রজব মাসে বিয়ে- রজব মাসের ফজিলত ও আমল

প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষী আপনি কি রজব মাসে বিয়ে এবং রজব মাসের ফজিলত ও আমল করবেন কিন্তু সে সম্পর্কে জানেন তাহলে আপনি আমাদের এই আর্টিকেল পড়ুন।তাহলে আপনি জানতে পারবেন রজব মাসে বিয়ে এবং রজব মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জানতে পারবেন তাছাড়া ও রজব মাসের দোয়া ও আমল সঠিক তথ্য পড়ুন।
রজব-মাসে-বিয়ে- রজব-মাসের-ফজিলত-ও-আমল
আজকের বিষয় সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। কেননা রজব মাসে বিয়ে এবং রজব মাসের ফজিলত ও আমল সহ রজব মাসের দোয়া ও আমল মতো গুরুত্বপূর্ণ যাবতীয় সকল তথ্য জানতে পারবেন। কারণ এই আমল গুলোর মধ্যে আমাদের অনেক নেকি ও সওয়াব রয়েছে। তাই সকলে গুরুত্ব সহকারে ধর্য নিয়ে পড়বো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ রজব মাসে বিয়ে।রজব মাসের ফজিলত ও আমল

সূচনা।রজব মাসে বিয়ে।রজব মাসের ফজিলত ও আমল

রজব মাসে বিয়ে করা যাবে কিনা বা বিয়ে করতে পারবেন কিনা এ নিয়ে আপনাদের মধ্যে নানান রকম প্রশ্ন ঘুরতে থাকে।কেননা আপনি জানেন না রজব মাসে বিয়ের রজব মাসের ফজিলত ও আমল রজেন মাসের দোয়া ও আমর রজব মাসের ঘটনা, রজব মাসের গুরুত্ব কি এ বিষয় সম্পর্কে।
তাই আজকের এই আর্টিকেলে রজব মাসে বিয়ের সহ রজব মাসের ফজিলত আমল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যেগুলো জানা আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ।আপনি যদি রজব মাসে বিয়ে করার প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।আশা করছি আপনি রজব মাসে বিয়ে এবং রজব মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে সকল তথ্য সুন্দর ভাবে জানতে পারবেন।

রজব মাসের গুরুত্ব কি

প্রিয় পাঠক আপনারা কি জানেন রজব মাসের গুরুত্ব কি। রজব মাসকে মুসলমান ধর্মে মানুষ অনেক বেশি গুরুত্ব দেয় কিন্তু কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই রজব মাস। চলুন জেনে আসি রজব মাসের গুরুত্ব কি।
রজব মাসকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রজব মাস মাহে রমজানের আগাম বার্তা নিয়ে আসে। এই মাস আমাদের প্রিয় রাসুল (সা.) মাহে রমজান প্রত্তুতি নেওয়া শুরু করে।
আমাদের রাসুল (সা.) এই রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তিনি রমজান প্রস্তুতি ও বেশ কিছু আমল করতে শুরু করতেন। মুমিনদের বেশ কিছু মৌসুম আছে যখন ইবাদত করা জন্য ভালো।আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,' নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালার বিধান মতে আল্লাহর নিকট মাসের সংখ্যা বার মাসে সেই দিন হতে যেদিন তিনি আকাশমণ্ডল এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত। '

এটি সুপ্রতিষ্ঠীত বিধান ;সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার কোরোনা। '(সূরা আত তাওবাহ ৩৬)

তিনটি মাছ ধারাবাহিক আর তা হচ্ছে যিলক্বদ, যিলহজ, মহররম আর চতুর্থ মাস হলো রজব, যা জুমাদাল উখড়া ও শাবান মাসের মধ্যবর্তী মাস (সহিহ বুখারী)।

অন্যান্য মাসের মতো রজব মাসের জন্য বিশেষ কিছু নফল আমল রয়েছে যা আমল করলে আমরা জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি লাভ করতে পারি এবং জান্নাত লাভের পথ সুগম হবে।

তাই আমরাও যদি এই রজব মাস থেকে পবিত্র মাহে রমজানের প্রস্তুতি নিতে থাকি আর আল্লাহর কাছে দোয়া করতে শুরু করি যে হে আল্লাহ তুমি আমাকে সুস্থ রাখো আমি যেন আগত রমজানের পূর্বে তুলনায় অনেক বেশি ইবাদত বন্দগী দান খায়রাত কোরআন পাঠ সহ সব পূর্ণকর্ম বেশি বেশি করতে পারি।
এছাড়াও হযরত রাসূল করিম (সা.) শাবান মাসেও অনেক বেশি ইবাদত করতেন আর তিনি (সা.) রমজান ছাড়া প্রতি মাসে নফল রোজা রাখতেন আর বিশেষ করে রজব মাসে আমরাও যদি মহানবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর সুন্নত অনুযায়ী প্রতিমাসে কয়েকটি করে নফল রোজা রাখি তাহলে রমজানের রোজা আমাদের জন্য আরও সহজ হবে। এছাড়া আমরা যদি মনের সব দুর্বলতা ঝেড়ে ফেলে দিয়ে রজব মাস থেকে রমজানের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি গ্রহণ করি তাহলে আমাদের সব ইবাদত বন্দেগী হবে প্রশান্তিময়।

