শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম - শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনারা কি শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম এবং শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের আর্টিকেলে আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারবেন সবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম এবং শবে মেরাজের গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।
শবে-মেরাজের-নামাজ-পড়ার-নিয়ম
শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম এবং শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আজকে রাতে গেলে শবে মেরাজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু টপিক সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে যেগুলো আমাদের সকলের জেনে রাখা উচিত।এর কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃশবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম।শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

সূচনা। শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম এবং শবে মেরাজের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত

শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত আমাদের প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে শবে মেরাজের দিনে।অর্থাৎ এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ লাভের জন্য যান এবং ২৬ শে রজব দিবাগত রাতে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সাথে দেখা করতে ভ্রমণ শুরু করেন।
তাই আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জন্য মেরাজ কত তারিখে হয়েছিল সবে মেরাজের নামাজের নিয়ত শবে মেরাজের গুরুত্ব ফজিলত শবে মেরাজের সম্পর্কে ইসলাম কি বলে এমন গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করতে চলেছি তাই আর দেরি না করে এক্ষুনি জেনে নিন শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্যগুলো।

মেরাজ কত তারিখে হয়েছিল

প্রিয় পাঠক আপনারা কি জানেন মিরাজ কত তারিখে হয়েছিল। প্রতিটি মুসলমানের জেনে রাখা উচিত মেডার্স কত তারিখে হয়েছিল কারণ আমরা মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য ইবাদত বন্দেগীর দিন হচ্ছে মেরাজ। এই শবে বরাত মেরাজের দিনই তৈরি করা হয় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম।

যার জন্য আমাদের রাসূল আল্লাহ তাআলার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন।এই দিনের মহত্ব অনেক রয়েছে এবং এই দিন কবে গঠিত হয়েছিল এই সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা উচিত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফরজ করা হয়েছে শবে মেরাজের দিনে অর্থাৎ এই রাতে মহানবী (সা.) মহান আল্লাহ তায়ালার সাথে সাক্ষাৎ লাভের জন্য যান এবং ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে ২৬ এর রজব দিবাগত রাতে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম সেখানে দেখা করতে ভ্রমণ করেন।
তিনি এই সফরের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন। আর তখন তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজের বিধান আমাদের ওপর ফরজ করেন এবং উম্মতের জন্য সেটি চলমান থাকে তবে এখানে আরো বেশ কিছু ঘটনাও রয়েছে। রজব মাসের ২৬ তারিখে সবে মেরাজ পালন করা হয় কারণ এই দিন আমাদের রাসুল আল্লাহ সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। আমাদের দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ করা হয়েছে।

শবে মেরাজের নামাজের নিয়ত

আপনারা কি জানেন সবাই মিরাজের নামাজের নিয়ত অনেকেই আপনারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। শবে মেরাজের নামাজের নিয়ত সম্পর্কে অনেকে হয়তো জানেন না। শবে মেরাজের এর জন্য কোন নিয়ত পড়তে হয় বা অনেকের মনে সন্দেহ পোষণ করেন। যে এই নামাজটি নফল নামাজের নিয়তে পড়তে হবে নাকি সুন্নত নামাজের নিয়ত পড়তে হবে।

তাই আজকে আপনাদের মনে সন্দেহ দূর করার জন্য আমরা শবে মেরাজের নামাজের নিয়ত। ভালো নফল নামাজের মত এই নামাজের নিয়ত একইভাবে করতে পারবেনচলুন জেনে আসি শবে মেরাজের নিয়ত: নাওয়াইতুআন উসাল্লিয়া লিল্লাহে তা'আলা রাক'আতায় ছালাতি লাইলাতিল মে'রাজ মুতাওইয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি আল্লাহ আক্বার

আপনি মনে করেন এটি মুখস্থ করতে সমস্যা বা মনে না থাকে তাহলে এই নিয়ত আপনি বাংলায়ও করে নিতে পারেন মনের ইচ্ছে মতো তাহলেও আপনার নিয়তি কবুল হবে।

শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনারা কি শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানেন না হয়তো অনেকেই শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম জানেন না সঠিকভাবে শবে মেরাজের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব তাহলে আপনারা আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম কি সেই সম্পর্কে আজকের আমাদের আর্টিকেলটি।
মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা শবে মেরাজের দিন এই মহিমান্বিত রাতে আল্লাহর সন্তুষ্ট হওয়ার জন্য পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জিকির- আসকারা, দোয়া-দুরুদ ও ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পালন করে থাকেন। এই রাতে দুই রাকাত করে নিয়ত পড়ে কমপক্ষে ১২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হয়।

