শীতকালে চুলের যত্ন কিভাবে নেব - শীতে চুলের যত্নে করণীয়
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনারা নিশ্চয়ই এই কনকনে শীতের সময় বসে থেকে ভাবছেন শীতকালে
চুলের যত্ন কিভাবে নেব এবং শীতে চুলের যত্নে করণীয় কি? সে সম্পর্কে।আপনি
নিশ্চয়ই শীতকালে চুলের যত্ন কিভাবে নেব এ বিষয় সম্পর্কে না জানেন তাহলে এই
আর্টিকেল আপনার জন্য।হ্যাঁ বন্ধুরা আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করতে চলেছি শীতকালে
চুলের যত্ন কিভাবে নিব সে সম্পর্কে।তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক
শীতকালে চুলের যত্ন কিভাবে নেব এবং শীতে চুলের যত্ন করণীয় সম্পর্কে।
আপনি যদি শীতকালে চুলের যত্ন কিভাবে নেব এবং শীতে চুলের যত্ন করণীয় সম্পর্কে
জানতে চান তবে আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে
পড়ুন।কেননা এই পোষ্টের প্রতিটি লাইন আপনার জন্য অনেক উপকৃত হতে পারে। তাই আর
এদিক সেদিক ঘোরাফেরা না করে মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জানুন শীতকালে চুলের যত্ন
কিভাবে নেব সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
আর্টিকেল সূচিপত্র:শীতকালে চুলের যত্ন কিভাবে নেব।শীতে চুলের যত্নে করণীয়
উপস্থাপনা।শীতকালে চুলের যত্ন কিভাবে নেব।শীতে চুলের যত্নে করণীয়
আজকের এই আর্টিকেলটি আমরা অনেক সুন্দরভাবে সাজিয়েছি কেননা আপনারা অনেকেই আমাদের
কাছে জানতে চেয়েছেন শীতে চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায়, শীতকালে চুল পড়ার কারণ এবং
শীতে চুলের খুশকি দূর করার উপায়।কারণ আপনারা প্রতিনিয়ত এগুলো সমস্যা সম্মুখীন
হচ্ছেন।তাই আপনি শীতকালে চুলের যত্ন কিভাবে নেব এই সমস্যাটি সমাধান করতে পারছেন
না।
সেজন্য আমরা আপনাদের সকল সমস্যার সমাধান নিয়ে এই আর্টিকেলে হাজির হয়েছে।আশা
করছি আপনি সম্পূর্ণ পড়বেন কারণ হতে পারে এই আর্টিকেল আপনার জন্য অনেক উপকারী। এ
আর্টিকারের প্রথম অনুচ্ছেদের শুরুতেই আমরা জানবো শীতে চুল যত্নে ঘরোয়া উপায়
সম্পর্কে।
শীতে চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায়
শীতকাল আসলেই মেয়েদের চুল পড়ার সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় শীতকালে চুলের
যত্ন নেওয়ার ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে যা আপনারা যদি আপনাদের চুল পড়ার রোধে
ব্যবহার করেন তাহলে অনেকটা আরাম পাবেন। শীতে চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায় গুলো নিচে
দেওয়া হলঃ-
- নিয়মিত তেল ব্যবহার করতে হবে এটি চুলের যত্নে সবচেয়ে প্রাচীনতম পদ্ধতি। সপ্তাহে দুই একবার চুলে ভালোভাবে তেল লাগাতে হবে এতে চুল রুক্ষ হওয়া থেকে বাঁচবে এবং চুলের ক্ষয় রোধ হবে। রাতে ঘুমানোর আগে গরম তেল চুলে ভালোভাবে মেসেজ করে নিয়ে পরের দিন সকাল বেলায় চুল শ্যাম্পু করে নিলে আপনার চুল অনেক শক্ত মজবুত হবে।
- চুল রুক্ষ খসখসে হওয়ার ফলে চুলের আগা ফেটে যায় সেই সময় সেই আগা ভালোভাবে কেটে ফেলতে হবে শীতকালে অনেকেরই চুলে আগা ফাটা সমস্যা দেখা দেয়। ফেটে যায় এই জন্য চুলের আগা কেটে ফেললে তেঁতুলের বৃদ্ধি দ্রুত হয়।
- অ্যালোভেরা জেল মেসেজ করলে চুল পড়া রোধ হয় এবং চুলের উচ্চতা দূর হয় শীতকালে যখন চুল পড়া শুরু হয়ে দাঁত চুলের খুব ভাব চলে আসে সেই সময় ভালোভাবে অ্যালোভেরা জেল দিয়ে মাথায় মেসেজ করতে হবে এতে চুল সুন্দর ময়েশ্চারাইজ হয়ে যায়।
