শীতে কি ক্রিম ব্যবহার করা উচিত? ফর্সা হওয়ার ক্রিম এর নাম কি?
আপনি কি শীতে কি ক্রিম ব্যবহার করা উচিত? এবং ফর্সা হওয়ার ক্রিম এর নাম কি? এ
বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আপনি একদম সঠিক পোস্টে ভিজিট করেছেন।আমরা
আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করতে যাচ্ছি শীতে কি ক্রিম ব্যবহার করা উচিত? এবং ফর্সা
হওয়ার ক্রিম এর নাম কি? তা সম্পর্কে।তাই আপনিও যদি এ বিষয় সম্পর্কে না জেনে
থাকেন তবে আর দেরি না করে আমাদের এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।
আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস ও টিকস নিয়ে হাজির
হয়েছি।কেননা আপনারা শীত আসলেই এই বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত জানতে চাঁন শীতে কি
ক্রিম ব্যবহার করা উচিত? শীতে কোন ক্রিম ব্যবহার করা ভালো, শীতে কি ক্রিম ব্যবহার
করা উচিত? এবং ফর্সা হওয়ার ক্রিম এর নাম কি? এ সম্পর্কে।তাই আজকের এই আর্টিকেলে
বিস্তারিত আপনাদের সাথে শেয়ার করব আশা করি ধৈর্যর সহিত পরবেন কারণ হতে পারে এই
পোস্টটি আপনার জন্য অনেক উপকৃত।তাই এ পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ
সহকারে পড়ুন।
আর্টিকেল সূচিপত্র:শীতে কি ক্রিম ব্যবহার করা উচিত? ফর্সা হওয়ার ক্রিম এর
নাম কি?
ভুমিকা।শীতে কি ক্রিম ব্যবহার করা উচিত? ফর্সা হওয়ার ক্রিম এর নাম কি?
শীতের আগমন ঘটতে না ঘটতেই যেন মনে হয় আমাদের শরীর রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। এই
নিয়ে আমরা নানান সমস্যায় পড়ে যায়।কিছুতেই যেন শীতের সময় শরীরকে নরম ও
মোলায়েম রাখা সম্ভব হয় না।তাই আমরা শীতকালে কি ব্যবহার করব এছাড়াও আমাদের মনের
মধ্যে নানান প্রশ্ন বিরাজ করে।
শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত, শীতে কোন ক্রিম ব্যবহার করা ভালো হবে,শীতে কি ক্রিম
ব্যবহার করা উচিত?এবং ফর্সা হওয়ার ক্রিমের নাম কি?কেননা বর্তমান সময়ে ত্বকের
যত্নের জন্য মেয়েরা নানান ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকে কিন্তু বর্তমান সময়ে
কিছু ব্যবহারিত ক্রিমের পাশাপাশি আসাধু ব্যবসায়ীরা ত্বকের জন্য ভেজালযুক্ত ক্রিম
তৈরি করে তা বাজারজাত করছে।
আরো পড়ুনঃ
শীতে ঠোট ফাটার প্রতিকার
এতে করে বোঝা বড় দায় হয়ে যায় শীতে কি ক্রিম ব্যবহার করা উচিত এ নিয়ে। আজকে
আমরা আপনাদের সাথে এই আর্টিকেলে কিছু তথ্য টিপস ও টিপস জানিয়ে দেব যেগুলো
ব্যবহার করে আপনার ত্বককে সবসময় সুন্দর, মোলায়েম, ফরসা করবেন।এছাড়াও আপনি এই
আর্টিকেলে অর্গানিক ত্বকের ক্রিম সম্পর্কে জানতে পারবেন।আশা করছি এই পোস্টটি
সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন।নিচে শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত এ বিষয় সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:-
শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত
শীতকালে শীতল হাওয়া বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে টান করতে শুরু করে ত্বকে ও মুখে।শীতের
নতুন হাওয়ায় সকালে একটু জ্বর সর আসছে দেখা দেয় তার সাথে তারপরে ত্বকে ও
মুখে।আসলে যেন হঠাৎ করেই মুখের যাবতীয় সজিবতা হারিয়ে যাচ্ছে।শীতকালে তেমন একটা