রজব মাসে বিয়ে

প্রিয় পাঠক আপনারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন রজব মাসে বিয়ে করা যাবে কি যাবে না বিয়ে-শাদীর বিষয়ে কোন মাসটি বিয়ে করা ভালো হবে রজব মাস ইসলামের একটি মাসের নামে এই মাসে যদি কেউ বিয়ে করে তাহলে কি এই বিয়েটি জায়েজ হবে এই বিয়েতে কি কোন সমস্যা হবে না এই সম্পর্কে আপনাদের মনে নানা রকমের প্রশ্ন রয়েছে তার জন্য আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি চলুন জেনে আসি রজব মাসে বিয়ে সম্পর্কে।

ইসলামের বর্ষপঞ্জি মাসের মধ্যে এই রজব মাসের বিশেষ তাৎপর্য ও ফজিলত পূর্ণ মাস রজব মাস। এই রজব মাস বিশেষ সম্মানিত মাস এবং মর্যাদাপূর্ণ মাস। এই মাসে বিয়ে-শাদীর মত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত আমর ঠিক নয় এমনটি মনে করেন অনেকে বাস্তবে এই ধারণা বিশ্বাস কি সঠিক? মহররম মাসে কি বিয়ে শাদী করা যাবে না এ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে।
ইসলামের ইতিহাসে নানান কারণে মহররম মাসে সর্বাধিক পরিচিত এই মাসটি আল্লাহর গণনায় বারো মাসের মধ্যে যে চারটি মাসকে মর্যাদা ও সম্মানিত করেছেন তার মধ্যে একটি মাস হল রজব মাস। এই মর্যাদার মাসে মুমিন মুসলিম নারী পুরুষ বৈরাবিক সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না বা তা অশুভ বা কুলক্ষনের মর্মে সমাজে প্রচলিত ধারণা সঠিক নয় বরং এ ধারণা পোষণ করা একটি ভুল এবং কুসংস্কার।

আল্লাহ তৈরি করা প্রতিটি দিন প্রতিটা মাসে প্রতিটি সময় পবিত্র এবং যেকোনো দিনে বিবাহ করা যায়। একটা পুরুষ যদি তার সামর্থ্য থাকে তাহলে সে অবশ্যই যে কোন মুহূর্তেই বিবাহ করতে পারবে। তবে জুম্মার বারে ও সামান মাসে বিয়ে করা সুন্নত তবে এছাড়াও অন্য যেকোনো দিন যেকোনো সময় বিবাহ করা জায়েজ।

রজব মাসের ফজিলত ও আমল

প্রিয় পাঠক আপনারা রজব মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে কি জানেন আমাদের ফজিলতপূর্ণ চারটি আরবি মাসের মধ্যে রজব মাস অন্যতম এই রজব মাস হচ্ছে আমাদের মাহে রমজানের পূর্বের প্রস্তুতি গ্রহণের মাস এই মাসে আমরা রমজান মাসের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারি। আরবি চন্দ্র বর্ষের সপ্তম মাস হলো রজব রজব মাসের পূর্ণ নাম হল "আর রজব আল মুরাজজাব"।
রজব অর্থ "সম্ভ্রান্ত "প্রাচুর্যময়", "মহান "। মুরাজ্জাব অর্থ সম্মানিত। রজবে মুরাজ্জাব অর্থ প্রাচুর্যময় সম্মানিত। আরবি চারটি মাসকে সম্মানিত মাস একাধারে দিল ও মহরম এবং চতুর্থ হল রজব মাস যা জুমাদাল উখরা ও শাবান মাসের মধ্যবর্তী। (মুসলিম)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম রজব ও শাবান মাস ব্যাপী এই দোয়া বেশি পরিমাণে পড়তেন :
আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবাও ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা ইলা শাহরির রামাদান'। অর্থ হে আল্লাহ! রজব মাস ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন রমজান মাস আমাদের নসিব করুন। (বুখারী ও মুসলিম)

