অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব - শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ

প্রিয় পাঠক আপনি কি অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব এবং শুকনো কাশির কিসের লক্ষণ এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান?তাহলে আপনি আমাদের আজকের আলোচনার মধ্যে থেকেই জেনে নিতে পারবেন অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব এবং শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ সে সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব সে সম্পর্কে।
অতিরিক্ত-কাশি-হলে-কি-ওষুধ-খাব
একই সাথে আপনারা আরো জানতে পারবেন কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা, কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না এবং শুকনো কাশি কেন হয়।তাই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হলে আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।তাহলে আশা করছি আপনিও জেনে নিতে পারবেন অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব।
পেজ সূচিপত্রঃঅতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব।শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ।

উপস্থাপনা।অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব।শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ

মাঝেমধ্যে দেখা যায় অতিরিক্ত কাশি হয়ে ওঠে কিন্তু আমরা বুঝে উঠতে পারিনি এই অতিরিক্ত কাশি কিসের লক্ষণ।বা অনেক সময় বাসায় লক্ষ করলে দেখা যায় বয়স্ক মানুষরা শুকনো কাশি দেয়।শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ কিন্তু অনেকেই জানিনা তাই আজকে আর্টিকেল থেকে আমরা জানার চেষ্টা করব অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ সম্পর্কে।
একই সাথে আপনি আরো জানতে পারবেন শুকনো কাশি কেন হয়, কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা এবং কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না এমন সকল গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলোর সম্পর্কে জানতে হলে আজকের আর্টিকেল আপনাকে অতি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়তে হবে।এবারে নিচে কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানবো।

কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা

যাদের শুষ্ক কাশি বা কাশি সমস্যা হয় তারাই জানে কাশির কি পরিমাণ কষ্ট হয়। সাধারণত কাশি স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ নয় এটি একটি স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক ক্রিয়া। যা শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি সাধারণত অস্থায়ী একটি অসুখ তবে একটানা কাশি হলে বিরক্তি হতে পারে। এটি এলার্জেন, ধুলা বা দূষণের কারণে ঘটতে পারে যা শীতের সময় আরো খারাপ আকার ধারণ করে।

যদি আপনিও এমন সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আপনি প্রকৃতিক উপায় ব্যবহার করে ঘরোয়া ভাবে কাশির চিকিৎসা করতে পারেন। যা ঘরে যে কোন জিনিস দিয়ে আপনি আপনার কাছের চিকিৎসা করতে পারবেন।
যদি কারো শুষ্ক কাশির বা শীতকালে কাশির সমস্যা হয় তাহলে মধুই হল সবচেয়ে প্রাকৃতিক উপাদান বা ওষুধি যা খাওয়ার ফলে সর্দি-কাশি জ্বর সবকিছুই ভালো হয়ে যায় কারণ মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্টি মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াল বা অ্যান্টি ইনফ্লেমটারই বৈশিষ্ট্য যা গলা ব্যথা কমাতে সহযোগিতা করে। তাই যদি কারো কাশি সমস্যা হয় তাহলে কাশি নিরাময়ের জন্য চা বা হালকা গরম পানি লেবুর রস ২ চামচ ও মধু মিশিয়ে প্রতিদিন দুইবার পান করলে উপকার হবে।

লবণ পানির গড়গড়া করলেও কিন্তু গলার খুসখুসে ভাব দূর হয় এবং স্লেস মা পরিষ্কার করতে পারে একা হালকা গরম পানিতে হাফ চামচ লবণ দিয়ে কয়েকবার গড়গড়া করে গলা পরিষ্কার করে নিলে অনেকটা প্রতিকার পাওয়া যায়।

কাশির জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ হচ্ছে আদা আদা খুব সহজে কাশির সমস্যা কমিয়ে দিতে পারে তাই আদা চা বা মধু এবং কালো মরিচের সাথে আদার রস খেলে কাশি নিরাময় হয় খুব তাড়াতাড়ি তাই আদাচা পান করবেন অল্প পরিমাণে কারণ এটি আবার পাকস্থলী সমস্যা ও ডেকে আনতে পারে।

