জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয় - কোন মাসে বিয়ে করা সুন্নত

জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয় এবং কোন মাসে বিয়ে করা সুন্নত এই বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করেছেন?আপনাদের প্রশ্নের উত্তরটি দিতে আমরা হাজির হয়েছি জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয় এবং কোন মাসে বিয়ে করা সুন্নত এই বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য নিয়ে।আপনারা যারা জন্ম বারে বিয়ে করলে কি হয় এ বিষয় সম্পর্কে জানেন না আমাদের পোস্টটি পড়ে জেনে নিতে পারেন।
জন্মবারে-বিয়ে-হলে-কি-হয়
আমাদের আজকের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনিও জানতে পারবেন জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয় এবং কোন মাসে বিয়ে করা সুন্নত এ বিষয় সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।আমরা আর কথা না বাড়িয়ে এবারে মূল আলোচনার বিষয় জন্ম বারে বিয়ে করলে কি হয় সে বিষয় সম্পর্কে জেনে নিব।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয়।কোন মাসে বিয়ে করা সুন্নত

সূচনা। জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয় কোন মাসে বিয়ে করা সুন্নত

জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয় বা কোন মাসে বিয়ে করা সুন্নত এ বিষয় সম্পর্কে আমাদের মনের মধ্যে নানা রকম প্রশ্ন বিরাজমান রয়েছে।অনেকে ভাবেন জন্ম বারে বিয়ে হলে কি হতে পারে, কি হবে, ভালো হবে কিনা, জন্ম বারে বিয়ে করা যাবে কি না।এমন নানারকম প্রশ্ন সমাধান নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয় এবং কোন মাসে বিয়ে করা সুন্নত।
এছাড়াও জন্ম মাসে বিয়ে ইসলাম, কোন মাসে বিয়ে হলে কি হয় , কোন দিন বিয়ে করা যাবে না এমন প্রশ্নের উত্তরটি পেয়ে যাবেন আমাদের আজকের এই পোস্টে তাই আর দেরি না করে ঝটপট করে জেনে নিন আপনার প্রশ্নের উত্তরটি আশা করছি আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।

জন্ম মাসে বিয়ে ইসলাম

প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন জন্ম মাসে বিয়ে ইসলাম কি বলে? হালাল এই মাসে কি বিয়ে করা যাবে এই সম্পর্কে অনেকের মনে নানা রকমের প্রশ্ন উঠতে পারে কিন্তু আপনারা হয়তো জানেন না জন্ম মাসে বিয়ে করা নিয়ে ইসলামে কি বলা হয়েছে। আপনারা যদি না জেনে থাকেন তাহলে আপনারা জেনে নিন আজকের আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে জন্ম মাসে বিয়ে ইসলামে কি বলা হয়। চলুন জেনে আসি জন্ম মাসে বিয়ে নিয়ে ইসলাম কি বলেছে এবং এই মাসে বিয়ে করা হালাল নাকি হারাম।
বছরে কোনো মাস বা কোনো দিনেই বিয়ে করতে নিষেধ নেই, বরং যে কোনো মাসে বা যে কোন দিনেই বিয়ে করা জায়েজ। তাই আল্লাহর সৃষ্টি দিন, মাস সবই ভালো। এর মধ্যে অমঙ্গল, অশুভ বা অযাত্রা বলে কিছু নেই। আপনারা যারা অনেকেই মনে করেন যে জন্মের মাসে হয়তো বিয়ে করলে কোন সমস্যা হতে পারে এই মেয়ে নিয়ে কোন যদি কোনদিন সমস্যা হয় তাহলে জন্মের মাসে বিয়ে দিবেন না।

