শবে মেরাজ কবে ২০২৪ - মেরাজের ১৪ টি শিক্ষা

প্রিয় পাঠক আপনি কি শবে মেরাজ কবে ২০২৪ এবং মেরাজের ১৪ টি শিক্ষা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। কারণ আজকের এই পোষ্টের ভিতর আলোচনা করার চেষ্টা করেছি সবে মেরাজ কবে ২০২৪ এবং মেরাজের ১৪ টি শিক্ষা সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।তাই আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এক্ষুনি জেনে নিন শবে মেরাজ কবে ২০২৪ সম্পর্কে।
শবে-মেরাজ-কবে ২০২৪ - মেরাজের-১৪ টি-শিক্ষা
শবে মেরাজ কবে ২০২৪ এবং মেরাজের ১৪ টি শিক্ষা সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনিও খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন শবে মেরাজ কবে ২০২৪ এবং মেরাজের ১৪ টি শিক্ষা সম্পর্কে। তাই আর অযথা সবাই নষ্ট না করে ঘুরাঘুরি না করে এক্ষুনি জেনে নিন শবে মেরাজ কবে ২০২৪ সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ শবে মেরাজ কবে ২০২৪ এবং মেরাজের ১৪ টি শিক্ষা

সূচনা।শবে মেরাজ কবে ২০২৪ এবং মেরাজের ১৪ টি শিক্ষা

আজকের আর্টিকেলের ভিতর সবে মেরাজ কবে ২০২৪ এবং মেরাজের ১৪ টি শিক্ষা অর্থাৎ আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আপনারা বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।এছাড়াও আজকের আর্টিকেলের ভিতরে রয়েছে মেরাজের ঘটনা কোন সূরায় আছে, শবে মেরাজ কি, নবীজির মেরাজের ঘটনা সহ যাবতীয় সকল তথ্যগুলো যেগুলো আমাদের জেনে রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ যার মধ্যে রয়েছে আমাদের অনেক সওয়াব।
প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির জন্য শবে মেরাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই আমরা আজকের আলোচনার বিষয়ের মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি সবে মেরাজ কবে ২০২৪ এবং মেরাজের ১৪ টি শিক্ষা সম্পর্কে।তাই আপনি যদি এ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত না থাকেন তাহলে এ পোস্টটি সম্পন্ন করে এক্ষুনি জেনে নিতে পারেন।নিচে শবে মেরাজ কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন।

শবে মেরাজ কবে ২০২৪

প্রিয় পাঠক আপনারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন ২০২৪ সালে শবে মেরাজ কবে ২০২৪ সালে শবে মেরাজ কবে এই সম্পর্কে আপনাদেরকে আজকে আমরা জানাবো। আমাদের বাংলাদেশে প্রায় তিন ভাগ মানুষই মুসলিম। যারা মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে ইবাদত বন্দেগী করে থাকেন এবং শবে মেরাজের দিনের মহত্ত্ব জেনে তারা এই দিনটি আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীতে পালন করেন।

আপনাকে অবশ্যই নামাজ আদায় করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় না হলে পরবর্তী সময়ে আদায় করে নিতে হবে আমাদের যে পাঁচ বক্তব্য ফরজ নামাজ রয়েছে কোন নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া নামাজ থেকে বিরত থাকতে পারবেন না।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফরজ করা হয়েছে শবে মেরাজের দিনে অর্থাৎ এই রাতে মহানবী (সা.) মহান আল্লাহ তায়ালার সাথে সাক্ষাৎ লাভের জন্য যান এবং ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে ২৬ এর রজব দিবাগত রাতে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম সেখানে দেখা করতে ভ্রমণ করেন।তিনি এই সফরের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন। আর তখন তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজের বিধান আমাদের ওপর ফরজ করেন এবং উম্মতের জন্য সেটি চলমান থাকে তবে এখানে আরো বেশ কিছু ঘটনাও রয়েছে। 