- চুলের রুক্ষতা দূর করতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হচ্ছে মধু মধু আর হচ্ছে ঘরোয়া টোটকা এটি আপনি আপনার চুলে ভালোভাবে মেসেজ করলে গরম পানিতে ভিজিয়ে মাথা বেঁধে কিছুক্ষণ রেখে দিলে চুল ধুয়ে নিতে হবে রূপখাতা কমে যাবে চুল মিশ্রণ ও সুন্দর হয়ে উঠবে।
- চুল খুবই সেনসিটিভ একটি যে নিজের যা আবহাওয়া যখন পরিবর্তন হয় তখন চুলের অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয় এইজন্য কখনো চুলে গরম পানি ব্যবহার করা উচিত নয়। এই চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় এবং চুলের ক্ষতি হয় চুল ঝরে পড়া শুরু করে এই জন্য চুলে সব সময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে।
- ভিনেগার ব্যবহার করলে চুলের রক্ষতা দূর হয় এই জন্য এটি চুলে কন্ডিশনের মত কাজ করে পানির সঙ্গে দুই চামচ ভিনেগার মিশিয়ে রেখে শ্যাম্পু করার পর সেই বিভিন্ন পানি যদি মাথায় ব্যবহার করুন তাহলে আপনার চুল মসৃণ উজ্জ্বল ও সুন্দর হয়ে উঠবে। এবারে আমরা শীতকালে চুল পড়ার কারণ নিচের অনুচ্ছেদে বিস্তারিত জানবো।
শীতকালে চুল পড়ার কারণ।শীতকালে চুলের যত্ন কিভাবে নেব
শীতকাল আসলে প্রায় সবার কমপ্লেন থাকে যে শীতকালে চুল পড়ে যায় চুল ঝরে পড়ার
কারণ হিসেবে কেউ ধরতে পারে কেউ ধরতে পারে না। আপনারা কি জানেন শীতকালে চুল পড়ে
কি কারণে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে যখন চুলে যত্ন কম হয় এবং চুলের রুক্ষতা
বৃদ্ধি পায় আবহাওয়ার কারণে তখনই চুল ঝরে পড়া শুরু করে।
শীতকালে অনেক বেশি চুল পড়ে যার একটি কারণ বাইরের শুষ্ক বাতাস আবহাওয়া পরিবর্তন
হয় এবং ঠান্ডা মৌসুমী বয়ে যাওয়া শুষ্ক বাতাসে মাথার ত্বকের সমস্ত আদ্রতা শুষে
নেয় যার ফলে চুলের রুক্ষতা বৃদ্ধি পায়। মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এর ফলে চুল
স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে যায়। যার কারণে চুলের রুক্ষতা বৃদ্ধি পেয়ে ঝরে পড়ে। এই সকল
কারণে চুল পড়া বৃদ্ধি পায় শীতকালে এবং শীতকালে যদি গরম পানি দিয়ে গোসল করলে
চুলে গরম পানি পড়লে মাথা ত্বকে সমস্যা দেখা দেয়।
আরো পড়ুনঃ
৭দিন ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে জানুন
এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে পড়ে গরম পানি দিয়ে গোসল করলে যার ফলে চুল ঝরে পড়া শুরু
হয়। শীতকাল আবহাওয়া জন্য চুলের একটু বেশি যত্ন নিতে হবে। শীতকাল আসলে প্রায় সবার
এই সমস্যা দেখা দেয় তবে চুল পড়া কারণ না জানার কারণে সঠিকভাবে যত্ন করতে পারে না।
চুল পড়ার কারণ জানার পর চুলের যত্নে ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। পরের
অনুচ্ছেদে আমরা আমাদের মূল আলোচনার বিষয় শীতকালে চুলের যত্নে কিভাবে নেব এ
সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।তাহলে চুলুন নিচে মনোযোগ সহকারে পড়ে নেওয়া যাক।
শীতকালে চুলের যত্ন কিভাবে নেব।শীতে চুলের যত্নে করণীয়
শীতকালে চুলের যত্ন কিভাবে নিতে হবে এটা আপনারা হয়তো অনেকেই জানতে চান আপনারা কি
জানেন শীতকাল আসলে চুল পড়া বেশি বৃদ্ধি পায় এবং চুলে বিভিন্ন অংশ ঝরে পড়ে
