গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন 2024 [সর্বশেষ আপডেট]

আপনি কি গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন 2024 এবং গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় ক্লিক করেছেন কারণ আজকের আর্টিকেলের ভিতর থেকে আপনি জানতে পারবেন গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন 2024 এবং গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন 2024 সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
গর্ভবতী-ভাতা-অনলাইন-আবেদন-2024
একই সাথে আমরা আজকের আর্টিকেল থেকে আরো জানবো অনলাইনে গর্ভবতী ভাতা কত টাকা দেয়, গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে এবং মাতৃকালীন ভাতা ভোগী হওয়ার শর্তাবলী সম্পর্কে।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন।তাই আপনি যদি গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন 2024 এবং গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে।তাই চলুন দ্রুত জেনে নেওয়া যাক গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন 2024 সম্পর্কে।
পোস্ট সূচীপত্রঃগর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন 2024।গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার নিয়ম

উপস্থাপনাঃগর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন ২০২৪।গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার নিয়ম

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকার বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতার, পাশাপাশি গর্ভকালীন ভাতা ও প্রদান করছে।অনেকেই দারিদ্রতার কারণে গর্ভকালীন সময়ে নানারকম সমস্যায় পড়তে হয়।তাই বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে গর্ভবতী ভাতা সকল নারীদের মাঝে পৌছাই দিচ্ছেন।

কিন্তু অনেকেই গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন 2024 এবং গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার নিয়ম প্রক্রিয়া সম্পর্কে না জানার কারণে গর্ভবতী ভাতা পায় না।সেজন্য আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আমরা অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের জানিয়ে দিবো গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন 2024 এবং গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে।
আপনারা যারা গর্ভবতী ভাতা পেতে চান কিন্তু আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানেন না।সে সকল ভাই ও বোনদের জন্য আজকের আর্টিকেল।আপনারা এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন 2024 এবং গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন 2024

আপনারা যারা গর্ভবতী ভাতা অনলাইনে আবেদন করতে ইচ্ছুক এবং যারা গর্ভবতী ভাতা অনলাইনে আবেদন করার জন্য আগ্রহী তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে অনলাইনে তালিকা প্রকাশের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও সেটি করা হয় না। আপনারা গর্ভবতী ভাতা অনলাইনে আবেদন করার জন্য এই সকল তথ্যপূরণ করবেন নিচে তার একটি নমুনা দেওয়া হল।
(ছবি)**

গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম

আপনার অবশ্য গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে হলে সঠিক নিয়মে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করবেন। এখন খুব সহজে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করা যাচ্ছে আপনারা খুব সহজে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।অনলাইনের মাধ্যমে যেখানে আপনার সকল তথ্য ও ডকুমেন্ট দিলে গর্ভবতী ভাতা পাবেন আপনিও।
মাতৃকালীন ভাতা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি সেবা প্রকল্প এটি তবে সকল গর্ভধারণকালে মা এই ভাতা পাবে না তার জন্য প্রয়োজন কিছু শর্ত বালি পূরণ হলে মাতৃকালীন ভাতা আপনিও পাবেন।
অনলাইনের মাধ্যমে মাতৃকালীন ভাতার আবেদনের জন্য প্রথমে আপনাকে (http://103.48.16.6:8080/LM-MIS/applicant/onlineRegistration)এই লিংকে যেতে হবে এবং এখানে ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা, আর্থ-সামাজিক অবস্থা তথ্য, ছবি ও স্বাক্ষর আপলোড করে। অনলাইনে আবেদন করতে হবে অনলাইনে আবেদন প্রতি মাসে ১ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে করতে হবে।
মাতৃকালীন ভাতা ২০২৪ ও ২০২৫ সালের জন্য অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়াটি নিচে ধাপে ধাপে দেখানো হলো।
ধাপ: আবেদনকারীর ব্যাক্তিগত তথ্য
প্রথমে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে মাতৃকালীন ভাতার অনলাইন আবেদনের লিংক 
এই লিংকে ভিজিট করুন তারপর আপনার সামনে একটি আবেদন ফরম ওপেন হবে। আপনি কোন অর্থবছরের আবেদন করছেন তা নির্বাচন করে নিন তারপরে আবেদনকারী জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার দিন। এবার মাতৃকালীন মায়ের নাম বাংলা ও ইংরেজিতে লিখে পিতার নাম, মাতার নাম ও স্বামীর নাম লিখতে হবে।
গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন 2024

