শীতকালে চামড়া ফাটে কেন - শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত

শীতকালে চামড়া ফাটে কেন এবং শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত এ বিষয় নিয়ে সকলেই প্রশ্ন করেছেন জানার জন্য।আপনারা নিশ্চয়ই শীতকালে চামড়া ফাটে কেন এ বিষয়ে সম্পর্কে জানেন না।তাই আপনি যদি এই বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
শীতকালে-চামড়া-ফাটে-কেন

শীতকালে চামড়া ফাটে কেন এবং শীতকালে মুখে কি দেওয়া উচিত এ বিষয় সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের এই পোস্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।আশা করছি এই পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হতে পারেন তাই কোথাও না গিয়ে আমাদের সঙ্গেই থাকুন এবং নিচে বিস্তারিত পড়ুন।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃশীতকালে চামড়া ফাটে কেন ।শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত 

ভুমিকা।শীতকালে চামড়া ফাটে কেন। শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত

শীতকালে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো শীতের চামড়া ফেটে যাওয়ার শীতের শুষ্কতা দেখা দেওয়া সহ নারায়ণ সমস্যা ঘিরে ধরে।আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জানতে চাওয়া প্রশ্নের উত্তরে আমরা রেখেছি শীতের সকালে শিশির দেখা যায় কেন,শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায়, কোন ভিটামিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়,শীতকালে চামড়া ফাটে কেন এবং শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত।
এ সকল প্রশ্নের উত্তর আমরা আজকের এই আর্টিকেলে সুন্দরভাবে সাজিয়ে রেখেছি আপনারা ধৈর্যের সাথে শীতকালের চামড়া ফাটা দূর করতে আমাদের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।আশা করছি এ পোস্টটি আপনার জন্য অনেক উপকারী।তাহলে চলুন শুরু করা যাক প্রথম অনুচ্ছেদে শীতকালে চামড়া ঘটে কেন সে সম্পর্কে।

শীতকালে চামড়া ফাটে কেন

আপনারা জানতে চেয়েছেন শীতকালে চামড়া ফেটে কেন শীতকাল আসলেই সবার এই সমস্যাটি বেশি দেখা দেয় শীতকালের এই চামড়া কাটার সমস্যা নিয়ে অনেকেই ভুগছেন। এখন যেহেতু শীতের আমেজ চলে এসেছে এবং এই সময় শীতের আনন্দের পাশাপাশি শীতকালে চামড়া ফাটা সমস্যাটা অতিরিক্ত পরিমাণে দেখা দেয়।

শীতে অন্যান্য অংশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি শীতে চামড়া কাটা শুরু করে ঠোঁটের এবং পায়ের যার ফলে এই চামড়া গুলো ফেটে যে উপর অংশ পাতলা হয়ে যায়।শীতকালে মূলত চামড়া ফাটে আর্দ্রতার কারনে শীতকালে সময় বাতাসের আদ্রতা কম হওয়ার কারণে চামড়া ফাটতে শুরু করে। সাধারণত শীত এলে আমাদের ত্বক ফেটে যায় মরা চামড়া গুলো ধরালো সুচের মতো হয়ে ওঠে যার ফলে ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ খড় করে এই পরিবর্তন হয় মূলত আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে।
আমাদের দেশের সাধারণত শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক হয় অল্প আদ্রতা খুব সূর্যের আলো ও ঠান্ডা বাতাসের কারণ ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের দেশের আবহাওয়া পরিবর্তন হয় এবং শরীরে অনেক রকমের পরিবর্তন চলে আসে।

শীতকালে বালটি তেমন কোন জলীয় বাষ্প থাকে না কোন জলীয় বাষ্প না থাকায় সেই শুষ্ক বায়ুতে চারপাশ থেকে পানির জলীয় বাষ্পে পরিণত হয় এই কারণে শীতকালে পুকুর নদীর পানি কমতে দেখা দেয় বায়ুর মধ্যে জলীয় বাষ্পের ভারসাম্য রক্ষার দিকে চারিদিক থেকে পানির দরকার হয়। এই সময় শরীর থেকেও পানি শুষে নেয় যার ফলে শরীর হয়ে উঠে দুঃখ এবং চামড়া ফাটতে শুরু করে।

শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত

শীতকাল আসলে আমাদের মনে সবচেয়ে বেশি চিন্তা কাজ করে মুখের জন্য আমরা কি ব্যবহার করব ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত এই সম্পর্কে আমাদের সবচেয়ে বেশি চিন্তার মধ্যে পড়ে যায়। যেকোনো ময়শ্চারাইজার নয় শুধুমাত্র সেরামাইড এবং জোজবা অয়েল দেওয়া ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