২০২৪ সালে সবে মেরাজ পালন হবে কবে এই সম্পর্কে চার্ট দেখার ওপর নির্ভর করে গত শুক্রবারে দিবাগত রাতে চাঁদ দেখা যায়নি যার কারণে আগামী শনিবার জমা দিউস সানির ৩০ দিন পূর্ণ হবে আর আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে। আশা করা যাচ্ছে এই আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পেরেছেন ২০২৪ সালের শবে মিরাজ ৮ই ফেব্রুয়ারি।

মেরাজের ১৪ টি শিক্ষা

প্রিয় পাঠক আপনারা আমাদের কাছে মেরাজের চৌদ্দটি শিক্ষা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন আপনারা কি জানেন শবে মেরাজের ১৪টি শিক্ষা কি কি। আজকে আপনাদের জন্য আমাদের আর্টিকেলটি মেরাজের ১৪টি শিক্ষা সম্পর্কে হয়তো জানেন না। শবে মেরাজ শুধুমাত্র আমাদের জন্য পালন করার জন্যই নেই এর পেছনে রয়েছে মহৎ গল্প এবং ঘটনা যার শিক্ষা গ্রহণ করা হয়।
মিরাজ উপলক্ষ করে হিজরত পরবর্তী সময়ে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের মহান রবের অধিকার মানবাধিকার মানুষের সাথে ব্যবহার লেনদেন ও ওজন নীতি সম্পর্কে ১৪ দফা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন যা পবিত্র কুরআনে ১৫ তম পাড়ায় সূরা বানী ইসরাইলের ২৩ নং আয়াত থেকে ৩৯ নং আয়াত পর্যন্ত বিবৃতি দেওয়া হয়েছে । এই সবে মেরাজের শিক্ষা নিয়ে আপনাদের সাথে আজকে আলোচনা করব শবে মেরাজের ১৪টি শিক্ষা নিচে দেওয়া হল :
  • তোমরা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কারো দাসত্ব অনুগত উপাসনা করবে না। (আয়াত ২৩)
  • তোমার পিতা মাতার সাথে ভালো ব্যবহার করবে যদি তাদের একজন অথবা দুই জনই বৃদ্ধ অবস্থায় বেঁচে থাকেন তবে তাদের সাথে ও শব্দটি পর্যন্ত করবেন না। তাদের তুচ্ছ জ্ঞান করে ধমক দিয়ে কথা বলবে না তাদের সাথে মিষ্টি ভাষায় কথা বলবে তাদের সামনে যাবে অত্যন্ত বিনম্রভাবে ও দয়াদ্রচিত্তে আর বলবে, হে প্রভ! তাদেরকে সেই রূপ প্রতিপালন করো যে রূপে তারা আমাদেরকে ছোটবেলায় লালন পালন করেছিলেন। (আয়াত নং ২৩ ২৪)
  • আপনাদের স্বজনদের হক (পাওনা) বুঝিয়ে দাও এবং মিসকিন পথিকদেরও হক আদায় করো। (আয়াত নং ২৬ )
  • তোমরা অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে অপচয় করোনা কারণ অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। (আয়াত নং ২৬, ২৭ )
  • তোমার হাতকে না একবারে ঘাড়ের সাথে বেঁধে ফেলবে আর না একবারে খুলে দেবে ( বখিলও হয়ো না অমিতব্যয়ীও হয়ো না) যারা অমিতব্যয়ী ব তাদেরকে একদিন অনুতপ্ত হতে হবে। ( আয়ার নং ২৯)
  • গরিব হয়ে যাওয়ার ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানকে মেরে ফেলো না। আমি তাদেরকে এবং তোমাদেরকে রিযিক দিই তাদের হত্যা করা গুরুতর অপরাধ। (আয়াত নং ৩১)
  • তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না অবশ্যই তা অশ্লীল কাজ এবং ধ্বংসের পথ। (আয়াত নং ৩২)
  • আল্লাহ যাকে হত্যা করতে নিষেধ করেছে তাকে হত্যা করবানা। (আয়াত নং ৩৩)
  • আর এটি মেয়ের মালের কাছেও যেও না একমাত্র তার করলেন আকাক্সক্ষা ছাড়া। বরং তারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত তাদের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ করো। (আয়াত নং ৩৪)
  • তোমরা ওয়াদা, চুক্তি ও অঙ্গীকার পূর্ণ করো অবশ্যই এ বিষয়ে মানুষ পরকালের জিজ্ঞাসিত হবে।( আয়াত নং ৩৪)
  • তোমরা পাত্র বা পাল্লায় যা দিয়ে পরিমাপ করো না কেন পরিপূর্ণ অন্যায় সঙ্গতভাবে পরিমাপ করো। (আয়াত নং ৩৫)
  • যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই তার ওপর অমূলক ধারণার বশবর্তী হয়ে হঠাৎ কোনো কাজ করবেনা। নিশ্চয়ই তোমার শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ও চিন্তাশক্তি ব্যবহারের ব্যাপারে তুমি জিজ্ঞাসাই তো হবে। (আয়াত নং ৩৬ )
  • জমিনের ওপর দিয়ে কখনো গর্ব করে চলাফেরা করো না। কেননা তোমরা পথ ভাবে জমিন ছাড়তে পারবে না এবং তুমি পাহাড়ে সমান হতে পারবে না। (আয়াত নং ৩৭ )
  • তোমরা আল্লাহর সাথে কাউকে ইলাহ তথা উপাস্য, আইনদাতা, বিধাতা হিসেবে স্থির করবে না। তাহলে আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে বিতাড়িত হয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। (আয়াত নং ৩৯)
উপরের দেওয়া এই ১৪টি শিক্ষা আল-কোরআনের দেওয়া রয়েছে এবং এই শিক্ষার ওপর নীতি নির্ধারণ করেই কিন্তু শবে মেরাজ পালন করা উচিত।

