রক্ত শূন্যতার লক্ষণ - হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি ভালো আছেন। আপনি কি রক্ত শূন্যতার লক্ষণ এবং হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান? তাহলে আর কিসের চিন্তা আমি আপনাকে জানিয়ে দিব যে একজন মানুষের রক্ত শূন্যতার লক্ষণ গুলো কেমন হয়। আশা করছি আমার এই আর্টিকেল আপনার উপকারে আসবে তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে এবারের আলোচনার বিষয় রক্ত শূন্যতার লক্ষণ এবং হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।রক্ত শূন্যতার লক্ষণ - রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায়আপনি যদি আমাদের এর আর্টিকেল একবারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আমি আশা করছি আপনিও নিশ্চয়ই জানতে পারবেন রক্ত শূন্যতার লক্ষণ ওহিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় গুলো কি কি টিপস রয়েছে তার সমস্ত কিছু। তাই আপনাকে আমাদের সাথে থাকার অনুরোধ রইলো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ রক্ত শূন্যতার লক্ষণ - হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় 

    ভূমিকা।রক্ত শূন্যতার লক্ষণ । হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়

    শরীর সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই শরীরে রক্ত সঞ্চলন ঠিক রাখতে হবে। রক্ত কম বেশি দুটো শরীরকে অসুস্থ করে দেয়। শরীর জন্য ক্ষতি করে রক্ত কম বেশি হলে তাই রক্ত শূন্যতার লক্ষণ ও রক্ত শূন্যতা দূর করার ঘরোয়া এবং হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়,ও শরীরে রক্ত কম হওয়ার লক্ষণ , এছাড়া মেয়েদের রক্তশূন্যতার লক্ষণ দেখা দেয় কেন।
    শরীরে রক্ত কম হলে কি কি সমস্যা হয় তা থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে। তাই চলুন দেরি না করে এখনি ঝটপট জেনে নেওয়া যাক রক্ত শূন্যতার লক্ষণ কি কি এবং শরীরে রক্ত কম হলে কি কি সমস্যা হয় সম্পর্কে।

    শরীরে রক্ত কম হলে কি কি সমস্যা হয়

    রক্তশূন্যতা হলো এমন একটি রোগ যার ফলে রক্তে লোহিত রক্তকনিকার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে বা রক্তে অক্সিজেন বাহন করার ক্ষমতা হ্রাস পায়। যখন রক্তশূন্যতা আস্তে আস্তে দেখা দেয় তখন শরীর নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় যেমন ক্লান্তিবোধ, দূর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যথা, ব্যায়াম করার ক্ষমতা কমে যায় ইত্যাদি মত নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। যাদের শ্বাসকষ্ট তাদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দেয় রক্ত শূন্য ফলে। রক্ত সঞ্চলন ব্যবস্থা শরীরে ঠিক রাখতে হবে নাহলে নানা সমস্যা সৃষ্টি করে শরীরে।
    হৃদস্পন্দনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আপনার শরীরে হৃদস্পন্দনের কোন পরিবর্তন দেখলে বুঝতে হবে রক্ত  কম হওয়ার জন্য এমন লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। আপনি যদি অল্প কাজে আপনার শ্বাসকষ্ট হয় তাহলে অতি দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
    গর্ভাবস্থার পরিকল্পনা করলে আপনি আগে একজন ভালো ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। অ্যানিমিক অবস্থার একজন গর্ভবতী মা বা বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। রক্ত কম থাকলে ভ্রণের বৃদ্ধিকে প্রভাহিত করে যা প্রসাবের সময় নানা জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে

    মেয়েদের রক্তশূন্যতার লক্ষণ

    •  চোখ মুখে ফ্যাকাশে হয়ে যাবে যে মেয়ের রক্তশূন্যতা হয়।
    •  যখন মেয়েদের ক্লান্তিবোধ, দূর্বলতা, অবসাদ ইত্যাদি
    • সমস্যা দেখা দেয়।
    • মাথাব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, মাথাঘোরা, মুখে ঠোঁটে ঘা ইত্যাদি দেখা দেয় যাদের রক্তশূন্যতা লক্ষণ।
    • যাদের রক্তশূন্যতা তিব্র হলে শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপালাগা,এমনকি হার্ট অ্যাটাক সমস্যা দেখা দেয়
    • রক্তশূন্যতা দেখা দিলে কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট জরুরি।

    শরীরে রক্ত বৃদ্ধির উপায়

    যখন শরীরে রক্তশূন্য হয়ে যেতে শুরু হয় তখন শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে শরীর খারাপ হয়ে পড়ে। তাই রক্তশূন্যতা দেখা দিলে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ও শরীরে রক্ত বৃদ্ধি জন্য যে সকল খাবার খাওয়া উচিত তা আজকে জানাবো। রক্ত বৃদ্ধি জন্য ভিটামিন-এ জাতীয় খাবার খাওয়া খুব জরুরি। ভিটামিন-এ জাতীয় খাবার থেকে রক্ত তৈরি হয়।
    এছাড়া দানাশস্য, বীজ, বাদাম, চকলেট,শেলফিস, মাংস, সিরিয়াল ব্রান, লালশাক, কচু শাঁক, বেদেনা, ইত্যাদি খাবার খাওয়া ফলে শরীরে রক্ত তৈরি হয়। আয়রন ও ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার থেকে ও শরীরে রক্ত বৃদ্ধি পায়। খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিজেকে সুস্থ রাখতে মেডিটেশন করতে পারেন।

    রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায়

    •  রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেমন - ছোট মাছ, বাদাম, দেশি মুরগী ঝোল, কবুতরের মাংস ইত্যাদি।
    • শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিলে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে যার ফলে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
    • আয়রন জাতীয় সবজি ও ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন মাছ, মাংস, বাদাম, কচু শাঁক, কলিজা, সবুজ শাক, লাল শাক ইত্যাদি।
    • তাজা শাক সবজি পাশাপাশি ফলমূল খাবার রাখতে হবে। সেসকল খাদ্য ভিটামিন-সি রয়েছে খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। ভিটামিন-সি থেকে আয়রন শোষণ করে খুব সহজে তাই খাবার ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার খেতে হবে।
    • পাকা কলা সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এতে রক্ত বৃদ্ধি পায় ।
    • এক কাপ ফলের জুসে সাথে বিট রট মিশিয়ে জুস বানিয়ে খেলে রক্ত বৃদ্ধি পায়।

    হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়

    শরীর যখন রক্ত পরিমাণ কমে গেলে তখন শরীরে রক্ত দিতে হয়। খাবার মাধ্যমে আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চলন ঠিক থাকে। যখন পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার শরীরে না যায় তখনি শরীরে দেখা দেয় রক্তশূন্যতা। রক্ত শূন্যতা থেকে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। রক্তশূন্যতা দেখা দিলে রোগীর অস্ত্রোপাচারে জন্য যদি রক্তের হিমোগ্লোবিন ৮ গ্রাম/ডিএল থাকলে তখন শরীরে রক্ত দিতে হয়।
    যাদের শরীরে অতিরিক্ত রক্তশূন্যতা দেখা দেয় যদি র্দীঘমেয়াদী হয় তাহলে ৭ গ্রাম/ ডিএল হয় তাহলে শরীরে রক্ত পরিঞ্চলন করতে হবে। কোন দূর্ঘটনা ঘটলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে তখন যদি ৩০% রক্তক্ষরণ হয়ে যায় তাহলে শরীরে রক্ত দিতে হয়। হিমোগ্লোবিন মান ৭গ্রাম/ডিএল কম হলে শরীরে রক্ত দিতে হবে।

    রক্ত শূন্যতার লক্ষণ

    •  যদি রক্তশূন্যতা দেখা দেয় তাহলে মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, চোখে ঝাপসা দেখা, মুখে ঠোঁটে ঘা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
    • শরীরে রক্ত পরিমাণ কমে গেলে ক্লান্তিবোধ, দূর্বলতা, অবসাদ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
    • শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিলে শ্বাসকষ্ট মত সমস্যা দেখা দেয় আবার অনেকের হার্ট অ্যাটাক দেখা দেয়।
    •  চোখ মুখে ফ্যাকাসে হয়ে পড়ে শরীর রক্ত কম হয়ে গেলে।
    •  রক্তশূন্যতা হলে মাথা ঘুরে পড়া, অচেতন হয়ে পড়া, এসকল সমস্যা দেখা দেয়।
    • এর মধ্যে কিছু সাধারণ উপসর্গ দেখা দেয় যেমন ফ্যাকাশে ঠোঁট এবং নখ, দুর্বলতা, ক্লান্ত পায়ে খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট সহ মাথা ব্যথা।

    শরীরে রক্ত কম হওয়ার লক্ষণ

    শরীরে রক্ত কম হলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে শারীরিক নানা রকম লক্ষণ দেখা দেয়। শরীরে রক্ত কম হলে মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, মুখ ও ঠোঁট ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এগুলো অল্প কিছু লক্ষণ দেখা দেয় শরীরে রক্ত কম হলে। তবে যখন অতিরিক্ত রক্ত শূন্যতা কমে গেলে শ্বাসকষ্ট হয়। অনেকের আবার হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায়। 
    • অনেক সময় লোহার অভাব এর কারণে রক্তসল্পতা দেখা দেয়। অস্থি মজ্জার হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য লোহার প্রয়োজন এমন অবস্থার জন্য শরীরে রক্ত কণিকার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে হিমোগ্লবিন তৈরি করতে পারে না। আবার আপনি গর্ভবতী নারীদের রক্ত স্বল্পতা দেয় কারণ তারা লোহা সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করে না। 
    • মেয়েদের মাসিকের সময় প্রচুর পরিমাণে  রক্তপাত হয়ে থাকে। আলসার ক্যান্সার এমনকি অ্যাসপিরিনের মতো শক্তিশালী ব্যথা নাশক ওষুধ বেশি খাওয়ার কারণে রক্ত হয় এতে করে শরীরে রক্ত কমে যায়।
    • ভিটামিনের অভাবের কারণে রক্ত স্বল্পতা হয়। আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে লোহিত রক্ত কণিকা বৃদ্ধির জন্য পরিমাণ মতো ভিটামিন বি ১২ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। 

    লেখকের মন্তব্যঃ রক্ত শূন্যতার লক্ষণ। হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়

    প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে রক্ত শূন্যতার লক্ষণ এবং হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় সম্পর্কে খুব সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন। এছাড়া আপনার শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করবেন কিভাবে রক্ত কম হলে শরীরে কি কি সমস্যা হয় তা বুঝতে পেরেছেন। আশা করছি আমার এই আর্টিকেল আমার বন্ধুদের ভালো লেগেছে। নিশ্চয়ই এই আর্টিকেল আপনার অনেক উপকারে আসবে।
    তাই এমন হাজারো মানুষের উপকারের জন্য আমাদের এই আর্টিকেল শেয়ার করতে ভুলবেন। এমন আরো অনেক টিপস টিকস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url