সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024
ক্রিকেট বিশ্বকাপে ৬ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের দেশ অস্ট্রেলিয়া।আবার অস্ট্রেলিয়া
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি এবং শিক্ষা ব্যাবস্থার দিক থেকে রয়েছে তৃতীয়
অবস্থানে এ কারণে প্রতিবছর অস্ট্রেলিয়াতে হাজারো কর্মীর ভিড় জমে অস্ট্রেলিয়া
কাজের জন্য।অস্ট্রেলিয়া সরকারিভাবে অথবা বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়া
যায়।তাই অনেকেই জানতে চাই সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024 কবে।
আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে চলছি সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন
শুরু 2024 সম্পর্কে।তাই চলুন দেরি না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে
জেনে নেওয়া যাক সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024 সম্পর্কে।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃ সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024
উপস্থাপনাঃ সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024
আপনারা যারা সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যেতে চান? তাহলে সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া
যাওয়ার আবেদন শুরু 2024 এ বিষয় সম্পর্কে জানুন।অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের
পররাষ্ট্র সম্পর্ক সুন্দর হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ অস্ট্রেলিয়াতে যায়
তাই এবারও প্রতিবছরের মতো অস্ট্রেলিয়াতে শিক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মী সংকট
হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী 2024 সালের শুরুর দিকে ঘোষণা করেন যে,
দেশটির সরকার ১ লক্ষ ৯৫ হাজার বাংলাদেশী কর্মী নিবে।
আরো পড়ুনঃ কানাডায় ফুল ফ্রি স্কলারশিপ
বর্তমান সময়ে অস্ট্রেলিয়াতে অধিকাংশ মানুষ আগ্রহ প্রকাশ করার কারণে চাহিদা দিন
দিন বেড়ে চলেছে।এই ক্ষেত্রে কিছু প্রতারক চক্রের শিকার হয়ে প্রবাসী ভাইয়েরা
অস্ট্রেলিয়ান ভিসা বানাতে প্রতারণা শিকার হচ্ছে।
কারণ বর্তমান সময়ে এমন এজেন্সির তৈরি হয়েছে যারা ভিসা দেওয়ার নাম করে মোটা
অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।তাই আপনি যদি সরকারি ভাবে অস্ট্রেলিয়া যেতে চান তাহলে
আপনাকে সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024 সম্পর্কে জানতে বোয়েসেল
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন
আপনি যদি সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা পেতে চান তাহলে আপনাকে জানতে হবে
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন কিভাবে করবেন।অস্ট্রেলিয়ায় কি কি কাজের ভিসার
ওপর আবেদন করতে পারবেন এবং কিভাবে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন করবেন তা জানতে
সরকারি চাকরির ওয়েবসাইট https://boesl.gov.bd/ এই ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বোয়েসেল সার্কুলার ২০২৪
এখান থেকে আপনি নিজের ইচ্ছা মত কাজ পছন্দ করে এলাকা বেছে নিতে
পারবেন।অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসার আবেদন করার ক্ষেত্রে যদি আপনার পছন্দের কাজের
ওপর অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি সেখানে খুব সহজেই কাজের ভিসা পেয়ে
যাবেন।অস্ট্রেলিয়ায় আপনি যে সকল কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন তা নিজে উল্লেখ
করা হলোঃ
- আইটি সফটওয়্যার
- ফুড প্যাকেজিং
- কোয়ালিটি ম্যানেজার
- কন্সট্রাকশন
- ওয়েব ডিজাইন
- শেফ
- ড্রাইভিং
- হোটেল
- কৃষিকাজ
- ক্লিনার
- ইলেকট্রনিক্স
- ভার্টিকালচার
- গবাদি পশু পালন
- কৃষিকাজ
উপরের উল্লেখিত কাজের পেশা পছন্দ করে বা আপনার অভিজ্ঞতা যে পেশায় রয়েছে তা
নির্ধারণ করে আপনি অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন করতে পারবেন।অস্ট্রেলিয়া কাজের
ভিসা আবেদন করতে সরকারি চাকরির ওয়েবসাইট এই লিঙ্কে ক্লিক করে https://immi.homeaffairs.gov.au/ আবেদন করতে
হবে।এছাড়া আপনি চাইলে যেকোনো কম্পিউটার এর দোকান থেকে করে নিতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায় রয়েছে চারটি।আপনি চারটি ভিসার মাধ্যমে
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন।তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই চারটি ভিসা
সম্পর্কে।
- বিজনেস বা টুরিস্ট ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- মেডিকেল ভিসা
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
উপরের উল্লেখিত চারটি ভিসার মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন
তবে আপনার ভিসা বৈধ পাসপোর্ট এবং এয়ার টিকিট থাকতে হবে।কারণ বর্তমান সময়ে
অস্ট্রেলিয়াতে প্রচুর পরিমাণে টুরিস্ট ভিসা দিচ্ছে এবং বাংলাদেশ থেকে
অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য একটি সহজ উপায় হচ্ছে টুরিস্ট ভিসার মাধ্যম।
আরো পড়ুনঃ বোয়েসেল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪
তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা অথবা মেডিকেল ভিসা কিংবা
স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনাকে আইইএলটিএস IELTS এর মাধ্যমে পরীক্ষা
দিয়ে অস্ট্রেলিয়া যেতে হবে।সুতরাং আপনি যদি একজন কর্মী হিসেবে অস্ট্রেলিয়া
যেতে চান তাহলে বোয়েসেল এজেন্সির মাধ্যমে যেতে হবে স্টুডেন্ট হিসেবে।তাই 2024
