শাবান মাসে বিয়ের ফজিলত - আরবি কোন মাসে বিয়ে করা উত্তম

প্রিয় পাঠক আপনি কি শাবান মাসে বিয়ের ফজিলত এবং আরবি কোন মাসে বিয়ে করা উত্তম এই বিষয় সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না? এই পোস্টটি আপনার জন্য কারণ আমরা এই পোস্টে আলোচনা করতে চলেছি শাবান মাসে বিয়ের ফজিলত এবং আরবি কোন মাসে বিয়ে করা উত্তম সে সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।
শাবান মাসে বিয়ের ফজিলত-আরবি-কোন -মাসে-বিয়ে-করা-উত্তম
শাবান মাসে বিয়ের ফজিলত এবং আরবি কোন মাসে বিয়ে করা উত্তম এ বিষয় সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।তাহলে আপনিও শাবান মাসে বিয়ের ফজিলত এবং আরবির কোন মাসে বিয়ে করায় উত্তম এ বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে ঝটপট জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ শাবান মাসে বিয়ের ফজিলত এবং আরবি কোন মাসে বিয়ে করা উত্তম

উপস্থাপনা। সাবান মাসে বিয়ের ফজিলত এবং আরবি কোন মাসে বিয়ে করা উত্তম

আজকের এই পোস্ট থেকে আপনারা জানতে পারবেন সাবান মাসেই বিয়ের ফজিলত এবং আরবি কোন মাসে বিয়ে করা উত্তম।কারণ আজকের এই পোস্টে আমরা চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে আলোচনা করার শাবান মাসে বিয়ের ফজিলত নিয়ে।তাছাড়া বিয়ে সংক্রান্ত তথ্য জানতে আপনারা আমাদের কাছে প্রশ্ন করে থাকেন।তাই আমরা আপনাদের কাছে সঠিক প্রশ্নের উত্তরটি পৌঁছে দেওয়ার জন্য আজকের এই পোস্টে আলোচনা করেছি।
এছাড়াও আজকের এই পোস্টে থাকছে মানব জীবনে বিবাহের গুরুত্ব, ইসলামে বিবাহের গুরুত্ব, কি বারে বিয়ে করা উত্তম এবং আরবির কোন মাসে বিয়ে করা উত্তম এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে।তাই আর কথা না বাড়িয়ে অযথা সময় নষ্ট না করে এখনই জেনে নিন শাবান মাসে বিয়ের ফজিলত সম্পর্কে।নিচে ইসলামের বিবাহের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন।

ইসলামে বিবাহের গুরুত্ব

ইসলামে বিবাহের গুরুত্ব সম্পর্কে আপনারা কি জানেন ইসলামে বিবাহর গুরুত্ব নিয়ে আজকের আমাদের আর্টিকেলটি যেখানে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব ইসলামিক বিবাহের গুরুত্ব কি।বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও বিয়ের ইসলামে গুরুত্ব রয়েছে।

প্রাপ্তবয়স্ক ও সামর্থ্যবান হলে যে কোন পুরুষের বিবাহ করা যায় এই জন্য কারো যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে সে বিবাহ করতে পারবে। বিয়ে শুধুমাত্র জৈবিক চাহিদায় নয় বরং একটি মহান ইবাদত ও বটে বিয়ের মাধ্যমে ইহ ও পরকালের কল্যাণ সাধিত হয় বিয়ে মানুষের জীবনে পরিশীলিত, মার্জিত, পবিত্রতা রক্ষা করে।
আল্লাহ তায়ালা প্রথম মানব ও প্রথম নবী হযরত আদম (আ.)কে সৃষ্টি করার পর তিনি একাকীত্ব অনুভব করলেন তখন আদির পিতা হযরত আদম (আ.) এর এই একাকীত্ব দূর করার জন্য মহান আল্লাহ তা'আলা তাঁর সঙ্গী হিসেবে আদি মাতা বিবি হাওয়া (আ.) কে সৃষ্টি করলেন এখান থেকেই শুরু হয় নারী ও পুরুষের দাম্পত্য জীবনের আল্লাহর রাব্বুল আলামীনের মহা পরিকল্পনায় আদম (আ.)মা হাওয়া (আ.) দুনিয়ায় এলেন তাদের ঔরসজাত সন্তানরাই পৃথিবী সাজিয়েছে।

