কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন কে - শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
প্রিয় পাঠক আপনি কি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন কে এবং শহীদ মিনার
সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য কেননা
এই আর্টিকেলের ভিতরে আলোচনা করতে চলেছি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন কে
এবং শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য। তাই আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এখনি
জেনে নিন শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন কে সে সম্পর্কে।
প্রথম শহীদ মিনার উদ্বোধন করা হয় কত তারিখে,শহীদ মিনারের স্তম্ভ কয়টি এবং শহীদ
মিনারের স্থপতি কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারবো।সে ক্ষেত্রে
আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নেব কেন্দ্রীয়
শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন কে এবং শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য।
পোস্ট সূচিপত্রঃকেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন কে এবং শহীদ মিনার সম্পর্কে
১০ টি বাক্য
ভূমিকাঃ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন কে।শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
আজকের আর্টিকেলের ভিতরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উৎপাদন করেন কে এবং শহীদ মিনার
সম্পর্কে দশটি এ বিষয় সম্পর্কে আমরা তুলে ধরেছি কারণ আপনারা জানতে চেয়েছেন।তাই
আপনাদের সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেলের ভিতরে অনেক সুন্দর ভাবে আলোচনা করা হবে
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সম্পর্কে।একই সাথে আজকের আর্টিকেলে আমরা শহীদ মিনার
কেন্দ্রিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানবো।
আরো পড়ুনঃ
লিপ ইয়ার কিভাবে বের করে
প্রথম দিনের উদ্বোধন করা হয় কত তারিখে, শহীদ মিনারের স্থপতি কে, শহীদ মিনারের
স্তম্ভ কয়টি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন কে এবং শহীদ মিনার সম্পর্কে
দশটি বাক্য আজকের আর্টিকেলের ভিতরে তুলে ধরা হয়েছে। তাই এমন গুরুত্বপূর্ণ
প্রশ্নগুলো মিস করতে না চাইলে ঝটপট জেনে নিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন
কে সে সম্পর্কে সকল তথ্য।
শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
বাংলাদেশের শহীদ মিনারে হাই শহীদ মিনারে করা হয়েছে এটি জাতীয় স্মৃতি স্তম্ভ। যা
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলা ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের
স্মরণে তৈরি করা হয়েছে। যারা ১৯৫২ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব
পাকিস্তান একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটায় এদের কি ওপর চাপিয়ে দেয় উর্দু ভাষাকে
কিন্তু আমাদের বাংলা ভাষায় ছিল মাতৃভাষা।
আরো পড়ুনঃ ফ্রেব্রুয়ারি মাসের দিবস সমূহ
এই জন্য আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালিরা তাদের মাতৃভাষা বাংলা ছিনিয়ে নিয়ে আসে এবং
যার ফলস্বরূপ অনেক নৃশংস ভাবে দমন নিপীড়নের শিকার হতে হয় প্রতিবাদের যারা
আন্দোলন করেছে। এই আন্দোলনে শিকার হয়ে অনেকজন নিহত হয়েছে তাদের স্মরণেই শহীদ
মিনারটি তৈরি করা হয়।
চলুন জেনে আসি শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য যা সকলের জেনে রাখা দরকার।
- শহীদ মিনার বাংলাদেশের একটি জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ।
- ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষা আন্দোলনের ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মাণ করা হয়েছিল
- শহীদ মিনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাছে অবস্থিত।
- প্রথম শহীদ মিনারটি ১৯৫২ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারি ঘটনার পরপরই নির্মাণ করা হয়েছিল কিন্তু পাকিস্তানি পুলিশ ও সেনাবাহিনী কয়েকদিনের মধ্যে এটি ভেঙে ফেলে।
- শহীদ মিনার বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং ভাষাগত অধিকারের সংগ্রামের প্রতীক।
- এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য এবং সারা বিশ্বের বাঙ্গালীদের জন্য একটি তীর্থস্থান।
- রফিক, বরকত, জব্বর ও নিরীহ ছাত্রদের নির্মমভাবে হত্যা করা বিভিন্ন ছাত্রদের স্মরণে তৈরি করা হয় শহীদ মিনার।
- প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উদযাপন করা হয় শহীদ মিনারে সকলে ফুল নিয়ে আসে তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে।
- একুশে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে পাকিস্তানী পুলিশে বাংলা ভাষার জন্য সমান মর্যাদা দাবিতে বাঙালি বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালায় বেশ কয়েকজন ছাত্র ও কর্মীকে হত্যা করে।
- মার্বেল দিয়ে তৈরি স্মৃতিস্তম্ভের কেন্দ্রীয় টাওয়ারটি লম্বা এবং বিভিন্ন ভাস্কর্য এবং শিলালিপি দ্বারা তৈরি।
প্রথম শহীদ মিনার উদ্বোধন করা হয় কত তারিখে
প্রাণের শহীদ মিনার ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রাঙ্গণে অবস্থিত আমাদের জাতীয় শহীদ
মিনার। মেডিকেল কলেজের প্রাঙ্গণে অবস্থিত শহীদ মিনারটি ১৯৫২ সালে একুশে
ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের উপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে অনেকজনকে শহীদ করেন। তাদেরকে
শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের জন্য শহীদ মিনার তৈরি করা হয়।
তাদের স্মরণে খুব দ্রুত ২৩শে ফেব্রুয়ারি বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা
নির্মাণ করে। একটি স্মৃতিস্তম্ভ যা ছিল আমাদের প্রথম শহীদ মিনার। এই শহীদ মিনারটি
ছিল ১০ ফুট উঁচু এবং ছয় ফুট চওড়া। নকশা করেছিলেন বদরুল আলম সঙ্গে ছিলেন সাইদ
হায়দার। শহীদ মিনার তৈরীর কাজে তদারকি করেন জিএস শরিফুদ্দিন।
আরো পড়ুনঃ
একুশে ফ্রেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
দুজন রাজমিস্ত্রির সাহায্যে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করেন তারা ২৪ শে ফেব্রুয়ারি
সকালে ভাষা শহীদ শফিউর এর বাবা অনানুষ্ঠানিকভাবে এই শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করে পরে
২৬ শে ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন আবুল কালাম
শামসুদ্দিন। কিন্তু সেদিনই পুলিশ শহীদ মিনারটি ভেঙে দেয় পরে ঢাকা কলেজের সামনে
আবার একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল কিন্তু সেটিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন কে
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য এবং শ্রমিকদের স্মৃতি বিজড়িত করে রাখার
জন্য তাদের জন্য শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। কিন্তু শহীদ মিনার তৈরি করার পরে
পাকিস্তান হানাদার বাহিনীরা আমাদের শহীদ মিনার বারবার গুঁড়িয়ে দেয়। কিন্তু
অবশেষে যখন শহীদ মিনার তৈরি করা হলো তখন সেই শহীদ মিনারটি এখন পর্যন্ত দাঁড়িয়ে
রয়েছে।
আমাদের দেশের রাজধানী ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রাঙ্গণে। আমাদের ভাষা শহীদের স্মৃতি
ও স্মরণ করার উদ্দেশ্যে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়েছে।১৯৫৭ সালে নভেরা আহমেদ ও
হামিদুর রহমানের তত্ত্বাবধায় এনে চূড়ান্ত নকশা তৈরি করে শুরু করা হয় শহীদ
নির্মাণের কাজ। এরপর ১৯৬৩ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ আবুল বরকতের মা হাসিনা
বেগম শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন।
আরো পড়ুনঃ
বিজয় দিবস সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
সেই থেকে এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গনে গৌরবের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে
আছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। বাঙালি জাতির কাছে উজ্জ্বল করে রেখেছে ভাষা শহীদদের
আন্দোলনের গৌরবময় আমাদের ইতিহাস। প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদদে স্মরণে
শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। এই শহীদ মিনারে এসে শহীদদেরকে ফুল দেওয়ার মাধ্যমে