এই জন্য নানা রকমের ভুলভ্রান্ত ধারণার মনের মধ্যে পুষে রাখেন কিন্তু এই ধারণাটি একেবারেই ভুল। ইসলামে এমন কোন কথাই বলা হয়নি হাদিসে বা কোরাআনে জন্মের মাসে বিবাহ করা যাবে। বিয়ের ক্ষেত্রে ইসলামিক অন্য নির্দিষ্ট বয়স সময় বা দিনের কথা বলা হয়নি হাদিস শরীফে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , "হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে তাদের বিবাহ করা কর্তব্য।
কেননা বিবাহ হয় দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী যৌনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষাকারী। আর যার সামর্থ্য নেই সে যেন রোজা পালন করে কেননা রোজা হচ্ছে যৌনকে দমন করার মাধ্যম। ( বুখারী ৫০৬৫; মুসলিম ১৪০০) তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন এই হাদিস থেকে কোন ব্যক্তি সামর্থ্যবান হলে বিয়ে করে নেয়া উচিত সময়ে সময়ে সমাজে বিভিন্ন কুসংস্কারও ভুল ধারণার প্রচলন রয়েছে বিয়ে নিয়ে তাই জন্মের মাসে বিয়ে করা নিয়ে কোন সমস্যা নেই।

জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয়

আপনারা আমাদের কাছে প্রশ্ন করেছেন জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয় জন্মবারের দিন যদি বিয়ে হয় তাহলে কি বিয়ের কোন সমস্যা হবে দাম্পত্য জীবনে কি কোন সমস্যা ঘটবে ভবিষ্যতে নিয়ে অনেক দাম্পত্যের মনে এই সকল ধারনা কাজ করে তাহলে আপনাদের জন্য আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি যারা জানতে চেয়েছেন জন্ম বারে বিয়ে হলে কি হয় চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে দেনে আসে জন্ম বারে বিয়ে হলে কি হয়।
ইসলামে হাদিসের কখনো কোন জায়গায় লেখা নাই জন্মবারে বিয়ে হলে কোন সমস্যা হয় এখানে বলা হয়েছে যে কোন দিনে বাজে কোন মাসে বিয়ে করা জায়েজ। তবে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর কিছু সুন্নত রয়েছে যেগুলো মেনে চললে আরো ভালো হয় এবং সুন্নত পালন করা আমাদের প্রতি কি মুমিনের উচিত। এমন সকল বিবাহের সুন্নত সমূহ নিচে দেওয়া হলঃ-
  • শাওয়াল মাসে এবং জুম্মার দিনে মসজিদে বিবাহ সম্পাদন করা সুন্নত তবে যে কোন মাসে যে কোন দিন বিবাহ করা জায়েদ আছে। (মুসলিম হাদিস নং ১৪২৩ )
  • সামর্থের মধ্যে মোহর ধার্য করা। (আবু দাউদ হাদিস নং ২১০৬)
  • বাসর রাতে স্ত্রীর কপালের ওপর কিছু চুল হাতে নিয়ে এই দোয়াটি পড়া: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খায়রা মা জাবালতাহা আলাইহি। ওয়া আউজু বিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জাবালবাহা আলাইহে। ( আবু দাউদ হাদিস নং ২১৬০)
  • বিবাহর কথা ব্যাপকভাবে প্রচার করা বিবাহ করা এবং বিয়ের পরে আকাদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার মাঝে খেজুর বন্টন করা। (বুখারী শরীফ হাদিস নং ৫১৪৭)
  • শহীদ বিবাহ অনরম্বল হবে যা অপচয় অপব্যয় বেপর্দা ও বেজাতীয় সংস্কৃতি গান, বাদ্য, ভিডিও, অডিও মুক্ত হবে এবং তাতে কোন যৌতুকে শর্ত বা সামর্থর অধিক মোহরানা শর্ত থাকবে না। (হাদিস নং ৩৬১২ তাবরানী আউসাত)
  • সৎ ও খোদাভীরু পাত্র পাত্রীর খোঁজ করে বিবাহ পায়গম পাঠান কোন বাহানা বা সুযোগে পাত্রী দেখা সম্ভব হলে দেখে নেওয়া মুস্তাহাব। কিন্তু আমাদের সমাজে পাত্রী দেখানোর যে প্রথা রয়েছে তা প্রচলিত তা সুন্নতের পরিপন্থী ও বর্জনীয়। (বুখারি হাদিস নং ৫০৯০)

কোন মাসে বিয়ে হলে কি হয়।জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয় 

