কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত ইসলামী ব্যাখা জানুন
প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আপনি কি কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত এবং দক্ষিণ
দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো ইসলাম কি বলে এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আপনি
আজকের আর্টিকেলের ভিতরে জানতে পারবেন কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত এবং দক্ষিণ
দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো ইসলাম কি বলে সে সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।
সেই সাথে আপনি ফজরের পর ঘুমালে কি কি ক্ষতি হয় এবং দিকে কাত হয়ে ঘুমানো ভালো
ইসলাম কি বলে ও ফজরের নামাজের কতক্ষণ পর ঘুমানো যায় এমন সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
সম্পর্কে জানতে পারবেন তাই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে
কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত এবং দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো ইসলাম কি বলে
সে সম্পর্কে জেনে নিন।
আর্টিকেল সূচিপত্র:কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত।দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে
ঘুমানো ইসলাম কি বলে
ভূমিকা।কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত।দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো ইসলাম কি বলে
প্রিয় পাঠক আপনি আজকের আর্টিকেলের ভেতর থেকে যা জানতে চেয়েছেন তা আমরা আজকের
আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করতে চলেছি কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত এবং দক্ষিণ
দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো ইসলাম কি বলে সে সম্পর্কে যাবতীয় সকল সঠিক তথ্য।
মাথা এবং পা দিয়ে ঘুমানোর জন্য ইসলামের কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো আমাদের
প্রত্যেক মুসলমান ব্যক্তির জন্য মেনে চলা উচিত।বর্তমান সময়ে মানুষ কোন দিকে মাথা
দিয়ে এবং পা দিয়ে ঘুমানো উচিত এ বিষয়ে কোন চিন্তাভাবনা করেন না।আবার অনেকেই
ইসলামের সঠিক নিয়মে চলার জন্য কোন দিকে মাথা এবং পা দিয়ে ঘুমানো উচিত এ বিষয়
সম্পর্কে জানতে অনলাইনে সার্চ করে থাকেন।
আরো পড়ুনঃইসলামে ঘুমানোর সঠিক সময়
তাই আপনাদের সুবিধার্থে সঠিক তথ্যটি পৌঁছে দিতে আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা অনেক
সুন্দর ভাবে আলোচনা করতে চলেছি কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত এবং দক্ষিণ দিকে
মাথা দিয়ে ঘুমানো ইসলাম কি বলে, ফজরের নামাজের কতক্ষণ পর ঘুমানো যায়, ফজরের পর
ঘুমালে কি কি ক্ষতি হয় এমন সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি
সম্পূর্ণ পড়ে জেনে নেব।আশা করছি আপনি অনেক উপকৃত হবেন তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ
পড়তে থাকুন।
দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো ইসলাম কি বলে
আসসালামু আলাইকুম দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো ইসলামে কি বলে আপনারা কি জানেন
যারা দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য আজকে আমাদের এই
প্রতিবেদনে দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো ইসলামে কি বলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হবে।
পশ্চিম দিকে পা দেওয়া ব্যতীত যেকোনো দিকে মাথা বা পা দিয়ে ঘুমানো জায়েজ। এতে
কোন প্রকারের বিধি নিষেধ নেই কারো যদি কাবার দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে পা লম্বা করা
মাকরূহ। ঘুমন্ত বা জাগ্রত অবস্থায়। তাই আপনারা যদি দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে
ঘুমাতে চান? তাহলে আপনাদের জন্য কোন সমস্যা নেই কিন্তু আপনারা পশ্চিম দিকে পা
দেয়া ব্যতীত যেকোনো দিকে মাথা দিয়ে ঘুমাতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ সংসারে অশান্তি দূর করার দোয়া
এছাড়াও দক্ষিণ পশ্চিম দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করলে তা থেকে মিলবে
এনার্জি তাই এই দিকে মাথা দিয়ে ঘুমের অভ্যাস করলে মিলবে সুফল কিন্তু বিজ্ঞান