ত্বকের যত্ন নেওয়া হয় না ফলে আপনার মুখে নানান জায়গায় ব্রণ, বলরেখা, ত্বকে ও
মুখের নানান জায়গায় প্যাচ এবং ত্বক কালচে রঙের দেখা দেয়।
আরো পড়ুনঃ
চন্দন সাবান ব্যবহারের নিয়ম
তাই শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই প্রয়োজন তাই আজকে আমরা
আপনাদের এই আর্টিকেলে জানাবো কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে শীতকালে মুখে কি মাখা উচতি
এবং কোন ধরনের লোশন ও ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে
দেওয়ার চেষ্টা করব।তাই আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তরটি এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ
পড়ে জেনে নিবেন।
শীতকালে ত্বক খসখসে হয়ে যায় কারন আমরা শীতকালে তেমন একটি পানি খেতে পছন্দ করি
না।কারন শীতকালে আমাদের শরীর ঠান্ডা থাকার কারণে পানির চাহিদা কম থাকে সে কারণে
শীতে কমবেশি সবাই পানি কম পরিমাণে পান করে।কিন্তু পানি কম পান করার কারণে আমাদের
তো খসখসে, শুষ্কতা,সজীবতা হারিয়ে যায়।তাই শীতকালে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে
হবে।শীতকালে মুখে ব্যবহার করা উচিত এমন প্রাকৃতিক কিছু গুনাগুন সম্পর্কে আলোচনা
করা হলো:-
নারিকেল তেল।
চলমান এই জীবনে সারা দিনের কাজের শেষে রাজ্যের ধুলো ময়লা আর অক্লান্ত পরিশ্রমের
ক্লান্তি মাখা মুখ নিয়ে বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গে আয়নার সামনে দাঁড়ালে মনে হয়
আপনি কোন কল কারখানা থেকে কাজ করে এসেছেন।এমন অবস্থায় আপনি যদি ভালো মানের
এক্সট্রা ভার্জিন নারিকেল তেল নিয়ে মুখে ও গলায় ভালো করে মালিশ করে নিন।
আরো পড়ুনঃ
চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম
চক্রাকারে আলতো স্টকে আঙ্গুল দিয়ে মালিশ করবেন হবে দুই থেকে তিন মিনিট মালিশ
করলেই হবে।তারপর আপনি একটি পরিষ্কার টিস্যু অথবা নরম কাপড় নিয়ে আলতো করে মুখটা
মুছে নিয়ে বাড়তি তেলগুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখে ঝাপটা মেরে মুখ ও গলা ভালো
করে পরিষ্কার করে নিন।এরপর আপনি ঠান্ডা গোলাপ জল দিয়ে টোন করে মুখে লাগিয়ে নিন
পছন্দের ময়েশ্চরাইজার।তবে যাদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা রয়েছে এবং যাদের নারকেল
তেল ব্যবহার করলে অসুবিধা হয় তারা এই পদ্ধতি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
ওটামিল, দই, মধু, চালগুঁড়ি
ওটামিল দই মধু চালগুঁড়ি ব্যবহার করার জন্য হাফ চামচ গুঁড়ো দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে
নিন এরপরে সুন্দর ঠকঠকে ও নরম মিশ্রণ তৈরি করে নিন।তৈরি করা সম্পূর্ণ হলে একটি
পরিষ্কার বাটিতে নিয়ে মুখো গলায় এবং ঘাড়ে সুন্দরভাবে লাগিয়ে দিন।১৫ থেকে ২০
মিনিট পর পরিষ্কার ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন এরপর মুখ ধোয়া
সম্পন্ন হলে পছন্দের টোনার ও ময়েশ্চারাইজার।এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনার
ত্বকের সজিবতা ফিরে আসবে।
দুধ
প্রাকৃতিক উপায়ে দুধ কিভাবে মুখে লাগিয়ে আপনার ত্বক সজীবতা করবেন আসুন একটু
বিস্তারিত আলোচনা করি প্রথমত আপনি ঠান্ডা দুধের মধ্যে তুলোর প্যাড অথবা নরম
পরিষ্কার কাপড় ডুবিয়ে রাখুন।এটি পরিপূর্ণ ভাবে দুধের সঙ্গে মিশে গেলে তারপরে