কাশির জন্য আরেকটি ঘরোয়া প্রতিকার হচ্ছে তুলসির পাতা তুলসির পাতায় মেন্থল নামক একটি যৌগ। যা কাশি দূর করতে কাজে লাগে এটি গলার ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় তুলসির পাতা সিলেট মা কমাতে সাহায্য করে। কাশি সমস্যা কমানোর জন্য দুই থেকে তিনবার গোলমরিচের চা পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
এছাড়াও কাশি হলে বিশ্রাম নিন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান শরীর উষ্ণ রাখুন। পরিমাণে পানি পান করুন পানির পাশাপাশি তরল খাবার খাওয়া যায়। গলা ব্যথা উপশমের জন্য লবণ মিশিয়ে কুসুম গরম পানির গড়গড়া করতে থাকুন দেখবেন কাশি ভালো হয়ে যায়।

কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না

যাদের অতিরিক্ত পরিমাণে কাশি সমস্যা রয়েছে এবং রীতি পরিবর্তন বা আবহাওয়া বদল এর সঙ্গে সঙ্গে শুষ্ক কাকি বা গলায় কফ জমে যায় তাদের জন্য বিরক্তি করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পারতে হলে কিছু খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে যে খাবারগুলো খেলে কাশি আরো বাড়তে পারে সে সকল খাবার না খাওয়াই ভালো।

ভাজা খাবার: অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে কারণ তেল কাশি বাড়িয়ে দেয় করা ভাজা খাবারও এই সময় এড়িয়ে চলা উচিত কারণ তা কাশিবদ্ধ গলা চুলকানির জন্য অনেক বেশি দায়ী।

অ্যালকোহল: আপনার শরীরের যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় বা শরীরের রোগ প্রতিরোধ কমিয়ে দেয় অ্যালকোহল। এই জন্য এটি শরীরের পানি শূন্যতা তৈরি করে বলে এ পানীয় ঠান্ডার সমস্যা আরও বেশি বাড়িয়ে দেয়। কাশি হলে তাই অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে।

ঠান্ডা খাবার: কাশি সমস্যার জন্য আরেকটি দায়ী হল ঠান্ডা খাবার। আইসক্রিম শীতল পানি এর মত ঠান্ডা খাবার গুলো খাওয়া ঠিক নয়। এতে শ্বাসনালী শুষ্ক করে দেয় এবং প্রদাহ তৈরি হয় কফ ও কাশি বাড়িয়ে তোলে ঠান্ডা খাবার।

প্রক্রিয়াজাত খাবার : অনেকেই খাবার তৈরি করার অলসতায় প্রক্রিয়াজাতিত খাবার খাওয়া ভালো মনে করেন। কিন্তু এটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং শরীরে সুস্বাস্থ্য রক্ষার ব্যবস্থার উপরও প্রভাব ফেলে। যেমন সাদা পাস্তা, সাদা রুটি, চিপস, প্যাকেট জাত নাস্তার, মত খাবার কাশির সময় অবশ্যই বাদ দিয়ে রাখতে হবে।

ক্যাফেইযুক্ত পানি: যদি আপনার কাশি সম্মোসা লেগেই থাকে তাহলে আপনাকে ক্যাফিইযুক্ত পানিও এড়িয়ে চলতে হবে বিশেষ করে কফি কাশির সময় কফি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ গলা শুকিয়ে ফেলে এই কফি এতে কোন কিছু গিলতে আরো বেশি সমস্যা হয়।

অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব

অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আসলে অতিরিক্ত কাশি হলে যখন বিরক্তিকর সময় পার হয় এবং এই কাশি সয্যের বাইরে হয়ে গলার ব্যথায় পরিণত হয়। তখন মনে হয় যে ওষুধের মাধ্যমে কাশি ভালো করতে হবে। কারণ অতিরিক্ত কাশির ফলে কোন কাজে স্বস্তি মেলে না সব কাজের মধ্যে অস্বস্তি সমস্যা তৈরি হয়। তাই অতিরিক্ত কাশি হলে যে ওষুধ খেতে হবে তার নাম নিচে দেওয়া হল :
  • Keto A 100
  • Sendo 5mg
  • Ambrox 75SR
  • Fexo 120
  • Encilor 10mg
  • Klarix
  • Brolyt 3mg
  • Askorel SR 50mg
  • Axodin 180
যদি কাশি হয়ে থাকে তাহলে অবসর ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে যে কোন ওষুধ খেতে হবে। তবে এই কয়েকটি ওষুধ যেগুলো ভালো কোম্পানির আপনারা এগুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন। এর পরের অনুচ্ছেদে আমরা জানব শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ।

শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ

শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন আসলে শুকনো কাশি ঠিক কিসের জন্য হয় এটা আগে জানতে হবে কাশি হলেই যে আপনাকে এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হবে এমন কিন্তু নয় খুশখুসে কাশির শুষ্ক কাশি বুকে কবজমার এ ধরনের সমস্যার জন্য আপনারা কিন্তু ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেও সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
দীর্ঘদিন ধূমপানের জন্য কাশি হয় দীর্ঘদিন তামাক দ্রব্য ব্যবহারের ফলে ধূমপানের কারণে শ্বাসনালী ও ফুসফুসে যে সমস্ত রাসায়নিক প্রবেশ করে। তার থেকে মুক্তি পেতে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া করে যার ফলে শুষ্ক কাশি দেখা দেয়। কাশি হওয়ার নানা কারণ রয়েছে অতিরিক্ত গরম ধুলোবালি, ঋতু পরিবর্তনে সময়, ঠান্ডা লেগে কাশি হতে পারে।

অতিরিক্ত গরমে গা ঘেমে ঠান্ডা জ্বর ও কাশি হতে পারে যা বর্তমান সময়ে বেশি হচ্ছে শুকনো কাশি।শুকনো কাশি হলে গা ঘামা থেকে গোসল করা উচিত নয় হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হতে পারে। এই কাশি থেকে তাই এ সকল সমস্যা হলে অবশ্যই ঘরোয়া ভাবে চিকিৎসা করা উচিত।

দূষণ ধুলোবালি যক্ষা হাঁপানি ফুসফুসে সংক্রমণ ইত্যাদির কারণে শুষ্ক কাশি হতে পারে। যেহেতু এখন শীতকাল তাই দূষণ বেশি সেখান থেকে এই শুকনো কাশির সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত দুই ধরনের কাশি হয় একটি শ্লেষ্মাযুক্ত এবং অন্যটি শুকনো কাশি।

শুকনো কাশি কেন হয়

কাশি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রোগ অনেকের অনেক ধরনের কাশি হয় তবে কাশির কারণে সকল সমস্যার সমাধান করতে হবে এই জন্য ঘরোয়া উপায় ও কাশির জামাই করতে পারেন যাদের কাশির সমস্যা তারা অবশ্যই জানতে হবে কি কারনে কাশি হয় কারণ কাশি হওয়ার কারণ কি সেটা না জানলেও কিন্তু সমস্যা অনেকের শুকনো কাশি হয় কিন্তু কেন হয় এই কাশিটি।

কাশি হওয়ার নানা কারণ রয়েছে অতিরিক্ত গরম ধুলোবালি ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা লেগে কাশি হতে পারে। অতিরিক্ত গরমে গা ঘেমে ঠান্ডা জ্বর কাশিও হতে পারে যা বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি হয় শুকনো কাশি সেই সময়ই বেশি দেখা দেয়। শুকনোকাশি, গলা খসখসে কাশি হয় হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার জন্য কাশি হতে পারে।
দীর্ঘদিনের ধূমপানের অভ্যাস থাকলেও কাশি হয়। আবার অনেকের দীর্ঘদিন ধরে তামাক দ্রব্য ব্যবহারের ফলে ধূমপান কারীদের শ্বাসনালী ও ফুসফুসের যে সমস্ত রাসায়নিক দ্রব্য প্রবেশ করে তার থেকে মুক্তি পেতে শরীর স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া করে। যার ফলে শুকনো কাশি দেখা দেয়। এই কাশিগুলোর জন্য আমরা নিজেরাই দাঁড়িয়ে যেহেতু শুকনো কাশি গুলো আমাদের নিজেদের ভুলগুলোর কারণে অজান্তে হয়ে থাকে সেই জন্য এই কাশি গুলো থেকে রেহাই পেতে ঘরোয়া প্রতিকার কি করে মুক্তি পেতে পারে ।

লেখকের মন্তব্যঃ অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব। শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব এবং  শুকনো কাছে কিসের লক্ষণ এ বিষয় সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য আশা করছি আজকের আর্টিকেল আপনারা অনেক ভালো লেগেছে।
আমাদের আজকের আর্টিকেল যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার মূল্যবান মতামতটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।এছাড়াও আপনি যদি নিত্য নতুন আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে রাখুন আজকের আর্টিকেল এ পর্যন্ত আবার দেখা হবে কথা হবে অনেকগুলো টপিক নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url