ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কত?
প্রিয় পাঠক আপনি কি ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কত? এবং
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি?এ বিষয় সম্পর্কে জানতে
চান?তাহলে আজকের এই আর্টিকেল আপনার জন্য।আপনি যদি ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যায়
বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কত? এ বিষয় সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের এই
পোস্টটি পড়ুন এবং জেনে নিন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান
কত? সে সম্পর্কে।
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে
আপনিও জানতে পারবেন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কত? এবং
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি?। এছাড়াও আপনাদের জন্য
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস রয়েছে যেগুলো ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টোরে সর্বপ্রথম ধাপ যেমন অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং কি,ফ্রিল্যান্সিং জব কি এবং
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কত। তাই এসমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে আর দেরি না
করে ঝটপট জেনে নিন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কত?
সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃফ্রিল্যান্সারের সংখ্যায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান
কত?।বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি?
অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং কি
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সম্ভাবনাময় পেশা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।
ফ্রিল্যান্সিং শব্দের মূল অর্থ হলো মুক্ত পেশা অর্থাৎ মুক্তভাবে কাজ করে আয় করার
পেশা। একটু সহজ ভাবে বললে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের
কাজ করিয়ে নেয় নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউরে দিয়ে এসব কাজ করানোকে
আউটসোর্সিং বলে।
যারা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে দেন, তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। আউটসোর্সিং
সাইড বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস এ কাজগুলো বিভিন্নভাবে ভাগ করে থাকে। যেমন :ওয়েব
ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও তথ্য ব্যবস্থা, লেখা ও
অনুবাদ, প্রসেসনিক সহায়তা, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, গ্রাহক সেবা, বিক্রয় ও
বিপণন, ব্যবসা সেবা, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ
ভাতার টাকা মোবাইলে দেখার নিয়ম
কাজগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে করে দিতে পারলে অনলাইনে আয় করা সম্ভব দক্ষতা থাকলে
কেবল ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসেবে নেওয়া সম্ভব। তাই ফ্রিল্যান্সারকে প্রেসার
হিসেবে নির্ধারণ করার পূর্বে নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং যেহেতু
মুক্ত পেশা সেখানে ব্যক্তিগত জবাবদিহিতা চেয়ে কাজের জবাবদিহিতা বেশি হয় কাজ যদি
সঠিক না হয় এবং কাজে যদি স্বচ্ছতা না থাকে তাহলে এই সেক্টরের সফল হওয়া যায় না।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ পাওয়া যায় এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে
পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য এমন কয়েকটি সাইটের ঠিকানা দেওয়া হল: www.upwork.com,
www. freelancer.com, www. elance.com, www.getacoder.com, www.guru.com,
www.vworker.com, www.scriptlance.com ইত্যাদি। আপনারাও যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে
চান তাহলে আপনারা এই সকল ওয়েবসাইট থেকে কাজ পেতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং জব কি।ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কত?
ফ্রিল্যান্সিংকে আপনি একটি স্বাধীন জব হিসেবে ধরতে পারেন কারণ এটি স্বাধীনতার উপর
নির্ভর করে আপনি যখন চাইবেন তখনই ফ্রিল্যান্সিংয়ে করতে পারবেন আবার আপনার ইচ্ছা
না থাকলে সেই কাজ আপনি করবেন না। এটার সম্পূর্ণ ধরা বাধা নেই আপনি যদি
ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনার মন মত আপনি কাজ বাছাই করে করতে পারবেন তাই এই
জবের কোন বাধা নেই। ব্যক্তি স্বাধীন হিসেবে যদি কোন মুক্ত পেশাব হয়ে থাকেন তাহলে
ফ্রিল্যান্সিং জবই হবে আপনার সেই পেশা।
যেখানে কোন কাজের জন্য চাপ নেই এবং কাজ নিজ ইচ্ছাই করতে পারবে নিজের পছন্দমত ও
নিজের সময় মত কাজ করতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি মুক্ত পেশার যেখানে আপনি
কাজ করে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন এবং একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে দেশ ও জাতির
জন্য অনেক কিছু অবদান রাখতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং জব হচ্ছে এমন একটি কাজ যেখানে
কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ না করলে চুক্তিভিত্তিক নিজ নিজ ইচ্ছাতে কাজ করা।
যেখানে নিজের ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত মতামতের উপরই কাজ করা হয়।
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি সেক্টর যেখানে কোন কাজের ধরা বাধা নেই আপনি চাইলে নিজের
চাই আপনি নিজের দক্ষতার সাথে কাজ করে যেতে পারেন এখানে কোন বেকারত্ব নেই।
বাংলাদেশে প্রচুর বেকার রয়েছে তারা যদি নিজেকে দক্ষিণ হিসেবে গড়ে তোলে
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যায় তাহলে তাদের জন্য সফলতা ধরা বাধা নেই।
আরো পড়ুনঃ
ব্যবসা পরিকল্পনার ধাপ কয়টি জানুন
ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে যেগুলো যেকোনো একটিতে আপনি যদি
নিজেকে দক্ষ করে তোলে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনার সফলতার আর কোন তাই আপনাদের
বাধা-বিপত্তি আসবেনা এই জন্য প্রথমে আপনাকে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনি যেগুলো যে কোর্সগুলো করতে পারেন আউটসোর্সিং, ডিজিটাল
মার্কেটিং, ফটো এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন, কোডিং,
অ্যানিমেশন, ব্লগিং ইত্যাদি।
কোর্স গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি কোর্স যদি আপনি ভালোভাবে করে দক্ষ হয়ে যেতে পারেন
তাহলে সেই সেক্টরে আপনি নিজেকে সফল করতে পারবেন। এই কাজে আপনার কোন ধরা বাধা নেই
আপনি নিজের ইচ্ছা মত নিজ সময়ে চুক্তিভিত্তিক হিসেবে কাজ করে দিতে পারেন এবং এই
কাজে চাহিদা অনেক বেশি। আপনি দেশে ও দেশের বাইরে এ সকল কাজ করতে পারেন
ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনি নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কত
আপনারা অনেকেই জানতে চান যে ফ্রিল্যান্সিং করে বাংলাদেশে কেউ সফল হয়েছে কিনা।
বাংলাদেশে কতজন সফল ফ্রিল্যান্সার রয়েছে বাংলাদেশে কেউ ফ্রিল্যান্সিং করে কিনা
এই সম্পর্কে অনেকের মনে কৌতূহল জেগে উঠেছে। চলুন জেনে আসি বাংলাদেশে
ফ্রিল্যান্সিং এর সংখ্যা কত এখন প্রায় বেকারত্ব ছেড়ে তারা ফ্রিল্যান্সিং এর
পিঠে আছে বাংলাদেশে যেহেতু অনেক বেকার কিন্তু তারা যদি নিজেকে দক্ষতার সাথে
ফ্রিল্যান্সিং করে প্রমাণ করতে পারে তাহলে দেশ ও তাদের জন্য অনেক ভালো।
বাংলাদেশের আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর জুনায়েদ হোসেন পলক, এর মতে ২০২৩ সালে জানুয়ারি
মাস পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ freelancer বাংলাদেশ কাজ করে। প্রায় সাড়ে ছয়
লক্ষ বাংলাদেশী নাগরিক ফ্রিল্যান্সিংকে নিজের কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে
এবং তারা প্রায় বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসে আমাদের দেশে বাংলাদেশের প্রতিবছর
বার্ষিক প্রায় ১০ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মত আয় করছে ফ্রিল্যান্সার।
আরো পড়ুনঃ
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
তাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ফলে দেশের অনেক বেশি উন্নতি হবে এবং দেশকে উন্নত
করতে সহযোগিতা করছে ফ্রিল্যান্সাররা। এইজন্য বাংলাদেশ সরকার ফ্রিল্যান্সারদের
অনেক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে এবং তাদেরকে এই সেক্টরে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা
দিচ্ছে। কোন কাজের জন্য বসে না থেকে চাকরির জন্য হতাশায় না ভুগে আপনি যদি নিজেকে
ফ্রিল্যান্সিং এর যে কোন একটি সেক্টরে দক্ষ করে তুলতে পারেন তাহলে আপনি অনেক বেশি
সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কত?