আবেদন করে সহজে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া আপনি যেতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন আপনি সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত
পুরুষ বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে আবেদন করতে পারবেন।অস্ট্রেলিয়া
স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন বিশ্ববিদ্যালয় নিবন্ধিত এজেন্টের মাধ্যমেও করা যায়।তাই
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার নিয়ম নিচে ধাপে ধাপে উল্লেখ করা হলোঃ
ছবিতে আপনার প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র স্ক্যান করে ভিসা আবেদনের সাথে যুক্ত করতে
হবে।যদি কাগজপত্রগুলো ইংরেজিতে অনুবাদকৃত না হয় তাহলে অনুমোদিত বা অনুবাদক
দ্বারা অনুবাদ করে যুক্ত করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ জর্ডান বোয়েসেল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪
স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করার পর বিষয়টি যাচাই করে যদি আরও অতিরিক্ত তথ্যের
প্রয়োজন হয় তাহলে ইমেইলে আপনাকে জানানো হবে যদি বিষয়টি মঞ্জুর হয় তাহলে ভিসা
নাম্বার অন্যান্য শর্তগুলি ইমেইলের মাধ্যমে জানানো হবে আর যদি মঞ্জুর না হয়
তাহলে এর কারণগুলো জানিয়ে দেওয়া হবে আপনি কে।
ভিসা আবেদনপত্র পূরণ করা হলে ভিসা ফ্রি দিতে হবে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার জন্য
৫০৭ অস্ট্রেলিয়া ডলার বা তার সমপরিমাণ টাকা পরিশোধ করতে হবে।আপনি চাইলে অনলাইনে
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।
স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা সবার কাছে একটি স্বপ্ন।অনেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন দেখে
অস্ট্রেলিয়ার কোন ভালো বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে এবং সেখান থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট
করে ভালো একটি পজিশন তৈরি করতে।কারণ বিশ্বের যে কয়টি দেশে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা
করতে যায় তাদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান তৃতীয়।তাই সকল শিক্ষার্থীর চাওয়া
অস্ট্রেলিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া।
আরো পড়ুনঃ জার্মানিতে কাজের বেতন কত
বিশ্বের সকল নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয় অস্ট্রেলিয়া তে রয়েছে শুধুমাত্র বাংলাদেশ
থেকে নয় বিশ্বের নানান দেশ থেকে অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা করতে ছুটে আসে।কারণ
অন্যান্য দেশের তুলনায় অস্ট্রেলিয়াতে কম খরচে শান্তিপূর্ণভাবে পড়াশোনা করার
জন্য দেশটি সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।আপনি যদি স্টুডেন্ট হিসেবে
অস্ট্রেলিয়া আবেদন করতে চান যে সকল কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে তা উল্লেখ করা হলোঃ
- জন্ম নিবন্ধন সনদ
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- মেডিকেল রিপোর্ট
- যে বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন সেটির অনুমতি সংক্রান্ত চিঠি বা পত্র।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করে থাকলে তার রেকর্ড ও ছাড়পত্র
- যদি স্বামী স্ত্রীর বিবাহিত হয় তাহলে তাদের বিবাহ সনদ এবং সম্পর্কে প্রমাণ হিসেবে জন্ম সনদ।
- স্পন্সরের আয়ের উৎসের কাগজপত্র
- স্পন্সরের সাথে আবেদনকারী সম্পর্কের প্রমাণ হিসেবে পাসপোর্ট জন্ম সনদ বা স্কুলের কাগজপত্র ইত্যাদি।
- স্বাস্থ্য বীমার প্রমাণপত্র
- সকল বোর্ড পরীক্ষায় অর্জিত সার্টিফিকেট ও কর্ম ক্ষমতার প্রমাণ পত্র।
সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন
সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ফর্ম
সাবমিট করতে হয় এগুলো সাবমিট না করলে কোনভাবে সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া
সম্ভব নয়।আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানে সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য কি কি
প্রয়োজন আবার অনেকেই জানে না।আপনারা যারা সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য
কি কি প্রয়োজন জানেন না তারা এখান থেকে জেনে নিতে পারেন।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- ভ্যালিড পাসপোর্ট
- অস্ট্রেলিয়ার ভিসা ফরম
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- মেডিকেল ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- প্রদত্ত ভিসা ফি
- নিয়োগ কর্তার অনুমতি পত্র
লেখকের মন্তব্যঃ সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024
আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আপনাদের সামনে আলোচনার করার চেষ্টা করেছি সরকারিভাবে
অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024 এবং বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার
উপায় এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে
অনেক ভালো লাগলো, তাইলে আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।
আরো পড়ুনঃ জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
আজকের আর্টিকেল আপনার কাছে যদি তথ্যবহুল বলে মনে হলে আর্টিকেলটি সকলের মাঝে
শেয়ার করুন।এছাড়াও আপনি প্রবাসী সম্পর্কিত আরো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি
ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।কারণ আলোড়ন আইটি আপনাদের সুবিধার্থে প্রতিনিয়ত
নিত্য নতুন আপডেট আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকে।তাই সবার আগে পোস্ট পেতে আমাদের
সঙ্গেই থাকুন।আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url