পাসপোর্ট করার নিয়ম - পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
আপনি কি পাসপোর্ট করার নিয়ম এবং পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সম্পর্কে জানার জন্য
প্রশ্ন করেছেন?তাই আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব পাসপোর্ট করার নিয়ম এবং
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সম্পর্কে।তাই আপনি যদি আপনার প্রশ্নের উত্তরটি পেতে চান
তাহলে জেনে নিন পাসপোর্ট করার নিয়ম এ সম্পর্কে।
আপনি যদি আমাদের এই প্রশ্ন থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে আপনিও জানতে
পারবেন পাসপোর্ট করার নিয়ম এবং পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সম্পর্কে।আপনি যদি এ
বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন তাহলে আপনিও পাসপোর্ট করার নিয়ম জেনে
বাসায় বসে পাসপোর্ট করতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃপাসপোর্ট করার নিয়ম।পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
উপস্থাপনা।পাসপোর্ট তথ্য।পাসপোর্ট করার নিয়ম।পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
আপনারা অনেকেই জানতে চান পাসপোর্ট করতে কি কি তথ্য দেওয়া লাগে পাসপোর্ট করার
জন্য কোন সকল তথ্য দিতে হবে সেই সম্বন্ধে অনেকেরই হয়তো ধারণা কম রয়েছে। আপনাদের
সাথে আলোচনা করব পাসপোর্ট তথ্য সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে চলুন জেনে
আসি পাসপোর্ট তথ্য সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ
১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট খরচ
বাংলাদেশের পাসপোর্ট হলো একটি আই সি এ ও অনুগামী মেশিনের এবং বায়োমেট্রিক
পাসপোর্ট পাসপোর্ট ধারীর দ্বারা বিদেশে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জারি করা হয় এমন
পরিচয় পত্র। এখানে সেই ভ্রমণকারী জাতির সকল প্রকারের তথ্য দেওয়া থাকে তার
পরিচয়ের জন্য। পাসপোর্ট হারিয়ে ডেমোগ্রাফিক এবং বায়োমেট্রিক তথ্য, যেমন দশটি
আঙ্গুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট, আইরিস স্ক্যান, মুখের রঙিন ছবি এবং ডিজিটাল স্বাক্ষর ই
পাসপোর্ট চিপে সংরক্ষণ করা হয়।
আবেদনকারীর বয়সের উপর নির্ভর করে ই পাসপোর্টটি পাঁচ বছর বা ১০ বছরের জন্য বৈধ
করা হয় এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সরকার বা এর বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের মাধ্যমে
জন্মগতভাবে নাগরিকদের বংশভূত বা সরাসরি নাগরিকদের মধ্যে যোগ্য বাংলাদেশী
নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
পাসপোর্ট চেক।পাসপোর্ট করার নিয়ম।পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
আপনারা যারা নতুন পাসপোর্ট তৈরি করেছেন তারা হয়তো অনেকেই জানেন না কিভাবে
পাসপোর্ট চেক করা যায়। আপনারা খুব সহজেই আজকে জানতে পারবেন কিভাবে পাসপোর্ট চেক
করতে হয়। পাসপোর্ট চেক করার কিছু নিয়ম রয়েছে যে নিয়ম গুলো জানা থাকলে আপনিও
ঘরে বসে খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট চেক করতে পারবেন।
অনলাইনের মাধ্যমে এই পাসপোর্ট খুব সহজেই করা যায় তার জন্য আপনারা অনলাইনে ফরম
পূরণের মাধ্যমে আপনারা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি এবং অ্যাপ্লিকেশন আইডি দ্বারা
পাসপোর্ট চেক করার জন্য লগইন করবেন আপনারা যেকোনো একটি আইডি নাম্বার বসিয়ে আপনার
পাসপোর্ট চেক করতে পারবেন আপনি চাইলে সরাসরি www.e-passport.gov.bd.check
ওয়েবসাইটে গিয়ে ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। কিভাবে দুইটি আইডিতে
নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করবেন তা সেখান থেকেই পেয়ে যাবেন।
আরো পড়ুনঃ
জরুরী পাসপোর্ট করতে কত দিন লাগে
OID বা application ID দিয়ে যেভাবে passport check করা যায় ঠিক তেমনি ডেলিভারি
