে ঘুমানোর সঠিক নিয়ম এবং কোন কোন সময় ঘুমানো নিষেধ।
উপস্থাপনাঃ ইসলামে ঘুমানোর সঠিক নিয়ম।কোন কোন সময় ঘুমানো নিষেধ
প্রত্যেক মুসলমান ব্যক্তির জন্য ইসলামে ঘুমানোর সঠিক নিয়ম এবং কোন কোন সময়
ঘুমানো নিষেধ এ বিষয় সম্পর্কে জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।ঘুম আমাদের
শরীরে ক্লান্তি দূর করে।দিনের বেলায় সকল কাজকর্ম সেরে রাতের বেলা মানুষ ঘুমায়
নিজেদের শরীরে ক্লান্তি দূর করার জন্য।কিন্তু এর মাঝে আমরা অনেকেই ভুল করে বসি
ইসলামে ঘুমানোর সঠিক নিয়ম এবং ঘুমানোর সঠিক সময় ইসলাম এ বিষয় সম্পর্কে না
জানার কারণে।
আরো পড়ুনঃ সহবাসের কতক্ষণ পর ফরজ গোসল করতে হয়
বর্তমান সময়ে মানুষ বেশি রাত করে ঘুমায় আর ঘুম থেকে উঠে সকালে অনেক দেরি
করে।কিন্তু এই ঘুমের নিয়মের ক্ষেত্রে ইসলাম কি বলে তা আমাদের সকলকে জানতে
হবে।তাই আজকে আর্টিকেলে আপনাদের সামনে তুলে ধরব ইসলামে ঘুমানোর সঠিক নিয়ম, ঘুমানো সঠিক সময় ইসলাম, দুপুরে ঘুমানোর হাদিস এবং
আসরের পর ঘুমানো নিয়ে হাদিস।
আশা করছি আপনি যদি আজকে আর্টিকেলের মধ্যে থেকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে
পারেন।তাহলে আপনার জন্য আর্টিকেলটি অনেক উপকারী বলে মনে হবে।তাই আর্টিকেলটি
ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ পড়ুন।
কোন কোন সময় ঘুমানো নিষেধ
আপনারা কি জানেন কোন কোন সময় ঘুমানো নিষেধ কোন সময় ঘুমালে ক্ষতি হয় কোন
সময়ে ঘুমানো যাবে না এ সম্পর্কে কি আপনাদের ধারণা আছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাজের পূর্বে ঘুমানো এবং নামাজের পর অহেতুক গল্প
গুজব করাকে খুবই অপছন্দ করতেন। অধিক রাত্রি জাগরন না করে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া
মুস্তাহাব।
তবে এশার নামাজের পূর্বে ঘুমানো এবং নামাজের পর হয়তো গল্পগুজব করা একদমই উচিত
নয় এই জন্য এশার নামাজ শেষ হওয়ার পরে ঘুমানো যাবে। ইসলামের বিধান মতে
তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপকারিতা রয়েছে অনেক আমাদের শরীরে জন্য ঘুমান ঘুম অনেক
বেশি দরকারি। এশার ওয়াক্ত হয়ে গেলে ঘুমানো মাখলু অর্থাৎ মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ
হয়ে এশার ওয়াক্ত শুরু হলে ঘুমানো মাকরূহ।
আরো পড়ুনঃ সংসারে অশান্তি দূর করার দোয়া
এ বিষয়ে ইসলামিক স্কলারদের অনেকেই বলেছেন, মাগরিবের নামাজের পর মাগরিব বয়সের
মধ্যবর্তী সময় থেকে নিয়ে এশার আগ পর্যন্ত ঘুমানো মাকরুহ এটি মালিকি ও হাম্বলি
ইমামদের অভিমত। এছাড়া হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এশার আগে ঘুমাতে
নিষেধ করেছেন এবং এশার পর কথাবার্তা বলতেও নিষেধ করেছেন এ ব্যাপারে অনেক
বর্ণনাও করা হয়েছে। তবে নেক কাজ হলে আসার পর জেগে থাকাকে উলামায়ে কেরাম জায়েজ
বলেছেন।
ইসলামে ঘুমানোর সঠিক নিয়ম
ইসলামে প্রতিটি মানবদের জন্য সকল কাজকর্মের একটি নিয়ম বানানো হয়েছে এবং সেই
অনুযায়ী ইসলামের প্রতিটি কাজ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু প্রতিটা মানুষ কি সেই
নিয়ম মেনে চলে আসলে অনেকেই ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী নিজের জীবনযাপন পরিচালনা
করতে চায় তারা হয়তো অনেকেই জানতে চাই ইসলামে ঘুমানোর সঠিক নিয়ম কি। আপনি যদি
ইসলামের ঘুমানো সঠিক নিয়ম জেনে সেই ভাবে রাতে ঘুমাতে যান তাহলে আপনার জন্য
অনেক উপকার হবে।
আরো পড়ুনঃ শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে
মুমিনদের প্রতিটি কাজই ইবাদতের মধ্যে পড়ে তবে তা হতে হবে ইসলামের নির্দিষ্ট
পদ্ধতি অনুসারে পালন করা। তখন সবকিছুর মতো ঘুমও ইবাদতে পরিণত হয় তাছাড়া ঘুম