যেহেতু শীতকাল চলে আসলে ত্বক রুক্ষ খসখসে দেখায় এজন্য এই সময় একটা ভালো কোম্পানির মশ্চারাইজার ব্যবহার করে নিতে হবে যে মশ্চারাইজার ত্বকের কোন ক্ষতি করবে না এবং সাইড ইফেক্ট থাকবে না। ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে শীতকালে মুখের ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য এবং অন্যান্য অংশে হাত ও পায়ে ভালো মানের একটা লোশন ব্যবহার করতে হবে।
শীতকালে শুরু থেকে নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যতা করলে আপনার ত্বক থাকবে সতেজ ও তরতাজা এবং সুন্দর। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা শীত ঋতুতে অতিরিক্ত তেল থেকে হাত ছেড়ে বাঁচলেও মুগ্ধ হওয়ার পর পরই ত্বকে দেখা দেয় শুষ্ক টানটান ভাব আর যাদের টক এমনিতেই একটু শুষ্ক তাদের কাছে শীত যেন এক দুঃস্বপ্ন।

ত্বকের সমস্যা দূর করার জন্য এবং ত্বককে মিশ্রণ কমল রাখার জন্য অবশ্যই একটা ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। শীতে আবহাওয়ার কারণে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায় আবার কিছু রোগের কারণে এমন সমস্যা হয়ে যেতে পারে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার লাগানোর পর অতিরিক্ত ত্বক ফাটলে এবং শুষ্ক হয়ে গেলে বুঝতে হবে কোন একটা সমস্যা হয়েছে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

শীতের সকালে শিশির দেখা যায় কেন

শীতকালে সকালবেলাতে শিশির দেখা দেয় এই শিশির টা কেন দেখা যায় আপনারা কি জানেন। চলুন জেনে আসি শীতকালে শিশির দেখা যায় কেন। শিশির হলো কোন শীতল বস্তুর উপর জলীয় বাষ্পদ জমা হওয়ার সৃষ্ট ছোট্ট একটি বিন্দু। একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বাতাসে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত জলীয়বাষ্প ধারণ করতে পারে তাপমাত্রা বাড়লে যেমন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তেমনই তাপমাত্রা কমলে ধারণক্ষমতার হ্রাস পায়।

সন্ধ্যার পরে তাপমাত্রা কমে যায় এবং বাতাসে জলীয় বাষ্প দারা সম্পৃক্ত হয়ে থাকে যদি তাপমাত্রা আরো কমে যায় তখন বাতাস আরো জলীয় বাষ্প ধরে রাখতে পারে না এবং তা শীতল বস্তুর উপর পানির কণা হিসেবে জমা হয়ে যায়। এ পানির বিন্দু শিশির বিন্দু নামে পরিচিত যেমন ঘাসের উপশির বিন্দু জমা হয় শিশিরের পরিমাপ করার জন্য ড্রোজোমিটার নামক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।
পিস্ততান এর জন্য স্বল্প আয়তনের তরল পদার্থ সর্বদাগুলোকে আকৃতির গ্রহণ করার চেষ্টা করে তরলের মুক্ত তল স্থিতিস্থাপক পদ্মার ন্যায় কাজ করে এবং পিত্ততলের ক্ষেত্রফল সংকুচিত হতে থাকতে চাই। তরল পদার্থ গোলাকার আকৃতির ন্যায় কারণ পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল সর্বনিম্ন হয়ে থাকে। ঈদ মানে ঘন কুয়াশার সাথে প্রকৃতির সর্বোচ্চ জমে থাকা মুক্তার মত বিন্দু বিন্দু শিশির কণা।

সকালবেলায় ঘন কুয়াশা কেটে যখন ঈশ্বর সূর্যালোক শিশিরের বিন্দুগুলোতে পড়ে তখন প্রতিটি শিশির কোণা যেন সোনার মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। শিশির শুধু মাত্র যে শীতকালে পড়ে এমন তো নয় শিশির বছরের যে কোন সময়ে পড়তে পারে তবে শীতকাল ও শরৎকালে সবচেয়ে বেশি শিশির দেখা দেয়। শীতকালে তাপমাত্রা কম থাকার কারণে শিশুর জমার ঘটনা তুই বেশি ঘটে তবে বছরের অন্যান্য সময়ও শিশির করতে পারে তবে এটিও নির্ভর করে রাতের তাপমাত্রা ও আদ্রতার ওপর।

শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায়

শীতকালে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার কিছু উপায় রয়েছে যে উপায়গুলো মেনে চললে আপনার খসখসা ও রুক্ষতা থেকে রক্ষা পাবে। ত্বক সুন্দর কমল মিশ্রণ তৈরি করতে হলে অবশ্যই শীতকালে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায় সম্পর্কে নীতি আলোচনা করা হলো।
  • শীতকাল আসলে ঠান্ডা পানি দিতে কারণে অনেকে গোসল করা ছেড়ে দেয় এবং অনেকদিন গোসল না করে থাকার কারণে শরীরে ময়লা জমতে থাকে এই সময় অবশ্যই কুসুম গরম পানিতে হলেও গোসল করতে হবে।
  • এই জন্য ত্বক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে শীতকালে প্রতিদিন দুই বেলা মশ্চারাইজার ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
  • এছাড়াও তোকে বডি লোশন ব্যবহার করতে হবে এবং শ্যাম্পু করে গোসল করতে হবে এটাই চুল ও ভালো থাকবে এবং ত্বক সুস্থ হবে।
  • বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই তাকে সানস্ক্রিম ব্যবহার করতে হবে না হলে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মিতে ত্বকে আরো ক্ষতি করতে পারে।
  • যুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে তাহলে ত্বকের রক্ষভাবে দূর হবে না হলে ত্বক আরো বেশি রুক্ষ হয়ে যাবে শীতকালে যদি সাবান ব্যবহার করা হয়।
এভাবে প্রতিদিন যদি শীতকালে শরীরের যত্ন নেওয়া হয় তাহলে অবশ্যই শরীর শুনতে থাকবে এবং তত ভালো হয়ে যাবে তর চাচা ও সুস্থ থাকবেন। এর পরের অনুচ্ছেদে আপনারা জানবেন কোন ভিটামিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়।

কোন ভিটামিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়

আপনারা কি জানেন কোন ভিটামিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয় ত্বক শুষ্ক হওয়ার কারণ সম্পর্কে আপনাদের জানতে হবে তাহলে আপনারাও সেই ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে পারবেন এবং ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর হবে। চলুন জেনে আসি কোন ভিটামিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়।

সাধারণত শুষ্ক হয়ে যাওয়ার জন্য ভিটামিন সি ত্বকের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় এর ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এর ফলে ত্বক আদ্র থাকে ভিটামিন সি কমে গেলে ত্বক ধীরে ধীরে শুষ্ক হয়ে যায় এই জন্য ত্বকের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকারি ভিটামিন হচ্ছে ভিটামিন সি। আপনারা ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাবেন তাহলে আপনাদের ত্বক শুষ্কতা দূর হবে এবং ত্বক সুন্দর কোমল হয়ে উঠবে।
যে সকল খাবারের মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে সে সকল খাবার ও ফল শাকসবজি খেতে হবে তাহলে দ্রুত ত্বক সুন্দর হয়ে উঠবে যেমন:টক ফল, লেবু, কমলা, মাল্টা, টমেটো, শসা ও সবুজ শাকসবজিতে ভিটামিন সি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক সুন্দর রাখার জন্য ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হবে তাহলে আপনার ত্বক সুন্দর থাকবে। এছাড়াও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ডিমের সাদা অংশ ঢেঁকি ছাটা চাল, কলিজা, দুধ, গাজর, টমেটো ইত্যাদিতে ভিটামিন বি১ পাওয়া যায়।

এছাড়া ভিটামিন সি এর অভাবে রুক্ষ খসখসে ও শুষ্ক হয়ে যায় ব্রণ সোলিয়াসিসের রোগী ভিটামিন এ বেশি দরকার হয়। সবুজ ও হলুদ শাকসবজি ফলমূল, ডিম, দুধ ও কলিজায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। ভিটামিন ই না থাকলে ত্বকের দ্রুত বলি রাখা পরে, ত্বকে ভাজঁ পড়ে এবং ম্যাড়মেড়ে দেখা এই জন্য ভিটামিন ই যুক্ত খাবার খেতে হবে। বাদাম, জলপাই ও অন্যান্য উদ্ভিদের তেল, শাকসবজি, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদির মধ্যে ভিটামিন ই এর উৎস রয়েছে।

শেষ কথা।শীতকালে চামড়া ফাটে কেন।শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত

শীতকালে চামড়া ফাটে কেন এবং শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত এ বিষয় সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে জানতে পেরেছি।তাই শীতকালে চামড়া কেন ফাটে তা থেকে নিজেকে সুস্থ রাখতে উপরের তথ্যগুলো নিয়ম মেনে চলতে হবে। শীতকালে আমাদের শরীরের নানান সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা গুলো থেকে দূরে থাকতে আমাদের নিয়মিত শীতকালীন পরিচর্যা করতে হবে।
এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।পোস্টটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।এছাড়াও শীতকালীন টিপস টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন। আজ এ পর্যন্তই আবারো কথা হবে অন্য কোন ট্রপিক নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url