যায়। চুলের যত্ন একটু বেশি নিতে হয় শীতকালে আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং শুষ্ক
আবহাওয়া হওয়ার কারণে শীতকালে চুলের যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি জানতে হবে। চলুন জেনে
আসি শীতকালে চলে যত্ন কিভাবে নিতে হয়।
- শীতকালে চুল রুক্ষ হয়ে যায় কারণ বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকায় চুলে রস শুষে নেয়। এই সময় বেশি চুলের যত্ন নিতে হবে। প্রতি সপ্তাহে ২/৩ বার চুলে তেল ব্যবহার করতে হবে। মাসে ২ বার ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে হবে।
- শীতকালে চুল যত্ন হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে হবে এতে চুল হয়ে উঠে সিল্কি ও মসৃণ। চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায় হেয়ার প্যাক ব্যবহার করলে।
- চুলে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে তাহলে চুল সুন্দর কোমল হয়ে যায়। চুলের যত্ন নিলে নতুন চুল তাড়াতাড়ি গজায় এবং চুল লম্বা হয়।
- চুলের আগা মাঝে মাঝে কাটতে হবে এতে চুল ফাটা অংশ কাটলে নতুন ভাবে চুল লম্বা হয়। চুলে রাতে তেল দিয়ে সকালে শ্যাম্পু করলে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং চুল ঝড়ে পড়া বন্ধ হয়।
- ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে এতে চুলের ত্বকে পুষ্টি সরবরাহ হলে চুল বৃদ্ধি পায়। সুন্দর ও চকচকে লম্বা চুল পেতে হলে এরকম যত্ন করতে হবে। এবারে আমরা জানতে চলেছি শীতে চুলের যত্নে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত করে নেওয়া যাক।
শীতে চুলের যত্নে করণীয়
শীতকালে চুলের যত্নে কি করতে হবে এটা সবার জানা উচিত। অনেক সময় আজানা থাকার জন্য
আমাদের চুল ঝড়ে পড়ে চুলের ক্ষয় হয়। চুলক রুক্ষ হওয়া থেকে বাঁচাতে এবং শীতকালে
চুলকে চকচকে মসৃণ রাখতে যে কাজগুলো আমাদের করণীয় তা আপনাদেরকে জানাবো। চলুন জেনে
আসি শীতে চুলের যত্নে করণীয় কাজ সম্পর্কে।
ভিনেগার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন
শীতে চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য চুলে ভিনেগার ব্যবহার করুন কারণ ভিনেগার চুলের
রূপকতা দূর করতে সহায়তা করে।ভিনেগার কন্ডিশনার এর মত কাজ করে।আপনি এক মগ পানির
সাথে দুই থেকে তিন চামচ ভিনেগার মিশিয়ে রেখে দিন।এরপর চুল শ্যাম্পু করার পর
ভিনেগার মেশানো পানি মাথায় ঢালতে হবে।শ্যাম্পু করার পর চুলে ভিনেগার ব্যবহার
করলে চুল থাকে মিশন ও উজ্জ্বল। তাই আপনি চলে শ্যাম্পু করার পর ভিনেগার মিশরের
পানি তুলে অর্থাৎ মাথায় ঢালতে পারেন এতে করে আপনার চুল উজ্জ্বল দেখাবে।
চুলে তেল ব্যবহার করা
চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য চুলে তেল ব্যবহার করা এটি একটি প্রাচীন পদ্ধতি সপ্তাহে
দুই থেকে একবার চলে ভালো মানের তেল ব্যবহার করা ভালো।এতে চুল রুক্ষ হওয়া থেকে
বাঁচে চুল দেখায় উজ্জ্বলময়।তবে চুলে তেল ব্যবহার বেশি দিন না করাই ভালো।কারণ
বেশিদিন ব্যবহার করলে চুল ময়লা এবং চিটচিটে হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ
শীতে ঠোঁট ফাটার প্রতিকার জেনে নিন
সে ক্ষেত্রে আপনারা রাতে ঘুমানোর আগে গরম তেলের মেসেজ করে সকালে বাইরে যাওয়ার