ভাই প্রতিটি উন্নত দেশেই ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে তার পাশাপাশি
বাংলাদেশ থেকেও প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ মানুষ এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সাথে
যুক্ত রয়েছে তাই আপনারা কি জানতে চান ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যায় বিশ্বে
বাংলাদেশের অবস্থান কততম হয়েছে এবার। চলুন জেনে আসি ফ্রিল্যান্সার সংখ্যা বিশ্বে
বাংলাদেশের অবস্থান কত রয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে তৃতীয়তম দেশ এবং
ফ্রিল্যান্সিং আয় এর দিক থেকে বাংলাদেশ দ্বিতীয়। এখন দেশে সাড়ে ছয় লাখ থেকে দশ
লাখ তরুণ ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসে আয় করছে অনেক ডলার অন্যদেরও সুযোগ করে দিচ্ছেন
তারা তাদের বয়স বেশিভাগ ২৩ থেকে ২৪ বছরের হয়।
বেশি বেকার থাকে এই জন্য এই বয়সে যদি তারা ফ্রিল্যান্সিংকে নিজের কাজে সেক্টর
হিসেবে বেছে নেয় তাহলে তাদের জন্য অনেক বেশি উপকার হবে এবং তারা খুব সহজেই সফলতা
পাবে । তারা ২৩ থেকে ২৪ বছর বয়সের অনেকে মাসিক আয় হাজার হাজার ডলার করছে এবং
ফ্রিল্যান্সাররা বাংলা করা যায় মুক্ত পেশাজীবী।
আরো পড়ুনঃ
অনলাইনে লুডু গেম খেলে টাকা ইনকাম
বাসা কিংবা যে কোন স্থানে বসে এই কাজ করতে পারবে লাগবে শুধুমাত্র দক্ষতা বিদ্যুৎ
আর গতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ এই কয়েকটি জিনিস থাকলেই খুব সহজে আপনি নিজেকে একজন
সফল ফিনান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য, ইউরোপ সহ
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান স্থানীয় কর্মী নিলে খরচ বেশি হয় অনেক সময়
চাহিদা মত এত কর্মী পাওয়া যায় না তারা তখন বাইরে থেকে আউটসোর্সিং নির্দিষ্ট
কাজটি করিয়ে নেন।
এতে ওই প্রতিষ্ঠানটা ব্যক্তির যেমন অর্থ সাশ্রয় হয় তেমনি যে কোন স্থান থেকে
কাজটি করে ওই ব্যক্তি ও আয় করতে পারে প্রচুর পরিমাণে ডলার বেশিরভাগ কাজ মেলে
নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইটে তথ্য ও প্রযুক্তির ভাষায় এগুলোকে বলে অনলাইন
মার্কেটপ্লেস। যেখানে দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি প্রসার ও সরকারি বেসরকারি নানা
উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে।
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি?
বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশের বেকার রয়েছে তারা সবচেয়ে বেশি আগ্রহী হয়ে
উঠেছে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের দিকে আর এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর বর্তমানে সবচেয়ে
বেশি জনপ্রিয় জিএস কয়েকটি সেক্টর রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ওয়েব
ডেভেলপমেন্ট, লেখালেখি ও ডিজিটাল মার্কেটিং।
আরো পড়ুনঃ
ছোট ব্যবসা করে ধণী হওয়ার উপায়
গুলো প্রচুর পরিমানে জনপ্রিয় কারণ এই সেক্টরগুলোতে দক্ষতা অর্জন করার মাধ্যমে
খুব সহজেই তরুণেরা আয় করতে পারছে ডলার।প্রচুর পরিমাণে ফ্রিল্যান্সার বৃদ্ধি
পেয়েছে বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশের কাজ করে
যাচ্ছে। চলুন জেনে আসি এই তিনটি মার্কেটপ্লেসের কেমন চাহিদা।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে বিভিন্ন রকমের অংশে বিভিন্নভাবে বাহিরের অংশ তৈরি করার
জন্য ওয়েবসাইটের এডমিন প্যানেলকে ফাংশন করার কাজই হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা প্রতিদিন বাড়ছে বর্তমান সময়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের
এত বেশি চাহিদা রয়েছে যেটি বলে শেষ করা যাবে না যার কারণে এটির চাহিদা বৃদ্ধি
পেতেই আছে।
একজন ভালো মানের ওয়েব ডিজাইন আর অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে অনেক ভ্যালুট
রয়েছে সেই সাথে আপনি একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হতে পারলে সফলতা পাওয়া কোন
ব্যাপার হবে না। একজন Full stack developer একটি পরিপূর্ণ web application এবং
ওয়েবসাইট ডিজাইনার করার যোগ্যতা রাখে তিনি ওয়েবসাইটের front, end, back, end,
database, debugging তাই আপনি যদি একজন Full stack web Developer হতে পারেন তাহলে