উম্মে সালমা (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) রমজান মাস ছাড়া সবচেয়ে বেশি রোজা পালন করতেন শাবান মাসে, তারপর রজব মাসে। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) যখন রজব মাস আসতো তা আমরা নবীজি (সা.) এর আমলের অধিক্য দেখে বুঝতে পারতাম কোন কোন বর্ণনায় পাওয়া যায় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজব মাসে ১০টি রোজা রাখতেন শাবান মাসে ২০টি রোজা রাখতেন রমজান মাসে ৩০ টি রোজা রাখতেন। (দারিমি)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন,' রজব হল আল্লাহর মাস, শাবান হল আমার নবীজির মাস, রমজান হল আমার উম্মতের মাস।( তিরমিজি)' যে ব্যক্তি রজব মাসে (ইবাদত দ্বারা) ক্ষেত চাষ দিল না এবং শাবান মাসে (ইবাদতের মাধ্যমে) খেত আগাছা মুক্ত করলো না; সে রমজান মাসে ইবাদতের ফসল তুলতে পারবে না।' (বায়হাকি )
রজব মাসে বিশেষ আমল হল বেশি বেশি নফল রোজা রাখা। বিশেষ করে সোমবার বৃহস্পতিবার শুক্রবার এবং মাসের ১, ১০, ১৩, ১৪, ১৫, ২০, ২৯, ৩০ তারিখ রোজা রাখা অধিকারের নফল নামাজ পড়া। বিশেষ করে তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত-দোহা, জাওয়াল, আউয়াবিন, তাহিয়্যাতুল অজু, দুখুলুল মাসজিদ ইত্যাদি আদায় করা।

এ মাসের গুরুত্বপূর্ণ আরো আমল হলো অধিক পরিমাণে কোরআন তিলাওয়াত করা কোরআন তিলাওয়াত শিক্ষা করা ও শিক্ষা দেওয়া যারা জানেন তাদের জন্য সহি শুদ্ধ করা এবং অর্থসহ শেখা।

রজব মাসের দোয়া ও আমল

পাঠক আপনারা কি জানেন রজব মাসে কোন দোয়া পড়তে হয় ও কি আমল করতে হয় অনেকেই হয়তো আপনারা জানেন না রজব মাসের দোয়া সম্পর্কে আমাদের নবী রাসুল সাঃ যখনই রজব মাসে চাঁদ দেখা যেত তখন তিনি দুই হাত তুলে এই দোয়াটি পাঠ করতেন এবং পাঠ করতে বলতেন।হাদিস পাঠে জানা যায, যখন রজব মাস শুরু হতো তখন মহানবী (সা.) দুই হাত তুলে এই দোয়া পাঠ করতেন এবং সাহাবীদের পড়তে বলতেন,

আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবাও ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা ইলা শাহরির রামাদান'।( মসনদে আহমদ)।

অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমাদের জন্য রজব ও সাবান মাসের বরকত দাও এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দাও।

তাহলে আপনারা মমিন মুত্তাকীরা সম্মানিত রজব মাস থেকে পবিত্র মাহে রমজানের প্রস্তুতি নিতে থাকেন তারা রজব মাসে একটি রুটিন তৈরি করে যে পূর্বের রমজান থেকে আগত রমজানে কি কি নেক আমল বেশি করবে গত রমজানে যদি একবার পবিত্র কোরআন খতম দিয়ে থাকে তাহলে এবার দুইবার কোরআন খতম দেওয়ার ইচ্ছা রাখে।
বাহ্যিকভাবে আমরা যেমন স্কুল কলেজ পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার জন্য অনেক পূর্ব থেকে নিজেকে গড়ে তুলি আর সব সময় মাথায় পরীক্ষার ভালো ফলাফলের চিন্তা ঘুরপাক খায় তেমনি ঠিক মুমিনরা তারা রমজান মাসকে স্বাগত জানানোর জন্য রজব মাস থেকেই তৈরি হয়ে থাকে।

হযরত সালমান ফারসি (রা.) হতে বর্ণিত আছে, রজব মাসের প্রথম তারিখের ১০ রাকাত নফল নামাজ পড়তে হয়। হযরত উমর (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন অতি মহান চারটি রাত হলো রজব মাসের প্রথম রাত, শাবান মাসের মধ্য দিবসের রাত, (শবে বরাত) শাওয়াল মাসের প্রথম রাত,(ঈদুল ফিতর বা রমজানের ঈদের রাত) জিলহজ মাসের দশম রাত (ঈদুল আযহা বা কুরবানি ঈদের রাত )।

শেষ কথা। রজব মাসে বিয়ের রজব মাসের ফজিলত ও আমল

আজকের আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় ছিল রজব মাসে বিয়ে এবং রজব মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে যা আমরা আজকের আর্টিকেলের মধ্যে সুন্দরভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি রজব মাসে বিয়ে সম্পর্কে।তাছাড়াও আজকের আর্টিকেলে রজব মাসের ফজিলত ও আমল রজব মাসের দোয়া ও আমল এবং রজব মাসের গুরুত্ব কি এ বিষয়গুলো সম্পর্কেও আপনারা ইতিমধ্যে জানতেও বুঝতে পেরেছেন।
এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।আজকের পোস্টটি আপনার কাছে কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে মতামতি জানিয়ে দিন।এছাড়াও যদি আপনি নিত্যনতুন আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটি ভিজিট করে রাখুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন।আপনার কাছে পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url