পূর্বে শ্যাম্পু করে নিতে নিবেন।চুলে ব্যবহার করা গরম তেল মেসেজ করে গরম পানিতে
ভিজিয়ে রাখা তো ভালো আপনার মাথায় কিছুক্ষণ জড়িয়ে রাখতে পারেন এটি করলে চুলের
গোড়া ও শক্ত মজবুত হয়।
ভালো করে চুল আঁচড়ানো
চুলে শ্যাম্পু করার পর চুল শুকনা হলে ভালো করে চুল আঁচড়িয়ে নিতে হবে।নিয়মিত
চুল আঁচলে মাথায় রক্ত সঞ্চালনের গতি বেড়ে যায়।একইভাবে চুল ও চুলের গোড়া সুস্থ
থাকে।এছাড়াও তো শীতকালের আবহাওয়া ও ধুলাবালীর কারণে চুলে সুস্থতা বেড়ে যায়
এবং সহজে চুল জট বেধে যায়।তাই আপনি যদি নিয়মিত চল ভাসিয়ে নিতে পারেন তাহলে এ
সকল সমস্যা থেকে রেহায় পাবেন।
চুল গরম পানি থেকে সাবধান
শীতকালে আবহাওয়া যেমনই থাকুক না কেন চুলে কখনোই গোসলের সময় গরম পানি ব্যবহার
করা উচিত নয়।কারণ গরম পানি চুলে ব্যবহার করলে চুল নরম ও চুলের নানান সমস্যা দেখা
দেয়।যেমন চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, চুলের মাঝখান থেকে ভেঙ্গে যাওয়া,বেশি বেশি চুল
উঠা,এছাড়াও চুলের কালার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।তাই চুলে সব সময় ঠান্ডা পানি
ব্যবহার করতে হয়।
চুলে আগা ফাটা থাকলে কেটে ফেলুন
শীতকালে নানান সমস্যার কারণে চুলের আগা ফেটে যায়।তাই চুলের আগাও ফাটার অংশ কেটে
ফেলা উচিত।কারণ চুলের আগা কেটে ফেললে চুল বৃদ্ধি হায় দ্রুত।
চুলের রক্ষা দূর করতে মধু ব্যবহার
মধু আমাদের ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক একটি উপকারী উপাদান।আপনার চুল যদি নিঃষ্প্রাণ
অর্থাৎ চুলের উক্ষতা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে চুলের গোড়ায় মধু ব্যবহার করতে
পারেন।মধু ব্যবহারের পাশাপাশি একটি তোয়াল গরম পানিতে ভিজিয়ে মাথায় কিছুক্ষণ
বেঁধে রেখে দিলে চুলের রুক্ষতা কমে যায়।এবং চুল মিশ্রণ ও সুন্দর হয়ে ওঠে।
চুলের যত্নে এলোভেরা জেল ম্যাসাজ
আপনারা হয়তো অনেকেই জেনে থাকবেন চুলের যত্নে এলোভেরার ভূমিকা জাদুকরের মত কাজ
করে।চুলে শ্যাম্পু করার পূর্বে আপনি অ্যালোভেরা জেল মাথায় মাসাজ করে কিছুক্ষণ
রেখে দিবেন এতে করে চুলের রুক্ষ ভাব চলে গিয়ে চুলের ময়েশ্চারাইজড উজ্জ্বল হয়ে
ওঠে।
চুলের যত্নে মাস্ক ব্যবহার করা
শীতকালে চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য কিছু মাস্ক এর সহযোগিতা নিতে পারেন।কারণ চুল
পড়া রোধে নারকেল তেল ও কাস্টর অয়েল একসঙ্গে ভিটামিন সি ক্যাপসুল ও ডিমের কুসুম
মিশিয়ে মাথায় লাগালে চুল অনেক উপকার পায়।এছাড়াও আপনি চুলে মিশ্রণ ও চকচকে ভাব
নিয়ে আসার জন্য মধু টক দইও ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি প্রাকৃতিক প্যাক
বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।এটি ব্যবহার করলেও আপনি চুলে মসৃণ , চকচকে,
ময়েশ্চারাইজড, থাকবে।
শীতকালের চুলকে ঢেকে রাখান
শীতের আবহাওয়া রুক্ষ ও কুয়াশার হাত থেকে রেহায় পেটে চুল ঢেকে রাখা ভালো।কারণ
শীতকালে বাতাসে ধুলাবালি বেশি থাকে বাইরে খোলা আকাশের নিচে ঘোরাঘুরি করলে কুয়াশা
মাথায় পড়ে সে ক্ষেত্রে আপনি তুলে পাতলা কাপড় বা মাফলার টুপি ব্যবহার করতে
পারেন।এগুলো ব্যবহার করলে শীতকালে আপনার চুল রুক্ষ ও কুয়াশার হাত থেকে বাঁচতে
পারবে।
চুলে মেথি ও তেলের মিশ্রণ
চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে পেতে চুলে মেথি ও তেলের মিশ্রণ ব্যবহার করা বেশ