আপনার মুখ গলা ও ঘাড় ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।আপনারা এটি যে কোন বয়সে করতে
পারেন।
কারণ ত্বকের প্রকৃতি যেমনই হোক না কেন দুধ ক্লিন জার হিসেবে চমৎকার ভাবে কাজ
করে।যাদের ত্বকে মধু সহ্য হয় বা মুখে মধু লাগানো উপযোগী তারা দুধের সঙ্গে কালিকা
মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।আপনি এভাবে প্রতি রাতে ব্যবহার করতে পারবেন।তাকে
দুধ ও মধুর লাগানোর পরে অবশ্যই আপনার পছন্দের টোনার ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
করুন।
দুই,কফি,চিনি,চালগুঁড়ি মধু,লেবুর রস
দই কপি চিনি চালকুড়ি মধু লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন একটি থকথকে
প্রাকৃতিক মিশ্রণ।এরপর আপনি মুখ গলা ঘাড়ে ভালোভাবে লাগিয়ে দিন এরপর শুকিয়ে গেলে
ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুগ্ধবার কিছুক্ষণ পর টোনার ও
ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ফেলুন।এই ব্যক্তি আপনার বয়সের ছাপ ও পিগমেন্টেশন দূর করে
দিতে পারে তবে রোজ নেই ব্যবহার করুন একদিন বাদ দিয়ে।ব্যবহার করলে আপনার
উজ্জ্বলতা আপনি অনুভব করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার
পাকা কলা।ত্বক মিশ্রণ ও উজ্জ্বল করতে পাকা কলা ব্যবহার অপরিহার্য। বেসন দুধ ও কলা
একসাথে মিশ্রণ করে একটি সুন্দর ধকধকে প্রাকৃতিক ক্রিম তৈরি করার নিয়ম এরপর মুখে,
গলায়, ও ঘাড়ে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে
ধুয়ে ফেলুন।মুখ ধোয়ার পর টোনার বা ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নিন।এটি নিয়মিত
ব্যবহার করলে ত্বকের আদ্রতা হয়ে উঠবে নরম ও কোমল।
কমলালেবু।
কমলা লেবুতে প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বকের বলেরেখা রোধ
করে।কমলালেবুর খোসা সরবাটা ময়দা ও বেসনের পলকের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়ে আসছে
এই পদ্ধতি বহুদিন আগে থেকে।তাই এই শীতে আপনি কমলা লেবু খাবেন কিন্তু তার খোসা
ফেলবেন না রোদে শুকিয়ে সংগ্রহ করে রেখে দিন যা গুড়া করে প্রাকৃতিক উপায়ে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
জলপাই তেল। সব ধরনের ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে জলপাই তেল বা অলিভ অয়েল তেল অনেক
বেশি উপকারী অলিভ অয়েল ময়েশ্চারাইজার হ্যাঁ হিসেবে পুরো শরীর ব্যবহার করা
যায়।এছাড়াও জলপাই তেলের সাথে মধু ও চিনি মিশিয়ে ঘন ক্রিমের মত ব্যাগ তৈরি করে
মুখের স্ক্রাবের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
শীতে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধির উপায়
এমন ভাবে ব্যবহার করলে ত্বকের মৃত কোষ উঠে যায়।এছাড়াও কয়েক কটা অলিভ অয়েল মধুর
সঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট ফাটা ভালো হয়ে যায়।শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত এ
বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে ইতিমধ্যে প্রাকৃতিক কিছু নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা
হয়েছে এবারে আপনারা শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত বা কোন ক্রিম ব্যবহার করবেন সে
সম্পর্কে জেনে নিন।
- লাইকোরিস কোল্ড ক্রিম,ভি.এল.সি.সি.