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আপনার অনেক চাহিদা থাকবে সবসময়।
লেখালেখি:
লেখালেখির মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায় খুব সহজে এই জন্য অনেকেই এই
সেক্টরটি বেছে নেই। দেশের এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের লেখালেখির
কাজগুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দিয়ে থাকে এবং এই কাজগুলো করার মাধ্যমে
প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়। লেখালেখি করার জন্য ইংলিশ ভালোভাবে
জানলেই খুব সহজেই ইংলিশের দক্ষতার মধ্যে দিয়ে আপনি এই সেক্টরের সফল হতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কাকে বলে
এই কাজে যেহেতু বেশি পরিশ্রম লাগে না এই জন্য এই কাজটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এখন
প্রায় অনেকের করে থাকে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে কার্ড পাওয়ার মাধ্যমে লেখালেখি
করে তারা প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রার পাশাপাশি দেশের জন্য কর দিচ্ছে। অসংখ্য
সেক্টরে কাজ করতে পারবেন আপনারা এর মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন ডাটা এনালাইসিস ভিডিও
এডিটিং এর মত বিভিন্ন ডিমান্ডেবল কাজ রয়েছে যেখানে আপনারা কাজ করে নিজেই কে সফল
করতে পারবেন। এই সকল সেক্টরে কাজের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে হয়ে থাকে।
ডিজিটাল মার্কেটিং
বাংলাদেশের প্রায়ই অনেক মানুষই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত রয়েছে যে কোন
পণ্য বা ব্র্যান্ডকে বিশাল অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছে দিতে সবচেয়ে বেশি কাজ করে
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন বিকল্প নেই। বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ যেকোনো কিছু
অনলাইনে প্রচার এবং সেল বাড়ানোর জন্য ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসি সবচেয়ে বেশি
কার্যকারী জায়গা। প্রাই বিশ্বে ৫ বিলিয়ন এর বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে
বাংলাদেশে প্রায় সাত কোটিরও বেশি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে কানেক্টেড এবং এই
সংখ্যা আগামীতে ৫ থেকে ১০ বছরে দ্বিগুণ থেকে দ্বিগুণতর হবে।
আরো পড়ুনঃ
ই বুক কাকে বলে জানুন
ফ্রিল্যান্সার মার্কেট প্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রচুর কাজের চাহিদা। ডিজিটাল
মার্কেটে অনেক বড় সেক্টর এই জন্য এখানে ব্লগিং, SEO, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং,
ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এছাড়াও ডিজিটাল
মার্কেটিং করে আরো১৮টি উপায়ে আয় করা যায় সহ আরো অনেক মাধ্যম রয়েছে।
কোর্সটি কমপ্লিট করে মার্কেটিং এক্সপার্ট হিসেবে লোকালি কিংবা গ্লোবেরি সার্ভিস
দিয়ে আপনি প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনারাও
চাইলে খুব সহজে ডিজিটাল মার্কেটিংকে আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।
শেষ বার্তাঃ ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কত?।বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি?
নিশ্চয়ই আপনি এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে আজকের এই আর্টিকেল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কত? এবং বর্তমানে সবচেয়ে
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি? এই সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য আপনি জানতে ও
বুঝতে পেরেছেন।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য
ধন্যবাদ।আমাদের পোস্ট যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি কমেন্ট করে জানাতে
পারেন।
আরো পড়ুনঃ
গুচ্ছ পরিক্ষা কি
যে কোন বিষয়ে সবার আগে তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে রাখুন।কারণ আমরা
প্রতিনিয়ত আপনাদের চাহিদা সম্পূর্ণ আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আমার প্রিয় পাঠক
ভাই ও বোনেরা আমাদের আজকের আর্টিকেল এ পর্যন্ত সমাপ্ত ঘোষণা করছি। আবারো কথা হবে
অন্য কোন বিষয় নিয়ে সে পর্যন্ত আপনারা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url