কোন মাসে বিয়ে হলে কি হয় এই সম্পর্কে নানা জনের মধ্যে নানা রকম মেয়ের কুসংস্কার ও বিভিন্ন ভুল ধারণার প্রচলন রয়েছে। অনেকে অনেক রকমের ধারণা পোষণ করে মনের মধ্যে কোন মাসে বিয়ে হলে তাদের বিয়েটা টিকবে এবং বিয়েতে কোন সমস্যা হবে না এই নিয়ে অনেকের মনে বিভিন্ন ধরনের ধারণা পোষণ করে। আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব কোন মাসে বিয়ে হলে কি হয় এই সম্পর্কে তাহলে আর দেরি না করে চলুন আমাদের সাথে জেনে আসুন কোন মাসে বিয়ে করলে কি হয়।
জ্যোতিষ বিদ্যার যারা বিশ্বাস করে তারা মনে করে যে মাছ দেখে বিয়ে করলে রাশিচক্র অনুযায়ী তাদের দাম্পত্য জীবন সুখী হবে এই জন্য অনেকেই জ্যোতিষীদের স্বাস্থ্য মেনে বিবাহ করেন। এক্ষেত্রে বিয়ের সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ কোন মাসে বিয়ে হয়েছে তা থেকে বিবাহিত জীবনের ওপর কতটা প্রভাব বিস্তার করবে এটা জানা যায়।

জানুয়ারি: যারা জানুয়ারি মাসে বিয়ে হলে তার ওপর কুম্ভ রাশির প্রভাব থাকে। জ্যোতিষবিদ গণনা অনুসারে জান্নাতে বিয়ে হলে সেই দম্পতিরা সুখী বিবাহ জীবন কাটান। এদের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন কখনো আলগা হয় না এই মাসে যাদের বিয়ে হয় তারা সঙ্গীকে নিত্যনতুন সারপ্রাইজ দিয়ে চমক দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করেন। তাই জানুয়ারি মাসকে শুভ হিসেবে ধরা হয় এবং এই মাসে যাদের বিয়ে হয় তাদের বহু বছর পরেও প্রেমের সম্পর্ক অটুট থাকে।

ফেব্রুয়ারি: যাদের অত্যন্ত আবেগপূর্ণভাবে একে অপরের সঙ্গে জুড়ে থাকেন তারা ফেব্রুয়ারি মাসে বিবাহিতরা। আপনারা যদি ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে হয় তাহলে আপনাদের সম্পর্কের ওপর মীন রাশি প্রভাব পড়বে এই মাসের বিবাহিত দম্পতিরা স্বার্থহীনভাবে একে অপরকে ভালো রাখার চেষ্টা করে। ফেব্রুয়ারি মাসে যাদের বিয়ে হয় সে স্বামী স্ত্রী পরিপূরক ও পরস্পরকে দেওয়া কথা যে কোন মূল্যে রাখার চেষ্টা করেন।এরা একসঙ্গে প্রকৃত প্রেমের শক্তি উপলব্ধি করতে পারেন।

মার্চ: যারা মার্চ মাসের বিবাহ করেছেন তাদের ওপর মেষ রাশি প্রভাব থাকে এদের মধ্যে সম্পর্কে ওঠা পড়া চলতেই থাকে মার্চ মাসের বিবাহিত সম্পর্ক স্বামী স্ত্রী পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ ও বিকর্ষণ দুই অনুভব করেন আপনারা মার্চ মাসে বিয়ে হলে অনেক সময় সঙ্গীর মানসিকতা সঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারেন না আপনি কখনো আপনাদের মধ্যে মতের মিল হবে আবার কখনো মতানৈক্য প্রবল আকার নেবে। খুব ছোট ছোট সাধারণ বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝুটি শুরু করে দেন মার্চ মাসের বিবাহিতরা তারাও পরস্পরের থেকে আলাদা হয়ে যান না এরা সহজে।

এপ্রিল: যাদের এপ্রিল মাসে বিয়ে হয় বা বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন যত স্পিডদের অনুসারে আপনাদের উপর বৃষ রাশির প্রভাব থাকে যদি অনুসারে এপ্রিল মাস্টার বিয়ের জন্য দারুন শুভ সময়। এই মাসে যারা বিয়ে করেন তাদের বিবাহিত জীবনের পথে প্রেম ও রোমান্স ভরপুর থাকে মানসিকভাবে এই জুটি যেমন পরস্পরের কাছাকাছি থাকে তেমনি শারীরিকভাবেও এরা পরস্পরের ঘনিষ্ঠ। এপ্রিল মাসে যারা বিয়ে করেন তাদের যৌন জীবন ও সুন্দরভাবে কাটে।