শবে মেরাজ কি। শবে মেরাজ কবে ২০২৪

মিরাজ আরবি শব্দ এর শাব্দিক অর্থ ঊর্ধ্বগমন, আকাশ পথে ভ্রমণ করা, সোপান ইত্যাদি। রজব মাসের ২৭ তারিখের রাতে জাগ্রত অবস্থায় মসজিদের হারাম থেকে মসজিদের আকসা, এরপর বোরাকে করে উর্ধা আকাশ পাড়ি দেওয়ার মাধ্যমে আরও সে আজিমে পৌঁছে আল্লাহর দিদার লাভ করার নামই মেরাজ।
আল কুরআন আল করিমে আল্লাহ তায়ালা বলেন পবিত্র সত্ত্বা তিনি যিনি বান্দাকে তার নির্দেশন গুলো দেখানোর জন্য রাত্রি কালে ভ্রমণ করিয়েছেন। মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত যার পরিবেশ পবিত্র নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রেষ্ঠা সর্বদ্রষ্টা।( সূরা বনি ইসরাইল :১)
ইসলাম ধর্ম মতে লাইলাতুল মিরাজ বা মেরাজের রাত হচ্ছে যে রাতে ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ঐশ্বরিক উপায়ে উর্দু আকাশে আহরণ করেছিলেন এবং স্রষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন অনেক মুসলমান ইবাদত বন্দুকের মধ্যে দিয়ে এই রাতে উদযাপন করে। আবার অনেক মুসলমান এই রাত উদযাপন করে না বরং এই রাত উদযাপন করাকে বিদআত বলে।

মেরাজের ঘটনা কোন সূরায় আছে

প্রিয় পাঠক আপনারা কি জানেন মিরাজের ঘটনা কোন সূরায় আছে কোন সুরাতে আল্লাহ তা'আলা সবই মেরাজের ঘটনা উল্লেখ করেছেন। পাঠক বৃন্ত আপনারা যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন মেরাজের ঘটনা কোন সূরায় রয়েছে এবং কোন সূরা পড়লে মিলাদের ঘটনা সম্পর্কে আপনারা জানতে পারবেন আজকে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে আর দেরি না করে চলুন জেনে আসি মেরাজের ঘটনা কোন সূরায় আছে।