স্লিপ দিয়ে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করা যায়। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডির পাশে OR
দিয়ে একটি application ID এর খালি ঘর আছে ওই খালি ঘরের উপরে আপনার অ্যাপ্লিকেশন
আইডিতে বসাতে হবে ডেলিভারি স্লিপে application ID থাকে।
ছবি
ওপরের ডান ও বাম পাশের রেড মার্ক করা যে নাম্বারটি আছে সেটি হল এপ্লিকেশন আইডি
নাম্বার আর নিচের রেড মার্কটি date of birt দেওয়া আছে। কিভাবে আপনি এপ্লিকেশন
স্লিপ থেকে খুব সহজেই আপনার পাসপোর্ট চেক করতে পারবেন।
পাসপোর্ট করার নিয়ম
যারা নতুন পাসপোর্ট তৈরি করতে চান তাদের জন্যই পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশাবলী
দেওয়া হল নিচে
- ই পাসপোর্ট আবেদনের জন্য অনলাইনে ফরম পূরণ করতে হবে
- ই পাসপোর্টে আবেদন করার ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়িত প্রয়োজন হবে না।
- এই পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তার সত্যায়িত্বর প্রয়োজন হবে না জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) অনুযায়ী সকল তথ্য পূরণ করতে হবে।
অনলাইনে একাউন্ট খুলে সহজেই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করা যায় আবেদন জমা দেওয়ার
দিন তারিখ পাওয়া যাবে অনলাইনে কাগজপত্র লাগছে না কোন সত্যায়ন প্রথমে আপনাকে
যেতে হবে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টালে ওয়েবসাইটে ঢুকিয়ে ডিরেক্টলি টু
অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন এ ক্লিক করতে হবে সেখানে শুরুতে অনলাইন অ্যাপ্লাই অনলাইন ফর
ই পাসপোর্ট /রি ইস্যু বাটনে ক্লিক করে সরাসরি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।
তবে আবেদন করার আগে দেখে নিতে হবে ই পাসপোর্ট আবেদনের পাঁচটি ধাপ।
আরো পড়ুনঃ
সরকারি ভাবে মালেশিয়া যাওয়ার উপায়
প্রথম ধাপে আপনার বর্তমান ঠিকানা জেলা শহরের নাম ও থানার নাম নির্বাচন করে ক্লিক
করতে হবে। পরের ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য সংগলিত ই -পাসপোর্ট এর মূল ফর্মটি পূরণের
জন্য সাবমিট করতে হবে। তৃতীয় ধাপে মেয়াদ ও পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা সংখ্যা অনুযায়ী
জমা দিতে হবে।
এক্ষেত্রে যে কোন ব্যাংকের ডেবিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে টাকা দেওয়া জমা দেওয়া
হয়।এছাড়া অনুমোদিত পাঁচ ব্যাংকে যেকোনো একটিতে টাকা জমা দিয়ে সেই জমা স্লিপ
নাম্বার নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সব কাজ শেষে ফাইনাল সাবমিট করতে হবে এরপর আপনার
তথ্যগুলো পাসপোর্ট এর কার্যালয়ে সার্ভারে চলে যাবে।
পাসপোর্ট সংশোধন।পাসপোর্ট করার নিয়ম
বিভিন্ন কারণে পাসপোর্ট সংশোধন করতে হয় পাসপোর্টে যদি কোন রকমের ভুল হয়ে যায়
যার ফলে তখন পাসপোর্ট সংশোধন করতে হয় এই জন্য অনেকে চিন্তিত থাকেন যে কিভাবে
পাসপোর্ট সংশোধন করতে হবে। পাসপোর্ট সংশোধন করার জন্য কি করা লাগবে এবং কি করলে
খুব সহজে পাসপোর্ট সংশোধন হবে সেই সম্বন্ধে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
আরো পড়ুনঃ
ইতালি কাজে ভিসা ২০২৪
যে ধরনের পাসপোর্ট হোক না কেন MRP বা E Passport, পাসপোর্ট সংশোধন বা রিনিউ করার
জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে ই পাসপোর্ট আবেদনের সকল তথ্য জাতীয় পরিচয় পত্র
অনুসারে দিতে হবে। যেহেতু একটি সেই সংশোধন বা রিনিউ আবেদন সেহেতু
ID Documents অপশন থেকে পুরাতন পাসপোর্ট তথ্য দিয়ে আবেদনটি submit করুন। আজ
পর্যন্ত সংশোধনের জন্য নিজের ধাপ গুলো অনুসরণ করতে হবে :
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন
- বিদেশে দূতাবাসে আবেদন করা হলে permanent resident card /student id card/ job ID card/ driving licence