আল্লাহ তায়ালার নিয়ামত এই নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা সম্ভব নয়। আমরা
অনেকে উপুড় হয়ে ঘুমাতে পছন্দ করি কিন্তু এই অভ্যাসটা ভালো না। এভাবে হলেও এ
অভ্যাসের কারণে মেরুদণ্ড, শ্বাস-প্রশাস, শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপর প্রভাব
পড়তে পারে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু সালাম এইভাবে শুতে নিষেধ করেছেন কারণ হিসেবে হাদিসের দুটি
বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়।
- ১.মহান আল্লাহ তায়ালা এভাবে ঘুমানো পছন্দ করেনা।
- ২. এটি জাহান্নামিদের ঘুমানো পদ্ধতি।
জাহান্নাম ইটের উপর করে জাহান্নামের নিক্ষেপ করা হবে এই জন্য এইভাবে শোয়া
যাবেনা।
রাসূল সাল্লাল্লাহু সালামের বাণী, "এটা তো জাহান্নামের শয়ন" এর পক্ষে পবিত্র
কোরআনের আয়াতও পাওয়া যায় ইরশাদ হয়েছে,' যেদিন তাদের উপুর করে টেনে নিয়ে
যাওয়া হবে, জাহান্নামের দিকে সেদিন বলা হবে, জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন
করো।
আরো পড়ুনঃ শবে বরাতের নামাজ পড়ার নিয়ম
শীত হয়ে শোয়াও জায়েজ রয়েছে কিন্তু লজ্জাস্থান যেন প্রকাশিত না হয় সেদিকে
খেয়াল রাখতে হবে তবে ঘুমের শূন্যতা উত্তম পদ্ধতি হল ডান কাজ হয়ে সোয়া রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ডান দিকে কাত হয়ে সব সময় বিশ্রাম নিতেন।
হযরত বাবা ইবনে আজেব (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,' রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই
সাল্লাম যখন নিজ বিছানায় বিশ্রাম নিতে যেতেন তখন তিনি ডান পাশের ওপর নিদ্রা
যেতেন।' (বুখারী ৬৩১৫)
ঘুমানোর সঠিক সময় ইসলাম
ঘুমানোর সঠিক সময় ইসলামে কখন বলা হয়েছে একটি মানুষ কোন সময়ে ঘুমালে সঠিক
সময় হবে এ সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আসলে ঘুমোয় একটি ইসলামী ইবাদতের
মধ্যেই পড়ে তবে আপনি যদি ঘুমাতে চান তাহলে এশার নামাজ আদায় করে তখন ঘুমাতে
পারেন।
রাতে এশা সালাত আদায় করার পরে ঘুমিয়ে গেলে ভালো এবং নবীজি সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে এশার নামাজ আদায় করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তেন এবং
এশার নামাজ আদায় করার পর বেশি গল্প গুজব করা পছন্দ করতেন না।
আরো পড়ুনঃ শাবান মাসে বিয়ের ফজিলত
৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এই জন্য ঘুমানোর সবচেয়ে সঠিক ও
বিজ্ঞানসম্মত সময় রাত নয়টা থেকে চারটা পর্যন্ত ঘুমের জন্য দায়ী হরমোন
মেলাটোনিন রাত ৯টা থেকে নিঃসরণ হওয়া শুরু হয়। এই সময়ের মধ্যে ঘুমিয়ে যাওয়াই
সঠিক হবে ইসলামের দৃষ্টিতেও ঘুমানো তাড়াতাড়ি সঠিক এবং বিজ্ঞানের দৃষ্টি তো
তাড়াতাড়ি ঘুমানো উচিত।
এ সার ওয়াক্ত হয়ে গেলে ঘুমানোা মাকরূহ। অর্থাৎ মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ হয়ে
এশার ওয়াক্ত শুরু হলে ঘুমানো মাকরূহ। বিষয়ে ইসলামের স্কলারদের অনেকেই বলেছেন
মাগরিবের নামাজের পর মাগরিব ও এশার মধ্যবিত্ত সময় থেকে নিয়ে এশার আগ পর্যন্ত
ঘুমানো মাকরূহ। এশার নামাজ আদায় করে যত তাড়াতাড়ি পারা যাবে সেই সময়ের মধ্যে
ঘুমিয়ে যাওয়াই উচিত।
দুপুরে ঘুমানোর হাদিস
অনেকেই দুপুরের ঘুমকে অলসতা বলে মনে করেন অনেকে খুব বেশি ক্লান্ত বা অসুস্থ হলে
মানুষ দুপুরে ঘুমান এমনটা ধারণা করে অনেকে। তবে আপনি কি জানেন দুপুরের ঘুম
স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী বা কতটা অপকারি। আসলে ঘুম মানুষের শরীরকে আরাম
দেয় এই জন্য ঘুমটা সব সময়ই দরকারি হয়। যেহেতু দুপুরের ঘুম রাতের ঘুমের মতো