(সূরা বনি ইসরাইল- ১) এই সূরার মধ্যে আপনি শবে মেরাজ সম্পর্কে ঘটনা কিছুটা অংশ জানতে পারবেন। ইসরা অর্থ রাতে নিয়ে যাওয়া আয়াতে মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত সফরকে ইসরা বলা হয় আর সেখান থেকে আসমান পর্যন্ত সে সফর তাই মেরাজ এই আয়াতে 'ইসরা' আর মেরাজ সূরা নাজমে এবং হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
মেরাজ আর্থিক নয় সশরীলে হয়েছিল ইশরা ও মেরাজের সফর আর্থিক ছিল না বরং সাধারণ মানুষের সফরের মতই সশরীলে ছিল। এই কথা কোরআন ও হাদিসে প্রমাণিত আলোচ্য আয়াতের প্রথম সুবহান শব্দের মধ্যে দিয়ে এই দিকে ইঙ্গিত করেছে।

কেননা এই শব্দটি আশ্চর্যজনক ও বিরাট বিষয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। মেরাজ যদি শুধু আত্নিক অর্থাৎ স্বপ্ন জগতে সংঘটিত হয়, তবে তাতে আশ্চর্যের কি আছে।স্বপ্নে তো প্রত্যেক মুসলমান; বরং প্রত্যেক মানুষ দেখতে পারে যে সে আকাশে উঠেছে অবিশ্বাস ও বহু কাজ করেছে।

নবীজির মেরাজের ঘটনা। শবে মেরাজ কবে ২০২৪

প্রিয় পাঠক আপনারা কি নবীজির মেরাজের ঘটনা সম্পর্কে জানেন আমরা মুসলমান আমাদের উচিত নবীজির প্রতিটি ঘটনা সম্পর্কে অবগত থাকা। বিভিন্ন রকমের হাদিস ও কুরআনের মাধ্যমে থেকে আমরা নবীজির ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারি চলুন আজকে আপনাদের সাথে নবীজির মেরাজের ঘটনা নিয়ে আলোচনা করব আপনাদেরকে জানাবো শবে মেরাজের ঘটনা।
'আবদ' শব্দে এইদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। কারণ শুধু আত্মাকে আবদ বলে না; বরং আত্মা ও দেহ উভয়ের সমষ্টিকেই আবদ বলা হয়। এছাড়া রাসুল সালাম যখন মেরাজের ঘটনা হযরত উম্মে হানি (রা.) এর কাছে বর্ণনা করলেন তখন তিনি পরামর্শ দিলেন একথা প্রকাশ করবেন না তাহলে কাফেররা আপনার প্রতি মিথ্যার রুপ করবে। ব্যাপারটি যদি নিছক স্বপ্নই হতো তবে মিথ্যার রোগ করার কি কারণ ছিল।
এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যখন ঘটনা প্রকাশ করলেন তখন কাফেররা মিথ্যার রোগ করল এবং ঠাট্টা বিদ্রুপ করল এমনকি কত না মুসলমান এই সংবাদ শুনে ধর্ম ত্যাগী হয়ে গেল। ব্যাপারটি স্বপ্নের হলো এতসব তুলকালাম কাণ্ড ঘটার সম্ভাবনা ছিল কি? তবে এ ঘটনার আগে এবং স্বপ্নের আকারে কোন আত্মিক মেরাজ হয়ে থাকলে তা এর পরিপন্থী নয়।

ইসরা সম্পর্কে সব মুসলমানের ঐকমত রয়েছে শুধু ধর্মদ্রোহী যিন্দীকরা একে মানেনি। মেরাজ থেকে ফিরে এসে ভোরবেলা যখন নবীজি (সা.) রাতে সফর ঘটনা শোনালেন, তখন কোরাইশ নেতারা তা অস্বীকার করতে লাগল এত অল্প সময়ে মক্কা শরীফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাসে গমন তাদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হলো।
তাদের মধ্যে যে এর আগে মসজিদে আকসা ভ্রমণ করেছে সে জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা বায়তুল মুকাদ্দাস এর কিছু বিবরণ শোনান দেখি। অমনি আল্লাহ তায়ালা মসজিদের বাস্তব চিত্র নবীজি (সাঃ) এর সামনে হাজির করে দিলেন আর তিনি দেখে দেখে সব বলে দিলেন। (বুখারী ৪৭১০)