এতসব যুক্তি মানে না পড়তে চুম্বকীয় ক্ষেত্রে মানব শরীরের কোন প্রভাব নেই বলে
দাবি বিজ্ঞানীদের।
উত্তর দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানোর জন্য সমস্যা হয়েছে কোন পরীক্ষাতেই তা ধরা পড়েনি।
তাই বিজ্ঞানীদের পরামর্শ যেভাবে ঘুমালে আরাম বোধ হয় সহজে ঘুম আসে সেভাবেই ঘুমানো
উচিত। তবে ইসলামে বলা হয়েছে পশ্চিম দিকে পা দেওয়া ব্যতীত অন্য যেকোনো দিকে পা
দিয়ে ঘুমানো জায়েজ।
কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত
ইসলাম আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে চলার পথে শিক্ষাদান করে গিয়েছে ইসলামে
থেকে আমরা সকল গুনগুলো জানতে পেরেছি আমাদের জীবনে চলার পথের দিকনির্দেশনা দিয়ে
গেছে ইসলামে। কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত এই নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধাদ্বন্দ্ব
রয়েছে যে ইসলামে কি বলা হয়েছে কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত সে সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে
আসলে আচারময়ূখ পুস্তক অনুযায়ী উত্তর দিকে পা করে ঘুমালে শান্তি স্বাস্থ্য সমৃদ্ধ
ধন ও আয়ু লাভ করা যায় পশ্চিমে পা রেখে ঘুমানো ইসলামে জায়েজ । তাই পশ্চিম দিক
ব্যতীত যেকোনো দিকে পা দিয়ে ঘুমাতে পারবেন। পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো জায়েজ
আছে কারণ পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কুরআনে কিংবা হাতিশে কিছু
আসেনি কোন রকমের হারামের কথা।
যেহেতু কোন কিছু আসেনি সেহেতু পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো জায়েজ এটা নিয়ে কোন
সন্দেহ নেই কোন বাধা নেই তবে ইসলামের প্রতিটি পবিত্র গ্রন্থই পশ্চিম দিকে রেখে
নামাজ পড়া থেকে শুরু করে কোরআন তেলাওয়াত করা হয় যার কারণে সেই দিকে পা দিয়ে
না ঘুমানো উচিত।
ফজরের পর ঘুমালে কি কি ক্ষতি হয়
ফজরের পর ঘুমালে কি কি ক্ষতি হয় আপনারা কি জানেন যারা ফজরের পরও ঘুমিয়ে থাকে
তাদের জন্য কিন্তু এটি ক্ষতিকর দিক কারণ ফজরের পর ঘুমালে নানা রকমের ক্ষতি হতে
পারে। দিনভর কর্ম ক্লান্তির পর রাতের নীরবতায় আল্লাহ তা'আলা মানুষের জন্য ঘুমের
আয়োজন করেছে শুধু শরীরের প্রয়োজন ছাড়াও হাজারো উপকারিতা রয়েছে ঘুমে।
ঘুম মানুষে চিন্তা পেরেশানি দূর করে অন্তর মস্তিষ্ক কেমন ভাবে স্বস্তি ও শান্তি
প্রদান করে যার বিকল্প পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। সারাদিনের ক্লান্তি
শ্রান্তিতে বিপর্যয় হয়ে রাতে ঘুমানোর পর সকালে আবার এনার্জি ফিরে এসে।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সারা জীবনের আমল তিনি সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে এবং
এশার নামাজের পর না ঘুমিয়ে গল্প আড্ডা দেওয়া পছন্দ করতেন না। আয়েশা (রা.)
বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম, এশার নামাজের আগে ঘুমানো এবং তারপর ৯০০
আলাপ করেননি।( ইবনে মাজাহ ৭০২)
আরো পড়ুনঃ শবে বরাতের নামাজ পড়ার নিয়ম
ফজরের নামাজের পর সকালের ঘুম জীবন জীবিকার বরকত নষ্ট করে দেয়। দিনের শুরুটা ঘুমে
কাটতে যাওয়ার ফলে দিন সংকীর্ণ হয়ে যায়। কাজে সময় ও পরিধি কমে যায় পক্ষান্তরে
ফজরের নামাজ আদায় করে কোরআন তেলাওয়াত এবং ইশরাকের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে দিনের
কার্যক্রম শুরু করলে মহান আল্লাহতালা দ্বীনের জন্য বান্দার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
ফলে দিনটি হয়ে ওঠে বরকতময়। সাখর আল-গামিদি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন,
'হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে ভোরের বরকত দান করুন'। তিনি কোন ক্ষুদ্র বা বিশাল
বাহিনীকে কোথাও প্রেরণ করলে দিনের প্রথম ভাগে প্রেরণ করতেন। তাই ফজরের পরে ঘুমালে
নানা রকমের ক্ষতি হতে পারে বরকত নষ্ট হতে পারে এই জন্য প্রতিটি মুমিন ব্যক্তির
উচিত ফজরের পরে না ঘুমানো।
কোন দিকে কাত হয়ে ঘুমানো ভালো ইসলাম
যারা কোন দিকে কাজ হয়ে ঘুমানো ভালো ইসলাম জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য সুখবর দান
তাতে সোয়া ইসলামে সবচেয়ে ভালো বলা হয়েছে। যারা ডানদিকে কাত হয়ে ঘুমান তাদের
জন্য অনেক ভালো কারণ দান কাতে শোয়া ইসলামের সব ভালো কাজে দান কে প্রাধান্য দিতে