দীর্ঘ সময় হয়না তাই বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রকমের ধারণা করে।
আমাদের মহানবী (সা.) এর যুগেও এই ঘুমের প্রচলন ছিল আমাদের নবীজি (সা.) দুপুর
বেলা কাইলুলা করতেন। রাসুল (সা.) বলেন তোমরা দুপুরে বিশ্রাম নাও কেননা শয়তান
দুপুরে বিশ্রাম নেয় না। (সিলসিলাতুল আহাদিসিস সহিহাহ; হাদিস: ১৬৪৭; সহিহুল
জামে, হাদিস: ৪৪৩১)
আরো পড়ুনঃ আওয়াবিন নামাজ পড়ার নিয়ম
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুপুরের ঘুম সম্পর্কে উম্মে সুলায়ম
(রা.) বলেন, মহানবী (সা.) তাঁর কাছে আসতে এবং বিশ্রাম নিতেন, উম্মু সুলায়ম তার
জন্য একটা চামড়ার বিছানা বিছিয়ে দিলে তিনি তার ওপর কাইলুলা করতেন। তিনি
প্রচন্ড ঘামতেন আর উম্মু সুলাইম তা একত্র করতেন এবং সুগন্ধির বোতলে তা মিশিয়ে
রাখতেন। নবী (সা.) বলেন, হে উম্মু সুলায়ম, এ কী করছ? তিনি বলেন, আপনার ঘাম, আমি
সেটা সুগন্ধির সঙ্গে মিশিয়ে রাখি। ( মুসলিম, হাদিস: ৫৯৫১)
আসরের পর ঘুমানো নিয়ে হাদিস
কোন শরীরের ক্রান্তি দূর করে মনে প্রশান্তি আনে এবং কর্মস্থলেহা বৃদ্ধি করে
সারাদিনের ক্লান্তিতে ও শান্তিতে বিপর্যস্ত হয়ে থাকলে ঘুমের মাধ্যমে মানুষের
শরীরে উদ্দাম্য ফিরে আসে। ঘুম থেকে জেগে ফজরের নামাজের মাধ্যমে দিন শুরু হয়
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম সকলকে এই উম্মতের জন্য বরকতময় করার দোয়া
করেছেন।
তিনি বলেছেন হে আল্লাহ! আমার উম্মতের ভোরবেলাতে তাদেরকে বরকত ও প্রাচুরায্য দান
করুন। ( সুনানে তিরমিজি, হাদিস :১২১২)
আরো পড়ুনঃ ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ত
রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন তোমরা দুপুরে বিশ্রাম নাও কেননা শয়তানরা
দুপুরে বিশ্রাম নেয় না। বিকেলে বেলা আসরের পর ক্লান্ত থাকলে অথবা বিশ্রাম বা
ঘুমের প্রয়োজন হলে ঘুমানো নিষেধ নয়। সালফে সালেহীনের মধ্য থেকে কেউ কেউ বিনা
প্রয়োজনে আসরের পর ঘুমানো কে মাক্রুহ মনে করতেন।
যেমন ইমাম আহমাদ রহ. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আসরের পর ঘুমানো মাকরূহ এতে
বুদ্ধি লোক পাওয়ার আশঙ্কা আছে। (সিয়ারু আ'লামিন নুবালা ৮/১৩৬, দারুল কুতুবিল
ইলমিয়্যা) এ মর্ম একটি দুর্বল হাদিস ও পাওয়া যায়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আসরের পর ঘুমায় আর
তার বুদ্ধি কমে যায় তবে সে যেন নিজেকে তিরস্কার করে। (মুসনাদে আবি ইয়ালা ৪৮৯৭)
লেখকের মন্তব্যঃ ইসলামে ঘুমানোর সঠিক নিয়ম।কোন কোন সময় ঘুমানো নিষেধ
আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আপনাদের সামনে আলোচনার করার চেষ্টা করেছি ইসলামে
ঘুমানোর সঠিক নিয়ম এবং কোন কোন সময় ঘুমানো নিষেধ এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত
তথ্য।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে অনেক ভালো লাগলো, যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার
মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।
আরো পড়ুনঃ ২০২৪ সালের রোজা কত তারিখে
আজকের আর্টিকেল আপনার কাছে যদি তথ্যবহুল বলে মনে হলে আর্টিকেলটি সকলের মাঝে
শেয়ার করুন।এছাড়াও আপনি প্রবাসী সম্পর্কিত আরো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি
ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।কারণ আলোড়ন আইটি আপনাদের সুবিধার্থে প্রতিনিয়ত
নিত্য নতুন আপডেট আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকে।তাই সবার আগে পোস্ট পেতে আমাদের
সঙ্গেই থাকুন।আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url