তাছাড়া আপনি বিভিন্ন নফল ইবাদত আরো বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতে পারেন। অন্যান্য নফল নামাজের মত সেই নিয়মে আপনি নফল দুই রাকাত করে নামাজ পড়তে পারেন ১২ রাকাত। এই নামাজের আলাদাও কোন নিয়ম নেই অন্যান্য নামাজ যেভাবে পড়েন সেই ভাবেই দুই রাকাত নফল নামাজ করে পড়তে হবে আপনাকে নামাজের নিয়তে অবশ্যই জেনে নিতে হবে।

শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

প্রিয় পাঠক আপনারা কি শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানেন আপনারা যারা শবে মেরাজের রাতের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে জানেন না তারা আজকে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে আপনারাও জানতে পারবেন শবে মেরাজের গুরুত্ব কতখানি একজন মুসলিমের জীবনে এই শবে মেরাজের রাতে কি হয়েছিল যার কারণে এই রাতটি আমাদের জন্য এত জরুরী।

মুসলিমরা বিভিন্নভাবে ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পালন করে থাকেন। রজব মাসের ২৬ তারিখে সবে মেরাজ পালন করা হয় এই রাতে মহান আল্লাহ তাআলার হুকুমে আমাদের প্রিয় নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম আরশে আজিম পর্যন্ত উদ্ধালোক গমনে সৌভাগ্য লাভ করেছেন এই সময় তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দিদার লাভ করেন এবং আল্লাহর কাছ থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে একই রাতে আবার দুনিয়াতে ফিরে আসেন।
এ কারণে রাত্রি মুসলমানদের কাছে অত্যান্ত প্রবীর মুসলমানরা এই মহিমান্বিত রাতে আলো সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জিকির-আসকরা, দোয়া-দরুদ ও ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে পালন করে থাকেন।

ইবাদতের মধ্যে সুষ্ঠু হলো নামাজ সুতরাং নফল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হল নফল নামাজ। প্রতিটি নফল ইবাদতের জন্য তাজা ওযু বা নতুন অজু করা মুস্তাহাব বিশেষ ইবাদতের জন্য গোসল করা মুস্তাহাব। ইবাদতের জন্য দিন অপেক্ষার রাত শ্রেয়তর।

শবে মেরাজ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

সবে মিরাট সম্পর্কে ইসলামিক কি বলে এই মহিমান্বিত রাতে সম্পর্কে ইসলামে কি বলা হয়েছে এই সম্পর্কে আজকে আমাদের আর্টিকেলটি শবে মেরাজ সম্পর্কে ইসলামী কি বলে শবে মিরাজের তাৎপর্য কতখানি চলুন আজকে জেনে আসি আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে শবে মেরাজ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে।

শবে মেরাজ এর মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের পঞ্চম স্তরের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক বা ফরজ করা হয়। এই রাতে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করার বিধি মুসলমানদের জন্য নিয়ে আসেন নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম।
নবি করিম (সা.) বলেন: পরম পবিত্র ও মহিমা ময় সত্য তিনি জিনিস প্রিয় বান্দাকে রাতের বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যার চারিদিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে সে রাতে আমি তাকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল। (সূরা ইসরা আয়াত :১)

এছাড়াও বিশ্ব নবী রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেরাজের অনেক ঘটনা উল্লেখ করেছেন বিশ্ব নবী মিরাজ ছিল মক্কার হাতে গোনা কয়েকজন নব মুসলিম জন্য কার্যকারী টনিক ও ইমানি স্পৃহা বাড়ানোর অন্যতম উপাধাই যা বিশ্ব নবীর রিসালাতের সভ্যতায় অন্যতম মুজেজা বটে। আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাদের মেরাজের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার তৌফিক দিক এবং ঈমানকে আরো শক্তিশালী করার তৌফিক দান করুক আমিন।

শেষ বার্তা। শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম এবং শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে আজকের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জানতেও বুঝতে পেরেছেন সবাই মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম এবং শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো।তাই আশা করছি শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম আপনি আজকের আর্টিকেল থেকে সম্পূর্ণ ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের এই পোস্টটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।এছাড়া শবে বরাতের নামাজ পড়ার নিয়ম এবং মেরাজের গুরুত্ব ফজিলত সকলের সাথে শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।এতে করে সবাই মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবে যা সবাই উপকৃত হবে।আজ এ পর্যন্তই আবার কথা হবে অন্য কোন টপিক নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url