তারপর নিচের ছবির মতো ব্যাট নং এ চলমান অর্থবছর সিলেক্ট করে দিন এবার আপনার ডাকনাম, জন্মস্থান, ধর্মীয় তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, রক্তের গ্রুপ ও বৈবাহিক অবস্থা পূরণ করুন। প্রবাসী বাংলাদেশী হলে এনআরবি এই অপশনটিতে টিক দিন। আপনি যদি অন্য কোন সরকারি ভাতা পেয়ে থাকেন তাহলে অন্য কোন কর্মসূচির ভাতা ভোগী কি এই বক্সে টিক দিন।
ধাপ ২: বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা
আপনার বর্তমান ঠিকানা তথ্য ও ধাপে ধাপে ফিলাপ করুন নিচে স্থায়ী ঠিকানা যদি বর্তমান ঠিকানার মত একই হয় তাহলে খালিঘর টিতে ক্লিক করুন অন্যথায় ঠিকানা পূরণ করুন।
গর্ভবতী-ভাতা-অনলাইন-আবেদন-2024

ধাপ ৩: আর্থ-সামাজিক তথ্য
এখানে আপনার পরিবারের আয়ের উৎস সিলেক্ট করতে হবে তারপর মাসিক আয় এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা বা তার কম দিতে হবে গর্ভধারণকালীন প্রতিবন্ধী কিনা এবং বাসস্থান আছে কিনা তা সিলেক্ট করুন।
গর্ভবতী-ভাতা-অনলাইন-আবেদন-2024

কৃষি জমি পুকুর আছে এই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্যই না হতে হবে এখানে আপনার বয়স আইডি কার্ড অনুসারে দেওয়া থাকবে তারপর গর্ভধারণ ক্রমে কততম সন্তান সিলেক্ট করুন এখানে প্রথম বা দ্বিতীয় সন্তান দিতে পারেন।
ধাপ ৪: পেমেন্টের তথ্য
আপনি কিভাবে ভাটা নিতে চান ব্যাংকে বা না মোবাইল ব্যাংকিং টা সিলেক্ট করে একাউন্টের নাম ও অ্যাকাউন্টের নাম্বার দিন।
গর্ভবতী-ভাতা-অনলাইন-আবেদন-2024

ধাপ ৫: ছবি ও স্বাক্ষর সংযোজন
এই ধাপে আবেদনকারীর ছবি ও তার স্বাক্ষরের ছবির সংযোজন প্রয়োজন হবে। আগে থেকে নিজের ছবিও একটি কাগজে স্বাক্ষর করে তার স্পষ্ট ছবি সংগ্রহ করে রাখতে হবে। তারপর Browse এ ক্লিক করে ছবি সিলেক্ট করতে হবে।
গর্ভবতী-ভাতা-অনলাইন-আবেদন-2024
ফাইল আপলোড হয়ে গেলে সংরক্ষণ করুন এই ক্লিক করুন আপনার আবেদন সম্পন্ন হয়েছে পরবর্তীতে তথ্য যাচাই করে আপনার মোবাইলে জানিয়ে দেওয়া হবে মাতৃকালীন ভাতা কিভাবে পাওয়া যায় তা আমরা জানলাম চলুন এবার জেনে নিই অনলাইনে গর্ভবতী ভাতা কত টাকা এই সম্পর্কে।