আর সেই সময় থেকে ধারাবি ভাবে চলে আসে এই বিয়ের। আল কুরআনে এরশাদ করেছেন মহান রাব্বুল আলামিন, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্যে থেকে তোমাদের সঙ্গীতের সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা তোমাদের কাছে শান্তিতে থাকো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দোয়া সৃষ্টি করেছেন। ' (সূরা রুম, আয়াত: ২১)
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, "তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহ হীন তাদের বিয়ে সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করেন তাদেরও।" তারা যদি নিঃস্ব হয় তবে তাদের নিজ অনুগ্রহে তাদের সচ্ছল করে দেবেন আল্লাহ প্রাচুর্যময়। যারা বিয়েতে সামর্থ্য নয় তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে সব যে পর্যন্ত না আল্লাহর নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করে দেন। (সূরা নূর, আয়াত :৩২-৩৩)

শাবান মাসে বিয়ের ফজিলত

প্রিয় পাঠক শাবান মাসে বিয়ের ফজিলত সম্পর্কে আপনারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন আপনারা অনেকেই জানতে চান যে শাওয়াল মাসে বিয়ে দিলে কি কোন সমস্যা হবে।শাওয়াল মাসে বিয়ে করেছিল নবীজির রাসুল (সাঃ) এই জন্য এই মাসে বিয়ে করলে বেশি ফজিলতপূর্ণ এই মাস।

আমাদের নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর আয়েশা (রা.) সাথে বিবাহ হয়েছিল শাওয়াল মাসে এবং সেই মাসেই তাদের বাসর হয়েছে এই জন্য এই মাসটিকে ফজিলতপূর্ণ হিসেবেও অনেকে দেখেন। শাওয়াল মাসে বিয়ে করাকে মুছতে হবে হিসেবেও ধরা হয় জাহেলী যুগে এই মাসে বিয়ে দেওয়া করা ও বাসর করাকে অপছন্দনীয় মনে করা হতো যার কোন ভিত্তি ছিল না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি বিয়ে করল সে ঈমানের হক পূর্ণ করল। "
কোন সাহাবাদের মতে শাওয়াল মাসে বিয়ে করা মুস্তাহাব নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা (রা.) এই মাসে বিয়ে করেছেন। ইরশাদ হয়েছে আয়েশা( রা.) বলেন," রাসুলুল্লাহ( সা.) আমাকে বিয়ে করেন শাওয়াল মাসে এবং শাওয়াল মাসেই আমাদের বাসর হয়।আয়েশা( রা.) সাওয়ালে তার (সম্পর্কীয়) মেয়েদের বাসর হওয়া পছন্দ করতেন।

ইমাম নবী( রহ.) সহিহ মুসলিমের ব্যাখা গ্রন্থে এই হাদিসে উল্লেখ করার পর বলেন এই হাদিস দ্বারা বোঝানো যায় যে শাওয়াল মাসে বিয়ে দেওয়া বিয়ে করা ও বাসর করা মুস্তাহাব আমাদের পূর্বসূরীরাও এই হাদিস দ্বারা শাওয়াল মাসে বিয়ে করা মুস্তাহাব হওয়ার দলিল দিতেন।

মানব জীবনে বিবাহের গুরুত্ব

মানব জীবনে বিবাহের গুরুত্ব সম্পর্কে আপনারা কি জানেন মানব জীবনে বিবাহ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই মানব সমাজকে সুশৃংখল ও বিভিন্ন রকমের হারাম কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য মানব জনমনে বিবাহর গুরুত্ব রয়েছে প্রচুর। মানব জীবনকে সুন্দর ও সুশৃংখল ভাবে তৈরি করতে অবশ্যই দুটি মানুষের মধ্যে পরস্পরিক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জরুরী।

প্রাপ্তবয়স্ক একজন নারী ও একজন পুরুষের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যেমন ইসলামে যায় তেমনি সামাজিকভাবেও মানব জীবনে বিবাহ গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ের মাধ্যমে একজন পুরুষ এবং একজন নারী একে অপরের সঙ্গে চিরজীবনের জন্য আবদ্ধ হয় এবং সকল কাজকর্মের সঙ্গী হয়ে যায় তাদের মধ্যে প্রেম প্রীতি ভালবাসা গড়ে ওঠে এবং তাদের আগামী প্রজন্ম তৈরি করে।
তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন মানব জীবনে বংশ ও ধারা রক্ষা করার জন্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া কতটা জরুরী শুধু ধর্মীয় সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে নই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বিবাহের গুরুত্ব রয়েছে অপরিসীম। একজন মানব চলার পথে তার জীবনসঙ্গীর প্রয়োজন হয় সব সময়ই তাই জন্য চিরজীবন পাশাপাশি চলার জন্য হলেও বিবাহ করা দরকার।

মানব জীবনে অন্নবস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসা যেমন ভাবে জীবনের অপরিহার্য প্রয়োজন তেমনি একজন যৌবন দীপ্ত মানুষের সুস্থ জীবন যাপনের জন্য বিবাহ গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর প্রায় সকল ধর্মে এর গুরুত্ব সীমাহীন এই জন্য ইসলামেও বিবাহকে ইবাদত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