- লোটাস হারবালস হুইট নারিশ হুইট জার্ম অয়েল আ্যান্ড হানি নারিশমেন্ট ক্রিম।
- বায়োটিক বায়ো হুইট জার্ম ফারমিং ফেস আ্যান্ড বডি ক্রিম।
- ফ্যাব ইন্ডিয়া সিল্ক প্রোটিন নারিশিং ক্রিম।
- নারিশিং কোল্ড ক্রিম অ্যাভন কেয়ার।
- রোজ সানস্ক্রিন
শীতকালে ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখার জন্য হাইলোরনিক এসিড এবং ল্যাকটিক এসির যুক্ত
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।শীতের সময় যেকোনো ফোম বেসড বা ফেনাযুক্ত ফেসওয়াশ
ব্যবহার করা থেকে আমাদের সকলকে বিরত থাকতে হবে।এর পরবর্তীতে আপনি ক্রিম বেসড্
ক্লিনজার ব্যাবহার করতে পারেন।
মুখ পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে ভূমিকা রাখে এটি। আশা
করছি আপনি সিটে মুখে কি মাখা উচিত এ বিষয়ে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা
পেয়েছে।এবারে পরের অংশ শীতে কোন ক্রিম ব্যবহার করা ভালো এ বিষয় সম্পর্কে নিজে
বিস্তারিত জেনে নিন।
শীতে কোন ক্রিম ব্যবহার করা ভালো
শীতে কোন ক্রিম ব্যবহার করা ভালো এ বিষয় সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানার জন্য
প্রশ্ন করেছেন কেরানার শীতের সময় আমাদের শরীরের নারায়ণ সংস্থা দেখা দেয় যেমন
ত্বকের আদ্রতা হারিয়ে যায় ত্ব, শুষ্ক, রুক্ষ এবং খসখসে হয়ে যায়।এছাড়াও
শীতকালে ত্বকে আঁচড় লেগে ত্বক ফেটে যায় ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাই শীতকালে ত্বকের
যত্ন নেওয়া আমাদের জন্য খুবই জরুরী।
আরো পড়ুনঃ
ঘাড়ের কালো দাগ দূর করার উপায়
শীতের সময় হয়তো আপনি নানান ক্রিম ব্যবহার করেন কিন্তু সেই ক্রিমগুলো থেকে আপনি
ভাল সমাধান পাচ্ছেন না।কারণ আপনারা হয়তো জানা নেই শীতে কোন ক্রিম ব্যবহার করা
ভালো এ বিষয় সম্পর্কে তাই আমাদের এই পোস্টটি পড়ে এখনই জেনে নিন শীতে কোন ক্রিম
ব্যবহার করা ভালো।যা আপনি ব্যবহার করে শীতকালে ত্বক নরম ও মোলায়েম রাখতে পারবেন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক শীতের বেস্ট ক্রিম সম্পর্কে।এই শীতে কোন ক্রিম ব্যবহার করা
ভালো আপনি কোন ক্রিম ব্যবহার করলে এই শীতে আপনার ত্বককে সুন্দর রাখতে পারবেন তার
জন্য ব্যবহার করুন
- বায়োমোটিক বায়ো হুইট জার্ম ফারমিং ফেশ এন্ড বডি ক্রিম(Biotique wheat germ Firming face and body Cream)।