কার্যকরী।আপনি চুলে মেথি দুইভাবে ব্যবহার করতে পারবেন:-
- প্রথমত তেলের সঙ্গে মেথি গুঁড়া ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
- দ্বিতীয় পদ্ধতি আস্ত মেথি দানা নারকেল তেলের সঙ্গে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
উপরে যেকোনো দুটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন।হয়তোবা এই ছোট একটি চেষ্টা আপনার
চুলকে অনেক বেশি সিল্কি আর স্মুথ করতে সাহায্য করবে।
চুলে টি ট্রি এর সাথে নারকেল তেল ব্যবহার
স্ক্যাল্পে অনেক সময় রেজাল্ট দেখা যায় এবং অনেক সময় খুশি সহ নানা রকম সমস্যা
হতে পারে সেজন্য টি ট্রি তেল ব্যবহার করলে স্কাল্পের সব সমস্যা থেকে সমাধান
পাওয়া যায়।শিয়ালদা হওয়ার কারণে এই তেল সরাসরি ত্বকের ব্যবহার করা যায় না।তাই
আপনি এই টি ট্রি তেলের সঙ্গে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জেনে নিন
৫ থেকে ৬ ফোটার টি ট্রি এসেনন্সিয়াল অয়েল এর সঙ্গে দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল
একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন কারণ নারকেল তেলের মধ্যে থাকে
অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল অনেক উপাদান। তাই এই দুইটি উপাদান তেলের মিশ্রণ আপনার
চুলের বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তিশালী। নিজের ছেলে আমরা আমাদের সবচাইতে
বড় সমস্যার সমাধান সম্পর্কে জানবো।তাহলে চুলের নিচে শীতে চুলের খুশকি দূর করার
উপায় সম্পর্কে মনোযোগ সহকারি পড়ে নেওয়া যাক নেওয়া যাক।
শীতে চুলের খুশকি দূর করার উপায়
শীতে চুলের খুশকি দূর করার জন্য আমরা আজকে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারের সম্পর্কে
জানবো।কিভাবে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করলে চুলের খুশকি দূর করা যায় কেননা খুশকির
কারণে মাথায় চুলকানি হওয়া থেকে চুল ঝরে পড়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা মিলে।তাই
আপনারা শিখে চুরের খুশকি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন ওয়েবসাইট
ঘাটাঘাটি করছেন তবুও সঠিক সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না।
তবে আমাদের এই নিচেরটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।কেননা কিভাবে শীতে চুলের খুশকি
দূর করা যায় এই সমস্ত কিছু এই অনুচ্ছেদে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।আমরা আর
কথা না বাড়িয়ে সামনের দিকে মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকি।রুপ বিশেষজ্ঞদের মতে জানা
যায় সঠিক পদ্ধতিতে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করলে খুশকি থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া
যায়।
তাইতো শীতে চুলের যত্ন প্রসঙ্গ আসলে আমরা বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি প্রাকৃতিক
পুষ্টি সমৃদ্ধ উপাদানকে। এজন্য আমাদের তালিকায় নারিকেল তেল অলিভ অয়েল এর মত তেল
গুলো। কিন্তু আপনারা কি জানেন এই তেল গুলো ছাড়াও আরো এমন কিছু তেল রয়েছে যা
একইভাবে প্রাকৃতিক পুষ্টি সমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে যা চুলের ও ত্বকের জন্য
উপকারী।তার মধ্যে শুরুতে বলতে চাই ক্যাস্টর অয়েল সম্পর্কে।
আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করেন তাহলে সহজেই খুশকি থেকে
মুক্তি পাবেন কান্ড বিশেষ্য কারা বলেন ক্যাস্টর অয়েল একটি প্রাকৃতিক তেল যা
চুলের কোন ক্ষতি করে না বরং চুলের খুশকি দূর করার জন্য প্রধান বাহক।ক্যাস্টর অল
তেলে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য ও গুনাগুন রয়েছে যার
ফলে চুলের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে।মাথায় ত্বকের পিএইচ লেভেল ভালো রাখে।এই
ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারের ফলে স্ক্যাল্পের ইনফেকশন কম হয় চুলে পুষ্টি যোগায় এবং
চুলের খুশকি কমায় দ্রুত।
চুলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারের জন্য আপনাকে দুই চামচ ক্যাস্টর অয়েল এর সঙ্গে দুই
চামচ নারিকেল তেল মিশিয়ে নিতে হবে।তারপর আপনার চুলে ও তাকে ভালোভাবে লাগাতে
হবে।চুলে তেল লাগানোর সময় চুলকে হালকা করে মাসাজ করুন।আপনি রাতে চুলে তেল
লাগিয়ে পরের দিন অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
আরো পড়ুনঃ
এভাবে আপনি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন চুলের যত্ন নিবেন।ক্যাস্টর অয়েল যা হালকা
হলে জাহাঙ্গেরা হয় এই তেল ব্যবহারে খুশকি কমবে তেমনি চুল হবে নরম ও মসৃণ
তাছাড়াও এই তেল ব্যবহার করলে আপনার চুলের গোড়া শক্ত মজবুত এবং নতুন চুল গজাতে
বিশেষভাবে সহায়তা করে।
শেষ বার্তা।শীতকালে চুলের যত্ন কিভাবে নেব।শীতে চুলের যত্নে করণীয়
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনারা নিশ্চয়ই শীতকালে চুলের যত্ন কিভাবে নেব এবং শীতে চুলের
যত্নে করণীয় এই বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন এবং ইতিমধ্যে আপনারা সম্পূর্ণ
পোস্টটি পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।এতক্ষণে নিশ্চয়ই আমাদের এই পোস্টটি আপনার
কাছে উপকৃত বলে মনে হয়েছে।এছাড়াও আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এতক্ষণ সময় ধরে
আমাদের পোস্টটি পড়ার জন্য ও আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য।
আমাদের এই পোষ্টের মধ্যে কোন ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
এবং তা কমেন্ট করে জানাবেন।আমাদের পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধু এবং
আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করুন।কারণে শীতকালে আমাদের চুল ও ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।কারণ আমরা অনেকেই সঠিকভাবে তক ও চুলের যত্ন নেওয়া জানিনা।এছাড়া
আমার পোস্টটি আপনারা ইতিমধ্যে পড়ে জানতেও বুঝতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ
শীত কালে পা ফাটার সমাধান জানুন
তাই আপনি যদি শীতকালে ঘরে বসে এমন আরো নিত্য নতুন শীতকালীন আর্টিকেল পেতে চান তবে
তা কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাতে পারেন।কেননা আমরা প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন আর্টিকেল
পাবলিশ করে থাকি তাই সবার আগে আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করুন এবং
আমাদের সঙ্গে থাকুন আজ এ পর্যন্তই আবার কথা হবে অন্য কোনো টপিক নিয়ে সে পর্যন্ত
সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url