তাদেরকে গভীরভাবে স্মরণ করা হয়।আশা করছি আপনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন কে তা সম্পর্কে সুন্দরভাবে জানতে পেরেছেন। এবারে জানবো শহীদ মিনারের স্তম্ভ কয়টি সে সম্পর্কে।
শহীদ মিনারের স্তম্ভ কয়টি
বাংলাদেশের বর্তমান শহীদ মিনারে শহীদ মিনারের কেন্দ্রীয় মোট পাঁচটি স্তম্ভ
রয়েছে মাঝখানে স্তম্ভটি সবচেয়ে উঁচু এবং উপরের অংশটি সামনের দিকে নোয়ানো। এই
উঁচু স্তম্ভটি দুই পাশে সমান ছোট বড় আরো চারটি স্তম্ভ রয়েছে মনে করা হয়।
অতন্দ্র প্রহরী চার সন্তানকে নিয়ে মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন মা পিছনে উদীয়মান লাল
টকটকে সূর্য অর্থাৎ মাতৃভাষার অধিকার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে যেমন অকাতরে
জীবন দিয়েছিলেন রফিক, জাব্বর, সালাম, বরকত।
তেমনি মাতৃভূমি সর্বভৌমত্ব আর মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় মায়ের পাশে এখনো
অতন্ত্র প্রহরায় তার সন্তানেরা আর পেছনে লাল সূর্যটা স্বাধীনতা নতুন দিনের
অন্ধকার দূর করে আলোর প্রতীক।ভাষা সংগ্রামী ও বিশিষ্ট লেখক প্রবন্ধ আহমেদ রফিকের
ভাষায়, শহীদ মিনার এখন শুধু ভাষা শহীদদের আন্দোলনের স্মৃতি নয় আমাদের
অনুপ্রেরণা ও অনন্ত উৎস। পবিত্র বেদির কাছে এসে সব ধরনের অন্যায়, অবিচার, জুলুম,
নির্যাতন, সম্প্রদায়িকতা, ধর্মবন্ধতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শপথ
নেওয়া পবিত্র স্থান।
শহীদ মিনারের স্থপতি কে
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার যেটা ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রাঙ্গণে অবস্থিত এই
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থপতের নাম হামিদুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়
অবস্থিত ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত এই মহান স্থাপনাটি উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউর
রহমানের পিতা মাহবুবুর রহমান। ২৪ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে শহীদ মিনার উদ্বোধন
করা হয়।
একুশের রাতে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয় রাজশাহী কলেজ চত্বরে। ঢাকার
নির্মিত প্রথম শহীদ মিনারটিতে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের সামনে
যে স্থানে পুলিশ গুলি বর্ষণ করেছিলেন সেই স্থানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা
শহীদ মিনার নির্মাণ করেছিলেন। শহীদ মিনারটি ডিজাইন করেছিল ডক্টর বদরুল আলম।
শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউরের পিতা মৌলভী মাহাবুর রহমান ২৪ শে
ফেব্রুয়ারি। বর্তমানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয়
ডিজাইনার হামিদুর রহমান এবং এই শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন শফিকের মা হাসিনা বেগম।
২০১০ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের
দ্বিতীয় তলায় ভাষা আন্দোলনের জাদুঘর উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশের বৃক্ষ
চিত্রশিল্পী হামিদুর রহমান মোহন ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত শহীদ মিনারের
স্থপিত হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন।
শেষ কথাঃকেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন কে।শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে জানতেও
বুঝতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন কে এবং শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য এছাড়াও শহীদ মিনারের স্থপতি কে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা জানতে
পেরেছি।
আশা করছি আজকের আর্টিকেল আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং তথ্যবহুল বলে মনে
হয়েছে।যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে
শেয়ার করুন।
আরো পড়ুনঃ
সুন্দরবন দিবস সম্পর্কে ১৫ টি বাক্য
এছাড়াও আপনি যদি নিত্য নতুন আপডেট আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট
ভিজিট করে রাখুন এবং শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।আজ এ পর্যন্তই সবাই ভালো
থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url