অনলাইনে গর্ভবতী ভাতা কত টাকা

আপনি যদি অনলাইনে গর্ভবতী ভাতা করে থাকেন এবং মাতৃকালীন ভাতা কত টাকা হয় এই সম্পর্কে জানতে চান। গর্ভবতী ভাতা হিসেবে প্রতি ছয় মাস পর পর মাসিক ৮০০ টাকা করে দেওয়া হয় মোট ৪৮০০ টাকা প্রদান করা হয়। এভাবে মোট ২৪ মাসে অনধিক চারবারে প্রায় ১৯২০০ টাকা প্রদান করা হয়।
গর্ভবতী ভাটার হিসেবে দুই জন সন্তানের ক্ষেত্রে মোট ৩৬ মাসে ২৮ হাজার ৮০০ টাকা প্রদান করা হয়।। কোন অসহায় ব্যক্তির ফ্যামিলিতে যদি কেউ গর্ভধারণ করে তাহলে সরকারি মাতৃকালীন ভাতার জন্য বা গর্ভবতী ভাতা জন্য আবেদন করতে পারবেন গণপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশ সরকার গর্ভধারিত মায়েদের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা প্রদান করছেন।
কিন্তু গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার জন্য আপনাকে কিছু শর্ত মানতে হবে তারপরে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। গর্ভবতী ভাতা মাসিক হিসেবে টাকা ধরা হলে ছয় মাস পর পর এই টাকা প্রদান করা হয় তবে প্রতি মাসে ৮০০ টাকা করে মাতৃকালীন বা গর্ভবতী ভাতা দেওয়া হয়। এভাবে ৬ মাস পর ৪৮০০ টাকা ভাতা পাবেন এবং দুই বছরে ৪ বার ভাাতা পাবেন। যাদের ২টি সন্তান তাদের জন্য আপনাকে ৩৬ মাস অথাৎ তিন বছর পর্যন্ত আপনাকে গর্ভবতী ভাতা দেবে সরকার।

গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে

আপনি যদি গর্ভবতী কার্ড করতে চান তাহলে আপনার কি কি কাগজ লাগতে পারে আপনারা কি জানেন যারা অসহায় দরিদ্র গর্ভধারিত হয় তাদের জন্য মাতৃকালীন বা গর্ভবতী ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার প্রতি মাসে ১ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত এই গর্ভবতী ভাতা জন্য আবেদন করা যায় অনলাইনে আপনি যদি অনলাইন এর মাধ্যমে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করেন তারপরে আপনার গর্ভবতী কার্ড হবে। চলুন জেনে আসি গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে।
  • সরকারি অনুমোদিত কোন হাসপাতাল থেকে গর্ভধারণের মেডিকেল রিপোর্ট কপি।
  • আপনার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
  • আপনার মোবাইল ব্যাংকিং এর সচল নাম্বার।
উপরের দেওয়া এই তথ্যগুলো আপনার সাথে নিয়ে যেতে হবে তাহলে আপনি গর্ববতী কার্ড করতে পারবেন খুব সহজে এবং অনলাইনের মাধ্যমে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

মাতৃকালীন ভাতা ভোগী হওয়ার শর্তাবলী

আপনি যদি মাতৃকালীন ভাতা ভোগী হতে চান তাহলে আপনাকে কিছু শর্ত মানতে হবে মাতৃকালীন ভাতা ভোগী হওয়ার শর্তাবলী আপনাকে জেনে নিতে হবে তাহলে আপনিও বুঝতে পারবেন যে এই ভাতাটি আপনি পাবেন কিনা। এই শর্তগুলো ঠিক রেখে আবেদন করতে পারলে আপনার আবেদন সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তবে সত্যতা যাচাই করার পরে আবেদনের কাজ সম্পন্ন করবে।
  • বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছর হতে হবে।
  • প্রথম বা দ্বিতীয় গর্ভধারিত হতে হবে।
  • মোট ১৫০০ টাকা নিম্নে মাসিক আয় থাকতে হবে।
  • দরিদ্র প্রতিবন্ধী মা অগ্রধিকার পাবে।
  • ভাতা ভোগী অবশ্যই গর্ভধারণের ৫ মাস বয়স হতে হবে।
  • কোন জায়গায় বসবাস করে অথবা বসতবাড়ি রয়েছে এরকম ভাতা ভোগী হতে হবে।
উপরের দেওয়া সকল তথ্যগুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে আপনি মাতৃকালীন ভাতা ভোগী হওয়ার শর্তাবলী গুলো পূরণ করেছেন এবং আপনি মাটি কালীন ভাতা পেতে পারবেন।

শেষ কথাঃ গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন 2024।গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার নিয়ম

আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন 2024 এবং গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।এখন নিশ্চয় গর্ভবতী ভাতার জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনিও খুব সহজেই আবেদন করতে পারবেন।আপনার আশেপাশে যারা গর্ভবতী রয়েছে দারিদ্রতার কারণে ভালো জায়গায় চিকিৎসা করতে পারছেন না সে সকল ব্যক্তিদের মাঝে আমাদের আজকের আর্টিকেল শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে।
এতে করে দারিদ্রতার কারণে যারা ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারেন না। সে সকল ব্যক্তিদের জন্য অনেক উপকারে আসবে।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন। এছাড়াও আপনি যদি নিত্যনতুন তথ্য পেতে চান?তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন। আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url