মে: যে দম্পতিরা বছরের পঞ্চম মাস মে মাসে বিবাহ করে এই মাসে যারা বিয়ে করেন তাদের বিবাহিত সম্পর্কের ওপর মিথুন রাশির প্রভাব থাকে। মিথুন রাশির মতো এদের বিবাহিত সম্পর্কে দুটি স্তর থাকে। মে মাসে যে বিয়ে গুলো হয় সেগুলো সফল হওয়া যতটা সম্ভবনা থাকে পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাও ঠিক ততটাই মে মাসে বিবাহিত হয়। সারা জীবন সুখে শান্তিতে থাকেন আর নয় তো খুব খারাপ ভাবে পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

জুন: জুন মাসে যারা বিবাহ করেন তাদের ওপর কর্কট রাশি প্রভাব থাকে এই জুটিরা পরস্পরের প্রতি ভালবাসা ও যত্নের প্রতি মূর্তি হয়ে থাকে। কিভাবে বিবাহতে সম্পর্কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তারা একটা নিদর্শন তৈরি করেন জুন মাসের বিবাহিতরা এরা পরস্পরের যত্ন নেন একে অন্যের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন এবং নিজের পরবর্তী প্রজন্ম কেউ কিভাবে সুন্দর শিক্ষা দিতে হবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তা খুব ভালোভাবে করে জেনে সামনের দিকে এগিয়ে যায় জুন মাসের বিবাহিত দম্পতিরা।

জুলাই: আপনারা যারা জুলাই মাসে বিবাহ করতে চাইছেন তাদের জন্য সুখবর জুলাই মাসের বিবাহিত সম্পর্ক সিংহ রাশির প্রভাব থাকে। আপনাদের মধ্যে সম্পর্ক যাতে দারুণভাবে এগিয়ে চলে তা নিশ্চিত করতে আপনারা দুজনে অত্যন্ত যত্নশীল হবেন জুলাই মাসে যাদের বিয়ে হয় তাদের মধ্যে প্রেমের অভাব হয় না। কখনো বিয়ের বহু বছর পরেও এরা পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন সারা জীবন সুখে কাটান এই বিবাহিত দম্পতিরা।

আগস্ট: যারা আগস্ট মাসে বিয়ে করতে চাইছেন তাদের ওপর কন্যা রাশির প্রভাব থাকে এরা বিবাহিত সম্পর্কে নানা ধরনের সংকট আসতে দেখে তবে এদের তাতে হাল ছাড়ে না। সম্পর্কে যখন নানা রকমের বিপদ আসে তারা সেই বিপদ মোকাবেলা করে পরস্পরের সাথে সুখে শান্তিতে থাকা যাই তা ভালোমতো জানে আগস্ট মাসের বিবাহিতরা। পরস্পরকে কি প্রয়োজন এবং মনের ইচ্ছা কি সেদিকে আরও একটু নজর দিলে অত্যন্ত মজবুত দাম্পত্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন যারা আগস্ট মাসে বিবাহ করবেন।

সেপ্টেম্বর: আপনি কি সেপ্টেম্বর মাসে বিবাহ করতে চাচ্ছেন তাহলে আপনার তুলা রাশি ভর করবে সেপ্টেম্বর মাসের বিবাহিতরা প্রায় আদর্শ দম্পতি বলা যায় সুখী জীবন যাপন কাটান এদের রহস্য রয়েছে কিছু। সেপ্টেম্বরের বিবাহ করলে সুখে শান্তিতে থাকা যায় তা ভালোমতো জানা আছে সেপ্টেম্বরের দম্পতিদের। সম্পর্কে আরো মজবুত করতে এরা একসঙ্গে চেষ্টা করেন।
অক্টোবর: যারা অক্টোবর মাসে বিবাহ করতে ইচ্ছুক আপনাদের বৈভাবিক জীবনে প্রবেশ করতে চান তাদের উপর বৃশ্চিক রাশির প্রভাব পড়ে। এই রাশিটি আপনাদের দম্পত যৌন জীবন ভালো রাখতে সহযোগিতা করে এরা সবসময় একে অন্যের প্রতি সন্নিদ্ধ উপভোগ করে একে অন্যকে ছেড়ে এরা থাকতে পারেনা। যৌন জীবন ভালোভাবে উপভোগ করার জন্য একটু দেরি করে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেন অক্টোবর মাসের বিবাহিতরা।