বলা হয়েছে। তাই ঘুমের জন্য আপনি ডান দিক থেকে শুরু করে ঘুমানো উত্তম।
চিকিৎসকদের মতেও কিন্তু ডান কাতে হয়ে ঘুমালে আমাদের হৃদপিণ্ড, পাকস্থলী ও ফুসফুস
ইত্যাদির অবস্থান স্বাভাবিক থাকে। এছাড়াও বাঁকাত হয়ে ঘুমানোর চেয়ে ডান কাত
হয়ে ঘুমানোর উপকারিতা ও নানা দিক থেকে বেশি হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম
ঘুমের অন্যতম প্রধান সুন্নত হলো দানকার্ড হয়ে রাসুল সাঃ ভালো ও তুলনামূলক উত্তম
কাজকে ডানদিকে প্রধান্য দিতেন। তিনি ডান দিকে কাঠ হয়ে সবসময় বিশ্রাম গ্রহণ
করতেন হযরত বারা ইবনে আযেব (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, 'রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন
নিজ বিছানায় বিশ্রাম নিয়ে যেতেন তখন তিনি ডান পাশের ওপর নিদ্রায় যেতেন।
'(বুখারী ৬৩১৫)
ফজরের নামাজের কতক্ষণ পর ঘুমানো যায়
ফজরের নামাজের কতক্ষণ পর ঘুমানো যায় আপনারা জানতে চেয়েছেন যারা ফজরের নামাজের
পর ঘুমাতে যান তাদের জন্য জেনে রাখা দরকার ফজরের নামাজের কতক্ষণ পর ঘুমানো যায়।
রাত দশটা থেকে ফজর পর্যন্ত সময়টা ঘুমের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত এবং ফজরের সময় থেকে
মানুষের দেহের কোষগুলো সচল হয়ে ওঠে।
এই সময় অলস হয়ে শুয়ে থাকা স্বাস্থ্যের জন্যও সুখবর নয় এবং আপনার রিজিকের
জন্যও ভালো নয়। ফজরের নামাজের পর আর ঘুমানোর কোন নিয়ম নেই। এতে আপনার বরকতগুলো
নষ্ট হয়ে যায় আল্লাহ তায়ালা ফজরের নামাজের পর প্রতিটি মুমিন ব্যক্তিকে তার
রিজিকের জন্য বেরিয়ে যেতে বলেছে এবং তার নিজের রিজিকের ব্যবস্থা করতে বলেছেন।
আরো পড়ুনঃ রজব মাসের ফজিলত ও আমল
যা বরকতময় হয়ে ওঠে যারা ফজরের পর রিজিকের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ফজরের নামাজের পর
ঘুমানো অনেকের অভ্যাস আবার অনেকে এমন আছে যারা ঘুমের কারণে ফজরের নামাজও পড়তে
পারেনা ফজরের নামাজের পর ঘুম নিয়ে অনেক আলোচনাও রয়েছে। ফজরের নামাজের পর কোরআন
তেলাওয়াত জিকির আসকারা শেষ করে বের হতে হবে এটাই ইসলামের শিক্ষা।
সুতরাং সকল জীবন এবং উন্নতির জন্য সকালে ঘুমের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এই জন্য
এশার নামাজের পর তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যেতে হবে অহেতুক গল্প গুজব করা থেকে বিরত
থেকে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যেতে হবে। আর ফজরের নামাজ আদায় করে কোরআন
তেলাওয়াত জিকির আস্কার করে নিজের রিজিকের উদ্দেশ্যে বাইরে বের হতে হবে।
হালাল রিজিক অন্বেষণের জন্য বেরিয়ে পড়তে হবে। প্রত্যেকটি ফজরের পরে বরকতময়
সময়টাকে সৎ ভাবে কাজে লাগানো এবং হযরত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামের প্রতিটি সুন্নত সঠিকভাবে আদায় করার তৌফিক দান করুক।(আমিন)
শেষ কথা।কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত।দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো ইসলাম কি বলে
প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনাদের সামনে আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি
কোন দিকে পা দিয়ে ঘুমানো উচিত এবং দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো ইসলাম কি বলে
সে সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে অনেক
ভালো লেগেছে কেমন লেগেছে তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে
দিন।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে
ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ শাবান মাসে বিয়ের ফজিলত
আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা যতটুকু জানতে পারলাম তাই ইসলামের আলোকে আলোচনা করা
হয়েছে। আমরা সকলে ইসলামে সঠিক নিয়ম গুলো সঠিকভাবে আদায় করার চেষ্টা করব
ইনশাল্লাহ।এছাড়াও আপনি যদি ইসলামিক আরো তথ্য সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের
ওয়েবসাইটি ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন। আলোড়ন আইটি সর্বদা নিত্য নতুন আপডেট
আর্টিকেল পাবলিশ করে।সবার আগে আর্টিকেল পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন আজ এই পর্যন্ত
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url