- NIVEA Cream made in Zermaniy weight 200 ml.এই ক্রিম ব্যবহার করার ফলে প্রতিদিন আপনার ত্বক নরম ও ময়েশ্চারাইজার থাকবে এবং ত্বককে প্রশমিত করবে। আপনারা হারানো ত্বকের আদ্রতা ফিরিয়ে আনতে এই নিভিয়া ক্রিম অনেক বেশি কার্যকরী। নিভিয়া ক্রিম যেকোনো সময় আপনি ব্যবহার করতে পারেন আপনারা হাত ত্বক ও পুরো শরীর নরম ও মোলায়েম রাখতে। এটার দাম ৩০০ টাকার মধ্যেই হয়ে থাকে।
- Nivea Soft Refreshing Soft Moisturizing cream with Jojoba Oil and Vitamin E. ভিটামিন ই ও জোজবা ওয়েল সম্পর্কিত তাই স্কিনকে রাখে নরম।সূর্যের রেডিয়েশন থেকে স্কিনকে সুরক্ষা রাখতে সহায়তা করে।দিনে রাতে যেকোন সময় ব্যবহার উপযোগী এই নিভিয়া ক্রিম তাই প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে ত্বক রাখে নরম ও কমল।এটি নন ভিজিওয়াল ও লাইট অয়েট তাই স্কিনকে খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে। এনি বিয়ার ক্রিম ব্যবহার করলে আপনার তো খুব দ্রুত নরম ও মূল্যায়ন এবং এর শীতের শুষ্ক থেকে সব সময় সৌন্দর্য মনে রাখতে পারবেন। এইটার দাম আপনি ২০০/৩০০ টাকার মধ্য পেয়ে যাবেন।
শীতে কি ক্রিম ব্যবহার করা উচিত?
প্রাকৃতিকভাবে আমাদের ত্বক সবসময়ই ভালো থাকে কিন্তু শীতের সময় রোদ গরম বাতাসের
ধোলাবালি সহ অনাদর অবহেলা অযত্নের কারণে আমাদের ত্বক হয়ে উঠে খসখসে, শুষ্ক,
রুক্ষ।তাই এই ক্ষতি থেকে মুক্তি পেতে দরকার বাড়তি যত্ন।বাড়তি যত্ন নেওয়ার
পাশাপাশি প্রয়োজন ভালো ক্রিম ব্যবহার করা।
যা দ্রুত আপনার ত্বকের কোমলতা ফিরিয়ে আনতে পারে তাই আজকে আমরা আলোচনা করতে
যাচ্ছি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক শীতে কি ক্রিম ব্যবহার করা উচিত? এ
সম্পর্কে।কারণ যে কোন ক্রিম ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বক আরো নষ্ট হয়ে যেতে পারে
তাই সঠিক ক্রিম ব্যবহার করা সকলের জন্য প্রয়োজন।শীতে কি ক্রিম ব্যবহার করা উচিত?
এই জন্য আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি ৬টি ক্রিম যেগুলো আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে
পারবেন।
- কোল্ড ক্রিম( Cold Cream)
- সানস্ক্রিন ক্রিম(Sun skin cream)
- নাইট ক্রিম(night cream)
- বায়োমোটিক বায়ো হুইট জার্ম ফারমিং ফেশ এন্ড বডি ক্রিম (biotique wheat Germ Firming Face and Body Cream)
- NIVEA Cream made in Zermaniy weight 200 ml.
- Nivea Soft Refreshing Soft Moisturizing cream with Jojoba Oil and Vitamin E.