নভেম্বর : যারা নভেম্বর মাসে বিয়ে করতে ইচ্ছুক তাদের উপর ধনু রাশির প্রভাব পড়বে এরা খুব সুন্দর ভাবে বিশেষ কোনো সমস্যা ছাড়া বিবাহিত জীবন কাটিয়ে দেয় এরা পরস্পরের আরামও খুশির কথা সবসময় খেয়াল রাখেন নভেম্বর মাসে যারা বিয়ে করেন। তারা জীবনে সব বাধা-বিপত্তি মোকাবেলা করে একসঙ্গে জীবনযাপন করেন পরস্পরের জীবনের যাবতীয় সুখ দুখ পেরিয়ে এগিয়ে আসার চেষ্টা করেন।

ডিসেম্বর: ডিসেম্বর মাসের বিবাহিতরা দম পর্যন্ত সম্পর্কে মকর রাশি প্রভাব ঘটে এরা সাধারণত ভবিষ্যতকে কিভাবে আরো সুন্দর করে গড়ে তোলা যায় সেই বিষয়ে বেশি চিন্তা ভাবনা করেন। ভবিষ্যতের কথা বেশি ভাবতে গিয়ে বর্তমানকে অনেক সময় অবহেলা করেন ডিসেম্বর মাসের বিবাহিতরা পরস্পরের প্রতি প্রেমের আকর্ষণ থেকে বৈশ্বিক আকর্ষণ নেওয়ার দিকে এদের বেশি প্রভাব থাকে।

কোন মাসে বিয়ে করা সুন্নত।জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয় 

আপনারা কি জানেন কোন মাসে বিয়ে করার সুন্নত এই সম্পর্কে আপনাদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে যে ছেলে মেয়ের বিবাহ কোন মাসে দেওয়া যাবে। বিবাহ একটি পবিত্র সম্পর্ক আমাদের মহান রব কর্তৃক মনোনীত ধর্ম ইসলাম ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা তৈরি করে দেয় এর মৌলিক কিছু নীতি রয়েছে যার মধ্যে বিবাহ করাও একটি হালাল সম্পর্ক তৈরি করা ও সুন্নত কাজ।

সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই তার বিবাহ করা জায়েজ বিয়ে আল্লাহ পাকের অশেষ নেয়ামত এবং রাসুল সাঃ এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত চারিত্রিক অবক্ষয়ের রোদে শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার আদর্শ পরিবার গঠনে মানুষের জৈবিক চাহিদা পূরণে কিংবা মানসিক শান্তি লাভের প্রধান উপকরণ হচ্ছে বিয়ে । ইসলামের শরীয়তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম বিয়ে। বিয়ে করার জন্য কোন মাছ বা দিনের কথা ধার্য করা নেই তবে আলিঙ্গনদের মতে ইসলামে বিবাহ মসজিদে ও জুম্মার দিনে হওয়া উত্তম এতে ঘোষণা ও জনসমোগোণ বেশি হয়।
বিবাহ পরাজয়ের সুন্নত সমূহ পদ্ধতি হলো প্রথমে কোণের কাছ থেকে ইজ জন বা অনুমতি নিতে হবে এক সময় কমপক্ষে দুজন সাক্ষী উপস্থিত থাকতে হবে তখন বড় উচ্চস্বরে কবুল অথবা আমি গ্রহণ করলাম বা সম্মতি সূচক আলহামদুলিল্লাহ বলবে এরূপ তিনবার বলা উত্তম ।(বুখারি হাদিস ৯৫ )