কি বারে বিয়ে করা উত্তম।শাবান মাসে বিয়ের ফজিলত

প্রিয় পাঠক আপনারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কি বারে বিবাহ করা উত্তম আপনারা কি জানেন কি বারে বিবাহ করা উত্তম এবং ইসলামে কি বারে বিবাহ করতে বলা হয়েছে। যারা বিবাহ করতে আগ্রহী এবং আগামীতে বিবাহ করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য আজকে আমাদের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পারবেন কি বারে বিয়ে করা উত্তম। তাহলে আর দেরি না করে চলুন জেনে আসি কি বারে বিয়ে করা উত্তম এই সম্পর্কে।

বিবাহ একটি পবিত্র সম্পর্ক এই সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য অবশ্যই একটি উত্তম দিন নির্ধারণ করে বিয়ে করা উচিত। আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি করা প্রতিদিন প্রতিটি সময় এবং প্রতিটি মুহূর্তই পবিত্র এবং হালাল তবে এর মধ্যেও আল্লাহ তাআলা সৃষ্ট নবীর রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম আমাদের জন্য কিছু সুন্নতে রেখে গেছেন যা মেনে চলা আমাদের উচিত।
পবিত্র জুম্মার দিনে শাবান মাসে বিবাহ করা অনেক ফজিলতপূর্ণ এবং ভালো। জুম্মার দিনে যেহেতু অনেক জনসমাগম থাকে মসজিদে এবং মসজিদে বিবাহ করা সুন্নত । তাই কেউ যদি চায় বিবাহ করতে শাওয়াল মাসের জুম্মা বারে বিবাহ করতে পারে এছাড়াও যে কোন দিন যেকোনো মুহূর্তে বিবাহ করা জায়েজ রয়েছে।

অনেকেই বিভিন্ন রকমের ভ্রান্ত ধারনা মনে পোষণ করেন যে শনিবার এবং মঙ্গলবারে বিবাহ করলে অমঙ্গল হয় এমন কোন কিছুই ইসলামের বা হাদিসে পাওয়া যায়নি। তাই আপনারা যদি উত্তম বারে বিবাহ করতে চান তাহলে আপনারা জুম্মার দিনে বিবাহ করতে পারেন।

আরবি কোন মাসে বিয়ে করা উত্তম।শাবান মাসে বিয়ের ফজিলত

প্রিয় পাঠক আপনারা কি জানেন আরবি কোন মাসে বিয়ে করার উত্তম অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আমাদের কাছে যে আরবি কোন মাসে বিয়ে করা উত্তম হবে আপনাদের জন্য আজকে আমাদের আর্টিকেল আরবি কোন মাসে বিয়ে করা উত্তম এই সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জেনে নিন।

আপনারা যারা আরবি মাস অনুযায়ী বিয়ে করতে চান তাদের জন্য শাওয়াল মাস সবচেয়ে ফজিলত পূর্ণ এবং উত্তম মাস। শাওয়ালে তার সম্পর্কীয় মেয়েদের বাসর হওয়া পছন্দ করতেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বিয়ে নবীদের অন্যতম সুন্নতেই সুন্নত মেনে চলার জন্য এবং নিজের যৌন চাহিদার জন্য একজন প্রাপ্ত বয়স ও সামর্থ্যবান পুরুষ বিবাহ করাও সুন্নত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি বিয়ে করল সে ঈমানের হক পূর্ণ করল। "
কোন সাহাবাদের মতে শাওয়াল মাসে বিয়ে করা মুস্তাহাব নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা (রা.) এই মাসে বিয়ে করেছেন। ইরশাদ হয়েছে আয়েশা( রা.) বলেন," রাসুলুল্লাহ( সা.) আমাকে বিয়ে করেন শাওয়াল মাসে এবং শাওয়াল মাসেই আমাদের বাসর হয়।আয়েশা( রা.) সাওয়ালে তার (সম্পর্কীয়) মেয়েদের বাসর হওয়া পছন্দ করতেন।

শেষ কথা। শাবান মাসে বিয়ের ফজিলত এবং আরবি কোন মাসে বিয়ে করা উত্তম

কিরে পাঠকবৃন্দ আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে জানতেও বুঝতে পেরেছেন শাবান মাসে বিয়ের ফজিলত এবং আরবি কোন মাসে বিয়ে করা উত্তম এ বিষয় সম্পর্কে যাবত সকল তথ্য। আশা করছি এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের পোস্টটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। এছাড়াও নতুন আপডেট পোস্ট করতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে রাখুন। আজকের পোস্ট এ পর্যন্তই আবারো কথা হবে অন্য কোন টপিক নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url