কোল্ড ক্রিম
কোল্ড ক্রিমের মূল উপাদান রয়েছে অলিভ অয়েল বিসওয়াক্স ও পানি।কোল্ড ক্রিম
নিয়মিত ব্যবহারের ফলে তাকে সুস্থতা রুক্ষ ও খসখসে থেকে মুক্তি পাওয়া
যায়।আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় ত্বকের ময়েশ্চারাইজার তারতম্য দেখা দেয়।কোল্ড
ক্রিম ব্যবহার করা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী এটি ব্যবহার করলে ত্বকের জ্বালাপোড়া
থেকে মুক্তি পাওয়া যায় শীতের শুষ্কতা থেকে ত্বকে হাইড্রেশন রাখে।কোল্ড ক্রিম
ত্বকের ক্লিনজার হিসেবে ত্বকের ভিতরের ময়লা পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। যাদের
ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত তাদের কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করা উচিত নয়।
সানস্ক্রিন ক্রিম
সানস্ক্রিন ক্রিম সানস্ক্রিন সান প্রিভেন্টিভ ফ্যাক্টর এবং এস পি এফ সূর্যের
ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্নির হাত থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।এই সানস্ক্রিন ক্রিম
আপনি ত্বকের সমস্ত খোলা জায়গায় যেমন মুখ, ঘাড়, কান, হাত-পায়ে, স্থান ক্রিম
ব্যবহার করতে পারেন।সানি ক্রিম ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই এসপিএফ দেখে নিন।
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ট্যান রোধ
করা যায় এটি মনে করেন কিন্তু এটি সম্পূর্ণ একেবারে ভুল ধারণা সব সময় আবহাওয়ার
উপর নির্ভর করে এসপিএফ ব্যবহার করা।আপনার ত্বকের ধরনের অনুযায়ী আপনি সানস্ক্রিন
ক্রিম বেছে নিন। বাইরে বেরোনোর আগে ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ক্রিম মেখে
নিতে পারেন।
নাইট ক্রিম
নাইট ক্রিম কিয়ের সাধারণত ত্বক মেরামত করার এটি বিশেষ অংশীদারি হিসেবে ধরা
হয়।কেননা সারাদিন ত্বকের ওপর দিয়ে যে সমস্ত ধুলাবালি ময়লা, সূর্যের তাপ ত্বকের
আদ্রতা নষ্ট করে দেয়।তাই এমন অবস্থায় দরকার ত্বকে ভিটামিনের। নাইট ক্রিম
ব্যবহার করলে ত্বক কোমল ও উজ্জল করে দেয়। নাইট ক্রিম রাতে মুখে লাগিয়ে রাখলে
সকালে তোকে সিদ্ধ ও কোমল ভাব ফুটিয়ে তোলে।
আরো পড়ুনঃ
কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয়
কারণ নাইট ক্রিম এ আছে কোলে জুন ভিটামিন এবং অ্যামিনো এসিড যা সারারাত ত্বকের
ময়লা আদ্রতা ত্বকের কোষের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটায়।নাইট ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকে
বলি রেখা পরে না এটি ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ও আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
অনেক সময় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্নির জন্য ত্বকের আদ্রতা হারিয়ে যাই সেই আদ্রতা
ফিরিয়ে নিয়ে আসতে নাইট ক্রিম অনেক বেশি উপযোগী।
কারণ নাইট ক্রিম ত্বকের ভিতরের ময়লা ধুলাবালি ওই নানান ধরনের সকল সমস্যার সমাধান
করে।নাইট ক্রিম ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।
আপনি নাইট ক্রিম ব্যবহার করা পূর্বে চাইলে টোনার সিরাম ব্যবহার করতে পারবেন। যা
আপনার ত্বক নরম মোলায়েম ও কোমল রাখতে সহায়তা করবে এর পরে আপনাদের জানাবো ফর্সা
হওয়ার ক্রিম এর নাম কি?
ফর্সা হওয়ার ক্রিম এর নাম কি?