বিবাহের ক্ষেত্রে পাত্র পাত্রী ব্যবহার করে যারা সারাজীবন একে অংশের সাথে ঘর সংসার করবে তাই বিবাহের আগে তাদের সম্মতি জানতে হবে। বিবাহর ক্ষেত্রে উভয়ের সম্মতি নিয়ে বিবাহ করা উচিত এবং কোন ক্ষেত্রে জোর করা উচিত নয়। তবে শাওয়াল মাসে এবং জুম্মার দিনে মসজিদে বিবাহ সম্পাদন করা সুন্নত।
তবে যে কোন মাসে যে কোন দিন বিবাহ করা জায়েজ রয়েছ। ( মুসলিম হাদিস নং ১৪২৩ )
বিবাহর কথা ব্যাপকভাবে প্রচার করে বিবাহ করা এবং বিয়ের পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার মাঝে খেজুর বন্টন করা। (বুখারী শরীফ হাদিস ৫১৪৭)
এগুলো বিবাহ করা সুন্নতের মধ্যে পড়ে তাই যারা বিবাহ করতে চায় তাদের কিছু সুন্নত মেনে চললে বিবাহিত জীবন সুখময় কাটে।

কোন দিন বিয়ে করা যাবে না

যারা প্রাচীনকালের মানুষ তারা কিন্তু অনেকেই মনে করেন যে কোন দিন বিয়ে করলে বিবাহ জীবন সুখময় হবে। অনেকের বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা মনের মধ্যে পোষণ করেন তাইতো আপনাদের মনে প্রশ্ন রয়েই গেছে যে কোন দিন বিয়ে করা যাবে না। কোন দিনটা বিয়ে করার জন্য খারাপ দিন সেই দিন বিয়ে করা থেকে বিরত থাকতে হবে এই সম্পর্কে আপনাদের মনে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন রয়ে গেছে।

তাহলে আর দেরি না করে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করিনি কোন দিন বিয়ে করা যাবে না ইসলাম ধর্মে এমন কোন দিন বা সময় ধার্য করা নেই যে যে সময় বিবাহ করতে হয় তাই কোন বারবার কোনদিনই অশুভ নয় প্রতিটি দিন বা প্রতিটি বাড়ি শুভ এই জন্য আপনারা যে কোন দিন যেকোনো বারে বিবাহ করতে পারেন।
অনেকেই মনে করে শনিবারে বিবাহ করলে অমঙ্গল হয় শনি ও মঙ্গলবারে বিবাহ করা থেকে বিরত থাকেন তবে এমন কোন হাদিস নেই যেখানে লেখা আছে শনি ও মঙ্গলবারে বিবাহ করলে অমঙ্গল হয়। বছরের কোন মাস বা কোনদিনই বিয়ে করতে নিষেধ নেই বরং যে কোন মাসে বেড়াও যে কোন দিনে বিয়ে করা জায়েজ।

কেননা আলো সৃষ্টির দিন সব মাসই ভালো এর মধ্যে অমঙ্গল অশুভ বা অযাত্রা বলে কিছুই নেই। এরকম কুসংস্কার ইসলাম বিরোধী বিশ্বাস করা ইসলামে সাথে আপনার রোগ করার সময় এক হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "অশুভ বা অযাত্রা বিশ্বাস করা বা নির্ণয়ে চেষ্টা করাও শিরক "। (আবু দাউদ ৩৯১০)

সুতরাং সকল মুসলিমকে এ ধরনের বিশ্বাস হতে বিরত থাকতে হবে বিশেষভাবে যত্নশীল হতে হবে। যেন কেউ এই রকমের কথায় বিশ্বাস না করে এবং নিজেকে জড়িয়ে না ফেলে আল্লাহ তাআলার নিকটে এর থেকে পরিত্রাণ চেয়ে তওবা করে নিতে হবে। যারা আগে এ সকল বিভ্রান্ত ধারণা মনে পোষণ করতেন।

উপসংহার। জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয় এবং কোন মাসে বিয়ে করা সুন্নত

প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যেই এই পোস্টটি সম্পূর্ণ করে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয় এবং কোন মাসে বিয়ে করা সুন্নত।আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করেছি জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয় তা সম্পর্কে।আশা করছি এই পোস্টটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের সাথে শেয়ার করুন।
এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।এছাড়াও আপনি যদি পাত্রী দেখার সময় কি ধরনের ড্রেসআপ পড়া উচিত এমন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটি ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।কারণ আমরা প্রতিনিয়ত নতুন আপডেট পোস্ট পাবলিশ করে থাকি সবার আগে পোস্ট গুলো পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।আজ এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url