- অতিরিক্ত ডকুমেন্ট হিসেবে শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ ও জন্ম নিবন্ধন।
- লিখিত আবেদন
- অঙ্গীকারনামা
- পুরাতন পাসপোর্ট এর কপি ও পাসপোর্ট।
পাসপোর্ট সংশোধনের ক্ষেত্রে স্থায়ী ঠিকানা সংশোধন করলে আপনার প্রদত্ত তথ্যগুলো
স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যাচাই করা হতে পারে।
এনআইডি কার্ড অনুযায়ী পাসপোর্ট এর জন্ম তারিখ সংশোধন করতে হবে । পাসপোর্ট এর নাম
সংযোজন করার ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড বা শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদপত্র দেখাতে হবে
অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন দেওয়া যাবে।পাসপোর্টে নিজের নাম ও
পিতার নাম সংশোধন করা যাবে ।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
একজন প্রাপ্তবয়স্কের ই পাসপোর্ট করতে ফরম পূরণ করে জাতীয় পরিচয় পত্র স্মার্ট
কার্ড এবং ছবি জমা দিতে হবে। এছাড়া ১৮ এর বয়সীদের জন্য জন্মনিবন্ধন
সার্টিফিকেট, বাবা-মায়ের ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্রের জমা দিতে হবে।এছাড়া
পাসপোর্ট করতে বাংলাদেশীদের আবেদন করার জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদী
পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে সাধারণত (২১ কর্ম দিবসে )ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা।
জরুরী (১০কর্ম দিবসে) ফি ৬৩২৫ টাকা এবং অতিব জরুরী (২ কর্ম দিবস) ফি ৮৬২৫ টাকা
এবং ১০ বছর মেয়াদী সাধারণ ফি ৫৭৫০ টাকা। জরুরী ফি ৮৪৫০ টাকা এবং অতিব জরুরী ফি
১০৩৫০ টাকা। পাসপোর্ট করতে চাইলে অনলাইনে একাউন্ট খোলার মাধ্যমে সহজে ই -পাসপোর্ট
এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ ও পাসপোর্ট কি
পরিশোধ করে ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার জন্য তারিখ দেবে।
আরো পড়ুনঃ
চীনে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
তারপর নির্ধারিত তারিখে অনলাইনে আবেদন ফরমের কপি পাসপোর্ট ফি পরিষদের রিসিভ যে
বাসায় থাকেন সে বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও পুরানো
পাসপোর্ট এর কপি সহ পাসপোর্ট অফিসে যাবেন। মূল কাগজপত্র গুলো সঙ্গে নেয়া লাগবে
এরপর ছবি ও আঙ্গুলে ছাপের জন্য পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হবে তারপর
ছবি তুলতে হবে।
ছবি তোলা সব আঙ্গুলের ছাপ চোখের এই দেশের ছবি গ্রহণ শেষে আপনাকে পাসপোর্ট
সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সহ একটি রিসিভ দেবে। পাসপোর্ট গ্রহণের সময়
ডেলিভারি রশিক প্রদর্শন বাধ্যতামূলক আপনার পাসপোর্ট হয়ে গেলে আপনাকে মেসেজ করে
জানাবে এরপর আপনি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট নিয়ে আসতে পারবেন।
শেষ বার্তা।পাসপোর্ট করার নিয়ম।পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
আপনার নিশ্চয়ই এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন পাসপোর্ট করার
নিয়ম এবংপাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সম্পর্কে।তাই আশা করছি এই পোস্ট আপনার অনেক
উপকারে আসবে ই-পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে।এতক্ষন সময় ধরে আমাদের পোস্ট করার জন্য
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ
মালেশিয়া ডিপ্লোমা কোর্স খরচ কত
আমাদের পোস্টটি নিশ্চয় আপনার কাছে ভালো লেগেছে যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তবে
আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের সাথে শেয়ার করুন। নিয়মিত নিত্য নতুন আর্টিকেল পড়তে
আমাদের ওয়েব সাইটটি ভিজিট করুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন।আজ এ পর্যন্তই আবারো কথা
হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url