অনেকেই আছেন যারা শরীরের কোন অংশ কালো এবং কোনো অংশ ফর্সা কিন্তু আপনি বাকি যে
অংশ কালো রয়েছে সে অংশ কিভাবে ভরসা করবেন বা ফর্সা হওয়ার ক্রিমের নাম কি? এ
বিষয় সম্পর্কে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন।শরীরের কোন অংশ কালো থাকবে এবং কোন
অংশ ফর্সা থাকবে তা নির্ভর করে সম্পূর্ণ মেলানিনের উপস্থিত উপর।
তার মানে এই মেলা নিয়ে কম থাকলে আপনি ফর্সা আর বেশি থাকলে আপনি কালো।মুখের
উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে তৈলাক্ত ভাব দূরে থাকা।আপনার চেহারা
সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা সহ আপনার ত্বকের এই মেলানির পরিমাণ কমাতে বিভিন্ন ক্রিম
ব্যবহার করতে পারেন।তাই আজকে আপনাদের তাই আজকে জানিয়ে দেবো ফর্সা হওয়ার ক্রিমের
নাম কি? নিচে বিস্তারিত জেনে নিন।
- Whitening Moisturizing facial Cream 20gm.
- Fenyi green Tea Cream Essence Moisturizer oil control shrink pores anti Acne face Cream 40 gm.
- Bioaqua pink cherry whitening Cream 30 gm.
- Wow fairness cream Made in India 50 ml price 1,820/2000 Taka.
- Himalaya herbal clear complexion Made in India 50 ml price 450/500 Tka.
- Garnier light complete made in France 18 gm price 235/280 taka.
- Lotus Herbal white glow Made in India 35 gm price 420 /500Taka.
- ST botanica pure Radiance anti ageing and Face Brightenong Cream Made in India 50 gm price 800/900
- Himalaya Ravitalizing Night Cream(হিমালয় রিভিটালিজিং নাইট ক্রিম)
- Lotus Herbals Nutranite Night Cream( লোটাস হারবাল নিউট্রানাইট নাইট ক্রিম)
- Loreal paris white perfect Night Cream(ল'রিয়াল প্যারিস হোয়াইট পারফেক্ট নাইট ক্রিম)
- Ponds gold radiance youthful night repair cream( পর্নস গোল্ড রেডিয়েন্স ইউথফুল নাইট ক্রিম)
- wow fairness cream (ওয়াও ফেয়ারনেস ক্রিম)
- Olay white residence
- plum E Luminence Deep Moisturizing
- lakme Absoulute perfect Residence
- Lotus Herbals white glow
- 03+ Whitening Cream
উপরের এই সমস্ত ক্রিম গুলো ব্যবহার করলে আপনি দ্রুত ফর্সা হতে পারবেন।ক্রিম গুলো
ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই ক্রিম সম্পর্কের সম্পূর্ণ জেনে আপনাকে ব্যবহার করতে
হবে।অথবা আপনি যদি কোন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কোন ক্রিম ব্যবহার করেন সে
ক্ষেত্রে সে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ক্রিম ব্যবহার করবেন।আশা করছি ফর্সা হওয়ার
ক্রিমের নাম কি এ বিষয় সম্পর্কে আপনি সম্পূর্ণ জানতে পেরেছেন।
শেষ কথা।শীতে কি ক্রিম ব্যবহার করা উচিত? এবং ফর্সা হওয়ার ক্রিম এর নাম কি?
প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে এই আর্টিকেল সম্পন্ন পড়ে জানতে ও বুঝতে
পেরেছেন শীতে কি ক্রিম ব্যবহার করা উচিত? এবং ফর্সা হওয়ার ক্রিম এর নাম কি?
এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের এই পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আশা করছি এই
পোস্ট আপনার ফর্সা হওয়ার জন্য অনেক উপকারে আসবে।
আরো পড়ুনঃ
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ফ্রিজ কোনটি
শীতের সময় নিজেকে কিভাবে সুন্দর রাখবেন তা এই আর্টিকেল পড়ে জানতে
পেরেছেন।আমাদের পোস্ট যদি আপনার ভালো লাগে তবে আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়র সাথে
শেয়ার করুন।এতে করে সবাই শীতের সময় নিজেকে সবসময়ই সৌন্দর্যময় রাখতে পারবে।আজ
এ পর্যন্তই আবারো কথা হবে অন্য কোন টপিক নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ
থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url