ইবনে কাসির তার তফসিরে এই আয়াতের তাফসীর এবং সংশ্লিষ্ট হাদিসের বর্ণনা দিয়ে বলেন সত্য কথা হলো নবীজী (সাঃ) ইসরা সফর জাগ্রত অবস্থায় করেন, স্বপ্নে নয়। মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত এর সফরে বোরাকযোগে করেন বাইতুল মুকাদ্দাস দ্বারা উপনীত হয়ে তিনি বোরাকটি ও দূরে বেঁধে নিন এবং বায়তুল মুকাদ্দাস এর মসজিদে প্রবেশ করে কেবলা মুখি হয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন।

এরপর শিরিশ সাহায্যে প্রথম আকাশ তারপর অন্যান্য আকাশে যান ওই সিঁড়িটির স্বরূপ সম্পর্কে আল্লাহতালা ভালো জানেন। যাইহোক প্রতিটি আকাশে সেখানকার ফেরেশতারা তাকে অভ্রান্ত না জানান এবং ষষ্ঠ আকাশে হযরত মূসা (আ.) ও সপ্তম আকাশে হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। এরপর তিনি পয়গম্বরগণের স্থানগুলো অতিক্রম করে যান।

এক ময়দানে পৌঁছান সেখানে ভাগ্যলিপি লেখার শব্দ শোনা যাচ্ছিল তিনি সিদরাতুল মুনতাহা দেখেন, সেখানে আল্লাহর নির্দেশে স্বর্ণের প্রজাতি ও নানা রঙের প্রজাপতি ছোটাছুটি করছিল ফেরেশতারা স্থানটিকে ঘিরে রেখেছিল। সেখানে তিনি একটি দিগন্ত বেষ্টিত সবুজ রঙের পালকের ন্যায়ের রফরফ ও বাইতুল মা'মুর ও দেখেন।

বায়তুল মামুর এর কাছে কাবার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইব্রাহিম (আ.) প্রাচীরের সঙ্গে হেলান দিয়ে বসা ছিলেন এই বায়তুল মামুরের দৈনিক ৭০ হাজার ফেরেশতা প্রবেশ করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) স্বচক্ষে জান্নাত ও দোযখ দেখেন সেই সময় তার উন্নতির জন্য প্রথমে ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার নির্দেশ হয়। এরপর তা কমিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত করে দেওয়া হয়।
এর দ্বারা সব ইবাদতের মধ্যে নামাজের বিশেষ গুরুত্ব ও শেষত্ব প্রমাণিত হয় এরপর তিনি বায়তুল মুকাদ্দাসে ফিরে আসেন এবং বিভিন্ন আকাশে যে সেসব পয়গাম্বরের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল তারাও তার সঙ্গে বায়তুল মুকাদ্দাসের নামেন তারা এখান থেকে বিদায় নিল এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বোরাকে সওয়ার হয়ে অন্ধকার থাকতেই মক্কায় পৌঁছে যান।

শেষ কথা।শবে মেরাজ কবে ২০২৪। মেরাজের ১৪ টি শিক্ষা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনি আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে বুঝতে পেরেছেন যে আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলের ভেতরে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম শবে মেরাজ কবে ২০২৪ এবং মেরাজের ১৪ টি শিক্ষা সম্পর্কে।তাই আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো আপনার মূল্যবান মতামতটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি শবে মেরাজ কবে ২০২৪ এর সম্পর্কে সুন্দর ভাবে জানতে পেরেছেন।
এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের এই মূল্যবান পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে সকলের সাথে শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।এছাড়াও নিত্য নতুন আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে রাখুন।আজকের আর্টিকেল এ পর্যন্তই আবারো কথা হবে অন্য কোন টপিক নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url